কুরায়ব (রহ.) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ৩৪ টি

পরিচ্ছেদঃ ৭৮২. সালাতে থাকা অবস্থায় কেউ তার সঙ্গে কথা বললে এবং তা শুনে যদি সে হাত দিয়ে ইশারা করে।

১১৬১ ইয়াহ্‌ইয়া ইবনু সুলাইমান (রহঃ) ... কুরাইব (রহঃ) থেকে বর্ণিত, ইবনু আব্বাস, মিসওয়ার ইবনু মাখরামা এবং আবদুর রহমান ইবনু আযহার (রাঃ) তাঁকে আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে পাঠালেন এবং বলে দিলেন, তাঁকে আমাদের সকলের তরফ থেকে সালাম পৌঁছিয়ে আসরের পরের দু’ রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। তাঁকে একথাও বলবে যে, আমরা খবর পেয়েছি যে, আপনি সে দু’ রাকা’আত আদায় করেন, অথচ আমাদের কাছে পৌঁছেছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে দু’ রাকা’আত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সংবাদ আরও বলেন যে, আমি উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) এর সাথে এ সালাতের কারণে লোকদের মারধোর করতাম।

কুরাইব (রহঃ) বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) এর কাছে গিয়ে তাঁকে তাঁদের পয়গাম পৌঁছিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, উম্মে সালামা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা কর। [কুরাইব (রহঃ) বলেন] আমি সেখান থেকে বের হয়ে তাঁদের কাছে গেলাম এবং তাঁদেরকে আয়িশা (রাঃ)-এর কথা জানালাম। তখন তাঁরা আমাকে আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে যে বিষয় নিয়ে পাঠিয়েছিলেন, তা নিয়ে পুনরায় উম্মে সালামা (রাঃ)-এর কাছে পাঠালেন। উম্মে সালামা (রাঃ) বললেন, আমিও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তা নিষেধ করতে শুনেছি। অথচ তারপর তাঁকে তা আদায় করতেও দেখেছি।

একদিন তিনি আসরের সালাতের পর আমার ঘরে তাশরীফ আনলেন। তখন আমার কাছে বনূ হারাম গোত্রের আনসারী কয়েকজন মহিলা উপস্থিত ছিলেন। আমি বাঁদীকে এ বলে তাঁর কাছে পাঠালাম যে, তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে বলবে, উম্মে সালামা (রাঃ) আপনার কাছে জানতে চেয়েছেন, আপনাকে (আসরের পর সালাতের) দু’ রাকা’আত নিষেধ করতে শুনেছি; অথচ দেখছি, আপনি তা আদায় করছেন? যদি তিনি হাত দিয়ে ইশারা করেন, তাহলে পিছনে সরে থাকবে, বাঁদি তা-ই করল। তিনি ইশারা করলেন, সে পিছনে সরে থাকল।

সালাত (নামায/নামাজ) শেষ করে তিনি বললেন, হে আবূ উমায়্যার কন্যা! আসরের পরের দু’ রাকা’আত সালাত সম্পর্কে তুমি আমাকে জিজ্ঞাসা করেছ। আবদুল কায়স গোত্রের কিছু লোক আমার কাছে এসেছিল। তাদের কারণে যুহ্‌রের পরের দু’ রাকা’আত আদায় করা থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এ দু’ রাকা’আত সে দু’ রাকা’আত*।

باب إِذَا كُلِّمَ وَهُوَ يُصَلِّي فَأَشَارَ بِيَدِهِ وَاسْتَمَعَ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَزْهَرَ ـ رضى الله عنهم ـ أَرْسَلُوهُ إِلَى عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ فَقَالُوا اقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلاَمَ مِنَّا جَمِيعًا وَسَلْهَا عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ صَلاَةِ الْعَصْرِ وَقُلْ لَهَا إِنَّا أُخْبِرْنَا أَنَّكِ تُصَلِّينَهُمَا وَقَدْ بَلَغَنَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهَا‏.‏ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَكُنْتُ أَضْرِبُ النَّاسَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْهُمَا‏.‏ فَقَالَ كُرَيْبٌ فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ فَبَلَّغْتُهَا مَا أَرْسَلُونِي‏.‏ فَقَالَتْ سَلْ أُمَّ سَلَمَةَ‏.‏ فَخَرَجْتُ إِلَيْهِمْ فَأَخْبَرْتُهُمْ بِقَوْلِهَا فَرَدُّونِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِمِثْلِ مَا أَرْسَلُونِي بِهِ إِلَى عَائِشَةَ‏.‏ فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ ـ رضى الله عنها ـ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْهَا ثُمَّ رَأَيْتُهُ يُصَلِّيهِمَا حِينَ صَلَّى الْعَصْرَ، ثُمَّ دَخَلَ عَلَىَّ وَعِنْدِي نِسْوَةٌ مِنْ بَنِي حَرَامٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ الْجَارِيَةَ فَقُلْتُ قُومِي بِجَنْبِهِ قُولِي لَهُ تَقُولُ لَكَ أُمُّ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ سَمِعْتُكَ تَنْهَى عَنْ هَاتَيْنِ وَأَرَاكَ تُصَلِّيهِمَا‏.‏ فَإِنْ أَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخِرِي عَنْهُ‏.‏ فَفَعَلَتِ الْجَارِيَةُ فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخَرَتْ عَنْهُ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ ‏ "‏ يَا بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ سَأَلْتِ عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَإِنَّهُ أَتَانِي نَاسٌ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ فَشَغَلُونِي عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ فَهُمَا هَاتَانِ ‏"‏‏.‏


Narrated Kuraib: I was sent to Aisha by Ibn `Abbas, Al-Miswar bin Makhrama and `Abdur-Rahman bin Azhar . They told me to greet her on their behalf and to ask her about the offering of the two rak`at after the `Asr prayer and to say to her, "We were informed that you offer those two rak`at and we were told that the Prophet had forbidden offering them." Ibn `Abbas said, "I along with `Umar bin Al-Khattab used to beat the people whenever they offered them." I went to Aisha and told her that message. `Aisha said, "Go and ask Um Salama about them." So I returned and informed them about her statement. They then told me to go to Um Salama with the same question with which t sent me to `Aisha. Um Salama replied, "I heard the Prophet (ﷺ) forbidding them. Later I saw him offering them immediately after he prayed the `Asr prayer. He then entered my house at a time when some of the Ansari women from the tribe of Bani Haram were sitting with me, so I sent my slave girl to him having said to her, 'Stand beside him and tell him that Um Salama says to you, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I have heard you forbidding the offering of these (two rak`at after the `Asr prayer) but I have seen you offering them." If he waves his hand then wait for him.' The slave girl did that. The Prophet (ﷺ) beckoned her with his hand and she waited for him. When he had finished the prayer he said, "O daughter of Bani Umaiya! You have asked me about the two rak`at after the `Asr prayer. The people of the tribe of `Abdul-Qais came to me and made me busy and I could not offer the two rak`at after the Zuhr prayer. These (two rak`at that I have just prayed) are for those (missed) ones.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৩২৭. আল্লাহর বাণীঃ হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয় আমরা এক আহবানকারীকে ঈমানের প্রতি আহবান করতে শুনেছি, ‘তোমাদের প্রতিপালকের প্রতি ঈমান আনয়ন কর’ অতএব আমরা ঈমান এনেছি (৩ঃ ১৯৩)

৪২১৭। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। ইবনু আব্বাস (রাঃ) তাকে অবহিত করেছেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী মায়মূনা (রাঃ) এর নিকট রাত্রি যাপন করেছিলেন। মায়মূনা (রাঃ) হলেন তাঁর খালাম্মা। তিনি বলেন, আমি বিছানার প্রস্থের দিকে শুয়েছিলাম এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবারবর্গ দৈর্ঘ্যের দিকে শুয়েছিলেন। এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিদ্রামগ্ন হয়েছিলেন। অর্ধরাত্রি কিংবা এর সামান্য আগে কিংবা সামান্য পরক্ষনে তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠলেন। এবং মুখ থেকে ঘুমের আবেশ মুছতে মুছতে বসলেন। তারপর সূরা আলে ইমরানের শেষ দশ আয়াত পাঠ করলেন।

এরপর সালাতে দাঁড়ালেন। তারপর ঝুলন্ত একটি পরাতন মশকের দিকে গিয়ে ভালভাবে ওযু করলেন। এরপর সালাতে দাঁড়ালেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, আমিও দাঁড়ালাম এবং তিনি যা করেছেন আমিও তা করলাম। তারপর আমি গিয়ে তাঁর পার্শ্বে দাঁড়ালাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ডান হাত আমার মাথায় রেখে আমার ডান কান মলতে শুরু করলেন। তারপর তিনি দু’ রাকাআত ছয়বারে বারো রাকআত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন এবং তারপর তিনি বিতরের সালাত আদায় করলেন। শেষে মুয়াযযিন ফজরের আযান দিলে তিনি উঠে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্ত কিরাআতে দু’ রাকাআত সালাত আদায় করলেন। তারপর হুজরা থেকে বের হলেন এবং ফজরের সালাত আদায় করলেন।

باب ربنا إننا سمعنا مناديا ينادي للإيمان الآية

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، بَاتَ عِنْدَ مَيْمُونَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهْىَ خَالَتُهُ قَالَ فَاضْطَجَعْتُ فِي عَرْضِ الْوِسَادَةِ، وَاضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَهْلُهُ فِي طُولِهَا، فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ اللَّيْلُ، أَوْ قَبْلَهُ بِقَلِيلٍ، أَوْ بَعْدَهُ بِقَلِيلٍ، اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَلَسَ يَمْسَحُ النَّوْمَ عَنْ وَجْهِهِ بِيَدِهِ، ثُمَّ قَرَأَ الْعَشْرَ الآيَاتِ الْخَوَاتِمَ مِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ، ثُمَّ قَامَ إِلَى شَنٍّ مُعَلَّقَةٍ فَتَوَضَّأَ مِنْهَا، فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ، ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقُمْتُ فَصَنَعْتُ مِثْلَ مَا صَنَعَ، ثُمَّ ذَهَبْتُ فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ، فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رَأْسِي، وَأَخَذَ بِأُذُنِي الْيُمْنَى يَفْتِلُهَا، فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ، ثُمَّ أَوْتَرَ ثُمَّ، اضْطَجَعَ حَتَّى جَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ، فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ، ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الصُّبْحَ‏.‏


Narrated Ibn `Abbas: That once he stayed overnight in the house of his aunt, the wife of the Prophet. He added: I lay on the cushion transversely while Allah's Messenger (ﷺ) lay along with his wife in the lengthwise direction of cushion. Allah's Messenger (ﷺ) slept till the middle of the night, either a bit before or a bit after it, and then woke up rubbing the traces of sleep off his face with his hands, and then recited the last ten Verses of Suratal-`Imran. Then he got up and went to a hanging water skin, performed ablution from it ---- and performed it perfectly. Then he stood up to perform the prayer. I also did the same as he had done and then went to stand beside him. Allah's Messenger (ﷺ) put his right hand on my head and held and twisted my right ear. He then offered two rak`at, then two rak`at then two rak`at, then two then two rak`at, then two rak`at, and finally, one rak`a witr. Then lay down again till the Muadhdhin (i.e. the call-maker) came to him, whereupon he got up and offered a light two rak`at prayer and went out (to the Mosque) and offered the (compulsory congregational) Fajr prayer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০. রাতের বেলা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সালাত ও দু’আ

১৬৭০। আবূ তাহির (রহঃ) ... কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে রাত্রি যাপন করেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘূম থেকে উঠে মশকের দিকে গেলেন এবং তা থেকে (পানি) ঢেলে অযূ করলেন। পানি খুব বেশী ব্যবহার করেননি এবং অযূতেও কোন ক্রটি করেন নি। এরপর পূর্ণ হাদীস বর্ণনা করেন। আর এতে রয়েছে যে, তিনি বলেছেন, সে রাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উনিশটি বাক্যের দ্বারা দুআ করলেন। সালামা (রহঃ) বলেন, কুরায়ব (রহঃ) আমাকে সেগুলোর বিবরণ দিয়েছিলেন, আমি তার বারটি মুখস্ত রেখেছি এবং বাকীগুলো ভুলে গিয়েছি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেনঃ

"হে আল্লাহ! আমার হৃদয়ে নূর দিয়ে দিন, আমার জিহ্বায় নূর, আমার কানে নূর, আমার চোখে নূর দিন, আমার উপরে নূর, আমার নিচে নূর, আমার ডানে নূর, আমার বামে নূর, আমার সামনে নূর এবং আমার পিছনে নূর দিন এবং আমার অন্তরে নূর প্রদান করুন এবং আমাকে বিরাট নূর দান করুন”।

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَلْمَانَ الْحَجْرِيِّ، عَنْ عُقَيْلِ بْنِ خَالِدٍ، أَنَّ سَلَمَةَ بْنَ كُهَيْلٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ كُرَيْبًا حَدَّثَهُ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ بَاتَ لَيْلَةً عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَقَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْقِرْبَةِ فَسَكَبَ مِنْهَا فَتَوَضَّأَ وَلَمْ يُكْثِرْ مِنَ الْمَاءِ وَلَمْ يُقَصِّرْ فِي الْوُضُوءِ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ وَفِيهِ قَالَ وَدَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَتَئِذٍ تِسْعَ عَشْرَةَ كَلِمَةً ‏.‏ قَالَ سَلَمَةُ حَدَّثَنِيهَا كُرَيْبٌ فَحَفِظْتُ مِنْهَا ثِنْتَىْ عَشْرَةَ وَنَسِيتُ مَا بَقِيَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اللَّهُمَّ اجْعَلْ لِي فِي قَلْبِي نُورًا وَفِي لِسَانِي نُورًا وَفِي سَمْعِي نُورًا وَفِي بَصَرِي نُورًا وَمِنْ فَوْقِي نُورًا وَمِنْ تَحْتِي نُورًا وَعَنْ يَمِينِي نُورًا وَعَنْ شِمَالِي نُورًا وَمِنْ بَيْنِ يَدَىَّ نُورًا وَمِنْ خَلْفِي نُورًا وَاجْعَلْ فِي نَفْسِي نُورًا وَأَعْظِمْ لِي نُورًا ‏"‏ ‏.‏


Kuraib reported that Ibn `Abbas spent a night in the house of the Messenger of Allah (ﷺ) and he said: The Messenger of Allah (ﷺ) stood near the water-skin and poured water out of it and performed ablution in which he neither used excess of water nor too little of it, and the rest of the hadith is the same, and in this mention is also made (of the fact) that on that night the Messenger of Allah (ﷺ) made supplication before Allah in nineteen words. Kuraib reported: I remember twelve words out of these, but have forgotten the rest. The Messenger of Allah (ﷺ) said: "Place light in my heart, light in my tongue, light in my hearing, light in my sight, light above me, light below me, light on my right, light on my left, light in front of me, light behind me, place light in my soul, and make light abundant for me."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. প্রত্যেক দেশের অধিবাসীদের জন্য তাদের চাঁদ দেখা তাদের ক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য, অন্য দেশী মানুষের জন্য নয়। সুতরাং কোন দেশের লোক যদি চাঁদ দেখে, তবে এ হুকুম তাদের থেকে দূরবর্তী দেশীয় লোকদের জন্য প্রযোজ্য হবে না

২৩৯৯। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইয়াহইয়া ইবনু আয়্যুব, কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) ... কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মুল ফযল বিনত হারিস তাকে সিরিয়ায় মু’আবিয়া (রাঃ) এর নিকট পাঠালেন। (কুরায়ব বলেন) আমি সিরিয়ায় পৌছলাম এবং তার প্রয়োজনীয় কাজটি সমাধা করে নিলাম। আমি সিরিয়া থাকা অবস্থায়ই রমযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমু’আর দিন সন্ধ্যায় আমি চাঁদ দেখলাম। এরপর রমযানের শেষভাগে আমি মদিনায় ফিরলাম। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমার নিকট জিজ্ঞাসা করলেন এবং চাঁদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। এরপর জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কোন দিন চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, আমরা তো জুমু’আর দিন সন্ধায় চাঁদ দেখেছি।

তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি নিজে দেখেছ কি? আমি বললাম, হ্যাঁ, আমি দেখেছি এবং লোকেরাও দেখেছে। তারা সিয়াম পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করেছেন। তিনি বললেন, আমরা কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছি। আমরা সিয়াম পালন করতে থাকব, শেষ পর্যন্ত ত্রিশ দিন পূর্ণ করব অথবা চাঁদ দেখব। আমি বললাম, মু-আবিয়া (রাঃ) এর চাঁদ দেখা এবং তাঁর সাওম পালন করা আপনার জন্য যথেষ্ট নয় কি? তিনি বললেন, না, যথেষ্ট নয়। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এরূপ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

باب بَيَانِ أَنَّ لِكُلِّ بَلَدٍ رُؤْيَتَهُمْ وَأَنَّهُمْ إِذَا رَأَوْا الْهِلَالَ بِبَلَدٍ لَا يَثْبُتُ حُكْمُهُ لِمَا بَعُدَ عَنْهُمْ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ - عَنْ مُحَمَّدٍ، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ - عَنْ كُرَيْبٍ، أَنَّ أُمَّ الْفَضْلِ بِنْتَ الْحَارِثِ، بَعَثَتْهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ قَالَ فَقَدِمْتُ الشَّامَ فَقَضَيْتُ حَاجَتَهَا وَاسْتُهِلَّ عَلَىَّ رَمَضَانُ وَأَنَا بِالشَّامِ فَرَأَيْتُ الْهِلاَلَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فِي آخِرِ الشَّهْرِ فَسَأَلَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ - رضى الله عنهما - ثُمَّ ذَكَرَ الْهِلاَلَ فَقَالَ مَتَى رَأَيْتُمُ الْهِلاَلَ فَقُلْتُ رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ‏.‏ فَقَالَ أَنْتَ رَأَيْتَهُ فَقُلْتُ نَعَمْ وَرَآهُ النَّاسُ وَصَامُوا وَصَامَ مُعَاوِيَةُ ‏.‏ فَقَالَ لَكِنَّا رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ السَّبْتِ فَلاَ نَزَالُ نَصُومُ حَتَّى نُكْمِلَ ثَلاَثِينَ أَوْ نَرَاهُ ‏.‏ فَقُلْتُ أَوَلاَ تَكْتَفِي بِرُؤْيَةِ مُعَاوِيَةَ وَصِيَامِهِ فَقَالَ لاَ هَكَذَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَشَكَّ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى فِي نَكْتَفِي أَوْ تَكْتَفِي ‏.‏


Kuraib reported that Umm Fadl, daughter of Harith, sent him (Fadl, i.e. her son) to Mu'awiya in Syria. I (Fadl) arrived in Syria, and did the needful for her. It was there in Syria that the month of Ramadan commenced. I saw the new moon (of Ramadan) on Friday. I then came back to Medina at the end of the month. Abdullah b. 'Abbas (Allah be pleased with him) asked me (about the new moon of Ramadan) and said: When did you see it? I said: We saw it on the night of Friday. He said: (Did) you see it yourself? I said: Yes, and the people also saw it and they fasted and Mu'awiya also fasted, whereupon he said: But we saw it on Saturday night. So we will continue to fast till we complete thirty (fasts) or we see it (the new moon of Shawwal). I said: Is the sighting of the moon by Mu'awiya not valid for you? He said: No; this is how the Messenger of Allah (ﷺ) has commanded us. Yahya b. Yahya was in doubt (whether the word used in the narration by Kuraib) was Naktafi or Taktafi.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪১. কুরবানীর দিন জামরাতুল আকাবায় পাথর নিক্ষেপ শুরু করার পূর্ব পর্যন্ত হজ্জ পালনকারীর তালবিয়া পাঠ করা মুস্তাহাব

২৯৫৭। ইয়াহইয়া ইবনু আয়্যুব, কুতায়বা ইবনু সাঈদ, ইবনু হুজর ও ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... কুরায়ব (রহঃ) ইবন আব্বাস (রাঃ) থেকে এবং তিনি উসামা ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আরাফাতের ময়দান থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পেছনে তাঁর বাহনে আরোহণ করলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুযদালিফার নিকটবর্তী পাহাড়ের বামপাশে পৌঁছে উটকে হাঁটু গেড়ে বসালেন, এরপর (নেমে গিয়ে) পেশাব করলেন এবং ফিরে এলেন। আমি তাকে উযুর পানি ঢেলে দিলাম এবং তিনি সংক্ষেপে (অল্প পানি ব্যবহার করে) উযু সেরে নিলেন। এরপর আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সালাতের সময় হয়েছে। বললেনঃ আরও সামনে গিয়ে সালাত আদায় করব। অতএব রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহনে আরোহণ করলেন এবং মুযদালিফায় পৌঁছে সালাত আদায় করলেন। এরপর সকালবেলা ফযল (রাঃ) কে তাঁর (বাহনে) পেছন দিকে বসিয়ে রওনা হলেন। কুরায়ব বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) ফযলের সুত্রে আমাকে অবহিত করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামরায় না পৌঁছা পর্যন্ত অনবরত তালবিয়া পাঠ করছিলেন।

باب اسْتِحْبَابِ إِدَامَةِ الْحَاجِّ التَّلْبِيَةَ حَتَّى يَشْرَعَ فِي رَمْىِ جَمْرَةِ الْعَقَبَةِ يَوْمَ النَّحْرِ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، ح. وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، - وَاللَّفْظُ لَهُ - قَالَ أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ، أَبِي حَرْمَلَةَ عَنْ كُرَيْبٍ، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، قَالَ رَدِفْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ عَرَفَاتٍ فَلَمَّا بَلَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الشِّعْبَ الأَيْسَرَ الَّذِي دُونَ الْمُزْدَلِفَةِ أَنَاخَ فَبَالَ ثُمَّ جَاءَ فَصَبَبْتُ عَلَيْهِ الْوَضُوءَ فَتَوَضَّأَ وُضُوءًا خَفِيفًا ثُمَّ قُلْتُ الصَّلاَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ الصَّلاَةُ أَمَامَكَ ‏"‏ ‏.‏ فَرَكِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَتَى الْمُزْدَلِفَةَ فَصَلَّى ثُمَّ رَدِفَ الْفَضْلُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَدَاةَ جَمْعٍ. قَالَ كُرَيْبٌ فَأَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ، عَنِ الْفَضْلِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى بَلَغَ الْجَمْرَةَ ‏.‏


Usama b. Zaid (Allah be pleased with him) reported: I was sitting behind Allah's Messenger (ﷺ) on the riding animal from 'Arafat. As Allah's Messenger (ﷺ) reached the left side of the mountain which was situated near Muzdalifa, he made the camel kneel down and made water and then came back. I poured water and he, performed light ablution. I then said: Messenger of Allah, it is time for prayer. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: The prayer awaits you (at the next station, Muzdalifa). Allah's Messenger (may peaced be upon him) rode on until he came to Muzdalifa and observed prayer. Then al-Fadl (Allah be pleased with him) sat behind Allah's Messenger (ﷺ) and reached (Muzdalifa) in the morning. Kuraib said: 'Abdullah b. 'Abbas (Allah be pleased with them) narrated from al-Fadl (Allah be pleased with him) that Allah's Messenger (ﷺ) continued pronouncing Talbiya until he reached al-Jamara (al-'Aqaba).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. আরাফাত থেকে মুযদালিফায় প্রত্যাবর্তন এবং মুযদালিফায় এই রাতের মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করা মুস্তাহাব

২৯৭২। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) ... কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। উসামা ইবনু যায়দ (রাঃ) কে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে তাঁর বাহনে আরোহণ করলেন, তখন আরাফাত দিবসের সন্ধ্যায় আপনারা কি করেছিলেন? তিনি বললেন, যে উপত্যকায় লোকেরা মাগরিবের সময় নিজের উটকে (বিশ্রামের জন্য) বসায়, সেখানে এলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর উষ্ট্রী বসালেন এবং পেশাব করলেন। উসামা (রাঃ) বলেননি যে, পানি গড়িয়েছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উযূর পানি চেয়ে আলালেন এবং হালকাভাবে উযু করলেন।

আমি বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি সালাত আদায় করবেন? তিনি বললেন, সালাত তোমার সম্মুখে। এরপর তিনি সওয়ার হয়ে রওনা করলেন। অবশেষে আমরা মুযদালিফায় আসলাম। তিনি মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। লোকেরা নিজ নিজ স্থানে উট বসাল কিন্তু মাল-সামান খুলল না, এমনকি ইশার সালাতে দাঁড়ালেন এবং সালাত আদায় করলেন। এরপর লোকেরা মাল-সামান নামাল। আমি (কুরায়ব) বললাম, ভোর হওয়ার পর আপনারা কি করলেন? তিনি (উসামা) বললেন, ফযল ইবনু আব্বাস (রাঃ) তার বাহনে (তার পেছনে) সওয়ার হলেন এবং আমি পদব্রজেকুরায়শদের অগ্রগামীদের সাথে চললাম।

باب الإِفَاضَةِ مِنْ عَرَفَاتٍ إِلَى الْمُزْدَلِفَةِ وَاسْتِحْبَابِ صَلاَتَىِ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ جَمْعًا بِالْمُزْدَلِفَةِ فِي هَذِهِ اللَّيْلَةِ

وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ أَبُو خَيْثَمَةَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عُقْبَةَ، أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، أَنَّهُ سَأَلَ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ كَيْفَ صَنَعْتُمْ حِينَ رَدِفْتَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَشِيَّةَ عَرَفَةَ فَقَالَ جِئْنَا الشِّعْبَ الَّذِي يُنِيخُ النَّاسُ فِيهِ لِلْمَغْرِبِ فَأَنَاخَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَاقَتَهُ وَبَالَ - وَمَا قَالَ أَهَرَاقَ الْمَاءَ - ثُمَّ دَعَا بِالْوَضُوءِ فَتَوَضَّأَ وُضُوءًا لَيْسَ بِالْبَالِغِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ الصَّلاَةَ ‏.‏ فَقَالَ ‏ "‏ الصَّلاَةُ أَمَامَكَ ‏"‏ ‏.‏ فَرَكِبَ حَتَّى جِئْنَا الْمُزْدَلِفَةَ فَأَقَامَ الْمَغْرِبَ ثُمَّ أَنَاخَ النَّاسُ فِي مَنَازِلِهِمْ وَلَمْ يَحُلُّوا حَتَّى أَقَامَ الْعِشَاءَ الآخِرَةَ فَصَلَّى ثُمَّ حَلُّوا قُلْتُ فَكَيْفَ فَعَلْتُمْ حِينَ أَصْبَحْتُمْ قَالَ رَدِفَهُ الْفَضْلُ بْنُ عَبَّاسٍ وَانْطَلَقْتُ أَنَا فِي سُبَّاقِ قُرَيْشٍ عَلَى رِجْلَىَّ ‏.‏


Kuraib reported that he asked Usama b. Zaid (Allah be pleased with him) What did you do in the evening of 'Arafa as you rode behind Allah's Messenger (ﷺ)? He said: We came to a valley where people generally halted their (camels) for the sunset prayer. Allah's Messenger (ﷺ) halted his camel and urinated (and he did not say that he had poured water). He then called for water and performed light ablution. I said: Messenger of Allah, the prayer! Thereupon he said: Prayer awaits you (at Muzdalifa). and he rode on until we came to Muzdalifa. Then he offered the sunset prayer. and the people halted their camels at their places, and did not untie them until Iqama was pronounced for the 'Isha' prayer and he observed the prayer, and then they untied (their camels). I said: What did you do in the morning? He said: Al-Fadl b. Abbas (Allah be pleased with them) sat behind him (the Holy Prophet) in the morning, whereas I proceeded on foot with the Quraish who had gone ahead.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৮. নাবালকের হজ্জ করা জায়েয এবং যে ব্যক্তি তাকে নিয়ে হজ্জ করে, তার সাওয়াব

৩১২৫। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ... কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। এক মহিলা তার শিশুকে তুলে ধরে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এর হাজ্জ (হজ্জ) হবে কি? তিনি বললেন, হ্যাঁ এবং তোমার জন্য আছে সাওয়াব হবে।

باب صِحَّةِ حَجِّ الصَّبِيِّ وَأَجْرِ مَنْ حَجَّ بِهِ ‏‏

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ كُرَيْبٍ، أَنَّ امْرَأَةً، رَفَعَتْ صَبِيًّا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلِهَذَا حَجٌّ قَالَ ‏ "‏ نَعَمْ وَلَكِ أَجْرٌ ‏"‏ ‏.‏


Karaib reported: A woman lifted a child and said: Messenger of Allah, would he be credited with Hajj? He said: Yes. and for you there would be a reward.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯৮. অপবিত্রতার গোসল সম্পর্কে।

২৪৫. মুসাদ্দাদ .... কুরায়েব হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) তাঁর খালা মায়মুনা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য গোসলের পানি রাখলাম। তা দিয়ে তিনি অপবিত্রতার গোসল করেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদনা নিজের ডান হাতের উপর কাৎ করে তা দুই বা তিনবার ধৌত করেন। অতঃপর তিনি তাঁর লজ্জাস্থানের উপর পানি ঢেলে বাম হাত দিয়ে ধৌত করেন। পরে তিনি মাটির উপর হাত ঘষে (দুর্গন্ধমুক্ত হওয়ার জন্য) তা পানি দিয়ে ধৌত করেন। অতঃপর তিনি কুলি করেন এবং নাক পরিষ্কার করেন। অতঃপর মুখমণ্ডল ও দুই হাত ধৌত করেন। অতঃপর তিনি স্বীয় মাথা ও সর্বাংগে পানি ঢালেন। পরে তিনি উক্ত স্থান হতে অল্প দূরে সরে গিয়ে উভয় পা ধৌত করেন। তখন আমি তাঁর দিকে রুমাল এগিয়ে দেই। কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি বরং নিজের হাত দিয়ে শরীর হতে পানি ঝারাতে থাকেন। রাবী বলেন, অতঃপর আমি এ সম্পর্কে ইব্রাহীমকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সাহাবায়ে কিরামগণ রুমাল ব্যবহার করা অপছন্দ করতেন না, বরং তাঁরা এটাকে (রুমাল ব্যবহার) অভ্যাসে পরিণত করা খারাপ মনে করতেন। (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ)।

باب الْغُسْلِ مِنَ الْجَنَابَةِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدُ بْنُ مُسَرْهَدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَالِمٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ عَبَّاسٍ، عَنْ خَالَتِهِ، مَيْمُونَةَ قَالَتْ وَضَعْتُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم غُسْلاً يَغْتَسِلُ بِهِ مِنَ الْجَنَابَةِ فَأَكْفَأَ الإِنَاءَ عَلَى يَدِهِ الْيُمْنَى فَغَسَلَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا ثُمَّ صَبَّ عَلَى فَرْجِهِ فَغَسَلَ فَرْجَهُ بِشِمَالِهِ ثُمَّ ضَرَبَ بِيَدِهِ الأَرْضَ فَغَسَلَهَا ثُمَّ تَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ وَغَسَلَ وَجْهَهُ وَيَدَيْهِ ثُمَّ صَبَّ عَلَى رَأْسِهِ وَجَسَدِهِ ثُمَّ تَنَحَّى نَاحِيَةً فَغَسَلَ رِجْلَيْهِ فَنَاوَلْتُهُ الْمِنْدِيلَ فَلَمْ يَأْخُذْهُ وَجَعَلَ يَنْفُضُ الْمَاءَ عَنْ جَسَدِهِ ‏.‏ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لإِبْرَاهِيمَ فَقَالَ كَانُوا لاَ يَرَوْنَ بِالْمِنْدِيلِ بَأْسًا وَلَكِنْ كَانُوا يَكْرَهُونَ الْعَادَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ قَالَ مُسَدَّدٌ فَقُلْتُ لِعَبْدِ اللَّهِ بْنِ دَاوُدَ كَانُوا يَكْرَهُونَهُ لِلْعَادَةِ فَقَالَ هَكَذَا هُوَ وَلَكِنْ وَجَدْتُهُ فِي كِتَابِي هَكَذَا ‏.‏

حكم : صحيح (الألباني


Maimunah reported: I placed (the vessel of) water for the Prophet (May peace be upon him) to wash himself because of sexual intercourse. He lowered down the vessel and poured water on his right hand. He then washed it twice or thrice. He then poured water over his private parts and washed them with his left hand. Then he put it on the ground and wiped it. He then rinsed his mouth and snuffed up water, and washed his face and hands. He then poured water over his head and body. Then he moved aside and washed his feet. I handed him a garment, but he began to shake he moved aside and washed his feet. I handed him a garment, but he began to shake off water from his body. I mentioned it to Ibrahim. He said that they (companions) did not think there was any harm in using the garment (to wipe the water), but they disliked its use as a habit. Abu Dawud said: Musaddad said: I asked ‘Abd Allah b. Dawud whether they (the companions) disliked to make it a habit. He replied: it (the tradition) goes in a similar way and I found it in a similar way in this book of mine. Grade : Sahih (Al-Albani)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯৪. খোঁপা বাঁধা অবস্থায় পুরুষের নামায পড়া সম্পর্কে।

৬৪৭. মুহাম্মাদ ইবনু সালামা ..... কুবায়েব হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনু আব্বাস (রাঃ) আবদুল্লাহ ইবনুল হারিছকে মাথার পেছনে চুল বাঁধা অবস্থায় নামায পড়তে দেখেন। তিনি (ইবনু আব্বাস) তাঁর পেছনে দাঁড়িয়ে তাঁর চুলের বাধন খুলতে থাকেন এবং তিনি নিশ্চুপ থাকেন। নামাযান্তে তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর সামনে এসে বলেন, আপনি আমার মাথার সাথে এরূপ আচরণ কেন করলেন? তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি এভাবে পশ্চাতে চুল বেঁধে নামায আদায় করা পশ্চাত দিকে হাত বাঁধা অবস্থায় নামায পড়ার অনুরূপ। (নাসাঈ)।

باب الرَّجُلِ يُصَلِّي عَاقِصًا شَعْرَهُ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، أَنَّ بُكَيْرًا، حَدَّثَهُ أَنَّ كُرَيْبًا مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ رَأَى عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الْحَارِثِ يُصَلِّي وَرَأْسُهُ مَعْقُوصٌ مِنْ وَرَائِهِ فَقَامَ وَرَاءَهُ فَجَعَلَ يَحُلُّهُ وَأَقَرَّ لَهُ الآخَرُ فَلَمَّا انْصَرَفَ أَقْبَلَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ مَا لَكَ وَرَأْسِي قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ إِنَّمَا مَثَلُ هَذَا مَثَلُ الَّذِي يُصَلِّي وَهُوَ مَكْتُوفٌ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Abdullah ibn Abbas: Kurayb the freed slave of Ibn Abbas reported: Abdullah ibn Abbas saw Abdullah ibn al-Harith praying having the back knot of the hair. He stood behind him and began to untie it. He remained standing unmoved (stationary). When he finished his prayer he came to Ibn Abbas and said to him: What were you doing with my head? He said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: A man who prays with the black knot of hair tied is the one praying pinioned.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০২. যদি কোন শহরে অন্যান্য শহরের এক রাত পূর্বে চাঁদ দেখা যায়।

২৩২৬. মূসা ই্ন ইসমাঈল ..... কুরায়ব হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উম্মে ফাযল বিনত আল হারিস তাঁকে মু’আবিয়ার নিকট শাম (সিরিয়া) দেশে প্রেরণ করেন। তিনি বলেন, আমি সিরিয়া পৌঁছে, তার প্রয়োজন পূর্ণ করি। আমি সিরিয়া থাকাবস্থায় রামাযানের চাঁদ ওঠে এবং আমরা উহা জুমু’আর রাত্রিতে অবলোকন করি। এরপর আমি রামাযানের শেষর দিকে মদীনায় প্রত্যাবর্তন করি। ইবন আব্বাস (রাঃ) আমাকে সফর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন এবং বিশেষ করে চাঁদ দেখা সম্পর্কে বলেন, তোমরা রামাযানের চাঁদ কখন দেখেছিলে? আমি বলি, আমি তা জুমু’আর রাতে দেখেছি। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেন, তুমি নিজেও কি তা দেখেছিলে? আমি বলি, হ্যাঁ এবং অন্যান্য লোকেরাও দেখে এবং তারা রোয়া রাখে, এমনকি মু’আবিয়াও রোযা রাখেন। তিনি বলেন, আমরা তো তা শনিবারে দেখেছি। কাজেই আমরা ত্রিশ পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত রোযা রাখব অথবা শাওয়ালের চাঁদ না দেখা পর্যন্ত রোযা রেখে যাবো। আমি জিজ্ঞসা করি, মু’আবিয়ার দর্শন ও রোযা রাখা কি এ ব্যাপরে যথেষ্ট নয়? তিনি বলেন, না। আমাদেরকে রাসৃলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

باب إِذَا رُؤِيَ الْهِلاَلُ فِي بَلَدٍ قَبْلَ الآخَرِينَ بِلَيْلَةٍ

حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ - أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ، أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، أَنَّ أُمَّ الْفَضْلِ ابْنَةَ الْحَارِثِ، بَعَثَتْهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ قَالَ فَقَدِمْتُ الشَّامَ فَقَضَيْتُ حَاجَتَهَا فَاسْتُهِلَّ رَمَضَانُ وَأَنَا بِالشَّامِ فَرَأَيْنَا الْهِلاَلَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فِي آخِرِ الشَّهْرِ فَسَأَلَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ ثُمَّ ذَكَرَ الْهِلاَلَ فَقَالَ مَتَى رَأَيْتُمُ الْهِلاَلَ قُلْتُ رَأَيْتُهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ‏.‏ قَالَ أَنْتَ رَأَيْتَهُ قُلْتُ نَعَمْ وَرَآهُ النَّاسُ وَصَامُوا وَصَامَ مُعَاوِيَةُ ‏.‏ قَالَ لَكِنَّا رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ السَّبْتِ فَلاَ نَزَالُ نَصُومُهُ حَتَّى نُكْمِلَ الثَّلاَثِينَ أَوْ نَرَاهُ ‏.‏ فَقُلْتُ أَفَلاَ تَكْتَفِي بِرُؤْيَةِ مُعَاوِيَةَ وَصِيَامِهِ قَالَ لاَ هَكَذَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Narrated Kuraib: That Umm al-Fadl, daughter of al-Harith, sent him to Mu'aqiyah in Syria. He said: I came to syria and performed her work. The moon of Ramadan appeared while I was in Syria. We sighted the moon on the night of Friday. When I came to Median towards the end of the month (of Ramadan), Ibn 'Abbas asked me about the moon. He said: When did you sight the moon ? I said: I sighted it on the night of Friday. He asked: Did you sight it yourself ? I said: Yes, and the people sighted it. They fasted and Mu'awiyah also fasted. He said: But we sighted it on the night of saturday. Since then we have been fasting until we complete thirty days or we sight it. Then I said: Are the sighting of the moon by Mu'awiyah and his fasts not sufficient for us? He replied: No. The Messenger of Allah (ﷺ) commanded us to do so.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪১/ নামায শুরু করার সম্পর্কে মুয়াজ্জিন কর্তৃক ইমামকে জানানো।

৬৮৭। মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু আবূল হাকাম (রহঃ) ... কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)-এর নিকট রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে কিভাবে সালাত আদায় করতেন সে বিষয়ে প্রশ্ন করি। তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে বিতরসহ এগার রাক’আত সালাত আদায় করতেন। তারপর ঘুমাতেন। একদা তাঁর নিদ্রা গভীর হলো এবং তাঁর নাকের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। এমন সময় বিলাল (রাঃ) তাঁর নিকট আসলেন এবং বললেনঃ (আসসালাতূ ইয়া রাসুলাল্লাহ) ইয়া রাসুলাল্লাহ! সালাত। তিনি উঠলেন এবং দুই রাক’আত সালাত আদায় করলেন। তারপর লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। (তবে) তিনি উযূ করেননি।

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الْحَكَمِ، عَنْ شُعَيْبٍ، عَنِ اللَّيْثِ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنِ ابْنِ أَبِي هِلاَلٍ، عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ، أَنَّ كُرَيْبًا، مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَخْبَرَهُ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ قُلْتُ كَيْفَ كَانَتْ صَلاَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِاللَّيْلِ فَوَصَفَ أَنَّهُ صَلَّى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً بِالْوِتْرِ ثُمَّ نَامَ حَتَّى اسْتَثْقَلَ فَرَأَيْتُهُ يَنْفُخُ وَأَتَاهُ بِلاَلٌ فَقَالَ الصَّلاَةُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ وَصَلَّى بِالنَّاسِ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ ‏.‏


It was narrated from Makhramah bin Sulaiman that Kuraib - the freed slave of Ibn 'Abbas - told him: "I asked Ibn 'Abbas: 'How did the Messenger of Allah (ﷺ) pray at night?' He said: 'He prayed eleven Rak'ahs including Witr, then he slept deeply until I could hear him snoring, then Bilal came to him and said: "The prayer, O Messenger of Allah!" Then he got up and prayed two brief Rak'ahs then led the people in prayer, and hedid not perform Wudu'.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯/ নিদ্রা থেকে জাগ্রত হওয়ার পর যিক্‌র

১৬২৩। মুহাম্মাদ ইবনু সালামা (রহঃ) ... কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি একবার উম্মুল মু’মিনীন মায়মুনা (রাঃ) এর সাথে রাত্রি যাপন করেন। (তিনি সম্পর্কে তার খালা ছিলেন) তিনি শুইলেন বালিশের প্রস্থে আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার পরিবার শুইলেন বালিশের দৈর্ঘে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুয়ে পড়লেন। যখন অর্ধরাত্রি অতিবাহিত হয়ে গেল তার পূর্বে বা পরে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জাগ্রত হলেন এবং হাত দ্বারা মুখমণ্ডল থেকে নিদ্রার লক্ষণ দুরীভূত করতে লাগলেন। তারপর সূরা আলে ইমরান এর শেষ দশটি আয়াত তিলাওয়াত করলেন। এরপর একটি লটকালো মশকের কাছে গেলেন এবং তার (পানি) দ্বারা উত্তমরূপে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন এবং দাঁড়িয়ে (তাহাজ্জ্বুদের) সালাত আদায় করলেন।

আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, আমিও দাঁড়িয়ে তার মত করলাম এবং গিয়ে তার পাশে দাঁড়ালাম। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার ডান হাত আমার মাথার উপর রাখলেন এবং (ঠিকমত না দাঁড়ানোর জন্য) আমার ডান কান ধরে মলতে লাগলেন। তারপর তিনি দু’রাকআত সালাত আদায় করলেন। পুনরায় দু’রাকআত, আবার দু’রাকআত, তারপরও দু’রাকআত, আবারও দু’রাকআত, পুনরায় দু’রাকআত সালাত আদায় করে তারপর শুয়ে পড়লেন। পরে মুয়াযযিন তার কাছে আসলে সংক্ষিপ্তভাবে দু’রাকআত ফজরের সুন্নাত আদায় করলেন।

باب ذِكْرِ مَا يُسْتَفْتَحُ بِهِ الْقِيَامُ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ، عَنْ مَالِكٍ، قَالَ حَدَّثَنِي مَخْرَمَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ كُرَيْبٍ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبَّاسٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، بَاتَ عِنْدَ مَيْمُونَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ - وَهِيَ خَالَتُهُ - فَاضْطَجَعَ فِي عَرْضِ الْوِسَادَةِ وَاضْطَجَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَهْلُهُ فِي طُولِهَا فَنَامَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ اللَّيْلُ أَوْ قَبْلَهُ قَلِيلاً أَوْ بَعْدَهُ قَلِيلاً اسْتَيْقَظَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَلَسَ يَمْسَحُ النَّوْمَ عَنْ وَجْهِهِ بِيَدِهِ ثُمَّ قَرَأَ الْعَشْرَ الآيَاتِ الْخَوَاتِيمَ مِنْ سُورَةِ آلِ عِمْرَانَ ثُمَّ قَامَ إِلَى شَنٍّ مُعَلَّقَةٍ فَتَوَضَّأَ مِنْهَا فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ قَامَ يُصَلِّي قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ فَقُمْتُ فَصَنَعْتُ مِثْلَ مَا صَنَعَ ثُمَّ ذَهَبْتُ فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ فَوَضَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رَأْسِي وَأَخَذَ بِأُذُنِي الْيُمْنَى يَفْتِلُهَا فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَوْتَرَ ثُمَّ اضْطَجَعَ حَتَّى جَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ ‏.‏


It was narrated from Kuraib that 'Abdullah bin 'Abbas told him: He slept at the house of Maimunah the wife of the Prophet (ﷺ), who was his maternal aunt. He said: "I laid down across the mattress an the Messenger of Allah (ﷺ) and his wife lay along it. The Prophet (ﷺ) slept until midnight, or a little before or a little after. The Prophet (ﷺ) woke up and began to rub the sleep from his face with his hand. Then he recited the last ten verses of Surah Al Imran. Then he got up and went to a water skin that was hanging up and performed wudu from it, and he performed wudu well, then he stood up and prayed." Abdullah bin 'Abbas said: "I stood up and did what he had done, then I went and stood beside him. The Messenger of Allah (ﷺ) put his right hand on my neck, and took old of my right hand and tweaked it. Then he prayed two rak'ahs, then two rak'ahs, then two rak'ahs, then two rak'ahs, then two rak'ahs, then two rak'ahs, then he prayed witr.Then he lay down until the Mu'adhdhin came to him and he prayed two brief rak'ahs."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭/ বিভিন্ন দেশে চাঁদ দেখার বিভিন্নতা

২১১৫। আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা উম্মে ফাযল (রাঃ) তাঁকে মুআবিয়া (রা)-এর কাছে সিরিয়ায় পাঠিয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, আমি সিরিয়ায় গিয়ে তাঁর প্রয়োজন সমাধা করলাম এবং সিরিয়ায় অবস্থান করলে জুমু’আর রাত্রে রমযান এর চাঁদ দর্শন করলাম। অতঃপর আমি মাসের শেষের দিকে মদীনায় ফিরে এলাম। আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেন। অতঃপর চন্দ্রের কথা উল্লেখ করে আমাকে বললেন, তোমরা চাঁদ কখন দেখেছিলে? আমি বললাম, আমরা তো চাঁদ জুমু’আর রাত্রে দেখেছিলাম। তিনি আবারো প্রশ্ন করলেন যে, তুমি কি চাঁদ জুমুআর রাত্রে নিজে দেখেছিলে?

আমি বললাম, হ্যাঁ, অন্যন্য লোকেরাও দেখেছে এবং তারাও সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (সিয়াম/রোজা/রোযা) পালন করেছেন। তিনি বললেন, অথচ আমরা তো চাঁদ শনিবার রাত্রে দেখেছি। আমরা সাওম পালন করতেই-থাকব, ত্রিশ সাওম পূরা করা পর্যন্ত অথবা চাঁদ দেখা পর্যন্ত। আমি বললাম, আপনি কি মুআবিয়া অথবা তার সাথীদের দেখা যথেষ্ট মনে করেন না? তিনি বললেন, না, বরং আমাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপই নির্দেশ দিয়েছেন।

باب اخْتِلاَفِ أَهْلِ الآفَاقِ فِي الرُّؤْيَةِ ‏‏

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ - قَالَ أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، أَنَّ أُمَّ الْفَضْلِ، بَعَثَتْهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ - قَالَ - فَقَدِمْتُ الشَّامَ فَقَضَيْتُ حَاجَتَهَا وَاسْتَهَلَّ عَلَىَّ هِلاَلُ رَمَضَانَ وَأَنَا بِالشَّامِ فَرَأَيْتُ الْهِلاَلَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فِي آخِرِ الشَّهْرِ فَسَأَلَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ ثُمَّ ذَكَرَ الْهِلاَلَ فَقَالَ مَتَى رَأَيْتُمْ فَقُلْتُ رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ‏.‏ قَالَ أَنْتَ رَأَيْتَهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ قُلْتُ نَعَمْ وَرَآهُ النَّاسُ فَصَامُوا وَصَامَ مُعَاوِيَةُ ‏.‏ قَالَ لَكِنْ رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ السَّبْتِ فَلاَ نَزَالُ نَصُومُ حَتَّى نُكْمِلَ ثَلاَثِينَ يَوْمًا أَوْ نَرَاهُ ‏.‏ فَقُلْتُ أَوَلاَ تَكْتَفِي بِرُؤْيَةِ مُعَاوِيَةَ وَأَصْحَابِهِ قَالَ لاَ هَكَذَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Kuraib narrated that Umm Al-Fadl sent him to Muawiyah in Ash-Sham. He said: "I came to Ash-Sham. He said: "I came to Ash-Sham and complete her errand. Then the new crescent of Ramadan was sighted while I was in Ash-Sham. I saw the new crescent on the night of Friday, then I came to Al-Madinah at the end of the month. 'Abdullah bin 'Abbas asked me about the sighting of the moon and said: ' When did you see it?' I said: 'We saw it on the night of Friday.' He said; 'You saw it on the ninth of Friday?' I said: 'Yes, and the people saw it and started fasting, and so did Muawiyah. He said: 'But we saw it on the night of Saturday, so we will continue fasting until we have completed thirty days or we see it.' I said: 'Will you not be content with the sighting of Muawiyah and his companions? He said; 'No; this is what the Messenger of Allah enjoined upon us."'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০৭. মুযদালিফায় দুই সালাত একত্রে আদায় করা

৩০৩৪. মুহাম্মদ ইবন হাতিম (রহঃ) ... কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উসামা ইবন যায়দকে প্রশ্ন করেছিলাম, যখন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পেছনে সওয়ার ছিলেন- আরাফার সন্ধ্যায়। আমি বললাম আপনারা কি করতেন? তিনি বললেনঃ আমরা সফর করতে করতে মুযদালিফায় পৌঁছলাম, তথায় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উট বসিয়ে অবতরণ করলেন এবং মাগরিবের সালাত আদায় করলেন। এরপর দলের লোকদের কাছে লোক পাঠিয়ে সংবাদ দেয়া হলো। তারাও তাদের উট বসিয়ে দিলেন তাদের মনযিলে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইশার সালাত আদায় করার পূর্বে তারা আসবাবপত্র নামালেন না। তারপর তাঁরা আসবাবপত্র নামালেন এবং মনযিলে অবতরণ করলেন। ভোরে আমি পায়ে হেঁটে কুরায়শদের অগ্রবর্তী দলের সঙ্গে রওয়ানা হলাম। তখন ফল (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পেছনে একই বাহনে সওয়ার ছিলেন।

الْجَمْعُ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ بِالْمُزْدَلِفَةِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ قَالَ أَنْبَأَنَا حِبَّانُ قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ أَنَّ كُرَيْبًا قَالَ سَأَلْتُ أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ وَكَانَ رِدْفَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَشِيَّةَ عَرَفَةَ فَقُلْتُ كَيْفَ فَعَلْتُمْ قَالَ أَقْبَلْنَا نَسِيرُ حَتَّى بَلَغْنَا الْمُزْدَلِفَةَ فَأَنَاخَ فَصَلَّى الْمَغْرِبَ ثُمَّ بَعَثَ إِلَى الْقَوْمِ فَأَنَاخُوا فِي مَنَازِلِهِمْ فَلَمْ يَحُلُّوا حَتَّى صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْعِشَاءَ الْآخِرَةَ ثُمَّ حَلَّ النَّاسُ فَنَزَلُوا فَلَمَّا أَصْبَحْنَا انْطَلَقْتُ عَلَى رِجْلَيَّ فِي سُبَّاقِ قُرَيْشٍ وَرَدِفَهُ الْفَضْلُ


It was narrated from Ibrahim bin Uqbah that Kuraib said: "I asked usamah bin Zaid, who rode behind the Messenger of Allah one the evening of Arafat. I said: "What did you do?' He said: 'We started traveling until we reached Al-Muzadalifah, then he stopped and prayed Maghrib. Then he sent word to the people to stay in their camps, and they did not unload their camels until the Messenger of Allah had prayed the later Isah. Then the people unloaded their camels and made camp. When morning came I set out on foot amonth those of the Quraish who got there first, and Al-Fadl rode behind the Prophet.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬/১৯. একদল মুসলিম যার জানাযার সালাত পড়লো।

২/১৪৮৯। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-এর মুক্তদাস কুরাইব (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ)-এর এক ছেলে মারা গেলে তিনি আমাকে বলেনঃ হে কুরাইব! উঠে গিয়ে দেখো তো, আমার ছেলের জানাযায় কেউ এসেছে কিনা? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বলেন, তোমার অমঙ্গল হোক, তুমি তাদের কতজনকে দেখলে, চল্লিশজন? আমি বললাম, না, বরং তারা আরো অধিক। তিনি বলেন, তোমরা আমার ছেলের লাশ নিয়ে বের হও। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ অন্তত চল্লিশজন মু’মিন অপর মু’মিন ব্যক্তির সুপারিশ করলে, আল্লাহ্ তাদের সুপারিশ কবুল করেন।

بَاب مَا جَاءَ فِيمَنْ صَلَّى عَلَيْهِ جَمَاعَةٌ مِنْ الْمُسْلِمِينَ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ سُلَيْمٍ حَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ زِيَادٍ الْخَرَّاطُ حَدَّثَنَا شَرِيكٌ عَنْ كُرَيْبٍ مَوْلَى عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ هَلَكَ ابْنٌ لِعَبْدِ اللهِ بْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ لِي يَا كُرَيْبُ قُمْ فَانْظُرْ هَلْ اجْتَمَعَ لِابْنِي أَحَدٌ فَقُلْتُ نَعَمْ فَقَالَ وَيْحَكَ كَمْ تَرَاهُمْ أَرْبَعِينَ قُلْتُ لَا بَلْ هُمْ أَكْثَرُ قَالَ فَاخْرُجُوا بِابْنِي فَأَشْهَدُ لَسَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ «مَا مِنْ أَرْبَعِينَ مِنْ مُؤْمِنٍ يَشْفَعُونَ لِمُؤْمِنٍ إِلَّا شَفَّعَهُمْ اللهُ».


It was narrated that Kuraib the freed slave of ‘Abdullah bin ‘Abbas said: “A son of ‘Abdullah bin ‘Abbas died, and he said to me: ‘O Kuraib! Get up and see if anyone has assembled (to pray) for my son.’ I said: ‘Yes.’ He said: ‘Woe to you, how many do you see? Forty?’ I said: ‘No, rather there are more.’ He said: ‘Take my son out, for I bear witness that I hear the Messenger of Allah (ﷺ) say: “No (group of) forty believers intercede for a believer, but Allah will accept their intercession.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ রামাযানের সিয়াম- এর প্রতি উৎসাহিত করা এবং এর ফযীলত।

৬৯১. আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ..... কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মুল ফাযল বিনত হারিস (রাঃ) তাকে মুআবিয়া (রাঃ) এর নিকট শামে (সিরিয়ায়) প্রেরণ করেছিলেন। কুরায়ব (রহঃ) বলেন, আমি সিরিয়ায় পৌছে উম্মুল ফাযলের কাজ সমাধা করলাম। সিরিয়ায় থাকতে থাকতেই রামাযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমুআর রাতে আমরা চাঁদ দেখলাম। এরপর রামাযানের শেষের দিকে আমি মদীনায় এলাম। ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমাকে (কুশলাদি) জিজ্ঞাসা করার পর চাঁদ দেখা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বললেন, তোমরা কবে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, জুমআর রাতে আমরা চাঁদ দেখেছি। তিনি বললেন, তুমি নিজে জুমআর রাতে চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম লোকেরা দেখেছে এবং তারা নিজেরাও সিয়াম পালন (শুরু) করেছে, মুআবিয়া (রাঃ) ও সিয়াম পালন করেছেন। তিনি বললেন, কিন্তু আমরা তো তা শনিবার রাতে দেখেছি। সুতরাং আমরা সিয়াম করতে থাকব এবং ত্রিশ দিন পূরা হওয়া পর্যন্ত অথবা (এর পূর্বে) আমরা চাঁদ দেখতে পাই। আমি বললাম, না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এভাবে নির্দেশ দিয়েছেন। - সহিহ আবু দাউদ ১০২১, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬৯৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান সহীহ গরীব। আলিমগণের এ হাদিস অনুসারে আমল রয়েছে যে, প্রত্যেক শহরবাসীর জন্য তাদের চন্দ্র দর্শনই কার্যকর।

باب التَّرْغِيبِ فِي قِيَامِ رَمَضَانَ وَمَا جَاءَ فِيهِ مِنَ الْفَضْلِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ، أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، أَنَّ أُمَّ الْفَضْلِ بِنْتَ الْحَارِثِ، بَعَثَتْهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ ‏.‏ قَالَ فَقَدِمْتُ الشَّامَ فَقَضَيْتُ حَاجَتَهَا وَاسْتُهِلَّ عَلَىَّ هِلاَلُ رَمَضَانَ وَأَنَا بِالشَّامِ فَرَأَيْنَا الْهِلاَلَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فِي آخِرِ الشَّهْرِ فَسَأَلَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ ثُمَّ ذَكَرَ الْهِلاَلَ فَقَالَ مَتَى رَأَيْتُمُ الْهِلاَلَ فَقُلْتُ رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ‏.‏ فَقَالَ أَأَنْتَ رَأَيْتَهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ فَقُلْتُ رَآهُ النَّاسُ وَصَامُوا وَصَامَ مُعَاوِيَةُ ‏.‏ قَالَ لَكِنْ رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ السَّبْتِ فَلاَ نَزَالُ نَصُومُ حَتَّى نُكْمِلَ ثَلاَثِينَ يَوْمًا أَوْ نَرَاهُ ‏.‏ فَقُلْتُ أَلاَ تَكْتَفِي بِرُؤْيَةِ مُعَاوِيَةَ وَصِيَامِهِ قَالَ لاَ هَكَذَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عَبَّاسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّ لِكُلِّ أَهْلِ بَلَدٍ رُؤْيَتَهُمْ ‏.‏


Muhammad bin Abi Harmalah narrated: "Kuraib informed me that Umm Al-Fadl bin Al-Harith sent him to Mu'awiyah in Ash-Sham. He said: 'So I arrived in Ash-Sham and finished her errand, and I saw the crescent of Ramadan while I was in Ash-Sham. We saw the crescent on the night of Friday. Then I arrived in Al-Madinah at the end of the month. Ibn Abbas was questioning me, then he mentioned the crescent and he said: "When did you see the crescent?" I said: "We saw it n the night of Friday." He said: "Did you see it on the night of Friday?" I said: "The people saw it, so they fasted, and Mu'awiyah fasted." He said: "But we saw it on the night of Saturday, so we will not stop fasting until we complete thirty days or we see it." So I said: "Is not the sighting and fasting of Mu'awiyah enough for you?" He said: "This is not how the Messenger of Allah ordered us."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২২/৮. সালাতে থাকা অবস্থায় কেউ তার সঙ্গে কথা বললে এবং তা শুনে যদি সে হাত দিয়ে ইশারা করে।

১২৩৩. কুরায়ব (রহ.) হতে বর্ণিত। ইবনু ‘আব্বাস, মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ এবং ‘আবদুর রহমান ইবনু আযহার (রাযি.) তাঁকে ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর নিকট পাঠালেন এবং বলে দিলেন, তাঁকে আমাদের সকলের তরফ হতে সালাম পৌঁছিয়ে আসরের পরের দু’রাক‘আত সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে। তাঁকে একথাও বলবে যে, আমরা খবর পেয়েছি যে, আপনি সে দু’রাক‘আত আদায় করেন, অথচ আমাদের নিকট পৌঁছেছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে দু’রাক‘আত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) সংবাদে আরও বললেন যে, আমি ‘উমার ইবনু খাত্তাব (রাযি.)-এর সাথে এ সালাতের কারণে লোকদের মারধোর করতাম। কুরায়ব (রহ.) বলেন, আমি ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর নিকট গিয়ে তাঁকে তাঁদের পয়গাম পৌঁছিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, উম্মু সালামাহ্ (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস কর। [কুরায়ব (রহ.) বলেন] আমি সেখান হতে বের হয়ে তাঁদের নিকট গেলাম এবং তাঁদেরকে ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর কথা জানালাম। তখন তাঁরা আমাকে ‘আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর নিকট যে বিষয় নিয়ে পাঠিয়েছিলেন, তা নিয়ে পুনরায় উম্মু সালামাহ (রাযি.)-এর নিকট পাঠালেন। উম্মু সালামাহ্ (রাযি.) বললেন, আমিও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে তা নিষেধ করতে শুনেছি। অথচ অতঃপর তাঁকে আসরের সালাতের পর তা আদায় করতেও দেখেছি। একদা তিনি ‘আসরের সালাতের পর আমার ঘরে আসলেন। তখন আমার নিকট বনূ হারাম গোত্রের আনসারী কয়েকজন মহিলা উপস্থিত ছিলেন। আমি বাঁদীকে এ বলে তাঁর নিকট পাঠালাম যে, তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে বলবে, উম্মে সালামাহ (রাযি.) আপনার নিকট জানতে চেয়েছেন, আপনাকে (‘আসরের পর সালাতের) দু’রাক‘আত নিষেধ করতে শুনেছি; অথচ দেখছি, আপনি তা আদায় করছেন? যদি তিনি হাত দিয়ে ইঙ্গিত করেন, তাহলে পিছনে সরে থাকবে, বাঁদী তা-ই করল। তিনি ইঙ্গিত করলেন, সে পিছনে সরে থাকল। সালাত শেষ করে তিনি বললেন, হে আবূ উমায়্যার কন্যা! ‘আসরের পরের দু’রাক‘আত সালাত সম্পর্কে তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করেছ। আবদুল কায়স গোত্রের কিছু লোক আমার নিকট এসেছিল। তাদের কারণে যুহরের পরের দু’রাকা‘আত আদায় করতে না পেরে (তাদেরকে নিয়ে) ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এ দু’রাক‘আত সে দু’রাক‘আত।* (৪৩৭০; মুসলিম ৬/৫৪, হাঃ ৭৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১১৬১)

بَاب إِذَا كُلِّمَ وَهُوَ يُصَلِّي فَأَشَارَ بِيَدِهِ وَاسْتَمَعَ

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ حَدَّثَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرٌو، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ كُرَيْبٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، وَعَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَزْهَرَ ـ رضى الله عنهم ـ أَرْسَلُوهُ إِلَى عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ فَقَالُوا اقْرَأْ عَلَيْهَا السَّلاَمَ مِنَّا جَمِيعًا وَسَلْهَا عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ صَلاَةِ الْعَصْرِ وَقُلْ لَهَا إِنَّا أُخْبِرْنَا أَنَّكِ تُصَلِّينَهُمَا وَقَدْ بَلَغَنَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْهَا‏.‏ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ وَكُنْتُ أَضْرِبُ النَّاسَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْهُمَا‏.‏ فَقَالَ كُرَيْبٌ فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ فَبَلَّغْتُهَا مَا أَرْسَلُونِي‏.‏ فَقَالَتْ سَلْ أُمَّ سَلَمَةَ‏.‏ فَخَرَجْتُ إِلَيْهِمْ فَأَخْبَرْتُهُمْ بِقَوْلِهَا فَرَدُّونِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِمِثْلِ مَا أَرْسَلُونِي بِهِ إِلَى عَائِشَةَ‏.‏ فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ ـ رضى الله عنها ـ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنْهَا ثُمَّ رَأَيْتُهُ يُصَلِّيهِمَا حِينَ صَلَّى الْعَصْرَ، ثُمَّ دَخَلَ عَلَىَّ وَعِنْدِي نِسْوَةٌ مِنْ بَنِي حَرَامٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ الْجَارِيَةَ فَقُلْتُ قُومِي بِجَنْبِهِ قُولِي لَهُ تَقُولُ لَكَ أُمُّ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ سَمِعْتُكَ تَنْهَى عَنْ هَاتَيْنِ وَأَرَاكَ تُصَلِّيهِمَا‏.‏ فَإِنْ أَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخِرِي عَنْهُ‏.‏ فَفَعَلَتِ الْجَارِيَةُ فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخَرَتْ عَنْهُ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَالَ ‏ "‏ يَا بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ سَأَلْتِ عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ وَإِنَّهُ أَتَانِي نَاسٌ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ فَشَغَلُونِي عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ فَهُمَا هَاتَانِ ‏"‏‏.‏


Narrated Kuraib: I was sent to Aisha by Ibn `Abbas, Al-Miswar bin Makhrama and `Abdur-Rahman bin Azhar . They told me to greet her on their behalf and to ask her about the offering of the two rak`at after the `Asr prayer and to say to her, "We were informed that you offer those two rak`at and we were told that the Prophet had forbidden offering them." Ibn `Abbas said, "I along with `Umar bin Al-Khattab used to beat the people whenever they offered them." I went to Aisha and told her that message. `Aisha said, "Go and ask Um Salama about them." So I returned and informed them about her statement. They then told me to go to Um Salama with the same question with which t sent me to `Aisha. Um Salama replied, "I heard the Prophet (ﷺ) forbidding them. Later I saw him offering them immediately after he prayed the `Asr prayer. He then entered my house at a time when some of the Ansari women from the tribe of Bani Haram were sitting with me, so I sent my slave girl to him having said to her, 'Stand beside him and tell him that Um Salama says to you, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I have heard you forbidding the offering of these (two rak`at after the `Asr prayer) but I have seen you offering them." If he waves his hand then wait for him.' The slave girl did that. The Prophet (ﷺ) beckoned her with his hand and she waited for him. When he had finished the prayer he said, "O daughter of Bani Umaiya! You have asked me about the two rak`at after the `Asr prayer. The people of the tribe of `Abdul-Qais came to me and made me busy and I could not offer the two rak`at after the Zuhr prayer. These (two rak`at that I have just prayed) are for those (missed) ones.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৫/৯৩. ‘আরাফা ও মুযদালিফার মধ্যবর্তী স্থানে অবতরণ করা।

১৬৭০. কুরাইব (রহ.) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) ফযল (রাঃ) হতে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জামরায় পৌঁছা পর্যন্ত তালবিয়া পাঠ করতে থাকেন। (১৫৪৪, মুসলিম ১৫/৪৫, হাঃ ১৬৮০, ১৬৮১, আহমাদ ২১৮০১) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৫৫৬  শেষাংশ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৫৬২ শেষাংশ)

بَاب النُّزُولِ بَيْنَ عَرَفَةَ وَجَمْعٍ

. قَالَ كُرَيْبٌ فَأَخْبَرَنِي عَبْدُ اللهِ بْنُ عَبَّاسٍ عَنْ الْفَضْلِ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَزَلْ يُلَبِّي حَتَّى بَلَغَ الْجَمْرَةَ


Kuraib, (a sub-narrator) said that `Abdullah bin `Abbas narrated from Al-Fadl, "Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) kept on reciting Talbiya (during the journey) till he reached the Jamra." (Jamrat-Al-`Aqaba)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৩/২০. ‘‘হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয় আমরা শুনেছি এক আহবানকারীকে ঈমান আনার জন্য আহবান করতেঃ ‘‘তোমরা ঈমান আন তোমাদের রবের প্রতি।’’ সুতরাং আমরা ঈমান এনেছি। (সূরাহ আলে ‘ইমরান ৩/১৯৩)

৪৫৭২. কুরায়ব (রহ.) হতে বর্ণিত। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) তাকে অবহিত করেছেন যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহধর্মিণী মাইমূনাহ (রাঃ)-এর নিকট রাত্রি যাপন করেছিলেন। মাইমূনাহ (রাঃ) হলেন তাঁর খালা। তিনি বলেন, আমি বিছানায় আড়াআড়ি শুয়ে পড়লাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর পরিবার লম্বা দিকে শয়ন করলেন। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিদ্রামগ্ন হলেন। অর্ধরাত্রি কিংবা এর সামান্য আগে কিংবা সামান্য পরক্ষণে তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠলেন এবং মুখ থেকে ঘুমের ভাব মুছতে মুছতে বসলেন। তারপর সূরা আলে ’ইমরানের শেষ দশ আয়াত পাঠ করলেন। তারপর ঝুলন্ত একটি পুরাতন মশকের নিকট গিয়ে তাত্থেকে উত্তমরূপে উযূ করলেন। এরপর সালাতে দন্ডায়মান হলেন। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমিও দাঁড়ালাম এবং তিনি যা করেছেন আমিও তা করলাম।

তারপর আমি গিয়ে তাঁর পার্শ্বে দাঁড়ালাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ডান হাত আমার মাথায় রেখে আমার ডান কান মলতে শুরু করলেন। তারপর তিনি দু’রাক’আত, অতঃপর দু’রাক’আত, অতঃপর দু’রাক’আত, অতঃপর দু’রাক’আত, অতঃপর দু’রাক’আত, অতঃপর দু’রাক’আত, অতঃপর তিনি বিতরের সালাত আদায় করলেন। অতঃপর তিনি শুয়ে পড়লেন। শেষে মুয়াযযিন ফজরের আযান দিলে তিনি উঠে দাঁড়িয়ে সংক্ষিপ্তভাবে দু’রাক’আত সালাত আদায় করলেন। তারপর বের হলেন এবং ফজরের সালাত আদায় করলেন। [১১৭] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪২১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪২১৪)

بَاب :{رَبَّنَآ إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُّنَادِيْ لِلْإِيْمَانِ} الْآيَةَ.

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ عَنْ مَالِكٍ عَنْ مَخْرَمَةَ بْنِ سُلَيْمَانَ عَنْ كُرَيْبٍ مَوْلَى ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا أَخْبَرَهُ أَنَّهُ بَاتَ عِنْدَ مَيْمُوْنَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهْيَ خَالَتُهُ قَالَ فَاضْطَجَعْتُ فِيْ عَرْضِ الْوِسَادَةِ وَاضْطَجَعَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَهْلُهُ فِيْ طُوْلِهَا فَنَامَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا انْتَصَفَ اللَّيْلُ أَوْ قَبْلَهُ بِقَلِيْلٍ أَوْ بَعْدَهُ بِقَلِيْلٍ اسْتَيْقَظَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَجَلَسَ يَمْسَحُ النَّوْمَ عَنْ وَجْهِهِ بِيَدِهِ ثُمَّ قَرَأَ الْعَشْرَ الْآيَاتِ الْخَوَاتِمَ مِنْ سُوْرَةِ آلِ عِمْرَانَ ثُمَّ قَامَ إِلَى شَنٍّ مُعَلَّقَةٍ فَتَوَضَّأَ مِنْهَا فَأَحْسَنَ وُضُوْءَهُ ثُمَّ قَامَ يُصَلِّيْ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَقُمْتُ فَصَنَعْتُ مِثْلَ مَا صَنَعَ ثُمَّ ذَهَبْتُ فَقُمْتُ إِلَى جَنْبِهِ فَوَضَعَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى رَأْسِيْ وَأَخَذَ بِأُذُنِي الْيُمْنَى يَفْتِلُهَا فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ أَوْتَرَ ثُمَّ اضْطَجَعَ حَتَّى جَاءَهُ الْمُؤَذِّنُ فَقَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيْفَتَيْنِ ثُمَّ خَرَجَ فَصَلَّى الصُّبْحَ.


Narrated Ibn `Abbas: That once he stayed overnight in the house of his aunt, the wife of the Prophet. He added: I lay on the cushion transversely while Allah's Messenger (ﷺ) lay along with his wife in the lengthwise direction of cushion. Allah's Messenger (ﷺ) slept till the middle of the night, either a bit before or a bit after it, and then woke up rubbing the traces of sleep off his face with his hands, and then recited the last ten Verses of Suratal-`Imran. Then he got up and went to a hanging water skin, performed ablution from it ---- and performed it perfectly. Then he stood up to perform the prayer. I also did the same as he had done and then went to stand beside him. Allah's Messenger (ﷺ) put his right hand on my head and held and twisted my right ear. He then offered two rak`at, then two rak`at then two rak`at, then two then two rak`at, then two rak`at, and finally, one rak`a witr. Then lay down again till the Muadhdhin (i.e. the call-maker) came to him, whereupon he got up and offered a light two rak`at prayer and went out (to the Mosque) and offered the (compulsory congregational) Fajr prayer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬/৫৪. ঐ দু' রাক'আতের পরিচয় যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ‘আসরের পর আদায় করতেন।

৪৭৭. কুরাইব (রহ.) হতে বর্ণিত, ইবনু ’আব্বাস, মিসওয়ার ইবনু মাখরামা এবং আবদুর রহমান ইবনু আযহার (রাযি.) তাঁকে ’আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর নিকট পাঠালেন এবং বলে দিলেন, তাঁকে আমাদের সকলের তরফ হতে সালাম পৌঁছিয়ে আসরের পরের দু’রাক’আত সালাত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে। তাঁকে একথাও বলবে যে, আমরা খবর পেয়েছি যে, আপনি সে দু’রাক’আত আদায় করেন, অথচ আমাদের নিকট পৌঁছেছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে দু’রাক’আত আদায় করতে নিষেধ করেছেন। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সংবাদে আরও বললেন যে, আমি ’উমার ইবনু খাত্তাব (রাযি.)-এর সাথে এ সালাতের কারণে লোকদের মারধোর করতাম।

কুরাইব (রহ.) বলেন, আমি ’আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর নিকট গিয়ে তাঁকে তাঁদের পয়গাম পৌঁছিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, উম্মু সালামাহ (রাযি.)-কে জিজ্ঞেস কর। [কুরাইব (রহ.) বলেন] আমি সেখান হতে বের হয়ে তাঁদের নিকট গেলাম এবং তাঁদেরকে ’আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর কথা জানালাম। তখন তাঁরা আমাকে ’আয়িশাহ্ (রাযি.)-এর নিকট যে বিষয় নিয়ে পাঠিয়েছিলেন, তা নিয়ে পুনরায় উম্মু সালামা (রাযি.)-এর নিকট পাঠালেন। উম্মু সালামাহ্ (রাযি.) বললেন, আমিও নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তা নিষেধ করতে শুনেছি। অথচ অতঃপর তাঁকে ’আসরের সালাতের পর তা আদায় করতেও দেখেছি।

একদা তিনি আসরের সালাতের পর আমার ঘরে তাশরীফ আনলেন। তখন আমার নিকট বনূ হারাম গোত্রের আনসারী কয়েকজন মহিলা উপস্থিত ছিলেন। আমি বাঁদীকে এ বলে তাঁর নিকট পাঠালাম যে, তাঁর পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁকে বলবে, উম্মে সালামা (রাযি.) আপনার নিকট জানতে চেয়েছেন, আপনাকে (আসরের পর সালাতের) দু’রাক’আত নিষেধ করতে শুনেছি; অথচ দেখছি, আপনি তা আদায় করছেন? যদি তিনি হাত দিয়ে ইঙ্গিত করেন, তাহলে পিছনে সরে থাকবে, বাঁদী তা-ই করল। তিনি ইঙ্গিত করলেন, সে পিছনে সরে থাকল। সালাত শেষ করে তিনি বললেন, হে আবূ উমায়্যাহর কন্যা! আসরের পরের দু’রাক’আত সালাত সম্পর্কে তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করেছ। আবদুল কায়স গোত্রের কিছু লোক আমার নিকট এসেছিল। তাদের কারণে যুহরের পরের দু’রাকা’আত আদায় করা হতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। এ দু’রাক’আত সে দু’রাক’আত।

معرفة الركعتين اللتين كان يصليهما النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بعد العصر

حديث أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ كُرَيْبٍ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ، وَالْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، وَعَبْدَ الرَّحْمنِ بْنَ أَزْهَرَ أَرْسَلُوهُ إِلَى عَائِشَةَ، فَقَالُوا: اقْرأْ عَلَيْهَا السَّلاَمَ مِنَّا جَمِيعًا، وَسَلْهَا عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ صَلاَةِ الْعَصْرِ، وَقُلْ لَهَا: إِنَّا أُخْبِرْنَا أَنَّكِ تُصَلِّينَهُمَا، وَقَدْ بَلَغَنَا أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْهُمَا وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: وَكُنْتُ أَضْرِبُ النَّاسَ مَعَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنْهُمَا

قَالَ كُرَيْبٌ: فَدَخَلْتُ عَلَى عَائِشَةَ، فَبَلَّغْتُهَا مَا أَرْسَلُونِي؛ فَقَالَتْ: سَلْ أُمَّ سَلَمَةَ فَخَرَجْتُ إِلَيْهِمْ فَأَخْبَرْتُهُمْ بِقَوْلِهَا، فَرَدُّونِي إِلَى أُمِّ سَلَمَةَ بِمِثْلِ مَا أَرْسَلُونِي بِهِ إِلَى عَائِشَةَ، فَقَالَتْ أُمُّ سَلَمَةَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَنْهَى عَنْهَا ثُمَّ رَأَيْتُهُ يُصَلِّيهِمَا حِينَ صَلَّى الْعَصْرَ، ثُمَّ دَخَلَ وَعِنْدِي نِسْوَةٌ مِنْ بَنِي حَرَامٍ مِنَ الأَنْصَارِ، فَأَرْسَلْتُ إِلَيْهِ الْجَارِيَةَ، فَقُلْتُ قُومِي بِجَنْبِهِ، قُولِي لَهُ: تَقُولُ لَكَ أُمُّ سَلَمَةَ يَا رَسُولَ اللهِ سَمِعْتُكَ تَنْهَى عَنْ هَاتَيْنِ وَأَرَاكَ تُصَلِّيهِمَا فَإِنْ أَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتأْخِرِي عَنْهُ فَفَعَلَتِ الْجَارِيَةُ، فَأَشَارَ بِيَدِهِ فَاسْتَأْخَرَتْ عَنْهُ فَلَمَّا انْصَرَفَ، قَالَ: يَا بِنْتَ أَبِي أُمَيَّةَ سَأَلْتِ عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ بَعْدَ الْعَصْرِ، وَإِنَّهُ أَتَانِي نَاسٌ مِنْ عَبْدِ الْقَيْسِ فَشَغَلُونِي عَنِ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ بَعْدَ الظُّهْرِ، فَهُمَا هَاتَانِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »