সালামাহ ইবনু সাখার (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১০ টি

পরিচ্ছেদঃ ১৬১. যিহার।

২২১০. উসমান ইবন আবূ শায়বা .... সালামা ইবন সাখার হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনুল ’আলা আল্-বায়াদবী বলেছেন, স্ত্রীদের সাথে সহবাসে আমি খু্বই সক্ষম ছিলাম। আর আমার মতো সহবাসে সামর্থ ব্যক্তি আর কেউ ছিল না। এরপর মাহে রামাযান সমাগত হওয়াতে আমার আশংকা হয় যে, হয়ত আমি সকাল বেলাতেও আমার স্ত্রীর সাথে সহবাসে লিপ্ত হতে পারি। তখন আমি তার সাথে যিহার করি এবং এমতাবস্থায় মাহে রামাযান প্রায় শেষ পর্যায়ে পোঁছে। কিন্তু একদা রাতে সে আমার খিদমতের সময়, তার সৌন্দর্য আমার সম্মুখে উন্মোচিত হওয়ায় আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রন করতে অসমর্থ হই এবং তার সাথে সহবাস করি। এরপর সকালবেলা আমার কাওমের লোকদের নিকট গমণ করি এবং তাদের এ ঘটনা ব্যক্ত করি তাদেরকে বলিঃ তোমরা আমার সাথে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট চলো এবং তাঁকে সব খুলে বলি।

তিনি জিজ্ঞাসা করেন, হে সালামা! তুমি কি এরূপ কাণ্ড করেছ? আমি বলি, হে আল্লাহ্‌র রাসুল! আমি এরূপই করেছি এবং তা দু’বার বলি। আর এমতাবস্থায় আমি আল্লাহ্ তা’আলা নির্দেশের প্রতি ধৈয্য ধারণ করি। এখন আল্লাহ্ যা বলেছেন, এখন সে হিসাবে আমার উপর হুকুম জারী করুন। তিনি বলেন, তুমি একজন দাসী মুক্ত করো। আমি বলি, ঐ আল্লাহর শপথ! যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, এ ব্যতীত আমার আর কোন দাসী নেই এবং এই বলে আমি তার শরীর স্পর্শ করি। তিনি বলেন, তবে তুমি দু’ মাস একাধারে রোযা রাখো। সে বলে, রোযার মধ্যে আমি যে মুসীবতে পড়েছি, হয়ত সেরূপ মুসীবতে আবার পড়তে পারি। তিনি বলেন,এমতাবস্থায় তুমি ষাটজন মিসকীনকে তৃপ্তি সহকারে খুরমা খাওয়াও। সে বলে, ঐ আল্লাহ শপথ! যিনি আপনাকে সত্য নবী হিসাবে প্রেরণ করেছেন, আমরা (স্ত্রী, পরিবার) তো রাতে খালি পেটে উপোস করি, আর আমাদের কোনো খাবরই নেই।

তিনি বলেন, তুমি বনী যারীক গোত্রের সাদকা আদায়কারী ব্যক্তির নিকট গমন করো, সে তোমাকে খুরমা প্রদান করবে। আর তদ্বারা তুমি ষাটজন মিসকীনকে তৃপ্তি সহকারে খাওয়াবে এবং তুমি ও তোমার পরিজনবর্গও বাকি অংশ খাবে। তখন আমি আমার কাওমের নিকট ফিরে এসে বলি, আমি তোমাদের নিকট সংকীর্ণতা ও খারাপ ব্যাবহার পেয়েছি এবং আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উদারতা, ভাল ব্যবহার পেয়েছি। তিনি আমাকে তোমাদের সাদকার মাল গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। রাবী ইবনুল ’আলা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, ইবন ইদরীস বলেছেন, বায়াদা বনী যুরাইক গোত্রের একটি শাখা।

باب فِي الظِّهَارِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، - الْمَعْنَى - قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، - قَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ ابْنِ عَلْقَمَةَ بْنِ عَيَّاشٍ - عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ، - قَالَ ابْنُ الْعَلاَءِ الْبَيَاضِيِّ - قَالَ كُنْتُ امْرَأً أُصِيبُ مِنَ النِّسَاءِ مَا لاَ يُصِيبُ غَيْرِي فَلَمَّا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ خِفْتُ أَنْ أُصِيبَ مِنَ امْرَأَتِي شَيْئًا يُتَابَعُ بِي حَتَّى أُصْبِحَ فَظَاهَرْتُ مِنْهَا حَتَّى يَنْسَلِخَ شَهْرُ رَمَضَانَ فَبَيْنَمَا هِيَ تَخْدُمُنِي ذَاتَ لَيْلَةٍ إِذْ تَكَشَّفَ لِي مِنْهَا شَىْءٌ فَلَمْ أَلْبَثْ أَنْ نَزَوْتُ عَلَيْهَا فَلَمَّا أَصْبَحْتُ خَرَجْتُ إِلَى قَوْمِي فَأَخْبَرْتُهُمُ الْخَبَرَ وَقُلْتُ امْشُوا مَعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالُوا لاَ وَاللَّهِ ‏.‏ فَانْطَلَقْتُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ ‏"‏ أَنْتَ بِذَاكَ يَا سَلَمَةُ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَرَّتَيْنِ وَأَنَا صَابِرٌ لأَمْرِ اللَّهِ فَاحْكُمْ فِيَّ مَا أَرَاكَ اللَّهُ قَالَ ‏"‏ حَرِّرْ رَقَبَةً ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَمْلِكُ رَقَبَةً غَيْرَهَا وَضَرَبْتُ صَفْحَةَ رَقَبَتِي قَالَ ‏"‏ فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَهَلْ أُصِبْتُ الَّذِي أُصِبْتُ إِلاَّ مِنَ الصِّيَامِ قَالَ ‏"‏ فَأَطْعِمْ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ بَيْنَ سِتِّينَ مِسْكِينًا ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا وَحْشَيْنِ مَا لَنَا طَعَامٌ قَالَ ‏"‏ فَانْطَلِقْ إِلَى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِي زُرَيْقٍ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ وَكُلْ أَنْتَ وَعِيَالُكَ بَقِيَّتَهَا ‏"‏ ‏.‏ فَرَجَعْتُ إِلَى قَوْمِي فَقُلْتُ وَجَدْتُ عِنْدَكُمُ الضِّيقَ وَسُوءَ الرَّأْىِ وَوَجَدْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم السَّعَةَ وَحُسْنَ الرَّأْىِ وَقَدْ أَمَرَنِي - أَوْ أَمَرَ لِي - بِصَدَقَتِكُمْ زَادَ ابْنُ الْعَلاَءِ قَالَ ابْنُ إِدْرِيسَ بَيَاضَةُ بَطْنٌ مِنْ بَنِي زُرَيْقٍ ‏.‏


Narrated Salamah ibn Sakhr al-Bayadi: I was a man who was more given than others to sexual intercourse with women. When the month of Ramadan came, I feared lest I should have intercourse with my wife, and this evil should remain with me till the morning. So I made my wife like my mother's back to me till the end of Ramadan. But one night when she was waiting upon me, something of her was revealed. Suddenly I jumped upon her. When the morning came I went to my people and informed them about this matter. I said: Go along with me to the Messenger of Allah (ﷺ). They said: No, by Allah. So I went to the Prophet (peace be upon him and informed him of the matter. He said: Have you really committed it, Salamah? I said: I committed it twice, Messenger of Allah. I am content with the Commandment of Allah, the Exalted; so take a decision about me according to what Allah has shown you. He said: Free a slave. I said: By Him Who sent you with truth, I do not possess a neck other than this: and I struck the surface of my neck. He said: Then fast two consecutive months. I said: Whatever I suffered is due to fasting. He said: Feed sixty poor people with a wasq of dates. I said: By Him Who sent you with truth, we passed the night hungry; there was no food in our house. He said: Then go to the collector of sadaqah of Banu Zurayq; he must give it to you. Then feed sixty poor people with a wasq of dates; and you and your family eat the remaining dates. Then I came back to my people, and said (to them): I found with you poverty and bad opinion; and I found with the Prophet (ﷺ) prosperity and good opinion. He has commanded me to give alms to you. Ibn al-Ala' added: Ibn Idris said: Bayadah is a sub-clan of Banu Zurayq.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু সাখার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০/২৫. যিহার প্রসঙ্গে।

১/২০৬২। সালামাহ্ ইবনু সাখর আল-বায়াদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নারীদের প্রতি অধিক আসক্ত ছিলাম। অন্য পুরুষের তুলনায় আমি তাদের সাথে বেশি সহবাসে লিপ্ত হতাম। রমযান মাস শুরু হলে আমি আমার স্ত্রীর সাথে যিহার করলাম। রমযান মাস প্রায় শেষ হতে যাচ্ছে। একদা রাতের বেলা সে আমার সাথে কথাবার্তা বলছিল। তখন তার দেহের একটি অংশ আমার সামনে উন্মুক্ত হয়ে গেলো। আমি তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম এবং তার সাথে সহবাস করলাম। ভোর হলে আমি সকাল সকাল আমার সম্প্রদায়ের লোকেদের নিকট উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আমার ঘটনাটি জানালাম।

আমি তাদের বললাম, তোমরা আমার ব্যাপারে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করো। তারা বললো, আমরা তা করতে পারবো না। হয়ত বা আল্লাহ্ আমাদের সম্পর্কে কিতাব (কুরআনের আয়াত) নাযিল করবেন অথবা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এমন কিছু বলবেন, যা আমাদের জন্য লজ্জার কারণ হয়ে থাকবে। বরং আমরা তোমার অপরাধসহ তোমাকে সোপর্দ করবো। তুমি নিজেই গিয়ে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তোমার ঘটনাটি বলো।

রাবী বলেন, আমি রওয়ানা হয়ে তাঁর নিকট উপস্থিত হয়ে আমার বিষয়টি তাঁকে জানালাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি এটা করেছো? আমি বললাম, আমিই এটা করেছি। আমি এখানে আছি হে আল্লাহর রসূল! আমার প্রতি আল্লাহর যে হুকুম হয় তাতে আমি ধৈর্য ধারণ করবো তিনি বলেনঃ একটি গোলামকে দাসত্বমুক্ত করো। আমি বললাম, সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন! আমি আমার দেহটি ছাড়া আর কিছুর মালিক নই। তিনি বলেন, তাহলে একাধারে দু’ মাস রোযা রাখো।

আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ্! আমার উপর যে বিপদ এসেছে, তা তো এই রোযার কারণেই। তিনি বলেনঃ তাহলে দান-খয়রাত করো অথবা ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও। রাবী বলেন, আমি বললাম, সেই সত্তার শপথ, যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন! আমরা এ রাতটি নিরন্ন অবস্থায় অতিবাহিত করেছি। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি বনু যুরাইক-এর যাকাত বণ্টনকারীর নিকট যাও এবং তাকে বলো, সে যেন তোমাকে যাকাতের কিছু মাল দান করে। তা দিয়ে তুমি ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও এবং অবশিষ্ট যা থাকে তা নিজের উপকারে লাগাও।

بَاب الظِّهَارِ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ الْبَيَاضِيِّ قَالَ كُنْتُ امْرَأً أَسْتَكْثِرُ مِنْ النِّسَاءِ لَا أَرَى رَجُلًا كَانَ يُصِيبُ مِنْ ذَلِكَ مَا أُصِيبُ فَلَمَّا دَخَلَ رَمَضَانُ ظَاهَرْتُ مِنْ امْرَأَتِي حَتَّى يَنْسَلِخَ رَمَضَانُ فَبَيْنَمَا هِيَ تُحَدِّثُنِي ذَاتَ لَيْلَةٍ انْكَشَفَ لِي مِنْهَا شَيْءٌ فَوَثَبْتُ عَلَيْهَا فَوَاقَعْتُهَا فَلَمَّا أَصْبَحْتُ غَدَوْتُ عَلَى قَوْمِي فَأَخْبَرْتُهُمْ خَبَرِي وَقُلْتُ لَهُمْ سَلُوا لِي رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالُوا مَا كُنَّا نَفْعَلُ إِذًا يُنْزِلَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ فِينَا كِتَابًا أَوْ يَكُونَ فِينَا مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَوْلٌ فَيَبْقَى عَلَيْنَا عَارُهُ وَلَكِنْ سَوْفَ نُسَلِّمُكَ لِجَرِيرَتِكَ اذْهَبْ أَنْتَ فَاذْكُرْ شَأْنَكَ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَخَرَجْتُ حَتَّى جِئْتُهُ فَأَخْبَرْتُهُ الْخَبَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَنْتَ بِذَاكَ فَقُلْتُ أَنَا بِذَاكَ وَهَا أَنَا يَا رَسُولَ اللهِ صَابِرٌ لِحُكْمِ اللهِ عَلَيَّ قَالَ فَأَعْتِقْ رَقَبَةً قَالَ قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَصْبَحْتُ أَمْلِكُ إِلَّا رَقَبَتِي هَذِهِ قَالَ فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ وَهَلْ دَخَلَ عَلَيَّ مَا دَخَلَ مِنْ الْبَلَاءِ إِلَّا بِالصَّوْمِ قَالَ فَتَصَدَّقْ أَوْ أَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا قَالَ قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا لَيْلَتَنَا هَذِهِ مَا لَنَا عَشَاءٌ قَالَ فَاذْهَبْ إِلَى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِي زُرَيْقٍ فَقُلْ لَهُ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ وَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا وَانْتَفِعْ بِبَقِيَّتِهَا


It was narrated that Salamah bin Sakhr Al-Bayadi said: "I was a man who had a lot of desire for women, and I do not think there was any man who had as great a share of that as me. When Ramadan began, I declared Zihar upon my wife (to last) until Ramadan ended. While she was talking to me one night, part of her body became uncovered. I jumped on her and had intercourse with her. The next morning I went to my people and told them, and said to them: 'Ask the Messenger of Allah (ﷺ) for me.' They said: 'We will not do that, lest Allah reveal Quran concerning us or the Messenger of Allah (ﷺ) says, something about us, and it will be a lasting source of disgrace for us. Rather we will leave you to deal with it yourself. Go yourself and tell the Messenger of Allah (ﷺ) about your problem.' So I went out and when I came to him, I told him what happened. The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Did you really do that?' I said: 'I really did that, and here I am, O Messenger of Allah. (ﷺ) I will bear Allah’s ruling on me with patience.' He said: 'Free a slave.' I said: 'By the One Who sent you with the truth, I do not own anything but myself.' He said: 'Fast for two consecutive months.' I said: 'O Messenger of Allah, the thing that happened to me was only because of fasting.' He said: 'Then give charity, or feed sixty poor persons.' I said: 'By the One Who sent you with the truttu we spent last night with no dinner.' He said: 'Then go to the collector of charity of Banu Zuraiq, and tell him to give you something, then feed sixty poor persons, and benefit from the rest.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু সাখার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০/২৬. যিহারকারী কাফ্ফারা আদায়ের পূর্বে সহবাসে লিপ্ত হলে।

১/২০৬৪। সালামাহ্ ইবনু সাখর আল-বায়াদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। কাফ্ফারা আদায়ের পূর্বে সহবাসে লিপ্ত হওয়া যিহারকারী সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ একই কাফফারা হবে (অর্থাৎ সহবাসের জন্য স্বতন্ত্র কাফফারা হবে না)।

بَاب الْمُظَاهِرِ يُجَامِعُ قَبْلَ أَنْ يُكَفِّرَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ إِدْرِيسَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ الْبَيَاضِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمُظَاهِرِ يُوَاقِعُ قَبْلَ أَنْ يُكَفِّرَ قَالَ كَفَّارَةٌ وَاحِدَةٌ


It was narrated from Salamah bin Sakhr Al-Bayedi that: the Prophet (ﷺ) said concerning a man who declared Zihar upon his wife having intercourse with her before compensation: "Let him offer one expiation."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু সাখার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ কাফ্ফারা প্রদানের পূর্বে জিহারকারীর সঙ্গত হওয়া প্রসঙ্গে।

১২০১. আবূ সাঈদ আশাজ্জ (রহঃ) ...... সালামা ইবনু সাখর বায়াযী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী (সা- জিহারের কাফফারা প্রদানের পূর্বে সংগত হওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন। (এমতাবস্থায়ও) এর জন্য একই কাফফারা। -তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৯৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-গারীব। এই হাদীস অনুসারে অধিকাংশ আলিমের আমল রয়েছে। এ হলো ইমাম সুফইয়ান ছাওরী, মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর অভিমত। কতক আলিম বলেন, কাফফারা প্রদানের পূর্বেই যদি কেউ স্ত্রীর সহিত সঙ্গত হয় তবে তাকে দুই কাফফারা দিতে হবে। এ হলো আবদুর রহমান ইবনু মাহদী (রহঃ) এর অভিমত।

باب مَا جَاءَ فِي الْمُظَاهِرِ يُوَاقِعُ قَبْلَ أَنْ يُكَفِّرَ

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ الْبَيَاضِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمُظَاهِرِ يُوَاقِعُ قَبْلَ أَنْ يُكَفِّرَ قَالَ ‏ "‏ كَفَّارَةٌ وَاحِدَةٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكٍ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا وَاقَعَهَا قَبْلَ أَنْ يُكَفِّرَ فَعَلَيْهِ كَفَّارَتَانِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ ‏.‏


Salamah bin Sakhr Al-Bayadi narrated: that the Prophet said, about the one who uttered Zihar and had intercourse before the atonement: "One atonement."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু সাখার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মুজাদালা

৩২৯৯. আবদ ইবন হুমায়দ ও হাসান ইবন আলী হুলওয়ানী (রহঃ) .... সালামা ইবন সাখর আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এমন এক পুরুষ যাকে এত রতি শক্তি দেওয়া হয়েছে যা আর অন্য কাউকে দেওয়া হয়নি। রমযান মাস আসলে তা আতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত সময়ের জন্য আমি আমার স্ত্রী সঙ্গে যিহার করে। কেননা আমার আশংকা হয় যে, কোন রাত্রে যদি স্ত্রী সঙ্গত হয়ে পড়ি, তবে হয়তো দিনের আগমন পর্যন্ত তা চলতে থাকবে আর এদিকে আমি আমাকে স্ত্রী থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারব না। একদিন রাতে আমার স্ত্রী আমাকে খেদমত করছিল। হঠাৎ তার শরীরের এমন কিছু আমার সামনে উদ্ভাসিত হয়ে পড়ে যে, (আর ধৈর্য ধারণ করতে পারলাম না) আমি তার উপর চেপে বসি। সকাল হয়ে এলে আমি ভোরেই আমার কাওমের লোকদের কাছে যাই এবং তাদেরকে আমার বিষয়ে আবহিত করে বলি, তোমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আমাকে নিয়ে চল এবং তাকে আমার বিষয়টি অবহিত কর।

তারা বললঃ না, আল্লাহর কসম, আমরা তা করবোনা। আমাদের আশংকা হয় আমাদের বিষয় হয়তো কুরআনের কোন আয়াত নাযিল হয়ে যাবে বা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হয়তো আমাদের বিষয়ে এমন কোন কথা বলে বসবেন যার লজ্বা সবসময়ের জন্য আমাদের উপর থেকে যাবে। বরং তুমি নিজেই তার কাছে যাও এবং তোমার যা ভাল মনে হয় তা কর।

সালামা ইবন সাখর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এর পর আমি নিজেই বেরিয়ে গেলাম এবং নবীজীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে আমার বিষয়টি তাকে অবহিত করলাম।

তিনি বললেনঃ তুমিই সে কাজ করেছ?

আমি বললামঃ আমিই সে অপরাধী।

তিনি বললেনঃ তুমি সে কাজ করেছঃ

আমি বললামঃ আমিই সে অপরাধী।

তিনি আবার বললেনঃ তুমিই সে কাজ করেছ?

আমি বললামঃ আমিই সে অপরাধী। আমি এইত আমি এখানে হাযির। আমার বিষয় আপনি আল্লাহর বিধান জারী করুন। আমি সে বিষয় ধৈর্য্য ধরব।

তিনি বললেনঃ একটা গোলাম আযাদ কর।

আমি আমার ঘাড়ে হাত দিয়ে তাপ্পড় মেরে বললামঃ সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য সহ প্রেরণ করছেন, আমার এ গর্দানটি ছাড়া আমি আর কারো গর্দানের মালিক নই।

তিনি বললেনঃ দুই মাস সিয়াম পালন কর।

আমি বললামঃ হে আল্লাহর রাসূল! যে মুসীবতে পড়লাম তাকি সিয়াম ছাড়া আন্য আর কোন কারণে ছিল?

তিনি বললেনঃ ষাট জন মিসকীনকে খাদ্য দাও।

আমি বললামঃ কসম সে সত্তার, যিনি আপনাকে সত্য সহ প্রেরণ করেছেন, আজকের এরাতটিও তো আমরা ভুখা কাটিয়েছি। রাতের খাবার বলতেও কিছু ছিল না আমাদের।

তিনি বললেনঃ বানু যুরায়কের সদকা প্রধানকারীর কাছে যাও এবং তাকে বল, তোমাকে সেই সাদকা দিয়ে দিতে তা থেকে তুমি এক ওয়াসাক (ষাট সা’) খাদ্য ষাট জন মিসকীনকে তোমার পক্ষ থেকে আহার করাও। আর বাকীটা তুমি ও তোমার পরিবারের আহার্যের ব্যাবস্থা কর।

সালামা ইবন সাখর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এর পর আমি আমার কওমে ফিরে এলাম। তাদের বললামঃ তোমাদের কাছে তো কেবল সংকীর্ণতা ও খারাফ পরামর্শই পেলাম আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পেলাম উদারতা এবং বরকত ও শুভাশীষ। তোমাদের সাদকা সমূহ আমার কাছে দিয়ে দিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এর পর তারা আমার কাছে তা দিয়েদিল।

সহীহ, ইবনু মাজাহ ২০৬২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩২৯৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান। মুহাম্মদ বুখারী (রহঃ) বলেনঃ আমার মতে সুলায়মান ইবন ইয়াসার কোন হাদীস সরাসরি সালামা ইবন সাখর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে শুনেন নি। তিনি আরো বলেনঃ সালামা ইবন সাখর রাদিয়াল্লাহু আনহু সালামান ইবন সাখর রাদিয়াল্লাহু আনহু নামেও কথিত। এ বিষয়ে খাওলা বিনত ছা’লাবা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। খাওলা রাদিয়াল্লাহু আনহা হলেন আওস ইবন সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু এর স্ত্রী।

بَابٌ: وَمَنْ سُورَةِ الْمُجَادَلَةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كُنْتُ رَجُلاً قَدْ أُوتِيتُ مِنْ جِمَاعِ النِّسَاءِ مَا لَمْ يُؤْتَ غَيْرِي فَلَمَّا دَخَلَ رَمَضَانُ تَظَاهَرْتُ مِنَ امْرَأَتِي حَتَّى يَنْسَلِخَ رَمَضَانُ فَرَقًا مِنْ أَنْ أُصِيبَ مِنْهَا فِي لَيْلَتِي فَأَتَتَابَعَ فِي ذَلِكَ إِلَى أَنْ يُدْرِكَنِي النَّهَارُ وَأَنَا لاَ أَقْدِرُ أَنْ أَنْزِعَ فَبَيْنَمَا هِيَ تَخْدُمُنِي ذَاتَ لَيْلَةٍ إِذْ تَكَشَّفَ لِي مِنْهَا شَيْءٌ فَوَثَبْتُ عَلَيْهَا فَلَمَّا أَصْبَحْتُ غَدَوْتُ عَلَى قَوْمِي فَأَخْبَرْتُهُمْ خَبَرِي فَقُلْتُ انْطَلِقُوا مَعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأُخْبِرُهُ بِأَمْرِي ‏.‏ فَقَالُوا لاَ وَاللَّهِ لاَ نَفْعَلُ نَتَخَوَّفُ أَنْ يَنْزِلَ فِينَا قُرْآنٌ أَوْ يَقُولَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَقَالَةً يَبْقَى عَلَيْنَا عَارُهَا وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ فَاصْنَعْ مَا بَدَا لَكَ ‏.‏ قَالَ فَخَرَجْتُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ خَبَرِي ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَنْتَ بِذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَنْتَ بِذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَنْتَ بِذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ وَهَا أَنَا ذَا فَأَمْضِ فِيَّ حُكْمَ اللَّهِ فَإِنِّي صَابِرٌ لِذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَعْتِقْ رَقَبَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَضَرَبْتُ صَفْحَةَ عُنُقِي بِيَدِي فَقُلْتُ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَصْبَحْتُ أَمْلِكُ غَيْرَهَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ صُمْ شَهْرَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَهَلْ أَصَابَنِي مَا أَصَابَنِي إِلاَّ فِي الصِّيَامِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا لَيْلَتَنَا هَذِهِ وَحْشَى مَا لَنَا عَشَاءٌ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ اذْهَبْ إِلَى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِي زُرَيْقٍ فَقُلْ لَهُ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ فَأَطْعِمْ عَنْكَ مِنْهَا وَسْقًا سِتِّينَ مِسْكِينًا ثُمَّ اسْتَعِنْ بِسَائِرِهِ عَلَيْكَ وَعَلَى عِيَالِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَرَجَعْتُ إِلَى قَوْمِي فَقُلْتُ وَجَدْتُ عِنْدَكُمُ الضِّيقَ وَسُوءَ الرَّأْىِ وَوَجَدْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السَّعَةَ وَالْبَرَكَةَ أَمَرَ لِي بِصَدَقَتِكُمْ فَادْفَعُوهَا إِلَىَّ فَدَفَعُوهَا إِلَىَّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ لَمْ يَسْمَعْ عِنْدِي مِنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ ‏.‏ قَالَ وَيُقَالُ سَلَمَةُ بْنُ صَخْرٍ وَسَلْمَانُ بْنُ صَخْرٍ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ خَوْلَةَ بِنْتِ ثَعْلَبَةَ وَهِيَ امْرَأَةُ أَوْسِ بْنِ الصَّامِتِ ‏.‏


Salamah bin Sakhr Al Ansari said: “I was a man who had an issue with intercourse with a women that none other than me had. When (the month of) Ramadan entered, I pronounced Zihar upon my wife (to last) until the end of Ramadan, fearing that I might have an encounter with her during the night, and I would continue doing that until daylight came upon me, and I would not be able to stop. One night while she was serving me, something of her became exposed for me, so I rushed myself upon her. When the morning came I went to my people to inform them about what happened to me. I said: ‘Accompany me to the Messenger of Allah to inform him about my case.’ They said: ‘No by Allah! We shall not do that, we feat that something will be revealed about us in the Qur’an, or the Messenger of Allah might say something about us, the disgrace of which will remain upon us. But you do and do whatever you want.’” He said: “So I left and I went to the Messenger of Allah, and informed him of my case. He said: ‘You are the one who did that?” I said: ‘I am the one.’ He said: ‘You are the one who did that?” I said: ‘I am the one.’ He said: ‘You are the one who did that?” I said: ‘I am the one, it is before you, so give me Allah’s judgment, for I shall be patient with that.’ He said: ‘Free a slave.’” He said: “I struck the sides of my neck with me hands, and said: ‘No by the One Who sent you with the Truth! I possess nothing besides it.’ He said: ‘Then fast for two months’ I said: ‘O Messenger of Allah! Did this occur to me other than when I was fasting?’ He said: ‘Then feed sixty poor people.’ I said: ‘By the One Who sent you with the Truth! We have spent these nights of ours hungry without an evening meal.’ He said: ‘Go to the one with the charity from Banu Ruzaiq, tell him to give it to you, then feed a Wasq of it, on your behalf, to sixty poor people. Then help yourself and your dependants with the remainder of it.’” He said: “I returned to my people and said: ‘I found dejection and bad ideas with you, and I found liberalness and blessing with the Messenger of Allah. He ordered me to take your charity, so give it to me.’ So they gave it to me.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু সাখার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯. কাফফারা আদায়ের পূর্বে যিহারকারী সহবাস করলে

১১৯৮ সালামা ইবনু সখর আল-বায়ায়ী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, যিহার করার পর কাফফারা আদায়ের পূর্বে স্ত্রীর সাথে সঙ্গমকারী ব্যক্তি প্রসঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এমতাবস্থায় তার একটি মাত্র কাফফারাই হবে।

— সহীহ, প্রাগুক্ত

আবু ঈসা বলেন এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস অনুযায়ী বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞ আলিম মত দিয়েছেন। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী, মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (একই কাফফারা হবে)।

অপর কিছু আলিম বলেন, যিহার করার কাফফারা আদায়ের পূর্বে সহবাস করলে দুটি কাফফারা আদায় করতে হবে। এই মত দিয়েছেন আবদুর রাহমান ইবনু মাহদীও।

باب مَا جَاءَ فِي الْمُظَاهِرِ يُوَاقِعُ قَبْلَ أَنْ يُكَفِّرَ

حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ الْبَيَاضِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمُظَاهِرِ يُوَاقِعُ قَبْلَ أَنْ يُكَفِّرَ قَالَ ‏ "‏ كَفَّارَةٌ وَاحِدَةٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكٍ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُهُمْ إِذَا وَاقَعَهَا قَبْلَ أَنْ يُكَفِّرَ فَعَلَيْهِ كَفَّارَتَانِ ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ ‏.‏


Salamah bin Sakhr Al-Bayadi narrated: that the Prophet said, about the one who uttered Zihar and had intercourse before the atonement: "One atonement."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু সাখার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৯. সূরা আল-মুজাদালাহ

৩২৯৯। সালামাহ ইবনু সাখর আল-আনসারী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি এমন এক পুরুষ, যাকে এত যৌনশক্তি দেয়া হয়েছে যা অন্য কাউকে দেয়া হয়নি। রমাযান মাস এলে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে যিহার করি, যাতে রমাযান মাসটা অতিক্রম হয়ে যায় এবং রাতে সহবাসের আশংকা হতে বেঁচে থাকতে পারি। একই ধারাবাহিকতায় আমার দিনগুলো (সঙ্গমহীন) অতিক্রম হবে এবং তাকে আমি ত্যাগও করতে পারি না।

এ পরিপ্রেক্ষিতে একদিন সে রাতের বেলা আমার সেবা করছিল, হঠাৎ তার কোন জিনিস আমার সম্মুখে উম্মুক্ত হয়ে গেলে আমি তার উপর ঝাপিয়ে পড়ি (সঙ্গম করি)। সকালে উপনিত হয়ে আমি আমার গোত্রের লোকের কাছে উপস্থিত হয়ে তাদেরকে আমার বিষয়টি জানাই। আমি বললাম, আমাকে নিয়ে তোমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে চলো এবং আমার বিষয়টি তাকে জানাই। তারা বলল, না আল্লাহর কসম! আমরা তা করতে অপারগ। আমাদের মনে হচ্ছে যে, আমাদের প্রসঙ্গে কুরআনে আয়াত অবতীর্ণ হবে কিংবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের প্রসঙ্গে এরূপ মন্তব্য করবেন আমাদের জন্য যা লজ্জার বিষয় হয়ে থাকবে। বরং তুমি একাই যাও এবং যা তোমার’ উপর্যুক্ত মনে হয় তাই কর।

বর্ণনাকারী বলেন, আমি রওয়ানা হয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে উপস্থিত হলাম এবং তাকে আমার বিষয়টি জানালাম। তিনি বললেনঃ এ কাজ তুমি করেছ। আমি বললাম, এমন কাজ আমি করেছি। তিনি আবার বললেনঃ এ কাজ তুমি করেছ! আমি বললাম, এমন কাজ আমি করেছি। তিনি বললেনঃ এ কাজ তুমি করেছ! আমি বললাম, এমন কাজ আমি করেছি। আমি উপস্থিত। অতএব আল্লাহর বিধান আমার উপর কার্যকর করুন, আমি ধৈর্য ধারণ করব।

তিনি বললেনঃ একটি দাসী মুক্ত কর। বর্ণনাকারী বলেন, আমি আমার ঘাড়ের উপরাংশে আমার হাত দিয়ে আঘাত করে বললাম, না সেই সত্তার কসম, আপনাকে যিনি সত্যসহ প্রেরণ করেছেন! তাকে ছাড়া আমি আর কিছুর মালিক নই। তিনি বললেনঃ তাহলে ধারাবাহিকভাবে দুই মাস রোযা রাখ। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! যে বিপদ আমার উপর এসেছে তা তো এ রোযার কারণেই। তিনি বললেনঃ তাহলে ষাটজন দরিদ্রকে আহার করাও। আমি বললাম, সেই সত্তার কসম, আপনাকে সত্যসহ যিনি পাঠিয়েছেন। আজ রাতে আমরাই অভুক্ত ছিলাম, আমাদের কাছে রাতের খাবার ছিল না। তিনি বললেনঃ যে লোক যুরাইক গোত্রের যাকাত আদায় করে, তার কাছে তুমি যাও এবং তাকে বল, তাহলে তোমাকে সে কিছু দিবে। তার এক ওয়াসাক এর মাধ্যমে তুমি ষাটজন মিসকীনকে আহার করাবে এবং বাকি যা থাকে তা তুমি ও তোমার পরিজনের জন্য খরচ করবে।

বর্ণনাকারী বলেন, তারপর আমি আমার গোত্রের কাছে প্রত্যাবর্তন করলাম এবং তাদেরকে বললাম, তোমাদের কাছে আমি পেয়েছি সংকীর্ণতা ও কুপরামর্শ, আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট পেয়েছি প্রশস্ততা ও প্রাচুর্য। তিনি তোমাদের যাকাত আমাকে দান করার আদেশ দিয়েছেন। অতএব তা আমার কাছে তোমরা অর্পণ কর। অতএব তারা আমার কাছে তা অর্পণ করে।

সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ২০৬২)।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। মুহাম্মাদ বলেন, আমার মতে সুলাইমান ইবনু ইয়াসার সালামাহ্ ইবনু সাখর-এর কোন বর্ণনা শুনেননি। তিনি আরো বলেন, তার নাম সালামাহ ইবনু সাখর, তবে সালমান ইবনু সাখর নামেও পরিচিত। এ অনুচ্ছেদে সালাবাহ (রাযিঃ)-এর কন্যা ও আওস ইবনুস সামিত (রাযিঃ)-এর সহধর্মিণী খাওলাহ (রাযিঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত রয়েছে।

حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ كُنْتُ رَجُلاً قَدْ أُوتِيتُ مِنْ جِمَاعِ النِّسَاءِ مَا لَمْ يُؤْتَ غَيْرِي فَلَمَّا دَخَلَ رَمَضَانُ تَظَاهَرْتُ مِنَ امْرَأَتِي حَتَّى يَنْسَلِخَ رَمَضَانُ فَرَقًا مِنْ أَنْ أُصِيبَ مِنْهَا فِي لَيْلَتِي فَأَتَتَابَعَ فِي ذَلِكَ إِلَى أَنْ يُدْرِكَنِي النَّهَارُ وَأَنَا لاَ أَقْدِرُ أَنْ أَنْزِعَ فَبَيْنَمَا هِيَ تَخْدُمُنِي ذَاتَ لَيْلَةٍ إِذْ تَكَشَّفَ لِي مِنْهَا شَيْءٌ فَوَثَبْتُ عَلَيْهَا فَلَمَّا أَصْبَحْتُ غَدَوْتُ عَلَى قَوْمِي فَأَخْبَرْتُهُمْ خَبَرِي فَقُلْتُ انْطَلِقُوا مَعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأُخْبِرُهُ بِأَمْرِي ‏.‏ فَقَالُوا لاَ وَاللَّهِ لاَ نَفْعَلُ نَتَخَوَّفُ أَنْ يَنْزِلَ فِينَا قُرْآنٌ أَوْ يَقُولَ فِينَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَقَالَةً يَبْقَى عَلَيْنَا عَارُهَا وَلَكِنِ اذْهَبْ أَنْتَ فَاصْنَعْ مَا بَدَا لَكَ ‏.‏ قَالَ فَخَرَجْتُ فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ خَبَرِي ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَنْتَ بِذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَنْتَ بِذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَنْتَ بِذَاكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ وَهَا أَنَا ذَا فَأَمْضِ فِيَّ حُكْمَ اللَّهِ فَإِنِّي صَابِرٌ لِذَلِكَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَعْتِقْ رَقَبَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَضَرَبْتُ صَفْحَةَ عُنُقِي بِيَدِي فَقُلْتُ لاَ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَصْبَحْتُ أَمْلِكُ غَيْرَهَا ‏.‏ قَالَ ‏"‏ صُمْ شَهْرَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَهَلْ أَصَابَنِي مَا أَصَابَنِي إِلاَّ فِي الصِّيَامِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا لَيْلَتَنَا هَذِهِ وَحْشَى مَا لَنَا عَشَاءٌ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ اذْهَبْ إِلَى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِي زُرَيْقٍ فَقُلْ لَهُ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ فَأَطْعِمْ عَنْكَ مِنْهَا وَسْقًا سِتِّينَ مِسْكِينًا ثُمَّ اسْتَعِنْ بِسَائِرِهِ عَلَيْكَ وَعَلَى عِيَالِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَرَجَعْتُ إِلَى قَوْمِي فَقُلْتُ وَجَدْتُ عِنْدَكُمُ الضِّيقَ وَسُوءَ الرَّأْىِ وَوَجَدْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم السَّعَةَ وَالْبَرَكَةَ أَمَرَ لِي بِصَدَقَتِكُمْ فَادْفَعُوهَا إِلَىَّ فَدَفَعُوهَا إِلَىَّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ سُلَيْمَانُ بْنُ يَسَارٍ لَمْ يَسْمَعْ عِنْدِي مِنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ ‏.‏ قَالَ وَيُقَالُ سَلَمَةُ بْنُ صَخْرٍ وَسَلْمَانُ بْنُ صَخْرٍ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ خَوْلَةَ بِنْتِ ثَعْلَبَةَ وَهِيَ امْرَأَةُ أَوْسِ بْنِ الصَّامِتِ ‏.‏


Salamah bin Sakhr Al Ansari said: “I was a man who had an issue with intercourse with a women that none other than me had. When (the month of) Ramadan entered, I pronounced Zihar upon my wife (to last) until the end of Ramadan, fearing that I might have an encounter with her during the night, and I would continue doing that until daylight came upon me, and I would not be able to stop. One night while she was serving me, something of her became exposed for me, so I rushed myself upon her. When the morning came I went to my people to inform them about what happened to me. I said: ‘Accompany me to the Messenger of Allah to inform him about my case.’ They said: ‘No by Allah! We shall not do that, we feat that something will be revealed about us in the Qur’an, or the Messenger of Allah might say something about us, the disgrace of which will remain upon us. But you do and do whatever you want.’” He said: “So I left and I went to the Messenger of Allah, and informed him of my case. He said: ‘You are the one who did that?” I said: ‘I am the one.’ He said: ‘You are the one who did that?” I said: ‘I am the one.’ He said: ‘You are the one who did that?” I said: ‘I am the one, it is before you, so give me Allah’s judgment, for I shall be patient with that.’ He said: ‘Free a slave.’” He said: “I struck the sides of my neck with me hands, and said: ‘No by the One Who sent you with the Truth! I possess nothing besides it.’ He said: ‘Then fast for two months’ I said: ‘O Messenger of Allah! Did this occur to me other than when I was fasting?’ He said: ‘Then feed sixty poor people.’ I said: ‘By the One Who sent you with the Truth! We have spent these nights of ours hungry without an evening meal.’ He said: ‘Go to the one with the charity from Banu Ruzaiq, tell him to give it to you, then feed a Wasq of it, on your behalf, to sixty poor people. Then help yourself and your dependants with the remainder of it.’” He said: “I returned to my people and said: ‘I found dejection and bad ideas with you, and I found liberalness and blessing with the Messenger of Allah. He ordered me to take your charity, so give it to me.’ So they gave it to me.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু সাখার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮. (স্ত্রীর সাথে) যিহার করা প্রসঙ্গে

২৩১২. সালামা ইবন সাখর আনসারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এমন একজন পুরুষ যে নারী সংসর্গে এত বেশি অভ্যস্ত যে অন্য কেউই আমার মতো ছিল না। রমযান মাস আসলে আমার আশংকা হয় যে, হয়তো কোন রাত্রে যদি স্ত্রী সঙ্গত হয়ে পড়ব, অত:পর হয়তো সকাল পর্যন্ত তাতে লিপ্ত থাকবো। ফলে তা আতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত সময়ের জন্য আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে যিহার করি। এক রাতে আমার স্ত্রী আমার খেদমত করছিল। হঠাৎ তার শরীরের এমন কিছু আমার সামনে উন্মুক্ত হয়ে পড়ে যার ফলে আমি তার উপর উপগত হওয়া হতে আর বিলম্ব করতে পারলাম না। সকাল হয়ে এলে আমি ভোরেই আমার কাওমের লোকদের কাছে যাই এবং তাদেরকে আমার বিষয়ে অবহিত করে বলি, তোমরা আমার সঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে চল।

তারা বললঃ না, আল্লাহর কসম, আমরা তোমার সাথে যাবোনা। আমাদের আশংকা হয়, তোমার বিষয়ে হয়তো কুরআনের কোন আয়াত নাযিল হয়ে যাবে অথবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হয়তো তোমার বিষয়ে এমন কোন কথা বলে বসবেন যার লজ্জা আমাদের উপর থেকে যাবে। বরং তোমার অপকর্মের দরুণ অবশ্যই আমরা তোমাকে সোপর্দ করছি।

এরপর আমি নিজেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গেলাম এবং আমার বিষয়টি তাকে বিস্তারিত বর্ণনা করলাম।

তখন তিনি বললেনঃ হে সালামাহ! তুমিই কি উহা (করেছ)?

আমি বললামঃ আমিই সেটি (করেছি)।

তিনি বললেনঃ হে সালামাহ! তুমিই কি উহা (করেছ)?

আমি বললামঃ আমিই সেটি (করেছি)।

তিনি বললেনঃ হে সালামাহ! তুমিই কি উহা (করেছ)?

আমি বললামঃ আমিই সেটি (করেছি)।

আর এইতো আমি এখানেই আছি। আর আমার প্রতি সবর করে আছি। আপনি আমার বিষয়ে আল্লাহর বিধান জারী করুন।

তিনি বললেনঃ “একটা গোলাম আযাদ কর।”

আমি আমার ঘাড়ের উপর হাত দিয়ে আঘাত করে বললামঃ সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে সত্য সহ প্রেরণ করছেন, আজ সকাল পর্যন্ত আমার এ গর্দানটি ছাড়া আমি আর কারো গর্দানের মালিক নই।

তিনি বললেনঃ “তাহলে দুই মাস লাগাতার সিয়াম পালন কর।”

আমি বললামঃ যে মুসীবতে পড়লাম, তা কি এ সিয়াম ছাড়া আর কোন কারণে ছিল?

তিনি বললেনঃ “তবে ষাট জন মিসকীনকে এক ওয়াসাক (ষাট সা’আ) খেজুর খাওয়াও।”

আমি বললামঃ কসম সে সত্তার, যিনি আপনাকে সত্য সহ প্রেরণ করেছেন, আজকের এ রাতটিও তো আমরা ভুখা কাটিয়েছি। রাতের খাবার বলতেও কিছু ছিলনা আমাদের।

তিনি বললেনঃ “বানু যুরায়কের সাদাকা প্রদানকারীর কাছে যাও এবং (তাকে বল,) সে যেন তোমাকে সেই সাদকা দিয়ে দেয়। আর (তাথেকে) তুমি এক ওয়াসাক (ষাট সা’) খাদ্য ষাট জন মিসকীনকে তোমার পক্ষ থেকে আহার করাও। আর বাকীটা তুমি ও তোমার পরিবারের আহার্যের ব্যাবস্থা কর।”

তিনি বলেন, এর পর আমি আমার কওমে ফিরে এলাম। তাদের বললামঃ তোমাদের কাছে তো কেবল সংকীর্ণতা ও মন্দ পরামর্শই পেলাম আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে পেলাম উদারতা এবং উত্তম পরামর্শ। আর তোমাদের সাদকা সমূহ আমার কাছে দিয়ে দিতে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন।[1]

بَاب فِي الظِّهَارِ

حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ الْبَيَاضِيِّ قَالَ كُنْتُ امْرَأً أُصِيبُ مِنْ النِّسَاءِ مَا لَا يُصِيبُ غَيْرِي فَلَمَّا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ خِفْتُ أَنْ أُصِيبَ فِي لَيْلِي شَيْئًا فَيَتَتَابَعَ بِي ذَلِكَ إِلَى أَنْ أُصْبِحَ قَالَ فَتَظَاهَرْتُ إِلَى أَنْ يَنْسَلِخَ فَبَيْنَا هِيَ لَيْلَةً تَخْدُمُنِي إِذْ تَكَشَّفَ لِي مِنْهَا شَيْءٌ فَمَا لَبِثْتُ أَنْ نَزَوْتُ عَلَيْهَا فَلَمَّا أَصْبَحْتُ خَرَجْتُ إِلَى قَوْمِي فَأَخْبَرْتُهُمْ وَقُلْتُ امْشُوا مَعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالُوا لَا وَاللَّهِ لَا نَمْشِي مَعَكَ مَا نَأْمَنُ أَنْ يَنْزِلَ فِيكَ الْقُرْآنُ أَوْ أَنْ يَكُونَ فِيكَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَقَالَةٌ يَلْزَمُنَا عَارُهَا وَلَنُسْلِمَنَّكَ بِجَرِيرَتِكَ فَانْطَلَقْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَصَصْتُ عَلَيْهِ خَبَرِي فَقَالَ يَا سَلَمَةُ أَنْتَ بِذَاكَ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ قَالَ يَا سَلَمَةُ أَنْتَ بِذَاكَ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ قَالَ يَا سَلَمَةُ أَنْتَ بِذَاكَ قُلْتُ أَنَا بِذَاكَ وَهَا أَنَا صَابِرٌ نَفْسِي فَاحْكُمْ فِيَّ مَا أَرَاكَ اللَّهُ قَالَ فَأَعْتِقْ رَقَبَةً قَالَ فَضَرَبْتُ صَفْحَةَ رَقَبَتِي فَقُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَصْبَحْتُ أَمْلِكُ رَقَبَةً غَيْرَهَا قَالَ فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قُلْتُ وَهَلْ أَصَابَنِي الَّذِي أَصَابَنِي إِلَّا فِي الصِّيَامِ قَالَ فَأَطْعِمْ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ سِتِّينَ مِسْكِينًا فَقُلْتُ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا لَيْلَتَنَا وَحْشَى مَا لَنَا طَعَامٌ قَالَ فَانْطَلِقْ إِلَى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِي زُرَيْقٍ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ وَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ وَكُلْ بَقِيَّتَهُ أَنْتَ وَعِيَالُكَ قَالَ فَأَتَيْتُ قَوْمِي فَقُلْتُ وَجَدْتُ عِنْدَكُمْ الضِّيقَ وَسُوءَ الرَّأْيِ وَوَجَدْتُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّعَةَ وَحُسْنَ الرَّأْيِ وَقَدْ أَمَرَ لِي بِصَدَقَتِكُمْ


হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু সাখার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. যিহার

২২১৩। সালামাহ ইবনু সাখর আল-বায়দী (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নারীদের প্রতি এতো অধিক আসক্ত প্রবণ ব্যক্তি যে অন্য কেউ এরূপ আসক্ত নয়। যখন রমাযান মাস সমাগত হলো তখন আমার ভয় হলো যে, হয় তো আমি ভোর বেলায়ও স্ত্রীসঙ্গমে লিপ্ত থাকবো। তাই রমাযান মাস অতিবাহিত হওয়া পর্যন্ত আমি তার সাথে ’যিহার’ করি। এক রাতে সে আমার খেদমত করছিলো। এমন সময় তার শরীরের এমন কিছু আমার সামনে খুলে গেলো যে, আমি স্থির থাকতে পারলাম না। আমি সহবাসে লিপ্ত হয়ে পড়লাম। ভোর হলে আমি আমার বংশের লোকদের কাছে গিয়ে তাদেরকে আমার ঘটনা জানিয়ে বললাম, তোমরা আমার সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে চলো। তারা বললো, না আল্লাহর শপথ! আমরা যাবো না। কাজেই আমি একাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে ঘটনাটি জানালাম।

তিনি বললেনঃ এরূপ কান্ড কি তুমি করেছো হে সালামাহ? আমি বললাম, হ্যাঁ, আমিই করেছি, হে আল্লাহর রাসূল! এভাবে দুইবার বলি। আর আপনি মহান আল্লাহর বিধান আমার উপর কার্যকর করুন আমি ধৈর্যশীল হবো। তিনি বললেনঃ তুমি একটি দাস মুক্ত করো। আমি বলি, যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছেন তাঁর শপথ! আমার কোনো দাস নেই, আমার নিজকে ছাড়া। এ কথা বলে আমি আমার গর্দানের উপর হাত রাখি। তিনি বললেনঃ তাহলে একাধারে দু’মাস সওম পালন করো। সে বললো, সওম পালনের কারণেই তো এ সমস্যায় পড়েছি। তিনি বললেনঃ ’এক ওয়াসক’ খেজুর ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াও। সে বললো, সেই সত্ত্বার শপথ, যিনি আপনাকে সত্যসহ পাঠিয়েছে! গত রাত আমি এবং আমার পরিবার উপোস কাটিয়েছি। কারণ আমাদের কাছে খাবার নেই।

অতঃপর তিনি বললেনঃ তুমি বনু যুরাইকের যাকাত আদায়কারীর নিকট গিয়ে বলো, সে যেন তোমাকে তাদের সাদাকাহ দেয়। তা থেকে ’এক ওয়াসক’ খেজুর ষাটজন মিসকীনকে খাওয়াবে। আর যা বাকী থাকবে তা তুমি ও তোমার পরিবার খাবে। অতঃপর আমি আমার কওমের লোকদের নিকট ফিরে এসে বলি, আমি তোমাদের কাছে পেয়েছি সংকীর্ণতা ও মন্দ ব্যবহার, আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পেয়েছি উদারতা ও উত্তম ব্যবহার। তিনি আমাকে তোমাদের সাদাকাহ গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। ইবনুল ’আলা অতিরিক্ত বর্ণনা করেন যে, ’বায়দাহ’ বনু যুরাইকের একটি শাখা।[1]

হাসান।

بَابٌ فِي الظِّهَارِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ، الْمَعْنَى، قَالَا: حَدَّثَنَا ابْنُ إِدْرِيسَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، - قَالَ ابْنُ الْعَلَاءِ: ابْنِ عَلْقَمَةَ بْنِ عَيَّاشٍ - عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ قَالَ: ابْنُ الْعَلَاءِ الْبَيَاضِيُّ قَالَ: كُنْتُ امْرَأً أُصِيبُ مِنَ النِّسَاءِ مَا لَا يُصِيبُ غَيْرِي، فَلَمَّا دَخَلَ شَهْرُ رَمَضَانَ خِفْتُ أَنْ أُصِيبَ مِنَ امْرَأَتِي شَيْئًا يُتَابَعُ بِي حَتَّى أُصْبِحَ، فَظَاهَرْتُ مِنْهَا حَتَّى يَنْسَلِخَ شَهْرُ رَمَضَانَ، فَبَيْنَا هِيَ تَخْدُمُنِي ذَاتَ لَيْلَةٍ، إِذْ تَكَشَّفَ لِي مِنْهَا شَيْءٌ، فَلَمْ أَلْبَثْ أَنْ نَزَوْتُ عَلَيْهَا، فَلَمَّا أَصْبَحْتُ خَرَجْتُ إِلَى قَوْمِي فَأَخْبَرْتُهُمُ الْخَبَرَ، وَقُلْتُ امْشُوا مَعِي إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالُوا: لَا وَاللَّهِ، فَانْطَلَقْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ، فَقَالَ: أَنْتَ بِذَاكَ يَا سَلَمَةُ؟، قُلْتُ: أَنَا بِذَاكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَرَّتَيْنِ وَأَنَا صَابِرٌ لِأَمْرِ اللَّهِ، فَاحْكُمْ فِيَّ مَا أَرَاكَ اللَّهُ، قَالَ: حَرِّرْ رَقَبَةً، قُلْتُ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ مَا أَمْلِكُ رَقَبَةً غَيْرَهَا، وَضَرَبْتُ صَفْحَةَ رَقَبَتِي، قَالَ: فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ، قَالَ: وَهَلْ أَصَبْتُ الَّذِي أَصَبْتُ إِلَّا مِنَ الصِّيَامِ، قَالَ: فَأَطْعِمْ وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ بَيْنَ سِتِّينَ مِسْكِينًا، قُلْتُ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَقَدْ بِتْنَا وَحْشَيْنِ مَا لَنَا طَعَامٌ، قَالَ: فَانْطَلِقْ إِلَى صَاحِبِ صَدَقَةِ بَنِي زُرَيْقٍ فَلْيَدْفَعْهَا إِلَيْكَ، فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا وَسْقًا مِنْ تَمْرٍ وَكُلْ أَنْتَ وَعِيَالُكَ بَقِيَّتَهَا، فَرَجَعْتُ إِلَى قَوْمِي، فَقُلْتُ: وَجَدْتُ عِنْدَكُمُ الضِّيقَ، وَسُوءَ الرَّأْيِ، وَوَجَدْتُ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ السَّعَةَ، وَحُسْنَ الرَّأْيِ، وَقَدْ أَمَرَنِي أَوْ أَمَرَ لِي بِصَدَقَتِكُمْ، زَادَ ابْنُ الْعَلَاءِ، قَالَ ابْنُ إِدْرِيسَ: بَيَاضَةُ بَطْنٌ مِنْ بَنِي زُرَيْقٍ

حسن


Narrated Salamah ibn Sakhr al-Bayadi: I was a man who was more given than others to sexual intercourse with women. When the month of Ramadan came, I feared lest I should have intercourse with my wife, and this evil should remain with me till the morning. So I made my wife like my mother's back to me till the end of Ramadan. But one night when she was waiting upon me, something of her was revealed. Suddenly I jumped upon her. When the morning came I went to my people and informed them about this matter. I said: Go along with me to the Messenger of Allah (ﷺ). They said: No, by Allah. So I went to the Prophet (peace be upon him and informed him of the matter. He said: Have you really committed it, Salamah? I said: I committed it twice, Messenger of Allah. I am content with the Commandment of Allah, the Exalted; so take a decision about me according to what Allah has shown you. He said: Free a slave. I said: By Him Who sent you with truth, I do not possess a neck other than this: and I struck the surface of my neck. He said: Then fast two consecutive months. I said: Whatever I suffered is due to fasting. He said: Feed sixty poor people with a wasq of dates. I said: By Him Who sent you with truth, we passed the night hungry; there was no food in our house. He said: Then go to the collector of sadaqah of Banu Zurayq; he must give it to you. Then feed sixty poor people with a wasq of dates; and you and your family eat the remaining dates. Then I came back to my people, and said (to them): I found with you poverty and bad opinion; and I found with the Prophet (ﷺ) prosperity and good opinion. He has commanded me to give alms to you. Ibn al-Ala' added: Ibn Idris said: Bayadah is a sub-clan of Banu Zurayq.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু সাখার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯. ঈলা, যিহার ও কাফফারার বিবরণ - যিহারের কাফফারা সমূহ

১০৯৩৷ সালামাহ ইবনু সাখার (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন- রামাযান মাস এসে যাবার পর আমার মনে ভয়ের উদ্রেক হল যে, হয়তো আমি আমার স্ত্রীর সাথে সঙ্গম করে বসব। অনন্তর আমি তার নিকটবর্তী হলাম। এমত অবস্থায় তার একটি অংশ (হাঁটুর নিম্নাংশ) রাত্রে আমার সামনে উম্মুক্ত হয়ে গেল; ফলে আমি তার উপরে পতিত হলাম অর্থাৎ সহবাস করে ফেললাম। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, একটি দাস মুক্ত কর। আমি বললাম, আমি দাসের মালিক নই।-কেবল আমি নিজেরই মালিক। তিনি বললেন,- একাদিক্ৰমে দুমাস সওম পালন কর। আমি বললাম, আমি সওম পালনের জন্যেই তো এ বিপদে পড়েছি। তিনি বললেন-তবে তুমি ষাট জন দরিদ্রকে এক অরাক বা ফারাক (আনুমানিক ৪৫ কেজি ওজনের) খেজুর খাইয়ে দাও। —ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু জারূদ একে সহীহ বলেছেন।[1]

وَعَنْ سَلَمَةَ بْنِ صَخْرٍ قَالَ: دَخَلَ رَمَضَانُ, فَخِفْتُ أَنْ أُصِيبَ اِمْرَأَتِي, فَظَاهَرْتُ مِنْهَا, فَانْكَشَفَ لِي مِنْهَا شَيْءٌ لَيْلَةً, فَوَقَعَتْ عَلَيْهَا, فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - «حَرِّرْ رَقَبَةً» قُلْتُ: مَا أَمْلِكُ إِلَّا رَقَبَتِي. قَالَ: «فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ»، قُلْتُ: وَهَلْ أَصَبْتُ الَّذِي أَصَبْتُ إِلَّا مِنْ الصِّيَامِ? قَالَ: «أَطْعِمْ عِرْقًا مِنْ تَمْرٍ بَيْنَ سِتِّينَ مِسْكِينًا». أَخْرَجَهُ أَحْمَدُ, وَالْأَرْبَعَةُ إِلَّا النَّسَائِيَّ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ, وَابْنُ الْجَارُودِ

-

صحيح. رواه أحمد (4/ 37)، وأبو داود (2213)، والترمذي (1198 و 3299)، وابن ماجه (2062)، وابن الجارود (744)، من طريق محمد بن إسحاق، عن محمد بن عمرو بن عطاء، عن سليمان بن يسار، عن سلمة بن صخر، به. وقال الترمذي: «حديث حسن» ونقل إعلال البخاري له بالانقطاع بين سليمان بن يسار وبين سلمة. قلت: وأيضا ابن إسحاق مدلس. ولكنه جاء من طرق أخرى. رواه الترمذي (1200)، من طريق أبي سلمة. ومحمد بن عبد الرحمن بن ثوبان، عن سلمة، به. وقال: «هذا حديث حسن». قلت: وفيه نفس العلة السابقة، وهي الانقطاع. ورواه أبو داود (2217)، وابن الجارود (745) بسند مرسل صحيح. والخلاصة أن الحديث بهذه الطرق، وشاهده السابق عن ابن عباس صحيح، خاصة وقد حسن الحافظ في «الفتح» (9/ 433) حديث سلمة هذا


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সালামাহ ইবনু সাখার (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে