পরিচ্ছেদঃ জুব্বা এবং চামড়ার মোজা পরিধান প্রসঙ্গে।
১৭৭৪। ইউসুফ ইবনু ঈসা (রহঃ) ... মুগীরা ইবনু শু’বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুমী জুব্বা পরেছেন। এর হাত দুটো ছিল সংকীর্ণ।
সহীহ, মুখতাসার শামাইল ৫৭, সহীহ আবূ দাউদ ১৩৯-১৪০, নাসাঈ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৭৬৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي لُبْسِ الْجُبَّةِ وَالْخُفَّيْنِ
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم لَبِسَ جُبَّةً رُومِيَّةً ضَيِّقَةَ الْكُمَّيْنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Urwah bin Al-Mugirah bin Shu'bah:
From his father: "The Prophet (ﷺ) wore a Roman Jubbah with tight sleeves."
[Abu 'Eisa said:] This Hadith is Hasan Sahih.
পরিচ্ছেদঃ জুব্বা এবং চামড়ার মোজা পরিধান প্রসঙ্গে।
১৭৭৫। কুতায়বা (রহঃ) ... মুগীরা ইবনু শু’বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, দিহইয়া কালবী রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দুটি চামড়ার মোজা হাদীয়া দিয়েছিলেন। তিনি সে দুটি পরেছিলেন। সহীহ, মুখতাসার শামাইল ৫৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৭৬৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
আমির (রহঃ) সূত্রে ইসরাঈল বর্ণনা করেন যে, দিহইয়া তাঁকে একটি জুব্বাও দিয়েছিলেন। তিনি এদুটি ব্যবহার করতে করতে ছিড়ে ফেলেছিলেন। এ যবেহকৃত পশুর চামড়ার ছিল কিনা তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতেন না।
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গারীব। শা’বী (রহঃ) এর বরাতে যে আবূ ইসহাক এটি রিওয়ায়াত করেছেন তিনি আবূ ইসহাক শায়বানী। তাঁর নাম সুলায়মান। বর্ণনাকারী হাসান ইবনু আয়্যাশ (রহঃ) হলেন আবূ বকর ইবনু আয়্যাশ (রহঃ) এর ভাই।
باب مَا جَاءَ فِي لُبْسِ الْجُبَّةِ وَالْخُفَّيْنِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ الْحَسَنِ بْنِ عَيَّاشٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، هُوَ الشَّيْبَانِيُّ عَنِ الشَّعْبِيِّ، قَالَ قَالَ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ أَهْدَى دِحْيَةُ الْكَلْبِيُّ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خُفَّيْنِ فَلَبِسَهُمَا . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَالَ إِسْرَائِيلُ عَنْ جَابِرٍ عَنْ عَامِرٍ وَجُبَّةً فَلَبِسَهُمَا حَتَّى تَخَرَّقَا لاَ يَدْرِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَذَكِيٌّ هُمَا أَمْ لاَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . أَبُو إِسْحَاقَ الَّذِي رَوَى هَذَا عَنِ الشَّعْبِيِّ هُوَ أَبُو إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيُّ وَاسْمُهُ سُلَيْمَانُ وَالْحَسَنُ بْنُ عَيَّاشٍ هُوَ أَخُو أَبِي بَكْرِ بْنِ عَيَّاشٍ .
Narrated Ash-Sha'bi:
From Al-Mughirah bin Shu'bah: "Dihyah Al-Kalbi gave a pair of Khuff to the Messenger of Allah (ﷺ), so he wore them."
[Abu 'Eisa said:] Isra'il said: "From Jabir, from 'Amir: 'And a Jubbah, so he wore them until they tore. And the Prophet (ﷺ) did not know whether they were from a slaughtered animal or not.'"
This Hadith is Hasan Gharib. Abu Ishaq, the one who reported from Ash-Sha'bi, is Abu Ishaq Ash-Shaibani, and his name is Sulaiman. Al-Hasan bin 'Ayyash is the brother of Abu Bakr bin 'Ayyash.
পরিচ্ছেদঃ গালিগালাজ করা।
১৯৮৮। মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... মুগীরা ইবন শু’বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা মৃত ব্যক্তিকে গালিগালাজ করবে না। কেননা এতে জীবিত ব্যক্তিদেরকেই তুমি কষ্ট দিলে।
সহীহ, রাওয ৩৫৭, তা’লীকুর রাগীব ৪/১৩৫, সহীহাহ ২৩৭৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৯৮২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
সুফইয়ান (রহঃ)-এর শাগরিদগণের এই হাদীসটির রিওয়ায়াতে পার্থক্য রয়েছে। কেউ কেউ তো হুফারী (রহঃ)-এর মত (১৯৮৯) রিওয়ায়াত করেছেন। আর তাদের কতক বলেছেন, সুফইয়ান ... যিয়াদ ইবন ইলাকা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জনৈক ব্যক্তিকে মুগীরা ইবন শু’বা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি।
باب مَا جَاءَ فِي الشَّتْمِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الْحَفَرِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَسُبُّوا الأَمْوَاتَ فَتُؤْذُوا الأَحْيَاءَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدِ اخْتَلَفَ أَصْحَابُ سُفْيَانَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ فَرَوَى بَعْضُهُمْ مِثْلَ رِوَايَةِ الْحَفَرِيِّ وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَجُلاً يُحَدِّثُ عِنْدَ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ .
'Al-Mughirah bin Shu'bah narrated that the Messenger of Allah said:
"Do not vilify the dead (and) by that harm the living."
পরিচ্ছেদঃ সিরাত।
২৪৩৫. আলী ইবন হুজর (রহঃ) ...... মুগীরা ইবন শু’বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সিরাতের উপর মু’মিনদের বিশেষ সংকেত হবে,رَبِّ سَلِّمْ سَلِّمْ (হে রব রক্ষা কর, রক্ষা কর)। যঈফ, যইফা ১৯৭৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৪৩২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদিসটি গারীব। আবদুর রহমান ইবন ইসহাক (রহঃ) এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নাই। এ বিষয়ে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
بَابُ مَا جَاءَ فِي شَأْنِ الصِّرَاطِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " شِعَارُ الْمُؤْمِنِ عَلَى الصِّرَاطِ رَبِّ سَلِّمْ سَلِّمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ .
Al-Mughirah bin Shu'bah narrated that The Messenger of Allah (s.a.w) said:
"The sign of the believers upon the Sirat is: O lord, protect (us), protect (us).'"
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা মনে করার পরও যদি কেউ হাদীস রিওয়ায়ত করে।
২৬৬২. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ..... মুগীরা ইবন শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ যদি আমার নিকট থেকে কোন হাদীস বর্ণনা করে অথচ সে জানে যে, এটি মিথ্যা, তবে সে দুই মিথ্যাদীর একজন। সহীহ, আয-যঈফার ভুমিকা ১/১২, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৬৬২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ বিষয়ে আলী ইবন আবূ তালিব এবং সামুরা (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদীসটি হাসান-সহীহ। শু’বা (রহঃ) এই হাদীসটি আবদুর রহমান ইবন আবু লায়লা-সামুরা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন। আ’মাশ ও ইবন আবূ লায়লা (রহঃ) রিওয়ায়ত করেছেন হাকাম-আবদুর রহমান ইবন আবূ লায়লা-আলী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি যেন অধিক সহীহ।
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, আমি আবূ মুহাম্মাদ আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহামন (রহঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাদীস- ’’কেউ যদি আমার নিকট থেকে কোন হাদীস বর্ণনা করে অথচ সে জানে যে তা মিথ্যা তবে সে হল দুই মিথ্যাবাদীর একজন’’ -সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। বলেছিলাম, কেউ যদি কোন হাদীস বর্ণনা করে এবং সে এই কথা জানে যে, এটির সনদ ভুল। তবে কি এর উপর এই হাদীসটি যদি কেউ মুসনাদ রূপে বর্ণনা করে অথবা তার সনদের মাঝে কোন উলট-পালট করে ফেলে, তবে কি তা এই হাদীসের অন্তর্ভুক্ত হবে?
তিনি বললেন, না। এই হাদীসটির মর্ম হল, কেউ যদি কোন হাদীস বর্ণনা করে আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এটির কোন ভিত্তি আছে বলে জানা না থাকা সত্ত্বেও তা বিবৃত করে তবে আমার আশংকা হয় যে, তা এই হাদীসের অন্তর্ভূক্ত হবে।
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ رَوَى حَدِيثًا، وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ، عَنْ مَيْمُونِ بْنِ أَبِي شَبِيبٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ حَدَّثَ عَنِّي حَدِيثًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ وَسَمُرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَرَوَى شُعْبَةُ عَنِ الْحَكَمِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ سَمُرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا الْحَدِيثَ وَرَوَى الأَعْمَشُ وَابْنُ أَبِي لَيْلَى عَنِ الْحَكَمِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ عَلِيٍّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَأَنَّ حَدِيثَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ سَمُرَةَ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ أَصَحُّ . قَالَ سَأَلْتُ أَبَا مُحَمَّدٍ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَدَّثَ عَنِّي حَدِيثًا وَهُوَ يَرَى أَنَّهُ كَذِبٌ فَهُوَ أَحَدُ الْكَاذِبِينَ " . قُلْتُ لَهُ مَنْ رَوَى حَدِيثًا وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّ إِسْنَادَهُ خَطَأٌ أَيَخَافُ أَنْ يَكُونَ قَدْ دَخَلَ فِي حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَوْ إِذَا رَوَى النَّاسُ حَدِيثًا مُرْسَلاً فَأَسْنَدَهُ بَعْضُهُمْ أَوْ قَلَبَ إِسْنَادَهُ يَكُونُ قَدْ دَخَلَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ . فَقَالَ لاَ إِنَّمَا مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ إِذَا رَوَى الرَّجُلُ حَدِيثًا وَلاَ يُعْرَفُ لِذَلِكَ الْحَدِيثِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَصْلٌ فَحَدَّثَ بِهِ فَأَخَافُ أَنْ يَكُونَ قَدْ دَخَلَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ .
Narrated Al-Mughirah bin Shu'bah:
that the Prophet (ﷺ) said: "Whoever narrates a Hadith from me which he knows is a lie, then he is one of the liars."
পরিচ্ছেদঃ সূরা মারয়াম
৩১৫৫. আবূ সাঈদ আশাজ্জ এবং আবূ মূসা মুহাম্মাদ ইবন মুছান্না (রহঃ) ...... মুগীরা ইবন শু’বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে নাজরানের দিকে পাঠান। তারা আমাকে বলল, তোমরা কি কুরআনে এ বাক্য পড় না? (يَا أُخْتَ هَارُونَ) - অথচ মূসা ও ঈসার মাঝে কত কালের ব্যবধান? আমি তাদের এ প্রশ্নের কি উত্তর দিব জানতাম না। তাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ফিরে এসে তাঁকে এ কথা জানালাম। তিনি বললেন, তাদের তুমি এ কথা বলতে পারলে না যে, তারা পূর্ববর্তী নবী ও নেককার লোকদের নামে তাদের নাম রাখত।
হাসান, মুখতাসার তুহফাতুল ওয়াদুদ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩১৫৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন)হাদীসটি হাসান-সহীহ-গারীব। ইবন ইদরীস (রহঃ)-এর রিওয়ায়ত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।
بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ مَرْيَمَ
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، وَأَبُو مُوسَى مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلٍ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى نَجْرَانَ فَقَالُوا لِي أَلَسْتُمْ تَقْرَءُونَ : ( يَا أُخْتَ هَارُونَ ) وَقَدْ كَانَ بَيْنَ عِيسَى وَمُوسَى مَا كَانَ فَلَمْ أَدْرِ مَا أُجِيبُهُمْ . فَرَجَعْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ " أَلاَّ أَخْبَرْتَهُمْ أَنَّهُمْ كَانُوا يُسَمُّونَ بِأَنْبِيَائِهِمْ وَالصَّالِحِينَ قَبْلَهُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ إِدْرِيسَ .
Narrated Al-Mughirah bin Shu'bah:
"The Messenger of Allah (ﷺ) sent me to Najran. They said to me: 'Do you people not recite: O sister of Harun (19:28) - while between Musa and 'Eisa there is such (gap) as there is?' I did not know how to respond to them. So when I returned to the Prophet (ﷺ), I told him about that, and he said: 'Why didn't you tell them that they were named after their Prophets and righteous people before them.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪/৩৫. নিজের সাথীকে উযূ করিয়ে দেয়া।
১৮২. মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি কোন এক সফরে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে ছিলেন। এক সময় তিনি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গেলেন। (প্রয়োজন সেরে আসার পর) মুগীরাহ তাঁকে পানি ঢেলে দিচ্ছিলেন এবং তিনি উযূ করছিলেন। তিনি তাঁর মুখমণ্ডল এবং দু’হাত ধুলেন এবং তাঁর মাথা মাসেহ করলেন ও উভয় মোজার উপর মাসেহ করলেন। (২০৩, ২০৬, ৩৬৩, ৩৮৮, ২৯১৮, ৪৪২১, ৫৭৯৮, ৫৭৯৯; মুসলিম ২/২২, হাঃ ২৭৪, আহমাদ ১৮১৮৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৮২)
بَاب الرَّجُلُ يُوَضِّئُ صَاحِبَهُ.
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالَ سَمِعْتُ يَحْيَى بْنَ سَعِيدٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي سَعْدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَنَّ نَافِعَ بْنَ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ عُرْوَةَ بْنَ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، يُحَدِّثُ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، أَنَّهُ كَانَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ، وَأَنَّهُ ذَهَبَ لِحَاجَةٍ لَهُ، وَأَنَّ مُغِيرَةَ جَعَلَ يَصُبُّ الْمَاءَ عَلَيْهِ، وَهُوَ يَتَوَضَّأُ، فَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ وَمَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ.
Narrated Al-Mughira bin Shu`ba:
I was in the company of Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) on one of the journeys and he went out to answer the call of nature (and after he finished) I poured water and he performed ablution; he washed his face, forearms and passed his wet hand over his head and over the two Khuff (socks made from thick fabric or leather).
পরিচ্ছেদঃ ৪/৪৮. মোজার উপর মাসেহ করা।
২০৩. মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বাইরে গেলে তিনি (মুগীরাহ) পানি সহ একটা পাত্র নিয়ে তাঁর অনুসরণ করলেন। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রাকৃতিক প্রয়োজন শেষ করে এলে তিনি তাঁকে পানি ঢেলে দিলেন। আর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উযূ করলেন এবং উভয় মোজার উপর মাসেহ করলেন। (১৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৯৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২০৩)
بَاب الْمَسْحِ عَلَى الْخُفَّيْنِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ الْحَرَّانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ أَبِيهِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ خَرَجَ لِحَاجَتِهِ فَاتَّبَعَهُ الْمُغِيرَةُ بِإِدَاوَةٍ فِيهَا مَاءٌ، فَصَبَّ عَلَيْهِ حِينَ فَرَغَ مِنْ حَاجَتِهِ، فَتَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى الْخُفَّيْنِ.
Narrated Al-Mughira bin Shu`ba:
Once Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) went out to answer the call of nature and I followed him with a tumbler containing water, and when he finished, I poured water and he performed ablution and passed wet hands over his Khuffs (socks made from thick fabric or leather).
পরিচ্ছেদঃ ৪/৪৯. পবিত্র অবস্থায় উভয় পা (মোজায়) প্রবেশ করানো।
২০৬. মুগীরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে কোন এক সফরে ছিলাম। (উযূ করার সময়) আমি তাঁর মোজা দু’টি খুলতে চাইলে তিনি বললেনঃ ‘ও দু’টো থাক, আমি পবিত্র অবস্থায় ও দু’টি পরেছিলাম’। (এই বলে) তিনি তার উপর মাসেহ করলেন। (১৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২০০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২০৬)
প্রাসঙ্গিক আলোচনা
মুকীম অবস্থায়ও মোজার উপর মাসাহ করা যায়
অত্র হাদীসে সফর বলতে তাবুকের যুদ্ধের জন্য সফর বুঝানো হয়েছে। কোনো কোনো বর্ণনায় এসেছে, সেটা ছিল তাবুকের যুদ্ধের সফরের ফজরের সালাতে। তবে এখানে এটা জানা দরকার যে, সফরে থাকার কথা বলা হলেও অন্য হাদীস দ্বারা বুঝা যায় মোজার উপর মাসাহ করার জন্য সফরে থাকা শর্ত নয়। বরং মুকীম অবস্থাতেও মোজার উপর মাসাহ করা যাবে।
মোজার উপর মাসাহ করার শর্ত
এর শর্ত হচ্ছে, পরিধেয় মোজা বৈধ ও পবিত্র হওয়া। ফরয পরিমাণ অংশ ঢেকে থাকা এবং মোজা পবিত্র অবস্থায় পরিধান করা।
মোজার ওপর মাসাহ করার পদ্ধতি হচ্ছে পানিতে হাত ভিজিয়ে পায়ের উপরিভাগের আঙ্গুলের অগ্রভাগ থেকে নলা পর্যন্ত একবার মাসাহ করা। পায়ের নিচে ও পিছনে মাসাহ নয়।।
মোজার উপর মাসাহ ভঙ্গের কারণসমূহ হচ্ছে-
(১) পায়ের থেকে মোজা খুলে ফেলা।
(২) মোজা খুলে ফেলা অত্যাবশ্যকীয় হলো, যেমন গোসল ফরয হওয়া।
(৩) পরিহিত মোজা বড় ছিদ্র বা ছিঁড়ে যাওয়া।
(৪) মাসাহের মেয়াদ পূর্ণ হওয়া।
তবে সব ধরনের পট্টি বা ব্যান্ডেজ থুলে না ফেলা পর্যন্ত তার উপর মাসাহ করা জায়েয, এতে মেয়াদ যতই দীর্ঘ হোক বা জানারত তথা বড় নাপাকী লাগুক।
হাদীসের শিক্ষা
১. পা ধোয়ার চেয়ে মোজার উপর মাসাহ করা উত্তম। কেননা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু "আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সাহাবীগণ উত্তমটিই তালাশ করতেন।
২. মোজার মতোই বিধান হবে 'জাওরাব' বা নিচের অংশে চামড়া বিশিষ্ট কাপড়ের মোজার বিধান। কারণ তাও পা ঢেকে রাখে আর তা খুলতেও কষ্ট অনুভূত হয়। এজন্যই অনেকে বর্তমান কাপড়ের মোজাকেও এর অন্তর্ভুক্ত বলেছেন, যদি তা মোটা কাপড়ের হয়, শরীর দেখা না যায়। যদিও কোনো কোনো ইমাম কাপড়ের মোজার উপর মাসাহ করার বিষয়টিতে মতভেদ করেছেন।
৩. পবিত্র অবস্থায় মোজা পরিধান করা হলে তারপর ওযূ ভঙ্গ হলে সে মোজা আর খুলতে হয় না। এ অবস্থায় মুসাফিরের জন্য তিন দিন তিন রাত্রি, আর মুকীম বা বাসস্থানে অবস্থানকারীর জন্য একদিন এক রাত্রি পর্যন্ত ওযূর অন্যান্য অঙ্গ ধৌত করা হলেও পা ধোয়া লাগবে না। পায়ের উপর যে মোজা আছে তার উপরিভাগে একবার মাসাহ করলেই ওযূ হয়ে যাবে। মোজা পরিধান করার পরে প্রথম বার অপবিত্র হওয়া থেকে সময়সীমা শুরু হয়।
৪. নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লামের উত্তম চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ; কারণ তিনি মুগীরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু 'আনহুকে মোজা খুলতে নিষেধ করেন, তারপর তার কারণ বর্ণনা করে দেন যে, তিনি তা পবিত্র অবস্থায় পরিধান করেছিলেন। এর মাধ্যমে মুগীরার অন্তরে প্রশান্তি আসবে, দীন জানবে এবং বর্ণনা করতে সক্ষম হবে।
৫. এর মাধ্যমে মুগীরাহ ইবন শু'বা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর মর্যাদা প্রকাশ পেয়েছে।
৬. আরো বুঝা গেল যে, ওযূ পবিত্রতা ইত্যাদিতে মানুষের সাহায্য নেয়া বৈধ। যেমন পানি নিয়ে আসা পানি ঢেলে দেয়া ইত্যাদি।
৭. ছাত্র কর্তৃক উস্তাদের খেদমত করা; যার মাধ্যমে শিক্ষা অর্জন করা তার জন্য সহজ যায়।
* এই হাদীস হতে আরো শিক্ষণীয় বিষয়:
১। আরবী ভাষায় চামড়া অথবা অন্য কোনো বস্তুর তৈরি পায়ের আবরণকে মোজা বা খুফ বলা হয়।
২। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, চামড়া অথবা অন্য কোনো বস্তুর তৈরি পায়ের আবরণ বা মোজার উপরে মাসাহ করা প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা সম্মত একটি বিধান। তাই এই ধরণের পায়ের আবরণ বা মোজার উপরে বাসস্থানে বাস করার অবস্থায় এবং মুসাফির অবস্থায় গ্রীষ্মকালে এবং শীতকালে মাসাহ করা বৈধ। চামড়া অথবা অন্য কোনো বস্তুর তৈরি পায়ের আবরণ বা মোজার উপরে মাসাহ করার শর্ত হলো: পরিপূর্ণ পবিত্র অবস্থায় ওজু অথবা গোসল করার পর চামড়া অথবা অন্য কোনো বস্তুর তৈরি পায়ের আবরণ বা মোজার উপর মাসাহ করা। সুতরাং এই পদ্ধতিতে পায়ের আবরণ বা মোজা পরিধান করার পর ওজু চলে গেলে উক্ত মোজার বা অবরণের উপরে মুসলিম ব্যক্তির জন্য মাসাহ করা বৈধ। আর এটাই হলো অধিকাংশ ইমাম ও পণ্ডিতদের অভিমত। মহান আল্লাহ তাঁদের প্রতি দয়া করুন।
৩। চামড়া অথবা অন্য কোনো বস্তুর তৈরি পায়ের আবরণ বা মোজার উপরে মাসাহ করার সময় শুরু হবে ওজু ভেঙ্গে যাওয়ার পর প্রথম মাসাহ করা থেকে। সুতরাং বাসস্থানে বাস করা অবস্থায় প্রথম মাসাহ থেকে একদিন একরাত এবং মুসাফির অবস্থায় তিনদিন তিনরাত মাসাহ করা বৈধ।
بَاب إِذَا أَدْخَلَ رِجْلَيْهِ وَهُمَا طَاهِرَتَانِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ، فَأَهْوَيْتُ لأَنْزِعَ خُفَّيْهِ فَقَالَ " دَعْهُمَا، فَإِنِّي أَدْخَلْتُهُمَا طَاهِرَتَيْنِ ". فَمَسَحَ عَلَيْهِمَا.
Narrated `Urwa bin Al-Mughira:
My father said, "Once I was in the company of the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) on a journey and I dashed to take off his Khuffs (socks made from thick fabric or leather). He ordered me to leave them as he had put them after performing ablution. So he passed wet hands over them.
পরিচ্ছেদঃ ৮/৭. শামী জুববা পরে সালাত আদায় করা।
وَقَالَ الْحَسَنُ فِي الثِّيَابِ يَنْسُجُهَا الْمَجُوسِيُّ لَمْ يَرَ بِهَا بَأْسًا وَقَالَ مَعْمَرٌ رَأَيْتُ الزُّهْرِيَّ يَلْبَسُ مِنْ ثِيَابِ الْيَمَنِ مَا صُبِغَ بِالْبَوْلِ وَصَلَّى عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ فِي ثَوْبٍ غَيْرِ مَقْصُورٍ.
হাসান (রহ.) বলেনঃ মাজূসী (অগ্নিপূজক)-দের বানানো পোষাকে সালাত আদায় করায় কোন অসুবিধা নেই। আর মা‘মার (রহ.) বলেনঃ আমি যুহরী (রহ.)-কে ইয়ামান দেশীয় তৈরি কাপড়ে সালাত আদায় করতে দেখেছি, যা পেশাবের দ্বারা রঞ্জিত ছিল। ‘আলী (রাযি.) আধোয়া নতুন কাপড়ে সালাত আদায় করেছেন।
৩৬৩. মুগীরাহ ইবনু শু‘বা (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি কোন এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে ছিলাম। তিনি বললেনঃ হে মুগীরাহ! বদনাটি নাও। আমি তা নিলাম। তিনি আমার দৃষ্টির অগোচরে গিয়ে প্রয়োজন সারলেন। তখন তাঁর শরীরে ছিল শামী জুববা। তিনি জুববার আস্তিন হতে হাত বের করতে চাইলেন। কিন্তু আস্তিন সংকীর্ণ হবার ফলে তিনি নীচের দিক দিয়ে হাত বের করলেন। আমি পানি ঢেলে দিলাম এবং তিনি সালাতের উযূর ন্যায় উযূ করলেন। আর তাঁর উভয় মোজার উপর মাস্হ করলেন ও পরে সালাত আদায় করলেন। (১৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৬)
بَاب الصَّلاَةِ فِي الْجُبَّةِ الشَّامِيَّةِ
يَحْيَى قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الْأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنْ مُغِيرَةَ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَقَالَ يَا مُغِيرَةُ خُذْ الْإِدَاوَةَ فَأَخَذْتُهَا فَانْطَلَقَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى تَوَارَى عَنِّي فَقَضَى حَاجَتَهُ وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ شَأْمِيَّةٌ فَذَهَبَ لِيُخْرِجَ يَدَهُ مِنْ كُمِّهَا فَضَاقَتْ فَأَخْرَجَ يَدَهُ مِنْ أَسْفَلِهَا فَصَبَبْتُ عَلَيْهِ فَتَوَضَّأَ وُضُوءَهُ لِلصَّلاَةِ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ ثُمَّ صَلَّى.
Narrated Mughira bin Shu`ba:
Once I was traveling with the Prophet (ﷺ) and he said, "O Mughira! take this container of water." I took it and Allah's Messenger (ﷺ) went far away till he disappeared. He answered the call of nature and was wearing a Syrian cloak. He tried to take out his hands from its sleeve but it was very tight so he took out his hands from under it. I poured water and he performed ablution like that for prayers and passed his wet hands over his Khuff (socks made from thick fabric or leather) and then prayed .
পরিচ্ছেদঃ ৮/২৫. মোযা পরা অবস্থায় সালাত আদায় করা।
৩৮৮. মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে উযূ করিয়েছি। তিনি (উযূর সময়) মোজা দু’টির উপর মাসহ(মাসেহ) করলেন ও সালাত আদায় করলেন। (১৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮১)
بَاب الصَّلاَةِ فِي الْخِفَافِ.
إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ مُسْلِمٍ عَنْ مَسْرُوقٍ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ وَضَّأْتُ النَّبِيَّ فَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ وَصَلَّى.
Narrated Al-Mughira bin Shu'ba:
I helped the Prophet (ﷺ) in performing ablution and he passed his wet hands over his Khuffs and prayed.
পরিচ্ছেদঃ ১০/১৫৫. সালামের পর যিকর।
৮৪৪. মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাযি.)-এর কাতিব ওয়ার্রাদ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাযি.) আমাকে দিয়ে মু’আবিয়াহ (রাযি.)-কে একখানা পত্র লিখালেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর বলতেনঃ
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ، اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ
’’এক আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, সার্বভৌমত্ব একমাত্র তাঁরই, সমস্ত প্রশংসা একমাত্র তাঁরই জন্য, তিনি সব কিছুর উপরই ক্ষমতাশীল। হে আল্লাহ্! আপনি যা প্রদান করতে চান তা রোধ করার কেউ নেই, আর আপনি যা রোধ করেন তা প্রদান করার কেউ নেই। আপনার নিকট (সৎকাজ ভিন্ন) কোন সম্পদশালীর সম্পদ উপকারে আসে না।’’
শু’বাহ (রহ.) আবদুল মালিক (রহ.) হতে এ রকমই বলেছেন, আপনার নিকট (সৎকাজ ছাড়া) এবং হাসান (রহ.) বলেন, جد অর্থ সম্পদ এবং শু’বাহ (রহ.)....ওয়ার্রাদ (রহ.) হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, আল্লাহর রাসূল [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] ফরজ নামাজ শেষ করার পর এই জিকিরটি পাঠ করতেন:
"لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ، اَللَّهُمَّ! لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ".
২। এই মহা জিকিরটির মধ্যে প্রকৃত ইসলাম ধর্মের মহা মতবাদ তাওহীদ ও একত্ববাদের ঘোষণা রয়েছে। সুতরাং মহান আল্লাহ তাঁর সত্তা, বৈশিষ্ট্যপূর্ণ অস্তিত্ব, নাম, গুণাবলী এবং কর্মের দিক দিয়ে এক এবং একক। নিশ্চয় তিনি সমস্ত উপাসনার সত্য অধিকারী। আর তিনিই কেবল সকল সৃষ্টি জগতের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালন ক্রিয়া সম্পাদন করেন।
৩। এই হাদীসটির মধ্যে এসেছে
"لاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ".
এর অর্থ হলো: হে আল্লাহ! আপনার কাছে প্রকৃত ইসলামের শিক্ষা মোতাবেক সৎকর্ম ছাড়া কোনো সম্পদশালীর সম্পদ উপকারে আসবে না। সুতরাং মানুষ যত বড়োই ধনবান হোক আর যত বড়োই পদাধিকারী হোক, সে সদা সর্বদা সমস্ত বিষয়ে মহান আল্লাহর মুখাপেক্ষী।
بَاب الذِّكْرِ بَعْدَ الصَّلاَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ وَرَّادٍ، كَاتِبِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ أَمْلَى عَلَىَّ الْمُغِيرَةُ بْنُ شُعْبَةَ فِي كِتَابٍ إِلَى مُعَاوِيَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ فِي دُبُرِ كُلِّ صَلاَةٍ مَكْتُوبَةٍ " لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ، وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهْوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ، اللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ، وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ، وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ ". وَقَالَ شُعْبَةُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بِهَذَا، وَعَنِ الْحَكَمِ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُخَيْمِرَةَ عَنْ وَرَّادٍ بِهَذَا. وَقَالَ الْحَسَنُ الْجَدُّ غِنًى.
Narrated Warrad:
(the clerk of Al-Mughira bin Shu`ba) Once Al-Mughira dictated to me in a letter addressed to Muawiya that the Prophet (ﷺ) used to say after every compulsory prayer, "La ilaha illa l-lahu wahdahu la sharika lahu, lahu l-mulku wa lahu l-hamdu, wa huwa `ala kulli shay'in qadir. Allahumma la mani`a lima a`taita, wa la mu`tiya lima mana`ta, wa la yanfa`u dhal-jaddi minka l-jadd. [There is no Deity but Allah, Alone, no Partner to Him. His is the Kingdom and all praise, and Omnipotent is he. O Allah! Nobody can hold back what you gave, nobody can give what You held back, and no struggler's effort can benefit against You]." And Al-Hasan said, "Al-jadd' means prosperity [??]."
পরিচ্ছেদঃ ১৬/১. সূর্যগ্রহণের সময় সালাত।
১০৪৩. মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সময় যে দিন (তাঁর পুত্র) ইবরাহীম (রাযি.) ইন্তিকাল করেন, সেদিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। লোকেরা তখন বলতে লাগল, ইব্রাহীম (রাযি.) এর মৃত্যুর কারণেই সূর্যগ্রহণ হয়েছে। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ কারো মৃত্যু অথবা জন্মের কারণে সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তোমরা যখন তা দেখবে, তখন সালাত আদায় করবে এবং আল্লাহর নিকট দু‘আ করবে। (১০৬০, ৬১৯৯; মুসলিম ১০,৫, হাঃ ৯১৫, আহমদ ১৮১৬৫, ১৮২০২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯৮০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৯৮৬)
بَاب الصَّلاَةِ فِي كُسُوفِ الشَّمْسِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ، قَالَ حَدَّثَنَا شَيْبَانُ أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ عِلاَقَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ كَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ، فَقَالَ النَّاسُ كَسَفَتِ الشَّمْسُ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمْ فَصَلُّوا وَادْعُوا اللَّهَ ".
Narrated Al-Mughira bin Shu`ba:
"The sun eclipsed in the lifetime of Allah's Messenger (ﷺ) on the day when (his son) Ibrahim died. So the people said that the sun had eclipsed because of the death of Ibrahim. Allah's Messenger (ﷺ) said, "The sun and the moon do not eclipse because of the death or life (i.e. birth) of someone. When you see the eclipse pray and invoke Allah."
পরিচ্ছেদঃ ১৬/১৫. সূর্যগ্রহণের সময় দু‘আ।
قَالَهُ أَبُو مُوسَى وَعَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
এ বিষয়ে আবূ মূসা ও ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন।
১০৬০. মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -(এর পুত্র) ইব্রাহীম (রাযি.) যে দিন ইন্তিকাল করেন, সে দিন সূর্যগ্রহণ হয়েছিল। লোকেরা বলল, ইব্রাহীম (রাযি.)-এর মৃত্যুর কারণেই সূর্যগ্রহণ হয়েছে। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেনঃ নিশ্চয়ই সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শন সমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। কারো মৃত্যু বা জন্মের কারণে এ দু’টোর গ্রহণ হয় না। কাজেই যখন তোমরা এদের গ্রহণ হতে দেখবে, তখন তাদের গ্রহণ মুক্ত হওয়া পর্যন্ত আল্লাহর নিকট দু‘আ করবে এবং সালাত আদায় করতে থাকবে। (১০৪৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৯৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০০১)
بَاب الدُّعَاءِ فِي الْخُسُوفِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، قَالَ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ عِلاَقَةَ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ بْنَ شُعْبَةَ، يَقُولُ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ يَوْمَ مَاتَ إِبْرَاهِيمُ، فَقَالَ النَّاسُ انْكَسَفَتْ لِمَوْتِ إِبْرَاهِيمَ. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ وَلاَ لِحَيَاتِهِ، فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمَا فَادْعُوا اللَّهَ وَصَلُّوا حَتَّى يَنْجَلِيَ ".
Narrated Al-Mughira bin Shu`ba:
On the day of Ibrahim's death, the sun eclipsed and the people said that the eclipse was due to the death of Ibrahim (the son of the Prophet). Allah's Messenger (ﷺ) said, "The sun and the moon are two signs amongst the signs of Allah. They do not eclipse because of someone's death or life. So when you see them, invoke Allah and pray till the eclipse is clear."
পরিচ্ছেদঃ ১৯/৬. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তাহজ্জুদের সালাতে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়ানোর ফলে তাঁর উভয় পা ফুলে যেতো।
وَقَالَتْ عَائِشَةُ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا كَانَ يَقُومُ حَتَّى تَفَطَّرَ قَدَمَاهُ وَالْفُطُورُ الشُّقُوقُ انْفَطَرَتْ انْشَقَّتْ.
‘আয়িশাহ্ (রাযি.) বলেছেন, এমনকি তাঁর পদদ্বয় ফেটে যেতো। وَالْفُطُورُ অর্থ ‘ফেটে যাওয়া’ انْفَطَرَتْ ‘ফেটে গেল’।
১১৩০. মুগীরাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রি জাগরণ করতেন অথবা রাবী বলেছেন, সালাত আদায় করতেন; এমনকি তাঁর পদযুগল অথবা তাঁর দু’ পায়ের গোছা ফুলে যেত। তখন এ ব্যাপারে তাঁকে বলা হলে তিনি বলতেন, আমি কি একজন শুকরিয়া আদায়কারী বান্দাহ হব না? (৪৮৩৬, ৬৪৭১; মুসলিম ৫০/১৮, হাঃ ২৮১৯, আহমাদ ১৮২৭১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১০৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১০৬৩)
بَاب قِيَامِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم اللَّيْلَ حَتَّى تَرِمَ قَدَمَاهُ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مِسْعَرٌ، عَنْ زِيَادٍ، قَالَ سَمِعْتُ الْمُغِيرَةَ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ إِنْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لَيَقُومُ لِيُصَلِّيَ حَتَّى تَرِمُ قَدَمَاهُ أَوْ سَاقَاهُ، فَيُقَالُ لَهُ فَيَقُولُ " أَفَلاَ أَكُونُ عَبْدًا شَكُورًا ".
Narrated Al-Mughira:
The Prophet (ﷺ) used to stand (in the prayer) or pray till both his feet or legs swelled. He was asked why (he offered such an unbearable prayer) and he said, "should I not be a thankful slave."
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৩৩. মৃতের জন্য বিলাপ করা মাকরূহ।*
وَقَالَ عُمَرُ t دَعْهُنَّ يَبْكِينَ عَلَى أَبِي سُلَيْمَانَ مَا لَمْ يَكُنْ نَقْعٌ أَوْ لَقْلَقَةٌ وَالنَّقْعُ التُّرَابُ عَلَى الرَّأْسِ وَاللَّقْلَقَةُ الصَّوْتُ
‘উমার (রাঃ) বলেন, আবূ সুলাইমান [খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ)-এর জন্য] তাঁর (পরিবার পরিজনকে) কাঁদতে দাও। যতক্ষণ نُقْعُ (নাক্‘) কিংবা لَقْلَقَةُ (লাকলাকাহ) না হয়। নাক্‘ হল মাথায় মাটি নিক্ষেপ, আর ‘লাকলাকাহ’ হল চিৎকার।
১২৯১. মুগীরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, আমার প্রতি মিথ্যারোপ করা অন্য কারো প্রতি মিথ্যারোপ করার মত নয়। যে ব্যক্তি আমার প্রতি মিথ্যারোপ করে সে যেন অবশ্যই তার ঠিকানা জাহান্নামে করে নেয়। [মুগীরাহ (রাঃ) আরও বলেছেন,] আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আরও বলতে শুনেছি, যে (মৃত) ব্যক্তির জন্য বিলাপ করা হয়, তাকে বিলাপকৃত বিষয়ের উপর ‘আযাব দেয়া হবে। (মুসলিম ১১/৯, হাঃ ৯৩৩, আহমাদ ১৮২৬৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১২১৪)
(১) ধৈর্য ধারণ করা ও তাকদীরের উপর সন্তুষ্ট থাকা ও ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন’ বলা। (সূরা আল-বাক্বারাহ ১৫৫-১৫৭)
(২) তার জন্য দু‘আ করা ও তার সামনে উত্তম কথা বলা।
(৩) মৃত্যু সংবাদ দিয়ে মানুষকে এ কথা বলা যে, তোমরা মৃত ব্যক্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর।
(৪) যথাশীঘ্র তার জানাযা ও দাফনের ব্যবস্থা করা।
(৫) মৃতের ঋণ থাকলে তা পরিশোধের ব্যবস্থা করা।
মৃত্যুর পর মানুষ যে সব কাজের জন্য উপকৃত হবেঃ মানুষ মারা গেলে তার সমস্ত আমল বন্ধ হয়ে যায় তিনটি আমল ব্যতীত : (১) সে নিজে বা তার পক্ষ থেকে সাদাকায়ে জারিয়া। (২) ইল্ম যার দ্বারা উপকার সাধিত হয়। (৩) সৎ সন্তান যে তার জন্য দু‘আ করতে থাকে। (মুসলিম)
মৃতের জন্য তার কবরে একাকীভাবে দু’হাত তুলে দু‘আ করা জায়িয। [আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর হাদীস]
মাসজিদ, মাদ্রাসাহ, মুসাফিরখানা প্রতিষ্ঠা, রাস্তাঘাট, সেতু নির্মাণ, কূপ, খাল, বিল, নহর খনন, কুরআন-হাদীসের কিতাবাদি ক্রয় করে প্রদান এসব কাজ সদাকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত।
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ النِّيَاحَةِ عَلَى الْمَيِّتِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُبَيْدٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ عَنْ الْمُغِيرَةِ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّ كَذِبًا عَلَيَّ لَيْسَ كَكَذِبٍ عَلَى أَحَدٍ مَنْ كَذَبَ عَلَيَّ مُتَعَمِّدًا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنْ النَّارِ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ نِيحَ عَلَيْهِ يُعَذَّبُ بِمَا نِيحَ عَلَيْهِ
Narrated Al-Mughira:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "Ascribing false things to me is not like ascribing false things to anyone else. Whosoever tells a lie against me intentionally then surely let him occupy his seat in Hell-Fire." I heard the Prophet (ﷺ) saying, "The deceased who is wailed over is tortured for that wailing."
পরিচ্ছেদঃ ৪৩/১৯. ধন-সম্পত্তি অপচয় করা নিষিদ্ধ।
২৪০৮. মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তা‘আলা তোমাদের উপর হারাম করেছেন মায়ের নাফরমানী, কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া, কারো প্রাপ্য না দেয়া এবং অন্যায়ভাবে কিছু নেয়া আর অপছন্দ করেছেন অনর্থক বাক্য ব্যয়, অতিরিক্ত প্রশ্ন করা, আর মাল বিনষ্ট করা। (৮৪৪, মুসলিম ৫/৩০, হাঃ ৫৯৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৩১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৪৮)
بَاب مَا يُنْهَى عَنْ إِضَاعَةِ الْمَالِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ عَنْ وَرَّادٍ مَوْلَى الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ اللهَ حَرَّمَ عَلَيْكُمْ عُقُوقَ الأُمَّهَاتِ وَوَأْدَ الْبَنَاتِ وَمَنَعَ وَهَاتِ وَكَرِهَ لَكُمْ قِيلَ وَقَالَ وَكَثْرَةَ السُّؤَالِ وَإِضَاعَةَ الْمَالِ
Narrated Al-Mughira bin Shu`ba:
The Prophet (ﷺ) said, "Allah has forbidden for you, (1) to be undutiful to your mothers, (2) to bury your daughters alive, (3) to not to pay the rights of the others (e.g. charity, etc.) and (4) to beg of men (begging). And Allah has hated for you (1) vain, useless talk, or that you talk too much about others, (2) to ask too many questions, (in disputed religious matters) and (3) to waste the wealth (by extravagance).
পরিচ্ছেদঃ ৫৬/৯০. সফরে এবং যুদ্ধে জোববা পরিধান করা
২৯১৮. মুগীরাহ ইবনু শু‘বা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা হাজত পূরণের জন্য গেলেন। সেখান থেকে ফিরে এলে আমি তাঁর নিকট পানি নিয়ে গেলাম। তিনি তা দিয়ে উযু করেন। তাঁর পরিধানে ছিল সিরীয় জোববা। তিনি কুলি করেন, নাকে পানি দেন ও মুখমণ্ডল ধৌত করেন। অতঃপর তিনি জামার আস্তিন গুটিয়ে দু’টি হাত বের করতে চাইলেন। কিন্তু আস্তিন দু’টি ছিল খুবই আঁটসাঁট। তাই তিনি ভেতরের দিক থেকে হাত বের করে উভয় হাত ধুলেন এবং মাথা মসেহ করলেন এবং উভয় মোজার উপর মাস্হ করলেন। (১৮২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৭০৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৭১৪)
بَابُ الْجُبَّةِ فِي السَّفَرِ وَالْحَرْبِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ عَنْ أَبِي الضُّحَى مُسْلِمٍ هُوَ ابْنُ صُبَيْحٍ عَنْ مَسْرُوقٍ قَالَ حَدَّثَنِي الْمُغِيْرَةُ بْنُ شُعْبَةَ قَالَ انْطَلَقَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لِحَاجَتِهِ ثُمَّ أَقْبَلَ فَلَقِيْتُهُ بِمَاءٍ فَتَوَضَّأَ وَعَلَيْهِ جُبَّةٌ شَأمِيَّةٌ فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ فَذَهَبَ يُخْرِجُ يَدَيْهِ مِنْ كُمَّيْهِ فَكَانَا ضَيِّقَيْنِ فَأَخْرَجَهُمَا مِنْ تَحْتُ فَغَسَلَهُمَا وَمَسَحَ بِرَأْسِهِ وَعَلَى خُفَّيْهِ
Narrated Al-Mughira bin Shu`ba:
Allah's Messenger (ﷺ) went out to answer the call of nature and on his return I brought some water to him. He performed the ablution while he was wearing a Sha'mi cloak. He rinsed his mouth and washed his nose by putting water in it and then blowing it out, and washed his face. Then he tried to take out his hands through his sleeves but they were tight, so he took them out from underneath, washed them and passed wet hands over his head and over his leather socks.
পরিচ্ছেদঃ ৬১/২৮. পরিচ্ছেদ নাই।
৩৬৪০. মুগীরাহ ইবনু শু‘বাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার উম্মাতের একটি দল সর্বদা বিজয়ী থাকবে। এমনকি যখন ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) আসবে তখনও তারা বিজয়ী থাকবে। (৭৩১১, ৭৪৫৯, মুসলিম ৩৩/৫৩, হাঃ ১৯২১ (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৩৬৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৩৭৬)
بَابُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي الأَسْوَدِ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا قَيْسٌ سَمِعْتُ الْمُغِيْرَةَ بْنَ شُعْبَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَا يَزَالُ نَاسٌ مِنْ أُمَّتِيْ ظَاهِرِيْنَ حَتَّى يَأْتِيَهُمْ أَمْرُ اللهِ وَهُمْ ظَاهِرُوْنَ
Narrated Al-Mughira bin Shu`ba:
The Prophet (ﷺ) said, "Some of my followers will remain victorious (and on the right path) till the Last Day comes, and they will still be victorious."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/৮২. পরিচ্ছেদ নাই।
৪৪২১. মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন প্রয়োজনে বাহিরে গেলেন। (ফিরে এলে) আমি দাঁড়িয়ে তাঁর পানি ঢেলে দিচ্ছিলাম। স্থানটি আমার স্মরণ নেই। তবে তা ছিল তাবূক যুদ্ধের সময়কার। এরপর তিনি তাঁর চেহারা ধৌত করলেন এবং তাঁর বাহুদ্বয় ধৌত করতে গেলে দেখা গেল যে, তাঁর জামার আস্তিন আঁটসাঁট। তখন তিনি দুই বাহুকে জামার ভিতর থেকে বের করে আনলেন এবং তা ধৌত করলেন। তারপর তিনি তাঁর দুই মোজার উপর মাসাহ করলেন। [১৮২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪০৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪০৭৬)
بَاب
يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ عَنْ اللَّيْثِ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيْزِ بْنِ أَبِيْ سَلَمَةَ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ نَافِعِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الْمُغِيْرَةِ عَنْ أَبِيْهِ الْمُغِيْرَةِ بْنِ شُعْبَةَ قَالَ ذَهَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِبَعْضِ حَاجَتِهِ فَقُمْتُ أَسْكُبُ عَلَيْهِ الْمَاءَ لَا أَعْلَمُهُ إِلَّا قَالَ فِيْ غَزْوَةِ تَبُوْكَ فَغَسَلَ وَجْهَهُ وَذَهَبَ يَغْسِلُ ذِرَاعَيْهِ فَضَاقَ عَلَيْهِ كُمُّ الْجُبَّةِ فَأَخْرَجَهُمَا مِنْ تَحْتِ جُبَّتِهِ فَغَسَلَهُمَا ثُمَّ مَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ.
Narrated `Urwa bin Al-Mughira:
Al-Mughira bin Shu`ba, said, "The Prophet (ﷺ) went out to answer the call of nature and (when he had finished) I got up to pour water for him." I think that he said that the event had taken place during the Ghazwa of Tabuk. Al-Mughira added. "The Prophet (ﷺ) washed his face, and when he wanted to wash his forearms, the sleeves of his cloak became tight over them, so he took them out from underneath the cloak and then he washed them (i.e. his forearms) and passed wet hands over his Khuffs (socks made from thick fabric or leather)."