আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ২০ টি

পরিচ্ছেদঃ ২২/ পাপ কাজ জাহেলী যুগের স্বভাব

আর শির্‌ক ব্যতীত অন্য কোন গুনাহ্‌তে লিপ্ত হওয়াতে ঐ পাপীকে কাফির বলা যাবে না। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [আবূ যার (রাঃ)-কে লক্ষ্য করে] বলেছেনঃ তুমি এমন ব্যক্তি, তোমার মধ্যে জাহিলী যুগের অভ্যাস রয়েছে। আর আল্লাহর বাণীঃ

إِنَّ اللَّهَ لاَ يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ

আল্লাহ্ তাঁর সাথে অংশীদার স্থাপন করার গুনাহ ক্ষমা করেন না। এছাড়া অন্যান্য গুনাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন। (সূরা আন-নিসাঃ ৪৮)


২৯। ’আবদুর রহমান ইবনুল মুবারক (রহঃ) ... আহনাফ ইবনু কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (সিফফীনের যুদ্ধে) এ ব্যক্তিকে [আলী (রাঃ)-কে] সাহায্য করতে যাচ্ছিলাম। আবূ বাক্‌রা (রাঃ)-এর সাথে আমার সাক্ষাত হলে তিনি বললেনঃ ’তুমি কোথায় যাচ্ছে?’ আমি বললাম, ’আমি এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে যাচ্ছি। তিনি বললেনঃ ’ফিরে যাও। কারন আমি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, দু’জন মুসলিম তাদের তরবারি নিয়ে মুখোমুখি হলে হত্যাকারী এবং নিহত ব্যক্তি উভয়ে জাহান্নামে যাবে। আমি বললাম, ’ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! এ হত্যাকারী (তো অপরাধী), কিন্তু নিহত ব্যক্তির কি অপরাধ? তিনি বললেন, (নিশ্চয়ই) সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার জন্য উদগ্রীব ছিল।

باب الْمَعَاصِي مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، وَيُونُسُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ ذَهَبْتُ لأَنْصُرَ هَذَا الرَّجُلَ، فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرَةَ فَقَالَ أَيْنَ تُرِيدُ قُلْتُ أَنْصُرُ هَذَا الرَّجُلَ‏.‏ قَالَ ارْجِعْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ ‏"‏‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الْقَاتِلُ فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ قَالَ ‏"‏ إِنَّهُ كَانَ حَرِيصًا عَلَى قَتْلِ صَاحِبِهِ ‏"‏‏

Sins are from ignorance


Narrated Al-Ahnaf bin Qais: While I was going to help this man ('Ali Ibn Abi Talib), Abu Bakra met me and asked, "Where are you going?" I replied, "I am going to help that person." He said, "Go back for I have heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, 'When two Muslims fight (meet) each other with their swords, both the murderer as well as the murdered will go to the Hell-fire.' I said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! It is all right for the murderer but what about the murdered one?' Allah's Messenger (ﷺ) replied, "He surely had the intention to kill his companion."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮৮৫. যে সম্পদের যাকাত আদায় করা হয় তা কানয (জমাকৃত সম্পদ) এর অন্তর্ভুক্ত নয়। নবী (ﷺ) এর এ উক্তির কারণে যে, পাঁচ উকিয়া এর কম পরিমাণ সম্পদে যাকাত নেই।

১৩২৫। ’আয়্যাশ ও ইসহাক ইবনু মানসূর (রহঃ) ... আহনাফ ইবনু কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি কুরাইশ গোত্রীয় একদল লোকের সাথে বসেছিলাম, এমন সময় রূক্ষ চুল, মোটা কাপড় ও খসখসে শরীর বিশিষ্ট এক ব্যাক্তি তাদের নিকট এসে সালাম দিয়ে বলল, যারা সম্পদ জমা করে রাখে তাদেরকে এমন গরম পাথরের সংবাদ দাও, যা তাদেরকে শাস্তি প্রদানের জন্য জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করা হচ্ছে। তা তাদের স্তনের বোঁটার উপর স্থাপন করা হবে আর তা কাঁধেঁর পেশী ভেদ করে বের হবে এবং কাঁধের ওপর স্থাপন করা হবে, তা নড়াচড়া করে সজোরে স্থনের বোঁটা ছেদ করে বের হবে। এরপর লোকটি ফিরে গিয়ে একটি স্তম্ভের পাশে বসলো। আমিও তাঁর অনুগমন করলাম ও তাঁর কাছে বসলাম। এবং আমি জানতাম না সে কে। আমি তাকে বললাম, আমার মনে হয় যে, আপনার বক্তব্য লোকেরা পছন্দ করেনি। তিনি বললেন, তারা কিছুই বুঝে না। কথাটি আমাকে আমার বন্ধু বলেছেন।

রাবী বললেন, আমি বললাম, আপনার বন্ধু কে? সে বলল, তিনি হলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। [রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেন] হে আবূ যার! তুমি কি উহুদ পাহাড় দেখেছ? তিনি বলেন, তখন আমি সূর্যের দিকে তাকিয়ে দেখলাম দিনের কতটুকু অংশ বাকি রয়েছে। আমার ধারণা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন প্রয়োজনে আমাকে পাঠাবেন। আমি জওয়াবে বললাম, জী-হাঁ। তিনি বললেনঃ তিনটি দ্বীনার (স্বর্ণমুদ্রা) ব্যতীত উহুদ পাহাড় সমান স্বর্ণস্তূপ আমার কাছে আসুক আর আমি সেগুলো দান করে দেই তাও আমি নিজের জন্য পছন্দ করি না। [আবূ যার (রাঃ) বলেন] তারা তো বুঝে না, তারা শুধু দুনিয়ার সম্পদই একত্রিত করছে। আল্লাহর কসম, না! না! আমি তাদের নিকট দুনিয়ার কোন সম্পদ চই না এবং আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করা পর্যন্ত দ্বীন সম্পর্কেও তাদের নিকট কিছু জিজ্ঞাসা করবো না।

اب مَا أُدِّيَ زَكَاتُهُ فَلَيْسَ بِكَنْزٍ لِقَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْسَ فِيمَا دُونَ خَمْسَةِ أَوَاقٍ صَدَقَةٌ

حَدَّثَنَا عَيَّاشٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ جَلَسْتُ‏.‏ وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو الْعَلاَءِ بْنُ الشِّخِّيرِ، أَنَّ الأَحْنَفَ بْنَ قَيْسٍ، حَدَّثَهُمْ قَالَ جَلَسْتُ إِلَى مَلإٍ مِنْ قُرَيْشٍ، فَجَاءَ رَجُلٌ خَشِنُ الشَّعَرِ وَالثِّيَابِ وَالْهَيْئَةِ حَتَّى قَامَ عَلَيْهِمْ فَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ بَشِّرِ الْكَانِزِينَ بِرَضْفٍ يُحْمَى عَلَيْهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ، ثُمَّ يُوضَعُ عَلَى حَلَمَةِ ثَدْىِ أَحَدِهِمْ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ نُغْضِ كَتِفِهِ، وَيُوضَعُ عَلَى نُغْضِ كَتِفِهِ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ حَلَمَةِ ثَدْيِهِ يَتَزَلْزَلُ، ثُمَّ وَلَّى فَجَلَسَ إِلَى سَارِيَةٍ، وَتَبِعْتُهُ وَجَلَسْتُ إِلَيْهِ، وَأَنَا لاَ أَدْرِي مَنْ هُوَ فَقُلْتُ لَهُ لاَ أُرَى الْقَوْمَ إِلاَّ قَدْ كَرِهُوا الَّذِي قُلْتَ‏.‏ قَالَ إِنَّهُمْ لاَ يَعْقِلُونَ شَيْئًا‏.‏ قَالَ لِي خَلِيلِي ـ قَالَ قُلْتُ مَنْ خَلِيلُكَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ـ ‏"‏ يَا أَبَا ذَرٍّ أَتُبْصِرُ أُحُدًا ‏"‏‏.‏ قَالَ فَنَظَرْتُ إِلَى الشَّمْسِ مَا بَقِيَ مِنَ النَّهَارِ وَأَنَا أُرَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُرْسِلُنِي فِي حَاجَةٍ لَهُ، قُلْتُ نَعَمْ‏.‏ قَالَ ‏"‏ مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا أُنْفِقُهُ كُلَّهُ إِلاَّ ثَلاَثَةَ دَنَانِيرَ ‏"‏‏.‏ وَإِنَّ هَؤُلاَءِ لاَ يَعْقِلُونَ، إِنَّمَا يَجْمَعُونَ الدُّنْيَا‏.‏ لاَ وَاللَّهِ لاَ أَسْأَلُهُمْ دُنْيَا، وَلاَ أَسْتَفْتِيهِمْ عَنْ دِينٍ حَتَّى أَلْقَى اللَّهَ‏.‏


Narrated Al-Ahnaf bin Qais: While I was sitting with some people from Quraish, a man with very rough hair, clothes, and appearance came and stood in front of us, greeted us and said, "Inform those who hoard wealth, that a stone will be heated in the Hell-fire and will be put on the nipples of their breasts till it comes out from the bones of their shoulders and then put on the bones of their shoulders till it comes through the nipples of their breasts the stone will be moving and hitting." After saying that, the person retreated and sat by the side of the pillar, I followed him and sat beside him, and I did not know who he was. I said to him, "I think the people disliked what you had said." He said, "These people do not understand anything, although my friend told me." I asked, "Who is your friend?" He said, "The Prophet (ﷺ) said (to me), 'O Abu Dhar! Do you see the mountain of Uhud?' And on that I (Abu Dhar) started looking towards the sun to judge how much remained of the day as I thought that Allah's Messenger (ﷺ) wanted to send me to do something for him and I said, 'Yes!' He said, 'I do not love to have gold equal to the mountain of Uhud unless I spend it all (in Allah's cause) except three Dinars (pounds). These people do not understand and collect worldly wealth. No, by Allah, Neither I ask them for worldly benefits nor am I in need of their religious advice till I meet Allah, The Honorable, The Majestic." '


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৮৬৭. আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে (৫ঃ ৩২)। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে প্রাণ সংহার নিষিদ্ধ মনে করে তার থেকে গোটা মানব জাতির প্রাণ রক্ষা পেল।

৬৪০৯। আবদুর রহমান ইবনু মূবারক (রহঃ) ... আহনাফ ইবনু কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তাকে [আলী (রাঃ) কে সাহায্য] করার জন্য যাচ্ছিলাম। ইত্যবসরে আমার সাথে আবূ বকরা (রাঃ) এর সাক্ষাৎ ঘটল। তিনি বললেন, কোথায় যাচ্ছি? আমি বললাম, ঐ ব্যাক্তিকে সাহায্য করতে। তিনি বললেন, ফিরে যাও। কেননা, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, যখন দুজন মুসলিম তরবারী নিয়ে পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যাক্তির অবস্থান হবে জাহান্নাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল! হত্যাকারীর ব্যাপারটা তো বোধগম্য। কিন্তু নিহত ব্যাক্তির ব্যাপার সে কেমন? তিনি বললেনঃ সেও তো প্রতিপক্ষকে হত্যা করতে আগ্রহী ছিল।

باب قول الله تعالى ومن أحياها قال ابن عباس من حرم قتلها إلا بحق فكأنما أحيا الناس جميعا

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، وَيُونُسُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ ذَهَبْتُ لأَنْصُرَ هَذَا الرَّجُلَ، فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرَةَ فَقَالَ أَيْنَ تُرِيدُ قُلْتُ أَنْصُرُ هَذَا الرَّجُلَ‏.‏ قَالَ ارْجِعْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ ‏"‏‏.‏ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الْقَاتِلُ فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ قَالَ ‏"‏ إِنَّهُ كَانَ حَرِيصًا عَلَى قَتْلِ صَاحِبِهِ ‏"‏‏.‏


Narrated Al-Ahnaf bin Qais: I went to help that man (i.e., `Ali), and on the way I met Abu Bakra who asked me, "Where are you going?" I replied, "I am going to help that man." He said, "Go back, for I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, 'If two Muslims meet each other with their swords then (both) the killer and the killed one are in the (Hell) Fire.' I said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! It is alright for the killer, but what about the killed one?' He said, 'The killed one was eager to kill his opponent."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. দান-সদকায় উৎসাহ প্রদান

২১৭৮। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আহনাফ ইবনু কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মদিনায় এলাম। সে সময় কুরায়শ নেতৃবৃন্দের একটি হালকায় বসাছিলাম। তখন খসখসে বস্ত্র, খসখসে শরীর ও খসখসে চেহারা নিয়ে এক ব্যাক্তি এসে তাদের কাছে দাঁড়িয়ে বললেন, সম্পদ পূঞ্জীভূতকারী ব্যাক্তিদেরকে সুসংবাদ দিন, এমন গরম পাথরের যা জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করে তাদের বুকের উপর রাখা হবে। ফলে তাদের গ্রীবা দেশের হাড় বিদীর্ণ করে অপর দিকে বের হয়ে যাবে। আবার তার ঘাড়ের হাড়ের উপর রাখা হবে। এমনকি তা স্তনাগ্র ভেদ করে বের হবে।

রাবী বলেন, এ সময় লোকেরা তাদের মাথা নত করে রাখলেন। উপস্থিত কাউকে তার এ কথার প্রতিবাদ করতে দেখলাম না। এরপর লোকটি ফিরে গেলেন। আমি তাঁর পেছনে পেছনে গেলাম। অবশেষে তিনি একটি থামের নিকট গিয়ে বসলেন। আমি বললাম, আপনি তাদেরকে যা বলেছেন, আমার ধারণা তারা তা অপছন্দ মনে করছে। এ কথা শুনে তিনি বললেন, তারা এমন লোক যারা কিছুই বুঝতে পারছে না। আমার বন্ধু আবূল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকলেন। তাঁর ডাকে সাড়া দিয়ে আমি তাঁর নিকট যাওয়ার পর তিনি বললেন, তুমি কি উহুদ পাহাড়টি দেখতে পাচ্ছ? তখন আমি লক্ষ্য করলাম, আমার উপর সূর্য আর কতটূকু অবশিষ্ট আছে এবং তিনি তাঁর কোন প্রয়োজনে আমাকে তথায় পাঠাবেন। আমি বললাম, জী হ্যাঁ, দেখতে পাচ্ছি।

তখন তিনি বললেন, আমাকে আনন্দিত করবেনা এ সমপরিমাণ স্বর্ণ আমার কাছে হোক, আর আমি এসব ব্যয় করি তিনটি স্বর্ণ মুদ্রা ব্যতীত। এরপর এসব লোক দুনিয়া সঞ্চয় করছে। অথচ তারা কোন কিছুই বুঝছে না। বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনার কুরায়শী ভাইদের সাথে আপনার কী হয়েছে যে, আপনি তাদের সাথে মেলামেশা করেন না, যাননা এবং তাদের কাছ থেকে কিছু লাভ করেন না? তিনি বললেন, না তোমার রবের কসম! আমি তাদের নিকট দুনিয়াও চাইব না এবং দ্বীন সম্পর্কেও কোন কথা জিজ্ঞাসা করব না। আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত।

باب التَّرْغِيبِ فِي الصَّدَقَةِ ‏‏

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي، الْعَلاَءِ عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَبَيْنَا أَنَا فِي، حَلْقَةٍ فِيهَا مَلأٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ أَخْشَنُ الثِّيَابِ أَخْشَنُ الْجَسَدِ أَخْشَنُ الْوَجْهِ فَقَامَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ بَشِّرِ الْكَانِزِينَ بِرَضْفٍ يُحْمَى عَلَيْهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَيُوضَعُ عَلَى حَلَمَةِ ثَدْىِ أَحَدِهِمْ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ نُغْضِ كَتِفَيْهِ وَيُوضَعُ عَلَى نُغْضِ كَتِفَيْهِ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ حَلَمَةِ ثَدْيَيْهِ يَتَزَلْزَلُ قَالَ فَوَضَعَ الْقَوْمُ رُءُوسَهُمْ فَمَا رَأَيْتُ أَحَدًا مِنْهُمْ رَجَعَ إِلَيْهِ شَيْئًا - قَالَ - فَأَدْبَرَ وَاتَّبَعْتُهُ حَتَّى جَلَسَ إِلَى سَارِيَةٍ فَقُلْتُ مَا رَأَيْتُ هَؤُلاَءِ إِلاَّ كَرِهُوا مَا قُلْتَ لَهُمْ ‏.‏ قَالَ إِنَّ هَؤُلاَءِ لاَ يَعْقِلُونَ شَيْئًا إِنَّ خَلِيلِي أَبَا الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم دَعَانِي فَأَجَبْتُهُ فَقَالَ ‏"‏ أَتَرَى أُحُدًا ‏"‏ ‏.‏ فَنَظَرْتُ مَا عَلَىَّ مِنَ الشَّمْسِ وَأَنَا أَظُنُّ أَنَّهُ يَبْعَثُنِي فِي حَاجَةٍ لَهُ فَقُلْتُ أَرَاهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ مَا يَسُرُّنِي أَنَّ لِي مِثْلَهُ ذَهَبًا أُنْفِقُهُ كُلَّهُ إِلاَّ ثَلاَثَةَ دَنَانِيرَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ هَؤُلاَءِ يَجْمَعُونَ الدُّنْيَا لاَ يَعْقِلُونَ شَيْئًا ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَا لَكَ وَلإِخْوَتِكَ مِنْ قُرَيْشٍ لاَ تَعْتَرِيهِمْ وَتُصِيبُ مِنْهُمْ ‏.‏ قَالَ لاَ وَرَبِّكَ لاَ أَسْأَلُهُمْ عَنْ دُنْيَا وَلاَ أَسْتَفْتِيهِمْ عَنْ دِينٍ حَتَّى أَلْحَقَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ‏.‏


Ahnaf b. Qais reported: I came to Medina and when I was in the company of the grandees of Quraish a man with a crude body and an uncouth face wearing coarse clothes came there. He stood up before them and said: Give glad tidings to those whom who amass riches of the stones which would be heated in the Fire of Hell, and would be placed at the tick of the chest till it would project from the shoulder bone and would he put on the shoulder bone till it would project from the tick of his chest, and it (this stone) would continue passing and repassing (from one side to the other). He (the narrator) said: Then people hung their heads and I saw none among them giving any answer. He then returned and I followed him till he sat near a pillar. I said: I find that these (people) disliked what you said to them and they do not understand anything. My friend Abu'l-Qasim (Muhammad) (may peace he upon him) called me and I responded to him, and he said: Do you see Uhud? I saw the sun (shining) on me and I thought that he would send me on an errand for him. So I said: I see it. Upon this he said: Nothing would delight me more than this that I should have gold like it (equal to the bulk of Uhud), and I should spend it all except three dinars. (How sad it is) that they hoard worldly riches, and they know nothing. I said: What about you and your brothers Quraish? You do not go to thein for any need and do not accept anything from them. He said: By Allah, I neither beg anything from them (from worldly goods), nor do I ask them anything about religion till I meet my Allah and His Messenger.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. দান-সদকায় উৎসাহ প্রদান

২১৭৯। শায়বান ইবনু ফাররুখ (রহঃ) ... আহকাফ ইবনু কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি কুরায়শের একদল লোকের মধ্যে ছিলাম। তখন আবূ যার (রাঃ) এলেন। আবূ যার (রাঃ) এদিক দিয়ে যাওয়ার পথে বলছিলেন, সুসংবাদ দাও সস্পদ সঞ্চয়কারীদেরকে। গরম লোহা দ্বারা তাদের পৃষ্ঠদেশ দাগ দেয়ার যে গরম লোহা তাদের দেহের হাড় পাশ দিয়ে বের হয়ে আসবে এবং তাদের ঘাড়ের দিকে গরম লোহা দ্বারা এমনভাবে দাগ দেয়া হবে যে, ললাটের দিক দিয়ে বের হয়ে যাবে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তিনি একটু সরে বসে পড়লেন।

রাবী বলেন, এরপর আমি জিজ্ঞাসা করলাম এ লোকটি কে? তারা বললেন, তিনি আবূ যার (রাঃ)। তখন আমি তার নিকট গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, কিছুক্ষণ পুর্বে আপনাকে যা বলতে শুনলাম, এ-কি? তিনি বললেন, আমি তাই বলেছি, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি। এরপর আমি বললাম, এ সরকারী অনুদান সম্পর্কে আপনার মতামত কি? তিনি বললেন, তুমি-তা গ্রহণ কর কেননা আজকের দিন এতে রয়েছে সাহায্য। কিন্তু তা যদি হয় দ্বীন বিক্রয়ের মূল্যস্বরূপ তবে তুমি তা গ্রহণ করবে না।

باب التَّرْغِيبِ فِي الصَّدَقَةِ ‏‏

وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْهَبِ، حَدَّثَنَا خُلَيْدٌ الْعَصَرِيُّ، عَنِ الأَحْنَفِ، بْنِ قَيْسٍ قَالَ كُنْتُ فِي نَفَرٍ مِنْ قُرَيْشٍ فَمَرَّ أَبُو ذَرٍّ وَهُوَ يَقُولُ بَشِّرِ الْكَانِزِينَ بِكَىٍّ فِي ظُهُورِهِمْ يَخْرُجُ مِنْ جُنُوبِهِمْ وَبِكَىٍّ مِنْ قِبَلِ أَقْفَائِهِمْ يَخْرُجُ مِنْ جِبَاهِهِمْ ‏.‏ - قَالَ - ثُمَّ تَنَحَّى فَقَعَدَ ‏.‏ - قَالَ - قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالُوا هَذَا أَبُو ذَرٍّ ‏.‏ قَالَ فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ مَا شَىْءٌ سَمِعْتُكَ تَقُولُ قُبَيْلُ قَالَ مَا قُلْتُ إِلاَّ شَيْئًا قَدْ سَمِعْتُهُ مِنْ نَبِيِّهِمْ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَا تَقُولُ فِي هَذَا الْعَطَاءِ قَالَ خُذْهُ فَإِنَّ فِيهِ الْيَوْمَ مَعُونَةً فَإِذَا كَانَ ثَمَنًا لِدِينِكَ فَدَعْهُ‏.‏


Ahnaf b. Qais reported: While I was in the company of the (elites) of Quraiah, Abu Dharr came there and he was saying: Give glad tidings to the hoarders of riches that their backs would be branded (so deeply) that (the hot Iron) would come out of their sides, and when the backs of their necks would be branded, it would come out of their foreheads. He (Abu Dharr) then went away and sat down. I asked who he was. They said: He is Abu Dharr. I went to him and said to him: What is this that I heard from you which you were saying before? He said: I said nothing but only that which I heard from their Prophet (ﷺ). I again said: What do you say about this gift? He said: Take it, for today it is a help. But when it becomes a price for your religion, then abandon it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪. যখন দুই মুসলিম তাদের তরবারি নিয়ে মুখোমুখী হয়

৬৯৮৮। আবূ কামিল ফুযায়ল ইবনু হুসায়ন আল-জাহদারী (রহঃ) ... আহনাফ ইবনু কায়স থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি বের হলাম। এই লোকটিকে [আলী (রাঃ)] সাহায্য করা আমার ইচ্ছা ছিল। এ সময় আবূ বকর (রাঃ) এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হল। তখন তিনি বললেন, হে আহনাফ! তুমি কোথায় যেতে চাচ্ছ? তিনি বলেন, আমি বললাম, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাচাত ভাই আলী (রাঃ) এর সাহায্য করার জন্য আমি যেতে চাচ্ছি।

আহনাফ বলেন, অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, হে আহনাফ! চলে যাও। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি একথা বলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলিম তলোয়ার নিয়ে পরস্পর যুদ্ধ করে তখন হত্যাকারী ও হত্যাকৃত ব্যক্তি উভয়ই জাহান্নামী হবে। একথা শুনে আমি বললাম অথবা বলা হল, হে আল্লাহর রাসুল! হত্যাকারীর অবস্থা তো এই, তবে নিহত ব্যক্তির অবস্থা কি? উত্তরে তিনি বললেন, সে তার সাথীকে হত্যা করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত ছিল।

باب إِذَا تَوَاجَهَ الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا

حَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَيُونُسَ عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ خَرَجْتُ وَأَنَا أُرِيدُ، هَذَا الرَّجُلَ فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرَةَ فَقَالَ أَيْنَ تُرِيدُ يَا أَحْنَفُ قَالَ قُلْتُ أُرِيدُ نَصْرَ ابْنِ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - يَعْنِي عَلِيًّا - قَالَ فَقَالَ لِي يَا أَحْنَفُ ارْجِعْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ إِذَا تَوَاجَهَ الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ أَوْ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الْقَاتِلُ فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ قَالَ ‏"‏ إِنَّهُ قَدْ أَرَادَ قَتْلَ صَاحِبِهِ ‏"‏ ‏.‏


Ahnaf b. Qais reported: I set out with the intention of helping this person (Hadrat 'Ali) when Abu Bakra met me. He said: Ahnaf, where do you intend to go? I said: I intend to help the cousin of Allah's Messenger (ﷺ), viz. 'Ali. Thereupon he said to me: Ahnaf, go back, for I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying: When two Muslims confront one another with swords (in hand) both the slayer and the slain would be in Fire. He (Ahnaf) said: I said, or it was said: Allah's Messenger, it may be the case of one who kills. but what about the slain (why he would be put in Hell-Fire)? Thereupon he said: He also intended to kill his companion.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. ফিতনা-ফ্যাসাদের সময় যুদ্ধ বিগ্রহ না করা।

৪২১৯. আবূ কামিল (রহঃ) .... আহ্‌নাফ্‌ ইব্‌ন কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি যুদ্ধের নিয়তে (আলী (রাঃ) এর পক্ষে) বের হলে, আমার সাথে আবূ বাক্‌রা (রাঃ)-এর দেখা হয়। তিনি বলেনঃ তুমি ফিরে যাও। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যখন দু’জন মুসলিম তাদের তরবারি নিয়ে, একজন অপরজনকে মারতে প্রস্তুত হবে, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি জাহান্নামে যাবে। তিনি বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্‌! হত্যাকারী তো জাহান্নামে যাবে, কিন্তু নিহত ব্যক্তির অপরাধ কি? তিনি বলেনঃ এ জন্য যে, সেও তো তাঁর ভাইকে হত্যা করার ইচ্ছা করেছিল।

باب فِي النَّهْىِ عَنِ الْقِتَالِ، فِي الْفِتْنَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَيُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ خَرَجْتُ وَأَنَا أُرِيدُ، - يَعْنِي فِي الْقِتَالِ - فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرَةَ فَقَالَ ارْجِعْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ إِذَا تَوَاجَهَ الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الْقَاتِلُ فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ قَالَ ‏"‏ إِنَّهُ أَرَادَ قَتْلَ صَاحِبِهِ ‏"‏ ‏.‏


Ahnaf b. Qais said: I came out with the intention of (participating in) fighting. Abu Bakrah met me and said: Go back, for I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: When two Muslims face each other with their swords, the killer and the slain will go to Hell. He asked: Messenger of Allah, this is the killer (so naturally he should go to Hell), but what is the matter with the slain ? He replied: He intended to kill his companion.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৪. যে ব্যক্তি যোদ্ধার জন্য সামান দান করে

৩১৮৫. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... আহনাফ ইন কায়স (রহঃ) বলেন, আমরা হজ্জের উদ্দেশ্যে বের হয়ে মদীনায় উপনীত হলাম। হজ্জে গমনের জন্য আমরা আমাদের মনযিলে পৌঁছে আমাদের হাওদা নামাচ্ছিলাম, এমন সময় আমাদের নিকট এক আগন্তুকের আবির্ভাব হলো। সে বললোঃ লোক মসজিদে একত্রিত হয়েছে। তারা ভীত হয়ে পড়েছে। আমরা সেখানে গিয়ে দেখলাম, একদল লোকের চতুর্দিকে কিছু লোক একত্রিত হয়ে আছে মসজিদের মধ্যস্থলে। তাদের মধ্যে আলী, যুবায়র, তালহা এবং সা’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাঃ) রয়েছেন। আমরা এ অবস্থায় ছিলাম, এমন সময় উছমান (রাঃ) আগমন করলেন, তার পরনে রয়েছে হলুদ বর্ণের একখানা কাপড়, তা দ্বারা তিনি তাঁর মাথা ঢেকে রেখেছেন। তিনি বললেনঃ এখানে কি তালহা (রাঃ) আছেন? এখানে কি যুবায়র (রাঃ) আছেন? এখানে কি সা’দ (রাঃ) আছেন? সকলে বললেনঃ হ্যাঁ।

তিনি বললেনঃ আমি ঐ আল্লাহর কসম দিয়ে তোমদেরকে জিজ্ঞাসা করছি, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অমুক গোত্রের উট বাঁধার বা খেজুর শুকাবার স্থানটি যে খরীদ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করবেন। এরপর আমি তা বিশ হাজার অথবা পঁচিশ হাজায় টাকার খরিদ করেছি। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে এসে তাঁকে তার সংবাদ দিলে তিনি বললেনঃ তা আমাদের মসজিদের জন্য দান কর, আর এর সওয়াব তোমারই থাকবে। তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ।

তিনি আবার বললেনঃ যে আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, সেই আল্লাহর কসম দিয়ে তোমাদেরকে জিজ্ঞাসা করছি, তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি বীর-রুমা নামক কূপটি খরিদ করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করবেন? আমি তা এত এত মূল্যে খরিদ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে তাকে সংবাদ দিলে তিনি বললেনঃ তুমি তা মুসলিমদের পানি-পানের স্থান করে দাও, তার সওয়াব হবে তোমার। তারা বললেনঃ আল্লাহুম্মা, হ্যাঁ।

তিনি আবার বললেনঃ তোমাদের ঐ আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি তোমরা কি অবগত আছ যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উপস্থিত লোকদের দিকে লক্ষ্য করে বললেনঃ এ জায়শে - উসরাতকে (তাবুকের সেনাবাহিনীকে) যে ব্যক্তি যুদ্ধের সামান দিয়ে সজ্জিত করবে, তাকে আল্লাহ ক্ষমা করবেন? আমি তাদেরকে এমনভাবে সজ্জিত করলাম যে, কেউ উটের একটি রশিও কম পায়নি। তারা বললেনঃ আল্লাহর কসম, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেনঃ হে আল্লাহ্। তুমি সাক্ষী থাক; হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাক; হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাক।

فَضْلُ مَنْ جَهَّزَ غَازِيًا

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ قَالَ سَمِعْتُ حُصَيْنَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ جَاوَانَ عَنْ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ خَرَجْنَا حُجَّاجًا فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ وَنَحْنُ نُرِيدُ الْحَجَّ فَبَيْنَا نَحْنُ فِي مَنَازِلِنَا نَضَعُ رِحَالَنَا إِذْ أَتَانَا آتٍ فَقَالَ إِنَّ النَّاسَ قَدْ اجْتَمَعُوا فِي الْمَسْجِدِ وَفَزِعُوا فَانْطَلَقْنَا فَإِذَا النَّاسُ مُجْتَمِعُونَ عَلَى نَفَرٍ فِي وَسَطِ الْمَسْجِدِ وَفِيهِمْ عَلِيٌّ وَالزُّبَيْرُ وَطَلْحَةُ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ فَإِنَّا لَكَذَلِكَ إِذْ جَاءَ عُثْمَانُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَلَيْهِ مُلَاءَةٌ صَفْرَاءُ قَدْ قَنَّعَ بِهَا رَأْسَهُ فَقَالَ أَهَاهُنَا طَلْحَةُ أَهَاهُنَا الزُّبَيْرُ أَهَاهُنَا سَعْدٌ قَالُوا نَعَمْ قَالَ فَإِنِّي أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ يَبْتَاعُ مِرْبَدَ بَنِي فُلَانٍ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَابْتَعْتُهُ بِعِشْرِينَ أَلْفًا أَوْ بِخَمْسَةٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ اجْعَلْهُ فِي مَسْجِدِنَا وَأَجْرُهُ لَكَ قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ ابْتَاعَ بِئْرَ رُومَةَ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَابْتَعْتُهَا بِكَذَا وَكَذَا فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ قَدْ ابْتَعْتُهَا بِكَذَا وَكَذَا قَالَ اجْعَلْهَا سِقَايَةً لَلْمُسْلِمِينَ وَأَجْرُهَا لَكَ قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ فَقَالَ مَنْ يُجَهِّزُ هَؤُلَاءِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ يَعْنِي جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَجَهَّزْتُهُمْ حَتَّى لَمْ يَفْقِدُوا عِقَالًا وَلَا خِطَامًا فَقَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ اللَّهُمَّ اشْهَدْ اللَّهُمَّ اشْهَدْ اللَّهُمَّ اشْهَدْ


It was narrated that Al-Ahnaf bin Qais said: "We set out as pilgrims and came to Al-Madinah intending to perform Hajj. While we were in our camping place unloading our mounts, someone came to us and said: 'The people have gathered in the Masjid and there is panis.' So we set out and found the people gathered around a group in the middle of the Masjid, among whom were 'Ali, Zubayr, Talhah and Sa'd bin Abi Waqas. While we were like that, 'Uthman, may Allah be pleased with him, came, wearing a yellow cloak with which he had covered his head. He said: 'Is Talhah here? Is Az-Zubair here? Is Sa'd here?' They said: 'Yes.' He said: 'I adjure you be the One beside Whom there is none worthy of worship, din't the Messenger of Allah (ﷺ) say: Whoever buys the Mirbad of Banu so-and so, Allah will forgive him, and I bought it for twenty or twenty-five thousand, then I came to the Messenger of Allah (ﷺ) and told him, and he said: Add it to our Masjid and the reward for it will be yours?' They said: 'By Allah, yes.' He said: 'I adjure you by the One beside Whom there is none worthy of worship, didn't the Messenger of Allah (ﷺ) say: Whoever buys the well of Rumah, Allah will forgive him, so I bought it for such and such and amount, then I came to the Messenger of Allah (ﷺ) and told him, and he said: Give it to provide water for the Muslims, and the reward for it will be yours?' They said: 'By Allah, yes.' He said: 'I adjure you by the One beside Whom there is none worthy of worship, didn't the Messenger of Allah (ﷺ) say: Whoever equips these (men)- meaning the army of Al-'Usrah (Tabuk) - Allah will forgive him, so I equipped them until they were not lacking even a rope or a bridle?' They said: 'By Allah, yes.' He said: 'O Allah, bear witness, O Allah, bear witness, O Allah, bear witness.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪. মসজিদের জন্য ওয়াকফ করা

৩৬০৮. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... উমর ইবন জাওয়ান (রহঃ) সূত্রে আহনাফ ইবন কায়স (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা (বাড়ি হতে) হজ্জ করার জন্য (বের হয়ে) মদীনায় পৌঁছলাম। আমরা আমাদের মনযিলে পৌছে আমাদের মাল-সামান যখন নামিয়ে রাখছিলাম, তখন এক ব্যক্তি এসে বললেনঃ লোকজন মসজিদে একত্রিত হয়েছে এবং তারা ভীত-সন্ত্রস্ত। এরপর আমরা গিয়ে দেখলাম যে, মসজিদের মাঝখানে কয়েকজনকে ঘিরে কিছু লোক একত্রিত রয়েছে এবং এঁদের মধ্যে আছেন আলী, যুবায়র, তালহা এবং সা’দ ইবন আবু ওয়াক্কাস (রাঃ)। আমরা তাদের সঙ্গে বসলাম। এমতাবস্থায় উসমান ইবন আফফান (রাঃ) উপস্থিত হলেন এবং তাঁর গায়ে একখানা হলুদ রংয়ের চাদর ছিল, যা দিয়ে তিনি তাঁর মাথা ঢেকে রেখেছিলেন।

এরপর তিনি বললেনঃ এখানে কি আলী (রাঃ) আছেন, এখানে কি তালহা (রাঃ) আছেন, এখানে কি যুবায়র (রাঃ) আছেন, এখানে কি সা’দ (রাঃ) আছেন? তারা বললেন, হ্যাঁ, (আমরা এখানে উপস্থিত আছি)। উসমান (রাঃ) বললেনঃ আমি তোমাদেরকে ঐ আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি, যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ্ নেই, তোমরা কি জান যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ অমুক গােত্রের (উটের) বাথান যে ক্রয় করবে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন। আমি ঐ স্থানটি বিশ হাজার বা পঁচিশ হাজার (দিরহাম) দিয়ে ক্রয় করি। এরপর আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে উপস্থিত হয়ে তাঁকে এ খবর দেই। তখন তিনি বললেনঃ তুমি তা আমাদের মসজিদের জন্য (ওয়াকফ করে) দিয়ে দাও। এর সওয়াব তুমি পাবে। তাঁরা বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহ সাক্ষী।

উসমান (রাঃ) আবার বললেনঃ আমি তোেমাদেরকে ঐ আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি-যিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই তোমরা কি জান যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ’রূমা’ কূপ যে ক্রয় করবে আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দেবেন। তখন আমি তা এত এত মূল্যে ক্রয় করি এবং আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলি, আমি তা এত এত মূল্যে ক্রয় কর। তিনি বললেনঃ তুমি তা মুসলিমদের পানি পান করার জন্য (ওয়াকফ করে) দিয়ে দাও, আর এর সওয়াব তুমি পাবে। তখন তারা বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহ সাক্ষী!

তিনি আবার বললেনঃ আমি তোমাদেরকে ঐ আল্লাহর শপথ দিয়ে বলছি- যিনি ব্যতীত আর কোন ইলাহ নেই। তোমরা কি জান, রাসূলুল্লাহ্সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ যে এদের যুদ্ধের সামান অর্থাৎ অনটনগ্রস্ত (তাবুক) বাহিনীর ব্যবস্থা করে দেবে আল্লাহ্ তাকে ক্ষমা করে দেবেন। তখন আমি তাদের জন্য এমন সামানের ব্যবস্থা করলাম যে, তারা একটি রশি বা লাগামের অভাব অনুভব করল না। তারা বললেনঃ হ্যাঁ, আল্লাহ সাক্ষী! তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ আপনি সাক্ষী থাকুন! আল্লাহ্ আপনি সাক্ষী থাকুন!

بَاب وَقْفِ الْمَسَاجِدِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ إِدْرِيسَ قَالَ سَمِعْتُ حُصَيْنَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يُحَدِّثُ عَنْ عُمَرَ بْنِ جَاوَانَ عَنْ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ خَرَجْنَا حُجَّاجًا فَقَدِمْنَا الْمَدِينَةَ وَنَحْنُ نُرِيدُ الْحَجَّ فَبَيْنَا نَحْنُ فِي مَنَازِلِنَا نَضَعُ رِحَالَنَا إِذْ أَتَانَا آتٍ فَقَالَ إِنَّ النَّاسَ قَدْ اجْتَمَعُوا فِي الْمَسْجِدِ وَفَزِعُوا فَانْطَلَقْنَا فَإِذَا النَّاسُ مُجْتَمِعُونَ عَلَى نَفَرٍ فِي وَسَطِ الْمَسْجِدِ وَإِذَا عَلِيٌّ وَالزُّبَيْرُ وَطَلْحَةُ وَسَعْدُ بْنُ أَبِي وَقَّاصٍ فَإِنَّا لَكَذَلِكَ إِذْ جَاءَ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ عَلَيْهِ مُلَاءَةٌ صَفْرَاءُ قَدْ قَنَّعَ بِهَا رَأْسَهُ فَقَالَ أَهَاهُنَا عَلِيٌّ أَهَاهُنَا طَلْحَةُ أَهَاهُنَا الزُّبَيْرُ أَهَاهُنَا سَعْدٌ قَالُوا نَعَمْ قَالَ فَإِنِّي أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ يَبْتَاعُ مِرْبَدَ بَنِي فُلَانٍ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَابْتَعْتُهُ بِعِشْرِينَ أَلْفًا أَوْ بِخَمْسَةٍ وَعِشْرِينَ أَلْفًا فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرْتُهُ فَقَالَ اجْعَلْهَا فِي مَسْجِدِنَا وَأَجْرُهُ لَكَ قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ يَبْتَاعُ بِئْرَ رُومَةَ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ فَابْتَعْتُهُ بِكَذَا وَكَذَا فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقُلْتُ قَدْ ابْتَعْتُهَا بِكَذَا وَكَذَا قَالَ اجْعَلْهَا سِقَايَةً لِلْمُسْلِمِينَ وَأَجْرُهَا لَكَ قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ فَأَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ أَتَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَظَرَ فِي وُجُوهِ الْقَوْمِ فَقَالَ مَنْ جَهَّزَ هَؤُلَاءِ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ يَعْنِي جَيْشَ الْعُسْرَةِ فَجَهَّزْتُهُمْ حَتَّى مَا يَفْقِدُونَ عِقَالًا وَلَا خِطَامًا قَالُوا اللَّهُمَّ نَعَمْ قَالَ اللَّهُمَّ اشْهَدْ اللَّهُمَّ اشْهَدْ


It was narrated that Al-Ahnaf bin Qais said: "We set out for Hajj, and came to Al-Madinah intending to perform Hajj. While we were in our camping place unloading our mounts, someone came to us and said: 'The people have gathered in the Masjid and there is panic.' So we set out and found the people gathered around a group in the middle of the Masjid, among whom were 'Ali, Az-Zubair, Talhah and Sa'd bin Abi Waqqas. While we were like that, 'Uthman came, wearing a yellowish cloak with which he had covered his head. He said: Is 'Ali here? Is Talhah here? Is Az-Zubair here? Is Sa'd here? They said: Yes. He said: I adjure you by Allah, beside Whom there is none worthy of worship, are you aware that the Messenger of Allah said: Whoever buys the Mirbad of Banu so and so, Allah will forgive him, and I bought it for twenty or twenty-five thousand, then I came to the Messenger of Allah and told him, and he said: Add it to our Masjid and the reward for it will be yours? They said: By Allah, yes. He said: 'I adjure you by Allah, beside Whom there is none worthy of worship, are you aware that the Messenger of Allah said: Whoever buys the well of Rumah, Allah will forgive him, so I bought it for such and such an amount, then I came to the Messenger of Allah and told him, and he said: Give it to provide water for the Muslims, and the reward for it will be yours?' They said: By Allah, yes. He said: 'I adjure you by Allah, beside Whom there is none worthy of worship, are you aware that the Messenger of Allah said: Whoever equips these (men), Allah will forgive him, -meaning the army of Al-'Usrah (i.e. Tabuk)- so I equipped them until they were not lacking even a rope or a bridle?' They said: By Allah, yes. He said: O Allah, bear witness, O Allah, bear witness."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ “মু’মিনদের দু’দল দ্বন্দ্বে লিপ্ত হলে তোমরা তাঁদের মধ্যে মীমাংসা করে দিবে।” (হুজরাত ৪৯/৯)

فَسَمَّاهُمْ الْمُؤْمِنِينَ

(সংঘর্ষের পাপে লিপ্ত হওয়া সত্ত্বেও) তাদের তিনি মু’মিন বলে আখ্যায়িত করেছেন।

৩১. আহনাফ ইবনু কায়স (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (সিফফীনের যুদ্ধে) এ ব্যক্তিকে [আলী (রাযি.)-কে] সাহায্য করতে যাচিছলাম। আবূ বকরাহ্ (রাযি.)-এর সঙ্গে আমার দেখা হলে তিনি বললেনঃ ’তুমি কোথায় যাচ্ছ?’ আমি বললাম, ’আমি এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে যাচ্ছি।’ তিনি বললেনঃ ’ফিরে যাও। কারণ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি যে, দু’জন মুসলিম তাদের তরবারি নিয়ে মুখোমুখি হলে হত্যাকারী এবং নিহত ব্যক্তি উভয়ে জাহান্নামে যাবে।’ আমি বললাম, ’হে আল্লাহর রাসূল্! এ হত্যাকারী (তো অপরাধী), কিন্তু নিহত ব্যক্তির কী অপরাধ? তিনি বললেন, (নিশ্চয়ই) সেও তার সাথীকে হত্যা করার জন্য উদগ্রীব ছিল।’ (৬৮৭৫, ৭০৮৩; মুসলিম ৫২/৪ হাঃ ২৮৮৮, আহমাদ ২০৪৪৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৯)

بَابُ: {وَإِنْ طَائِفَتَانِ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ اقْتَتَلُوا فَأَصْلِحُوا بَيْنَهُمَا} فَسَمَّاهُمُ الْمُؤْمِنِينَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، وَيُونُسُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ ذَهَبْتُ لأَنْصُرَ هَذَا الرَّجُلَ، فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرَةَ فَقَالَ أَيْنَ تُرِيدُ قُلْتُ أَنْصُرُ هَذَا الرَّجُلَ‏.‏ قَالَ ارْجِعْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ ‏"‏‏.‏ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الْقَاتِلُ فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ قَالَ ‏"‏ إِنَّهُ كَانَ حَرِيصًا عَلَى قَتْلِ صَاحِبِهِ ‏"‏‏.‏

(22) Chapter:


Narrated Al-Ahnaf bin Qais: While I was going to help this man ('Ali Ibn Abi Talib), Abu Bakra met me and asked, "Where are you going?" I replied, "I am going to help that person." He said, "Go back for I have heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, 'When two Muslims fight (meet) each other with their swords, both the murderer as well as the murdered will go to the Hell-fire.' I said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! It is all right for the murderer but what about the murdered one?' Allah's Messenger (ﷺ) replied, "He surely had the intention to kill his companion."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৪/৪. যে সম্পদের যাকাত দেয়া হয় তা কানয (জমাকৃত সম্পদ) নয়।

১৪০৭. আহনাফ ইবনু কায়স (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি কুরাইশ গোত্রীয় একদল লোকের সাথে বসেছিলাম, এমন সময় রুক্ষ্ম চুল, মোটা কাপড় ও খসখসে শরীর বিশিষ্ট এক ব্যক্তি তাদের নিকট এসে সালাম দিয়ে বললো, যারা সম্পদ জমা করে রাখে তাদেরকে এমন গরম পাথরের সংবাদ দাও, যা তাদেরকে শাস্তি প্রদানের জন্য জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে। তা তাদের স্তনের বোঁটার উপর স্থাপন করা হবে আর তা কাঁধের পেশী ভেদ করে বের হবে এবং কাঁধের চিকন হাড্ডির ওপর স্থাপন করা হবে, তা নড়াচড়া করে সজোরে স্তনের বোঁটা ছেদ করে বের হবে। এরপর লোকটি ফিরে গিয়ে একটি স্তম্ভের পাশে বসল। আমিও তাঁর অনুগমন করলাম ও তাঁর কাছে বসলাম। অথচ আমি জানতাম না সে কে। আমি তাকে বললাম, আমার মনে হয় যে, আপনার বক্তব্য লোকেরা পছন্দ করেনি। তিনি বললেন, তারা কিছুই বুঝে না।  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩২২)

بَاب مَا أُدِّيَ زَكَاتُهُ فَلَيْسَ بِكَنْزٍ

حَدَّثَنَا عَيَّاشٌ حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ عَنْ أَبِي الْعَلاَءِ عَنْ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ جَلَسْتُ ح و حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ حَدَّثَنَا أَبُو الْعَلاَءِ بْنُ الشِّخِّيرِ أَنَّ الأَحْنَفَ بْنَ قَيْسٍ حَدَّثَهُمْ قَالَ جَلَسْتُ إِلَى مَلاَ مِنْ قُرَيْشٍ فَجَاءَ رَجُلٌ خَشِنُ الشَّعَرِ وَالثِّيَابِ وَالْهَيْئَةِ حَتَّى قَامَ عَلَيْهِمْ فَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ بَشِّرْ الْكَانِزِينَ بِرَضْفٍ يُحْمَى عَلَيْهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ ثُمَّ يُوضَعُ عَلَى حَلَمَةِ ثَدْيِ أَحَدِهِمْ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ نُغْضِ كَتِفِهِ وَيُوضَعُ عَلَى نُغْضِ كَتِفِهِ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ حَلَمَةِ ثَدْيِهِ يَتَزَلْزَلُ ثُمَّ وَلَّى فَجَلَسَ إِلَى سَارِيَةٍ وَتَبِعْتُهُ وَجَلَسْتُ إِلَيْهِ وَأَنَا لاَ أَدْرِي مَنْ هُوَ فَقُلْتُ لَهُ لاَ أُرَى الْقَوْمَ إِلاَّ قَدْ كَرِهُوا الَّذِي قُلْتَ قَالَ إِنَّهُمْ لاَ يَعْقِلُونَ شَيْئًا


arrated Al-Ahnaf bin Qais: While I was sitting with some people from Quraish, a man with very rough hair, clothes, and appearance came and stood in front of us, greeted us and said, "Inform those who hoard wealth, that a stone will be heated in the Hell-fire and will be put on the nipples of their breasts till it comes out from the bones of their shoulders and then put on the bones of their shoulders till it comes through the nipples of their breasts the stone will be moving and hitting." After saying that, the person retreated and sat by the side of the pillar, I followed him and sat beside him, and I did not know who he was. I said to him, "I think the people disliked what you had said." He said, "These people do not understand anything.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৪/৪. যে সম্পদের যাকাত দেয়া হয় তা কানয (জমাকৃত সম্পদ) নয়।

১৪০৮. কথাটি আমাকে আমার বন্ধু বলেছেন। রাবী বলেন, আমি বললাম, আপনার বন্ধু কে? সে বলল, তিনি হলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি আমাকে বলেন, হে আবূ যার! তুমি কি উহুদ পাহাড় দেখেছ? তিনি বলেন, তখন আমি সূর্যের দিকে তাকিয়ে দেখলাম দিনের কতটুকু অংশ বাকি রয়েছে। আমার ধারণা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন প্রয়োজনে আমাকে পাঠাবেন। আমি জবাবে বললাম, জী-হাঁ। তিনি বললেনঃ আমি পছন্দ করি না যে আমার জন্য উহুদ পর্বত পরিমাণ স্বর্ণ হোক আর তা সমুদয় আমি নিজের জন্য ব্যয় করি তিনটি দ্বীনার ব্যতীত। [আবূ যার (রাঃ) বলেন] তারা তো বুঝে না, তারা শুধু দুনিয়ার সম্পদই একত্রিত করছে। আল্লাহর কসম, না! না! আমি তাদের নিকট দুনিয়ার কোন সম্পদ চাই না এবং আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করা পর্যন্ত দ্বীন সম্পর্কেও তাদের নিকট কিছু জিজ্ঞেস করবো না। (মুসলিম ১২/১০, হাঃ ৯৯২)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৩১৬ শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৩২২ শেষাংশ)

بَاب مَا أُدِّيَ زَكَاتُهُ فَلَيْسَ بِكَنْزٍ

قَالَ لِي خَلِيلِي قَالَ قُلْتُ مَنْ خَلِيلُكَ قَالَ النَّبِيُّ يَا أَبَا ذَرٍّ أَتُبْصِرُ أُحُدًا قَالَ فَنَظَرْتُ إِلَى الشَّمْسِ مَا بَقِيَ مِنْ النَّهَارِ وَأَنَا أُرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُرْسِلُنِي فِي حَاجَةٍ لَهُ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا أُنْفِقُهُ كُلَّهُ إِلاَّ ثَلاَثَةَ دَنَانِيرَ وَإِنَّ هَؤُلاَءِ لاَ يَعْقِلُونَ إِنَّمَا يَجْمَعُونَ الدُّنْيَا لاَ وَاللهِ لاَ أَسْأَلُهُمْ دُنْيَا وَلاَ أَسْتَفْتِيهِمْ عَنْ دِينٍ حَتَّى أَلْقَى اللهَ


although my friend told me." I asked, "Who is your friend?" He said, "The Prophet (ﷺ) said (to me), 'O Abu Dhar! Do you see the mountain of Uhud?' And on that I (Abu Dhar) started looking towards the sun to judge how much remained of the day as I thought that Allah's Messenger (ﷺ) wanted to send me to do something for him and I said, 'Yes!' He said, 'I do not love to have gold equal to the mountain of Uhud unless I spend it all (in Allah's cause) except three Dinars (pounds). These people do not understand and collect worldly wealth. No, by Allah, Neither I ask them for worldly benefits nor am I in need of their religious advice till I meet Allah, The Honorable, The Majestic." '


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮৭/২. আল্লাহর বাণীঃ আর কেউ কারো প্রাণ রক্ষা করলে। (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৩২)

৬৮৭৫. আহনাফ ইবনু কায়স (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তাঁকে (’আলী (রাঃ)-কে সাহায্য) করার জন্য যাচ্ছিলাম। এমন সময় আমার সঙ্গে আবূ বকরাহ (রাঃ)-এর সাক্ষাৎ ঘটল। তিনি বললেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, ঐ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে। তিনি বললেন, ফিরে যাও। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, যখন দু’জন মুসলিম তলোয়ার নিয়ে পরস্পর সংঘর্ষে লিপ্ত হয় তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তির অবস্থান হবে জাহান্নাম। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! হত্যাকারীর ব্যাপারটা তো বুঝা গেল। কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপার সে কেমন? তিনি বললেনঃ সেও তার বিরোধীকে হত্যা করতে আগ্রহান্বিত ছিল। [৩১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৩৯৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৪০৯)

بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَمَنْ أَحْيَاهَا}.

عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ وَيُونُسُ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ ذَهَبْتُ لِأَنْصُرَ هَذَا الرَّجُلَ فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرَةَ فَقَالَ أَيْنَ تُرِيدُ قُلْتُ أَنْصُرُ هَذَا الرَّجُلَ قَالَ ارْجِعْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ هَذَا الْقَاتِلُ فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ قَالَ إِنَّهُ كَانَ حَرِيصًا عَلَى قَتْلِ صَاحِبِهِ.


Narrated Al-Ahnaf bin Qais: I went to help that man (i.e., `Ali), and on the way I met Abu Bakra who asked me, "Where are you going?" I replied, "I am going to help that man." He said, "Go back, for I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, 'If two Muslims meet each other with their swords then (both) the killer and the killed one are in the (Hell) Fire.' I said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! It is alright for the killer, but what about the killed one?' He said, 'The killed one was eager to kill his opponent."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১২/১০. যারা ধন-সম্পদ কুক্ষিগত করে তাদের শাস্তির ভয়াবহতা।

৫৭৯. আহনাফ ইবনু কায়স (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি কুরাইশ গোত্রীয় একদল লোকের সাথে বসেছিলাম, এমন সময় রুক্ষ্ম চুল, মোটা কাপড় ও খসখসে শরীর বিশিষ্ট এক ব্যক্তি তাদের নিকট এসে সালাম দিয়ে বললো, যারা সম্পদ জমা করে রাখে তাদেরকে এমন গরম পাথরের সংবাদ দাও, যা তাদেরকে শাস্তি প্রদানের জন্য জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করা হবে। তা তাদের স্তনের বোঁটার উপর স্থাপন করা হবে আর তা কাঁধের পেশী ভেদ করে বের হবে এবং কাঁধের চিকন হাড্ডির ওপর স্থাপন করা হবে, তা নড়াচড়া করে সজোরে স্তনের বোঁটা ছেদ করে বের হবে। এরপর লোকটি ফিরে গিয়ে একটি স্তম্ভের পাশে বসল। আমিও তাঁর অনুগমন করলাম ও তাঁর কাছে বসলাম। অথচ আমি জানতাম না সে কে। আমি তাকে বললাম, আমার মনে হয় যে, আপনার বক্তব্য লোকেরা পছন্দ করেনি। তিনি বললেন, তারা কিছুই বুঝে না।

কথাটি আমাকে আমার বন্ধু বলেছেন। রাবী বলেন, আমি বললাম, আপনার বন্ধু কে? সে বলল, তিনি হলেন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি আমাকে বলেন, হে আবূ যার! তুমি কি উহুদ পাহাড় দেখেছ? তিনি বলেন, তখন আমি সূর্যের দিকে তাকিয়ে দেখলাম দিনের কতটুকু অংশ বাকি রয়েছে। আমার ধারণা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন প্রয়োজনে আমাকে পাঠাবেন। আমি জবাবে বললাম, জী-হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ আমি পছন্দ করি না যে আমার জন্য উহুদ পর্বত পরিমাণ স্বর্ণ হোক আর তা সমুদয় আমি নিজের জন্য ব্যয় করি তিনটি দীনার ব্যতীত। [আবূ যার (রাযি.) বলেন] তারা তো বুঝে না, তারা শুধু দুনিয়ার সম্পদই একত্রিত করছে। আল্লাহর কসম, না! না! আমি তাদের নিকট দুনিয়ার কোন সম্পদ চাই না এবং আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করা পর্যন্ত দীন সম্পর্কেও তাদের নিকট কিছু জিজ্ঞেস করবো না।

في الكنازين للأَموال والتغليظ عليهم

حَدِيْثُ عَنْ أَبِى ذَرٍّعَنِ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ جَلَسْتُ إِلَى مَلاَ مِنْ قُرَيْشٍ فَجَاءَ رَجُلٌ خَشِنُ الشَّعَرِ وَالثِّيَابِ وَالْهَيْئَةِ حَتَّى قَامَ عَلَيْهِمْ فَسَلَّمَ ثُمَّ قَالَ بَشِّرْ الْكَانِزِينَ بِرَضْفٍ يُحْمَى عَلَيْهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ ثُمَّ يُوضَعُ عَلَى حَلَمَةِ ثَدْيِ أَحَدِهِمْ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ نُغْضِ كَتِفِهِ وَيُوضَعُ عَلَى نُغْضِ كَتِفِهِ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ حَلَمَةِ ثَدْيِهِ يَتَزَلْزَلُ ثُمَّ وَلَّى فَجَلَسَ إِلَى سَارِيَةٍ وَتَبِعْتُهُ وَجَلَسْتُ إِلَيْهِ وَأَنَا لاَ أَدْرِي مَنْ هُوَ فَقُلْتُ لَهُ لاَ أُرَى الْقَوْمَ إِلاَّ قَدْ كَرِهُوا الَّذِي قُلْتَ قَالَ إِنَّهُمْ لاَ يَعْقِلُونَ شَيْئًا
قَالَ لِي خَلِيلِي قَالَ قُلْتُ مَنْ خَلِيلُكَ قَالَ النَّبِيُّ ﷺ يَا أَبَا ذَرٍّ أَتُبْصِرُ أُحُدًا قَالَ فَنَظَرْتُ إِلَى الشَّمْسِ مَا بَقِيَ مِنْ النَّهَارِ وَأَنَا أُرَى أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ يُرْسِلُنِي فِي حَاجَةٍ لَهُ قُلْتُ نَعَمْ قَالَ مَا أُحِبُّ أَنَّ لِي مِثْلَ أُحُدٍ ذَهَبًا أُنْفِقُهُ كُلَّهُ إِلاَّ ثَلَاثَةَ دَنَانِيرَ وَإِنَّ هَؤُلَاءِ لاَ يَعْقِلُونَ إِنَّمَا يَجْمَعُونَ الدُّنْيَا لاَ وَاللهِ لاَ أَسْأَلُهُمْ دُنْيَا وَلاَ أَسْتَفْتِيهِمْ عَنْ دِينٍ حَتَّى أَلْقَى اللهَ عَزَّ وَجَلَّ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫২/৪. দু’জন মুসলিম যখন তরবারি নিয়ে পরস্পরের সম্মুখীন হয়।

১৮৩৪. আহনাফ ইবনু কায়স (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি (সিফফীনের যুদ্ধে) এ ব্যক্তিকে (আলী (রাঃ)-কে) সাহায্য করতে যাচ্ছিলাম। আবূ বকরা (রাঃ)-এর সঙ্গে আমার দেখা হলে তিনি বললেনঃ তুমি কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, ’আমি এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে যাচ্ছি। তিনি বললেনঃ ’ফিরে যাও। কারণ আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, দু’জন মুসলিম তাদের তরবারি নিয়ে মুখোমুখি হলে হত্যাকারী এবং নিহত ব্যক্তি উভয়ে জাহান্নামে যাবে। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! এ হত্যাকারী (তো অপরাধী), কিন্তু নিহত ব্যক্তির কী অপরাধ? তিনি বললেন, (নিশ্চয়ই) সেও তার সাথীকে হত্যা করার জন্য উদগ্রীব ছিল।

إِذَا تواجه المسلمان بسيفيهما

حديث أَبِي بَكْرَةَ عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ: ذَهَبْتُ لأَنْصُرَ هذَا الرَّجُلَ، فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرَةَ، فَقَالَ: أَيْنَ تُرِيدُ قُلْتُ: أَنْصُرُ هذَا الرَّجُلَ قَالَ: ارْجِعْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِذَا الْتَقَى الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا، فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللهِ هذَا الْقَاتِلُ فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ قَالَ: إِنَّهُ كَانَ حَرِيصًا عَلَى قَتْلِ صَاحِبِهِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে একটি সাজদা করে, তার ফযীলত

১৪৯৯. আহনাফ ইবনু কায়িস হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি দামিশকের মসজিদে প্রবেশ করে দেখলাম, সেখানে এক ব্যক্তি বেশি বেশি রুকূ’-সাজদা করছে (নফল সালাত আদায় করছে)।

আমি (মনে মনে) বললাম, আমি এখান থেকে বের হচ্ছি না, যতক্ষণ না জানতে পারছি যে, সে (এ লোকটি) জানতে পারছেন কি যে, তিনি জোড় রাক’আত না বেজোড় রাক’আত পড়ে সালাত শেষ করছেন। যখন লোকটি নামায শেষ করলেন তখন আমি তাঁকে বললাম, হে আল্লাহর বান্দা! আপনি জানেন কি, আপনি জোড় রাকা’আত না বেজোড় রাকা’আত পড়ে সালাত শেষ করছেন? তিনি উত্তরে বললেন, যদি আমি নাও জানি, তবে আল্লাহ্ তো তা নিশ্চয়ই জানেন। তারপর বললেন, আমি আমার প্রিয়তম আবুল কাসিম কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন: “যে বান্দা আল্লাহর উদ্দেশ্যে যে সাজদাই করবে, আল্লাহ এর জন্য তার একটা মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন, আর এর জন্য তার একটা পাপ মাফ করে দিবেন।” আমি (রাবী) বললাম, আল্লাহ্ আপনার প্রতি দয়া করুন, (আমাকে বলুন,) আপনি কে? তিনি উত্তরে বললেন, আমি আবূ যারর।’ একথা শুনে আমি (লজ্জায়) মনে মনে খুব ছোট হয়ে গেলাম।[1]

بَاب فَضْلِ مَنْ سَجَدَ لِلَّهِ سَجْدَةً

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ هَارُونَ بْنِ رِئَابٍ عَنْ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ قَالَ دَخَلْتُ مَسْجِدَ دِمَشْقَ فَإِذَا رَجُلٌ يُكْثِرُ الرُّكُوعَ وَالسُّجُودَ قُلْتُ لَا أَخْرُجُ حَتَّى أَنْظُرَ أَعَلَى شَفْعٍ يَدْرِي هَذَا يَنْصَرِفُ أَمْ عَلَى وِتْرٍ فَلَمَّا فَرَغَ قُلْتُ يَا عَبْدَ اللَّهِ أَعَلَى شَفْعٍ تَدْرِي انْصَرَفْتَ أَمْ عَلَى وِتْرٍ فَقَالَ إِنْ لَا أَدْرِي فَإِنَّ اللَّهَ يَدْرِي ثُمَّ قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ خَلِيلِي أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَا مِنْ عَبْدٍ يَسْجُدُ لِلَّهِ سَجْدَةً إِلَّا رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً قُلْتُ مَنْ أَنْتَ رَحِمَكَ اللَّهُ قَالَ أَنَا أَبُو ذَرٍّ قَالَ فَتَقَاصَرَتْ إِلَيَّ نَفْسِي


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০. সম্পদ পুঞ্জীভূতকারী ও তাদের শাস্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে

২১৯৬-(৩৪/৯৯২) যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আহনাফ ইবনু কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মদীনায় আসার পর একদা কুরায়শদের এক সমাবেশে বসা ছিলাম। সেখানে তাদের (গোত্রীয় নেতা) দলপতিও উপস্থিত ছিল। এমন সময় মোটা কাপড় পরিহিত সুঠাম দেহের অধিকারী ও রুক্ষ চেহারার এক ব্যক্তি আসল। এসে দাঁড়িয়ে বলল, সম্পদ কুক্ষিগতকারীদের সুসংবাদ দাও যে, একটি পাথর জাহান্নামের আগুনে উত্তপ্ত করে, তাদের কারো বুকের মাঝখানে রাখা হবে। এমনকি তার কাঁধের হাড় ভেদ করে বেরিয়ে যাবে এবং কাঁধের হাড়ের উপর রাখা হলে তা স্তনের বোটা ভেদ করে বেরিয়ে যাবে এবং পাথরটি (আগুনের উত্তাপের ফলে) কাঁপতে থাকবে। বর্ণনাকারী বলেন, উপস্থিত লোকেরা সবাই মাথা নত করে থাকল এবং তার বক্তব্যের প্রত্যুত্তরে কাউকে কিছু বলতে দেখলাম না। অতঃপর সে পেছন দিকে ফিরে এসে একটি খুঁটির কাছে বসে পড়ল, আমিও তাকে অনুসরণ করলাম। অর্থাৎ তার কাছে এসে বসলাম।

তারপর আমি বললাম যে, এরা তো তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছে বলে আমি দেখতে পাচ্ছি। তিনি (উত্তরে) বললেন, এরা (দীন সম্পর্কে) কিছুই বোঝে না বা জ্ঞান রাখে না। আমার বন্ধুবর আবূল কাসিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার আমাকে ডাকলেন এবং আমি উপস্থিত হলাম। অতঃপর তিনি বললেন, “তুমি উহুদ পাহাড় দেখতে পাচ্ছ? আমি তখন সূর্যের দিকে আমার দৃষ্টি নিবন্ধ করলাম এবং ধারণা করলাম, হয়ত তিনি আমাকে তার কোন কাজে পাঠাবেন। আমি বললাম, হ্যাঁ দেখতে পাচ্ছি। অতঃপর তিনি বললেন, আমি এটা চাই না যে, এ পাহাড় আমার জন্য সোনা হোক আর যদি এত অঢেল সম্পদের মালিক আমি হয়েও যাই তাহলে ঋণ পরিশোধের জন্য, শুধু তিন দীনার রেখে বাকি সব খরচ করে দিব। অতঃপর এরা শুধু দুনিয়া সঞ্চয় করছে, আর কিছুই বুঝছে না।"

বর্ণনাকারী বলেন, আমি তাকে বললাম, তুমি ও তোমার কুরায়শ গোত্রীয় ভাইদের কী হয়েছে; তুমি তাদের কাছে প্রয়োজনে কেন যাও না মেলামেশা করো না আর কেন বা কোন কিছু গ্রহণ করো না? উত্তরে সে বলল, তোমার প্রভুর শপথ আমি আল্লাহ ও তার রসূলের সাথে সাক্ষাতের পূর্বে (অর্থাৎ মৃত্যু পর্যন্ত) তাদের কাছে পার্থিব কোন কিছু চাই না এবং দীন সম্পর্কেও কোন কিছু জিজ্ঞেস করব না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২১৭৫, ইসলামীক সেন্টার ২১৭৭)

باب فِي الْكَنَّازِينَ لِلأَمْوَالِ وَالتَّغْلِيظِ عَلَيْهِمْ ‏‏

وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي، الْعَلاَءِ عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فَبَيْنَا أَنَا فِي، حَلْقَةٍ فِيهَا مَلأٌ مِنْ قُرَيْشٍ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ أَخْشَنُ الثِّيَابِ أَخْشَنُ الْجَسَدِ أَخْشَنُ الْوَجْهِ فَقَامَ عَلَيْهِمْ فَقَالَ بَشِّرِ الْكَانِزِينَ بِرَضْفٍ يُحْمَى عَلَيْهِ فِي نَارِ جَهَنَّمَ فَيُوضَعُ عَلَى حَلَمَةِ ثَدْىِ أَحَدِهِمْ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ نُغْضِ كَتِفَيْهِ وَيُوضَعُ عَلَى نُغْضِ كَتِفَيْهِ حَتَّى يَخْرُجَ مِنْ حَلَمَةِ ثَدْيَيْهِ يَتَزَلْزَلُ قَالَ فَوَضَعَ الْقَوْمُ رُءُوسَهُمْ فَمَا رَأَيْتُ أَحَدًا مِنْهُمْ رَجَعَ إِلَيْهِ شَيْئًا - قَالَ - فَأَدْبَرَ وَاتَّبَعْتُهُ حَتَّى جَلَسَ إِلَى سَارِيَةٍ فَقُلْتُ مَا رَأَيْتُ هَؤُلاَءِ إِلاَّ كَرِهُوا مَا قُلْتَ لَهُمْ ‏.‏ قَالَ إِنَّ هَؤُلاَءِ لاَ يَعْقِلُونَ شَيْئًا إِنَّ خَلِيلِي أَبَا الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم دَعَانِي فَأَجَبْتُهُ فَقَالَ ‏"‏ أَتَرَى أُحُدًا ‏"‏ ‏.‏ فَنَظَرْتُ مَا عَلَىَّ مِنَ الشَّمْسِ وَأَنَا أَظُنُّ أَنَّهُ يَبْعَثُنِي فِي حَاجَةٍ لَهُ فَقُلْتُ أَرَاهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ مَا يَسُرُّنِي أَنَّ لِي مِثْلَهُ ذَهَبًا أُنْفِقُهُ كُلَّهُ إِلاَّ ثَلاَثَةَ دَنَانِيرَ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ هَؤُلاَءِ يَجْمَعُونَ الدُّنْيَا لاَ يَعْقِلُونَ شَيْئًا ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَا لَكَ وَلإِخْوَتِكَ مِنْ قُرَيْشٍ لاَ تَعْتَرِيهِمْ وَتُصِيبُ مِنْهُمْ ‏.‏ قَالَ لاَ وَرَبِّكَ لاَ أَسْأَلُهُمْ عَنْ دُنْيَا وَلاَ أَسْتَفْتِيهِمْ عَنْ دِينٍ حَتَّى أَلْحَقَ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ ‏.‏


Ahnaf b. Qais reported: I came to Medina and when I was in the company of the grandees of Quraish a man with a crude body and an uncouth face wearing coarse clothes came there. He stood up before them and said: Give glad tidings to those whom who amass riches of the stones which would be heated in the Fire of Hell, and would be placed at the tick of the chest till it would project from the shoulder bone and would he put on the shoulder bone till it would project from the tick of his chest, and it (this stone) would continue passing and repassing (from one side to the other). He (the narrator) said: Then people hung their heads and I saw none among them giving any answer. He then returned and I followed him till he sat near a pillar. I said: I find that these (people) disliked what you said to them and they do not understand anything. My friend Abu'l-Qasim (Muhammad) (may peace he upon him) called me and I responded to him, and he said: Do you see Uhud? I saw the sun (shining) on me and I thought that he would send me on an errand for him. So I said: I see it. Upon this he said: Nothing would delight me more than this that I should have gold like it (equal to the bulk of Uhud), and I should spend it all except three dinars. (How sad it is) that they hoard worldly riches, and they know nothing. I said: What about you and your brothers Quraish? You do not go to thein for any need and do not accept anything from them. He said: By Allah, I neither beg anything from them (from worldly goods), nor do I ask them anything about religion till I meet my Allah and His Messenger.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০. সম্পদ পুঞ্জীভূতকারী ও তাদের শাস্তির ভয়াবহতা সম্পর্কে

২১৯৭-(৩৫/...) শায়বান ইবনু ফাররূখ (রহঃ) ...... আহনাফ ইবনু কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি কুরায়শ গোত্রের কতিপয় লোকের সাথে বসা ছিলাম। এমন সময় আবূ যার (রাযিঃ) সেখানে এসে বলতে লাগলেন, অগাধ সম্পদ পুঞ্জীভূতকারীদেরকে এমন এক দাগের সুসংবাদ দাও যা পিঠে লাগানো হবে এবং পার্শ্বদেশ ভেদ করে বের হবে। আর ঘাড়ে লাগানো হবে এবং তা কপাল ভেদ করে বের হবে। অতঃপর তিনি একপাশে গিয়ে বসলেন। আমি লোকদেরকে জিজ্ঞেস করলাম, ইনি কে? তারা (উত্তরে) বলল, ইনি হলেন আবূ যার (রাযিঃ)। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমি তার কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে বললাম, একটু আগে আপনাকে যে কথাটি বলতে শুনলাম তা কী কথা ছিল? তিনি (আবূ যার) বললেন, আমি তো সে কথাই বলছিলাম যা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে শুনেছি।

রাবী বলেন, আমি পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, এসব দান (অর্থাৎ আমীরগণ গনীমাতের মালের যে অংশ মুসলিমদেরকে দিচ্ছে) এ সম্পর্কে আপনার মত কী? তিনি বললেন, তোমরা তা গ্রহণ করতে থাক, কেননা ব্যয়ভার বহনের জন্য এর দ্বারা এখন সাহায্য হচ্ছে। কিন্তু যখন এ দান বা গনীমাত তোমার দীনের বিনিময়ে (মানে হলো দীন ও ঈমান বিক্রি করা তোমাকে দীনের পরিপন্থী কাজে ব্যবহারের চেষ্টা কল্পে হয়) তখন এ দান গ্রহণ করো না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২১৭৬, ইসলামীক সেন্টার ২১৭৮)

باب فِي الْكَنَّازِينَ لِلأَمْوَالِ وَالتَّغْلِيظِ عَلَيْهِمْ ‏‏

وَحَدَّثَنَا شَيْبَانُ بْنُ فَرُّوخَ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْهَبِ، حَدَّثَنَا خُلَيْدٌ الْعَصَرِيُّ، عَنِ الأَحْنَفِ، بْنِ قَيْسٍ قَالَ كُنْتُ فِي نَفَرٍ مِنْ قُرَيْشٍ فَمَرَّ أَبُو ذَرٍّ وَهُوَ يَقُولُ بَشِّرِ الْكَانِزِينَ بِكَىٍّ فِي ظُهُورِهِمْ يَخْرُجُ مِنْ جُنُوبِهِمْ وَبِكَىٍّ مِنْ قِبَلِ أَقْفَائِهِمْ يَخْرُجُ مِنْ جِبَاهِهِمْ ‏.‏ - قَالَ - ثُمَّ تَنَحَّى فَقَعَدَ ‏.‏ - قَالَ - قُلْتُ مَنْ هَذَا قَالُوا هَذَا أَبُو ذَرٍّ ‏.‏ قَالَ فَقُمْتُ إِلَيْهِ فَقُلْتُ مَا شَىْءٌ سَمِعْتُكَ تَقُولُ قُبَيْلُ قَالَ مَا قُلْتُ إِلاَّ شَيْئًا قَدْ سَمِعْتُهُ مِنْ نَبِيِّهِمْ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ قُلْتُ مَا تَقُولُ فِي هَذَا الْعَطَاءِ قَالَ خُذْهُ فَإِنَّ فِيهِ الْيَوْمَ مَعُونَةً فَإِذَا كَانَ ثَمَنًا لِدِينِكَ فَدَعْهُ‏.‏


Ahnaf b. Qais reported: While I was in the company of the (elites) of Quraiah, Abu Dharr came there and he was saying: Give glad tidings to the hoarders of riches that their backs would be branded (so deeply) that (the hot Iron) would come out of their sides, and when the backs of their necks would be branded, it would come out of their foreheads. He (Abu Dharr) then went away and sat down. I asked who he was. They said: He is Abu Dharr. I went to him and said to him: What is this that I heard from you which you were saying before? He said: I said nothing but only that which I heard from their Prophet (ﷺ). I again said: What do you say about this gift? He said: Take it, for today it is a help. But when it becomes a price for your religion, then abandon it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪. দু’জন মুসলিম যখন তরবারিসহ পরস্পর মুখোমুখি হয়

৭১৪৪-(১৪/২৮৮৮) আবূ কামিল ফুযায়ল ইবনু হুসায়ন আল জাহদারী (রহঃ) ..... আহনাফ ইবনু কায়স (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি বের হলাম। এ লোকটিকে সহযোগিতা করা আমার অভিপ্রায় ছিল। এমন সময় আবু বাকরাহ (রাযিঃ) এর সঙ্গে আমার দেখা হলো। তখন তিনি বললেন, হে আহনাফ! তুমি কোথায় যেতে চাচ্ছ? তিনি বলেন, আমি বললাম, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চাচাত ভাই আলী (রাযিঃ)-কে সহযোগিতা করার জন্য আমি যেতে চাচ্ছি। আহনাফ (রাযিঃ) বলেন, অতঃপর তিনি আমাকে বললেন, হে আহনাফ চলে যাও। কেননা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি এ কথা বলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলিম তরবারি নিয়ে পরস্পর যুদ্ধ করে তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি দু’জনেই জাহান্নামী হবে। এ কথা শুনে আমি বললাম অথবা বলা হলো, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হত্যাকারীর অবস্থা তো এ-ই, তবে নিহত ব্যক্তির অপরাধ কি? জবাবে তিনি বললেন, সে তার সাথীকে হত্যা করার প্রচেষ্টায় জড়িয়ে ছিল। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৯৮৮, ইসলামিক সেন্টার ৭০৪৫)

باب إِذَا تَوَاجَهَ الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا

حَدَّثَنِي أَبُو كَامِلٍ، فُضَيْلُ بْنُ حُسَيْنٍ الْجَحْدَرِيُّ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَيُونُسَ عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ الأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ خَرَجْتُ وَأَنَا أُرِيدُ، هَذَا الرَّجُلَ فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرَةَ فَقَالَ أَيْنَ تُرِيدُ يَا أَحْنَفُ قَالَ قُلْتُ أُرِيدُ نَصْرَ ابْنِ عَمِّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - يَعْنِي عَلِيًّا - قَالَ فَقَالَ لِي يَا أَحْنَفُ ارْجِعْ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ إِذَا تَوَاجَهَ الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقُلْتُ أَوْ قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَذَا الْقَاتِلُ فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ قَالَ ‏"‏ إِنَّهُ قَدْ أَرَادَ قَتْلَ صَاحِبِهِ ‏"‏ ‏.‏


Ahnaf b. Qais reported: I set out with the intention of helping this person (Hadrat 'Ali) when Abu Bakra met me. He said: Ahnaf, where do you intend to go? I said: I intend to help the cousin of Allah's Messenger (ﷺ), viz. 'Ali. Thereupon he said to me: Ahnaf, go back, for I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying: When two Muslims confront one another with swords (in hand) both the slayer and the slain would be in Fire. He (Ahnaf) said: I said, or it was said: Allah's Messenger, it may be the case of one who kills. but what about the slain (why he would be put in Hell-Fire)? Thereupon he said: He also intended to kill his companion.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. ফিতনার সময় যুদ্ধে জড়ানো নিষেধ

৪২৬৮। আল-আহনাফ ইবনু কাইস সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যুদ্ধে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলাম। আবূ বকরাহ (রাঃ) আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বললেন, তুমি ফিরে যাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ দু’ মুসলিম তরবারি নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে অবতীর্ণ হলে হত্যাকারী ও নিহত উভয়ই জাহান্নামে যাবে। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! হত্যাকারী তো জাহান্নামে যাবেই তবে নিহত ব্যক্তি কেন যাবে? তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই সেও তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে হত্যা করতে সংকল্পবদ্ধ।[1]

সহীহ।

بَابٌ فِي النَّهْيِ عَنِ الْقِتَالِ فِي الْفِتْنَةِ

حَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، وَيُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنِ الْأَحْنَفِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ: خَرَجْتُ وَأَنَا أُرِيدُ - يَعْنِي - فِي الْقِتَالِ، فَلَقِيَنِي أَبُو بَكْرَةَ، فَقَالَ: ارْجِعْ، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: إِذَا تَوَاجَهَ الْمُسْلِمَانِ بِسَيْفَيْهِمَا فَالْقَاتِلُ وَالْمَقْتُولُ فِي النَّارِ، قَالَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَذَا الْقَاتِلُ، فَمَا بَالُ الْمَقْتُولِ؟ قَالَ: إِنَّهُ أَرَادَ قَتْلَ صَاحِبِهِ

صحيح


Ahnaf b. Qais said: I came out with the intention of (participating in) fighting. Abu Bakrah met me and said: Go back, for I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: When two Muslims face each other with their swords, the killer and the slain will go to Hell. He asked: Messenger of Allah, this is the killer (so naturally he should go to Hell), but what is the matter with the slain ? He replied: He intended to kill his companion.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আহনাফ ইব্‌ন কায়স (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে