পরিচ্ছেদঃ ১০/১৪০. দু’ সিজদার মধ্যে অপেক্ষা করা।
৮১৯. মালিক ইবনু হুয়াইরিস (রাযি.) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে কিছুদিন অবস্থান করলাম। তিনি আমাদের বললেন, তোমরা তোমাদের পরিবার পরিজনদের মধ্যে ফিরে যাবার পর অমুক সালাত অমুক সময়, অমুক সালাত অমুক সময় আদায় করবে। সময় হলে তোমাদের কেউ আযান দেবে এবং তোমাদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ইমামাত করবে।(৬২৮; মুসলিম ৬২৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৭৭৩ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৮১ শেষাংশ)
بَاب الْمُكْثِ بَيْنَ السَّجْدَتَيْنِ
قَالَ فَأَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَقَمْنَا عِنْدَهُ فَقَالَ لَوْ رَجَعْتُمْ إِلَى أَهْلِيكُمْ صَلُّوا صَلاَةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا صَلُّوا صَلاَةَ كَذَا فِي حِينِ كَذَا فَإِذَا حَضَرَتْ الصَّلاَةُ فَلْيُؤَذِّنْ أَحَدُكُمْ وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْبَرُكُمْ.
Malik bin Huwairith said, "We came to the Prophet (after embracing Islam) and stayed with him. He said to us, 'When you go back to your families, pray such and such a prayer at such and such a time, pray such and such a prayer at such and such a time, and when there is the time for the prayer then only of you should pronounce the Adhan for the prayer and the oldest of you should lead the prayer."
পরিচ্ছেদঃ ১০/১৪২. সালাতের বেজোড় রাক‘আতে সিজদা্ হতে উঠে বসার পর দন্ডায়মান হওয়া।
৮২৩. মালিক ইবনু হুয়াইরিস লাইসী (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে সালাত আদায় করতে দেখেছেন। তিনি তাঁর সালাতের বেজোড় রাক‘আতে (সাজ্দাহ হতে) উঠে না বসে দাঁড়াতেন না।* (আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৮৫)
(বুখারী ১ম ১১৩ পৃষ্ঠা। আবূ দাউদ ১১১, ১১২ পৃষ্ঠা। নাসাঈ ১৭৩ পৃষ্ঠা। ইব্নু মাজাহ ৬৪ পৃষ্ঠা। মেশতাক ৭৫ পৃষ্ঠা, মেশতাক নূর মোহাম্মদ আযমী ও মাদ্রাসা পাঠ্য ২য় খণ্ড হাদীস নং ৭৩৪, ৭৪০। বুখারী আযীযুল হক ১ম খণ্ড হাদীস নং ৪৭৩, বুখারী আধুনিক প্রকাশনী ১ম খণ্ড হাদীস নং ৭৫৮, ৭৭৭, ৭৭৮। বুখারী ইঃফাঃ হাদীস ৭৮৩; মুসলিম ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২য় খণ্ড হাদীস নং ৭৬৯। আবূ দাউদ ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১ম খণ্ড হাদীস নং ৮৪২, ৮৪৪। তিরমিযী ইসলামিক ফাউন্ডেশন ১ম খণ্ড হাদীস নং ২৮। ইসলামিয়াত বি-এ. হাদীস পর্ব ১২৫ পৃষ্ঠা)
بَاب مَنْ اسْتَوَى قَاعِدًا فِي وِتْرٍ مِنْ صَلاَتِهِ ثُمَّ نَهَضَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ، قَالَ أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، قَالَ أَخْبَرَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ اللَّيْثِيُّ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي، فَإِذَا كَانَ فِي وِتْرٍ مِنْ صَلاَتِهِ لَمْ يَنْهَضْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا.
Narrated Malik bin Huwairith Al-Laithi:
I saw the Prophet (ﷺ) praying and in the odd rak`at, he used to sit for a moment before getting up.
পরিচ্ছেদঃ ৫৬/৪২. দু’জনের সফর।
২৮৪৮. মালিক ইবনু হুয়ায়রিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট হতে ফিরে এলাম। তিনি আমাকে ও আমার একজন সঙ্গীকে বললেন, তোমরা আযান দিবে ও ইকামত দিবে এবং তোমাদের মধ্যে যে বয়সে বড় সে ইমামত করবে। (৬২৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৬৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৬৪৮)
بَابُ سَفَرِ الِاثْنَيْنِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا أَبُوْ شِهَابٍ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ عَنْ أَبِيْ قِلَابَةَ عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ قَالَ انْصَرَفْتُ مِنْ عِنْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَنَا أَنَا وَصَاحِبٍ لِيْ أَذِّنَا وَأَقِيْمَا وَلْيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا
Narrated Malik bin Al-Huwairith:
On my departure from the Prophet (ﷺ) he said to me and to a friend of mine, "You two, pronounce the Adhan and the Iqama for the prayer and let the elder of you lead the prayer."
পরিচ্ছেদঃ ৭৮/২৭. মানুষ ও জীবের প্রতি দয়া প্রদর্শন।
৬০০৮. আবূ সুলাইমান মালিক ইবনু হুওয়ায়রিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা কয়জন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে আসলাম। তখন আমরা ছিলাম প্রায় সমবয়সী যুবক। বিশ দিন তাঁর কাছে আমরা থাকলাম। তিনি বুঝতে পারলেন, আমরা আমাদের পরিবারের নিকট প্রত্যাবর্তন করার জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছি। যাদের আমরা বাড়িতে রেখে এসেছি তাদের ব্যাপারে তিনি আমাদের কাছে জিজ্ঞেস করলেন। আমরা তা তাঁকে জানালাম। তিনি ছিলেন কোমল হৃদয় ও দয়ার্দ্র। তাই তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের পরিজনের নিকট ফিরে যাও। তাদের (কুরআন) শিক্ষা দাও, (সৎ কাজের) আদেশ কর এবং যে ভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখেছ ঠিক তেমনভাবে সালাত আদায় কর। সালাতের ওয়াক্ত হলে, তোমাদের একজন আযান দেবে এবং যে তোমাদের মধ্যে বড় সে ইমামাত করবে। [৬২৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৫৭৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৪৭০)
بَاب رَحْمَةِ النَّاسِ وَالْبَهَائِمِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي سُلَيْمَانَ، مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ قَالَ أَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ شَبَبَةٌ مُتَقَارِبُونَ، فَأَقَمْنَا عِنْدَهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً، فَظَنَّ أَنَّا اشْتَقْنَا أَهْلَنَا، وَسَأَلَنَا عَمَّنْ تَرَكْنَا فِي أَهْلِنَا، فَأَخْبَرْنَاهُ، وَكَانَ رَفِيقًا رَحِيمًا فَقَالَ " ارْجِعُوا إِلَى أَهْلِيكُمْ فَعَلِّمُوهُمْ وَمُرُوهُمْ، وَصَلُّوا كَمَا رَأَيْتُمُونِي أُصَلِّي، وَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أَحَدُكُمْ، ثُمَّ لِيَؤُمَّكُمْ أَكْبَرُكُمْ ".
Narrated Abu Sulaiman and Malik bin Huwairith:
We came to the Prophet (ﷺ) and we were (a few) young men of approximately equal age and stayed with him for twenty nights. Then he thought that we were anxious for our families, and he asked us whom we had left behind to look after our families, and we told him. He was kindhearted and merciful, so he said, "Return to your families and teach them (religious knowledge) and order them (to do good deeds) and offer your prayers in the way you saw me offering my prayers, and when the stated time for the prayer becomes due, then one of you should pronounce its call (i.e. the Adhan), and the eldest of you should lead you in prayer.
পরিচ্ছেদঃ ৯৫/১. সত্যবাদী বর্ণনাকারীর খবরে ওয়াহিদ আযান, সালাত, সাওম, ফরয ও অন্যান্য আহকামের বিষয়ে অনুমোদনযোগ্য
وَقَوْلِ اللهِ تَعَالَى: (فَلَوْلاَ نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ) وَيُسَمَّى الرَّجُلُ طَائِفَةً لِقَوْلِهِ تَعَالَى: (وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنْ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا) فَلَوْ اقْتَتَلَ رَجُلاَنِ دَخَلَ فِي مَعْنَى الآ يَةِ وَقَوْلُهُ تَعَالَى: (إِنْ جَاءَكُمْ فَاسِقٌ بِنَبَإٍ فَتَبَيَّنُوا) وَكَيْفَ بَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أُمَرَاءَهُ وَاحِدًا بَعْدَ وَاحِدٍ فَإِنْ سَهَا أَحَدٌ مِنْهُمْ رُدَّ إِلَى السُّنَّةِ
আল্লাহর কথাঃ ’’তাদের প্রত্যেক দল থেকে একটি অংশ কেন বের হয় না যাতে তারা দ্বীন সম্পর্কে জ্ঞানের অনুশীলন করতে পারে এবং ফিরে আসার পর তাদের সম্প্রদায়কে সতর্ক করতে পারে যাতে তারা (অসদাচরণ) থেকে বিরত হয়?’’ (সূরাহ আত্-তওবা ৯/১২২)
طَائِفَةً শব্দটি এক ব্যক্তিকেও বুঝায়। কেননা, আল্লাহর বাণীঃ ’’মু’মিনদের দু’দল লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়লে তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দাও। অতঃপর একটি দল অপরটির উপর বাড়াবাড়ি করলে যে দলটি বাড়াবাড়ি করে, তার বিরুদ্ধে তোমরা লড়াই কর যতক্ষণ না সে দলটি আল্লাহর নির্দেশের দিকে ফিরে আসে। অতঃপর যদি দলটি ফিরে আসে, তাহলে তাদের মধ্যে ইনসাফের সঙ্গে ফায়সালা কর আর সুবিচার কর; আল্লাহ সুবিচারকারীদেরকে ভালবাসেন’’ (সূরাহ আল-হুজরাত ৪৯/৯)। অতএব যদি দু’ ব্যক্তি দ্বন্ধে লিপ্ত হয় তবে তা এ আয়াতের অর্থের মধ্যে শামিল হবে। আল্লাহর বাণীঃ ’’যদি কোন পাপাচারী তোমাদের কাছে কোন বার্তা নিয়ে আসে তোমরা তা পরখ করে দেখবে যাতে অজ্ঞতার কারণে তোমরা কোন সম্প্রদায়কে ক্ষতিগ্রস্ত না কর.....’’ (সূরাহ আল-হুজরাত ৪৯/৬)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিরূপে তাঁর আমীরদেরকে পর্যায়ক্রমে এক এক করে পাঠাতেন- যাতে তাদের কেউ ভুল করলে তাকে সুন্নাতের দিকে ফিরিয়ে আনা হয়।
৭২৪৬. মালিক ইবনু হুওয়ায়রিস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলাম। আমরা সবাই এক বয়সী যুবক ছিলাম। আমরা বিশ রাত তাঁর কাছে অবস্থান করলাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন কোমল হৃদয়ের। তিনি যখন অনুমান করলেন যে আমরা আমাদের স্ত্রী-পরিবারের প্রতি ঝুঁকে পড়েছি, কিংবা আসক্ত হয়ে পড়েছি তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন, আমরা বাড়িতে কাদেরকে রেখে এসেছি। আমরা তাঁকে জানালাম। তিনি বললেনঃ তোমরা তোমাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাও এবং তাদের মাঝে অবস্থান কর, আর তাদেরকে (দ্বীন) শিক্ষা দাও। আর তাদের হুকুম কর। তিনি (মালিক) কিছু বিষয় উল্লেখ করেছিলেন, যা আমি মনে রেখেছি বা মনে রাখতে পারিনি। (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন) তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখছ সেভাবে সালাত আদায় কর। যখন সালাতের সময় হাজির হয়, তখন তোমাদের কোন একজন যেন তোমাদের জন্য আযান দেয়, আর তোমাদের মধ্যে যে বড় সে যেন তোমাদের ইমামত করে। [৬২৮] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৫২)
[1] আযান, সালাত, সওম এবং অন্যান্য ফার্য ‘ইবাদাতের ব্যাপারে কোন বিশ্বস্ত ব্যক্তির একক সাক্ষ্যকে ‘খবরে ওয়াহিদ’ বলে। উসূলে হাদীসে এক, দু’ বা তিনজন রাবী’ (বর্ণনাকারী) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসকে খবরে ওয়াহিদ বলে।
ইবাদাত, ফারায়েয ও আহকামের ক্ষেত্রে (خبر الواحد) খবরে ওয়াহেদ হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ জায়েজ। ইমাম বুখারী (রহ.) উক্ত তিনটি বিষয় উল্লেখ করলেও আক্বীদার বিষয়ে দ্ধخبر الواحد দলীল কি না তা উল্লেখ করেননি। কিন্তু আক্বীদার ক্ষেত্রেও خبر الواحد হাদীস দ্বারা দলীল গ্রহণ জায়েয এবং সে অনুযায়ী আমল করা ওয়াজিব। এ ব্যাপারে অনেক প্রমাণ বিদ্যমান। ড. আহমাদ আল আশকার উল্লেখ করেছেন যে, শাইখ নাসিরদ্দীন আলবানী এর প্রমাণ স্বরূপ ২০টি কারণ বা দিক লিপিবদ্ধ করেছেন। এর মধ্য থেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ দলীলগুলোর দু’-একটি এখানে উল্লেখ করলাম :
কুরআন থেকে দলীল। আল্লাহ তা‘আলা বলেন :
وَمَا كَانَ الْمُؤْمِنُونَ لِيَنْفِرُوا كَافَّةً فَلَوْلا نَفَرَ مِنْ كُلِّ فِرْقَةٍ مِنْهُمْ طَائِفَةٌ لِيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنْذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ) (التوبة:১২২)
উল্লেখিত আয়াতটিতে طائفة শব্দটির শাব্দিক অর্থ واحد এবং তার উপরের জন্য প্রয়োগ করা হয়। আর ইমাম বুখারী উল্লেখ করেছেন যে, إن الرجل يسمى طائفة
কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেন : (وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا) (হুজরাত : ৯)
ফলে যদি দু’ব্যক্তি লড়াই করে তবুও তারা এই আয়াতের অর্থের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
সুতরাং আয়াত থেকে জানা যাচ্ছে যে, যদি কোন ব্যক্তি তার স্বজাতির কাছে ফিরে আসে তাহলে সে তাদেরকে সতর্ক করবে। আর انذار শব্দটি إعلام এর অর্থে যা ইলমের ফায়দা দেয়। আর তা হবে আক্বীদাহ ও অন্যান্য বিষয়ের তাবলীগের মাধ্যমে। সুতরাং কোন ব্যক্তি যদি দ্বীনের কোন বিষয় সম্পর্কে সংবাদ দিলে তা গ্রহণীয় হয়, তাহলে তো এটাই প্রমাণ করে যে, তার সংবাদ দলীল। আর দ্বীনের পান্ডিত্য অর্জন আক্বীদা ও আহকাম উভয়কে শামিল করে। বরং আহকামের ব্যাপারে পান্ডিত্য অর্জনের চাইতে আক্বীদার ব্যাপারে পান্ডিত্য অর্জন করাই বেশী গুরুত্বপূর্ণ।
২. হাদীস থেকে দলীল :
রসূল (সাঃ) মু‘আয বিন জাবালকে ইয়ামানে প্রেরণের প্রারম্ভে বলেন :
إنك تقدم على قوم أهل كتاب فليكن أ,ل ما تدعوهم إليه عبادة الله، فإذا عرفوا الله فأخبرهم إن الله قد فرض عليهم خمس صلوات في يوم وليلتهم .................
(সহীহ বুখারী ২/৫২৯ যাকাত অধ্যায়)
হাদীসটিতে সুস্পষ্ট আহবান হচ্ছে তাওহীদের দিকে। অর্থাৎ আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আনা। আর আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি ঈমান আনা আক্বাঈদের মৌলিক বিষয়ের অন্তর্গত। সুতরাং খবরু ওয়াহিদ আক্বীদার ক্ষেত্রে خبر الواحد দলীল।
৩. রসূল (সাঃ) এর বিভিন্ন গোত্রের ও রাজা বাদশার নিকট দূত প্রেরণের ধারাবাহিকতা- যেমন : দাহইয়া কালবীকে হিরাকল এর নিকট, আবদুল্লাহ ইবনু হুযাইফা সাহমীকে কিসরার নিকট, আমর ইবনু উমাইয়া জমরীকে হাবশায়, উসমান ইবনু আবিল আসকে তায়েফে, হাতেব বিন বালাতাহকে মুকাওকিস এর নিকট প্রেরণ করেন।
এই দূত প্রেরণের একমাত্র কারণ হল যাতে করে তাদের উপর দলীল প্রতিষ্ঠিত হয়। আর তাদেরকে প্রেরণের উদ্দেশ্যই ছিল তাওহীদের দিকে আহবান।
বিশেষত: যারা আক্বীদার ক্ষেত্রে خبر الواحد কে গ্রহণ করে না তাদের জন্য আক্বীদার অনেক বিষয়কে প্রত্যাখ্যান করা অপরিহার্য হয়ে পড়ে যা أخبار الآحاد হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত।
যেমন :
১. সমস্ত নাবী রসূলদের উপর মুহাম্মাদ (সাঃ) এর শ্রেষ্ঠত্ব।
২. কিয়ামাত দিবসে তার শাফা‘আতে কুবরা।
৩. কাবীরা গুনাহগারদের জন্য তাঁর শাফা‘আত।
৪. কুরআন ব্যতীত নাবী (সাঃ)’র সমস্ত মুজিযা।
৫. ফেরেশতা, জ্বিন, জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনা যা কুরআনে উল্লেখ হয়নি।
৬. কবরে মুনকার ও নাকীরের প্রশ্ন।
৭. মৃতকে কবরের চাপ দেয়া।
৮. প্রত্যেক ব্যক্তির তার মায়ের গর্ভের মধ্যেই ভাল-মন্দ, রিযিক ও মৃত্যু আল্লাহ লিপিবদ্ধ করেন তার প্রতি ঈমান আনয়ন।
৯. পুলসিরাত (الصراط), হাউজ, দু পাল্লা বিশিষ্ট মীযান (দাঁড়িপাল্লা)। (ফাতহুল বারী)
بَاب مَا جَاءَ فِي إِجَازَةِ خَبَرِ الْوَاحِدِ الصَّدُوقِ فِي الأَذَانِ وَالصَّلاَةِ وَالصَّوْمِ وَالْفَرَائِضِ وَالأَحْكَامِ
مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ قَالَ أَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ شَبَبَةٌ مُتَقَارِبُونَ فَأَقَمْنَا عِنْدَهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَفِيقًا فَلَمَّا ظَنَّ أَنَّا قَدْ اشْتَهَيْنَا أَهْلَنَا أَوْ قَدْ اشْتَقْنَا سَأَلَنَا عَمَّنْ تَرَكْنَا بَعْدَنَا فَأَخْبَرْنَاهُ قَالَ ارْجِعُوا إِلَى أَهْلِيكُمْ فَأَقِيمُوا فِيهِمْ وَعَلِّمُوهُمْ وَمُرُوهُمْ وَذَكَرَ أَشْيَاءَ أَحْفَظُهَا أَوْ لاَ أَحْفَظُهَا وَصَلُّوا كَمَا رَأَيْتُمُونِي أُصَلِّي فَإِذَا حَضَرَتْ الصَّلاَةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أَحَدُكُمْ وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْبَرُكُمْ.
Narrated Malik:
We came to the Prophet (ﷺ) and we were young men nearly of equal ages and we stayed with him for twenty nights. Allah's Messenger (ﷺ) was a very kind man and when he realized our longing for our families, he asked us about those whom we had left behind. When we informed him, he said, "Go back to your families and stay with them and teach them (religion) and order them (to do good deeds). The Prophet (ﷺ) mentioned things some of which I remembered and some I did not. Then he said, "Pray as you have seen me praying, and when it is the time of prayer, one of you should pronounce the call (Adhan) for the prayer and the eldest of you should lead the prayer. "
পরিচ্ছেদঃ ৫/৫৩. ইমামাতের জন্য কে বেশি হকদার।
৩৯১. মালিক ইবনু হুয়াইরিস (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার গোত্রের কয়েকজন লোকের সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলাম এবং আমরা তাঁর নিকট বিশ রাত অবস্থান করলাম। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত দয়ালু ও বন্ধু বৎসল ছিলেন। তিনি যখন আমাদের মধ্যে নিজ পরিজনের নিকট ফিরে যাওয়ার আগ্রহ লক্ষ্য করলেন, তখন তিনি আমাদের বললেনঃ তোমরা পরিজনের নিকট ফিরে যাও এবং তাদের মধ্যে বসবাস কর, আর তাদের দীন শিক্ষা দিবে এবং সালাত আদায় করবে। যখন সালাতের সময় উপস্থিত হয়, তখন তোমাদের একজন আযান দিবে এবং তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি বয়সে বড় সে ইমামত করবে।
من أحق بالإمامة
حَدِيْثُ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ ﷺ فِي نَفَرٍ مِنْ قَوْمِي فَأَقَمْنَا عِنْدَهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً وَكَانَ رَحِيمًا رَفِيقًا فَلَمَّا رَأَى شَوْقَنَا إِلَى أَهَالِينَا قَالَ ارْجِعُوا فَكُونُوا فِيهِمْ وَعَلِّمُوهُمْ وَصَلُّوا فَإِذَا حَضَرَتْ الصَّلاَةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أَحَدُكُمْ وَلْيَؤُمَّكُمْ أَكْبَرُكُمْ
পরিচ্ছেদঃ ৩৯. সফরে থাকাকালে আযান দেওয়া
২০৫। মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি এবং আমার এক চাচাত ভাই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে আসলাম। তিনি আমাদের বললেনঃ “যখন তোমরা উভয়ে সফর করবে তখন আযান দেবে, ইকামাত বলবে, অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে বড় সে তোমাদের ইমামতি করবে"। সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৯৭৯), বুখারী ও মুসলিম।
আবু ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ। বেশিরভাগ আলিম এ হাদীস অনুযায়ী সফর অবস্থায় আযান দেওয়ার কথা বলেছেন এবং এটা পছন্দনীয় মনে করেছেন। কিছু সংখ্যক আলিম বলেছেন, শুধু ইকামাতই যথেষ্ট। আযান তো সে ব্যক্তিই দেবে যে মানুষকে সমবেত করতে চায়। প্রথম মতটিই বেশি সহীহ। ইমাম আহমাদ ও ইসহাক এ মতেরই প্রবক্তা।
باب مَا جَاءَ فِي الأَذَانِ فِي السَّفَرِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، قَالَ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَابْنُ عَمٍّ لِي فَقَالَ لَنَا " إِذَا سَافَرْتُمَا فَأَذِّنَا وَأَقِيمَا وَلْيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ اخْتَارُوا الأَذَانَ فِي السَّفَرِ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ تُجْزِئُ الإِقَامَةُ إِنَّمَا الأَذَانُ عَلَى مَنْ يُرِيدُ أَنْ يَجْمَعَ النَّاسَ . وَالْقَوْلُ الأَوَّلُ أَصَحُّ . وَبِهِ يَقُولُ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ .
Malik bin Al-Huwairih said:
"A cousin of mine and I arrived as guests of Allah's Messenger. He said to us: 'When you travel then call the Adhan and Iqamah and let the eldest of you lead the prayer.'"
পরিচ্ছেদঃ ১০১. সিজদা হতে উঠার নিয়ম
২৮৭। মালিক ইবনু হুয়াইরিস আল-লাইসী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নামায আদায় করতে দেখেছেন। তিনি যখন নামাযের বেজোড় রাকআতে থাকতেন তখন (সিজদা হতে উঠে) সোজা হয়ে না বসা পর্যন্ত (পরবর্তী রাকাআতের জন্য) দাড়াতেন না। —সহীহ। ইরওয়া— (২/৮২-৮৩), সিফাতুস সালাত- (১৩৬), বুখারী।
আবু ঈসা বলেনঃ মালিক ইবনু হুযাইরিসের হাদীসটি হাসান সহীহ। কোন কোন বিদ্বান এ হাদীসের উপর আমল করেছেন। ইমাম ইসহাক (রহঃ) ও আমাদের কিছু সঙ্গীরা এই মত গ্রহণ করেছেন। মালিকের উপনাম আবূ সুলাইমান।
باب مَا جَاءَ كَيْفَ النُّهُوضُ مِنَ السُّجُودِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ اللَّيْثِيِّ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي فَكَانَ إِذَا كَانَ فِي وِتْرٍ مِنْ صَلاَتِهِ لَمْ يَنْهَضْ حَتَّى يَسْتَوِيَ جَالِسًا . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَيْهِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَبِهِ يَقُولُ إِسْحَاقُ وَبَعْضُ أَصْحَابِنَا . وَمَالِكٌ يُكْنَى أَبَا سُلَيْمَانَ .
Malik bin Al-Huwairith Al-Laithi narrated that he saw :
Allah's Messenger performing Salat. When he was in an odd number of his Salat, he would not get up until he had sat completely.
পরিচ্ছেদঃ ৪১. রুকূ’ ও সিজদায় ‘রফউল ইয়াদাইন’ (উভয় হাত উত্তোলণ) প্রসঙ্গে
১২৮৩. মালিক ইবনুল হুয়াইরিছ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন তাকবীর দিতেন তখন তাঁর উভয় হাত কান বরাবর উত্তোলন করতেন, আবার তিনি যখন রুকূ’ করার ইচ্ছা করতেন, (তখনও তাঁর উভয় হাত কান বরাবর উত্তোলন করতেন) এবং যখন রুকূ’ হতে মাথা উত্তোলন করতেন, (তখনও তাঁর উভয় হাত কান বরাবর উত্তোলন করতেন)।[1]
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৭৩৭; সহীহ মুসলিম ৩৯১; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৮৬৩, ১৮৭৩ তে।
بَاب فِي رَفْعِ الْيَدَيْنِ فِي الرُّكُوعِ وَالسُّجُودِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ إِذَا كَبَّرَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ أُذُنَيْهِ وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنْ الرُّكُوعِ
পরিচ্ছেদঃ ৪২. যে ব্যক্তি ইমামতির জন্য সর্বাধিক যোগ্য
১২৮৫. মালিক ইবনু হুয়াইরিছ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আমার কওমের একটি (প্রতিনিধি) দলের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট আগমণ করলাম। আর আমরা ছিলাম যুবক। এরপর আমরা তাঁর নিকট বিশ রাত অবস্থান করলাম। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন অত্যন্ত দয়ালু এবং বন্ধু বৎসল। এরপর যখন তিনি আমাদের মধ্যে আপন পরিজনের (কাছে প্রত্যাবর্তনের) প্রতি আগ্রহ লক্ষ্য করলেন, তখন তিনি আমাদেরকে বললেন: “তোমরা তোমাদের পরিজনের নিকট প্রত্যাবর্তন করো এবং তাদের মাঝে অবস্থান করো। আর তাদেরকে (কল্যাণকর কাজের) আদেশ দাও এবং (দ্বীন) শেখাও। আর তোমরা সালাত আদায় করো যেভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখলে। আর যখন সালাতের সময় উপস্থিত হয়, তখন তোমাদের মধ্য থেকে একজন যেন আযান দেয় অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে সবচেয়ে বড় সে যেন ইমামিত করে।”[1]
তাখরীজ: সহীহ বুখারী ৬২৮; সহীহ মুসলিম ৬৭৪। আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৬৫৮, ১৮৭২, ২১২৮, ২১২৯, ২১৩০। এছাড়া বাইহাকী, মা’রিফাতুস সুনান নং ৫৮৯৫; ইবনু কানি’ঈ, মু’জামুস সাহাবাহ ৩/৪৫ জীবনী নং ৯৮৯।
بَاب مَنْ أَحَقُّ بِالْإِمَامَةِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ حَدَّثَنَا وُهَيْبُ بْنُ خَالِدٍ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي نَفَرٍ مِنْ قَوْمِي وَنَحْنُ شَبَبَةٌ فَأَقَمْنَا عِنْدَهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَفِيقًا فَلَمَّا رَأَى شَوْقَنَا إِلَى أَهْلِينَا قَالَ ارْجِعُوا إِلَى أَهْلِيكُمْ فَكُونُوا فِيهِمْ فَمُرُوهُمْ وَعَلِّمُوهُمْ وَصَلُّوا كَمَا رَأَيْتُمُونِي أُصَلِّي وَإِذَا حَضَرَتْ الصَّلَاةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أَحَدُكُمْ ثُمَّ لِيَؤُمَّكُمْ أَكْبَرُكُمْ
পরিচ্ছেদঃ ৯. তাকবীরে তাহরীমার সময়, রুকু’তে যাওয়ার সময় এবং রুকু থেকে মাথা উঠানোর সময়, কাঁধ পর্যন্ত হাত উঠানো (রফউল ইয়াদাইন) মুস্তাহাব, কিন্তু সিজদা থেকে ওঠার সময় এটা না করা মুস্তাহাব
৭৫১-(২৫/...) আবূ কালিম আল জাহদারী (রহঃ) ..... মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাকবীর বলতেন, কান পর্যন্ত উভয় হাত উত্তোলন করতেন। তিনি যখন রুকূ’তে যেতেন উভয় হাত কান পর্যন্ত উত্তোলন করতেন। তিনি যখন রুকু থেকে মাথা তুলতেন তখন "সামি’আল্ল-হ লিমান হামিদাহ" বলতেন এবং অনুরূপ (কান পর্যন্ত উভয় হাত উত্তোলন) করতেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৪৯, ইসলামিক সেন্টারঃ ৭৬২)
باب اسْتِحْبَابِ رَفْعِ الْيَدَيْنِ حَذْوَ الْمَنْكِبَيْنِ مَعَ تَكْبِيرَةِ الإِحْرَامِ وَالرُّكُوعِ وَفِي الرَّفْعِ مِنَ الرُّكُوعِ وَأَنَّهُ لاَ يَفْعَلُهُ إِذَا رَفَعَ مِنَ السُّجُودِ
حَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا كَبَّرَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا أُذُنَيْهِ وَإِذَا رَكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى يُحَاذِيَ بِهِمَا أُذُنَيْهِ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ فَقَالَ " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ " . فَعَلَ مِثْلَ ذَلِكَ .
Malik b. Huwairith reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) raised his hands apposite his ears at the time of reciting the takbir (i. e. at the time of beginning the prayer) and then again raised his hands apposite the ears at the time of bowing and when he lifted his head after bowing he said: Allah listened to him who praised Him, and did like it (raised his hands up to the ears).
পরিচ্ছেদঃ ৫৩. ইমামতির জন্য বেশী যোগ্য কে?
১৪২১-(২৯২/৬৭৪) যুহারর ইবনু হারব (রহঃ) ..... মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা প্রায় এ বয়সের কিছু যুবক রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে বিশ রাত (অর্থাৎ- বিশ দিন) অবস্থান করলাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন অত্যন্ত দয়ালু ও নম্র হৃদয়। তিনি বুঝতে পারলেন যে, আমরা আমাদের পরিবারের লোকজনের প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়েছি। তাই নিজ পরিবারে আমরা কাকে কাকে রেখে গিয়েছি এ বিষয়ে তিনি আমাদের জিজ্ঞেস করলে আমরা তাকে সে বিষয়ে অবহিত করলাম। তখন তিনি বললেনঃ ঠিক আছে, তোমরা নিজ পরিবার-পরিজনের কাছে ফিরে যাও এবং তাদের মধ্যে অবস্থান করে তাদেরকে ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষাদান করো। আর এ বিষয়ে তাদেরকে বিভিন্ন কাজ করতে আদেশ করো। আর সালাতের সময় হলে তোমাদের কেউ আযান দিবে। তবে বয়সে যে সবার বড় সে ইমামাত করবে*। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৪০৭, ইসলামীক সেন্টার ১৪১৯)
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، قَالَ أَتَيْنَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَنَحْنُ شَبَبَةٌ مُتَقَارِبُونَ فَأَقَمْنَا عِنْدَهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم رَحِيمًا رَقِيقًا فَظَنَّ أَنَّا قَدِ اشْتَقْنَا أَهْلَنَا فَسَأَلَنَا عَنْ مَنْ تَرَكْنَا مِنْ أَهْلِنَا فَأَخْبَرْنَاهُ فَقَالَ " ارْجِعُوا إِلَى أَهْلِيكُمْ فَأَقِيمُوا فِيهِمْ وَعَلِّمُوهُمْ وَمُرُوهُمْ فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أَحَدُكُمْ ثُمَّ لْيَؤُمَّكُمْ أَكْبَرُكُمْ " .
Malik b. Huwairith reported:
We came to the Messenger of Allah (ﷺ) and we were all young men of nearly equal age. We stayed with him (the Holy Prophet) for twenty nights, and as the Messenger of Allah (ﷺ) was extremely kind and tender of heart, he therefore, thought that we were eager (to see) our family (we felt homesick). So he asked us about the members of the family that we had left behind and when we informed him, he said: Go back to your family, stay with them, and teach them (beliefs and practices of Islam) and exhort them to good, and when the time for prayer comes, one amongst you should announce Adhan and then the oldest among you should lead the prayer.
পরিচ্ছেদঃ ৫৩. ইমামতির জন্য বেশী যোগ্য কে?
১৪২৩-(.../...) ইবনু আবূ উমর (রহঃ) ..... মালিক ইবনুল হুওয়াইরিস আবূ সুলাইমান (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার সমবয়সী একদল যুবকের সাথে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আসলাম। এতটুকু বর্ণনা করার পর তারা সবাই ইবনু উলাইয়্যাহ বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করলেন। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৪০৮, ইসলামীক সেন্টার ১৪২০)
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
وَحَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، عَنْ أَيُّوبَ، قَالَ قَالَ لِي أَبُو قِلاَبَةَ حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ الْحُوَيْرِثِ أَبُو سُلَيْمَانَ، قَالَ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي نَاسٍ وَنَحْنُ شَبَبَةٌ مُتَقَارِبُونَ . وَاقْتَصَّا جَمِيعًا الْحَدِيثَ بِنَحْوِ حَدِيثِ ابْنِ عُلَيَّةَ .
Malik b. Huwairith Abu Sulaiman reported:
I came to the Messenger of Allah (ﷺ) along with other persons and we were young men of nearly equal age, and the rest of the hadith was transmitted like the hadith narrated before.
পরিচ্ছেদঃ ৫৩. ইমামতির জন্য বেশী যোগ্য কে?
১৪২৪-(২৯৩/...) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম আন হানযালী (রহঃ) ..... মালিক ইবনু হুওয়াইরিস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং আমার এক বন্ধু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গেলাম। যখন আমরা তার নিকট থেকে ফিরতে চাইলাম তখন তিনি আমাদেরকে লক্ষ্য করে বললেনঃ সালাতের সময় হলে আযান দিবে এবং তারপর ইকামাত দিবে (অর্থাৎ- সালাত আদায় করবে)। তবে তোমাদের মধ্যে যে বয়সে বড় হবে সেই যেন ইমামাত করে। (ইসলামী ফাউন্ডেশন ১৪০৯, ইসলামীক সেন্টার ১৪২১)
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، قَالَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَصَاحِبٌ لِي فَلَمَّا أَرَدْنَا الإِقْفَالَ مِنْ عِنْدِهِ قَالَ لَنَا " إِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَأَذِّنَا ثُمَّ أَقِيمَا وَلْيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا " .
Malik b Huwairith reported:
I came to the Messenger of Allah (ﷺ) along with a companion of mine, and when we intended to return from him, he said: When there is time for prayer, announce prayer, pronounce Iqama, and the oldest amongst you should lead the prayer.
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ
৫২২৩-[৬৯] মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার নিকট এ সংবাদ পৌছেছে যে, লুকমান হাকীম আলায়হিস সালাম-কে জিজ্ঞেস করা হলো, আমরা আপনাকে যে মর্যাদায় দেখছি, সে মর্যাদায় আপনি কিভাবে পৌছেছেন? তিনি বললেন: সত্য কথা বলা, আমানাত যথাযথ পরিশোধ করা এবং অর্থহীন কাজ বর্জন করার মাধ্যমে। (মুওয়াত্ত্বা)
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ
وَعَنْ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّهُ قِيلَ لِلُقْمَانَ الْحَكِيمِ: مَا بَلَغَ بِكَ مَا ترى؟ يَعْنِي الْفَضْلَ قَالَ: صِدْقُ الْحَدِيثِ وَأَدَاءُ الْأَمَانَةِ وَتَرْكُ مَا لَا يَعْنِينِي. رَوَاهُ فِي «الْمُوَطَّأِ»
اسنادہ ضعیف ، رواہ مالک فی الموطا (2 / 990 ح 1926 بدون سند) ۔
(ضَعِيف)
ব্যাখ্যা : হাদীসে উল্লেখিত প্রথম (مَا) টি ইস্তিফাহাম বা প্রশ্নবোধক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। এতে বাক্যটি এভাবে হয় : (أَيُّ شَيْءٍ أَوْصَلَكَ هٰذِهِ الْمَرْتَبَةِ الَّتِي نَرَ اهَا فِياكَ مَنَ الْفَضِياَةِ الزَّائِدَةِعَلٰ غَيْرِكَ) অন্য সকলের ওপর তোমার যে বিশেষ মর্যাদা আমরা তোমার মধ্যে প্রত্যক্ষ করছি কোন জিনিস তোমাকে এই মর্যাদার স্থানে পৌঁছিয়েছে?
উত্তরে তিনি বললেন, (صِدْقُ الْحَدِيثِ) বা সত্যবচন, এ সত্য নিজের কথার ক্ষেত্রে যেমন অন্যের কথা নকল করার ক্ষেত্রেও তেমন। অনুরূপ আমানত আদায় করাটাও। পূর্বের হাদীসের মতোই সকল ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর সকল প্রকার অনর্থক কাজ ও কথা-বার্তা ত্যাগ করা। অর্থাৎ যা উপকার দেয় না তা যে স্তরেই। হোক না কেন লুকমান তা বর্জন করে চলতেন। এসব গুণাবলি তাকে অনন্য মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ মুওয়াত্ত্বা মালিক ৯ম খণ্ড, হা. ১৮০৩; আল লু'আহ্ ৮ম খণ্ড, ৪৪৮ পৃ.; আল কাশিফ ১০ম খণ্ড, ৩৩০৬ পৃ.)।
পরিচ্ছেদঃ ৬১. ইমামতির অধিক যোগ্য কে?
৫৮৯। মালিক ইবনুল হুয়াইরিস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে অথবা তার সাথীকে বললেনঃ সালাতের সময় হলে তোমরা আযান ও ইক্বামাত(ইকামত/একামত) দিবে। তারপর তোমাদের মধ্যকার বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি ইমামতি করবে।[1]
সহীহ : বুখারী ও মুসলিম।
وَفِي حَدِيثِ مَسْلَمَةَ قَالَ وَكُنَّا يَوْمَئِذٍ مُتَقَارِبَيْنِ فِي الْعِلْمِ .
- هَذَا مُدْرَجٌ .
মাসলামাহর হাদীসে রয়েছেঃ ঐ সময় আমরা ’ইলমের দিক থেকে প্রায় সমান ছিলাম।
এটি মুদরাজ।
وَقَالَ فِي حَدِيثِ إِسْمَاعِيلَ قَالَ خَالِدٌ قُلْتُ لأَبِي قِلَابَةَ فَأَيْنَ الْقُرْآنُ قَالَ إِنَّهُمَا كَانَا مُتَقَارِبَيْنِ .
- هَذَا مُرْسَل .
ইসমাঈলের হাদীসে রয়েছেঃ খালিদ বলেন, আমি আবূ ক্বিলাবাহকে জিজ্ঞেস করলাম, এখানে কুরআন সম্পর্কে অধিক পারদর্শী হওয়ার কথা বলা হলো না কেন? তিনি বললেন, তারা উভয়েই এ দিক থেকে প্রায় সমমানের ছিলেন।
এটি মুরসাল।
باب مَنْ أَحَقُّ بِالإِمَامَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ح وَحَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مَسْلَمَةُ بْنُ مُحَمَّدٍ، - الْمَعْنَى وَاحِدٌ - عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم قَالَ لَهُ أَوْ لِصَاحِبٍ لَهُ " إِذَا حَضَرَتِ الصَّلَاةُ فَأَذِّنَا ثُمَّ أَقِيمَا ثُمَّ لْيَؤُمَّكُمَا أَكْبَرُكُمَا سِنّاً "
- صحيح : ق
Malik b. al-Huwairith said that the Prophet( may peace be upon him) told him or some of his companions:
When the time of prayer comes, call the Adhan, then call the iqamah, then the one who is oldest of you should act as your imam.
The version narrated by Maslamah goes : He said: On that day we were almost equal in knowledge.
The version narrated by Isma’il says: Khalid said: I said to Abu Qilabah: where is the Qur’an(i.e. why did the Prophet(ﷺ) not say: The one who knows the Qur’an most should act as imam)? He replied: Both of them were equal in the knowledge of the Qur’an.
পরিচ্ছেদঃ ১১৮. দু’ রাক‘আত সালাত আদায়ের পর (তৃতীয় রাক‘আতের জন্য) উঠার সময় দু’ হাত উত্তোলন
৭৪৫। মালিক ইবনুল হুওয়াইরিস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাকবীরে তাহরীমা বলার সময়, রুকু’তে গমনকালে এবং রুকু’ হতে উঠার সময় দু’ হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি। [1]
সহীহ : মুসলিম।
باب من ذكر أنه يرفع يديه إذا قام من الثنتين
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ نَصْرِ بْنِ عَاصِمٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا كَبَّرَ وَإِذَا رَكَعَ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ حَتَّى يَبْلُغَ بِهِمَا فُرُوعَ أُذُنَيْهِ .
- صحيح : م
Malik b. al-Huwairith said:
I saw the Prophet (ﷺ) raise his hands when he uttered the takbir (Allah is most great), when he bowed and when he raised his head after bowing until he brought them to the lobes of his ears.
পরিচ্ছেদঃ ১৪২. বিজোড় রাক‘আতের পরে দাঁড়ানোর নিয়ম
৮৪৪। মালিক ইবনুল হুওয়াইরিস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি দেখেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতের বিজোড় রাক’আত সমূহে সোজা হয়ে না বসা পর্যন্ত দাঁড়াতেন না।[1]
সহীহ : বুখারী।
باب النُّهُوضِ فِي الْفَرْدِ
- حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلَابَةَ، عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلي الله عليه وسلم إِذَا كَانَ فِي وِتْرٍ مِنْ صَلَاتِهِ لَمْ يَنْهَضْ حَتَّى يَسْتَوِيَ قَاعِدًا .
- صحيح : خ
Abu Qilabah said:
Malik b. al-Huwairith saw that the prophet (may peace by upon him) would not stand at the end of the first or the third rak’ah until he sat down straight.
পরিচ্ছেদঃ মহানবী (ﷺ) এর মহানুভবতা ও স্নেহশীলতা
(২৭৭৪) মালিক বিন হুওয়াইরিস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা প্রায় সমবয়স্ক কতিপয় নব যুবক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বিশ দিন অবস্থান করলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত দয়ালু ও স্নেহপরবশ ছিলেন। তাই তিনি ধারণা করলেন যে, আমরা আমাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছি। সেহেতু তিনি আমাদেরকে প্রশ্ন করলেন যে, আমরা আমাদের পরিবারে কাকে ছেড়ে এসেছি? সুতরাং আমরা তাঁকে জানালাম। আর তিনি ছিলেন বিনম্র দয়াশীল। তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাও এবং তাদের মাঝেই বসবাস কর। তাদেরকে শিক্ষা দান কর এবং তাদেরকে (ভাল কাজের) আদেশ দাও। অমুক নামায অমুক সময়ে পড়। অমুক নামায অমুক সময়ে পড়। সুতরাং যখন নামাযের সময় হবে, তখন তোমাদের মধ্যে কেউ একজন আযান দেবে এবং তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে।
عَنْ مَالِكِ بْنِ الْحُوَيْرِثِ قَالَ أَتَيْنَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ وَنَحْنُ شَبَبَةٌ مُتَقَارِبُونَ فَأَقَمْنَا عِنْدَهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ رَحِيمًا رَقِيقًا فَظَنَّ أَنَّا قَدِ اشْتَقْنَا أَهْلَنَا فَسَأَلَنَا عَنْ مَنْ تَرَكْنَا مِنْ أَهْلِنَا فَأَخْبَرْنَاهُ فَقَالَ ارْجِعُوا إِلٰـى أَهْلِيكُمْ فَأَقِيمُوا فِيهِمْ وَعَلِّمُوهُمْ وَمُرُوهُمْ فَإِذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أَحَدُكُمْ ثُمَّ لْيَؤُمَّكُمْ أَكْبَرُكُمْ
পরিচ্ছেদঃ সফরকারীকে উপদেশ দেওয়া, বিদায় দেওয়ার দু‘আ পড়া ও তার কাছে নেক দু‘আর নিবেদন ইত্যাদি
(৩১৮৭) আবূ সুলায়মান মালিক ইবনে হুওয়াইরিস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা প্রায় সমবয়স্ক কতিপয় নব যুবক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বিশ দিন অবস্থান করলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অত্যন্ত দয়ালু ও স্নেহপরবশ ছিলেন। তাই তিনি ধারণা করলেন যে, আমরা আমাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাবার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে উঠেছি। সেহেতু তিনি আমাদেরকে প্রশ্ন করলেন যে, আমরা আমাদের পরিবারে কাকে ছেড়ে এসেছি? সুতরাং আমরা তাঁকে জানালে তিনি বললেন, ’’তোমরা তোমাদের পরিবারের কাছে ফিরে যাও এবং তাদের মাঝেই বসবাস কর। তাদেরকে শিক্ষা দান কর এবং তাদেরকে (ভাল কাজের) আদেশ দাও। অমুক নামায অমুক সময়ে পড়। অমুক নামায অমুক সময়ে পড়। সুতরাং যখন নামাযের সময় হবে, তখন তোমাদের মধ্যে কেউ একজন আযান দেবে এবং তোমাদের মধ্যে যে বড় সে ইমামতি করবে। (বুখারী ৬৩১, মুসলিম ১৫৬৭)
বুখারীর বর্ণনায় এরূপ বাড়তিভাবে আছে যে, আমাকে তোমরা যেভাবে নামায পড়তে দেখেছ, ঠিক সেইভাবেই নামায পড়।
وَعَن أَبي سُلَيمَانَ مَالِكِ بنِ الحُوَيْرِثِ قَالَ : أَتَيْنَا رَسُوْلَ اللهِ ﷺ وَنَحْنُ شَبَبَةٌ مُتَقَارِبُونَ، فَأقَمْنَا عِنْدَهُ عِشْرِينَ لَيْلَةً وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ رَحِيماً رَفِيقاً فَظَنَّ أنَّا قَدِ اشْتَقْنَا أهْلَنَا فَسَألَنَا عَمَّنْ تَرَكْنَا مِنْ أهْلِنَا فَأخْبَرْنَاهُ فَقَالَ ارْجِعُوا إِلَى أهْلِيكُمْ فَأَقِيمُوا فِيهمْ وَعَلِّمُوهُم وَمُرُوهُمْ وَصَلُّوا صَلاَةَ كَذَا فِي حِيْنِ كَذَا وَصَلُّوا كَذَا فِي حِيْنِ كَذَا فَإذَا حَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَلْيُؤَذِّنْ لَكُمْ أحَدُكُمْ وَلْيَؤُمَّكُمْ أكْبَرُكُمْ متفقٌ عَلَيْهِ زاد البخاري في رواية لَهُ وَصَلُّوا كَمَا رَأيْتُمُونِي أُصَلِّي