আবুল আজফা (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে টি

পরিচ্ছেদঃ ১১৩. বিবাহের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তির পাত্রী দেখা।

২১০২. মুহাম্মাদ ইবন উবায়দ ..... আবূ আল-আজফা আস সুলামী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমার (রাঃ) খুতবা প্রদানের সময় বলেন, তোমরা (স্ত্রীদের) মাহর নির্ধারণের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে না। যদি তা দুনিয়াতে সম্মানের বস্তু হত অথবা আল্লাহর নিকট তাকওয়ার বস্তু হত, তবে তা পাওয়ার যোগ্যতম ব্যক্তি হতেন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের এবং তাঁর কোন কন্যাদের জন্য বারো উকীয়ার অধিক পরিমাণ মাহর ধার্য করেননি।

باب فِي الرَّجُلِ يَنْظُرُ إِلَى الْمَرْأَةِ وَهُوَ يُرِيدُ تَزْوِيجَهَا

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ السُّلَمِيِّ، قَالَ خَطَبَنَا عُمَرُ رَحِمَهُ اللَّهُ فَقَالَ أَلاَ لاَ تُغَالُوا بِصُدُقِ النِّسَاءِ فَإِنَّهَا لَوْ كَانَتْ مَكْرُمَةً فِي الدُّنْيَا أَوْ تَقْوَى عِنْدَ اللَّهِ لَكَانَ أَوْلاَكُمْ بِهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَا أَصْدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ وَلاَ أُصْدِقَتِ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِهِ أَكْثَرَ مِنْ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً ‏.‏


AbulAjfa' as-Sulami said: Umar (Allah be pleased with him) delivered a speech to us and said: Do not go to extremes in giving women their dower, for if it represented honour in this world and piety in Allah's sight, the one of you most entitled to do so would have been the Prophet (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) did not marry any of his wives or gave any of his daughters in marriage for more than twelve uqiyahs.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবুল আজফা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৬. মাহরের ব্যাপারে ইনসাফ করা

৩৩৫২. আলী ইবন হুজুর ইবন আয়াস ইবন মুকাতিল ইবন মুশামরিখ ইবন খালিদ (রহঃ) ... আবুল আজফা (রহঃ) বলেন, উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ) বলেছেনঃ হুশিয়ার! তোমরা নারীর মাহরের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না, কেননা যদি তা দুনিয়ায় উত্তম কার্য হতো, তাহলে তোমাদের চেয়ে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার অধিক উপযুক্ত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন স্ত্রীকে বা তার কন্যাদের কারও বার আওকিয়ার অধিক মাহর দেননি। কোন ব্যক্তি তার স্ত্রীকে অধিক মাহর দান করে, শেষ পর্যন্ত ঐ স্ত্রীলোকের প্রতি ঐ ব্যক্তির অন্তরে শত্রুতার সৃষ্টি হয়। এমন কি সে বলে, তোমার জন্য আমি অনেক কষ্ট করেছি। রাবী বলেন, আমি ছিলাম জন্ম সূত্রে আরবী, তাই (عِلْقُ الْقِرْبَةِ) ’মশকের রশির অর্থ কি তা আমি বুঝি না। অপরজন তাকে বললোঃ তোমাদের যুদ্ধে যারা নিহত হয়, অথবা মারা যায়। বলা হয় যে, সে শহীদ হিসাবে মারা গেছে, সম্ভবত সে তার বাহনের পিঠে বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে, অথবা তার বাহনের পিঠে-হাওদা লাগিয়েছে স্বর্ণ ও চাঁদি দিয়ে পূর্ণ বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে। তাই তোমরা শহীদি মৃত্যু হয়েছে না বলে এরূপ বল, যেরূপ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তা হলো এইঃ যে আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয় অথবা মারা যায়, সে জান্নাতে প্ৰবেশ করবে।

الْقِسْطُ فِي الْأَصْدِقَةِ

أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرِ بْنِ إِيَاسِ بْنِ مُقَاتِلِ بْنِ مُشَمْرِخِ بْنِ خَالِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ أَيُّوبَ وَابْنِ عَوْنٍ وَسَلَمَةَ بْنِ عَلْقَمَةَ وَهِشَامِ بْنِ حَسَّانَ دَخَلَ حَدِيثُ بَعْضِهِمْ فِي بَعْضٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ قَالَ سَلَمَةُ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ نُبِّئْتُ عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ وَقَالَ الْآخَرُونَ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَلَا لَا تَغْلُوا صُدُقَ النِّسَاءِ فَإِنَّهُ لَوْ كَانَ مَكْرُمَةً وَفِي الدُّنْيَا أَوْ تَقْوَى عِنْدَ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ كَانَ أَوْلَاكُمْ بِهِ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَا أَصْدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ وَلَا أُصْدِقَتْ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِهِ أَكْثَرَ مِنْ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيُغْلِي بِصَدُقَةِ امْرَأَتِهِ حَتَّى يَكُونَ لَهَا عَدَاوَةٌ فِي نَفْسِهِ وَحَتَّى يَقُولَ كُلِّفْتُ لَكُمْ عِلْقَ الْقِرْبَةِ وَكُنْتُ غُلَامًا عَرَبِيًّا مُوَلَّدًا فَلَمْ أَدْرِ مَا عِلْقُ الْقِرْبَةِ قَالَ وَأُخْرَى يَقُولُونَهَا لِمَنْ قُتِلَ فِي مَغَازِيكُمْ أَوْ مَاتَ قُتِلَ فُلَانٌ شَهِيدًا أَوْ مَاتَ فُلَانٌ شَهِيدًا وَلَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ قَدْ أَوْقَرَ عَجُزَ دَابَّتِهِ أَوْ دَفَّ رَاحِلَتِهِ ذَهَبًا أَوْ وَرِقًا يَطْلُبُ التِّجَارَةَ فَلَا تَقُولُوا ذَاكُمْ وَلَكِنْ قُولُوا كَمَا قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قُتِلَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَوْ مَاتَ فَهُوَ فِي الْجَنَّةِ


It was narrated that Abu Al-'Ajfa' said: "Umar bin Al-Khattab said: 'Do not go to extremes with regard to the dowries of women, for if that were a sign of honor and dignity in this world, or a sign of piety before Allah, the Mighty and Sublime, then Muhammad would have done that before you. But he did not give any of his wives, and none of his daughters were given, more than twelve Uqiyyah. A man may increase the dowry until he feels resentment against her and says: You cost me everything I own ('Alaqul-Qirbah)'" "And I was a man born among the 'Arabs, but I did not know the meaning of 'Alaqul-Qirbah' and others of you are saying -about those killed in this or that battle of yours, or who died: 'So-and-so was martyred' or 'so and so died as a martyr.' While perhaps he merely overloaded the backside of his beast, or lined his saddle with gold or silver seeking trade. So do not say that, rather say as the Prophet said: 'Whoever is killed in the cause of Allah, or dies, then he is in Paradise.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুল আজফা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ অনুরূপ আরেকটি অধ্যায়।

১১১৫. ইবনু আবূ উমার (রহঃ) .... আবূল আজফা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, উমার ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, সাবধান, তোমরা উচ্চ হারে মহর নির্ধারণ করবে না। কেননা, উচ্চহারে মহর নির্ধারণ করা যদি দুনিয়ার কোন সম্মান বা আল্লাহর কাছে কোনরূপ তাকওয়াজনক বিষয় হত, তবে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই তোমাদের চাইতে বেশী এর উদ্যোগী হতেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন স্ত্রীর বিবাহে বা তাঁর কোন কন্যাকে বিবাহ দিতে গিয়ে বার উকিয়া স্বর্ণ মুদ্রার অধিক মহর নির্ধারণ করেছেন বলে আমি জানি না। - ইবনু মাজাহ ১৮৮৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১১৪/২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান-সাহীহ। ওয়াবী আবূল আজফা সুলামী-এর নাম হলো হারাম। আলিমগণের মতে চল্লিশ দিরহামে হলো এক উকিয়া। সুতরাং বার উকিয়া হলো চার শ’ আশি দিরহাম।

باب مِنْهُ

حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ السُّلَمِيِّ، قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أَلاَ لاَ تُغَالُوا صَدُقَةَ النِّسَاءِ فَإِنَّهَا لَوْ كَانَتْ مَكْرُمَةً فِي الدُّنْيَا أَوْ تَقْوَى عِنْدَ اللَّهِ لَكَانَ أَوْلاَكُمْ بِهَا نَبِيُّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَا عَلِمْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَكَحَ شَيْئًا مِنْ نِسَائِهِ وَلاَ أَنْكَحَ شَيْئًا مِنْ بَنَاتِهِ عَلَى أَكْثَرَ مِنْ ثِنْتَىْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو الْعَجْفَاءِ السُّلَمِيُّ اسْمُهُ هَرَمٌ ‏.‏ وَالأُوقِيَّةُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَرْبَعُونَ دِرْهَمًا وَثِنْتَا عَشْرَةَ أُوقِيَّةً أَرْبَعُمِائَةٍ وَثَمَانُونَ دِرْهَمًا ‏.‏


Abu Al-Ajfa (As-Salami) said: "Umar bin Al-Khattab said: 'Do not exaggerate in the dowries of women. If doing so was honorable in the world or Taqwa before Allah then Allah's Prophet would have been the first of you to do it. I do not know of the Messenger of Allah marrying any of his women, nor giving any of his daughters in marriage, for more than twelve Uqiyah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবুল আজফা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৯. মোহরানা সম্পর্কে

২১০৬। আবুল আজফা আস্-সুলামী (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা উমার (রাযি.) আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেন, সাবধান! তোমরা নারীদের মোহর নির্ধারণে সীমালঙ্ঘন করো না। কারণ যদি তা দুনিয়ার মর্যাদার বস্তু হতো এবং আল্লাহর নিকট পরহেযগারীর বস্তু হতো, তবে তোমাদের চেয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতেন এর যোগ্যতম ব্যক্তি। অথচ তিনি তাঁর স্ত্রীদের কারো মোহর এবং তাঁর কন্যাদের কারো মোহর বারো ঊকিয়ার অধিক ধার্য করেননি।[1]

হাসান সহীহ।

بَابُ الصَّدَاقِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِي الْعَجْفَاءِ السُّلَمِيِّ، قَالَ: خَطَبَنَا عُمَرُ رَحِمَهُ اللَّهُ، فَقَالَ: أَلَا لَا تُغَالُوا بِصُدُقِ النِّسَاءِ، فَإِنَّهَا لَوْ كَانَتْ مَكْرُمَةً فِي الدُّنْيَا، أَوْ تَقْوَى عِنْدَ اللَّهِ لَكَانَ أَوْلَاكُمْ بِهَا النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، مَا أَصْدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ، وَلَا أُصْدِقَتْ امْرَأَةٌ مِنْ بَنَاتِهِ أَكْثَرَ مِنْ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ أُوقِيَّةً

حسن صحيح


AbulAjfa' as-Sulami said: Umar (Allah be pleased with him) delivered a speech to us and said: Do not go to extremes in giving women their dower, for if it represented honour in this world and piety in Allah's sight, the one of you most entitled to do so would have been the Prophet (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) did not marry any of his wives or gave any of his daughters in marriage for more than twelve uqiyahs.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবুল আজফা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৪ পর্যন্ত, সর্বমোট ৪ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে