১৫৪৩

পরিচ্ছেদঃ ৫. মুদাব্বারকে বিক্রয় করা

রেওয়ায়ত ৬. মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুদাব্বারের ব্যাপারে আমাদের নিকট সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত এই — তাহার কর্তা তাহাকে বিক্রয় করিবে না। উহাকে যেই স্থানে মুদাব্বার করিয়াছে সেই স্থান হইতে অন্যত্র লইয়া যাইবে না; এবং তাহার কর্তার উপর যদি ঋণের চাপ থাকে তবে তাহার কর্তা যতদিন জীবিত থাকিবে ততদিন কর্তার ঋণদাতাগণ তাহাকে বিক্রয় করিবে না। কর্তার যদি মৃত্যু হয় এবং তাহার জিম্মায় ঋণ না থাকে তবে মুদাব্বার কর্তার সম্পদের এক-তৃতীয়াংশ হইতে আযাদ হইবে। কারণ সে তাহার জীবিতকাল পর্যন্ত ক্রীতদাসের আযাদী হইতে তাহার খেদমতে পৃথক করিয়াছিল, তাই তাহার জন্য ক্রীতদাস হইতে জীবদ্দশায় খেদমত গ্রহণ করা বৈধ নহে। অতঃপর মৃত্যুর সময় উপস্থিত হইলে (যখন উহা ওয়ারিসদের হক হইবার সময় উপস্থিত তখন) তাহার সম্পূর্ণ সম্পদ হইতে ওয়ারিসদের মীরাসের উপর হস্তক্ষেপ করিয়া উহাকে আযাদ করিয়া দিবে। আর যদি মুদাবারের কর্তার মৃত্যু হয় এই অবস্থায় যে মুদাব্বার ব্যতীত তাহার আর কোন সম্পদ নাই, তবে উহার এক-তৃতীয়াংশ আযাদ হইবে এবং ওয়ারিসদের জন্য হইবে (অবশিষ্ট) দুই-তৃতীয়াংশ, আর যদি মুদাব্বারের কর্তার মৃত্যু হয় এমতাবস্থায় যে তাহার ঋণ রহিয়াছে, আর সেই ঋণ মুদাব্বারের (মূল্যের) সমপরিমাণ হয়, তবে উহাকে কর্তার ঋণ পরিশোধের জন্য বিক্রয় করা হইবে। কারণ উহাকে আযাদ করা হয় এক-তৃতীয়াংশ সম্পদ হইতে, আর যদি ঋণ মুদাব্বারের অর্ধেক পরিমাণ হয়, তবে উহার অর্ধেক ঋণের জন্য বিক্রয় করা হইবে। অতঃপর ঋণের পর যাহা অবশিষ্ট থাকিবে উহার এক-তৃতীয়াংশ হইতে তাহাকে আযাদ করা হইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুদাব্বারকে বিক্রয় করা জায়েয নহে এবং কাহারো পক্ষে উহা খরিদ করাও জায়েয নহে, কিন্তু মুদাব্বার যদি নিজেকে কর্তা হইতে ক্রয় করিয়া লয়, তবে উহা জায়েয হইবে। অথবা কেহ মুদাব্বারের কর্তাকে অর্থ দিল, মুদাব্বারকারী কর্তা উহাকে আযাদ করিয়া দিল, তবে ইহাও তাহার জন্য বৈধ হইবে। মালিক (রহঃ) বলেন-উহার (অর্থাৎ মুদাবারের) উত্তরাধিকার হইবে সেই কর্তার, যে কর্তা তাহাকে মুদাব্বার করিয়াছে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ মুদাববারের খেদমত বিক্রয় জায়েয নহে এবং ইহা এক প্রকার প্রতারণা। কারণ উহার কর্তা কতদিন জীবিত থাকিবে তাহা অজামা, কাজেই উহা (এক প্রকার) প্রতারণা যাহা মঙ্গল নহে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ একটি ক্রীতদাস দুইজনের শরীকানায় রহিয়াছে। উহাদের একজন তাহার হিসসাকে মুদাব্বার করিয়া দিল। তবে তাহারা উভয়ে উহার মূল্য ধার্য করিবে (ইহার পর) যে মুদাব্বার করিয়াছে সে যদি (অপর অংশী হইতে) ক্রয় করিয়া লয়, তবে উহা পূর্ণ মুদাব্বার হইয়া যাইবে। আর যদি উহাকে ক্রয় না করে তবে মুদাব্বার করা বাতিল হইয়া যাইবে। কিন্তু যদি যে অংশীর মালিকানা অংশ উহাতে বহাল রহিয়াছে সে যদি তাহার যে শরীক মুদাব্বার করিয়াছে সে শরীকের নিকট হইতে তাহার অংশের মূল্য গ্রহণ করিয়া তাহাকে (ক্রীতদাসকে পূর্ণরূপে) দিয়া দেয় তবে তাহার (যে মুদাব্বার করিয়াছে) জন্য উহা গ্রহণ করা জরুরী হইবে। ফলে ক্রীতদাস পূর্ণরূপে মুদাব্বার হইয়া যাইবে।

মালিক (রহঃ) বলেনঃ কোন খ্রিস্টান ক্রীতদাসকে মুদাব্বার করিয়াছে, অতঃপর ক্রীতদাস ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়াছে। মালিক (রহঃ) বলেনঃ পৃথক করা হইবে সেই খ্রিস্টান ও তাহার ক্রীতদাসকে, আর তাহার কর্তার পক্ষে ক্রীতদাসটি খাজনা আদায় করিবে। কর্তার অবস্থা স্পষ্ট না হওয়া পর্যন্ত তাহাকে (ক্রীতদাসকে) বিক্রয় করা হইবে না। আর যদি তাহার কর্তার মৃত্যু হয় এবং তাহার ঋণ থাকে তবে তাহার ঋণ শোধ করা হইবে মুদাব্বারের মূল্য হইতে। কিন্তু ঋণ শোধ করিবার মতো যদি তাহার সম্পদ থাকে তবে সম্পদ হইতে ঋণ শোধ করা হইবে এবং মুদাব্বার আযাদ হইয়া যাইবে (এক-তৃতীয়াংশ হইতে)।

باب بَيْعِ الْمُدَبَّرِ

قَالَ مَالِك الْأَمْرُ الْمُجْتَمَعُ عَلَيْهِ عِنْدَنَا فِي الْمُدَبَّرِ أَنَّ صَاحِبَهُ لَا يَبِيعُهُ وَلَا يُحَوِّلُهُ عَنْ مَوْضِعِهِ الَّذِي وَضَعَهُ فِيهِ وَأَنَّهُ إِنْ رَهِقَ سَيِّدَهُ دَيْنٌ فَإِنَّ غُرَمَاءَهُ لَا يَقْدِرُونَ عَلَى بَيْعِهِ مَا عَاشَ سَيِّدُهُ فَإِنْ مَاتَ سَيِّدُهُ وَلَا دَيْنَ عَلَيْهِ فَهُوَ فِي ثُلُثِهِ لِأَنَّهُ اسْتَثْنَى عَلَيْهِ عَمَلَهُ مَا عَاشَ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَخْدُمَهُ حَيَاتَهُ ثُمَّ يُعْتِقَهُ عَلَى وَرَثَتِهِ إِذَا مَاتَ مِنْ رَأْسِ مَالِهِ وَإِنْ مَاتَ سَيِّدُ الْمُدَبَّرِ وَلَا مَالَ لَهُ غَيْرُهُ عَتَقَ ثُلُثُهُ وَكَانَ ثُلُثَاهُ لِوَرَثَتِهِ فَإِنْ مَاتَ سَيِّدُ الْمُدَبَّرِ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ مُحِيطٌ بِالْمُدَبَّرِ بِيعَ فِي دَيْنِهِ لِأَنَّهُ إِنَّمَا يَعْتِقُ فِي الثُّلُثِ قَالَ فَإِنْ كَانَ الدَّيْنُ لَا يُحِيطُ إِلَّا بِنِصْفِ الْعَبْدِ بِيعَ نِصْفُهُ لِلدَّيْنِ ثُمَّ عَتَقَ ثُلُثُ مَا بَقِيَ بَعْدَ الدَّيْنِ قَالَ مَالِك لَا يَجُوزُ بَيْعُ الْمُدَبَّرِ وَلَا يَجُوزُ لِأَحَدٍ أَنْ يَشْتَرِيَهُ إِلَّا أَنْ يَشْتَرِيَ الْمُدَبَّرُ نَفْسَهُ مِنْ سَيِّدِهِ فَيَكُونُ ذَلِكَ جَائِزًا لَهُ أَوْ يُعْطِيَ أَحَدٌ سَيِّدَ الْمُدَبَّرِ مَالًا وَيُعْتِقُهُ سَيِّدُهُ الَّذِي دَبَّرَهُ فَذَلِكَ يَجُوزُ لَهُ أَيْضًا قَالَ مَالِك وَوَلَاؤُهُ لِسَيِّدِهِ الَّذِي دَبَّرَهُ قَالَ مَالِك لَا يَجُوزُ بَيْعُ خِدْمَةِ الْمُدَبَّرِ لِأَنَّهُ غَرَرٌ إِذْ لَا يُدْرَى كَمْ يَعِيشُ سَيِّدُهُ فَذَلِكَ غَرَرٌ لَا يَصْلُحُ وَقَالَ مَالِك فِي الْعَبْدِ يَكُونُ بَيْنَ الرَّجُلَيْنِ فَيُدَبِّرُ أَحَدُهُمَا حِصَّتَهُ إِنَّهُمَا يَتَقَاوَمَانِهِ فَإِنْ اشْتَرَاهُ الَّذِي دَبَّرَهُ كَانَ مُدَبَّرًا كُلَّهُ وَإِنْ لَمْ يَشْتَرِهِ انْتَقَضَ تَدْبِيرُهُ إِلَّا أَنْ يَشَاءَ الَّذِي بَقِيَ لَهُ فِيهِ الرِّقُّ أَنْ يُعْطِيَهُ شَرِيكَهُ الَّذِي دَبَّرَهُ بِقِيمَتِهِ فَإِنْ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ بِقِيمَتِهِ لَزِمَهُ ذَلِكَ وَكَانَ مُدَبَّرًا كُلَّهُ وَقَالَ مَالِك فِي رَجُلٍ نَصْرَانِيٍّ دَبَّرَ عَبْدًا لَهُ نَصْرَانِيًّا فَأَسْلَمَ الْعَبْدُ قَالَ مَالِك يُحَالُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْعَبْدِ وَيُخَارَجُ عَلَى سَيِّدِهِ النَّصْرَانِيِّ وَلَا يُبَاعُ عَلَيْهِ حَتَّى يَتَبَيَّنَ أَمْرُهُ فَإِنْ هَلَكَ النَّصْرَانِيُّ وَعَلَيْهِ دَيْنٌ قُضِيَ دَيْنُهُ مِنْ ثَمَنِ الْمُدَبَّرِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ فِي مَالِهِ مَا يَحْمِلُ الدَّيْنَ فَيَعْتِقُ الْمُدَبَّرُ


Malik said, "The generally agreed on way of doing things in our community about a mudabbar is that the owner cannot sell him or change the position in which he has put him. If a debt overtakes the master, his creditors cannot sell the mudabbar as long as the master is alive. If the master dies and has no debts, the mudabbar is included in the third (of the bequest) because he expected his work from him as long as he lived. He cannot serve him all his life, and then he frees him from his heirs out of the main portion of his property when he dies. If the master of the mudabbar dies and has no property other than him, one third of him is freed, and two thirds of him belong to the heirs. If the master of the mudabbar dies and owes a debt which encompasses the mudabbar, he is sold to meet the debt because he can only be freed in the third (which is allowed for bequest) ." He said, "If the debt only includes half of the slave, half of him is sold for the debt. Then a third of what remains after the debt is freed. " Malik said, "It is not permitted to sell a mudabbar and it is not permitted for anyone to buy him unless the mudabbar buys himself from his master. He is permitted to do that. Or else some one gives the master of the mudabbar money and his master who made him a mudabbar frees him. That is also permitted for him." Malik said, "His wala' belongs to his master who made him a mudabbar." Malik said, "It is not permitted to sell the service of a mudabbar because it is an uncertain transaction since one does not know how long his master will live. That is uncertain and it is not good." Malik spoke about a slave who was shared between two men, and one of them made his portion mudabbar. He said, "They estimate his value between them. If the one who made him mudabbar buys him, he is all mudabbar. If he does not buy him, his tadbir is revoked unless the one who retains ownership of him wishes to give his partner who made him mudabbar his value. If he gives him to him for his value, that is binding, and he is all mudabbar." Malik spoke about the christian man who made a christian slave of his mudabbar and then the slave became muslim. He said, "One separates the master and the slave, and the slave is removed from his christian master and is not sold until his situation becomes clear. If the christian dies and has a debt, his debt is paid from the price of the slave unless he has in his estate what will pay the debt. Then the mudabbar is set free."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ মালিক ইবনু আনাস (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ