লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তিকে দুনিয়ায় কোন পরীক্ষা দ্বারা পরীক্ষা করা হয়, অতঃপর সে ব্যক্তি ধৈর্য ও শুকরিয়া আদায় করার মাধ্যমে তার মুকাবিলা করবে, তবে তার জন্য দুনিয়াতে তা অপসারিত হওয়া এবং পরকালে তার জন্য সঞ্চিত বদলা প্রাপ্তির আশা করা যায়
২৮৮৭. আনাস বিন মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহর নাবী আইয়ূব আলাইহিস সালাম ১৮ বছর বিপদে ছিলেন। তাঁর অন্তরঙ্গ দুই ভাই ব্যতীত নিকটের ও দূরের সব আত্নীয় তাঁকে পরিত্যাগ করে। সেই দুই ব্যক্তি তাঁকে সকাল-বিকাল দেখতে আসতেন।
একবার তাদের একজন অপরজনকে বললো, “আল্লাহর কসম, তুমি এটা জানো যে, আইয়ূব আলাইহিস সালাম এমন একটি পাপ করেছেন, যা পৃথিবীবাসীর কেউ করেনি।” তার সঙ্গী জবাবে বলেন, “সেটা কী?” সে বললো, “১৮ বছর ধরে আল্লাহ তাঁর উপর রহম করেননি যে, তিনি তাঁর বিপদ দূর করে দিবেন।”
তারপর সন্ধায় সে ব্যক্তি যখন আইয়ূব আলাইহিস সালামের কাছে যান, তখন তিনি নিজেকে সংবরণ করতে পারেনি। ফলে সে বিষয়টি তাঁকে অবহিত করলে আইয়ূব আলাইহিস সালাম জবাবে বলেন, “তুমি যা বলছো, এরকম কিছু আমার জানা নেই। তবে একটি ব্যাপার আছে, যা আল্লাহ জানেন। সেটা হলো, একবার আমি দুইজন ব্যক্তির পাশ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম। এসময় তারা নিজেদের মাঝে ঝগড়া করছিল আবার আল্লাহর যিকিরও করছিল। তারপর আমি বাড়িতে ফিরে আসি অতঃপর তাদের দুইজনের পক্ষ থেকে আমি কাফ্ফারা আদায় করি। এজন্য যে, তারা অন্যায্যভাবে আল্লাহর যিকির করেছে।”
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আইয়ূব আলাইহিস সালাম হাজত সারার জন্য বাইরে যেতেন। যখন তিনি বাইরে যেতেন, তখন তাঁর স্ত্রী হাত ধরে তাকে নিয়ে আসতেন। এভাবে একদিন তিনি দেরি করেন। সেখানে আল্লাহ তাঁর প্রতি অহী করেন: ارْكُضْ بِرِجْلِكَ هَذَا مُغْتَسَلٌ بَارِدٌ وَشَرَابٌ (আপনি আপনার পা দ্বারা আঘাত করুন। এটি পানযোগ্য ও গোসলের শীতল পানি।–সূরা সোয়াদ: ৪২)।
হাজত পূরণ করতে গিয়ে আইয়ূব আলাইহিস সালাম দেরি করলে তিনি তাঁর কাছে যান। অতঃপর তিনি দেখতে পান যে, মহান আল্লাহ তার বিপদ দূর করেছেন। তিনি উত্তম আকৃতিতে রয়েছেন। তিনি তাঁকে দেখে বলেন, “ওহে, আল্লাহ আপনাকে বারাকাহ দান করুন। আপনি কি বিপদগ্রস্থ আল্লাহর নাবী আলাইহিস সালামকে দেখেছেন?” আল্লাহর কসম, আমি আপনাকে তাঁর সাথে সবচেয়ে সাদৃশ্যশীল দেখতে পাচ্ছি, যখন তিনি সুস্থ ছিলেন।”
তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আমি সেই নাবী।”
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আইয়ূব আলাইহিস সালামের দুটি গোলাঘর ছিল; একটি গমের গোলাঘর আরেকটি যবের গোলাঘর। তারপর আল্লাহ দুটি মেঘ পাঠান। একটি মেঘ গমের গোলাঘরের উপর আসে এবং তাতে স্বর্ণ ঢেলে দেন, এমনকি তা পরিপূর্ণ হয়ে যায়। আরেকটি মেঘ যবের গোলাঘরের আসে এবং তাতে রুপা ঢেলে দেন, এমনকি তা পরিপূর্ণ হয়ে যায়।”[1]
ذِكْرُ الْخَبَرِ الدَّالِّ عَلَى مَنِ امتُحن بِمِحْنَةٍ في الدنيا فتلقَّاها بِالصَّبِرِ وَالشُّكْرِ يُرجى لَهُ زَوَالُهَا عَنْهُ فِي الدُّنْيَا مَعَ مَا يُدَّخَرُ لَهُ مِنَ الثَّوَابِ في العقبى
2887 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْحَسَنِ بْنِ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ أَخْبَرَنَا نَافِعُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ عَقِيلٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ أَنَّ رَسُولَ الله صلى الله عليه وسلم قال: (إن أيوب نبي الله لَبِثَ فِي بَلَائِهِ ثَمَانَ عَشْرَةَ سَنَةً , فرَفَضَهُ الْقَرِيبُ وَالْبَعِيدُ إِلَّا رَجُلَيْنِ مِنْ إِخْوَانِهِ ـ كَانَا مِنْ أَخَصِّ إِخْوَانِهِ ـ كَانَا يَغْدُوَانِ إِلَيْهِ وَيَرُوحَانِ فَقَالَ أَحَدُهُمَا لِصَاحِبِهِ: تَعْلَمُ ـ وَاللَّهِ ـ لَقَدْ أَذْنَبَ أَيُّوبُ ذَنْبًا مَا أَذْنَبَهُ أَحَدٌ مِنَ الْعَالَمِينَ قَالَ لَهُ صَاحِبُهُ: وَمَا ذَاكَ؟ قَالَ: مُنْذُ ثَمَانَ عَشْرَةَ سَنَةً لَمْ يَرْحَمْهُ اللَّهُ فَيَكْشِفُ مَا بِهِ فَلَمَّا رَاحَ إِلَيْهِ لَمْ يَصْبِرِ الرَّجُلُ حَتَّى ذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ أَيُّوبُ: لَا أَدْرِي مَا تَقُولُ غَيْرَ أَنَّ اللَّهَ يَعْلَمُ أَنِّي كُنْتُ أَمُرُّ عَلَى الرَّجُلَيْنِ يَتَنَازَعَانِ فَيَذْكُرَانِ اللَّهَ فَأَرْجِعُ إِلَى بَيْتِي فأُكَفِّرَ عَنْهُمَا كَرَاهِيَةَ أَنْ يُذْكَرَ اللَّهُ إِلَّا فِي حَقٍّ قَالَ: وَكَانَ يَخْرُجُ إِلَى حَاجَتِهِ فَإِذَا قَضَى حَاجَتَهُ أَمْسَكَتِ امْرَأَتُهُ بِيَدِهِ فَلَمَّا كَانَ ذَاتَ يَوْمٍ أَبْطَأَ عَلَيْهَا فَأَوْحَى اللَّهُ إِلَى أَيُّوبَ فِي مَكَانِهِ {ارْكُضْ بِرِجْلِكَ هَذَا مُغْتَسَلٌ بَارِدٌ وَشَرَابٌ} فاستَبْطأْتْهُ فَبَلَغَتْهُ فَأَقْبَلَ عَلَيْهَا قَدْ أَذْهِبِ اللَّهُ مَا بِهِ مِنَ الْبَلَاءِ ـ فَهُوَ أَحْسَنُ مَا كَانَ ـ فَلَمَّا رَأَتْهُ قَالَتْ: أَيْ ـ بَارِكَ اللَّهُ فِيكَ ـ هَلْ رَأَيْتَ نَبِيَّ اللَّهِ ـ هَذَا الْمُبْتَلَى ـ وَاللَّهِ ـ عَلَى ذَلِكَ ـ مَا رَأَيْتُ أَحَدًا كَانَ أَشْبَهَ بِهِ مِنْكَ إِذْ كَانَ صَحِيحًا قَالَ: فَإِنِّي أَنَا هُوَ وَكَانَ لَهُ أندَرانِ: أَنْدَرِ الْقَمْحِ وَأَنْدَرُ الشَّعِيرِ فَبَعَثَ اللَّهُ سَحَابَتَيْنِ فَلَمَّا كَانَتْ إِحْدَاهُمَا عَلَى أَنْدَرِ الْقَمْحِ أَفْرَغَتْ فِيهِ الذَّهَبَ حَتَّى فَاضَتْ وَأَفْرَغَتِ الْأُخْرَى على أندر الشعير الوَرِقَ حتى فاضت) الراوي : أَنَس بْن مَالِكٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 2887 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((الصحيحة)) (17).