আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ২১ টি

পরিচ্ছেদঃ ১২৬৮. ইতিকাফ অবস্থায় স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর সাক্ষাৎ করা

১৯১০। সা’ঈদ ইবনু ’উফফার (রহঃ) ও ’আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহধর্মিণী সাফিয়্যা (রাঃ) বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ইতিকাফ অবস্থায়) মসজিদে অবস্থান করছিলেন, ঐ সময়ে তাঁর নিকট সহধর্মিণীগণ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা যাওয়ার জন্য রওয়ানা হন। তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সাফিয়্যা বিনতে হুয়ায়্যীকে বললেনঃ তুমি তাড়াতাড়ি করো না। আমি তোমার সাথে যাব। তাঁর [সাফিয়্যা (রাঃ)] এর ঘর ছিল উসামার বাড়ীতে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে সঙ্গে করে বের হলেন। এমতাবস্থায় দুজন আনসার ব্যাক্তির সাক্ষাত ঘটলে তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখতে পেয়ে (দ্রুত) আগে বেড়ে গেলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দুজনকে বললেনঃ তোমরা এদিকে আস। এ তো সাফিয়্যা বিনত হুয়ায়্যী। তাঁরা দুজন বলে উঠলেন, সুবহানাল্লাহ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ শয়তান মানব দেহে রক্তের মত চলাচল করে। আমি আশংকা বোধ করলাম যে, সে তোমাদের মনে কিছু সন্দেহ ঢুকিয়ে দেয়।

باب زِيَارَةِ الْمَرْأَةِ زَوْجَهَا فِي اعْتِكَافِهِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ صَفِيَّةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ‏.‏ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا هِشَامٌ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْجِدِ، وَعِنْدَهُ أَزْوَاجُهُ، فَرُحْنَ، فَقَالَ لِصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَىٍّ ‏"‏ لاَ تَعْجَلِي حَتَّى أَنْصَرِفَ مَعَكِ ‏"‏‏.‏ وَكَانَ بَيْتُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ، فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَعَهَا، فَلَقِيَهُ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ، فَنَظَرَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ أَجَازَا وَقَالَ لَهُمَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ تَعَالَيَا، إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ ‏"‏‏.‏ قَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ، وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يُلْقِيَ فِي أَنْفُسِكُمَا شَيْئًا ‏"‏‏.‏


Narrated `Ali bin Al-Husain (from Safiya the Prophet's wife): The wives of the Prophet (ﷺ) were with him in the mosque (while he was in I`tikaf) and then they departed and the Prophet (ﷺ) said to Safiya bint Huyai, "Don't hurry up, for I shall accompany you," (and her dwelling was in the house of Usama). The Prophet (ﷺ) went out and in the meantime two Ansari men met him and they looked at the Prophet (ﷺ) and passed by. The Prophet (ﷺ) said to them, "Come here. She is (my wife) Safiya bint Huyai." They replied, "Subhan Allah, (How dare we think of evil) O Allah's Apostle! (we never expect anything bad from you)." The Prophet (ﷺ) replied, "Satan circulates in the human being as blood circulates in the body, and I was afraid lest Satan might insert an evil thought in your minds."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯৪৪. নবী (সাঃ)-এর সহধর্মিণীগণের ঘর এবং যে সব ঘর তাঁদের সাথে সম্পর্কিত সে সবের বর্ণনা। আল্লাহ তা'আলার বাণীঃ তোমরা নিজেদের ঘরে অবস্থান কর। (৩৩ঃ ৩৩) (হে মুসলিমগন) তোমরা নবী (সাঃ) এর ঘরে অনুমতি ব্যতিরেকে প্রবেশ করবে না। (৩৩ঃ ৫৩)

২৮৮২। সাঈদ ইবনু উফাইর (রহঃ) ... আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধীর্মণী সাফ্যিয়া (রাঃ) তাঁকে জানিয়েছেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাত করার জন্য আসেন। তখন তিনি রমযানের শেষ দশকে মসজিদে ইতিকাফ রত ছিলেন। এরপর যখন তিনি [সাফিয়্যা (রাঃ)] ফিরে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ান, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অপর সহধর্মিণী উম্মে সালামা (রাঃ)-এর দরজার নিকটবর্তী মসজিদের দরজার নিকট পৌঁছলেন তখর দু’জন আনসার তাঁদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদের উদ্দেশ্যে বললেন, একটু থাম, (এ মহিলা আমার স্ত্রী) তারা বলল, সুবানাল্লাহ! ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ বলাটা তাদের নিকট কষ্টদায়ক মনে হল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’শয়তান মানুষের রক্ত কনিকার ন্যায় সর্বত্র বিচরণ করে। আমার আশঙ্কা হয়েছিল, না জানি সে তোমাদের মনে কোন সন্দেহের উদ্রেক করে দেয়।’

باب مَا جَاءَ فِي بُيُوتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، وَمَا نُسِبَ مِنَ الْبُيُوتِ إِلَيْهِنَّ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ} وَ{لاَ تَدْخُلُوا بُيُوتَ النَّبِيِّ إِلاَّ أَنْ يُؤْذَنَ لَكُمْ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، أَنَّ صَفِيَّةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَزُورُهُ، وَهْوَ مُعْتَكِفٌ فِي الْمَسْجِدِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ فَقَامَ مَعَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا بَلَغَ قَرِيبًا مِنْ باب الْمَسْجِدِ عِنْدَ باب أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِهِمَا رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ، فَسَلَّمَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، ثُمَّ نَفَذَا فَقَالَ لَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ عَلَى رِسْلِكُمَا ‏"‏‏.‏ قَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ وَكَبُرَ عَلَيْهِمَا ذَلِكَ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَبْلُغُ مِنَ الإِنْسَانِ مَبْلَغَ الدَّمِ، وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَيْئًا ‏"‏‏.‏


Narrated Safiya: (the wife of the Prophet) That she came to visit Allah's Messenger (ﷺ) while he was in I`tikaf (i.e. seclusion in the Mosque during the last ten days of Ramadan). When she got up to return, Allah's Messenger (ﷺ) got up with her and accompanied her, and when he reached near the gate of the Mosque close to the door (of the house) of Um Salama, the wife of the Prophet, two Ansari men passed by them and greeted Allah's Apostle and then went away. Allah's Messenger (ﷺ) addressed them saying, "Don't hurry! (She is my wife)," They said, "Glorified be Allah! O Allah's Messenger (ﷺ) (You are far away from any suspicion)," and his saying was hard on them. Allah's Messenger (ﷺ) said, "Satan circulates in the mind of a person as blood does (in his body). I was afraid that Satan might put some (evil) thoughts in your minds."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯৪৫. নবী (ﷺ)-এর বর্ম, লাঠি, তরবারী, পেয়ালা ও মোহর এবং তার পরবর্তী খলিফাগন সে সব থেকে যা ব্যবহার করেছেন, আর তা যার বণ্টনের উল্লেখ করা হয়নি এবং তার চুল, পাদুকা ও পাত্র নবী (সাঃ) এর ওফাতের পর তার সাহাবীগন ও অন্যরা (বরকত হাসিলে) শরীক ছিলেন।

২৮৯১। সাঈদ ইবনু মুহাম্মদ জারমী (রহঃ) ... আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, যখন তারা ইয়াযীদ ইবনু মুআবিয়ার নিকট থেকে হুসাইন (রাঃ) এর শাহাদাতের পর মদিনায় আসলেন, তখন তাঁর সঙ্গে মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) মিলিত হলেন এবং বললেন, আপনার কি আমার কাছে কোন প্রয়োজন আছে? তবে তা বলুন। তখন আমি তাঁকে বললাম, না। যখন মিসওয়ার (রাঃ) বললেন, আপনি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরবারীটি দিবেন? আমার আশঙ্কা হয়, লোকেরা আপনাকে কাবূ করে তা ছিনিয়ে নিবে। আল্লাহর কসম! আপনি যদি আমাকে এটি দেন, তবে আমার জীবন থাকা পর্যন্ত কেউ আমার নিকট থেকে তা নিতে পারবে না।

একবার আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) ফাতিমা (রাঃ) থাকা অবস্থায় আবূ জাহল কন্যাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেয়। আমি তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তাঁর মিঁম্বারে দাঁড়িয়ে লোকদের এ খুতবা দিতে শুনেছি, আর তখন আমি সাবালক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (উক্ত ভাষণে) বললেন, ’ফাতিমা আমার থেকে (অতি আদরের)। আমি আশঙ্কা করছি সে দিনের ব্যাপারে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে পড়ে।’ তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানূ আবদে শামস গোত্রের এক জামাতার প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি তাঁর জামার সম্পর্কের প্রশংসা করেন এবং বলেন, সে আমার সঙ্গে যা বলেছে, তা সত্য বলেছে, আমার সঙ্গে যে ওয়াদা করেছে, তা পূরণ করেছে। আমি হালালকে হারামকারী নই এবং হারামকে হালালকারী নই। কিন্তু আল্লাহর কসম! আল্লাহর রাসূলের কন্যা এবং আল্লাহর শত্রুর কন্যা একত্রিত হতে পারে না।

باب مَا ذُكِرَ مِنْ دِرْعِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَعَصَاهُ وَسَيْفِهِ وَقَدَحِهِ وَخَاتَمِهِ وَمَا اسْتَعْمَلَ الْخُلَفَاءُ بَعْدَهُ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا لَمْ يُذْكَرْ قِسْمَتُهُ، وَمِنْ شَعَرِهِ وَنَعْلِهِ وَآنِيَتِهِ، مِمَّا يَتَبَرَّكُ أَصْحَابُهُ وَغَيْرُهُمْ بَعْدَ وَفَاتِهِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجَرْمِيُّ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي أَنَّ الْوَلِيدَ بْنَ كَثِيرٍ، حَدَّثَهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ الدُّؤَلِيِّ، حَدَّثَهُ أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ حَدَّثَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ حُسَيْنٍ حَدَّثَهُ أَنَّهُمْ، حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ مِنْ عِنْدِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ مَقْتَلَ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ رَحْمَةُ اللَّهِ عَلَيْهِ لَقِيَهُ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ فَقَالَ لَهُ هَلْ لَكَ إِلَىَّ مِنْ حَاجَةٍ تَأْمُرُنِي بِهَا فَقُلْتُ لَهُ لاَ‏.‏ فَقَالَ لَهُ فَهَلْ أَنْتَ مُعْطِيَّ سَيْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَغْلِبَكَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ، وَايْمُ اللَّهِ، لَئِنْ أَعْطَيْتَنِيهِ لاَ يُخْلَصُ إِلَيْهِمْ أَبَدًا حَتَّى تُبْلَغَ نَفْسِي، إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ خَطَبَ ابْنَةَ أَبِي جَهْلٍ عَلَى فَاطِمَةَ ـ عَلَيْهَا السَّلاَمُ ـ فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ النَّاسَ فِي ذَلِكَ عَلَى مِنْبَرِهِ هَذَا وَأَنَا يَوْمَئِذٍ مُحْتَلِمٌ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ فَاطِمَةَ مِنِّي، وَأَنَا أَتَخَوَّفُ أَنْ تُفْتَنَ فِي دِينِهَا ‏"‏‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ صِهْرًا لَهُ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، فَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي مُصَاهَرَتِهِ إِيَّاهُ قَالَ ‏"‏ حَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي، وَوَعَدَنِي فَوَفَى لِي، وَإِنِّي لَسْتُ أُحَرِّمُ حَلاَلاً وَلاَ أُحِلُّ حَرَامًا، وَلَكِنْ وَاللَّهِ لاَ تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبِنْتُ عَدُوِّ اللَّهِ أَبَدًا ‏"‏‏.‏


Narrated `Ali bin Al-Husain: That when they reached Medina after returning from Yazid bin Mu'awaiya after the martyrdom of Husain bin `Ali (may Allah bestow His Mercy upon him), Al-Miswar bin Makhrama met him and said to him, "Do you have any need you may order me to satisfy?" `Ali said, "No." Al-Miswar said, Will you give me the sword of Allah's Messenger (ﷺ) for I am afraid that people may take it from you by force? By Allah, if you give it to me, they will never be able to take it till I die." When `Ali bin Abu Talib demanded the hand of the daughter of Abi Jahal to be his wife besides Fatima, I heard Allah's Messenger (ﷺ) on his pulpit delivering a sermon in this connection before the people, and I had then attained my age of puberty. Allah's Messenger (ﷺ) said, "Fatima is from me, and I am afraid she will be subjected to trials in her religion (because of jealousy)." The Prophet (ﷺ) then mentioned one of his son-in-law who was from the tribe of 'Abu Shams, and he praised him as a good son-in-law, saying, "Whatever he said was the truth, and he promised me and fulfilled his promise. I do not make a legal thing illegal, nor do I make an illegal thing legal, but by Allah, the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) and the daughter of the enemy of Allah, (i.e. Abu Jahl) can never get together (as the wives of one man)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৫৫৩. বিস্ময়বোধে "আল্লাহু আকবার" অথবা "সুবহানাল্লাহ" বলা

৫৭৮৬। আবূল ইয়ামান ও ইসমাঈল (রহঃ) ... আলী ইবনু হুসায়ন (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী সাফিয়্যা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রামাযানের শেষ দশ দিনে মসজিদে ইতিকাফ থাকা অবস্থায় তিনি তার সাথে দেখা করতে গেলেন। তিনি রাতের প্রথম ভাগে কিছু সময় তার সঙ্গে কথাবার্তার পর ফিরে যাওয়ার জন্য দাঁড়ালেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এগিয়ে দেওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালেন। অবশেষে যখন তিনি মসজিদেরই দরজার নিকট পৌছলেন, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে সালামার ঘরের নিকটে অবস্থিত। তখন তাদের পাশ দিয়ে আনসারের দু’জন লোক চলে গেলে, তারা উভয়েই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাম দিল এবং নিজ পথে রওয়ানা হল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেনঃ ধীরে চল। তিনি সাফিয়্যা বিনত হুইয়াহ। তারা বললোঃ সুবহানাল্লাহ! ইয়া রাসুলাল্লাহ! তাদের উভয়ের মনে তা গুরুত্বপূর্ন মনে হল। তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের রক্তে চলাচল করে থাকে। তাই আমার আশংকা হলো যে, সম্ভবত সে তোমাদের অন্তরে সন্দেহের উদ্রেক করতে পারে।

باب التَّكْبِيرِ وَالتَّسْبِيحِ عِنْدَ التَّعَجُّبِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،‏.‏ وَحَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، أَنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَىٍّ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَزُورُهُ وَهْوَ مُعْتَكِفٌ فِي الْمَسْجِدِ فِي الْعَشْرِ الْغَوَابِرِ مِنْ رَمَضَانَ، فَتَحَدَّثَتْ عِنْدَهُ سَاعَةً مِنَ الْعِشَاءِ ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ، فَقَامَ مَعَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْلِبُهَا حَتَّى إِذَا بَلَغَتْ باب الْمَسْجِدِ الَّذِي عِنْدَ مَسْكَنِ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِهِمَا رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَسَلَّمَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَفَذَا، فَقَالَ لَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ عَلَى رِسْلِكُمَا، إِنَّمَا هِيَ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ ‏"‏‏.‏ قَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ وَكَبُرَ عَلَيْهِمَا‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنِ ابْنِ آدَمَ مَبْلَغَ الدَّمِ، وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا ‏"‏‏.‏


Narrated Safiya bint Huyai: The wife of the Prophet (ﷺ) that she went to Allah's Messenger (ﷺ) while he was in I`tikaf (staying in the mosque) during the last ten nights of the month of Ramadan. She spoke to him for an hour (a while) at night and then she got up to return home. The Prophet (ﷺ) got up to accompany her, and when they reached the gate of the mosque opposite the dwelling place of Um Salama, the wife of the Prophet, two Ansari men passed by, and greeting Allah's Messenger (ﷺ) , they quickly went ahead. Allah's Messenger (ﷺ) said to them, "Do not be in a hurry She is Safiya, the daughter of Huyai." They said, "Subhan Allah! O Allah's Messenger (ﷺ) (how dare we suspect you)." That was a great thing for both of them. The Prophet (ﷺ) then said, "Satan runs in the body of Adam's son (i.e. man) as his blood circulates in it, and I was afraid that he (Satan) might insert an evil thought in your hearts."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩০২৫. বিচারক নিজে বিবাদের সাক্ষী হলে, চাই তা বিচারকের পদে সমাসীন থাকাকালেই হোক কিংবা তার পূর্বে। বিচারক শুরায়হকে এক ব্যক্তি তার পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার আবেদন করলে তিনি বললেন, তুমি শাসকের কাছে যাও, সেখানে আমি তোমার পক্ষে সাক্ষ্য দিব। ইকরামা (রহঃ) বলেন যে, উমর (রাঃ) আবদুর রহমান ইবন আওফ (রাঃ) কে বললেন, যদি তুমি শাসক হও, আর তুমি নিজে কোন ব্যক্তিকে হদের কাজ ‍যিনা বা চুরিতে লিপ্ত দেখ (তাহলে তুমি কি করবে?) উত্তরে তিনি বললেন (আপনি শাসক হওয়া সত্ত্বেও) আপনার সাক্ষ্য একজন সাধারন মুসলিমের সাক্ষ্যের মতোই। তিনি [উমর (রাঃ)] বললেন, তুমি ঠিকই বলেছ। উমর (রাঃ) বলেন, যদি মানুষ এরূপ বলবে বলে আশংকা না হতো যে, উমর আল্লাহর কিতাবে নিজের পক্ষ থেকে বৃদ্ধি করেছে, তাহলে আমি নিজ হাতে রজমের আয়াত লিখে দিতাম। মায়েয রাসূলূল্লাহ (সাঃ) এর কাছে চারবার যিনার কথা স্বীকার করেছিলেন, তখন তাকে রজম করার নির্দেশ দেন। আর এরূপ বর্ননা পাওয়া যায়না যে, রাসূলূল্লাহ (সাঃ) উপস্থিত ব্যক্তিদের থেকে সাক্ষ্য গ্রহন করেছেন। হাম্মাদ (রহঃ) বলেন, বিচারকের নিকট কেউ একবার স্বীকার করলে তাকে রজম করা হবে। আর হাকাম (রহঃ) বলেন, চারবার স্বীকার করতে হবে

৬৬৮৩। আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। উম্মুল মু’মিনীন সাফিয়্যা বিনত হুয়াই (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসেছিলেন। যখন তিনি প্রত্যাবর্তন করছিলেন তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সাথে সাথে হাটছিলেন। এমতাবস্থায় দু’জন আনসারী ব্যাক্তি তার পাশ দিয়ে অতিক্রম করল। তিনি তাঁদেরকে ডাকলেন এবং বললেনঃ এ হচ্ছে সাফিয়্যা। তাঁরা (অবাক হয়ে) বলল, সুবহানাল্লাহ (আমরা কি আপনার ব্যাপারে সন্দেহ করতে পারি?) তিনি বললেনঃ শয়তান বনী আদমের ধমনীতে বিচরণ করে থাকে।

শুআয়ব ... সাফিয়্যা (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

باب الشَّهَادَةِ تَكُونُ عِنْدَ الْحَاكِمِ فِي وِلاَيَتِهِ الْقَضَاءِ أَوْ قَبْلَ ذَلِكَ لِلْخَصْمِ وَقَالَ شُرَيْحٌ الْقَاضِي، وَسَأَلَهُ إِنْسَانٌ الشَّهَادَةَ فَقَالَ ائْتِ الأَمِيرَ حَتَّى أَشْهَدَ لَكَ. وَقَالَ عِكْرِمَةُ قَالَ عُمَرُ لِعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ لَوْ رَأَيْتَ رَجُلاً عَلَى حَدٍّ زِنًا أَوْ سَرِقَةٍ وَأَنْتَ أَمِيرٌ فَقَالَ شَهَادَتُكَ شَهَادَةُ رَجُلٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ. قَالَ صَدَقْتَ. قَالَ عُمَرُ لَوْلاَ أَنْ يَقُولَ النَّاسُ زَادَ عُمَرُ فِي كِتَابِ اللَّهِ. لَكَتَبْتُ آيَةَ الرَّجْمِ بِيَدِي. وَأَقَرَّ مَاعِزٌ عِنْدَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالزِّنَا أَرْبَعًا، فَأَمَرَ بِرَجْمِهِ، وَلَمْ يُذْكَرْ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَشْهَدَ مَنْ حَضَرَهُ. وَقَالَ حَمَّادٌ إِذَا أَقَرَّ مَرَّةً عِنْدَ الْحَاكِمِ رُجِمَ. وَقَالَ الْحَكَمُ أَرْبَعًا

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَتَتْهُ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ فَلَمَّا رَجَعَتِ انْطَلَقَ مَعَهَا، فَمَرَّ بِهِ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَدَعَاهُمَا فَقَالَ ‏"‏ إِنَّمَا هِيَ صَفِيَّةُ ‏"‏‏.‏ قَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنِ ابْنِ آدَمَ مَجْرَى الدَّمِ ‏"‏‏.‏ رَوَاهُ شُعَيْبٌ وَابْنُ مُسَافِرٍ وَابْنُ أَبِي عَتِيقٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَلِيٍّ ـ يَعْنِي ابْنَ حُسَيْنٍ ـ عَنْ صَفِيَّةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏


Narrated `Ali bin Husain: Safiya bint (daughter of) Huyai came to the Prophet (in the mosque), and when she returned (home), the Prophet (ﷺ) accompanied her. It happened that two men from the Ansar passed by them and the Prophet called them saying, "She is Safiya!" those two men said, "Subhan Allah!" The Prophet (ﷺ) said, "Satan circulates in the human body as blood does."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯. কোন লোককে নারীদের সঙ্গে একাকী দেখা গেলে এবং সে মহিলা তার স্ত্রী বা তার মাহরাম হলে কুধারনাকে দমনের জন্য এ স্ত্রীলোক অমুক বলে দেয়া মুস্তাহাব

৫৪৯৩। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান আাবু-দারিমী (রহঃ) ... আলী ইবনু হুসায়ন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী সাফিয়্যা (রাঃ) তার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, রমযানের শেষ দশকে মসজিদে (নববীতে) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইতিকাফকালে তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। তিনি তাঁর সঙ্গে কিছু সময় কথাবার্তা বললেন, এরপর ফিরে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও তাঁকে এগিয়ে দিতে উঠে দাঁড়ালেন। ...... এরপর (পৃর্ববর্তী হাদীসের রাবী) মা’মার (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের মর্মানুযায়ী হাদীস উল্লেখ করেছেন। তবে তিনি বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ শয়তান মানুষের রক্ত প্রবাহের শিরায় শিরায় পৌছে যায় (’চলে’) প্রবাহিত হয়, বলেননি (বরং তিনি এ রিওয়ায়াত يَبْلُغُ مِنَ الإِنْسَانِ مَبْلَغَ الدَّمِ বলেছেন, তিনি يَجْرِي বলেননি।


১০. পরিচ্ছেদঃ কোন মজলিসে হাযির হয়ে ফাঁকা জায়গা পেলে সেখানে বসে পড়া; অন্যথায় সবার পিছনে বসা

৫৪৯৩/১। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবূ ওয়াকিদ লায়সী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে আমাদের মধ্যে বসা ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে সাহাবীগণের এক জামাআত ছিল। এ সময় তিনজনের একটি দল আসতে লাগলো। এদের দু’জন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে এগিয়ে এল, আর একজন চলে গেল। রাবী বলেনঃ তারা দু’জন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সামনে থেমে গেল। তারপর তাদের একজন সমাবেশের মাঝে একটু ফাঁকা জায়গা দেখতে পেয়ে সেখানে বসে গেল, দ্বিতীয়জন তাদের (মজলিসের) পিছনে বসল আর তৃতীয় ব্যক্তি পেছনে ফিরে যেতে লাগল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মজলিস থেকে) ফারেগ হলে বললেন, শোন! তিনজনের ক্ষুদে দলটি সম্পর্কে কি আমি তোমাদের খবর দিব না? তাদের একজন তো আল্লাহর নিকটে আশ্রয় নিল, আল্লাহ তাআলা তাকে আশ্রয় দিলেন। আর একজন লজ্জা-সংকোচ করল, আল্লাহ তার লজ্জা-(এর মর্যাদা) রক্ষা করলেন। আর তৃতীয়জন ফিরে গেল, আল্লাহ তায়াআলাও তাকে এড়িয়ে গেলেন।

باب بَيَانِ أَنَّهُ يُسْتَحَبُّ لِمَنْ رُئِيَ خَالِيًا بِامْرَأَةٍ وَكَانَتْ زَوْجَةً أَوْ مَحْرَمًا لَهُ

وَحَدَّثَنِيهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ صَفِيَّةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا جَاءَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَزُورُهُ فِي اعْتِكَافِهِ فِي الْمَسْجِدِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فَتَحَدَّثَتْ عِنْدَهُ سَاعَةً ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ وَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْلِبُهَا ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ مَعْمَرٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَبْلُغُ مِنَ الإِنْسَانِ مَبْلَغَ الدَّمِ ‏"‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ ‏"‏ يَجْرِي ‏"‏ ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، فِيمَا قُرِئَ عَلَيْهِ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ، اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ أَنَّ أَبَا مُرَّةَ، مَوْلَى عَقِيلِ بْنِ أَبِي طَالِبٍ أَخْبَرَهُ عَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ، أَنَّالله عليه وسلم بَيْنَمَا هُوَ جَالِسٌ فِي الْمَسْجِدِ وَالنَّاسُ مَعَهُ إِذْ أَقْبَلَ نَفَرٌ ثَلاَثَةٌ فَأَقْبَلَ اثْنَانِ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَذَهَبَ وَاحِدٌ ‏.‏ قَالَ فَوَقَفَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَّا أَحَدُهُمَا فَرَأَى فُرْجَةً فِي الْحَلْقَةِ فَجَلَسَ فِيهَا وَأَمَّا الآخَرُ فَجَلَسَ خَلْفَهُمْ وَأَمَّا الثَّالِثُ فَأَدْبَرَ ذَاهِبًا فَلَمَّا فَرَغَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ أَلاَ أُخْبِرُكُمْ عَنِ النَّفَرِ الثَّلاَثَةِ أَمَّا أَحَدُهُمْ فَأَوَى إِلَى اللَّهِ فَآوَاهُ اللَّهُ وَأَمَّا الآخَرُ فَاسْتَحْيَا فَاسْتَحْيَا اللَّهُ مِنْهُ وَأَمَّا الآخَرُ فَأَعْرَضَ فَأَعْرَضَ اللَّهُ عَنْهُ ‏"‏ ‏.‏


This hadith has been reported on the authority of Safiyya, the wife of Allah's Apostle (ﷺ), through another chain of transmitters (and the words) are: " She went to Allah's Apostle (ﷺ) to visit him as he was observing I'tikaf in the mosque during Ramadan. She talked with him for some time and then stood up to go back and Allikh's Apostle (ﷺ) stood up in order to bid her good-bye." The rest of the hadith is the same except with the variation of the words that Allah's Apostle (ﷺ) said:" Satan penetrates in man like the penetration of blood (in every part of body)." Abu Waqid al-Laith reported that Allah's Messenger (ﷺ) was sitting in the mosque along wish tome people when there came to him three persons; two of them stepped forward to the direction of Allah's Messenger (ﷺ), and one of them went away. The two stood by the side of Allah's Messenger (ﷺ), and one of them found a space in his circle and he sat in that; and the other one sat behind him and the third one went away. When Allah's Messenger (ﷺ) had finished his work, he said. Should I not inform you about these three persons? One of them sought refuge with Allah and Allah gave him refuge and the second one felt shy and Allah showed kindness to has shyness (and so he was accommodated in that meeting), and the last one reverted and Allah turned away His attention from him.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫. নবী (ﷺ) এর কন্যা ফাতিমা (রাঃ) এর ফযীলত

৬০৮৮। আহমদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) ... আলী ইবনু হুসায়ন (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, হুসায়ন ইবনু আলী (রাঃ) এর শাহাদতের পর ইয়াযীদ ইবনু মুআবিয়া (রাঃ) এর কাছ থেকে তারা যখন মদিনায় এলেন, মিসওয়ার ইবনু মাখরামা তখন তার সাথে দেখা করলেন এবং তাকে বললেন, আপনার কোন প্রয়োজন থাকলে আমাকে বলবেন। আমি বললাম, না। মিসওয়ার বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরবারিখানা কি আপনি আমাকে দান করবেন? কারণ আমার ভয় হয় যে, আপনার লোকেরা এটি আপনার কাছ থেকে কবজা করে নিবে। আল্লাহর কসম, আপনি যদি সে তরবারিটি আমাকে দিয়ে দেন তাহলে যতক্ষন আমার প্রাণ থাকে এটি কেউ স্পর্শ করতে পারবে না।

(মিসওয়ার আরো বলেন) ফাতিমার জীবিত থাকাকালে আলী (রাঃ) আবূ জাহলের কন্যাকে বিয়ের প্রন্তাব দিয়েছিলেন। তখন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ বিষয় নিয়ে লোকদের সামনে এ মিম্বরে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিতে শুনেছি। আমি সে সময় সদ্য বালিগ বয়সের। তখন তিনি বললেন, ফাতিমা আমারই অঙ্গ। আমার ভয় হচ্ছে, সে তার দ্বীনের ব্যাপারে ফিতনায় না পতিত হয়। অতঃপর তিনি আবদ ই-শামস গোত্রীয় তাঁর জামাতার আলোচনা করলেন। তার আত্নীয়তার সুন্দর প্রশংসা করলেন, এবং বললেন, সে আমায় যা বলেছে সত্য বলেছে, সে অঙ্গীকার করেছে, আর আমি কোন হালালকে হারাম করি না বা হারামকে হালাল করি না। তবে আল্লাহর কসম, আল্লাহর রাসূলের মেয়ে এবং আল্লাহর দুশমনের মেয়ে কখনো এক জায়গায় একত্রিত হবে না।

باب فَضَائِلِ فَاطِمَةَ بِنْتِ النَّبِيِّ عَلَيْهَا الصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ ‏‏

حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ الدُّؤَلِيُّ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ حَدَّثَهُ أَنَّهُمْ، حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ مِنْ عِنْدِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ مَقْتَلَ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ رضى الله عنهما لَقِيَهُ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ فَقَالَ لَهُ هَلْ لَكَ إِلَىَّ مِنْ حَاجَةٍ تَأْمُرُنِي بِهَا قَالَ فَقُلْتُ لَهُ لاَ ‏.‏ قَالَ لَهُ هَلْ أَنْتَ مُعْطِيَّ سَيْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَغْلِبَكَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ وَايْمُ اللَّهِ لَئِنْ أَعْطَيْتَنِيهِ لاَ يُخْلَصُ إِلَيْهِ أَبَدًا حَتَّى تَبْلُغَ نَفْسِي إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ خَطَبَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ عَلَى فَاطِمَةَ فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ فِي ذَلِكَ عَلَى مِنْبَرِهِ هَذَا وَأَنَا يَوْمَئِذٍ مُحْتَلِمٌ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ فَاطِمَةَ مِنِّي وَإِنِّي أَتَخَوَّفُ أَنْ تُفْتَنَ فِي دِينِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ ذَكَرَ صِهْرًا لَهُ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ فَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي مُصَاهَرَتِهِ إِيَّاهُ فَأَحْسَنَ قَالَ ‏"‏ حَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي وَوَعَدَنِي فَأَوْفَى لِي وَإِنِّي لَسْتُ أُحَرِّمُ حَلاَلاً وَلاَ أُحِلُّ حَرَامًا وَلَكِنْ وَاللَّهِ لاَ تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ وَبِنْتُ عَدُوِّ اللَّهِ مَكَانًا وَاحِدًا أَبَدًا ‏"‏ ‏.‏


(Imam Zain-ul-'Abidin) 'Ali b. Husain reported that when they came to Medina from Yazid b. Mu'awiya after the martyrdom of Husain b. 'Ali (Allah be pleased with him) Miswar b. Makhramah met him and said to him: Is there any work for me which you ask me to do? I said to him: No. He again said to me: Would you not give me the sword of Allah's Messenger (ﷺ) for I fear that the people may snatch it from you? By Allah, if you give that to me, no one would be able to take it away, so long as there is life in me. Verily 'Ali b. Abi Talib sent a proposal of marriage to the daughter of Abu Jahl in spite of (the fact that his wife) Fatima (had been living in his house). Thereupon I heard Allah's Messenger (ﷺ) say while addressing the people on the pulpit. I was adolescing in those days. He said: Fatima is a part of me and I fear that she may be put to trial in regard to religion. He then made a mention of his son-in law who had been from the tribe of 'Abd Shams and praised his behaviour as a son-in-law and said: Whatever he said to me he told the truth and whatever he promised he fulfilled it for me. I am not going to declare forbidden what is lawful and make lawful what is forbidden, but, by Allah, the daaghter of Allah's Messenger and the daughter of the enemy of Allah can never be combined at one place.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০৭. যে সমস্ত স্ত্রীলোককে একত্রে বিবাহ করা হারাম।

২০৬৫. আহমাদ ইবন মুহাম্মাদ (রহঃ) ..... আলী ইবন হুসায়ন (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তাঁরা যখন হুসায়ন ইবন আলী (রাঃ) এর শাহাদাতের সময়, ইয়াযীদ ইবন মু’আবিয়ার নিকট হতে মদীনায় আসেন; তখন তাঁর সাথে আল্-মুসাও্ওয়ার ইবন মাখরামার সাক্ষাৎ হয়। তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনার কি আমার নিকট কোন প্রয়োজন আছে, যা সম্পদনের জন্য আপনি আমাকে নির্দেশ দিবেন? তিনি (আলী) বলেন, না। তখন তিনি (মুসাও্ওয়ার) বলেন, আপনি কি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরবারিটি আমাকে দান করবেন? কেননা আমার আশংকা হয়, হয়ত লোকেরা তা আপনার নিকট হতে কেড়ে নিবে। আল আল্লাহর শপথ! যদি আপনি তা আমাকে প্রদান করেন, আমার মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তা কেউই নিতে পারবে না।

(রাবী কিরমানী বলেন) আলী ইবন আবূ তালিব (রাঃ) ফাতিমা (রাঃ) এর জীবদ্দশায় আবূ জেহেলের কন্যা বিবাহের উদ্দেশ্যে পয়গাম প্রেরণ করেন। এই সময় আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে লোকদের উদ্দেশ্যে খুতবা প্রদানের সময় এ সম্পর্কে বলতে শুনি, আর এই সময় আমি সাবালক ছিলাম। তিনি বলেন, নিশ্চই ফাতিমা আমার দেহের একটি অংশ। আর আমি এরূপ আশংকা করি যে, সে এর ফলে ঈর্ষানলে জ্বলতে থাকবে। (কেননা এটাই মেয়েদের স্বভাব) অতঃপর তিনি বণী আব্দুস শামসের সাথে তাঁর সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন এবং তাদের সদ্ব্যবহারের কথাও তিনি বিশেষভাবে বলেন। অতঃপর, তিনি বলেন, তারা আমার সাথে যা বলেছিল, তা সত্যে পরিণত করেছিল এবং আমার সাথে যে ওয়াদা করেছিল, তা পূর্ণ করেছিল। আর আমি এমন ব্যক্তি নই যে, কোনো হালাল-কে হারাম করতে পারি বা হারাম-কে হালাল করতে পারি। (বরং আল্লাহর হুকুম ব্যতীত আমার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়।) আল্লাহর শপথ! আল্লাহর রাসূলের কন্যা এবং আল্লাহর দুশমনের কন্যা একই ঘরে কখনো একত্রিত হতে পারে না।

باب مَا يُكْرَهُ أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَهُنَّ مِنَ النِّسَاءِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ الدُّؤَلِيُّ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ حَدَّثَهُ أَنَّهُمْ، حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ مِنْ عِنْدِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ مَقْتَلَ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ - رضى الله عنهما - لَقِيَهُ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ فَقَالَ لَهُ هَلْ لَكَ إِلَىَّ مِنْ حَاجَةٍ تَأْمُرُنِي بِهَا قَالَ فَقُلْتُ لَهُ لاَ ‏.‏ قَالَ هَلْ أَنْتَ مُعْطِيَّ سَيْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَغْلِبَكَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ وَايْمُ اللَّهِ لَئِنْ أَعْطَيْتَنِيهِ لاَ يُخْلَصُ إِلَيْهِ أَبَدًا حَتَّى يَبْلُغَ إِلَى نَفْسِي إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ - رضى الله عنه - خَطَبَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ عَلَى فَاطِمَةَ - رضى الله عنها - فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ فِي ذَلِكَ عَلَى مِنْبَرِهِ هَذَا وَأَنَا يَوْمَئِذٍ مُحْتَلِمٌ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ فَاطِمَةَ مِنِّي وَأَنَا أَتَخَوَّفُ أَنْ تُفْتَنَ فِي دِينِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ ذَكَرَ صِهْرًا لَهُ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ فَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي مُصَاهَرَتِهِ إِيَّاهُ فَأَحْسَنَ قَالَ ‏"‏ حَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي وَوَعَدَنِي فَوَفَّى لِي وَإِنِّي لَسْتُ أُحَرِّمُ حَلاَلاً وَلاَ أُحِلُّ حَرَامًا وَلَكِنْ وَاللَّهِ لاَ تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ وَبِنْتُ عَدُوِّ اللَّهِ مَكَانًا وَاحِدًا أَبَدًا ‏"‏ ‏.‏


‘Ali bin al-Hussain said that when they returned to Madeenah from Yazid bin Mu’awiyah the place of massacre of Al Hussain bin Ali(may Allaah be pleased with him) Al Miswar bin Makhramah met them and said “tell me if you have any need for me. I said to him “No”. He then said Will you not give me the sword of the Apostle of Allaah(ﷺ)? I fear the people may not take it from you by force. (He said) By Allaah if you give it to me no one can take it from me so long as I am alive. Ali bin Abi Talib (may Allaah be pleased with him) asked for the hand of Abu Jahl’s daughter in marriage after the marriage with Fathima. I heard the Apostle of Allaah(ﷺ) say while he was addressing the people about this matter on the pulpit and I was mature in those days. Fathima is from me and I am not afraid that she will be tried in respect of her religion. He then mentioned his other son-in-law who belonged to Banu ‘Abd Shams. He admired him immensely for his relationship with him and extolled him well. He said “He talked to me and talked truly and he made promise with me and fulfilled it. I do not make lawful what Is unlawful and unlawful what is lawful. But, by Allaah the daughter of the Apostle of Allaah(ﷺ) and the daughter of the enemy of Allaah can never be combined together.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫৮. ঐ পঞ্চমাংশ, যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) গনীমতের মাল হতে নিতেন, কোথায় কোথায় তা বন্টন করতেন এবং নিকটাত্নীয়দের হক সম্পর্কে।

২৯৭৯. আহমদ ইবন মুহাম্মদ মারওয়াযী (রহঃ) ..... আলী ইবন হুসায়ন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উপরোক্ত হাদীছে বর্ণিত ঘটনা সম্পর্কে বলেনঃ তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে কোন খাদিম দেননি।

باب فِي بَيَانِ مَوَاضِعِ قَسْمِ الْخُمُسِ وَسَهْمِ ذِي الْقُرْبَى

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ وَلَمْ يُخْدِمْهَا ‏.‏


The tradition mentioned above has also been transmitted by ‘Ali bin Hussain through a different chain of narrators. This version adds “He (the Prophet) did not provide her with a slave.”


পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

২৩২১. কুতায়বা (রহঃ) ...... আলী ইবন হুসায়ন (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন একজনের ইসলামী গুনের অন্যতম হল অনর্থক বিষয় পরিত্যাগ করা। পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩১৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

যুহরী (রহঃ)-এর একাধিক শাগরিদ যুহরী-আলী ইবন হুসায়ন (রহঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মালিক (রহঃ)-এর হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

باب

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنَّ مِنْ حُسْنِ إِسْلاَمِ الْمَرْءِ تَرْكَهُ مَا لاَ يَعْنِيهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ الزُّهْرِيِّ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ مُرْسَلاً وَهَذَا عِنْدَنَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ‏.‏ وَعَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ لَمْ يُدْرِكْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ ‏.‏


Ali bin Al-Husain narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said: "Surely, of the excellence of a person's Islam is that he leaves what does not concern him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৩/১১. ই‘তিকাফরত স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর দেখা করা।

২০৩৮. ‘আলী ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহধর্মিণী সাফিয়্যাহ (রাযি.) বর্ণনা করেন, নবী (ই‘তিকাফ অবস্থায়) মসজিদে অবস্থান করছিলেন, ঐ সময় তাঁর নিকট তাঁর সহধর্মিণীগণ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা যাওয়ার জন্য রওয়ানা হন। তিনি (আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ) সাফিয়্যাহ বিনতে হুয়ায়্যীকে বললেনঃ তুমি তাড়াতাড়ি করো না। আমি তোমার সাথে যাব। তাঁর [সাফিয়্যাহ (রাযি.)]-এর ঘর ছিল উসামার বাড়িতে। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে সঙ্গে করে বের হলেন। এমতাবস্থায় দু’জন আনসার ব্যক্তির সাক্ষাৎ ঘটলে তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে দেখতে পেয়ে (দ্রুত) আগে বেড়ে গেলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দু’জনকে বললেনঃ তোমরা এদিকে আস। এতো সাফিয়্যাহ বিন্তু হুয়ায়্যী। তাঁরা দু’জন বলে উঠলেন, সুবহানাল্লাহ হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ শয়তান মানুষের শরীরে রক্তের মত চলাচল করে। আমি আশঙ্কা করলাম যে, সে তোমাদের মনে কিছু সন্দেহ ঢুকিয়ে দিবে। (২০৩৫)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৯৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৯০৭)

بَاب زِيَارَةِ الْمَرْأَةِ زَوْجَهَا فِي اعْتِكَافِهِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عُفَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ خَالِدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ أَنَّ صَفِيَّةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ ح حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ كَانَ النَّبِيُّ فِي الْمَسْجِدِ وَعِنْدَهُ أَزْوَاجُهُ فَرُحْنَ فَقَالَ لِصَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ لاَ تَعْجَلِي حَتَّى أَنْصَرِفَ مَعَكِ وَكَانَ بَيْتُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ فَخَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَعَهَا فَلَقِيَهُ رَجُلاَنِ مِنْ الأَنْصَارِ فَنَظَرَا إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ أَجَازَا وَقَالَ لَهُمَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم تَعَالَيَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ قَالاَ سُبْحَانَ اللهِ يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنْ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يُلْقِيَ فِي أَنْفُسِكُمَا شَيْئًا


Narrated `Ali bin Al-Husain (from Safiya the Prophet's wife): The wives of the Prophet (ﷺ) were with him in the mosque (while he was in I`tikaf) and then they departed and the Prophet (ﷺ) said to Safiya bint Huyai, "Don't hurry up, for I shall accompany you," (and her dwelling was in the house of Usama). The Prophet (ﷺ) went out and in the meantime two Ansari men met him and they looked at the Prophet (ﷺ) and passed by. The Prophet (ﷺ) said to them, "Come here. She is (my wife) Safiya bint Huyai." They replied, "Subhan Allah, (How dare we think of evil) O Allah's Apostle! (we never expect anything bad from you)." The Prophet (ﷺ) replied, "Satan circulates in the human being as blood circulates in the body, and I was afraid lest Satan might insert an evil thought in your minds."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৪. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের ঘর এবং যে সব ঘর তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত সে সবের বর্ণনা।

৩১০১. ‘আলী ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী সাফিয়্যা (রাঃ) তাঁকে জানিয়েছেন যে, তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য আসেন। তখন তিনি রমাযানের শেষ দশকে মসজিদে ই‘তিকাফ অবস্থায় ছিলেন। অতঃপর যখন তিনি ফিরে যাবার জন্য উঠে দাঁড়ান, তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও তাঁর সঙ্গে উঠে দাঁড়ালেন। যখন তিনি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অপর স্ত্রী উম্মু সালামাহ (রাঃ)-এর দরজার নিকটবর্তী মসজিদের দরজার নিকট পৌঁছলেন তখন দু’জন আনসার তাঁদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের উদ্দেশ্যে বললেন, একটু থাম, (এ মহিলা আমার স্ত্রী তারা বলল, সুবহানাল্লাহ! হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এ রকম বলাটা তাদের নিকট কষ্টদায়ক মনে হল। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘শয়তান মানুষের রক্ত কণিকার মত সর্বত্র বিচরণ করে। আমি আশঙ্কা করেছিলাম, না জানি সে তোমাদের মনে কোন সন্দেহ জাগ্রত করে দেয়।’ (২০৩৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৬৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৭৯)

بَابُ مَا جَاءَ فِيْ بُيُوْتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ وَمَا نُسِبَ مِنْ الْبُيُوْتِ إِلَيْهِنَّ

حَدَّثَنَا سَعِيْدُ بْنُ عُفَيْرٍ قَالَ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ قَالَ حَدَّثَنِيْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ خَالِدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ أَنَّ صَفِيَّةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا جَاءَتْ رَسُوْلَ اللهِ تَزُوْرُهُ وَهُوَ مُعْتَكِفٌ فِي الْمَسْجِدِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ فَقَامَ مَعَهَا رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى إِذَا بَلَغَ قَرِيْبًا مِنْ بَابِ الْمَسْجِدِ عِنْدَ بَابِ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِهِمَا رَجُلَانِ مِنْ الأَنْصَارِ فَسَلَّمَا عَلَى رَسُوْلِ اللهِ ثُمَّ نَفَذَا فَقَالَ لَهُمَا رَسُوْلُ اللهِ عَلَى رِسْلِكُمَا قَالَا سُبْحَانَ اللهِ يَا رَسُوْلَ اللهِ وَكَبُرَ عَلَيْهِمَا ذَلِكَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ الشَّيْطَانَ يَبْلُغُ مِنْ الْإِنْسَانِ مَبْلَغَ الدَّمِ وَإِنِّيْ خَشِيْتُ أَنْ يَقْذِفَ فِيْ قُلُوْبِكُمَا شَيْئًا


Narrated Safiya: (the wife of the Prophet) That she came to visit Allah's Messenger (ﷺ) while he was in I`tikaf (i.e. seclusion in the Mosque during the last ten days of Ramadan). When she got up to return, Allah's Messenger (ﷺ) got up with her and accompanied her, and when he reached near the gate of the Mosque close to the door (of the house) of Um Salama, the wife of the Prophet, two Ansari men passed by them and greeted Allah's Apostle and then went away. Allah's Messenger (ﷺ) addressed them saying, "Don't hurry! (She is my wife)," They said, "Glorified be Allah! O Allah's Messenger (ﷺ) (You are far away from any suspicion)," and his saying was hard on them. Allah's Messenger (ﷺ) said, "Satan circulates in the mind of a person as blood does (in his body). I was afraid that Satan might put some (evil) thoughts in your minds."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫৭/৫. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বর্ম, লাঠি, তরবারী, পেয়ালা ও মুহর এবং তাঁর পরের খলীফাগণ সে সব দ্রব্য হতে যা ব্যবহার করেছেন, আর যেগুলোর বণ্টনের কথা অনুল্লেখিত রয়েছে এবং তাঁর চুল, পাদুকা ও পাত্র নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাতের পর তাঁর সাহাবীগণ ও অন্যরা যাতে শরীক ছিলেন।

৩১১০. ‘আলী ইবনু হুসাইন (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন তাঁরা ইয়াযীদ ইবনু মু'আবিয়াহর নিকট হতে হুসাইন (রাঃ)-এর শাহাদাতের পর মদিনা্য় আসলেন, তখন তাঁর সঙ্গে মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ (রাঃ) মিলিত হলেন এবং বললেন, আপনার কি আমার নিকট কোন প্রয়োজন আছে? থাকলে বলুন। তখন আমি তাঁকে বললাম, না। তখন মিসওয়ার (রাঃ) বললেন, আপনি কি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরবারীটি দিবেন? আমার আশঙ্কা হয়, লোকেরা আপনাকে কাবু করে তা ছিনিয়ে নিবে। আল্লাহর কসম! আপনি যদি আমাকে এটি দেন, তবে আমার জীবন থাকা অবধি কেউ আমার নিকট হতে তা নিতে পারবে না। একবার ‘আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ) ফাতিমাহ (রাঃ) থাকা অবস্থায় আবূ জাহল কন্যাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন। আমি তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর মিম্বারে দাঁড়িয়ে লোকদের এ খুত্বা দিতে শুনেছি, আর তখন আমি সাবালক। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘ফাতিমা আমার হতেই। আমি আশঙ্কা করছি সে দ্বীনের ব্যাপারে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে পড়ে।’ অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানূ আবদে শামস গোত্রের এক জামাতার ব্যাপারে আলোচনা করেন। তিনি তাঁর জামাতা সম্পর্কে প্রশংসা করেন এবং বলেন, সে আমার সঙ্গে যা বলেছে, তা সত্য বলেছে, আমার সঙ্গে যে ওয়াদা করেছে, তা পূরণ করেছে। আমি হালালকে হারামকারী নই এবং হারামকে হালালকারী নই। কিন্তু আল্লাহর কসম! আল্লাহর রাসূলের মেয়ে এবং আল্লাহর দুশমনের মেয়ে একত্র হতে পারে না। (মুসলিম ৪৪/১৫ হাঃ ২৪৪৯, আহমাদ ১৮৯৪৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৮৮)

بَابُ مَا ذُكِرَ مِنْ دِرْعِ النَّبِيِّ وَعَصَاهُ وَسَيْفِهِ وَقَدَحِهِ وَخَاتَمِهِ وَمَا اسْتَعْمَلَ الْخُلَفَاءُ بَعْدَهُ مِنْ ذَلِكَ مِمَّا لَمْ يُذْكَرْ قِسْمَتُهُ وَمِنْ شَعَرِهِ وَنَعْلِهِ وَآنِيَتِهِ مِمَّا يَتَبَرَّكُ أَصْحَابُهُ وَغَيْرُهُمْ بَعْدَ وَفَاتِهِ

حَدَّثَنَا سَعِيْدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْجَرْمِيُّ حَدَّثَنَا يَعْقُوْبُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ حَدَّثَنَا أَبِيْ أَنَّ الْوَلِيْدَ بْنَ كَثِيْرٍ حَدَّثَهُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ الدُّؤَلِيِّ حَدَّثَهُ أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ حَدَّثَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ حُسَيْنٍ حَدَّثَهُ أَنَّهُمْ حِيْنَ قَدِمُوْا الْمَدِيْنَةَ مِنْ عِنْدِ يَزِيْدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ مَقْتَلَ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ لَقِيَهُ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ فَقَالَ لَهُ هَلْ لَكَ إِلَيَّ مِنْ حَاجَةٍ تَأْمُرُنِيْ بِهَا فَقُلْتُ لَهُ لَا فَقَالَ لَهُ فَهَلْ أَنْتَ مُعْطِيَّ سَيْفَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنِّيْ أَخَافُ أَنْ يَغْلِبَكَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ وَايْمُ اللهِ لَئِنْ أَعْطَيْتَنِيْهِ لَا يُخْلَصُ إِلَيْهِمْ أَبَدًا حَتَّى تُبْلَغَ نَفْسِيْ إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِيْ طَالِبٍ خَطَبَ ابْنَةَ أَبِيْ جَهْلٍ عَلَى فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلَام فَسَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ النَّاسَ فِيْ ذَلِكَ عَلَى مِنْبَرِهِ هَذَا وَأَنَا يَوْمَئِذٍ مُحْتَلِمٌ فَقَالَ إِنَّ فَاطِمَةَ مِنِّيْ وَأَنَا أَتَخَوَّفُ أَنْ تُفْتَنَ فِيْ دِيْنِهَا ثُمَّ ذَكَرَ صِهْرًا لَهُ مِنْ بَنِيْ عَبْدِ شَمْسٍ فَأَثْنَى عَلَيْهِ فِيْ مُصَاهَرَتِهِ إِيَّاهُ قَالَ حَدَّثَنِيْ فَصَدَقَنِيْ وَوَعَدَنِيْ فَوَفَى لِيْ وَإِنِّيْ لَسْتُ أُحَرِّمُ حَلَالًا وَلَا أُحِلُّ حَرَامًا وَلَكِنْ وَاللهِ لَا تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَبِنْتُ عَدُوِّ اللهِ أَبَدًا


Narrated `Ali bin Al-Husain: That when they reached Medina after returning from Yazid bin Mu'awaiya after the martyrdom of Husain bin `Ali (may Allah bestow His Mercy upon him), Al-Miswar bin Makhrama met him and said to him, "Do you have any need you may order me to satisfy?" `Ali said, "No." Al-Miswar said, Will you give me the sword of Allah's Messenger (ﷺ) for I am afraid that people may take it from you by force? By Allah, if you give it to me, they will never be able to take it till I die." When `Ali bin Abu Talib demanded the hand of the daughter of Abi Jahal to be his wife besides Fatima, I heard Allah's Messenger (ﷺ) on his pulpit delivering a sermon in this connection before the people, and I had then attained my age of puberty. Allah's Messenger (ﷺ) said, "Fatima is from me, and I am afraid she will be subjected to trials in her religion (because of jealousy)." The Prophet (ﷺ) then mentioned one of his son-in-law who was from the tribe of 'Abu Shams, and he praised him as a good son-in-law, saying, "Whatever he said was the truth, and he promised me and fulfilled his promise. I do not make a legal thing illegal, nor do I make an illegal thing legal, but by Allah, the daughter of Allah's Messenger (ﷺ) and the daughter of the enemy of Allah, (i.e. Abu Jahl) can never get together (as the wives of one man).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭৮/১২১. বিস্ময়ে ‘আল্লাহু আকবার’ অথবা ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা।

৬২১৯. ’আলী ইবনু হুসায়ন (রহঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী সফীয়্যাহ বিন্ত হুইয়াই (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রমাযানের শেষ দশ দিনে মসজিদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ই’তিকাফের অবস্থায় তিনি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলেন। তিনি রাতের প্রথম ভাগে কিছু সময় তাঁর সঙ্গে কথাবার্তার পর ফিরে যাবার জন্য উঠে দাঁড়ালেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে এগিয়ে দেয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালেন। শেষে যখন তিনি মসজিদের দরজার নিকট পৌঁছলেন, যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিবি উম্মু সালামাহর ঘরের নিকটে অবস্থিত, তখন তাঁদের পাশ দিয়ে আনসারের দু’জন লোক যাচ্ছিল। তাঁরা দু’জনেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম দিল এবং নিজ পথে রওয়ানা হল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বললেনঃ ধীরে চল। ইনি হলেন সফীয়্যাহ বিন্ত হুইয়াই। তারা বললোঃ সুবহানাল্লাহ! হে আল্লাহর রাসূল। তাদের দু’জনের মনে তা গুরুত্বপূর্ণ মনে হল। তিনি বললেনঃ নিশ্চয়ই শয়ত্বন মানুষের রক্তের ভিতর চলাচল করে থাকে। তাই আমার আশঙ্কা হলো যে, সম্ভবতঃ সে তোমাদের অন্তরে সন্দেহ জাগিয়ে দিতে পারে। [২০৩৫] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৭৭৭,৫৭৭৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৬৭৩)

بَاب التَّكْبِيرِ وَالتَّسْبِيحِ عِنْدَ التَّعَجُّبِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ،‏.‏ وَحَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، قَالَ حَدَّثَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، أَنَّ صَفِيَّةَ بِنْتَ حُيَىٍّ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَزُورُهُ وَهْوَ مُعْتَكِفٌ فِي الْمَسْجِدِ فِي الْعَشْرِ الْغَوَابِرِ مِنْ رَمَضَانَ، فَتَحَدَّثَتْ عِنْدَهُ سَاعَةً مِنَ الْعِشَاءِ ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ، فَقَامَ مَعَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْلِبُهَا حَتَّى إِذَا بَلَغَتْ باب الْمَسْجِدِ الَّذِي عِنْدَ مَسْكَنِ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِهِمَا رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَسَلَّمَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَفَذَا، فَقَالَ لَهُمَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ عَلَى رِسْلِكُمَا، إِنَّمَا هِيَ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ ‏"‏‏.‏ قَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ‏.‏ وَكَبُرَ عَلَيْهِمَا‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنِ ابْنِ آدَمَ مَبْلَغَ الدَّمِ، وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا ‏"‏‏.‏


Narrated Safiya bint Huyai: The wife of the Prophet (ﷺ) that she went to Allah's Messenger (ﷺ) while he was in I`tikaf (staying in the mosque) during the last ten nights of the month of Ramadan. She spoke to him for an hour (a while) at night and then she got up to return home. The Prophet (ﷺ) got up to accompany her, and when they reached the gate of the mosque opposite the dwelling place of Um Salama, the wife of the Prophet, two Ansari men passed by, and greeting Allah's Messenger (ﷺ) , they quickly went ahead. Allah's Messenger (ﷺ) said to them, "Do not be in a hurry She is Safiya, the daughter of Huyai." They said, "Subhan Allah! O Allah's Messenger (ﷺ) (how dare we suspect you)." That was a great thing for both of them. The Prophet (ﷺ) then said, "Satan runs in the body of Adam's son (i.e. man) as his blood circulates in it, and I was afraid that he (Satan) might insert an evil thought in your hearts."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯৩/২১. বিচারক যদি নিজে বিবাদের সাক্ষী হয়, তা বিচারকের পদে অধিষ্ঠিত থাকার সময়েই হোক কিংবা তার আগে।

৭১৭১. ’আলী ইবনু হুসাইন (রহ.) হতে বর্ণিত। উম্মুল মু’মিনীন সফীয়্যাহ বিনত হুয়াই (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসেছিলেন। যখন তিনি ফিরে যাচ্ছিলেন তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথে সাথে হাঁটছিলেন। এমন সময় দু’জন আনসারী তাঁর পাশ দিয়ে অতিক্রম করল। তিনি তাঁদেরকে ডাকলেন এবং বললেনঃ এ হচ্ছে সফীয়্যাহ। তাঁরা বলল, সুবহানাল্লাহ্ (আমরা আপনার ব্যাপারে সন্দেহ করব নাকি?) তিনি বললেনঃ শয়তান বানী আদমের শিরায় শিরায় বিচরণ করে। শু’আয়ব ..... সফীয়্যাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।[1] [৭১৭১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৮৩)

بَاب الشَّهَادَةِ تَكُونُ عِنْدَ الْحَاكِمِ فِي وِلاَيَتِهِ الْقَضَاءَ أَوْ قَبْلَ ذَلِكَ لِلْخَصْمِ

عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأُوَيْسِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَتَتْهُ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ فَلَمَّا رَجَعَتْ انْطَلَقَ مَعَهَا فَمَرَّ بِهِ رَجُلاَنِ مِنْ الأَنْصَارِ فَدَعَاهُمَا فَقَالَ إِنَّمَا هِيَ صَفِيَّةُ قَالاَ سُبْحَانَ اللهِ قَالَ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنْ ابْنِ آدَمَ مَجْرَى الدَّمِ رَوَاهُ شُعَيْبٌ وَابْنُ مُسَافِرٍ وَابْنُ أَبِي عَتِيقٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ يَحْيَى عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عَلِيٍّ يَعْنِي ابْنَ حُسَيْنٍ عَنْ صَفِيَّةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.


Narrated `Ali bin Husain: Safiya bint (daughter of) Huyai came to the Prophet (in the mosque), and when she returned (home), the Prophet (ﷺ) accompanied her. It happened that two men from the Ansar passed by them and the Prophet called them saying, "She is Safiya!" those two men said, "Subhan Allah!" The Prophet (ﷺ) said, "Satan circulates in the human body as blood does."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৪/১৫. ফাতিমা বিনতু নাবী (ﷺ)-এর মর্যাদা।

১৫৯১, ’আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, যখন তারা ইয়াযীদ ইবনু মুআবিয়াহ’র নিকট হতে হুসাইন (রাঃ)-এর শাহাদাতের পর মদীনায় আসলেন, তখন তাঁর সঙ্গে মিসওয়ার ইবনু মাখামাহ (রাঃ) মিলিত হলেন এবং বললেন, আপনার কি আমার নিকট কোন প্রয়োজন আছে? থাকলে বলুন। তখন আমি তাকে বললাম, না। তখন মিসওয়ার আগে বললেন, আপনি কি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরবারীটি দিবেন? আমার আশঙ্কা হয়, লোকরা আপনাকে কাবু করে তা ছিনিয়ে নিবে। আল্লাহর কসম! আপনি যদি আমাকে এটি দেন, তবে আমার জীবন থাকা অবধি কেউ আমার নিকট নিকট হতে তা নিতে পারবে না।

একবার ’আলী ইবনু আবু তালিব (রাঃ) ফাতিমাহ (রাঃ) থাকা অবস্থায় আবু জাহল কন্যাকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন। আমি তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর মিম্বারে দাঁড়িয়ে লোকদের এ খুতবা দিতে শুনেছি, আর তখন আমি সাবালক। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’ফাতিমা আমার হতেই। আমি আশঙ্কা করছি সে দীনের ব্যাপারে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়ে পড়ে। অতঃপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানূ আবদে শামস গোত্রের এক জামাতার ব্যাপারে আলোচনা করেন। তিনি তাঁর জামাতা সম্পর্কে প্রশংসা করেন এবং বলেন, সে আমার সঙ্গে যা বলেছে, তা সত্য বলেছে, আমার সঙ্গে যে ওয়াদা করেছে, তা পূরণ করেছে। আমি হালালকে হারামকারী নই এবং হারামকে হালালকারী নই। কিন্তু আল্লাহর কসম! আল্লাহর রসূলের মেয়ে এবং আল্লাহর দুশমনের মেয়ে একত্র হতে পারে না।

فاطمة بنت النبيّ عليها الصلاة والسلام

حديث الْمِسْوَرِ بْنِ مَخْرَمَةَ عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ عَلِيَّ بْنَ حُسَيْنٍ حَدَّثَهُ أَنَّهُمْ حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ، مِنْ عِنْدِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ، مَقْتَلَ حُسَيْنِ بْنِ عَلَيٍّ، رَحْمَةُ اللهِ عَلَيْهِ، لَقِيَهُ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ، فَقَالَ لَهُ: هَلْ لَكَ إِلَيَّ مِنْ حَاجَةٍ تَأْمُرُنِي بِهَا فَقُلْتُ لَهُ: لاَ فَقَالَ لَهُ: هَلْ أَنْتَ مُعْطِيَّ سَيْفَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَغْلِبَكَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ وَايْمُ اللهِ لَئِنْ أَعْطَيْتَنِيهِ، لاَ يُخْلَصُ إِلَيْهِمْ أَبدًا حَتَّى تُبْلَغَ نَفْسِي إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ خَطَبَ ابْنَةَ أَبِي جَهْلٍ عَلَى فَاطِمَةَ عَلَيْهَا السَّلاَمُ فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَخْطُبُ النَّاسَ فِي ذَلِكَ، عَلَى مِنْبَرِهِ هذَا، وَأَنَا يَوْمَئِذٍ مُحْتَلِمٌ فَقَالَ: إِنَّ فَاطِمَةَ مِنِّي، وَأَنَا أَخَافُ أَنْ تُفْتَنَ فِي دِينِهَا ثُمَّ ذَكَرَ صِهْرًا لَهُ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ، فَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي مُصَاهَرَتِهِ إِيَّاهُ، قَالَ: حَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي، وَوَعَدَنِي فَوَفَى لِي، وَإِنِّي لَسْتُ أُحَرِّمُ حَلاَلاً، وَلاَ أُحِلُّ حَرَامًا، وَلكِنْ، وَاللهِ لاَ تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَبِنْتُ عَدُوِّ اللهِ أَبَدًا


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯. কোন লোককে নারীদের সঙ্গে একাকী দেখা পেলে এবং সে মহিলা তার স্ত্রী বা তার মাহরাম হলে কুধারণাকে দমনের জন্য এ স্ত্রীলোক অমুক বলে দেয়া মুস্তাহাব

৫৫৭৩-(২৫/…) আবদুল্লাহ ইবনু ’আবদুর রহমান আদ দারিমী (রহঃ) ..... আলী ইবনু হুসায়ন (রহঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী সাফিয়্যাহ (রাযিঃ) তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, রমাযানের শেষ দশকে মসজিদে (নবাবীতে) রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইতিকাফের সময় তিনি তার সাথে দেখা করতে গেলেন। তিনি তার সাথে কিছু সময় আলোচনা করলেন, তারপর প্রত্যাবর্তনের জন্যে উঠে দাঁড়ালেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও তাকে বিদায় দিতে উঠে দাড়ালেন .....। অতঃপর (পূর্ববর্তী হাদীসের রাবী) মা’মার (রহঃ) বর্ণিত হাদীসের মর্মানুযায়ী হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া তিনি বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন শাইতান মানুষের রক্ত সঞ্চারণের শিরায় শিরায় পৌঁছে। "প্রবাহিত হয়" বলেননি। (বরং তিনি এ বর্ণনায়يَبْلُغُ مَبْلَغَ الدَّمِ বলেছেন, তিনিيَجْرِي বলেননি।) (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ৫৪৯২, ইসলামিক সেন্টার ৫৫১৭)

باب بَيَانِ أَنَّهُ يُسْتَحَبُّ لِمَنْ رُئِيَ خَالِيًا بِامْرَأَةٍ وَكَانَتْ زَوْجَةً أَوْ مَحْرَمًا لَهُ

وَحَدَّثَنِيهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، أَنَّ صَفِيَّةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا جَاءَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَزُورُهُ فِي اعْتِكَافِهِ فِي الْمَسْجِدِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فَتَحَدَّثَتْ عِنْدَهُ سَاعَةً ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ وَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقْلِبُهَا ‏.‏ ثُمَّ ذَكَرَ بِمَعْنَى حَدِيثِ مَعْمَرٍ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَبْلُغُ مِنَ الإِنْسَانِ مَبْلَغَ الدَّمِ ‏"‏ ‏.‏ وَلَمْ يَقُلْ ‏"‏ يَجْرِي ‏"‏ ‏.‏


This hadith has been reported on the authority of Safiyya, the wife of Allah's Apostle (ﷺ), through another chain of transmitters (and the words) are: " She went to Allah's Apostle (ﷺ) to visit him as he was observing I'tikaf in the mosque during Ramadan. She talked with him for some time and then stood up to go back and Allikh's Apostle (ﷺ) stood up in order to bid her good-bye." The rest of the hadith is the same except with the variation of the words that Allah's Apostle (ﷺ) said:" Satan penetrates in man like the penetration of blood (in every part of body)."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫. নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কন্যা ফাতিমাহ্ (রাযিঃ) এর ফযীলত

৬২০৩-(৯৫/...) আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ) ...... আলী ইবনু হুসায়ন (রহঃ) হতে রিওয়ায়াত করেন যে, হুসায়ন ইবনু আলী (রাযিঃ) এর শাহাদতের পর ইয়াযীদ ইবনু মু’আবিয়াহ (রাযিঃ) এর নিকট হতে তারা যখন মদীনায় এলেন, মিসওয়ার ইবনু মাখরামাহ্ তখন তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন এবং তাকে বললেন, আপনার কোন প্রয়োজন থাকলে আমাকে বলবেন। আমি বললাম, না। মিসওয়ার বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তলোয়ারটি কি আপনি আমাকে দান করবেন? কেননা আমার ভয় হয় যে, লোকেরা এটি আপনার নিকট হতে আয়ত্ত করে নিবে। আল্লাহর শপথ আপনি যদি সে তলোয়ারটি আমাকে দিয়ে দেন তাহলে যতক্ষণ আমার জীবন থাকে এটি কেউ ছুইতে পারবে না। (মিসওয়ার আরো বলেন)

ফাতিমার জীবিতাবস্থায় আলী (রাযিঃ) আবূ জাহলের মেয়েকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তখন আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ ব্যাপার নিয়ে মানুষদের সম্মুখে মিম্বারে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দিতে শুনেছি। আমি তখন সদ্য বালিগ বয়সের। তখন তিনি বললেন, ফাতিমাহ আমারই অংশ। আমার আশঙ্কা হচ্ছে, সে তার দীনের সম্পর্কে ফিতনায় না পতিত হয়। তারপর তিনি আবদ-ই-শামস গোষ্ঠীয় তার জামাতার আলোচনা করলেন, তার আত্মীয়তার প্রশংসা করলেন এবং বললেন, সে আমায় যা বলেছে সত্য বলেছে, সে আমার সাথে ওয়াদা করেছে, আর তা পালন করেছে। আর আমি কোন হালালকে হারাম করি না, বা হারামকে হালাল করি না, তবে আল্লাহর শপথ! আল্লাহর রসূলের কন্যা এবং আল্লাহর শত্রুর কন্যা কক্ষনো এক স্থানে একত্র হতে পারে না। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬০৮৮, ইসলামিক সেন্টার ৬১২৮)

باب فَضَائِلِ فَاطِمَةَ بِنْتِ النَّبِيِّ عَلَيْهَا الصَّلاَةُ وَالسَّلاَمُ ‏‏

حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، أَخْبَرَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ حَلْحَلَةَ الدُّؤَلِيُّ، أَنَّ ابْنَ شِهَابٍ، حَدَّثَهُ أَنَّ عَلِيَّ بْنَ الْحُسَيْنِ حَدَّثَهُ أَنَّهُمْ، حِينَ قَدِمُوا الْمَدِينَةَ مِنْ عِنْدِ يَزِيدَ بْنِ مُعَاوِيَةَ مَقْتَلَ الْحُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ رضى الله عنهما لَقِيَهُ الْمِسْوَرُ بْنُ مَخْرَمَةَ فَقَالَ لَهُ هَلْ لَكَ إِلَىَّ مِنْ حَاجَةٍ تَأْمُرُنِي بِهَا قَالَ فَقُلْتُ لَهُ لاَ ‏.‏ قَالَ لَهُ هَلْ أَنْتَ مُعْطِيَّ سَيْفَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِنِّي أَخَافُ أَنْ يَغْلِبَكَ الْقَوْمُ عَلَيْهِ وَايْمُ اللَّهِ لَئِنْ أَعْطَيْتَنِيهِ لاَ يُخْلَصُ إِلَيْهِ أَبَدًا حَتَّى تَبْلُغَ نَفْسِي إِنَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ خَطَبَ بِنْتَ أَبِي جَهْلٍ عَلَى فَاطِمَةَ فَسَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ يَخْطُبُ النَّاسَ فِي ذَلِكَ عَلَى مِنْبَرِهِ هَذَا وَأَنَا يَوْمَئِذٍ مُحْتَلِمٌ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ فَاطِمَةَ مِنِّي وَإِنِّي أَتَخَوَّفُ أَنْ تُفْتَنَ فِي دِينِهَا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ ذَكَرَ صِهْرًا لَهُ مِنْ بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ فَأَثْنَى عَلَيْهِ فِي مُصَاهَرَتِهِ إِيَّاهُ فَأَحْسَنَ قَالَ ‏"‏ حَدَّثَنِي فَصَدَقَنِي وَوَعَدَنِي فَأَوْفَى لِي وَإِنِّي لَسْتُ أُحَرِّمُ حَلاَلاً وَلاَ أُحِلُّ حَرَامًا وَلَكِنْ وَاللَّهِ لاَ تَجْتَمِعُ بِنْتُ رَسُولِ اللَّهِ وَبِنْتُ عَدُوِّ اللَّهِ مَكَانًا وَاحِدًا أَبَدًا ‏"‏ ‏.‏


(Imam Zain-ul-'Abidin) 'Ali b. Husain reported that when they came to Medina from Yazid b. Mu'awiya after the martyrdom of Husain b. 'Ali (Allah be pleased with him) Miswar b. Makhramah met him and said to him: Is there any work for me which you ask me to do? I said to him: No. He again said to me: Would you not give me the sword of Allah's Messenger (ﷺ) for I fear that the people may snatch it from you? By Allah, if you give that to me, no one would be able to take it away, so long as there is life in me. Verily 'Ali b. Abi Talib sent a proposal of marriage to the daughter of Abu Jahl in spite of (the fact that his wife) Fatima (had been living in his house). Thereupon I heard Allah's Messenger (ﷺ) say while addressing the people on the pulpit. I was adolescing in those days. He said: Fatima is a part of me and I fear that she may be put to trial in regard to religion. He then made a mention of his son-in law who had been from the tribe of 'Abd Shams and praised his behaviour as a son-in-law and said: Whatever he said to me he told the truth and whatever he promised he fulfilled it for me. I am not going to declare forbidden what is lawful and make lawful what is forbidden, but, by Allah, the daaghter of Allah's Messenger and the daughter of the enemy of Allah can never be combined at one place.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ‘আক্বীকার বর্ণনা

৪১৫৪-[৬] মুহাম্মাদ ইবনু ’আলী ইবনু হুসায়ন (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত যে, ’আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ) বলেছেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান এর পক্ষ হতে একটি বকরী দ্বারা ’আক্বীকাহ্ করলেন এবং বললেনঃ হে ফাতিমা! তার মাথাটি মুড়িয়ে দাও আর চুলের ওজন পরিমাণ রূপা সাদাকা করো। (’আলী (রাঃ) বলেনঃ) আমরা তার চুলগুলো ওজন করলাম। তার ওজন এক দিরহাম বা তার চেয়ে কিছু কম ছিল। (তিরমিযী)[1]

আর তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেনঃ এ হাদীসটি হাসান এবং গরীব, এটার সনদে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। কেননা মুহাম্মাদ ইবনু ’আলী ইবনু হুসায়ন (রহিমাহুল্লাহ) ’আলী ইবনু আবূ ত্বালিব (রাঃ)-এর সাক্ষাৎ লাভ করেননি।

وَعَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ عَنْ عَليّ بن أبي طَالب قَالَ: عَقَّ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنِ الْحَسَنِ بِشَاةٍ وَقَالَ: «يَا فَاطِمَةُ احْلِقِي رَأْسَهُ وَتَصَدَّقِي بِزِنَةِ شَعْرِهِ فِضَّةً» فَوَزَنَّاهُ فَكَانَ وَزْنُهُ دِرْهَمًا أَوْ بَعْضَ دِرْهَمٍ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَإِسْنَادُهُ لَيْسَ بِمُتَّصِلٍ لِأَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ لَمْ يُدْرِكْ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ

ব্যাখ্যাঃ হাফিয ‘আসকালানী (রহিমাহুল্লাহ) ‘‘আত্ তালযিস’’ নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, ফাতিমা বিনতু রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসান ও হুসায়ন (রাঃ)-এর মাথার চুল ওজন করেছিলেন। আর যায়নাব ও উম্মু কুলসূম (রাঃ) ওজন অনুপাতে রৌপ্য মুদ্রা সাদাকা করেছিলেন।

আবূ রাফি' (রাঃ) হতে বর্ণিত, ফাতিমা (রাঃ) যখন হাসান (রাঃ)-কে জন্ম দিলেন তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, হে আল্লাহর রসূল! আমার ছেলের মাথার চুল কি রক্ত দ্বারা মালিশ করে দিবো না? তিনি বললেন, না বরং তার চুল মুড়িয়ে ফেলো এবং উক্ত চুল ওজন করে সমপরিমাণ রৌপ্য মুদ্রা সাদাকা কর আহলুস্ সুফফাবাসীদের ওপর। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৪র্থ খন্ড, হাঃ ১৫১৯)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - জিহ্বার হিফাযাত, গীবত এবং গালমন্দ প্রসঙ্গে

৪৮৩৯-[২৮] ’আলী ইবনু হুসায়ন (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির ইসলামের সৌন্দর্য এই যে, সে অনর্থক কথা ও কাজ পরিত্যাগ করবে। (মালিক ও আহমাদ)[1]

وَعَنْ
عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِنْ حُسْنِ إِسْلَامِ الْمَرْءِ تَرْكُهُ مَا لَا يَعْنِيهِ» . رَوَاهُ مَالك وَأحمد

ব্যাখ্যাঃ একজন মুসলিমের ঈমান এবং ইসলামের পরিপূর্ণ সৌন্দর্যের সামগ্রিক রূপ হলো- সকল প্রকার অনর্থক অহেতুক কথাবার্তা এবং কর্ম বর্জন করা। সে আল্লাহর সকল নির্দেশের কাছে আত্মসমর্পণ করবে এবং তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। অনুরূপ সে সকল নিষেধাজ্ঞা থেকে সর্বদার জন্য দূরে থাকবে। হাদীসে উল্লেখিত تَرْكُهٗ مَا لَا يَعْنِيهِ এর ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ‘আল্লামা গাযালী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যেক্ষেত্রে তুমি নীরব থাকলে তোমার জীবন এবং সম্পদের কোন ক্ষতি হয় না, সেগুলোও বর্জন করে চলা। যেমন তুমি কোন বৈঠকে তোমার কোন সফরের ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে তোমার দেখা নদ-নদী, পাহাড়-পর্বত, খানা-পিনা এবং দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিদ্বানদের নানা ঘটনা প্রবাহ বর্ণনা করছ। তুমি যখন এগুলো বর্ণনা করবে তখন তাতে থাকবে অতিরঞ্জন, বাড়াবাড়ী, গীবত-নিন্দা ইত্যাদি।

সর্বোপরি ঐ সময়টুকু তুমি তো আল্লাহর জিকর থেকে বিরত থাকলে, যা ছিল তোমার জন্য কল্যাণকর।

হাদীসে উল্লেখ আছে, জান্নাতীগণ দুনিয়ায় আল্লাহর জিকরবিহীন যে সময় কাটিয়েছে তার জন্য যেরূপ আফসোস করবে এরূপ আফসোস আর অন্য কিছুর জন্যই করবে না। সুতরাং কোন কথা না বলে চুপ থাকাই নিরাপদ। এটা ঈমানের হিফাযাত এবং তাকওয়া। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৩১৭)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু হুসাইন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »