আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ৫১৬ টি

পরিচ্ছেদঃ ৫৬. মিসরবাসীদের জন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওয়াসীয়াত

৬৩৮৮-(২২৭/...) যুহায়র ইবনু হারব ও উবাইদুল্লাহ ইবনু সাঈদ (রহঃ) ..... আবূ যার গিফারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শীঘ্রই তোমরা মিশর বিজয় লাভ করবে। সেটা এমন একটি দেশ, যেখানে ’কীরাত’ নামে মুদ্রা খ্যাত। তোমরা যখন সে দেশ বিজয় লাভ করবে তখন সেখানকার অধিবাসীদের সাথে উত্তম ব্যবহার করবে। কারণ তাদের জন্য দায়িত্ব ও আত্মীয়তার সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। কিংবা তিনি বলেছেনঃ যিম্মাদারী ও বৈবাহিক সম্পর্ক রয়েছে। তোমরা যখন সেখানে দু’লোককে একটি ইটের স্থান নিয়ে বিবাদ করতে দেখবে তখন সেখান থেকে চলে আসবে। আবূ যার (রাযিঃ) বলেন, তারপর আমি যখন আবদুর রহমান ইবনু শুরাহবীল ইবনু হাসান ও তার ভাই রাবী’আকে একটি ইটের স্থান নিয়ে ঝগড়া-বিবাদ করতে দেখলাম তখন আমি সেখান থেকে চলে আসলাম। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬২৬৩, ইসলামিক সেন্টার ৬৩১২)

باب وَصِيَّةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِأَهْلِ مِصْرَ ‏‏

حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَعُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، سَمِعْتُ حَرْمَلَةَ الْمِصْرِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ شُمَاسَةَ، عَنْ أَبِي بَصْرَةَ، عَنْ أَبِي، ذَرٍّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّكُمْ سَتَفْتَحُونَ مِصْرَ وَهِيَ أَرْضٌ يُسَمَّى فِيهَا الْقِيرَاطُ فَإِذَا فَتَحْتُمُوهَا فَأَحْسِنُوا إِلَى أَهْلِهَا فَإِنَّ لَهُمْ ذِمَّةً وَرَحِمًا ‏"‏ ‏.‏ أَوْ قَالَ ‏"‏ ذِمَّةً وَصِهْرًا فَإِذَا رَأَيْتَ رَجُلَيْنِ يَخْتَصِمَانِ فِيهَا فِي مَوْضِعِ لَبِنَةٍ فَاخْرُجْ مِنْهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَرَأَيْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ شُرَحْبِيلَ بْنِ حَسَنَةَ وَأَخَاهُ رَبِيعَةَ يَخْتَصِمَانِ فِي مَوْضِعِ لَبِنَةٍ فَخَرَجْتُ مِنْهَا ‏.‏


Abu Dharr reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying: You would soon conquer Egypt and that is a land which is known (as the land of al-qirat). So when you conquer it, treat its inhabitants well. For there lies upon you the responsibility because of blood-tie or relationship of marriage (with them). And when you see two persons falling into dispute amongst themselves for the space of a brick, than get out of that. He (Abu Dharr) said: I saw Abd al-Rahman b. Shurahbil b. Hasana and his brother Rabi'a disputing with one another for the space of a brick. So I left that (land).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫. যুল্‌ম হারাম

৬৪৬৬-(৫৫/২৫৭৭) ’আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান ইবনু বাহরাম আদ দারিমী (রহঃ) ..... আবু যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, ওহে আমার বান্দারা! আমি আমার নিজ সত্তার উপর অত্যাচারকে হারাম করে নিয়েছি এবং তোমাদের মধ্যেও তা হারাম বলে ঘোষণা করছি। অতএব তোমরা একে অপরের উপর অত্যাচার করো না। হে আমার বান্দারা! তোমরা সবাই ছিলে দিশেহারা, তবে আমি যাকে সুপথ দেখিয়েছি সে ব্যতীত। তোমরা আমার কাছে হিদায়াত প্রার্থনা কর আমি তোমাদের হিদায়াত দান করব। হে আমার বান্দারা! তোমরা সবাই ক্ষুধার্ত, তবে আমি যাকে খাদ্য দান করি সে ব্যতীত। তোমরা আমার কাছে আহার্য চাও, আমি তোমাদের আহার করাব। হে আমার বান্দারা! তোমরা সবাই বস্ত্রহীন, কিন্তু আমি যাকে পরিধান করাই সে ব্যতীত। তোমরা আমার কাছে পরিধেয় চাও, আমি তোমাদের পরিধান করাব। হে আমার বান্দারা! তোমরা রাতদিন অপরাধ করে থাকো। আর আমিই সব অপরাধ ক্ষমা করি। সুতরাং তোমরা আমার কাছে মাগফিরাত প্রার্থনা করো, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিব। হে আমার বান্দারা তোমরা কখনো আমার অনিষ্ট করতে পারবে না, যাতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হই এবং তোমরা কখনো আমার উপকার করতে পারবে না, যাতে আমি উপকৃত হই।

হে আমার বান্দারা! তোমাদের আদি, তোমাদের অন্ত, তোমাদের মানুষ ও জিন জাতির মধ্যে যার অন্তর আমাকে সবচাইতে বেশী ভয় পায়, তোমরা সবাই যদি তার মতো হয়ে যাও তাতে আমার রাজত্ব একটুও বৃদ্ধি পাবে না। হে আমার বান্দাগণ! তোমাদের আদি, তোমাদের অন্ত, তোমাদের সকল মানুষ ও সকল জিন জাতির মধ্যে যার অন্তর সবচাইতে পাপিষ্ঠ তোমরা সবাই যদি তার মতো হয়ে যাও তাহলে আমার রাজত্ব কিছুমাত্র হ্রাস পাবে না। হে আমার বান্দা! তোমাদের আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সকল মানুষ ও জিন যদি কোন বিশাল মাঠে দাঁড়িয়ে সবাই আমার কাছে আবদার করে আর আমি প্রত্যেক ব্যক্তির চাহিদা পূরণ করি তাহলে আমার কাছে যা আছে তাতে এর চাইতে বেশী হ্রাস পাবে না, যেমন কেউ সমুদ্রে একটি সূচ ডুবিয়ে দিলে যতটুকু তাথেকে হ্রাস পায়। হে আমার বান্দারা। আমি তোমাদের ’আমলই তোমাদের জন্য সংরক্ষিত রাখি। এরপর পুরোপুরিভাবে তার বিনিময় প্রদান করে থাকি। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন কল্যাণ অর্জন করে সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে। আর যে তা ব্যতীত অন্য কিছু পায়, তবে সে যেন নিজেকেই দোষারোপ করে।

সাঈদ (রহঃ) বলেন, আবু ইদরীস আল খাওলানী (রহঃ) যখন এ হাদীস বর্ণনা করতেন তখন তিনি দু’হাটুর উপর ভর দিয়ে বসতেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৩৩৮, ইসলামিক সেন্টার ৬৩৮৭)

باب تَحْرِيمِ الظُّلْمِ ‏‏

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بَهْرَامَ الدَّارِمِيُّ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ، - يَعْنِي ابْنَ مُحَمَّدٍ الدِّمَشْقِيَّ - حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ يَزِيدَ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيِّ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِيمَا رَوَى عَنِ اللَّهِ، تَبَارَكَ وَتَعَالَى أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ يَا عِبَادِي إِنِّي حَرَّمْتُ الظُّلْمَ عَلَى نَفْسِي وَجَعَلْتُهُ بَيْنَكُمْ مُحَرَّمًا فَلاَ تَظَالَمُوا يَا عِبَادِي كُلُّكُمْ ضَالٌّ إِلاَّ مَنْ هَدَيْتُهُ فَاسْتَهْدُونِي أَهْدِكُمْ يَا عِبَادِي كُلُّكُمْ جَائِعٌ إِلاَّ مَنْ أَطْعَمْتُهُ فَاسْتَطْعِمُونِي أُطْعِمْكُمْ يَا عِبَادِي كُلُّكُمْ عَارٍ إِلاَّ مَنْ كَسَوْتُهُ فَاسْتَكْسُونِي أَكْسُكُمْ يَا عِبَادِي إِنَّكُمْ تُخْطِئُونَ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَأَنَا أَغْفِرُ الذُّنُوبَ جَمِيعًا فَاسْتَغْفِرُونِي أَغْفِرْ لَكُمْ يَا عِبَادِي إِنَّكُمْ لَنْ تَبْلُغُوا ضَرِّي فَتَضُرُّونِي وَلَنْ تَبْلُغُوا نَفْعِي فَتَنْفَعُونِي يَا عِبَادِي لَوْ أَنَّ أَوَّلَكُمْ وَآخِرَكُمْ وَإِنْسَكُمْ وَجِنَّكُمْ كَانُوا عَلَى أَتْقَى قَلْبِ رَجُلٍ وَاحِدٍ مِنْكُمْ مَا زَادَ ذَلِكَ فِي مُلْكِي شَيْئًا يَا عِبَادِي لَوْ أَنَّ أَوَّلَكُمْ وَآخِرَكُمْ وَإِنْسَكُمْ وَجِنَّكُمْ كَانُوا عَلَى أَفْجَرِ قَلْبِ رَجُلٍ وَاحِدٍ مَا نَقَصَ ذَلِكَ مِنْ مُلْكِي شَيْئًا يَا عِبَادِي لَوْ أَنَّ أَوَّلَكُمْ وَآخِرَكُمْ وَإِنْسَكُمْ وَجِنَّكُمْ قَامُوا فِي صَعِيدٍ وَاحِدٍ فَسَأَلُونِي فَأَعْطَيْتُ كُلَّ إِنْسَانٍ مَسْأَلَتَهُ مَا نَقَصَ ذَلِكَ مِمَّا عِنْدِي إِلاَّ كَمَا يَنْقُصُ الْمِخْيَطُ إِذَا أُدْخِلَ الْبَحْرَ يَا عِبَادِي إِنَّمَا هِيَ أَعْمَالُكُمْ أُحْصِيهَا لَكُمْ ثُمَّ أُوَفِّيكُمْ إِيَّاهَا فَمَنْ وَجَدَ خَيْرًا فَلْيَحْمَدِ اللَّهَ وَمَنْ وَجَدَ غَيْرَ ذَلِكَ فَلاَ يَلُومَنَّ إِلاَّ نَفْسَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ سَعِيدٌ كَانَ أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيُّ إِذَا حَدَّثَ بِهَذَا الْحَدِيثِ جَثَا عَلَى رُكْبَتَيْهِ ‏.‏


Abu Dharr reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying that Allah, the Exalted and Glorious, said: My servants, I have made oppression unlawful for Me and unlawful for you, so do not commit oppression against one another. My servants, all of you are liable to err except one whom I guide on the right path, so seek right guidance from Me so that I should direct you to the right path. O My servants, all of you are hungry (needy) except one whom I feed, so beg food from Me, so that I may give that to you. O My servants, all of you are naked (need clothes) except one whom I provide garments, so beg clothes from Me, so that I should clothe you. O My servants, you commit error night and day and I am there to pardon your sins, so beg pardon from Me so that I should grant you pardon. O My servants, you can neither do Me any harm nor can you do Me any good. O My servants, even if the first amongst you and the last amongst you and even the whole of human race of yours, and that of jinns even, become (equal in) God-conscious like the heart of a single person amongst you, nothing would add to My Power. O My servants, even if the first amongst you and the last amongst you and the whole human race of yours and that of the Jinns too in unison become the most wicked (all beating) like the heart of a single person, it would cause no loss to My Power. O My servants, even if the first amongst you and the last amongst you and the whole human race of yours and that of jinns also all stand in one plain ground and you ask Me and I confer upon every person what he asks for, it would not. in any way, cause any loss to Me (even less) than that which is caused to the ocean by dipping the needle in it. My servants, these for you I shall reward you for thern, so he who deeds of yours which I am recording finds good should praise Allah and he who does not find that should not blame anyone but his ownself. Sa'id said that when Abu Idris Khaulini narrated this hadith he knelt upon his knees.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫. যুল্‌ম হারাম

৬৪৬৯-(.../...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ..... আবু যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তার মহিমাম্বিত পরওয়ারদিগার ইরশাদ করেন, আমি আমার নিজের উপর ও বান্দাদের উপর অত্যাচারকে হারাম করে নিয়েছি। অতএব তোমরা পরস্পর পরস্পরকে অত্যাচার করো না। অতঃপর রাবী হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আর আবু ইদরীস (রহঃ) বর্ণিত যে হাদীসটি আমরা বিবৃত করেছি তা এর চাইতে অধিক পূর্ণাঙ্গ। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৩৩৯, ইসলামিক সেন্টার ৬৩৮৯)

باب تَحْرِيمِ الظُّلْمِ ‏‏

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، كِلاَهُمَا عَنْ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ، الْوَارِثِ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيمَا يَرْوِي عَنْ رَبِّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى ‏ "‏ إِنِّي حَرَّمْتُ عَلَى نَفْسِي الظُّلْمَ وَعَلَى عِبَادِي فَلاَ تَظَالَمُوا ‏"‏ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِهِ وَحَدِيثُ أَبِي إِدْرِيسَ الَّذِي ذَكَرْنَاهُ أَتَمُّ مِنْ هَذَا ‏.‏


Abu Dharr reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying that he reported it from his Lord, the Exalted and Glorious: Verily I have made oppression unlawful for Me and for My servants too, so do not commit oppression. The rest of the hadith is the same.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪২. প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ ও তাকে সদোপদেশ দেয়া

৬৫৮২-(১৪২/...) আবূ কামিল আল জাহদারী ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ..... আবু যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হে আবু যার! যখন তুমি তরকারি রান্না করবে তখন তাতে পানি (শুরুয়া বা ঝোল) বেশি দিও এবং তোমার প্রতিবেশীকে কিছু প্রদান করো। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৪৪৯, ইসলামিক সেন্টার ৬৫০০)

باب الْوَصِيَّةِ بِالْجَارِ وَالإِحْسَانِ إِلَيْهِ ‏ ‏

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، - وَاللَّفْظُ لإِسْحَاقَ - قَالَ أَبُو كَامِلٍ حَدَّثَنَا وَقَالَ، إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ الْعَمِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عِمْرَانَ، الْجَوْنِيُّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يَا أَبَا ذَرٍّ إِذَا طَبَخْتَ مَرَقَةً فَأَكْثِرْ مَاءَهَا وَتَعَاهَدْ جِيرَانَكَ ‏"‏ ‏.‏


Abu Dharr reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying: Abu Dharr, when you prepare the broth, add water to that and give that (as a present) to your neighbour.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪২. প্রতিবেশীর সাথে সদাচরণ ও তাকে সদোপদেশ দেয়া

৬৫৮৩-(১৪৩/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবা ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ..... আবূ যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার বন্ধু (রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে জোর নির্দেশ করেছেন, যখন তুমি তরকারি রান্না করবে তখন তাতে পানি বেশি করে দিবে। তারপর তুমি তোমার প্রতিবেশীর পরিজনের প্রতি খেয়াল রাখবে। অতঃপর তা হতে তাদেরকে কিছু সৌজন্য স্বরূপ পৌছিয়ে দিবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৪৫০, ইসলামিক সেন্টার ৬৫০১)

باب الْوَصِيَّةِ بِالْجَارِ وَالإِحْسَانِ إِلَيْهِ ‏ ‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ إِنَّ خَلِيلِي صلى الله عليه وسلم أَوْصَانِي ‏ "‏ إِذَا طَبَخْتَ مَرَقًا فَأَكْثِرْ مَاءَهُ ثُمَّ انْظُرْ أَهْلَ بَيْتٍ مِنْ جِيرَانِكَ فَأَصِبْهُمْ مِنْهَا بِمَعْرُوفٍ ‏"‏ ‏.‏


Abu Dharr reported Allah's Messenger (ﷺ) commanded me thus: Whenever you prepare a broth, add water to it, and have in your mind the members of the household of your neighbours and then give them out of this with courtesy.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. সাক্ষাতের সময় হাস্যোজ্জ্বল থাকা মুস্তাহাব

৬৫৮৪-(১৪৪/২৬২৬) আবূ গাসসান আল মিসমাঈ (রহঃ) ..... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ ভালো কোন কিছু দান করাকে হীন মনে করো না, এমনকি হোক সেটা ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ দেয়া। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৪৫১, ইসলামিক সেন্টার ৬৫০২)

باب اسْتِحْبَابِ طَلاَقَةِ الْوَجْهِ عِنْدَ اللِّقَاءِ ‏ ‏

حَدَّثَنِي أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، - يَعْنِي الْخَزَّازَ - عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ لِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ تَحْقِرَنَّ مِنَ الْمَعْرُوفِ شَيْئًا وَلَوْ أَنْ تَلْقَى أَخَاكَ بِوَجْهٍ طَلْقٍ ‏"‏ ‏.‏


Abu Dharr reported: Allah's Apostle (ﷺ) said to me: Don't consider anything insignificant out of good things even if it is that you meet your brother with a cheerful countenance.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫১. যদি সৎলোকের গুণ বর্ণনা করা হয় তবে তা সুসংবাদ তার জন্যে ক্ষতি নয়

৬৬১৪-(১৬৬/২৬৪২) ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামীমী, আবু রাবী’, আবূ কামিল ফুযায়ল ইবনু হুসায়ন (রহঃ) ..... আবু যার গিফারী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সমীপে আবেদন করা হলো, ঐ লোক সম্পর্কে আপনার কি মতামত, যে সৎ আমল করে এবং মানুষেরা তার গুণ বর্ণনা করে? তিনি বললেন, এটা মুমিনের জন্যে দ্রুত সুবার্তা।* (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৪৮০, ইসলামিক সেন্টার ৬৫৩২)

باب إِذَا أُثْنِيَ عَلَى الصَّالِحِ فَهِيَ بُشْرَى وَلاَ تَضُرُّهُ ‏ ‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، وَأَبُو الرَّبِيعِ، وَأَبُو كَامِلٍ فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ - وَاللَّفْظُ لِيَحْيَى - قَالَ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي عِمْرَانَ الْجَوْنِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرَأَيْتَ الرَّجُلَ يَعْمَلُ الْعَمَلَ مِنَ الْخَيْرِ وَيَحْمَدُهُ النَّاسُ عَلَيْهِ قَالَ ‏ "‏ تِلْكَ عَاجِلُ بُشْرَى الْمُؤْمِنِ ‏"‏ ‏.‏


Abu Dharr reported: It was said to Allah's Messenger (ﷺ): What is your opinion about the person who has done good deeds and the people praise him? He said: It is glad tidings for a believer (which he has received in this mortal world).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬. যিকর, দু’আ ও আল্লাহর সন্নিধ্য অর্জন করার মর্যাদা

৬৭২৬-(২২/২৬৮৭) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ্ (রহঃ) ..... আবূ যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ জাল্লা শানুহু ইরশাদ করেন, যে লোক একটি নেক কাজ করবে তার জন্যে রয়েছে দশগুণ প্রতিদান; আর আমি তাকে আরও বৃদ্ধি করে দিব। আর যে লোক একটি খারাপ কর্ম করবে তার প্রতিদান সে কর্মের সমান অথবা আমি তাকে মাফ করে দিব। যে লোক আমার প্রতি এক বিঘত এগিয়ে আসে আমি তার প্রতি এক হাত অগ্রসর হই। আর যে লোক আমার প্রতি এক হাত এগিয়ে আসে আমি তার দিকে দু’ হাত (এক গজ) অগ্রসর হই। যে লোক আমার নিকট পায়ে হেঁটে আসে আমি তার প্রতি দৌড়িয়ে আসি। যে লোক আমার সাথে কাউকে কোন বিষয়ে অংশীদার স্থাপন ব্যতীত পৃথিবী তুল্য গুনাহ নিয়েও আমার সাথে সাক্ষাৎ করে তাহলে আমি তার সাথে অনুরূপ পৃথিবী তুল্য মার্জনা নিয়ে সাক্ষাৎ করি। ইবরাহীম বলেন, হাসান ইবনু বিশর হাদীসটি ওয়াকী সানাদে অবিকল বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৫৮৯, ইসলামিক সেন্টার ৬৬৪১)

باب فَضْلِ الذِّكْرِ وَالدُّعَاءِ وَالتَّقَرُّبِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنِ الْمَعْرُورِ بْنِ سُوَيْدٍ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ يَقُولُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا وَأَزِيدُ وَمَنْ جَاءَ بِالسَّيِّئَةِ فَجَزَاؤُهُ سَيِّئَةٌ مِثْلُهَا أَوْ أَغْفِرُ وَمَنْ تَقَرَّبَ مِنِّي شِبْرًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ ذِرَاعًا وَمَنْ تَقَرَّبَ مِنِّي ذِرَاعًا تَقَرَّبْتُ مِنْهُ بَاعًا وَمَنْ أَتَانِي يَمْشِي أَتَيْتُهُ هَرْوَلَةً وَمَنْ لَقِيَنِي بِقُرَابِ الأَرْضِ خَطِيئَةً لاَ يُشْرِكُ بِي شَيْئًا لَقِيتُهُ بِمِثْلِهَا مَغْفِرَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ إِبْرَاهِيمُ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ بِهَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏


Abu Dharr reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying that Allah, the Exalted and Glorious, stated: " He who comes with goodness, there are in store for him ten like those and even more than those: 'And he who comes with vice, ' it is only for that that he is called to account. I even forgive him (as I like) and he who draws close to Me by the span of a palm I draw close to him by the cubit, and he who draws close to Me by the cubit I draw close to him by the space (covered) by two hands, and he who walks towards Me I rush towards him, and he who meets Me in the state that his sins fill the earth, but not associating anything with Me, I would meet Him with the same (vastness) of pardon (on My behalf)." This hadith has been transmitted on the authority of Waki'.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২২. সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হাম্‌দিহি এর ফায়ীলাত

৬৮১৮-(৮৪/২৭৩১) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আবূ যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করা হলো কোন কালাম সবচেয়ে উত্তম? তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা তার ফেরেশতা কিংবা তার বান্দাদের জন্য যে কালাম নির্বাচন করেছেন, আর তা হলো, "সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হামদিহি" অর্থাৎ- "আমি আল্লাহ তা’আলার প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করছি"। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৬৭৬, ইসলামিক সেন্টার ৬৭৩০)

باب فَضْلِ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ ‏‏

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجِسْرِيِّ، عَنِ ابْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُئِلَ أَىُّ الْكَلاَمِ أَفْضَلُ قَالَ ‏ "‏ مَا اصْطَفَى اللَّهُ لِمَلاَئِكَتِهِ أَوْ لِعِبَادِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ ‏"‏ ‏.‏


Abu Dharr reported that Allah's Messenger (ﷺ) was asked as to which words were the best. He said: Those for which Allah made a choice for His Angels and His servants (and the words are):" Hallowed be Allah and praise is due to Him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২২. সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হাম্‌দিহি এর ফায়ীলাত

৬৮১৯-(৮৫/…) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ (রহঃ) ..... আবু যার (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে আবূ যার! আমি কি তোমাকে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় কালামটি অবহিত করব না? আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় কালামটি আমাকে বলে দিন। তারপর তিনি বললেন, আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয় কালাম হলো, "সুবহা-নাল্ল-হি ওয়াবি হামদিহি" অর্থাৎ "আমি আল্লাহর প্রশংসা ও পবিত্রতা ঘোষণা করছি।" (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৬৭৭, ইসলামিক সেন্টার ৬৭৩১)

باب فَضْلِ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ ‏‏

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي بُكَيْرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ الْجَسْرِيِّ، مِنْ عَنَزَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الصَّامِتِ، عَنْ أَبِي ذَرٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَلاَ أُخْبِرُكَ بِأَحَبِّ الْكَلاَمِ إِلَى اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَخْبِرْنِي بِأَحَبِّ الْكَلاَمِ إِلَى اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ أَحَبَّ الْكَلاَمِ إِلَى اللَّهِ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ ‏"‏ ‏.‏


Abu Dharr reported that Allah's Messenger (ﷺ) said: Should I not inform you about the words liked most by Allah? I said: Allah's Mes- senger, do inform me about the words liked most by Allah. He said: Verily, the words liked most by Allah are:" hallowed be Allah and praise is due to Him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ “তারা দুটি বিবদমান পক্ষ তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে বাক-বিতণ্ডা করে”

৭৪৫২-(৩৪/৩০৩৩) আমর ইবনু যুরারাহ (রহঃ) ..... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি শপথ করে বলতেন, "তারা দু’টি বিবদমান পক্ষ তাদের পালনকর্তা সম্পর্কে বাক-বিতণ্ডা করে"- (সূরা আল হাজ্জ ২২ঃ ১৯) আল্লাহর এ বাণী ঐ লোকেদের সম্বন্ধেই অবতীর্ণ হয়েছে, যারা বদরের দিন যুদ্ধ করার জন্য যুদ্ধ ক্ষেত্রে অবতরণ করেছিল। এদের একদিকে ছিলেন হামযাহ, ’আলী ও উবাইদাহ ইবনুল হারিস (রাযিঃ) আর অপরদিকে ছিল, উতবাহ ও শাইবাহ রাবী’আর দু’ পুত্র এবং ওয়ালীদ ইবনু উতবাহ্। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৮০, ইসলামিক সেন্টার ৭৩৩৬)

باب فِي قَوْلِهِ تَعَالَى ‏{‏هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ}

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ زُرَارَةَ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ قَيْسِ، بْنِ عُبَادٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ، يُقْسِمُ قَسَمًا إِنَّ ‏(‏ هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ‏)‏ إِنَّهَا نَزَلَتْ فِي الَّذِينَ بَرَزُوا يَوْمَ بَدْرٍ حَمْزَةُ وَعَلِيٌّ وَعُبَيْدَةُ بْنُ الْحَارِثِ وَعُتْبَةُ وَشَيْبَةُ ابْنَا رَبِيعَةَ وَالْوَلِيدُ بْنُ عُتْبَةَ ‏.‏


Abu Dharr took an oath that this verse: " These two adversaries who dispute about their Lord" (xxii. 19) was revealed in connection with those who on the Day of Badr came out (of rows to fight against the non-believers and they were) Hamza, 'Ali, 'Ubaida b. Harith (from the side of the Muslims) and 'Utba and Shaiba, both of them the sons of Rabi'a and Walid b. 'Utba (from the side of the non-believers of Mecca).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭. মহান আল্লাহর বাণীঃ “তারা দুটি বিবদমান পক্ষ তাদের প্রতিপালক সম্পর্কে বাক-বিতণ্ডা করে”

৭৪৫৩-(…/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শাইবাহ, মুহাম্মদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) .... আবু যর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি শপথ করে বলতেন, هَذَانِ خَصْمَانِ‏ আয়াতটি অবতীর্ণ হয়েছে- অতঃপর হুশায়মের অবিকল হাদীস বর্ণনা করেছেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭২৮১, ইসলামিক সেন্টার ৭৩৩৭)

باب فِي قَوْلِهِ تَعَالَى ‏{‏هَذَانِ خَصْمَانِ اخْتَصَمُوا فِي رَبِّهِمْ}

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، ح وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، جَمِيعًا عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِي هَاشِمٍ، عَنْ أَبِي مِجْلَزٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا ذَرٍّ، يُقْسِمُ لَنَزَلَتْ ‏(‏ هَذَانِ خَصْمَانِ‏)‏ بِمِثْلِ حَدِيثِ هُشَيْمٍ ‏.‏


This hadith has been narrated on the authority of Abu Dharr through another chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

২৬-[২৫] আবূ যার গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (একবার) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমাতে পৌঁছলাম। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একটি সাদা কাপড় পরিহিত অবস্থায় ঘুমিয়েছিলেন। আমি ফেরত চলে এলাম। অতঃপর পুনরায় তাঁর নিকট গেলাম। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জেগে ছিলেন। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) (আমাকে দেখে) বললেন, যে ব্যক্তি (অন্তরের সাথে) ’লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’ বলবে আর এ বিশ্বাসের উপর তার মৃত্যু হবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, সে চুরি ও ব্যভিচার (এর মতো বড় গুনাহ) করে থাকে তবুও? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ সে চুরি ও ব্যভিচার করলেও। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, চুরি ও ব্যভিচার করার পরও? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হ্যাঁ, চুরি ও ব্যভিচারের ন্যায় গুনাহ করলেও। আবূ যার-এর নাক ধূলায় মলিন হলেও। বর্ণনাকারী বলেন, যখনই আবূ যার (রাঃ) এ হাদীসটি বর্ণনা করতেন (গৌরবের সাথে) এ শেষ বাক্যটি ’আবূ যার-এর নাক ধূলায় মলিন হলেও’ অবশ্যই বর্ণনা করতেন। (বুখারী, মুসলিম)[1]

الفصل الاول

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَعَلَيْهِ ثَوْبٌ أَبْيَضُ وَهُوَ نَائِمٌ ثُمَّ أَتَيْتُهُ وَقَدِ اسْتَيْقَظَ فَقَالَ: «مَا مِنْ عَبْدٍ قَالَ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ ثُمَّ مَاتَ عَلَى ذَلِكَ إِلَّا دَخَلَ الْجَنَّةَ قُلْتُ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ قَالَ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ قُلْتُ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ قَالَ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ قُلْتُ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ قَالَ وَإِنْ زَنَى وَإِنْ سَرَقَ عَلَى رَغْمِ أَنْفِ أَبِي ذَرٍّ وَكَانَ أَبُو ذَرٍّ إِذَا حَدَّثَ بِهَذَا قَالَ وَإِنْ رَغِمَ أَنْفُ أَبِي ذَر»

Chapter - Section 1


Abu Dharr said: I came to the Prophet and found him asleep under a white sheet. When I came back to him after he had awakened he said, “If anyone says there is no god but God and dies in that belief, he will enter paradise.” I asked, “Even if he commits fornication and even if he steals?” He replied, “Even if he commits fornication and even if he steals.” I asked, “Even if he commits fornication and even if he steals?” He replied, “Even if he commits fornication and even if he steals.” I asked, “Even if he commits fornication and even if he steals?” He replied, “Even if he commits fornication and even if he steals, in spite of Abu Dharr.” When Abu Dharr told this he said, “Even if Abu Dharr’s pride is humbled.” (Bukhari and Muslim.)

ব্যাখ্যা : হাদীস থেকে এ কথা স্পষ্ট যে, কোন ব্যক্তি ঈমানের উপর মৃত্যুবরণ করলে সে নিশ্চিত জান্নাতে প্রবেশ করবে। তবে এ কথা ঠিক যদি সে কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ না করে। অথবা কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ করলেও তার উপর অটল থেকে মারা না যায়। তবে সে প্রথমেই অর্থাৎ- কোন প্রকার শাস্তি ভোগ না করেই জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যদি সে কোন কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ করে এবং তার উপর অটল থেকেই মারা যায় তবে সে আল্লাহর ইচ্ছার অধীন। তাকে যদি আল্লাহ ক্ষমা করেন তবে সে শাস্তি ভোগ না করেই জান্নাতে যাবে। আর আল্লাহ যদি ক্ষমা না করেন তবে পাপানুসারে সে শাস্তি ভোগ করবে। অতঃপর তাকে জাহান্নাম থেকে বের করে স্থায়ীভাবে জান্নাতে দেয়া হবে।

‘‘যদিও সে যিনা করে ও চুরি করে’’ এ থেকে বুঝা যায় যে, যদি কোন মু’মিন সকল ধরনের কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ করে আর তাকে ক্ষমা করা হয় তাহলে শাস্তি ভোগ না করেই সে জান্নাতে যাবে। আর ক্ষমা করা না হলে শাস্তি ভোগ করার পর জান্নাতে যাবে। হাদীসে কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহের দু’টি প্রকার উল্লেখ করা হয়েছে। এ কথা বুঝানোর জন্য যে, গুনাহ দুই প্রকারঃ আল্লাহর হক যেমন যিনা করা, আর বান্দার হক যেমন অন্যায়ভাবে তাদের মাল আত্মসাৎ করা।

হাদীসের শিক্ষাঃ

(১) কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ দ্বারা ঈমান দূরীভূত হয় না। কেননা যে ব্যক্তি মু’মিন নয় সে কক্ষনো জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এ বিষয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত।

(২) কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহ তার অন্যান্য পুণ্যকর্মের সাওয়াব বিনষ্ট করে না।

(৩) কাবীরাহ্ (কবিরা) গুনাহকারী স্থায়ীভাবে জাহান্নামী হবে না। শাস্তি ভোগ করার পর সে জান্নাতে যাবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - ক্রয়-বিক্রয় ও লেনদেনে সহনশীলতা

২৭৯৫-[৬] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তিন শ্রেণীর লোকের সাথে আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না, তাদের প্রতি (দয়ার) দৃষ্টি দিবেন না, তাদেরকে (গুনাহ ক্ষমা করে দিয়ে) পাক-পবিত্র করবেন না, আর তাদের জন্য রয়েছে (নির্ধারিত) কঠিন ’আযাব। আবূ যার(রাঃ) এ কথা শুনার পর সাথে সাথে বলে উঠলেন, হে আল্লাহর রসূল! যাদের জন্য অধঃপতন ও ধ্বংস, তারা কারা? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, (১) যে লোক পরনের কাপড় পায়ের গিরার নীচে পরে, (২) যে দান করে খোটা দেয়, (৩) যে লোক নিজের মাল বেশি চালু করার চেষ্টায় মিথ্যা কসম করে। (মুসলিম)[1]

بَابُ الْمُسَاهَلَةِ فِى الْمُعَامَلَةِ

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «ثَلَاثَةٌ لَا يُكَلِّمُهُمُ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَلَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ وَلَا يُزَكِّيهِمْ وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ» . قَالَ أَبُو ذَرٍّ: خَابُوا وَخَسِرُوا مَنْ هُمْ يَا رَسُولَ اللَّهِ؟ قَالَ: «الْمُسْبِلُ وَالْمَنَّانٌ وَالْمُنَفِّقُ سِلْعَتَهُ بِالْحلف الْكَاذِب» . رَوَاهُ مُسلم

ব্যাখ্যা: (لَا يَنْظُرُ إِلَيْهِمْ) ‘‘আল্লাহ তা‘আলা তাদের দিকে তাকাবেন না’’। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা তাদের প্রতি দয়ার দৃষ্টি দিবেন না।

(وَلَا يُزَكِّيهِمْ) ‘‘তাদেরকে পবিত্র করবেন না’’ অর্থাৎ তাদের ‘আমলকে বৃদ্ধি করবেন না এবং গুনাহের অপবিত্রতা থেকে পবিত্র করবেন না।

(وَلَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ) ‘‘তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি’’। এমন শাস্তি যার বেদনা অন্তর পর্যন্ত পৌঁছে।

(الْمُسْبِلُ) ‘‘পরিধেয় বস্ত্র ঝুলিয়ে দেয়া’’ অর্থাৎ যে ব্যক্তি অহংকারবশতঃ তার পরিধানের কাপড় টাকনুর নিচ পর্যন্ত ঝুলিয়ে দেয়। (শারহে মুসলিম ১/২ খন্ড, হাঃ১০৬)

(الْمَنَّانٌ) ‘‘খোঁটাদানকারী’’ অর্থাৎ দান করার পরে আবার খোঁটা দেয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

হাদীসের শিক্ষাঃ

(১) অহংকারবশতঃ পরিধেয় বস্ত্র টাকনুর নীচে ঝুলিয়ে দেয়া হারাম। তবে অসাবধানতার কারণে যদি কাপড় টাকনুর নীচে পরে যায় তবে তা হারাম নয়।

(২) দান করে খোঁটা দেয়া হারাম। এতে দানের সাওয়াব বিনষ্ট হয়।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার

৩৩৪৫-[৪] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তারা (দাসগণ) তোমাদের ভাই, আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধীনন্থ করে দিয়েছেন। অতঃপর আল্লাহ যখন তার কোনো ভাইকে অধীন করে দেন, সে যেন নিজে যা খায়, তাকেও তাই খাওয়ায়; নিজে যা পরিধান করে, তাকেও তা পরিধান করায়। তাদের সাধ্যাতীত কাজের জন্য যেন চাপপ্রয়োগ না করে। আর একান্তই যদি সাধ্যাতীত কাজে বাধ্য করে, তবে নিজেও যেন তাকে সর্বাত্মকভাবে সাহায্য করে। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ النَّفَقَاتِ وَحَقِّ الْمَمْلُوْكِ

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِخْوَانُكُمْ جَعَلَهُمُ اللَّهُ تَحْتَ أَيْدِيكُمْ فَمَنْ جَعَلَ اللَّهُ أَخَاهُ تَحْتَ يَدَيْهِ فَلْيُطْعِمْهُ مِمَّا يَأْكُلُ وَلْيُلْبِسْهُ مِمَّا يَلْبَسُ وَلَا يُكَلِّفْهُ مِنَ الْعَمَلِ مَا يَغْلِبُهُ فَإِنْ كَلَّفَهُ مَا يَغْلِبُهُ فَلْيُعِنْهُ عَلَيْهِ»

ব্যাখ্যা: إِخْوَانُكُمْ جَعَلَهُمُ اللّٰهُ تَحْتَ)) বাক্যের মুবতাদা বা উদ্দেশ্য উহ্য রয়েছে। অর্থাৎ যারা তোমাদের গোলাম তারা তোমাদের ভাই। কেননা তোমরা সবাই এক আদামের সন্তান। তোমাদের সকলেরই মূল এক। পার্থক্য এই যে, আল্লাহ তাদেরকে তোমাদের অধিনস্থ করেছেন। অধিনস্থ হওয়ার কারণে ভ্রাতৃত্ব সম্পর্ক থেকে সে বেরিয়ে যায়নি। তাই তার সাথে ভ্রাতৃত্বসুলভ আচরণ করতে হবে।

(فَلْيُطْعِمْهُ مِمَّا يَأْكُلُ وَلْيُلْبِسْهُ مِمَّا يَلْبَسُ) সে যা খায় গোলামকে তা খাওয়াবে এবং যা পরিধান করে গোলামকে তা পরাবে।

মালিক যা খাবে গোলাম সেই মানের খাবার দেয়া, মালিক যা পরিধান করবে গোলামকে সেই মানের বস্ত্র পরিধান করতে দেয়ার নির্দেশটি মুস্তাহাব পর্যায়ের। ওয়াজিব বা জরুরী হিসেবে নয়। ‘উলামারা এই কথার উপর একমত। তবে আবূ যার গিফারী নিজে যে খাবার খেতেন তার গোলামকে হুবহু সেই খাবার দিতেন, তিনি যে বস্ত্র পরিধান করতেন হুবহু সেই মানের বস্ত্র গোলামকে দেয়ার ‘আমলটি মুস্তাহাব ‘আমল ছিল। তবে মালিকের ওপর ওয়াজিব হলো যে শহরে যে খাবার প্রচলিত এবং ব্যক্তি হিসেবে যে পরিধেয় বস্ত্র প্রচলিত সেই এলাকার সামাজিক রীতি অনুযায়ী গোলামকে অন্ন ও বস্ত্র দেয়া। চাই তার মান মালিকের খাবার ও পরিধেয় বস্ত্রর সমান হোক বা কম বেশ হোক। এমনকি মালিক যদি কোনো কারণবশত স্বেচ্ছায় তার নিজের অন্ন ও বস্ত্রের মাঝে সংকোচ করে গোলামের জন্য সংকোচ বা কমতি করা জায়িয হবে না। বরং গোলামকে সেই এলাকার প্রচলন অনুযায়ী খাবার ও বস্ত্র দিতে হবে।

(وَلَا يُكَلِّفْهُ مِنَ الْعَمَلِ مَا يَغْلِبُه فَإِنْ كَلَّفَه مَا يَغْلِبُه فَلْيُعِنْهُ عَلَيْهِ) গোলামকে তার সাধ্যের উপর কাজ চাপাবে না। যদি চাপায় তবে সে তাকে সহযোগিতা করবে।

‘উলামায়ে কিরাম এই মাসআলার উপরও একমত যে, গোলামকে এমন কাজ দেয়া যাবে না যা তার সাধ্য বা সামর্থ্যের বাহিরে। অর্থাৎ অতিরিক্ত কষ্টদায়ক কাজ যা সাধারণত করতে অপারগ এমন কোনো কাজ গোলামের কাঁধে চাপাবে না। যদি এমন কাজ দিয়েই দেয় তবে নিজে গোলামকে সাহায্য করবে অথবা তার সাহায্যের জন্য লোক নিয়োগ করবে যাতে উভয়ের সহযোগিতায় কাজটি সহজসাধ্য হয়। সহজসাধ্য করা ছাড়া গোলামের উপর অতিরিক্ত ভারী কোনো কাজের দায়িত্ব দিবে না। (শারহে মুসলিম ১১/১২ খন্ড, হাঃ ১৬৬১)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - স্ত্রীর খোরপোষ ও দাস-দাসীর অধিকার

৩৩৬৯-[২৮] আবূ যার্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের অধীনস্থ দাস-দাসীকে নিজেরা যা খাবে, তাকেও তাই খাওয়াবে; নিজেরা যা পরিধান করবে, তাকেও তাই পরিধান করাবে। আর যারা তোমাদের (অধীনস্থ) উপযোগী বা মানানসই নয়, তাদের বিক্রি করে দাও এবং তোমরা আল্লাহর বান্দাকে কষ্ট দিও না। (আহমাদ, আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ لَاءَمَكُمْ مِنْ مَمْلُوكِيكُمْ فَأَطْعِمُوهُ مِمَّا تَأْكُلُونَ وَاكْسُوهُ مِمَّا تَكْسُونَ وَمَنْ لَا يُلَائِمُكُمْ مِنْهُمْ فَبِيعُوهُ وَلَا تُعَذِّبُوا خَلَقَ اللَّهِ» . رَوَاهُ أَحْمد وَأَبُو دَاوُد

ব্যাখ্যা: (لَاءَمَكُمْ) ‘আরবী শব্দ (المُلاءَمَةُ) থেকে নির্গত। যার অর্থ উপযোগী হওয়া, খাপ খাওয়া, সন্ধি হওয়া ইত্যাদি। হাদীসের অর্থ হলো, যে গোলামের সাথে তোমাদের খাপ খায় তথা বনিবনা হয় তাকে নিজে যা খাও খাওয়ায়, নিজে যা পরিধান করো তাকে পরিধান করাও। অর্থাৎ তাকে সাথে রাখো এবং তার সাথে কোনো বৈষম্য আচরণ করো না। তবে ইতোপূর্বে এই মর্মের হাদীসের আলোচনায় আমরা জেনেছি যে, মালিকের সাদৃশ্য হুবহু খাবার ও পরিধেয় বস্তু গোলামকে দেয়ার হুকুমটি মুস্তাহাব পর্যায়ের। তবে গোলামকে তার জন্য প্রচলিত মানের খাবার ও পরিধেয় বস্তু অবশ্যই দিতে হবে। এতে কৃপণ করা যাবে না।

(وَمَنْ لَا يُلَائِمُكُمْ مِنْهُمْ فَبِيْعُوْهُ) আর গোলামের মধ্যে যে তোমাদের উপযোগী না হয় তাকে বিক্রি করে দাও। অর্থাৎ গোলামের সাথে বনিবনা না হলে তাকে প্রহার করবে না, বরং বিক্রি করে দিবে; কেননা আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টিকে কষ্ট দেয়া জায়িয নয়। বনিবনা না হওয়ার কারণে অনেক সময় অযথা তাকে কষ্ট দিতে পার যা তোমার গুনাহের কারণ হবে। পরবর্তীতে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা‘আলার সৃষ্টিকে কষ্ট না দেয়ার বিষয়টি ব্যাপক আকারে নির্দেশ দিয়ে বলেন, (وَلَا تُعَذِّبُوْا خَلَقَ اللّٰهِ) আল্লাহর সৃষ্টিকে কষ্ট দিয়ো না। অর্থাৎ আল্লাহর তা‘আলার কোনো সৃষ্টিকেই কষ্ট দেয়া যাবে না। আল্লাহর দাসকে কষ্ট দিয়ো না বলে সাধারণভাবে আল্লাহর সৃষ্টির কষ্ট না দেয়ার কথার বলার মাঝে দু’টি ফায়েদা রয়েছে। (এক) গোলামকে যেমন কষ্ট দেয়া জায়িয নেই তেমনি আল্লাহর কোনো সৃষ্টিকেই অন্যায় কষ্ট দেয়া জায়িয নেই। গোলামকে কষ্ট না দেয়ার কথা বলতে গিয়ে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যান্য সৃষ্টির কথাও ঢুকিয়ে দিলেন। (দুই) যে কোনো সৃষ্টির কষ্ট দেয়ার কথা নিষেধ করলে গোলামের কষ্ট দেয়ার নিষেধাজ্ঞা আরো দৃঢ় হয়। কেননা যে কোন সৃষ্টিকে কষ্ট দেয়া যেখানে নিষেধ, সেখানে গোলাম সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ, সেই তুলনায় তাকে কষ্ট আরো বেশি খারাপ ও নিষেধের আওতায় পড়বে। মোটকথা, ব্যাপকভাবে বলে গোলামকে কষ্ট দেয়ার নিষেধাজ্ঞা দৃঢ় করা উদ্দেশ্য। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৩৮৩-[২] আবূ যার গিফারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করলাম, কোন্ কাজ সর্বোত্তম? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহ তা’আলার প্রতি ঈমান আনা এবং তাঁর পথে জিহাদ করা। তিনি (আবূ যার) বলেন, আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, কোন্ গোলাম মুক্ত করা উত্তম? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যার মূল্যায়ন সর্বত্র এবং যে তার মালিকের নিকট অধিক পছন্দনীয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আমি যদি এমনটি করতে অক্ষম হই। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তাহলে কোনো কর্মরত শ্রমিককে সাহায্য করবে অথবা কোনো অদক্ষ বা অনভিজ্ঞ ব্যক্তিকে কাজ করে দেবে। আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, (এতেও) যদি আমি সক্ষম না হই। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তুমি মানুষের কোনো প্রকার ক্ষতিসাধন হতে বিরত থাকবে। কেননা এটাও সাদাকা, যা তুমি নিজের জন্য করতে পার। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّ الْعَمَلِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «إِيمَانٌ بِاللَّهِ وَجِهَادٌ فِي سَبِيلِهِ» قَالَ: قُلْتُ: فَأَيُّ الرِّقَابِ أَفْضَلُ؟ قَالَ: «أَغْلَاهَا ثَمَنًا وَأَنْفَسُهَا عِنْدَ أَهْلِهَا» . قُلْتُ: فَإِنْ لَمْ أَفْعَلْ؟ قَالَ: «تُعِينُ صَانِعًا أَوْ تَصْنَعُ لِأَخْرَقَ» . قُلْتُ: فَإِنْ لَمْ أَفْعَلْ؟ قَالَ: «تَدَعُ النَّاسَ مِنَ الشَّرِّ فَإِنَّهَا صَدَقَةٌ تَصَدَّقُ بهَا على نَفسك»

ব্যাখ্যা: (أَنْفَسُهَا عِنْدَ أَهْلِهَا) ‘‘তার প্রভুর নিকট অধিক প্রিয়’’ তাদের নিকট খুবই আনন্দের বিষয় সে দাসকে নিয়ে। তাকে তারা মুক্ত করে একান্ত খালেস নিয়্যাতে। যেমন আল্লাহর তা‘আলার উক্তি: لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتّٰى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ ‘‘তোমরা তোমাদের প্রিয়বস্তু খরচ না করা পর্যন্ত কক্ষনো পুণ্য লাভ করবে না’’- (সূরা আ-লি ‘ইমরান ৩ : ৯২) দ্বারা উদ্দেশ্য দরিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত অভাবী ব্যক্তি।

(تَدَعُ النَّاسَ مِنَ الشَّرِّ) ‘‘মানুষের ক্ষতি করা হতে বিরত থাকা প্রমাণ করে’’ খারাপ হতে বিরত থাকাটাও মানুষের কর্মের অন্তর্ভুক্ত ও তার উপার্জনের জন্য সে প্রতিদানপ্রাপ্ত হবে অথবা শাস্তিপ্রাপ্ত হবে প্রতিদান অর্জিত হতে, কেবল তা আল্লাহর সন্তুষ্টির অর্জনের মাধ্যমে।
হাদীসে আরও সাব্যস্ত হয় যে, ‘আমল ঈমানের পরে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা উত্তম। কেউ কেউ বলেছেন, জিহাদের সাথে একত্রিত করা প্রমাণ করে সে সময় উত্তম ‘আমল হয় জিহাদ।

কুরতুবী (রহঃ) বলেনঃ জিহাদের মর্যাদা নির্দিষ্ট সময়ের প্রেক্ষিতে আর পিতা-মাতার সাথে সদাচারণের মর্যাদা ঐ ব্যক্তির জন্য যার পিতা-মাতা রয়েছে তার জন্য জিহাদের অনুমোদন নেই তাদের অনুমতি ব্যতিরেকে।

মূল কথা হলো, প্রশ্নকারীর অবস্থার প্রেক্ষিতে জওয়াব দেয়া হয়েছে।

ইবনু মুনীর বলেনঃ হাদীস ইঙ্গিত বহন করে যে, কর্মহীন ব্যক্তিকে সাহায্য করার চেয়ে কর্মজীবি ব্যক্তিকে সাহায্য করা উত্তম, কেননা কর্মহীন ব্যক্তিকে তার কর্মহীনতার জন্য সবাই তাকে সাহায্য করে কিন্তু কর্মহীন ব্যক্তিকে তার কর্মের কারণে সাহায্য করা হতে বিরত থাকে আর তাকে সাহায্য করা গোপন সাদাকার সমতুল্য। (ফাতহুল বারী ৫ম খন্ড, হাঃ ২৫১৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে সব অপরাধের ক্ষতিপূরণ (জরিমানা) নেই

৩৫২৬-[১৭] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অনুমতি ব্যতীত ঘরের পর্দা সরিয়ে অভ্যন্তরে দৃষ্টিপাত করল এবং গৃহকর্তার স্ত্রীকে দেখে ফেলল সে নিজের ওপর শারী’আতের শাস্তি অবধারিত করে ফেলল। কেননা, এভাবে আসা এবং গৃহাভ্যন্তরের দিকে তাকানো তার জন্য জায়িয নেই। আর সে যখন গৃহাভ্যন্তরের দিকে দৃষ্টিপাত করা অবস্থায় তখন যদি ঘরের কোনো পুরুষ এসে তার সামনে উপস্থিত হয়ে তার চক্ষু ফুঁড়ে দেয়, তাহলে আমি আঘাতকারীকে দোষী সাব্যস্ত করব না। আর যে ঘরের দরজায় কোনো পর্দা নেই এবং দরজাও উন্মুক্ত, এমতাবস্থায় যদি কেউ কোনো ঘরের সামনে দিয়ে অতিক্রমকালে দৃষ্টিপাত করে তার কোনো অপরাধ হবে না। কেননা তখন গৃহবাসী অপরাধী হবে। (তিরমিযী; তিনি বলেন, হাদীসটি গরীব)[1]

عَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ كَشَفَ سِتْرًا فَأَدْخَلَ بَصَرَهُ فِي الْبَيْتِ قَبْلَ أَنْ يُؤْذَنَ لَهُ فَرَأَى عَوْرَةَ أَهْلِهِ فَقَدْ أَتَى حَدًّا لَا يَحِلُّ لَهُ أَنْ يَأْتِيَهُ وَلَوْ أَنَّهُ حِينَ أَدْخَلَ بَصَرَهُ فَاسْتَقْبَلَهُ رَجُلٌ فَفَقَأَ عَيْنَهُ مَا عَيَّرْتُ عَلَيْهِ وَإِنْ مَرَّ الرَّجُلُ عَلَى بَابٍ لَا سِتْرَ لَهُ غَيْرِ مُغْلَقٍ فَنَظَرَ فَلَا خَطِيئَةَ عَلَيْهِ إِنَّمَا الْخَطِيئَةُ عَلَى أَهْلِ الْبَيْتِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيب

ব্যাখ্যা: যে ব্যক্তি বিনা কোনো অনুমতিতে পর্দা বা প্রতিবন্ধককে উঠিয়ে ফেলে অথবা সরিয়ে দেয়া বাড়ির ভিতরের গোপন বিষয় দেখলো, সে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করলো। এর কারণ হলো এটা তার জন্য হালাল নয়। যেমন কুরআন মাজীদে বর্ণিত হয়েছে- وَمَنْ يَتَعَدَّ حُدُودُ اللّٰهِ فَقَدْ ظَلَمَ نَفْسَه (সূরা আত্ তালাক ৬৫ : ১) আর সে কারণ হাদীসের পরবর্তী অংশে বলা হয়েছে, (لَوْ أَنَّه حِينَ أَدْخَلَ بَصَرَه فَاسْتَقْبَلَه رَجُلٌ فَفَقَأَ عَيْنَه مَا عَيَّرْتُ عَلَيْهِ) অর্থাৎ বাড়ির মানুষ তার চোখকে ফুঁড়ে দিলে তার কোনো অপরাধ নেই। তবে যে ব্যক্তির দৃষ্টি এমন দরজায় আপতিত হয় যাতে এমন পর্দা ঝুলানো থাকে না যা দৃষ্টি নিবারণ করে বা তাতে দৃষ্টি নিবারিত হয়। তখন তার কোনো অপরাধ নয়। যদি সে এটা ইচ্ছাকৃত না করে। এক্ষেত্রে অপরাধ হলো বাড়ির লোকজনের। এতে এটাও প্রমাণ হয় যে, বাড়ির লোকজনের ওপর যে কোনো একটি কাজ করা ওয়াজিব। আর তা হলো দরজায় পর্দা ঝুলিয়ে রাখা অথবা দরজা বন্ধ রাখা। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৭ম খন্ড, হাঃ ২৭০৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - চোরের হাত কাটা প্রসঙ্গ

৩৬০৯-[২০] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একদিন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ হে আবূ যার! আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আমি আপনার খিদমাতে উপস্থিত। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ ঐ সময় তুমি কি করবে, যখন আকস্মিক মহামারিতে ব্যাপকভাবে মানুষ মারা যাবে। এমনকি একটি ঘরের তথা কবরের মূল্য একটি গোলামের মূল্যের সমপরিমাণ হবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহ এবং তাঁর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিক অবগত। তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ এমতাবস্থায় তুমি ধৈর্যধারণ করবে। হাম্মাদ ইবনু আবূ সুলায়মান বলেন : কাফন চোরের হাত কাটা যাবে। কারণ সে মৃত ব্যক্তির ঘরে (চুরির উদ্দেশে) প্রবেশ করেছে। (আবূ দাঊদ)[1]

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَا أَبَا ذَرٍّ» قُلْتُ: لَبَّيْكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَسَعْدَيْكَ قَالَ: «كَيْفَ أَنْتَ إِذَا أَصَابَ النَّاسَ مَوْتٌ يَكُونُ الْبَيْتُ فِيهِ بِالْوَصِيفِ» يَعْنِي الْقَبْرَ قُلْتُ: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: «عَلَيْكَ بِالصَّبْرِ» قَالَ حمَّادُ بنُ أبي سُليمانَ: تُقْطَعُ يَدُ النَّبَّاشِ لِأَنَّهُ دَخَلَ عَلَى الْمَيْتِ بيتَه. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ

ব্যাখ্যা: ইমাম আবূ হানীফাহ্ ও ইমাম মুহাম্মাদ প্রমুখগণ বলেন, দাফনের পর কবর থেকে মৃত লাশের কাফন চুরি করলে চোরের হাত কাটা যাবে না। কেননা কবর গৃহের ন্যায় সুরক্ষিত স্থান নয় এবং তাতে কোনো পাহারাদারও নেই। এমন গৃহকে সুরক্ষিত বলা যায় না। এরূপ ঘর থেকে চুরি হলে চোরের হাত কাটা যাবে না। অবশ্য শাসক অন্য যে কোনো শাস্তি দিতে পারেন। তবে ইমাম আবূ হানীফাহ্-এর প্রসিদ্ধ উস্থায হাম্মাদ ইবনু আবূ সুলায়মান ও অন্যান্য ইমামগণ বলেন, কাফন চোরের হাত কাটা যাবে। তার উক্ত হাদীসের শব্দ থেকে প্রমাণ গ্রহণ করেন যে, রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবরকে (বায়ত) গৃহ বলেছেন। আর গৃহ থেকে চুরি করলে হাত কর্তিত হয়। কিন্তু শুধু ‘গৃহ’ শব্দ দ্বারা কাফন চুরির প্রতি ‘‘হাদ্দ’’ সাব্যস্ত করা যুক্তিযুক্ত নয়। কেননা কবর গৃহ হলেও সুরক্ষিত নয়। অথচ সুরক্ষিত মাল চুরি ব্যতীত হাদ্দ প্রযোজ্য হয় না। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৬৮২-[২২] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম : হে আল্লাহর রসূল! আপনি কি আমাকে (কোনো অঞ্চলের) শাসক নিযুক্ত করবেন না? তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমার কাঁধে করাঘাত করে বললেনঃ হে আবূ যার! তুমি একজন দুর্বল প্রকৃতির লোক, আর শাসনকার্য হলো একটি আমানত। নিশ্চয় তা হবে কিয়ামতের দিন অপমান ও লাঞ্ছনা। তবে সে ব্যক্তি ব্যতীত, যে তা ন্যায়সঙ্গতভাবে মেনে নিয়েছে এবং নিষ্ঠার সাথে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে।

অপর এক বর্ণনাতে আছে- তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে বললেনঃ হে আবূ যার! আমি দেখছি তুমি একজন দুর্বলমনা লোক। আর আমি তোমার জন্য সেটাই পছন্দ করি, যা আমি নিজের জন্য পছন্দ করি। তুমি কক্ষনো দু’জন লোকেরও শাসক হয়ো (দায়িত্বভার নিও) না। আর ইয়াতীমের ধন-সম্পদের অভিভাবকও হয়ো না। (মুসলিম)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ قَالَ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلَا تَسْتَعْمِلُنِي؟ قَالَ: فَضَرَبَ بِيَدِهِ عَلَى مَنْكِبِي ثُمَّ قَالَ: «يَا أَبَا ذَرٍّ إِنَّكَ ضَعِيفٌ وَإِنَّهَا أَمَانَةٌ وَإِنَّهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ خِزْيٌ وَنَدَامَةٌ إِلَّا مَنْ أَخَذَهَا بِحَقِّهَا وَأَدَّى الَّذِي عَلَيْهِ فِيهَا» . وَفِي رِوَايَةٍ: قَالَ لَهُ: «يَا أَبَا ذَرٍّ إِنِّي أَرَاكَ ضَعِيفًا وَإِنِّي أُحِبُّ لَكَ مَا أُحِبُّ لِنَفْسِي لَا تَأَمَّرَنَّ عَلَى اثْنَيْنِ وَلَا تَوَلَّيَنَّ مَالَ يَتِيمٍ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

ব্যাখ্যা: এ হাদীসের মাঝে বড় একটি মৌলিক নেতৃত্ব বা ক্ষমতা থেকে বেঁচে থাকা। বিশেষ করে যে ব্যক্তির মাঝে দুর্বলতা রয়েছে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারবে না।

অতঃপর নেতৃত্ব পাওয়ার বিষয়টি হক কিন্তু সে তার যোগ্য নয়। অথবা যোগ্যব্যক্তি কিন্তু ন্যায় ইনসাফ করতে পারেনি। আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন অপমানিত এবং লাঞ্ছিত করবেন। আর লাঞ্ছিত হবেন অন্যায় কাজ করার জন্য। আর যে ব্যক্তি নেতৃত্বের যোগ্য এবং নেতৃত্বের সময় ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করেছে তার জন্য মহান সাওয়াব রয়েছে। (শারহে মুসলিম ১২শ খন্ড, হাঃ ১৮২৫-১৬)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ ৩৪১ থেকে ৩৬০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫১৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 · · · 15 16 17 18 19 · · · 23 24 25 26 পরের পাতা »