নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ২০৫ টি

পরিচ্ছেদঃ সুন্নাহ পালনের গুরুত্ব ও তার কিছু আদব প্রসঙ্গে

(১৪৮৯) নু’মান বিন বাশীর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তোমরা তোমাদের (নামাযের) কাতার অবশ্যই সোজা কর, নতুবা আল্লাহ তোমাদের চেহারা পরিবর্তন ক’রে দেবেন। (অথবা তোমাদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে দেবেন।) (বুখারী ৭১৭, মুসলিম ১০০৬)

মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কাতারসমূহ এমনভাবে সোজা করতেন, যেন তিনি তার দ্বারা তীর সোজা করছেন। যতক্ষণ না তিনি অনুভব করতেন যে, আমরা তাঁর নিকট থেকে এর গুরুত্ব বুঝে নিয়েছি। অতঃপর একদিন তিনি (নামায পড়ার জন্য) বের হয়ে তিনি (ইমামের জায়গায়) দাঁড়ালেন। এমনকি তিনি তকবীর বলে নামায শুরু করতে যাচ্ছেন, এমতাবস্থায় তিনি একটি লোককে দেখলেন যে, সে তার বুক কাতার থেকে বের করে রেখেছে। সুতরাং তিনি বললেন, হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা অবশ্যই তোমাদের কাতারসমূহ সোজা করবে, নচেৎ তিনি তোমাদের চেহারা পরিবর্তন করে দেবেন। (অথবা তোমাদের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করে দেবেন।) (মুসলিম ১০০৭)

عَنْ أَبِي عَبدِ الله النُّعمَانِ بنِ بَشِير رَضِيَ اللهُ عَنْهُما قَالَ : سَمِعتُ رَسُولَ الله ﷺ يقول لَتُسَوُّنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ متفقٌ عليه
وَفِيْ رِوَايَةٍ لمسلم : كَانَ رَسُول الله ﷺ يُسَوِّي صُفُوفَنَا حَتَّى كأنَّما يُسَوِّي بِهَا القِدَاحَ حَتَّى إِذَا رَأَى أَنَّا قَدْ عَقَلْنَا عَنْهُ ثُمَّ خَرَجَ يَوماً فقامَ حَتَّى كَادَ أنْ يُكَبِّرَ فرأَى رَجلاً بَادياً صَدْرُهُ فَقَالَ عِبَادَ الله لَتُسَوُّنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ভাল কাজের আদেশ ও মন্দ কাজে নিষেধ করার গুরুত্ব

(১৫৯৭) নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহর নির্ধারিত সীমায় অবস্থানকারী (সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে বাধাদানকারী) এবং ঐ সীমা লংঘনকারী (উক্ত কাজে তোষামোদকারীর) উপমা হল এক সম্প্রদায়ের মত; যারা একটি দ্বিতলবিশিষ্ট পানি-জাহাজে লটারি ক’রে কিছু লোক উপর তলায় এবং কিছু লোক নিচের তলায় স্থান নিল। (নিচের তলা সাধারণতঃ পানির ভিতরে ডুবে থাকে। তাই পানির প্রয়োজন হলে নিচের তলার লোকদেরকে উপর তলায় যেতে হয় এবং সেখান হতে সমুদ্র বা নদীর পানি তুলে আনতে হয়।) সুতরাং পানির প্রয়োজনে নিচের তলার লোকেরা উপর তলায় যেতে লাগল। (উপর তলার লোকদের উপর পানি পড়লে তারা তাদের উপর ভাগে আসা অপছন্দ করল। তারা বলেই দিল, ’তোমরা নিচে থেকে আমাদেরকে কষ্ট দিতে এসো না।’)

নিচের তলার লোকেরা বলল, ’আমরা যদি আমাদের ভাগে (নিচের তলায় কোন স্থানে) ছিদ্র করে দিই, তাহলে (দিব্যি আমরা পানি ব্যবহার করতে পারব) আর উপর তলার লোকদেরকে কষ্টও দেব না। (এই পরিকল্পনার পর তারা যখন ছিদ্র করতে শুরু করল) তখন যদি উপর তলার লোকেরা তাদেরকে নিজ ইচ্ছার উপর ছেড়ে দেয় (এবং সে কাজে বাধা না দেয়), তাহলে সকলেই (পানিতে ডুবে) ধ্বংস হয়ে যায়। (উপর তলার লোকেরা সে অন্যায় না করলেও রেহাই পেয়ে যাবে না।) পক্ষান্তরে উপর তলার লোকেরা যদি তাদের হাত ধরে (জাহাজে ছিদ্র করতে) বাধা দেয়, তাহলে তারা নিজেরাও বেঁচে যায় এবং সকলকেই বাঁচিয়ে নেয়।

عَنِ النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَثَلُ القَائِمِ في حُدُودِ اللهِ وَالوَاقعِ فِيهَا، كَمَثَلِ قَومٍ اسْتَهَمُوا عَلَى سَفِينَةٍ فَصَارَ بَعْضُهُمْ أعْلاها وَبَعْضُهُمْ أَسْفَلَهَا، وَكَانَ الَّذِينَ في أَسْفَلِهَا إِذَا اسْتَقَوا مِنَ المَاءِ مَرُّوا عَلَى مَنْ فَوْقهُمْ فَقَالُوا: لَوْ أنَّا خَرَقْنَا في نَصِيبِنَا خَرْقاً وَلَمْ نُؤذِ مَنْ فَوقَنَا، فَإِنْ تَرَكُوهُمْ وَمَا أرَادُوا هَلَكُوا جَمِيعاً، وَإنْ أخَذُوا عَلَى أيدِيهِمْ نَجَوا وَنَجَوْا جَمِيعاً رواه البخاري


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম

(১৮৪৪) নু’মান বিন বাশীর (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবায় বলেছেন, জামাআত (ঐক্য) হল রহমত এবং বিচ্ছিন্নতা হল আযাব।

عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ أَنّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ فَقَالَ الْجَمَاعَةُ رَحْمَةٌ وَالْفُرْقَةُ عَذَابٌ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ হারাম বস্তুর ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন এবং সন্দিহান বস্তু পরিহার করার গুরুত্ব

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَتَـحْسَبُوْنَهُ هَيِّنًا وَهُوَ عِنْدَ اللهِ عَظِيْمٌ

অর্থাৎ, তোমরা একে তুচ্ছ গণ্য করেছিলে; যদিও আল্লাহর দৃষ্টিতে এ ছিল গুরুত্বর বিষয় (সূরা নূর ১৫)

তিনি আরো বলেন,

إِنَّ رَبَّكَ لَبِالْمِرْصَادِ

অর্থাৎ, নিশ্চয় তোমার প্রতিপালক সময়ের প্রতীক্ষায় থেকে সতর্ক দৃষ্টি রাখেন। (সূরা ফাজর ১৪)


(২৪১৪) নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, অবশ্যই হালাল বিবৃত ও স্পষ্ট এবং হারাম বিবৃত ও স্পষ্ট, আর উভয়ের মাঝে রয়েছে বহু সন্দিহান বস্তু; যা অনেক লোকেই জানে না। অতএব যে ব্যক্তি এই সন্দিহান বস্তুসমূহ হতে দূরে থাকবে, সে তার দ্বীন ও ইজ্জতকে বাঁচিয়ে নেবে এবং যে ব্যক্তি সন্দিহানে পতিত হবে (সন্দিগ্ধ বস্তু ভক্ষণ করবে), সে হারামে পতিত হবে। (এর উদাহরণ সেই) রাখালের মত, যে নিষিদ্ধ চারণভূমির আশেপাশে পশু চরায়, তার পক্ষে নিষিদ্ধ সীমানায় পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শোন! প্রত্যেক বাদশাহরই সংরক্ষেত চারণভূমি থাকে। আর শোন! আল্লাহর সংরক্ষেত চারণভূমি হল তাঁর হারামকৃত বস্তুসমূহ। শোন! দেহের মধ্যে একটি মাংসপি- রয়েছে; যখন তা সুস্থ থাকে, তখন গোটা দেহটাই সুস্থ হয়ে থাকে। আর যখন তা খারাপ হয়ে যায়, তখন গোটা দেহটাই খারাপ হয়ে যায়। শোন! তা হল হৃৎপি- (অন্তর)।

وَعَنِ النُّعمَانِ بنِ بَشِيْرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا قَالَ : سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ إنَّ الْـحَلاَلَ بَيِّنٌ وَإنَّ الْـحَرامَ بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبَهَاتٌ لاَ يَعْلَمُهُنَّ كَثيرٌ مِنَ النَّاسِ فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِدِينهِ وَعِرْضِهِ وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ في الحَرَامِ كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الحِمَى يُوشِكُ أنْ يَرْتَعَ فِيهِ ألاَ وَإنَّ لكُلّ مَلِكٍ حِمَىً ألاَ وَإنَّ حِمَى اللهِ مَحَارِمُهُ ألاَ وَإنَّ فِي الجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَت صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ ألاَ وَهِيَ القَلْبُ متفقٌ عَلَيْهِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর অর্থনৈতিক জীবন

(২৮০২) নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ) বলেন, উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) (পূর্বেকার তুলনায় বর্তমানে) লোকেরা যে দুনিয়ার (ধন-সম্পদ) অধিক জমা ক’রে ফেলেছে, সে কথা উল্লেখ ক’রে বললেন, ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি, তিনি সারা দিন ক্ষুধায় থাকার ফলে পেটের উপর ঝুঁকে থাকতেন (যেন ক্ষুধার জ্বালা কম অনুভব হয়)। তিনি পেট ভরার জন্য নিকৃষ্ট মানের খুরমাও পেতেন না।’

عَنِ النُّعْمَان قَالَ ذَكَرَ عُمَرُ مَا أَصَابَ النَّاسُ مِنَ الدُّنْيَا فَقَالَ لَقَدْ رَأَيْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَظَلُّ الْيَوْمَ يَلْتَوِى مَا يَجِدُ دَقَلاً يَمْلأُ بِهِ بَطْنَهُ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মুসলিমদের মান-মর্যাদার প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদর্শন ও তাদের অধিকার-রক্ষা এবং তাদের প্রতি দয়া-দাক্ষিণ্যের গুরুত্ব

(৩০১১) নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মু’মিনদের আপোসের মধ্যে একে অপরের প্রতি সম্প্রীতি, দয়া ও মায়া-মমতার উদাহরণ (একটি) দেহের মতো। যখন দেহের কোন অঙ্গ পীড়িত হয়, তখন তার জন্য সারা দেহ অনিদ্রা ও জ্বরে আক্রান্ত হয়।

وَعنْ النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ الله عَنهُمَا قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ الله ﷺ مَثَلُ المُؤْمِنينَ في تَوَادِّهِمْ وتَرَاحُمِهمْ وَتَعَاطُفِهمْ مَثَلُ الجَسَدِ إِذَا اشْتَكَى مِنْهُ عُضْوٌ تَدَاعَى لَهُ سَائِرُ الجَسَدِ بِالسَّهَرِ والحُمَّى مُتَّفَقٌ عَلَيهِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ উপহার ও দান দেওয়ার ক্ষেত্রে পিতার এক সন্তানকে অন্য সন্তানের উপর প্রাধান্য দেওয়া মাকরূহ

(৩৪৩৭) নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তাঁর পিতা তাঁকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে হাজির হয়ে বললেন, ’আমি আমার এই ছেলেকে একটি গোলাম দান করেছি। (কিন্তু এর মা আপনাকে সাক্ষী রাখতে বলে।)’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার সব ছেলেকেই কি তুমি এরূপ দান করেছ?’’ তিনি বললেন, ’না।’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’তাহলে তুমি তা ফেরৎ নাও।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, তোমার সব ছেলের সঙ্গেই এরূপ ব্যবহার দেখিয়েছ? তিনি বললেন, ’না।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমাদের সন্তানদের মাঝে ইনসাফ প্রতিষ্ঠা কর। সুতরাং আমার পিতা ফিরে এলেন এবং ঐ সাদকাহ (দান) ফিরিয়ে নিলেন।

আর এক বর্ণনায় আছে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে বাশীর! তোমার কি এ ছাড়া অন্য সন্তান আছে?’’ তিনি বললেন, ’জী হ্যাঁ।’ (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ’’তাদের সকলকে কি এর মত দান দিয়েছ?’’ তিনি বললেন, ’জী না।’ (রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ’’তাহলে এ ব্যাপারে আমাকে সাক্ষী মেনো না। কারণ আমি অন্যায় কাজে সাক্ষ্য দেব না।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, আমাকে অন্যায় কাজে সাক্ষী মেনো না।

অন্য এক বর্ণনায় আছে, এ ব্যাপারে তুমি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে সাক্ষী মানো। অতঃপর তিনি বললেন, ’’তুমি কি এ কথায় খুশী হবে যে, তারা তোমার সেবায় সমান হোক?’’ বাশীর বললেন, ’জী অবশ্যই।’ তিনি বললেন, ’’তাহলে এরূপ করো না।

عَنِ النُّعمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا : أَنَّ أبَاهُ أتَى بِهِ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ فَقَالَ : إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي هَذَا غُلاَماً كَانَ لِي فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَكُلَّ وَلَدِكَ نَحَلْتَهُ مِثْلَ هَذَا ؟ فَقَالَ : لاَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَأَرْجِعهُ
وَفي رِوَايةٍ: فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ أَفَعَلْتَ هذَا بِوَلَدِكَ كُلِّهِمْ ؟ قَالَ : لاَ قَالَ اِتَّقُوا الله وَاعْدِلُوا فِي أَوْلاَدِكُمْ فَرَجَعَ أَبِي فَرَدَّ تِلْكَ الصَّدَقَةَ
وفي روايةٍ : فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ يَا بَشيرُ أَلَكَ وَلَدٌ سِوَى هَذَا ؟ فَقَالَ : نَعَمْ قَالَ أكُلَّهُمْ وَهَبْتَ لَهُ مِثْلَ هذَا ؟ قَالَ : لاَ قَالَ فَلاَ تُشْهِدْنِي إِذاً فَإِنِّي لاَ أَشْهَدُ عَلَى جَوْرٍ
وفي روايةٍ لاَ تُشْهِدْنِي عَلَى جَوْرٍ
وفي رواية أَشْهِدْ عَلَى هذَا غَيْرِي ثُمَّ قَالَ أَيَسُرُّكَ أَنْ يَكُونُوا إِلَيْكَ فِي البِرِّ سَواءً؟ قَالَ : بَلَى قَالَ فَلا إِذاً متفق عليه


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দু‘আর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য এবং নবী (ﷺ) এর কতিপয় দু‘আর নমুনা

আল্লাহ তাআলা বলেছেন,

وقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُوْنِـيْ أَسْتَجِبْ لَكُمْ

অর্থাৎ, তোমাদের প্রতিপালক বলেন, তোমরা আমাকে ডাক আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। (সূরা গাফের ৬০)

তিনি বলেন,

اُدْعُوْا رَبَّكُمْ تَضَرُّعاً وَخُفْيَةً إِنَّهُ لَا يُحِبُّ الْمُعْتَدِيْنَ

অর্থাৎ, তোমরা কাকুতি-মিনতি সহকারে ও সংগোপনে তোমাদের প্রতিপালককে ডাক, নিশ্চয় তিনি সীমালংঘনকারীদেরকে পছন্দ করেন না। (সূরা আ’রাফ ৫৫ অয়াত)

তিনি আরো বলেন,

وَإذَا سَألَكَ عِبَادِيْ عَنِّـيْ فَإِنِّـيْ قَريْبٌ أُجِيْبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ

অর্থাৎ, আর আমার দাসগণ যখন আমার সম্বন্ধে তোমাকে জিজ্ঞাসা করে, তখন তুমি বল, আমি তো কাছেই আছি। যখন কোন প্রার্থনাকারী আমাকে ডাকে, আমি তার ডাকে সাড়া দিই। (সূরা বাক্বারাহ১৮৬)

তিনি অন্যত্র বলেছেন,

أَمَّـنْ يُـجِيْبُ الْمُضْطَرَّ إِذَا دَعَاهُ وَيَكْشِفُ السُّوْءَ

অর্থাৎ, অথবা (উপাস্য) তিনি, যিনি আর্তের আহবানে সাড়া দেন যখন সে তাঁকে ডাকে এবং বিপদণ্ডআপদ দূরীভূত করেন। (সূরা নামল ৬২)


(৩৬৩৯) নুমান বিন বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দু’আই তো ইবাদত।

وَعَنْ النُّعْمَانِ بنِ بَشِيرٍ رَضِيَ الله عَنهُمَا عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ الدُّعَاءُ هُوَ العِبَادَةُ رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حسن صحيح


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ গৃহ সম্পর্কিত কতিপয় যিকর

(৩৭৩৪) নু’মান বিন বাশীর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আল্লাহ তাআলা আকাশমণ্ডলী ও ধরণী সৃষ্টির দুই সহস্রবৎসর পূর্বে এক গ্রন্থ (লওহে মাহফুয) লিপিবদ্ধ করেন, যা আরশের নিকট অবস্থিত। তিনি ঐ (গ্রন্থ) হতে দুটি আয়াত অবতীর্ণ করেন, যার দ্বারায় সূরা বাক্বারার সমাপ্তি করেন। যে গৃহে ঐ আয়াত দুটি তিন দিন পঠিত হবে, শয়তান সে গৃহের নিকটবর্তী হবে না। (আহমাদ ১৮৪১৪, তিরমিযী ২৮৮২, হাকেম ২০৬৫, ত্বাবারানী ৭০০০)

অন্য এক বর্ণনায় আছে, সূরা বাক্বারাহ কোন বাড়িতে পাঠ করা হলে তিন দিন পর্যন্ত শয়তান সে বাড়ির নিকটবর্তী হয় না। (সহীহ তারগীব ১৪৬৭)

عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّ اللهَ كَتَبَ كِتَابًا قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ بِأَلْفَيْ عَامٍ فَأَنْزَلَ مِنْهُ آيَتَيْنِ فَخَتَمَ بِهِمَا سُوْرَةَ الْبَقَرَةِ وَلَا تُقْرَأَانِ فِي دَارٍ ثَلَاثَ لَيَالٍ فَيَقْرَبَهَا الشَّيْطَانُ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১২. জুমু’আর সালাত - জুমু’আর সালাতে কোন সূরা পড়তে হয়

৪৫৮. মুসলিমে নুমান বিন বাশীর (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীসে আছে—দু’ ঈদের সালাতে ও জুমু’আহর সালাতে ’সাব্বি হিসমা রাব্বিকাল আ’লা’ ও ’হাল আতাকা হাদিসুল গাশিয়্যাহ’ সূরা দু’টি তিলাওয়াত করতেন।[1]

وَلَهُ: عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ: كَانَ يَقْرَأُ فِي الْعِيدَيْنِ وَفِي الْجُمُعَةِ: بِـ «سَبِّحِ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى»، وَ هَلْ أَتَاكَ حَدِيثُ الْغَاشِيَةِ

-

صحيح. رواه مسلم (878)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮. হিবা বা দান, উমরী বা আজীবন দান ও রুকবা দানের বিবরণ - দান করার ক্ষেত্রে সন্তানদের মধ্যে তারতম্য করা নিষেধ

৯২৮। নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তার পিতা তাকে নিয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এলেন এবং বললেন, আমি আমার এই পুত্রকে একটি গোলাম দান করেছি। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমার সব পুত্রকেই কি তুমি এরূপ দান করেছ। তিনি বললেন, না; তিনি বললেন, তবে তুমি তা ফিরিয়ে নাও।[1]

অন্য শব্দে এরূপ আছে- আমার পিতা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে হাজির হলেন যাতে করে তাঁকে এ ব্যাপারে সাক্ষী করে নিতে পারেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, তোমার প্রত্যেক ছেলের জন্য কি এরূপ দান করেছ? সাহাবী বললেন, না, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহকে ভয় কর, তোমার সন্তানদের মধ্যে সমভাবে বণ্টন কর। ফলে আমার পিতা [বাশীর রাঃ] বাড়ি ফিরে এলেন ও ঐ দান ফেরত নিলেন।[2]

মুসলিমের অন্য একটি বর্ণনায় আছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট হয়ে বললেন, তবে তুমি এর জন্য আমাকে ব্যতীত অন্যকে সাক্ষী করে রাখ। তারপর বললেন, তুমি কি পছন্দ কর যে, তোমার প্রতি তারা (পুত্ৰগণ) সমভাবে সদ্ব্যবহার করুক। সাহাবী বললেন, হাঁ, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তাহলে তুমি এরূপ করো না।[3]

عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - أَنَّ أَبَاهُ أَتَى بِهِ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ: إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي هَذَا غُلَامًا كَانَ لِي، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «أَكُلُّ وَلَدِكَ نَحَلْتَهُ مِثْلَ هَذَا؟». فَقَالَ: لَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: فَارْجِعْهُ

وَفِي لَفْظٍ: فَانْطَلَقَ أَبِي إِلَى النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - لِيُشْهِدَهُ عَلَى صَدَقَتِي. فَقَالَ: «أَفَعَلْتَ هَذَا بِوَلَدِكَ كُلِّهِمْ؟». قَالَ: لَا. قَالَ: «اتَّقُوا اللَّهَ, وَاعْدِلُوا بَيْنَ أَوْلَادِكُمْ». فَرَجَعَ أَبِي, فَرَدَّ تِلْكَ الصَّدَقَةَ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

وَفِي رِوَايَةٍ لِمُسْلِمٍ قَالَ: «فَأَشْهِدْ عَلَى هَذَا غَيْرِي» ثُمَّ قَالَ: «أَيَسُرُّكَ أَنْ يَكُونُوا لَكَ فِي الْبِرِّ سَوَاءً؟» قَالَ: بَلَى. قَالَ: فَلَا إِذًا

-

صحيح. وهذه الرواية للبخاري (2586)، ومسلم (1623) (9)

هذه الرواية للبخاري (2587)، ومسلم (1623) (13) والسياق لمسلم

مسلم برقم (1623) (17)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩. দুনিয়া বিমুখীতা ও পরহেযগারীতা

১৪৬৮। নুমান ইবনু বশীর (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি তাঁর দু’হাতের দু’আঙ্গুলকে তাঁর কানের দিকে ঝুকিয়ে (ইঙ্গিত করে) বলেন: আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ’হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট। আর এ দু’য়ের মাঝে রয়েছে বহু সন্দেহজনক বিষয়- যা অনেকেই জানে না। যে ব্যক্তি সেই সন্দেহজনক বিষয়সমূহ হতে বেঁচে থাকবে, সে তার দীন ও মর্যাদা রক্ষা করতে পারবে। আর যে সন্দেহজনক বিষয়সমূহে লিপ্ত হয়ে পড়ে, তার উদাহরণ সে রাখালের ন্যায়, যে তার পশু বাদশাহ সংরক্ষিত চারণভূমির আশেপাশে চরায়, অচিরেই সেগুলোর সেখানে ঢুকে পড়ার আশংকা রয়েছে। জেনে রাখা যে, প্রত্যেক বাদশাহরই একটি সংরক্ষিত এলাকা রয়েছে। আরো জেনে রাখ যে, আল্লাহর যমীনে তাঁর সংরক্ষিত এলাকা হলো তাঁর নিষিদ্ধ কাজসমূহ। জেনে রাখ, শরীরের মধ্যে একটি মাংসের টুকরো আছে, তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রাখ, সে মাংসের টুকরোটি হল অন্তর।[1]

عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا- قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يَقُولُ - وَأَهْوَى النُّعْمَانُ بِإِصْبَعَيْهِ إِلَى أُذُنَيْهِ: «إِنَّ الْحَلَالَ بَيِّنٌ, وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ, وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ, لَا يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ, فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ, فَقَدِ اسْتَبْرَأَ لِدِينِهِ وَعِرْضِهِ, وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ فِي الْحَرَامِ, كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى, يُوشِكُ أَنْ يَقَعَ فِيهِ, أَلَا وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى, أَلَا وَإِنَّ حِمَى اللَّهِ مَحَارِمُهُ, أَلَا وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً, إِذَا صَلَحَتْ, صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ, وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ, أَلَا وَهِيَ الْقَلْبُ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

-

صحيح. رواه البخاري (52)، ومسلم (1599)


An-Nu’man bin Bashir (RAA) narrated, I heard Allah‘s Messenger (ﷺ) saying, (Nu'man pointed with his two fingers to his ears) ‘Both lawful (Halal) and unlawful things (Haram) are evident but in between them there are doubtful things·and most people have no knowledge about them. So he, who saves himself from these doubtful things, saves his religion and his honor (i.e. keeps them blameless). And he who indulges in these doubtful things is like a shepherd who pastures (his animals) near the Hima (private pasture) of someone else and at any moment he is liable to get in it. (O people!) Beware! Every king has a Hima and the Hima of Allah on the earth is what He declared unlawful (Haram). Beware In the body there is a piece of flesh if it becomes sound and healthy, the whole body becomes sound and healthy but if it gets spoilt, the whole body gets spoilt and that is the heart.” Agreed upon.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬. আল্লাহ্‌র যিকর ও দু'আ

১৫৪৮। নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: দু’আ-ই ইবাদাত।[1]

وَعَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِنَّ الدُّعَاءَ هُوَ الْعِبَادَةُ». رَوَاهُ الْأَرْبَعَةُ, وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ

-

صحيح. رواه أبو داود (1479)، والنسائي في «الكبرى» (6/ 450) والترمذي (3247)، وابن ماجه (3828)، وزادوا ثم قرأ: «وقال ربكم ادعوني استجب لكم إن الذين يستكبرون عن عبادتي سيدخلون جهنم داخرين» غافر: 60، وقال الترمذي: هذا حديث حسن صحيح


An-Nu’man bin al-Bashir (RAA) narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said: “Verily supplication is worship.” Related by the four Imams and At-Tirmidhi graded it as Sahih.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. কেমন হেবা নাজায়েয

রেওয়ায়ত ৩৯. নুমান ইবন বশীর (রাঃ) বলেন, তাহার পিতা বশীর (রাঃ) তাহাকে একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট নিয়া গেলেন এবং বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি আমার এই ছেলেকে আমার একটি গোলাম হেবা করিয়াছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, তুমি কি তোমার প্রত্যেকটি ছেলেকেই এইরূপ হেবা করিয়াছ? তিনি বলিলেন, না। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিলেন, তাহা হইলে হেবা (দান) ফিরাইয়া নাও।

بَاب مَا لَا يَجُوزُ مِنْ النُّحْلِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ مَالِك عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ أَنَّهُمَا حَدَّثَاهُ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ أَنَّهُ قَالَ إِنَّ أَبَاهُ بَشِيرًا أَتَى بِهِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنِّي نَحَلْتُ ابْنِي هَذَا غُلَامًا كَانَ لِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكُلَّ وَلَدِكَ نَحَلْتَهُ مِثْلَ هَذَا فَقَالَ لَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَارْتَجِعْهُ


Yahya related to us from Malik from Ibn Shihab from Humayd ibn Abd ar-Rah man ibn Awf and from Muhammad ibn an-Numan ibn Bashir that they related to him that an-Numan ibn Bashir said that his father Bashir brought him to the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, and said, "I have given this son of mine one of my slaves." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Have you given each of your children the same as this?" He said, "No." The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, "Then take the slave back."


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪. শেষ এশার নামাযের বিবরণ

১০৩২(১). আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) ... আন-নুমান ইবনে বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি অন্যদের তুলনায় এই নামাযের অর্থাৎ সর্বশেষ এশার নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তৃতীয়ার চাঁদ অস্ত গেলে এই নামায পড়তেন।

بَابُ فِي صِفَةِ صَلَاةِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ ، ثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى بْنُ حَمَّادٍ ، ثَنَا أَبُو عَوَانَةَ ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ ، عَنْ بَشِيرِ بْنِ ثَابِتٍ ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ ، قَالَ : إِنِّي لَأَعْلَمُ النَّاسِ بِوَقْتِ هَذِهِ الصَّلَاةِ : صَلَاةِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ ؛ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - يُصَلِّيهَا لِسُقُوطِ الْقَمَرِ لِثَالِثَةٍ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৬. নামাযের কাতারসমূহ সোজা করার জন্য উৎসাহিত করা

১০৬৬(১). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আন-নু’মান ইবনে বাশীর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকজনের মুখোমুখি হয়ে বললেনঃ তোমরা তোমাদের কাতারসমূহ সমান করো। কথাটি তিনি তিনবার বললেন। আল্লাহর শপথ! তোমরা অবশ্যই তোমাদের নামাযের কাতারসমূহ সোজা করে দাঁড়াবে। অন্যথায় তোমাদের অন্তরে বিভেদ সৃষ্টি হবে। (রাবী বলেন,) আমাদের প্রত্যেক ব্যক্তিকে দেখলাম, সে তার পায়ের গোছা তার পাশের লোকের পায়ের গোছার সাথে মিলিয়ে, তার হাঁটু তার পাশের লোকের হাঁটুর সাথে মিলিয়ে এবং তার কাঁধ তার পাশের লোকের কাঁধের সাথে সমান্তরাল করে দাঁড়িয়েছে।

بَابُ الْحَثِّ عَلَى اسْتِوَاءِ الصُّفُوفِ

نَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا سَعِيدُ بْنُ يَحْيَى الْأَمَوِيُّ ، حَدَّثَنِي أَبِي ، ثَنَا زَكَرِيَّا بْنَ أَبِي زَائِدَةَ - قَالَ ، حَدَّثَنِي أَبُو الْقَاسِمِ - وَهُوَ الْجَدَلِيُّ - حُسَيْنُ بْنُ الْحَارِثِ ؛ أَنَّهُ سَمِعَ النُّعْمَانَ بْنَ بَشِيرٍ ، يَقُولُ : إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَقْبَلَ بِوَجْهِهِ عَلَى النَّاسِ ، ثُمَّ قَالَ : " أَقِيمُوا صُفُوفَكُمْ - ثَلَاثَ مَرَّاتٍ - فَوَاللَّهِ لَتُتِمُّنَّ صُفُوفَكُمْ ، أَوْ لَتَخْتَلِفَنَّ قُلُوبُكُمْ " . فَرَأَيْتُ الرَّجُلَ مِنَّا يَلْزَقُ كَعْبَهُ بِكَعْبِ صَاحِبِهِ ، وَرُكْبَتَهُ بِرُكْبَتِهِ وَمَنْكِبَهُ بِمَنْكِبِهِ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩০. নামাযে উচ্চস্বরে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়া ওয়াজিব এবং এ সম্পর্কে হাদীসসমূহের বিভিন্নতা

১১৫৪(২৭). আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে সাঈদ (রহঃ) ... আন-নুমান ইবনে বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জিবরীল (আ.) কা’বা শরীফের চত্বরে আমার নামাযে ইমামতি করেন এবং তিনি সশব্দে বিসমিল্লাহির রহমানির রাহীম পড়েন।

بَابُ وُجُوبِ قِرَاءَةِ ( بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ ) فِي الصَّلَاةِ ، وَالْجَهْرِ بِهَا ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ فِي ذَلِكَ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ سَعِيدٍ ، ثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ يُوسُفَ بْنِ زِيَادٍ الضَّبِّيُّ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَمَّادٍ الْهَمْدَانِيُّ ، عَنْ فِطْرِ بْنِ خَلِيفَةَ ، عَنْ أَبِي الضُّحَى ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ ، قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " أَمَّنِي جَبْرِيلُ - عَلَيْهِ السَّلَامُ - عِنْدَ الْكَعْبَةِ ، فَجَهَرَ بِ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯: শাফাক প্রসঙ্গে

৫২৮. মুহাম্মাদ ইবনু কুদামাহ্ (রহ.) ..... নুমান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’ইশার সালাতের ওয়াক্ত সম্পর্কে অধিক অবগত। রাসূলুল্লাহ (সা.) তৃতীয় রাতের চাঁদ অস্ত যাওয়ার সময় ’ইশার সালাত আদায় করতেন।

الشفق

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ رَقَبَةَ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ جَعْفَرِ بْنِ إِيَاسٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ حَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ أَنَا أَعْلَمُ النَّاسِ بِمِيقَاتِ هَذِهِ الصَّلَاةِ عِشَاءِ الْآخِرَةِ، ‏‏‏‏‏‏ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّيهَا لِسُقُوطِ الْقَمَرِ لِثَالِثَةٍ .

تخریج دارالدعوہ: سنن ابی داود/الصلاة ۷ (۴۱۹)، سنن الترمذی/الصلاة ۹ (۱۶۶)، مسند احمد ۴/ ۲۷۰، ۲۷۲، ۲۷۴، سنن الدارمی/الصلاة ۱۸ (۱۲۴۷)، (تحفة الأشراف: ۱۱۶۱۴) (صحیح)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 529 - صحيح

19. Twilight


It was narrated that An-Nu'man bin Bashir said: I am the most knowledgeable of people about the time of the 'Isha' prayer. The Prophet (ﷺ) used to pray it when the moon set on the third night of the month.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯: শাফাক প্রসঙ্গে

৫২৯. উসমান ইবনু ’আবদুল্লাহ (রহ.) ..... নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! আমি লোকেদের মাঝে ’ইশার সালাতের সময় সম্বন্ধে অধিক জানি। রাসূলুল্লাহ (সা.) তৃতীয় রাতের চাঁদ অস্ত যাওয়ার সময় ’ইশার সালাত আদায় করতেন।

الشفق

أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا عَفَّانُ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ أَبِي بِشْرٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ بَشِيرِ بْنِ ثَابِتٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْحَبِيبِ بْنِ سَالِمٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ وَاللَّهِ إِنِّي لَأَعْلَمُ النَّاسِ بِوَقْتِ هَذِهِ الصَّلَاةِ صَلَاةِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ، ‏‏‏‏‏‏ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّيهَا لِسُقُوطِ الْقَمَرِ لِثَالِثَةٍ .

تخریج دارالدعوہ: انظر ما قبلہ (صحیح)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 530 - صحيح

19. Twilight


It was narrated that An-Nu'man bin Bashir said: By Allah, I am the most knowledgeable of people about the time of the 'Isha' prayers. The Prophet (ﷺ) used to pray it when the moon set on the third night of the month.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৫: ইমাম কিভাবে কাতার সোজা করবেন?

৮১০. কুতায়বাহ্ ইবনু সাঈদ (রহ.) ..... নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) কাতার সোজা করতেন যেমন তীর সোজা করা হয়। একদিন তিনি দেখলেন এক ব্যক্তির বুক কাতারের বাইরে গেছে, তখন আমি নবী (সা.)-কে দেখলাম তিনি বলছেন, তোমরা তোমাদের কাতার সোজা কর, তা না হলে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের মুখমণ্ডল পরিবর্তন করে দিবেন।

كيف يقوم الإمام الصفوف

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ أَنْبَأَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ، ‏‏‏‏‏‏عَنْ سِمَاكٍ، ‏‏‏‏‏‏عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، ‏‏‏‏‏‏قال:‏‏‏‏ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَوِّمُ الصُّفُوفَ كَمَا تُقَوَّمُ الْقِدَاحُ فَأَبْصَرَ رَجُلًا خَارِجًا صَدْرُهُ مِنَ الصَّفِّ فَلَقَدْ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ:‏‏‏‏ لَتُقِيمُنَّ صُفُوفَكُمْ أَوْ لَيُخَالِفَنَّ اللَّهُ بَيْنَ وُجُوهِكُمْ .

تخریج دارالدعوہ: وقد أخرجہ: صحیح مسلم/الصلاة ۲۸ (۴۳۶)، سنن ابی داود/الأذان ۹۴ (۶۶۳، ۶۶۵)، سنن الترمذی/الصلاة ۵۳ (۲۲۷)، سنن ابن ماجہ/إقامة ۵۰ (۹۹۴)، (تحفة الأشراف: ۱۱۶۲۰)، مسند احمد ۴/۲۷۰، ۲۷۱، ۲۷۲، ۲۷۶، ۲۷۷ (حسن صحیح)

صحيح وضعيف سنن النسائي الألباني: حديث نمبر 811 - حسن صحيح

25. How The Imam Should Straighten The Rows


It was narrated that An-Numan bin Bashir said: The Messenger of Allah (ﷺ) used to straighten the rows like shaft of an arrow is straightened before the head is attached to it. He saw a man whose chest was sticking out from the row. I saw the Messenger of Allah (ﷺ) say: 'Make your rows straight or Allah will cause your faces to be deformed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ নু’মান ইবনু বশীর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ ২০১ থেকে ২০৫ পর্যন্ত, সর্বমোট ২০৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 · · · 8 9 10 11