আবূ জুরাই হুজাইমী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে টি

পরিচ্ছেদঃ ১৩২: সালাম দেওয়ার পদ্ধতি

৭/৮৬১। আবূ জুরাই হুজাইমী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাযির হয়ে বললাম, ’আলাইকাস সালাম’ ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেন, ’’আলাইকাস সালাম’ বলো না। কেননা, ’আলাইকাস সালাম’ হচ্ছে মৃত ব্যক্তিদেরকে জানানো অভিবাদন বাক্য।’’ (আবু দাঊদ, তিরমিযী হাসান সহীহ, ইতোপূর্বে সম্পূর্ণ হাদীসটি ৮০০ নম্বরে গত হয়েছে।) [1]

(132) بَابُ كَيْفِيَةِ السَّلَامِ

وَعَنْ أَبي جُرَيٍّ الهُجَيْمِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: أتيتُ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقُلتُ: عَلَيْكَ السَّلامُ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم! قَالَ: لاَ تَقُلْ عَلَيْكَ السَّلامُ ؛ فَإِنَّ عَلَيْكَ السَّلاَمُ تَحِيَّةُ المَوتَى . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن صحيح ، وَقَدْ سَبَقَ بِطُولِهِ.

(132) Chapter: Words to be Used for Offering Greetings


Abu Juraiy Al-Hujaimi (May Allah be pleased with him) reported: I saw Messenger of Allah (ﷺ) and said: "Alaikas-Salamu ya Rasulallah! (Upon you be peace, O Messenger of Allah)!" He said, "Do not say: 'Alaikas-Salamu (Upon you be peace).' This is the Salam to the dead." [Abu Dawud and At-Tirmidhi]. Commentary: This is part of a long Hadith which has been mentioned earlier on. Refer to Hadith 796 and the commentary following it.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ জুরাই হুজাইমী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ

৫২৩. আবু জুরাই আল হুজাইমী রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে আসলাম, এবং বললাম: “হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আমরা তো মরু এলাকার লোক, আমাদের এমন কিছু শিক্ষা দিন, যার মাধ্যমে মহান আল্লাহ আমাদের উপকৃত করবেন।” রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “ কোন ভাল কাজকেই তুচ্ছ জ্ঞান করবে না, যদিও সেটি হয় কোন পানি প্রার্থীর পাত্রে তোমার পাত্র থেকে পানি ঢেলে দেওয়া হয়, ‍যদিও সেটি হয় তোমার ভাইয়ের সাথে প্রশস্ত চেহারায় কথা বলা (এর মত ছোট সাওয়াবের কাজ) হয়। গিরার নিচে লুঙ্গী পড়া থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা এটি অহঙ্কারের অন্তর্ভূক্ত; যা মহান আল্লাহ ভালবাসেন না। যদি কোন ব্যক্তি তোমার কোন দোষ যা সে জানে, তা দিয়ে তোমাকে গালমন্দ করে, তবে তুমি তার মধ্যে যে দোষ জানো, তার মাধ্যমে তাকে গালমন্দ করবে না। কেননা তোমার জন্য এর প্রতিদান রয়েছে। আর এর বিপদ তার কথকের উপর বর্তাবে।”[1]

قَالَ أَبُو حَاتِمٍ: الْأَمْرُ بِتَرْكِ اسْتِحْقَارِ الْمَعْرُوفِ أَمْرٌ قُصِدَ بِهِ الْإِرْشَادُ وَالزَّجْرُ عَنْ إِسْبَالِ الْإِزَارِ زَجْرُ حَتْمٍ لِعِلَّةٍ مَعْلُومَةٍ وَهِيَ الْخُيَلَاءُ فَمَتَى عُدِمَت الْخُيَلَاءُ لَمْ يَكُنْ بِإسْبَالِ الْإِزَارِ بَأْسٌ وَالزَّجْرُ عَنِ الشَّتِيمَةِ إِذَا شُوتِمَ الْمَرْءُ زَجْرٌ عَنْهُ فِي ذَلِكَ الْوَقْتِ وَقَبْلَهُ وَبَعْدَهُ وَإِنْ لَمْ يُشْتَمْ.

আবু হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন: “ভাল কাজ অবজ্ঞা না করার নির্দেশ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো নির্দেশনা প্রদান করা, লুঙ্গী গিরার নিচে ঝুলিয়ে পড়ার ব্যাপারে ধমকী হলো অবধারিত হুমকী; যা সুনির্দিষ্ট কারণে এসেছে আর সেটি হলো অহংকার। কাজেই যখন অহংকার না থাকবে, তখন লুঙ্গী ঝুলিয়ে পড়া দূষনীয় হবে না। আর কারো গালমন্দ করার পরিপেক্ষিতে তাকে গালমন্দ না করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। এমনকি এর আগে বা পরে যখন গালমন্দ করা হয় না, তখনও কাউকে গালমন্দ করার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে।”

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ الْمُثَنَّى قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ قَالَ: أَخْبَرَنَا سَلَامُ بْنُ مِسْكِينٍ عَنْ عَقِيلِ بْنِ طَلْحَةَ قَالَ: حَدَّثَنِي أَبُو جُرَيٍّ الْهُجَيْمِيُّ قَالَ: أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْبَادِيَةِ فعلِّمنا شَيْئًا يَنْفَعُنَا اللَّهُ بِهِ فقَالَ: (لَا تَحْقِرَنَّ مِنَ الْمَعْرُوفِ شَيْئًا وَلَوْ أَنْ تُفْرِغَ مِنْ دَلْوِكَ فِي إِنَاءِ الْمُسْتَسْقِي وَلَوْ أَنْ تُكَلِّمَ أَخَاكَ وَوَجْهُكَ إِلَيْهِ مُنْبَسِطٌ وَإِيَّاكَ وَإِسْبَالَ الْإِزَارِ فَإِنَّهُ مِنَ الْمَخِيلَةِ وَلَا يُحِبُّهَا اللَّهُ وَإِنِ امْرُؤٌ شَتَمَكَ بِمَا يَعْلَمُ فِيكَ فَلَا تَشْتُمْهُ بِمَا تَعْلَمُ فِيهِ فَإِنَّ أَجْرَهُ لَكَ وَوَبَالَهُ عَلَى مَنْ قاله.)
الراوي : أَبُو جُرَيٍّ الْهُجَيْمِيُّ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 523 | خلاصة حكم المحدث: صحيح.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ জুরাই হুজাইমী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২ পর্যন্ত, সর্বমোট ২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে