পরিচ্ছেদঃ ৭০/৪৯. রসূন ও (দুর্গন্ধযুক্ত) তরকারী মাকরূহ হওয়া প্রসঙ্গে।
৫৪৫২. ’’আত্বা (রহ.) হতে বর্ণিত আছে যে, জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাঃ) মনে করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রসূন বা পেঁয়াজ খাবে, সে যেন আমাদের হতে দূরে থাকে। অথবা তিনি বলেছেন, সে যেন আমাদের মাসজিদ হতে দূরে থাকে। [৮৫৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫০৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৯৪৫)
بَاب مَا يُكْرَه“ مِنَ الثُّومِ وَالْبُقُولِ
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا أَبُو صَفْوَانَ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ أَخْبَرَنَا يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءٌ أَنَّ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ زَعَمَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَكَلَ ثُومًا أَوْ بَصَلاً فَلْيَعْتَزِلْنَا أَوْ لِيَعْتَزِلْ مَسْجِدَنَا.
Narrated Jabir bin `Abdullah:
The Prophet (ﷺ) said, "Whoever has eaten garlic or onion should keep away from us (or should keep away from our mosque).'
পরিচ্ছেদঃ ৭৫/৬. মৃগী রোগে আক্রান্ত রোগীর ফযীলত।
৫৬৫২. ’আত্বা ইবনু আবূ রাবাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) আমাকে বললেনঃ আমি কি তোমাকে একজন জান্নাতী মহিলা দেখাব না? আমি বললামঃ অবশ্যই। তখন তিনি বললেনঃ এই কালো রঙের মহিলাটি, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসেছিল। তারপর সে বললঃ আমি মৃগী রোগে আক্রান্ত হই এবং এ অবস্থায় আমার লজ্জাস্থান খুলে যায়। সুতরাং আপনি আমার জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি যদি চাও, ধৈর্য ধারণ করতে পার। তোমার জন্য আছে জান্নাত। আর তুমি যদি চাও, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দু’আ করি, যেন তোমাকে অরোগ্য করেন। স্ত্রীলোকটি বললঃ আমি ধৈর্য ধারণ করব। সে বললঃ ঐ অবস্থায় আমার লজ্জাস্থান খুলে যায়, কাজেই আল্লাহর নিকট দু’আ করুন যেন আমার লজ্জাস্থান খুলে না যায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য দু’আ করলেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৩৬)
’আত্বা (রহ.) হতে বর্ণিত যে, তিনি সেই উম্মু যুফার -কে দেখেছেন কা’বার গিলাফ ধরা অবস্থায়। সে ছিল দীর্ঘ দেহী কৃষ্ণ বর্ণের এক মহিলা। [মুসলিম ৪৫/১৪, হাঃ ২৫৭৬, আহমাদ ৩২৪০] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫২৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫১৩৭)
بَاب فَضْلِ مَنْ يُصْرَعُ مِنَ الرِّيحِ
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيٰى عَنْ عِمْرَانَ أَبِي بَكْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ قَالَ لِي ابْنُ عَبَّاسٍ أَلاَ أُرِيكَ امْرَأَةً مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ قُلْتُ بَلٰى قَالَ هٰذِهِ الْمَرْأَةُ السَّوْدَاءُ أَتَتْ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي أُصْرَعُ وَإِنِّي أَتَكَشَّفُ فَادْعُ اللهَ لِي قَالَ إِنْ شِئْتِ صَبَرْتِ وَلَكِ الْجَنَّةُ وَإِنْ شِئْتِ دَعَوْتُ اللهَ أَنْ يُعَافِيَكِ فَقَالَتْ أَصْبِرُ فَقَالَتْ إِنِّي أَتَكَشَّفُ فَادْعُ اللهَ لِي أَنْ لاَ أَتَكَشَّفَ فَدَعَا لَهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا مَخْلَدٌ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ أَنَّه“ رَأٰى أُمَّ زُفَرَ تِلْكَ امْرَأَةً طَوِيلَةً سَوْدَاءَ عَلٰى سِتْرِ الْكَعْبَةِ.
Narrated 'Ata bin Abi Rabah:
Ibn `Abbas said to me, "Shall I show you a woman of the people of Paradise?" I said, "Yes." He said, "This black lady came to the Prophet (ﷺ) and said, 'I get attacks of epilepsy and my body becomes uncovered; please invoke Allah for me.' The Prophet (ﷺ) said (to her), 'If you wish, be patient and you will have (enter) Paradise; and if you wish, I will invoke Allah to cure you.' She said, 'I will remain patient,' and added, 'but I become uncovered, so please invoke Allah for me that I may not become uncovered.' So he invoked Allah for her."
Narrated 'Ata:
That he had seen Um Zafar, the tall black lady, at (holding) the curtain of the Ka`ba.
পরিচ্ছেদঃ ৯৪/৯. لو ‘যদি’ শব্দটি কতটা বৈধ।
৭২৩৯. ’আত্বা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এশার সালাত দেরি হল। তখন ’উমার (রাঃ) বের হয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! সালাত, মহিলা ও শিশুরা ঘুমিয়ে যাচ্ছেন। তখন তিনি বের হয়ে এলেন, তাঁর মাথা থেকে পানি টপ টপ করে পড়ছে। তিনি বলছিলেন, যদি আমার উম্মাতের জন্য কিংবা বলেছিলেন, লোকেদের জন্য, সুফ্ইয়ানও বলেছেন, আমার উম্মাতের জন্য কষ্টকর মনে না করতাম, তাহলে অবশ্যই তাদেরকে এ সময়ে সালাত পড়ার হুকুম দিতাম।
ইবনু জুরায়জ ’আত্বার সূত্রে ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সালাত বিলম্ব করলেন। ফলে ’উমার (রাঃ) এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! মহিলা ও শিশুরা ঘুমিয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি তাঁর মাথার পাশ থেকে পানি মুছতে মুছতে বের হয়ে এসে বললেনঃ আসলে এটাই সময়। এরপর বললেনঃ যদি আমি আমার উম্মাতের উপর কষ্টকর মনে না করতাম.....।
’আমর এ হাদীসটি ’আত্বা থেকে বর্ণনা করেন, সে সূত্রে ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-এর নাম নেই। তবে ’আমর বলেছেন যে, তাঁর মাথা থেকে পানি টপ টপ করে পড়ছিল। আর ইবনু জুরায়জ বলেন, তিনি তাঁর মাথার এক পাশ থেকে পানি মুছছিলেন। আবার ’আমরের বরাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যদি আমি আমার উম্মাতের উপর কষ্টকর মনে না করতাম। আর ইবনু জুরায়জ বলেন, এটাই সময়। যদি আমি আমার উম্মাতের উপর কষ্টকর মনে না করতাম.....। তবে ইব্রাহীম ইবনু মুনযির ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীসটি বর্ণিত আছে। [৫৭১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৭৩২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৭৪৫)
بَاب مَا يَجُوزُ مِنْ اللَّوْ
عَلِيٌّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا عَطَاءٌ قَالَ أَعْتَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلمبِالْعِشَاءِ فَخَرَجَ عُمَرُ فَقَالَ الصَّلاَةَ يَا رَسُولَ اللهِ رَقَدَ النِّسَاءُ وَالصِّبْيَانُ فَخَرَجَ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ يَقُولُ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي أَوْ عَلَى النَّاسِ وَقَالَ سُفْيَانُ أَيْضًا عَلَى أُمَّتِي لأَمَرْتُهُمْ بِالصَّلاَةِ هَذِهِ السَّاعَةَ قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَخَّرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم هَذِهِ الصَّلاَةَ فَجَاءَ عُمَرُ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم رَقَدَ النِّسَاءُ وَالْوِلْدَانُ فَخَرَجَ وَهُوَ يَمْسَحُ الْمَاءَ عَنْ شِقِّهِ يَقُولُ إِنَّهُ لَلْوَقْتُ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي وَقَالَ عَمْرٌو حَدَّثَنَا عَطَاءٌ لَيْسَ فِيهِ ابْنُ عَبَّاسٍ أَمَّا عَمْرٌو فَقَالَ رَأْسُهُ يَقْطُرُ وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ يَمْسَحُ الْمَاءَ عَنْ شِقِّهِ وَقَالَ عَمْرٌو لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي وَقَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ إِنَّهُ لَلْوَقْتُ لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ حَدَّثَنَا مَعْنٌ حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ عَمْرٍو عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated 'Ata:
One night the Prophet (ﷺ) delayed the `Isha' prayer whereupon `Umar went to him and said, "The prayer, O Allah's Messenger (ﷺ)! The women and children had slept." The Prophet (ﷺ) came out with water dropping from his head, and said, "Were I not afraid that it would be hard for my followers (or for the people), I would order them to pray `Isha prayer at this time." (Various versions of this Hadith are given by the narrators with slight differences in expression but not in content).
পরিচ্ছেদঃ ৯৬/২৭. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )’র নিষেধাজ্ঞা দ্বারা হারাম সাব্যস্ত হয়। তবে অন্য দলীলের দ্বারা যা মুবাহ হওয়া প্রমাণিত সেটি ছাড়া। তেমনি তাঁর নির্দেশ দ্বারা ওয়াজিব সাব্যস্ত হয়। তবে অন্য দলীল দ্বারা তা মুবাহ হওয়া প্রমাণিত হলে ভিন্ন কথা, যেমন নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম )’র বাণীঃ যখন তোমরা হালাল (ইহরাম থেকে) হয়ে যাও, নিজ স্ত্রীর সাথে সহবাস করবে।
وَقَالَ جَابِرٌ وَلَمْ يَعْزِمْ عَلَيْهِمْ وَلَكِنْ أَحَلَّهُنَّ لَهُمْ وَقَالَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ نُهِينَا عَنْ اتِّبَاعِ الْجَنَازَةِ وَلَمْ يُعْزَمْ عَلَيْنَا
জাবির (রাঃ) বলেন, এ কাজ তাদের জন্য ওয়াজিব করা হয়নি। বরং তাদের জন্য (স্ত্রী ব্যবহার) হালাল করা হয়েছে। উম্মু আতীয়্যা (রাঃ) বলেছেন, আমাদেরকে (অর্থাৎ মহিলাদেরকে) জানাযার সাথে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞা আমাদের উপর বাধ্যতামূলক নয়।
৭৩৬৭. আতা (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবির ইবন আবদুল্লাহকে এ কথা বলতে শুনেছি যে, তাঁর সাথে আরো কিছু লোক ছিল। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ কেবল হজ্জের নিয়তে ইহরাম বেঁধেছিলাম। এর সাথে উমরার নিয়ত ছিল না। বর্ণনাকারী আতা (রহ.) বলেন, জাবির (রাঃ) বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিলহজ্জ মাসের চার তারিখ সকাল বেলায় (মক্কায়) আসলেন। এরপর আমরাও যখন আসলাম, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইহরাম খুলে ফেলার হুকুম করলেন। তিনি বললেনঃ তোমরা ইহরাম খুলে ফেল এবং স্ত্রীদের সাথে মিলিত হও। (রাবী) আতা (রহ.) বর্ণনা করেন, জাবির (রাঃ) বলেছেন, (স্ত্রী সহবাস) তিনি তাদের উপর বাধ্যতামূলক করেননি বরং বৈধ করেছেন। এরপর তিনি জানতে পারেন যে, আমরা বলাবলি করছি আমাদের ও আরাফার দিনের মাঝে কেবল পাঁচদিন বাকি।
তিনি আমাদেরকে আদেশ করেছেন যে, আমরা ইহরাম খুলে স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হই। তখন আমরা আরাফায় পৌঁছব আর আমাদের পুরুষাঙ্গ থেকে মযী বের হতে থাকবে। আতা বলেন, জাবির (রাঃ) এ কথা বোঝানোর জন্য হাত দ্বারা ইশারা করেছিলেন কিংবা হাত নেড়েছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়ালেন এবং বললেনঃ তোমরা জান, আমি তোমাদের মধ্যে আল্লাহকে বেশি ভয় করি, তোমাদের চেয়ে আমি বেশি সত্যবাদী ও নিষ্ঠাবান। আমার সাথে যদি কুরবানী পশু না থাকত, আমিও তোমাদের মত ইহরাম খুলে ফেলতাম। সুতরাং তোমরা ইহরাম খুলে ফেল। আমি যদি আমার কাজের পরিণাম আগে জানতাম যা পরে জেনেছি তবে আমি কুরবানীর পশু সঙ্গে আনতাম না। কাজেই আমরা ইহরাম খুলে ফেললাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আদেশ শোনলাম এবং তাঁর আনুগত্য করলাম। [মুসলিম ১৫/১৭, হাঃ ১২১৬, আহমাদ ১৪২৪২] (ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৮৬১)
بَاب نَهْيِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى التَّحْرِيمِ إِلاَّ مَا تُعْرَفُ إِبَاحَتُهُ وَكَذَلِكَ أَمْرُهُ نَحْوَ قَوْلِهِ حِينَ أَحَلُّوا أَصِيبُوا مِنْ النِّسَاءِ
الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ عَطَاءٌ قَالَ جَابِرٌ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ بَكْرٍ البُرْسَانِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ قَالَ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ فِي أُنَاسٍ مَعَهُ قَالَ أَهْلَلْنَا أَصْحَابَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْحَجِّ خَالِصًا لَيْسَ مَعَهُ عُمْرَةٌ قَالَ عَطَاءٌ قَالَ جَابِرٌ فَقَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صُبْحَ رَابِعَةٍ مَضَتْ مِنْ ذِي الْحِجَّةِ فَلَمَّا قَدِمْنَا أَمَرَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَحِلَّ وَقَالَ أَحِلُّوا وَأَصِيبُوا مِنْ النِّسَاءِ قَالَ عَطَاءٌ قَالَ جَابِرٌ وَلَمْ يَعْزِمْ عَلَيْهِمْ وَلَكِنْ أَحَلَّهُنَّ لَهُمْ فَبَلَغَهُ أَنَّا نَقُولُ لَمَّا لَمْ يَكُنْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلاَّ خَمْسٌ أَمَرَنَا أَنْ نَحِلَّ إِلَى نِسَائِنَا فَنَأْتِي عَرَفَةَ تَقْطُرُ مَذَاكِيرُنَا الْمَذْيَ قَالَ وَيَقُولُ جَابِرٌ بِيَدِهِ هَكَذَا وَحَرَّكَهَا فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ قَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي أَتْقَاكُمْ لِلَّهِ وَأَصْدَقُكُمْ وَأَبَرُّكُمْ وَلَوْلاَ هَدْيِي لَحَلَلْتُ كَمَا تَحِلُّونَ فَحِلُّوا فَلَوْ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِي مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا أَهْدَيْتُ فَحَلَلْنَا وَسَمِعْنَا وَأَطَعْنَا
Narrated Ata:
I heard Jabir bin `Abdullah in a gathering saying, "We, the companions of Allah's Messenger (ﷺ) assumed the state of Ihram to perform only Hajj without `Umra." Jabir added, "The Prophet (ﷺ) arrived (at Mecca) on the fourth of Dhul-Hijja. And when we arrived (in Mecca) the Prophet (ﷺ) ordered us to finish the state of Ihram, saying, "Finish your lhram and go to your wives (for sexual relation)." Jabir added, "The Prophet did not oblige us (to go to our wives) but he only made that legal for us. Then he heard that we were saying, "When there remains only five days between us and the Day of `Arafat he orders us to finish our Ihram by sleeping with our wives in which case we will proceed to `Arafat with our male organs dribbling with semen?' (Jabir pointed out with his hand illustrating what he was saying). Allah's Messenger (ﷺ) stood up and said, 'You (People) know that I am the most Allah-fearing, the most truthful and the best doer of good deeds (pious) from among you. If I had not brought the Hadi with me, I would have finished my Ihram as you will do, so finish your Ihram. If I had formerly known what I came to know lately, I would not have brought the Hadi with me.' So we finished our Ihram and listened to the Prophet (ﷺ) and obeyed him."
পরিচ্ছেদঃ ১৫/১৭. ইহরামের প্রকারভেদ, আর তা হজ্জে ইফরাদ এবং তামাত্তু এবং ক্বিরান এবং হজ্জ ও উমরাহ্কে যুক্ত করা বৈধ এবং হজ্জ ক্বারেন আদায়কারী কখন তার ইহরাম থেকে হালাল হবে।
৭৬১. আত্বা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহকে এ কথা বলতে শুনেছি যে, তাঁর সঙ্গে তখন আরো কিছু লোক ছিল। আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ শুধু হাজ্জের নিয়তে ইহরাম বেঁধেছিলাম। এর সঙ্গে ’উমরাহর নিয়ত ছিল না। বর্ণনাকারী ’আত্বা (রহঃ) বলেন, জাবির (রাঃ) বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যিলহাজ্জ মাসের চার তারিখ সকাল বেলায় (মক্কায়) আগমন করলেন। এরপর আমরাও যখন আগমন করলাম, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ইহরাম খুলে ফেলার নির্দেশ দিলেন। তিনি বললেনঃ তোমরা ইহরাম খুলে ফেল এবং স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হও।
(রাবী) ’আত্মা (রহ.) বর্ণনা করেন, জাবির (রাঃ) বলেছেন, (স্ত্রীদের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করা) তিনি তাদের উপর বাধ্যতামূলক করেননি বরং মুবাহ করে দিয়েছেন। এরপর তিনি অবগত হন যে, আমরা বলাবলি করছিঃ আমাদের ও আরাফার দিনের মাঝখানে মাত্র পাঁচদিন বাকি, তিনি আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, আমরা ইহরাম খুলে স্ত্রীদের সঙ্গে মিলিত হই। তখন তো আমরা পৌছব আরাফায় আর আমাদের পুরুষাঙ্গ থেকে মযী ঝরতে থাকবে। আত্বা বলেন, জাবির (রাঃ) এ কথা বোঝানাের জন্য হাত দিয়ে ইঙ্গিত করেছিলেন কিংবা হাত নেড়েছিলেন।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে বললেনঃ তোমরা জান, আমি আমাদের মধ্যে আল্লাহকে অধিক ভয় করি, তোমাদের তুলনায় আমি অধিক সত্যবাদী ও নিষ্ঠাবান। আমার সঙ্গে যদি কুরবানীর পশু না থাকত, আমিও আমাদের মত ইহরাম খুলে ফেললাম। সুতরাং তোমরা ইহরাম খুলে ফেল। আমি যদি আমার কাজের পরিণাম আগে জানতাম যা পরে অবগত হয়েছি তবে আমি কুরবাণীর পশু সঙ্গে আনতাম না। অতএব আমরা ইহরাম খুলে ফেললাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ শুনলাম এবং তার আনুগত্য করলাম।
بيان وجوه الإحرام وأنه يجوز إِفراد الحج والتمتع والقران وجواز إِدخال الحج على العمرة، ومتى يحل القارن من نسكه
حديث جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ عَطَاءٍ؛ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ، فِي أُنَاسٍ مَعَهُ، قَالَ: أَهْلَلْنَا، أَصْحَابَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَجِّ خَالِصًا لَيْسَ مَعَهُ عُمْرَةٌ قَالَ عَطَاءٌ، قَالَ جَابِرٌ: فَقَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صُبْحَ رَابِعَةٍ مَضَتْ مِنْ ذِي الْحَجَّةِ، فَلَمَّا قَدِمْنَا أَمَرَنَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ نَحِلَّ، وَقَالَ: أَحِلُّوا وَأَصِيبُوا مِنَ النِّسَاءَ قَالَ عَطَاءٌ، قَالَ جَابِرٌ وَلَمْ يَعْزِمْ عَلَيْهِمْ، وَلكِنْ أَحَلَّهُنَّ لَهُمْ؛ فَبَلَغَهُ أَنَّا نَقُولُ: لَمَّا لَمْ يَكُنْ بَيْنَنَا وَبَيْنَ عَرَفَةَ إِلاَّ خَمْسٌ أَمَرَنَا أَنْ نَحِلَّ إِلَى نِسَائِنَا، فَنَأْتِي عَرَفَةَ تَقْطُر مَذَاكِيرُنَا الْمَذْيَ قَالَ، وَيَقُولَ جَابِرٌ، بِيَدِهِ هكَذَا، وَحَرَّكَهَا؛ فَقَامَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ: قَدْ عَلِمْتُمْ أَنِّي أَتْقَاكُمْ للهِ وَأَصْدَقُكُمْ وَأَبَرُّكُمْ، وَلَوْلاَ هَدْيِي لَحَلَلْتُ كَمَا تَحِلُّونَ، فَحِلُّوا فَلَوِ اسْتَقْبَلْتُ مِنْ أَمْرِى مَا اسْتَدْبَرْتُ مَا أَهْدَيْتُ فَحَلَلْنَا وَسَمِعْنَا وَأَطَعْنَا
পরিচ্ছেদঃ ৪৫/১৪. মু’মিন ব্যক্তি কোন অসুখে পড়লে অথবা চিন্তাগ্রস্ত হলে অথবা এ জাতীয় কোন বিপদে পড়লে এমনকি যদি তার কাটাও ফুটে তাহলে এর বিনিময়ে তাকে সওয়াব দেয়া হবে।
১৬৬৫. আত্বা ইবনু আবু রাবাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে বললেনঃ আমি কি তোমাকে একজন জান্নাতী মহিলা দেখাব না? আমি বললামঃ অবশ্যই। তখন তিনি বললেনঃ এই কৃষ্ণ বর্ণের মহিলাটি, সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসেছিল। তারপর সে বললঃ আমি মৃগী রোগে আক্রান্ত হই এবং এ অবস্থায় আমার ছতর খুলে যায়। সুতরাং আপনি আমার জন্য আল্লাহর কাছে দুআ করুন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি যদি চাও, ধৈর্য ধারণ করতে পার। তোমার জন্য থাকবে জান্নাত। আর তুমি যদি চাও, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দুআ করি, যেন তোমাকে নিরাময় করেন। মহিলা বললঃ আমি ধৈর্য ধারণ করব। সে বললঃ তবে যে সে অবস্থায় ছতর খুলে যায়। কাজেই আল্লাহর নিকট দু’আ করুন যেন আমার ছতর খুলে না যায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জন্য দুআ করলেন।
ثَوَابِ المُؤْمِنِ فِيْمَا يُصِيبُهُ مِنْ مَرَضٍ أَوْ حُزْنٍ أَوْ نَحْوِ ذَلِكَ حَتَّى الشَّوْكَةِ يُشَاكُهَا
حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ. عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، قَالَ: قَالَ لِي ابْنُ عَبَّاسٍ: أَلاَ أُرِيكَ امْرَأَةً مِنْ أَهْلِ الجَنَّةِ؟ قُلْتُ: بَلَى. قَالَ: هاذِهِ المَرْأَةُ السَّوْدَاءُ، أَتَتِ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَلَتْ: إِنِّي أُصْرَعُ، وَإِنِّي أَتكَشَّفُ، فَادْعُ الله لِي. قَالَ: «إِنْ شِئْتِ، صَبَرْتِ؛ وَلَكِ الجَنَّةُ. وَإِنْ شِئْتِ، دَعَوْتُ الله أَنْ يُعَافِيكِ» فَقَالَتْ: أَصْبِرُ. فَقَالَتْ: إِنِّي أَتكَشَّفُ: فَادْعُ الله أَنْ لاَ أَتكَشَّفَ. فَدَعَا لَهَا
পরিচ্ছেদঃ ৭. মৃত প্রাণীর প্রক্রিয়াজাত চামড়ার ব্যবহার প্রসঙ্গে
১৭২৭। আতা ইবনু আবূ রাবাহ (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে আমি বলতে শুনেছি, একটি ছাগল মারা গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মালিককে বললেনঃ তোমরা কেন তার চামড়া ছিলে নাওনি? তোমরা এটাকে প্রক্রিয়াজাতের পর কাজে ব্যবহার করতে পারতে।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৬০৯, ৩৬১০), মুসলিম
باب مَا جَاءَ فِي جُلُودِ الْمَيْتَةِ إِذَا دُبِغَتْ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ، قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ، يَقُولُ مَاتَتْ شَاةٌ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لأَهْلِهَا " أَلاَ نَزَعْتُمْ جِلْدَهَا ثُمَّ دَبَغْتُمُوهُ فَاسْتَمْتَعْتُمْ بِهِ " .
Narrated Ibn 'Abbas:
"A sheep died so the Messenger of Allah (ﷺ) said to its owners: 'Why dont you remove its skin, then tan it so you can have something useful from it."
পরিচ্ছেদঃ ৫১. জ্ঞানের আলাপ-আলোচনা
৬২৯. আতা রাহি. ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: তোমরা যখন আমাদের নিকট থেকে কোনো হাদীস শ্রবণ করবে, তখন তোমাদের মাঝে সেটি নিয়ে পরস্পর আলাপ-আলোচনা করবে।[1]
তাখরীজ: খতীব, আল জামি’ নং ৪৬৯; রমহরমুযী, আল মুহাদ্দিসুল ফাসিল নং ৭২৮।
بَابُ مُذَاكَرَةِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا أَبُو مَعْمَرٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عَبْدِ السَّلَامِ عَنْ حَجَّاجٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ إِذَا سَمِعْتُمْ مِنَّا حَدِيثًا فَتَذَاكَرُوهُ بَيْنَكُمْ
حجاج بن أرطاة ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ৫১. জ্ঞানের আলাপ-আলোচনা
৬৩৭. আতা রাহিমাহুল্লাহ বলেন: আমরা জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা’র নিকট যেতাম (এবং তার নিকট থেকে হাদীস শ্রবণ করতাম)। আর যখন আমরা তার নিকট থেকে বের হয়ে আসতাম, তখন (সেগুলি) নিজেদের মধ্যে পরস্পর আলাপ-আলোচনা করতে থাকতাম। তখন আবু যুবাইর তার হাদীসের জন্য আমাদেরকে উত্তেজিত করতেন।[1]
তাখরীজ: আবু খায়ছামা, আল ইলম নং ৭৯; খতীব, আল জামি’ নং ৪৭১।
بَابُ مُذَاكَرَةِ الْعِلْمِ
أَخْبَرَنَا أَبُو مَعْمَرٍ وَمُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى عَنْ هُشَيْمٍ أَخْبَرَنَا حَجَّاجٌ عَنْ عَطَاءٍ قَالَ كُنَّا نَأْتِي جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ فَإِذَا خَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِ تَذَاكَرْنَا فَكَانَ أَبُو الزُّبَيْرِ أَحْفَظَنَا لِحَدِيثِهِ
إسناده ضعيف لضعف حجاج وهو: ابن أبي أرطاة
পরিচ্ছেদঃ ৭০. আহত ব্যক্তি জুনুবী বা নাপাক হলে
৭৭৫. আতা ইবনু আবী রাবাহ বলেন, আমি ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমাকে বর্ণনা করতে শুনেছি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সময়ে এক ব্যক্তি আহত হয়। এরপর (রাতে) তার স্বপ্নদোষ হয়। আর লোকেরা তাকে গোসল করার জন্য নির্দেশ দেয়। ফলে সে মৃত্যু বরণ করে। তখন এ খবর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট পৌঁছলে তিনি বলেন: “তারা তাকে হত্যা করেছে। আল্লাহ তাদেরকে ধ্বংস করুন! প্রশ্ন করাই (তাদের) অজ্ঞতার প্রতিকার নয় কি?”[1]আতা বলেন: আমার কাছে এ সংবাদ পৌঁছেছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পরবর্তীতে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন: “সে যদি তার আঘাতপ্রাপ্ত স্থান মাথা বাদ দিয়ে শরীর ধুয়ে ফেলতো, (তবে তা-ই যথেষ্ট হতো)।”[2]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৪২০ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৩১৪; ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২০১। ((হাকিম ১/১৬৫, ১৭৮, হাকিম ও যাহাবী একে সহীহ বলেছেন; ইবনু মাজাহ ৫৭২; বাইহাকী ১/২২৬-২২৭; সহীহ ইবনু খুযাইমাহ নং ২৭৩; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৩০৪; আব্দুর রাযযাক, আল মুছান্নাফ ৮৬৭; আহমাদ ১/৩৩০; আবু দাউদ ৩৩৭।
আর এর শাহিদ হাদীস জাবির রা: থেকে বর্ণনা করেছেন আবু দাউদ ৩৩৫, ৩৩৬; বাইহাকী ১/২২৭ )
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদও মুনকাতি’। এটি আতা’ হতে মুরসাল বর্ণনাসমূহের একটি।
তাখরীজ: দারুকুতনী ১/১৯১; খতীব, ফাকীহ ওয়াল মুতাফাককিহ ২/৬৮।
بَابُ الْمَجْرُوحِ تُصِيبُهُ الْجَنَابَةُ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ بَلَغَنِي أَنَّ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ إِنَّهُ سَمِعَ ابْنَ عَبَّاسٍ يُخْبِرُ أَنَّ رَجُلًا أَصَابَهُ جُرْحٌ فِي عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ثُمَّ أَصَابَهُ احْتِلَامٌ فَأُمِرَ بِالِاغْتِسَالِ فَمَاتَ فَبَلَغَ ذَلِكَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ قَتَلُوهُ قَتَلَهُمْ اللَّهُ أَلَمْ يَكُنْ شِفَاءَ الْعِيِّ السُّؤَالُ وَقَالَ عَطَاءٌ بَلَغَنِي أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سُئِلَ بَعْدَ ذَلِكَ فَقَالَ لَوْ غَسَلَ جَسَدَهُ وَتَرَكَ رَأْسَهُ حَيْثُ أَصَابَهُ الْجُرْحُ
إسناده منقطع ولكن الحديث صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮২৭. আতা রাহি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইসতিহাযাহগ্রস্ত মহিলা সম্পর্কে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলতেন: সে যুহর এবং আসর সালাতের জন্য একবার গোসল করবে; মাগরিব ও ঈশা’র সালাতের জন্যও একবার গোসল করবে। আর তিনি আরও বলতেন: সে যুহরকে বিলম্বিত করে (তার শেষে সময়ে) ও আসরকে এগিয়ে নিয়ে (তার প্রথম সময়ে) আদায় করবে। আর মাগরিবকে বিলম্বিত করে (তার শেষ সময়ে) এবং ঈশা’কে আগে আগে আদায় করবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/১২৭; দেখুন সুনান আবু দাউদ ১/২০৮ এবং সামনের ৮৩৩, ৯২০, ৯৩৪ (অনুবাদের ক্রম ৮২৯, ৯১৬, ৯৩০) নং হাদীসগুলি।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا الْحَسَنُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ عَنْ عَطَاءٍ قَالَ كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ تَغْتَسِلُ غُسْلًا وَاحِدًا لِلظُّهْرِ وَالْعَصْرِ وَغُسْلًا لِلْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ وَكَانَ يَقُولُ تُؤَخِّرُ الظُّهْرَ وَتُعَجِّلُ الْعَصْرَ وَتُؤَخِّرُ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلُ الْعِشَاءَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮২৯. আতা’, সাঈদ ও ইকরিমাহ রাহিমাহুমুল্লাহ ’ইসিহাযাগ্রস্ত মহিলা সম্পর্কে বলেন: সে প্রতিদিন প্রথম সালাত (তথা যুহর) ও আসরের সালাতের জন্য একবার গোসল করবে এবং এ দু’টি সালাত (একত্রে) আদায় করবে। আবার মাগরিব ও ঈশা’র সালাতের জন্য পুনরায় গোসল করবে এবং এ দু’টি সালাত আদায় করবে। অনুরূপভাবে সে ফজরের সালাতের জন্যও পুনরায় গোসল করবে।[1]
তাখরীজ: আতা’র হাদীস বর্ণনা করেছেন আব্দুর রাযযাক নং ১১৭১; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ২/২১৪। সাঈদের হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ২/২১৪; আর ইবনু হাযম সনদবিহীনভাবে ইকরিমার হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। দেখুন, হাদীস নং ৮৩১, ৯২০, ৯৩৪ (অনুবাদের ক্রম ৮২৭, ৯১৬, ৯৩০)।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ عَبْدِ الْكَرِيمِ عَنْ عَطَاءٍ وَسَعِيدٍ وَعِكْرِمَةَ قَالُوا فِي الْمُسْتَحَاضَةِ تَغْتَسِلُ كُلَّ يَوْمٍ لِصَلَاةِ الْأُولَى وَالْعَصْرِ فَتُصَلِّيهِمَا وَتَغْتَسِلُ لِلْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ فَتُصَلِّيهِمَا وَتَغْتَسِلُ لِصَلَاةِ الْغَدَاةِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৮৮. অধিক সময় হায়েয হওয়া প্রসঙ্গে যা বর্ণিত হয়েছে
৮৫৭. আতা বলেন: হায়েযের মেয়াদ পনেরো দিন।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী ১/৩২১ হাসান সনদে; ইবনু আবী শাইবা ৫/২; অপর সনদে বাইহাকী ৭/৪১৯; সামনের ৮৭০ (অনুবাদের ক্রম ৮৬৬) নং হাদীসটি দেখুন।
بَابُ: مَا جَاءَ فِي أَكْثَرِ الْحَيْضِ
وَقَالَ عَطَاءٌ الْحَيْضُ خَمْسَ عَشْرَةَ
إسناده حسن
পরিচ্ছেদঃ ৮৯. হায়েযের সর্বনিম্ন সীমা সম্পর্কে
৮৬৯. আতা’ রাহি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হায়েযের সর্বনিম্ন সীমা একদিন।[1]
তাখরীজ: দারুকুতনী ১/৮০২; বাইহাকী ১/৩২০, ৭/৪১৯;
এবং বুখারী হায়েয অধ্যায়ে এটি তা’লীক (সনদবিহীনভাবে) বর্ণনা করেছেন। আর হাফিজ (ইবনু হাজার) ফাতহুল বারী ১/৪২৫ এ বলেন: ‘দারেমী এটি অবিচ্ছিন্নভাবে সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।
বাইহাকী, আল মা’রিফাহ ২/১৭১ এ ইমাম শাফিঈ’র কথা উদ্ধৃত করেছেন, তিনি বলেছেন: ‘আমাদের নিকট আতা’ হতে বর্ণনা করা হয়েছে যে, তিনি বলতেন, হায়েযের সর্বনিম্ন সীমা একদিন।’
بَابٌ فِي أَقَلِّ الْحَيْضِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ أَخْبَرَنَا مَخْلَدُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ مَعْقِلِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ عَطَاءٍ قَالَ أَدْنَى الْحَيْضِ يَوْمٌ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯১. বৃদ্ধা মহিলা যখন রক্তস্রাব লক্ষ্য করে
৮৭৩. আতা রাহি. হতে ’বৃদ্ধা মহিলার রক্তস্রাব দেখতে পাওয়া’ সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, আমরা একে হায়েয গণ্য করি না।[1]
তাখরীজ: (মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ দেননি।-অনুবাদক।)
بَابٌ فِي الْكَبِيرَةِ تَرَى الدَّمَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ لَيْثٍ عَنْ عَطَاءٍ فِي الْكَبِيرَةِ تَرَى الدَّمَ قَالَ لَا نَرَاهُ حَيْضًا
إسناده ضعيف وليث هو: ابن أبي سليم وهو ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ৯৩. কিভাবে পবিত্র হবে
৮৮৭. আতা ইবনু আবী রাবাহ হতে বর্ণিত, আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, যদি কোন মহিলা রক্তস্রাব দেখে তবে সে সালাত আদায় হতে বিরত থাকবে, যতক্ষণ সে ধবধবে কাপড়ের মতো পুরোপুরি সাদা পবিত্রাবস্থা না দেখবে। অতঃপর সে গোসল করবে এবং সালাত আদায় করবে।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী ১/৩৩৬, ৩৩৭; মা’রিফাতুস সুনান ২/১৫৫ নং ২১৮৪ আয়িশার দাসী, আলকামাহ’র মাতা হতে সহীহ সনদে; মালিক ৯৯; আব্দুর রাযযাক নং ১১৫৫৯; দেখুন ফাতহুল বারী ১/৪২০।
بَابُ: الطُّهْرِ كَيْفَ هُوَ
أَخْبَرَنَا زَيْدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عُبَيْدٍ الدِّمَشْقِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَاشِدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ إِذَا رَأَتْ الدَّمَ فَلْتُمْسِكْ عَنْ الصَّلَاةِ حَتَّى تَرَى الطُّهْرَ أَبْيَضَ كَالْقَصَّةِ ثُمَّ لِتَغْتَسِلْ وَتُصَلِّي
إسناده حسن من أجل سليمان بن موسى
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৩৬. আতা রাহি. হতে বর্ণিত, ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলতেন: প্রতি দু’সালাতের জন্য একবার গোসল করবে এবং ফজর সালাতের জন্য এককভাবে গোসল করবে।[1]
তাখরীজ: এটি ৮৩১, ৯২২ (অনুবাদে ৮২৭, ৯১৮) নং এ গত হয়েছে। আরও দেখুন, সুনানে বাইহাকী ১/৮৯।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ شُعَيْبٍ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ كَانَ يَقُولُ لِكُلِّ صَلَاتَيْنِ اغْتِسَالَةٌ وَتُفْرِدُ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ اغْتِسَالَةً
পরিচ্ছেদঃ ৯৭. গর্ভবতী মহিলা যখন রক্ত দেখে
৯৬৭. আতা রাহি. হতে বর্ণিত, যে গর্ভবতী মহিলা রক্ত (নির্গত হতে) দেখে, তার সম্পর্কে আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন: এটি তাকে কোনো সালাত থেকে বিরত রাখতে পারবে না।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা, ২/২১২; বাইহাকী ৭/৪২৩; আরও দেখুন পরবর্তী হাদীসটি।
بَاب فِي الْحُبْلَى إِذَا رَأَتْ الدَّمَ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ هُوَ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ وَعَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ مَطَرٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ عَائِشَةَ فِي الْحَامِلِ تَرَى الدَّمَ قَالَتْ لَا يَمْنَعُهَا ذَلِكَ مِنْ صَلَاةٍ
لم يحكم عليه المحقق
পরিচ্ছেদঃ ৯৭. গর্ভবতী মহিলা যখন রক্ত দেখে
৯৬৮. (অপর সনদে) আতা রাহি. হতে বর্ণিত, যে গর্ভবতী মহিলা রক্ত (নির্গত হতে) দেখে, তার সম্পর্কে আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন: সে গোসল করবে এবং সালাত আদায় করবে।’[1] ইয়াযীদ বলেন, সে গোসল করবে না। আব্দুল্লাহ বলেন, আমার মত ইয়াযীদের মতই।
তাখরীজ: দারুকুতনী ১/২১৯ নং ৬৩; বাইহাকী ৭/২৩; সামনে ৯৮৫ (অনুবাদে ৯৭৯) হাদীসটিও দেখুন।
بَاب فِي الْحُبْلَى إِذَا رَأَتْ الدَّمَ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ مَطَرٍ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ عَائِشَةَ فِي الْحَامِلِ تَرَى الدَّمَ قَالَتْ تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي قَالَ يَزِيدُ لَا تَغْتَسِلُ قَالَ عَبْد اللَّهِ أَقُولُ بِقَوْلِ يَزِيدَ
إسناده ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ৯৭. গর্ভবতী মহিলা যখন রক্ত দেখে
৯৭৯. আতা ইবনু আবু রাবাহ থেকে বর্ণিত, আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন, গর্ভবতী নারীর কখনো হায়েয হয় না। ফলে সে রক্ত দেখলে সে যেন গোসল করে এবং সালাত আদায় করে।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ১২১৪; দেখুন পুর্বের ৯৬৮, ৯৭৩, ৯৭৪ (অনুবাদে ৯৬২, ৯৭৭, ৯৭৮) নং হাদীসগুলি।
بَاب فِي الْحُبْلَى إِذَا رَأَتْ الدَّمَ
أَخْبَرَنَا زَيْدُ بْنُ يَحْيَى الدِّمَشْقِيُّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ رَاشِدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ إِنَّ الْحُبْلَى لَا تَحِيضُ فَإِذَا رَأَتْ الدَّمَ فَلْتَغْتَسِلْ وَلْتُصَلِّ
إسناده حسن من أجل سليمان بن موسى