আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১৪ টি

পরিচ্ছেদঃ ২৮. দাজ্জাল সম্পর্কে।

৪৬৮১. মূসা ইবন ইসমাঈল (রহঃ) .... আবূ উবায়দা ইবনুল জাররাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এরূপ বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ নূহ (আঃ)-এর পর এমন কোন নবী যাননি, যিনি তাঁর উম্মতকে দাজ্জাল সম্পর্কে ভীতি-প্রদর্শন করেননি। আর আমিও তোমাদেরকে তার সম্পর্কে সতর্ক করছি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাজ্জাল সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেনঃ সম্ভবতঃ যে আমাকে দেখেছে এবং আমার কথা শুনেছে, সে দাজ্জালকে দেখবে। তখন সাহাবীগণ বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেদিন আমাদের দিন কেমন হবে? আজকের দিনের মত? তিনি বলেনঃ আজকের দিন থেকেও উত্তম হবে।

باب فِي الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُرَاقَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏:‏ ‏"‏ إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ بَعْدَ نُوحٍ إِلاَّ وَقَدْ أَنْذَرَ الدَّجَّالَ قَوْمَهُ، وَإِنِّي أُنْذِرُكُمُوهُ ‏"‏ ‏.‏ فَوَصَفَهُ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَالَ ‏:‏ ‏"‏ لَعَلَّهُ سَيُدْرِكُهُ مَنْ قَدْ رَآنِي وَسَمِعَ كَلاَمِي ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ قُلُوبُنَا يَوْمَئِذٍ أَمِثْلُهَا الْيَوْمَ قَالَ ‏:‏ ‏"‏ أَوْ خَيْرٌ ‏"‏ ‏.‏


Narrated AbuUbaydah ibn al-Jarrah: I heard the Prophet (ﷺ) say: There has been no Prophet after Noah who has not warned his people about the antichrist (Dajjal), and I warn you of him. The Messenger of Allah (ﷺ) described him to us, saying: Perhaps some who have seen me and heard my words will live till his time. The people asked: Messenger of Allah! what will be the condition of our hearts on that day? Like what we are today? He replied: Or better.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩/ দু'পা মিলিয়ে নামাযে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে।

৮৯৫। আমর ইবনু আলী (রহঃ) ... আবূ উবায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) এক ব্যক্তিকে উভয় পা মিলিয়ে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করতে দেখলেন। তিনি বললেন, এ ব্যক্তি সুন্নতের বিরোধিতা করল। যদি এ ব্যক্তি পদদূয়ের মাঝখানে ব্যবধান বা ফাঁক রেখে দাঁড়াতো তাহলে তা উত্তম হতো।

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ سَعِيدٍ الثَّوْرِيِّ، عَنْ مَيْسَرَةَ، عَنِ الْمِنْهَالِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ، رَأَى رَجُلاً يُصَلِّي قَدْ صَفَّ بَيْنَ قَدَمَيْهِ فَقَالَ خَالَفَ السُّنَّةَ وَلَوْ رَاوَحَ بَيْنَهُمَا كَانَ أَفْضَلَ ‏.‏


It was narrated from Abu Ubaidah that: Abdullah saw a man who was praying with his feet together. He said: "He is going against the Sunnah; if he shifted his weight from one to the other that would be better."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪২/ সাওম পালনকারীর ফযীলত সম্পর্কে আবু উমামা (রাঃ) এর হাদীসে মুহাম্মাদ ইবন আবু ইয়াকুব (রহঃ) থেকে বর্ণনাকারীদের বর্ণনা পার্থক্যের উল্লেখ

২২৩৯। মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ... আবূ উবায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) ঢালস্বরূপ যতক্ষণ পর্যন্ত সে তা ভেঙ্গে না ফেলে।

باب ذِكْرِ الاِخْتِلاَفِ عَلَى مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ فِي حَدِيثِ أَبِي أُمَامَةَ فِي فَضْلِ الصَّائِمِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ أَنْبَأَنَا حِبَّانُ، قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مِسْعَرٍ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي مَالِكٍ، قَالَ حَدَّثَنَا أَصْحَابُنَا، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، قَالَ الصِّيَامُ جُنَّةٌ مَا لَمْ يَخْرِقْهَا ‏.‏


It was narrated that Al-Walid bin Abi Malik said: "Our companions narrated to us that Abu 'Ubaidah said: 'Fasting is a shield, so long as you do not damage it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দাজ্জাল প্রসঙ্গ।

২২৩৭. আবদুল্লাহ ইবন মুআবিয়া জুমাহী (রহঃ) ..... আবূ উবায়দা ইবন জাররাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ নূহ (আঃ)-এর পর এমন কোন নবী আসেননি যিনি তাঁর কাওমকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেননি। আর আমিও তোমাদেরকে তার সম্পর্কে সতর্ক করছি। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে পরিচয় দিলেন এবং বললেনঃ আমাকে যারা দেখছে বা আমার কথা শুনেছে তাদের কেউ হয়ত তার দেখা পেতে পারে। সাহবীগণ বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, সেদিন আমাদের অন্তরের অবস্থা কেমন থাকবে? তিনি বললেনঃ আজকের মত বা এর চেয়েও ভাল। যঈফ, মিশকাত তাহকিক ছানী ৫৪৮৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৩৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবন বুসর, আবদুল্লাহ ইবন মুগাফফাল এবং আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ উবায়দা ইবন জাররাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত হাদীস হিসাবে এটি হাসান-গারীব। খালিদ হাযযা (রহঃ) এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমরা অবহিত নই। আবূ উবায়দা ইবন জাররাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর নাম হল ’আমির ইবন আবদুল্লাহ ইবন জাররাহ।

بَابُ مَا جَاءَ فِي الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُرَاقَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ بَعْدَ نُوحٍ إِلاَّ قَدْ أَنْذَرَ الدَّجَّالَ قَوْمَهُ وَإِنِّي أُنْذِرُكُمُوهُ ‏"‏ ‏.‏ فَوَصَفَهُ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ لَعَلَّهُ سَيُدْرِكُهُ بَعْضُ مَنْ رَآنِي أَوْ سَمِعَ كَلاَمِي ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ قُلُوبُنَا يَوْمَئِذٍ قَالَ ‏"‏ مِثْلُهَا يَعْنِي الْيَوْمَ أَوْ خَيْرٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جُزَىٍّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ أَيْضًا عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ ‏.‏ وَأَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ اسْمُهُ عَامِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْجَرَّاحِ ‏.‏


Abu 'Ubaidah bin Al-Jarrah said: "I heard the Messenger of Allah(s.a.w): 'There was never a Prophet after Nuh but that he warned his people about the Dajjal, and indeed I shall warn you of him.' Then the Messenger of Allah(s.a.w) described him for us, and he said: "Perhaps some of you who see me, or hear my words shall live to see him." They said: "O Messenger of Allah! How will our hearts be on that day?" He said: "The same – that is, as today – or better.”


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সূরা আল-মাইদা

৩০৪৮. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ...... আবূ উবায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বানূ ইসরাঈলের মাঝে যখন ক্রটি দেখা দিল তখন তাদের একজন তার আর এক ভাইকে গুনাহের মধ্যে লিপ্ত দেখতে পেলে তাকে নিষেধ করত কিন্তু তাকে যা করতে সে দেখেছে তার এই দেখা ঐ নাফরমানের সঙ্গে পানাহারে এবং মজলিসে-বৈঠকে এক সঙ্গে শরীক হওয়া থেকে তাকে বাধা দিত না। অবশেষে আল্লাহ্ তা’আলা তাদের কতকের অন্তর অন্য কতকের অন্তরের সাথে একাকার করে দিলেন। তাদের বিষয়েই আল্লাহ্ তা’আলা এই আয়াত নাযিল করেন এরপর তিনি পাঠ করলেনঃ

لُعِِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ دَاوُدَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ

বানু ইসরাঈলের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তারা অভিশপ্ত হয়েছিল দাঊদ ও ঈসা ইবন মারয়াম কর্তৃক। কারণ তারা ছিল অবাধ্য ও সীমালংঘনকারী। তারা যে সব গর্হিত কাজ করত তা থেকে পরস্পরকে বারণ করত না তারা যা করত তা কতই না মন্দ। তাদের অনেককে তুমি কাফিরদের সাথে বন্ধুত্ব করতে দেখবে। কত নিকৃষ্ট তাদের কৃতকর্ম- যে কারণে আল্লাহ্ তাদের উপর ক্রোধাম্বিত হয়েছেন এবং তারা স্থায়ীভাবে আযাবে থাকবে। তারা আল্লাহ্, নবী ও তাদের উপর যা অবতীর্ণ হয়েছে তাতে বিশ্বাসী হলে এদের বন্ধরূপে গ্রহণ করতে না। কিন্তু তাদের অনেকেই ফাসিক। (৫ঃ ৭৮-৮১)।

তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাত হয়েছিলেন, তিনি সোজা হয়ে বসে বললেনঃ তোমরা রক্ষা পাবে না, যতক্ষণ না জালিমের হাত ধরে তাকে হকের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছ।

যঈফ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩০৪৮ [আল মাদানী প্রকাশনী], দেখুন পূর্বের হাদিস।

বুনদার (রহঃ) ... আবদুল্লাহ্ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে।

بَابٌ: وَمِنْ سُورَةِ الْمَائِدَةِ

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ بَنِي إِسْرَائِيلَ لَمَّا وَقَعَ فِيهِمُ النَّقْصُ كَانَ الرَّجُلُ فِيهِمْ يَرَى أَخَاهُ عَلَى الذَّنْبِ فَيَنْهَاهُ عَنْهُ فَإِذَا كَانَ الْغَدُ لَمْ يَمْنَعْهُ مَا رَأَى مِنْهُ أَنْ يَكُونَ أَكِيلَهُ وَشَرِيبَهُ وَخَلِيطَهُ فَضَرَبَ اللَّهُ قُلُوبَ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ وَنَزَلَ فِيهِمُ الْقُرْآنُ فَقَالَ ‏:‏ ‏(‏ لُعِِنَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ بَنِي إِسْرَائِيلَ عَلَى لِسَانِ دَاوُدَ وَعِيسَى ابْنِ مَرْيَمَ ذَلِكَ بِمَا عَصَوْا وَكَانُوا يَعْتَدُونَ ‏)‏ ‏"‏ ‏.‏ فَقَرَأَ حَتَّى بَلَغَ ‏:‏ ‏(‏وَلَوْ كَانُوا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالنَّبِيِّ وَمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مَا اتَّخَذُوهُمْ أَوْلِيَاءَ وَلَكِنَّ كَثِيرًا مِنْهُمْ فَاسِقُونَ ‏)‏ قَالَ وَكَانَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُتَّكِئًا فَجَلَسَ فَقَالَ ‏"‏ لاَ حَتَّى تَأْخُذُوا عَلَى يَدَىِ الظَّالِمِ فَتَأْطِرُوهُ عَلَى الْحَقِّ أَطْرًا ‏"‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا بُنْدَارٌ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، وَأَمْلاَهُ، عَلَىَّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ أَبِي الْوَضَّاحِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ بَذِيمَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ ‏.‏


Narrated Abu 'Ubaidah: "The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'When the Children of Isra'il fell into decline, a man among them would see his brother committing a sin, and prohibit them from it. The next day, what he saw him doing would not prevent him from eating with him, drinking with him, and associating with him. So Allah pitted their hearts against each other, and He revealed about them in the Qur'an, He said: Those among the Children of Isra'il who disbelieved were cursed by the tongue of Dawud and 'Eisa, son of Mariam. That was because they disobeyed and were ever transgressing.' And he recited until he reached: 'And had they believed in Allah, and in the Prophet, and in what has been revealed to him, never would they have taken them as friends; but many of them are rebellious (5:78-81).' He said: "And Allah's Prophet (ﷺ) was reclining, so he sat up and said: 'No! Not until you take the hand of the wrong-doer and incline him toward the truth.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৫. দাজ্জাল প্রসঙ্গে

২২৩৪। আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ নূহ (আঃ)-এর পর হতে এমন কোন নবী আসেননি যিনি দাজ্জাল প্রসঙ্গে তার জাতিকে সতর্ক করেননি। আর আমিও তোমাদেরকে তার (দাজ্জাল) প্রসঙ্গে সতর্ক করে দিচ্ছি। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকটে দাজ্জালের পরিচয় বর্ণনা করলেন তারপর তিনি বললেন, যারা আমাকে দেখেছে বা আমার কথা শুনেছে তাদের কেউ হয়ত তার সাক্ষাত পাবে। উপস্থিত জনতা প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! সে সময় আমাদের অন্তরের অবস্থা কেমন হবে? তিনি বললেনঃ বর্তমানে যে রকম আছে সেই রকম বা তার চেয়েও ভাল হবে।

যঈফ, মিশকাত তাহকীক ছানী (৫৪৮৬)

আবূ ঈসা বলেন, এ অনুচ্ছেদে আবদুল্লাহ ইবনু বুসর, আবদুল্লাহ ইবনুল হারিস আল-জুযাঈ আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফাল, ও আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ উবাইদা ইবনুল জাররাহ (রাঃ) বর্ণিত হাদীস হিসাবে এটি হাসান গারীব।

باب مَا جَاءَ فِي الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُرَاقَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ بَعْدَ نُوحٍ إِلاَّ قَدْ أَنْذَرَ الدَّجَّالَ قَوْمَهُ وَإِنِّي أُنْذِرُكُمُوهُ ‏"‏ ‏.‏ فَوَصَفَهُ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏"‏ لَعَلَّهُ سَيُدْرِكُهُ بَعْضُ مَنْ رَآنِي أَوْ سَمِعَ كَلاَمِي ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ قُلُوبُنَا يَوْمَئِذٍ قَالَ ‏"‏ مِثْلُهَا يَعْنِي الْيَوْمَ أَوْ خَيْرٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُسْرٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جُزَىٍّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُغَفَّلٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ أَيْضًا عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ ‏.‏ وَأَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ اسْمُهُ عَامِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْجَرَّاحِ ‏.‏


Abu 'Ubaidah bin Al-Jarrah said: "I heard the Messenger of Allah(s.a.w): 'There was never a Prophet after Nuh but that he warned his people about the Dajjal, and indeed I shall warn you of him.' Then the Messenger of Allah(s.a.w) described him for us, and he said: "Perhaps some of you who see me, or hear my words shall live to see him." They said: "O Messenger of Allah! How will our hearts be on that day?" He said: "The same – that is, as today – or better.” (Hasan)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৭. যে রোযাদার ব্যক্তি গীবত করে, তার সিয়াম (এর সাওয়াব) নষ্ট হয়ে যায়

১৭৬৯. আবু উবায়দা ইবনুল জাররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছি: “সাওম ঢালস্বরুপ যতক্ষণ পর্যন্ত তা ভেঙ্গে ফেলা না হয়।”[1]

আবূ মুহাম্মদ বলেন, এর অর্থ: গীবতের দ্বারা (নষ্ট করা)।

بَاب الصَّائِمِ يَغْتَابُ فَيَخْرِقُ صَوْمَهُ

أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ وَاصِلٍ مَوْلَى أَبِي عُيَيْنَةَ عَنْ بَشَّارِ بْنِ أَبِي سَيْفٍ عَنْ الْوَلِيدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عِيَاضِ بْنِ غُطَيْفٍ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ الصَّوْمُ جُنَّةٌ مَا لَمْ يَخْرِقْهَا قَالَ أَبُو مُحَمَّد يَعْنِي بِالْغِيبَةِ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮. নেশা সৃষ্টিকারী দ্রব্য সম্পর্কে যা বলা হয়েছে

২১৪০. উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “সর্বপ্রথম তোমাদের বিচার-শাসন ব্যবস্থা হবে নবুয়তী এবং (তা) রহমত স্বরূপ; এরপর আসবে রাজতন্ত্র এবং (তাও) রহমত স্বরূপ; এরপর আবার রাজতন্ত্র আর তা অত্যধিক ধুলিযুক্ত (মলিন); এরপর আবার রাজতন্ত্র এবং (তাতে) জবরদস্তি থাকবে-সে সময় মদ ও রেশমকে হালাল মনে করা হবে।”আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’অত্যধিক ধুলি’ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তা সেই মাটি বা ধুলির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ- যাতে কোনো কল্যাণ নেই।”[1]

بَاب مَا قِيلَ فِي الْمُسْكِرِ

أَخْبَرَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي أَبُو وَهْبٍ عَنْ مَكْحُولٍ عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوَّلُ دِينِكُمْ نُبُوَّةٌ وَرَحْمَةٌ ثُمَّ مُلْكٌ وَرَحْمَةٌ ثُمَّ مُلْكٌ أَعْفَرُ ثُمَّ مُلْكٌ وَجَبَرُوتٌ يُسْتَحَلُّ فِيهَا الْخَمْرُ وَالْحَرِيرُ قَالَ أَبُو مُحَمَّد الْأَعْفَرُ شِبْهُ التُّرَابِ لَيْسَ فِيهِ طَمَعٌ


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৫. আরব উপদ্বীপ হতে মুশরিকদেরকে বহিষ্কার করা

২৫৩৬. আবী উবাইদ ইবনু জাররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সর্বশেষ যে বিষয়টি সম্পর্কে কথা বলেছেন, (তা হলো), তিনি বলেছেন: “ইয়াহুদীদেরকে হিজায হতে এবং নাজরাণের অধিবাসী (খৃস্টান)-দেরকে আরব উপদ্বীপ হতে বের করে দাও।”[1]

بَاب إِخْرَاجِ الْمُشْرِكِينَ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ

أَخْبَرَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مَيْمُونٍ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْكُوفَةِ حَدَّثَنِي سَعْدُ بْنُ سَمُرَةَ بْنِ جُنْدُبٍ عَنْ أَبِيهِ سَمُرَةَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ قَالَ كَانَ فِي آخِرِ مَا تَكَلَّمَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَخْرِجُوا يَهُودَ الْحِجَازِ وَأَهْلَ نَجْرَانَ مِنْ جَزِيرَةِ الْعَرَبِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের পূর্বলক্ষণসমূহ এবং দাজ্জালের বর্ণনা

৫৪৮৬-[২৩] আবূ উবায়দাহ্ ইবনুল জাররাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) - কে বলতে শুনেছি। (রাসূল [সা.] বলেছেন) নূহ আলাইহিস সালাম-এর পরে এমন কোন নবী আগমন করেননি, যিনি স্বীয় জাতিকে দাজ্জাল সম্পর্কে ভীতি প্রদর্শন করেননি। আমিও তদ্রূপ তোমাদেরকে ভীতি প্রদর্শন করছি। তারপর তিনি (সা.) আমাদেরকে তার বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে বললেন, হয়তো তোমাদের কেউ, যে আমাকে দেখেছে অথবা যে আমার কথা শুনেছে, সে দাজ্জালকে পেতে পারে। তারা প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহর রাসূল। তখন আমাদের অন্তরসমূহের অবস্থা কিরূপ হবে? বললেন, বর্তমানে যেরূপ আছে। অর্থাৎ আজ যেমন তখনো তেমন বা এটা অপেক্ষা শ্রেয়। (তিরমিযী ও আবূ দাউদ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ الْعَلَامَاتِ بَيْنَ يَدَيِ السَّاعَةِ وَذِكْرِ الدَّجَّالِ)

وَعَن أَي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ بَعْدَ نُوحٍ إِلَّا قَدْ أَنْذَرَ الدجالَ قومَه وإِني أُنذركموه» فرصفه لَنَا قَالَ: «لَعَلَّهُ سَيُدْرِكُهُ بَعْضُ مَنْ رَآنِي أَوْ سَمِعَ كَلَامِي» . قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ فَكَيْفَ قُلُوبُنَا يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: «مِثْلُهَا» يَعْنِي الْيَوْمَ «أوخير» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد

حسن ، رواہ الترمذی (2234 وقال : غریب) و ابوداؤد (4756)

ব্যাখ্যা: (إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ بَعْدَ نُوحٍ إِلَّا قَدْ أَنْذَرَ الدجالَ) নূহ আলায়হিস সালাম-এর পর প্রত্যেক নবীই তাদের সম্প্রদায়কে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। নূহ আলায়হিস সালাম ও তার জাতিকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন কিন্তু তার পরবর্তীগণ আরো বেশি করে সতর্ক করেছেন। অত্র হাদীসে নূহ আলায়হিস সালাম-এর পর বলতে নূহ আলায়হিস সালাম কে বাদ দিয়ে নয় বরং তিনি সহ বুঝানো হয়েছে।
(لَعَلَّهُ سَيُدْرِكُهُ بَعْضُ مَنْ رَآنِي) যারা আমাকে দেখেছে তারা হয়তো অচিরেই দাজ্জালের দেখা পেতে পারে। অর্থাৎ তার আগমন অতি নিকটে। আর যারা আমার কথা শুনেছে তারাও অথবা যারা আমার হাদীস শুনেছে তথা যাদের কাছে আমার হাদীস পৌছেছে, তারাও দাজ্জালের দেখা পেতে পারে যদিও কিছু দিন দেরি হয়। হাদীসে উল্লেখিত (أو) অব্যয়টি বর্ণনাকারীর পক্ষ থেকে সন্দেহমূলক নয় বরং ধরণ উল্লেখ উদ্দেশ্য। তথা যারা আমাকে দেখেছে আমার কথা শুনেছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

বিশেষ দ্রষ্টব্য:
সকল নবী 'আলায়হিস সালাম দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন এবং তার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে এমনকি সলাতের মধ্যেও। তথাপি কুরআনুল কারীমে স্পষ্ট তার সম্পর্কে কোন স্পষ্ট বর্ণনা নেই, এর মধ্যে কি হিকমাত নিহিত রয়েছে? এর উত্তর কয়েকভাবে দেয়া যেতে পারে।
এক: আল্লাহ তা'আলার এই বাণীর মধ্যে উল্লেখ রয়েছে: (... یَوۡمَ یَاۡتِیۡ بَعۡضُ اٰیٰتِ رَبِّکَ لَا یَنۡفَعُ نَفۡسًا اِیۡمَانُهَا لَمۡ تَکُنۡ اٰمَنَتۡ مِنۡ قَبۡلُ اَوۡ کَسَبَتۡ فِیۡۤ اِیۡمَانِهَا خَیۡرًا...)
“যেদিন তোমার রবের পক্ষ থেকে কোন নিদর্শন প্রকাশ পাবে সেদিন ঐসব ব্যক্তির ঈমান কোনই কাজে আসবে না যারা ইতোপূর্বে ঈমান আনয়ন করেনি এবং ঈমান অনুযায়ী সৎকাজ করেনি?”
(সূরা আল আ'আম ৬: ১৫৮)
ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) তাঁর সুনান গ্রন্থে আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনটি আলামত যখন প্রকাশ পাবে তখন ঐ সব ব্যক্তির ঈমান কোনই কাজে আসবে না যারা ইতোপূর্বে ঈমান আনেনি। দাজ্জালের আগমন, দাব্বাতুল আরয এবং সূর্য পশ্চিমদিক থেকে উদিত হওয়া।

দুই: পবিত্র কুরআনে ‘ঈসা আলায়হিস সালাম -এর অবতীর্ণ হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে। যেমন, আল্লাহ তা'আলা বলেন, (وَ اِنۡ مِّنۡ اَهۡلِ الۡکِتٰبِ اِلَّا لَیُؤۡمِنَنَّ بِهٖ قَبۡلَ مَوۡتِهٖ) “আহলে কিতাবদের মধ্যে যত শ্রেণি রয়েছে তারা সবাই ঈমান আনবে ‘ঈসা আলায়হিস সালাম -এর ওপর তাদের মৃত্যুর পূর্বেই।” (সূরা আন্ নিসা ৪ : ১৫৯)
সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, “ঈসা আলায়হিস সালাম দাজ্জালকে হত্যা করবেন। আল্লাহ তা'আলা একজনের উল্লেখ দ্বারা তার বিপরীতটা উল্লেখ না করাকে যথেষ্ট মনে করেছেন।

তিন: আল্লাহ তা'আলা তাকে হীন ও তুচ্ছ ভেবে তার নাম কুরআনে উল্লেখ না করে তার পরবর্তী ইয়াজুজ মাজুজ সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন। যা পরোক্ষভাবে উল্লেখ হয়ে যায়। (তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খণ্ড, হা, ২২৩৪)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য

৬২৫৭-[৬২] আবূ উবায়দাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে খালিদ সম্পর্কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, খালিদ হলো মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর তলোয়ারসমূহের একটি তলোয়ার এবং সে তার স্বীয় বংশের একজন উত্তম যুবক। [উক্ত হাদীস দুটি ইমাম আহমাদ (রহিমাহুল্লাহ) রিওয়ায়াত করেছেন।

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب جَامع المناقب)

وَعَن أبي عُبَيدةَ أَنَّهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «خَالِدٌ سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ وَنِعْمَ فَتَى الْعَشِيرَةِ» . رَوَاهُمَا أَحْمد

سندہ ضعیف ، رواہ احمد (4 / 90 ح 16948) * فیہ عبد الملک بن عمیر : مدلس ولم اجد تصریح سماعہ فالسند ضعیف وقال رسول اللہ صلی اللہ علیہ و آلہ وسلم فی خالد بن الولید رضی اللہ عنہ :’’ حتی اخذ الرایۃ سیف من سیوف اللہ حتی فتح اللہ علیھم ‘‘ رواہ البخاری فی صححہ (4262) و ھذا الحدیث یغنی عنہ

সহীহ: মুসনাদে আহমাদ ১৬৮৬৯, সিলসিলাতুস্ সহীহাহ্ ১২৩৯, সহীহুল জামি' ৩২০৮।

ব্যাখ্যা: (سَيْفٌ مِنْ سُيُوفِ اللَّهِ) এক তলোয়ার যাকে আল্লাহ তা'আলা মুশরিকদের জন্য বের করেছেন ও কাফিরদের ওপর বিজয় করেছেন। উদ্দেশ্য যে, তিনি আল্লাহর পথে কাফিরদের সাথে তুমুলভাবে যুদ্ধ করবেন।
(نِعْمَ فَتَى الْعَشِيرَةِ) বংশের উত্তম যুবক। খালিদ বানী মাখযুম গোত্রের ও কুরায়শের জনক ছিলেন। (মিশকাতুল মাসাবীহ - মুম্বাই ছাপা, ৫ম খণ্ড, পৃ. ২৮৩-৮৪)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৯. দাজ্জালের বর্ণনা

৪৭৫৬। আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ নূহ (আঃ)-এর পর যারাই নবী হিসেবে এসেছেন তাদের প্রত্যেকেই তাঁর কাওমকে দাজ্জাল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। আর আমিও তোমাদেরকে তার ব্যাপারে সাবধান করছি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার বর্ণনা দিয়ে বললেন, যে ব্যক্তি আমাকে দেখছে এবং আমার কথা শুনছে হয় তো সেও তার সাক্ষাৎ পেতে পারে। সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! বর্তমানে আমাদের যে রকম মানসিকতা আছে তখনও কি এরকম থাকবে? তিনি বলেন, হয় তো আরো ভালো থাকবে।[1]

দুর্বল।

بَابٌ فِي الدَّجَّالِ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سُرَاقَةَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِنَّهُ لَمْ يَكُنْ نَبِيٌّ بَعْدَ نُوحٍ إِلَّا وَقَدْ أَنْذَرَ الدَّجَّالَ قَوْمَهُ، وَإِنِّي أُنْذِرُكُمُوهُ، فَوَصَفَهُ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَقَالَ لَعَلَّهُ سَيُدْرِكُهُ مَنْ قَدْ رَآنِي وَسَمِعَ كَلَامِي قَالُوا: يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ قُلُوبُنَا يَوْمَئِذٍ؟ أَمِثْلُهَا الْيَوْمَ؟ قَالَ: أَوْ خَيْرٌ

ضعيف


Narrated AbuUbaydah ibn al-Jarrah: I heard the Prophet (ﷺ) say: There has been no Prophet after Noah who has not warned his people about the antichrist (Dajjal), and I warn you of him. The Messenger of Allah (ﷺ) described him to us, saying: Perhaps some who have seen me and heard my words will live till his time. The people asked: Messenger of Allah! what will be the condition of our hearts on that day? Like what we are today? He replied: Or better.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ জুমআর আহকাম

(৭৬৫) আবূ উবাইদাহ বিন জাররাহ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সবচেয়ে উত্তম নামায হল জুমআর দিন ফজরের জামাআত সহকারে নামায।

عَنْ أَبيْ عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّ أَفْضَلَ الصَّلَوَاتِ صَلاةُ الصُّبْحِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فِي جَمَاعَةٍ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ বিধর্মীকে নিরাপত্তা দান করা প্রসঙ্গে

১২৯৭। আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, কোন মুসলিম স্বীয় দায়িত্বে আশ্রয় দিলে তা অন্য মুসলিমের পক্ষেও পালনীয় হবে। (অর্থাৎ যদি সৎ ও মহৎ উদ্দেশে কোন মুসলিম কোন বিধর্মীকে আশ্রয় দান করে তবে সকল মুসলিমের উপর তা পালনের দায়িত্ব অর্পিত হবে)।[1]

وَعَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ - رضي الله عنه - قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: «يُجِيرُ عَلَى الْمُسْلِمِينَ بَعْضُهُمْ». أَخْرَجَهُ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ, وَأَحْمَدُ, وَفِي إِسْنَادِهِ ضَعْفٌ

-

صحيح بشواهده. رواه أحمد (1/ 195)، وأبو يعلى (876 و 877)


Abu ’Ubaidah al-Jarrah (RAA) narrated, ‘I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say, “Muslims must respect the protection granted (to a non-Muslim) by other Muslims.” Related by Ibn Abi Shaibah and Ahmad with a weakness in its chain of narrators.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ১৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে