লগইন করুন
পরিচ্ছেদঃ মুসলিম ব্যক্তির কিছু কিছু অবস্থায় অসুস্থ হওয়া ভালো মর্মে বর্ণনা
২৯০৫. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “এক বেদুঈন ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে প্রবেশ করলে, তিনি তাকে জিজ্ঞেস করেন, “তোমার কী কখন উম্মু মিলদাম (জ্বর) হয়েছে?” সে ব্যক্তি বললো, “উম্মু মিলদাম (জ্বর) কী?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “এটা হলো একটা উত্তাপ, যা মানুষের চামড়া ও গোশতের মাঝে হয়ে থাকে।” তিনি আবারো জিজ্ঞেস করেন, “তোমার কি কখনো মাথা ব্যথা হয়েছে?” সে ব্যক্তি বললো, “মাথা ব্যথা কী?” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “এটা হলো শিরা মানুষের মাথায় আঘাত করে।”
রাবী বলেন, “তারপর লোকটি যখন চলে যায়, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি কোন জাহান্নামী ব্যক্তিকে দেখতে চায়, সে যেন এই ব্যক্তিকে দেখে!”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বক্তব্য “যে ব্যক্তি কোন জাহান্নামী ব্যক্তিকে দেখতে চায়, সে যেন এই ব্যক্তিকে দেখে” এটি হলো কোন কিছু সম্পর্কে বর্ণনামূলক বাক্য, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো ঐ জিনিসের প্রতি নির্ভর করা এবং তার বিপরীত জিনিসের প্রতি কম ধৈর্য ধারণ করার ব্যাপারে নিষেধ করা। এর কারণ হলো এই দুনিয়াতে অসুখ-বিসুখ, উদ্বেগ-উৎকন্ঠা ও দুঃখ-কষ্টকে মুসলিমদের পাপ মোচনের উপকরণ নির্ধারণ করেছেন। কাজেই নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উম্মতকে জানিয়ে দিয়েছেন যে, মানুষ দিবা-রাতে আল্লাহর নিষিদ্ধ বিষয় থেকে প্রায় বিরত থাকতেই পারে না আর এর মাধ্যমে তার উপর জাহান্নাম অবধারিত হয়ে যেতো, যদি আল্লাহ অনুগ্রহ করে ক্ষমা না করতেন। কাজেই প্রতিটি মানুষ তার দুই হাতের আমলের জন্য দায়বদ্ধ। আর অসুখ-বিসুখ এসবের কিছু পাপকে দুনিয়াতে মোচন করে দেয়। হাদীসের উদ্দেশ্য হলো এটা নয় যে, যাকে দুনিয়াতে সুস্থতা দেওয়া হবে, সে জাহান্নামী হবে।”
ذِكْرُ الْإِخْبَارِ عَمَّا يُسْتَحَبُّ لِلْمُسْلِمِ أَنْ تَعْتَرِيَهُ الْعِلَلُ فِي بَعْضِ الْأَحْوَالِ
2905 - أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ مُوسَى بْنِ مُجَاشِعٍ حَدَّثَنَا هَنَّادُ بْنُ السَّرِيِّ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: دَخَلَ أَعْرَابِيٌّ عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (أَخَذَتْكَ أمُّ مِلْدَمٍ؟ ) قَالَ: وَمَا أمُّ مِلْدَمٍ؟ قَالَ: (حَرٌّ يَكُونُ بَيْنَ الْجِلْدِ وَاللَّحْمِ) قَالَ: وَمَا وَجَدْتُ هَذَا قَطُّ قَالَ: (فَهَلْ وَجَدْتَ هَذَا الصُّدَاعَ؟ ) قَالَ: وَمَا الصُّدَاعُ قَالَ: (عِرْقٌ يَضْرِبُ عَلَى الْإِنْسَانِ فِي رَأْسِهِ) قَالَ: وَمَا وَجَدْتَ هَذَا قَطُّ فَلَمَّا وَلَّى قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ من أهل النار فلينظر إلى هذا). الراوي : أَبُو هُرَيْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 2905 | خلاصة حكم المحدث: حسن صحيح. قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (مَنْ أَحَبَّ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى رَجُلٍ مِنْ أَهْلِ النَّارِ فَلْيَنْظُرْ إِلَى هَذَا) لَفْظَةُ إِخْبَارٍ عَنْ شَيْءٍ مُرَادُهَا الزَّجْرُ عَنِ الرُّكُونِ إِلَى ذَلِكَ الشَّيْءِ وَقِلَّةِ الصَّبْرِ عَلَى ضِدِّهِ وَذَلِكَ أَنَّ اللَّهَ ـ جَلَّ وَعَلَا ـ جَعَلَ الْعِلَلَ ـ فِي هَذِهِ الدُّنْيَا ـ وَالْغُمُومِ وَالْأَحْزَانِ سَبَبَ تَكْفِيرِ الْخَطَايَا عَنِ الْمُسْلِمِينَ فَأَرَادَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِعْلَامَ أُمَّتِهِ أَنَّ الْمَرْءَ لَا يَكَادُ يَتَعَرَّى عَنْ مُقَارَفَةِ مَا نَهَى اللَّهُ عَنْهُ فِي أَيَّامِهِ وَلَيَالِيهِ وَإِيجَابِ النَّارِ لَهُ بِذَلِكَ إِنْ لَمْ يُتَفَضَّلَ عَلَيْهِ بِالْعَفْوِ فَكَأَنَّ كُلَّ إِنْسَانٍ مُرْتَهَنٌ بِمَا كَسَبَتْ يَدَاهُ وَالْعِلَلُ تُكَفَّرُ بَعْضُهَا عَنْهُ فِي هَذِهِ الدُّنْيَا لَا أَنَّ مَنْ عُوفِيَ فِي هَذِهِ الدُّنْيَا يَكُونُ مِنْ أهل النار.