২৯৪২

পরিচ্ছেদঃ কোন শহরে মহামারীর সুত্রপাত হলে, সেখানে প্রবেশ করা অথবা সেখান থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা

২৯৪২. আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “একবার উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু শামের উদ্দেশ্যে বের হন। তিনি যখন সারগ নামক জায়গায় পৌঁছেন, তখন মুসলিম সেনাপতি আবূ উবাইদাহ ও তার অনুচরগণ তাঁর সাথে সাক্ষাত করেন। তারা তাকে জানান যে, শামে মহামারী শুরু হয়েছে। ”

আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন, তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তোমরা আমার কাছে প্রথম হিজরতকারী সাহাবীদের ডাকো।” অতঃপর আমি তাদেরকে ডাকি। তিনি তাদের সাথে পরামর্শ করেন। তিনি তাদেরকে জানালেন যে, শামে মহামারী শুরু হয়েছে। অতঃপর তারা মতভেদ করলো। তাদের কেউ কেউ বললো, “আপনি একটি উদ্দেশ্যে এখানে এসেছেন। কাজেই আমরা মনে করি, তা পূরণ না করে ফিরে যাওয়া সঙ্গত হবে না।” আবার কেউ কেউ বললো, “আপনার সাথে অবশিষ্ট মুসলিম ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী রয়েছেন। কাজেই আমরা মনে করি, তাদের এমন মহামারীতে নিয়ে যাওয়াটা সঙ্গত হবে না।”

তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তোমরা আমার কাছ থেকে চলে যাও।” তারপর তিনি বলেন, “কুরাইশের প্রবীন ব্যক্তিবর্গ, যারা মক্কা বিজয়ের সময়ে হিজরত করেছিল, তাদের যারা এখানে আছেন, তাদেরকে আমার কাছে ডেকে আনো।” অতঃপর আমি তাদেরকে ডাকি। তারা বললেন, “আমরা মনে করি যে, আপনি লোকদের নিয়ে ফিরে যাবেন এবং তাদেরকে এই মহামারীর মধ্যে নিয়ে যাবেন না।” তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু লোকদের মাঝে ঘোষনা করলেন, “আমরা সকালে প্রস্থান করছি। কাজেই তোমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করো।” তখন উবাইদাহ ইবনুল জার্রাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “আপনি কি আল্লাহর ভাগ্যলিপি থেকে পলায়ন করছেন?” তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “হে আবূ উবাইদাহ, যদি আপনি ছাড়া অন্য কেউ এই কথাটা বলতো (আপনার জন্য তো্ এই কথা মানায় না)! উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তার বিরুদ্ধাচারণ অপছন্দ করতেন।  তিনি বলেন, “আমরা আল্লাহর এক ফায়সালা থেকে আরেক ফায়সালার দিকে যাচ্ছি। আপনার কী অভিমত, যদি আপনার একপাল উট থাকে, অতঃপর সেগুলো এমন উপত্যকায় নিয়ে যান, যার দুটো প্রান্ত রয়েছে। এক প্রান্ত সবুজ-শ্যামল, উর্বর আরেক প্রান্ত শুষ্ক, অনুর্বর। তবে আপনি যদি আপনার পশুকে সবুজ-শ্যামল, উর্বর ভুমিতে চারণ করেন, তবে কি আপনি আল্লাহর ফায়সালা অনুযায়ী পশু চারণ করলেন না? আর যদি আপনি শুষ্ক, অনুর্বর ভুমিতে পশু চারণ করেন, তবে কি আপনি আল্লাহর ফায়সালা অনুযায়ী পশু চারণ করলেন না?” জবাবে তিনি বলেন, “জ্বী,হ্যাঁ।”

রাবী বলেন, “তারপর আব্দুর রহমান বিন আওফ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আসেন। তিনি কোন এক প্রয়োজেন অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে আমার কাছে ইলম রয়েছে। আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, “যখন তোমরা কোন জায়গায় মহামারী শুরু হওয়ার কথা শুনবে, তখন তোমরা সেখানে গমন করবে না। আর যখন কোন জায়গায় মহামারী শুরু হওয়ার কথা শুনবে, আর তোমরা সেখানে অবস্থান করো, তবে তোমরা তা থেকে বাঁচার জন্য সেখান থেকে বের হয়ে যাবে না।” তখন উমার বিন খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আল্লাহর প্রশংসা করেন। তারপর তিনি চলে আসেন।”[1]

ذِكْرُ الزَّجْرِ عَنِ الْقُدُومِ عَلَى الْبَلَدِ الَّذِي وَقَعَ فِيهِ الطَّاعُونُ وَالْخُرُوجِ مِنْهُ مِنْ أَجْلِهِ

2942 - أَخْبَرَنَا عُمَرُ بْنُ سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ قَالَ: أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ مَالِكٍ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَبْدِ الْحَمِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ زَيْدِ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ نَوْفَلٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ خَرَجَ إِلَى الشَّامِ حَتَّى إِذَا كَانَ بسَرْغَ لَقِيَهُ أُمَرَاءُ الْأَجْنَادِ ـ أَبُو عُبَيْدَةُ بْنُ الْجَرَّاحِ وَأَصْحَابُهُ ـ فَأَخْبَرُوهُ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: فَقَالَ عُمَرُ: ادْعُ لِيَ الْمُهَاجِرِينَ الْأَوْلِينَ فدَعَوْتُهُمْ فَاسْتَشَارَهُمْ وَأَخْبَرَهُمْ أَنَّ الْوَبَاءَ قَدْ وَقَعَ بِالشَّامِ فَاخْتَلَفُوا فَقَالَ بَعْضُهُمْ: خَرَجْتَ لِأَمْرٍ فَلَا نَرَى أَنْ تَرْجِعَ عَنْهُ وَقَالَ بَعْضُهُمْ: مَعَكَ بَقِيَّةُ النَّاسِ وَأَصْحَابُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَلَا نَرَى أَنْ تُقْدِمَهُم عَلَى هَذَا الْوَبَاءِ فَقَالَ: ارْتَفِعُوا عَنِّي ثُمَّ قَالَ: ادْعُ لِيَ الْأَنْصَارَ فَدَعَوْتُهُمْ فَاسْتَشَارَهُمْ فَسَلَكُوا سَبِيلَ الْمُهَاجِرِينَ وَاخْتَلَفُوا كَاخْتِلَافِهِمْ فقال: ارتفعوا عني ثم قال: ادع لي من كان ـ ها هنا ـ مِنْ مَشْيَخَةِ قُرَيْشٍ مِنْ مُهَاجِرَةِ الْفَتْحِ فَدَعَوْتُهُمْ فَلَمْ يَخْتَلِفْ عَلَيْهِ رَجُلَانِ وَقَالُوا: نَرَى أَنْ تَرْجِعَ بِالنَّاسِ وَلَا تُقْدِمهم عَلَى هَذَا الْوَبَاءِ فَنَادَى عُمَرُ فِي النَّاسِ: إِنِّي مُصْبحٌ عَلَى ظَهْرٍ فَأَصْبِحُوا عَلَيْهِ فَقَالَ أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ: أَفِرَارًا مِنْ قَدْرِ اللَّهِ؟ فَقَالَ عُمَرُ: لَوْ غَيْرُكَ قَالَهَا يَا أَبَا عُبَيْدَةَ - وَكَانَ عُمَرُ يَكْرَهُ خِلافَهُ - نَفِرُّ مِنْ قَدَرِ اللَّهِ إِلَى قَدَرِ اللَّهِ أَرَأَيْتَ لَوْ كَانَ لَكَ إِبِلٌ فَهَبَطْتَ وَادِيًا لَهُ عُدْوَتَان إِحْدَاهُمَا خِصِبَةٌ وَالْأُخْرَى جَدْبَةٌ أَلَيْسَ إِنْ رَعَيْتَ الْخِصْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ وَإِنْ رَعَيْتَ الْجَدْبَةَ رَعَيْتَهَا بِقَدَرِ اللَّهِ؟ قَالَ: نَعَمْ قَالَ: فَجَاءَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ ـ وَكَانَ مُتَغَيِّباً فِي بَعْضِ حَاجَتِهِ ـ فَقَالَ: إِنَّ عِنْدِي مِنْ هَذَا عِلْمًا سَمِعْتُ رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: (إِذَا سَمِعْتُمْ بِهِ بِأَرْضٍ فَلَا تَقْدُمُوا عَلَيْهِ وَإِذَا وَقَعَ بأرضٍ وَأَنْتُمْ بِهَا فَلَا تَخْرُجُوا فِرَارًا مِنْهُ) قَالَ: فَحَمِدَ اللَّهَ عُمَرُ بْنُ الخطاب ثم انصرف. الراوي : ابْن عَبَّاسٍ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان الصفحة أو الرقم: 2942 | خلاصة حكم المحدث: صحيح ـ ((صحيح أبي داود)) (2717).