হাসান (Hasan) হাদিস পাওয়া গেছে 5419 টি

পরিচ্ছেদঃ কুরআন পাঠের ফযীলত

(১৪২৭) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পবিত্র কুরআনের পাঠক, হাফেয ও তার উপর আমলকারীকে (কিয়ামতের দিন) বলা হবে, তুমি কুরআন কারীম পড়তে থাক ও চড়তে থাক। আর ঠিক সেইভাবে স্পষ্ট ও ধীরে ধীরে পড়তে থাক, যেভাবে দুনিয়াতে পড়তে। কেননা, (জান্নাতের ভিতর) তোমার স্থান ঠিক সেখানে হবে, যেখানে তোমার শেষ আয়াতটি খতম হবে।

وَعَنْ عَبدِ اللهِ بنِ عَمرِو بنِ العَاصِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَيُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ : اِقْرَأْ وَارْتَقِ وَرَتِّلْ كَمَا كُنْتَ تُرَتِّلُ فِي الدُّنْيَا فَإِنَّ مَنْزِلَتَكَ عِنْدَ آخِرِ آيَةٍ تَقْرَؤُهَا رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حَسَنٌ صَحِيْحٌ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠের কারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা প্রসঙ্গে

(১৪৩৬) আবূ লুবাবাহ বাশীর ইবনে আব্দুল মুনযির (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মিষ্ট স্বরে কুরআন পড়ে না, সে আমাদের মধ্যে নয়। (অর্থাৎ আমাদের ত্বরীকা ও নীতি-আদর্শ বহির্ভূত।)

وَعَنْ أَبي لُبَابَةَ بَشِيرِ بنِ عَبدِ المُنذِرِ أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ لَيْسَ مِنَّا مَنْ لَمْ يَتَغَنَّ بِالْقُرْآنِ رواه أَبُو داود بإسنادٍ جيدٍ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৫০) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, এক ব্যক্তি নিবেদন করল, হে আল্লাহর রসূল! আমি এই (সূরা) ’ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ ভালবাসি। তিনি বললেন, এর ভালবাসা তোমাকে জানণাতে প্রবেশ করাবে।

وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَجُلاً قَالَ : يَا رَسُولَ اللهِ إِنِّي أُحِبُّ هَذِهِ السُّورَةَ قُلْ هُوَ اللهُ أحَدٌ قَالَ إنَّ حُبَّهَا أدْخَلَكَ الجَنَّةَ رواه الترمذي وقال حديث حسن ورواه البخاري في صَحِيحِهِ تعليقاً


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৫৩) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সূরা ফালাক্ব ও নাস অবতীর্ণ হবার পূর্ব পর্যন্ত নিজ ভাষাতে) জিন ও বদ নজর থেকে (আল্লাহর) আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। পরিশেষে যখন উক্ত সূরা দু’টি অবতীর্ণ হল, তখন ঐ সূরা দু’টি দ্বারা আশ্রয় প্রার্থনা করতে লাগলেন এবং অন্যান্য সব পরিহার করলেন।

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدْرِي قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللهِ ﷺ يَتَعَوَّذُ مِنَ الجَانِّ وَعَيْنِ الإِنْسَانِ حَتَّى نَزَلَتْ المُعَوِّذَتَانِ فَلَمَّا نَزَلَتَا، أَخَذَ بِهِمَا وَتَرَكَ مَا سِوَاهُمَا رواه الترمذي وقال حديث حسن


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ বিশেষ বিশেষ সূরা ও আয়াত পাঠ করার উপর উৎসাহ দান

(১৪৫৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কুরআনে ত্রিশ আয়াতবিশিষ্ট একটি সূরা এমন আছে, যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষাবধি তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে, সেটা হচ্ছে ’তাবা-রাকাল্লাযী বিয়্যাদিহিল মুলক’ (সূরা মুলক)।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ مِنَ القُرْآنِ سُورَةٌ ثَلاثُونَ آيَةً شَفَعَتْ لِرَجُلٍ حَتَّى غُفِرَ لَهُ، وَهِيَ: تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ المُلْكُ رواه أَبُو داود والترمذي، وقال حديث حسن


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১২/ কুরআন

পরিচ্ছেদঃ ব্যভিচার

(১৬৪৭) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তার দুই চোয়ালের মধ্যস্থিত অঙ্গ (জিহ্বা) ও দু’পায়ের মাঝখানের অঙ্গ (লজ্জাস্থান)এর ক্ষতি থেকে মুক্ত রাখবেন, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَقَاهُ اللهُ شَرَّ مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَشَرَّ مَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ دَخَلَ الجَنَّةَ رواه الترمذي وقَالَ حديث حسن


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৬/ দণ্ডবিধি

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৬৯৫) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই অভিশাপ দিলেন যে, সেই ব্যক্তির নাক ধূলা-ধূসরিত হোক, যার কাছে আমার নাম উল্লেখ করা হল, অথচ সে (আমার নাম শুনেও) আমার প্রতি দরূদ পড়ল না। (অর্থাৎ, ’স্বাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম’ বলল না।)

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ رَغِمَ أَنْفُ رَجُلٍ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ رواه الترمذي وقال حديث حسن


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ নবী (ﷺ) এর অধিকার, তাঁর প্রতি দরূদ ও সালাম পেশ করার আদেশ, তার মাহাত্ম্য ও শব্দাবলী

(১৭০০) আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রকৃত কৃপণ সেই ব্যক্তি, যার কাছে আমি উল্লিখিত হলাম (আমার নাম উচ্চারিত হল), অথচ সে আমার প্রতি দরূদ পাঠ করল না।

وَعَنْ عَلِيٍّ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ البَخِيلُ مَنْ ذُكِرْتُ عِنْدَهُ فَلَمْ يُصَلِّ عَلَيَّ رواه الترمذي وقَالَ حَدِيْثٌ حَسَنٌ صَحِيْحٌ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার

(১৭১৭) ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, ’আমার বিবাহ বন্ধনে এক স্ত্রী ছিল, যাকে আমি ভালবাসতাম। কিন্তু (আমার পিতা) উমার তাকে অপছন্দ করতেন। সুতরাং তিনি আমাকে বললেন, ’’তুমি ওকে ত্বালাক দাও।’’ কিন্তু আমি (তা) অস্বীকার করলাম। অতঃপর উমার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এলেন এবং এ কথা উল্লেখ করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাকে) বললেন, ’’তুমি ওকে ত্বালাক দিয়ে দাও।’’ (সুতরাং আমি তাকে ত্বালাক দিয়ে দিলাম।) (আবূ দাঊদ ৫১৪০, তিরমিযী ১১৮৯, হাসান সহীহ সূত্রে)

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : كَانَتْ تَحْتِي امْرَأةٌ وَكُنْتُ أحِبُّهَا وَكَانَ عُمَرُ يَكْرَهُهَا فَقَالَ لي : طَلِّقْهَا فَأبَيْتُ فَأتَى عُمَرُ النَّبيَّ ﷺ فَذَكَرَ ذلِكَ لَهُ فَقَالَ النَّبيّ ﷺ طَلِّقْهَارواه أَبُو داود والترمذي وَقالَ حديث حَسَنٌ صَحِيْحٌ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার

(১৭১৮) আবূ দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি তাঁর নিকট এসে বলল, ’আমার এক স্ত্রী আছে। আমার মা তাকে ত্বালাক দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন।’ আবূ দারদা বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, পিতা-মাতা জান্নাতের দুয়ারসমূহের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ দুয়ার। সুতরাং তুমি যদি চাও, তাহলে এ দুয়ারকে নষ্ট কর অথবা তার রক্ষণাবেক্ষণ কর।

وَعَن أَبي الدَّردَاءِ أَنَّ رَجُلاً أَتَاهُ قَالَ : إنّ لِي امرَأةً وإنّ أُمِّي تَأمُرُنِي بِطَلاقِهَا، فَقَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُالوَالِدُ أوْسَطُ أبْوَابِ الجَنَّةِ فَإنْ شِئْتَ فَأضِعْ ذلِكَ البَابَ أَو احْفَظْهُ رواه الترمذي وَقالَ حديث حَسَنٌ صَحِيْحٌ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবুদ দারদা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৭/ হক ও অধিকার

পরিচ্ছেদঃ বৈধ কাজে শাসকবৃন্দের আনুগত্য করা ওয়াজিব এবং অবৈধ কাজে তাদের আনুগত্য করা হারাম

(১৮২৭) মুআবিয়া (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি মারা গেল, অথচ তার কোন ইমাম (রাষ্ট্রীয়-নেতার বায়াত) নেই, সে আসলে জাহেলিয়াতের মরণ মারা গেল।

عَنْ مُعَاوِيَةَ أَنّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ مَاتَ وَلَيْسَ عَلَيْهِ إِمَامٌ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ ইবন আবূ সুফিয়ান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
১৮/ শাসন

পরিচ্ছেদঃ জিহাদ ওয়াজেব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

(১৯১৫) ফাযবালা ইবনে উবাইদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, প্রতিটি মৃত্যুগামী ব্যক্তির পরলোকগমনের পর তার কর্মধারা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু আল্লাহর রাস্তায় পাহারা রত ব্যক্তির নয়। কেননা, তার আমল কিয়ামতের দিন পর্যন্ত বৃদ্ধিপ্রাপ্ত করা হবে এবং সে কবরের পরীক্ষা থেকে নিষ্কৃতি পাবে।

وَعَنْ فَضَالَةَ بنِ عُبَيْدٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَكُلُّ مَيِّتٍ يُخْتَمُ عَلَى عَمَلِهِ إِلاَّ المُرَابِطَ فِي سَبيلِ اللهِ فَإِنَّهُ يُنْمَى لَهُ عَمَلهُ إِلَى يَوْمِ القِيَامَةِ وَيُؤَمَّنُ فِتْنَةَ القَبْرِرواه أَبُو داود والترمذي، وقال : حديث حَسَنٌ صَحِيْحٌ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ ফাযালা ইবন উবায়দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২০/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ

পরিচ্ছেদঃ জিহাদ ওয়াজেব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

(১৯১৬) উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, আল্লাহর পথে একদিন সীমান্তে পাহারা দেওয়া, অন্যত্র হাজার দিন পাহারা দেওয়া অপেক্ষা উত্তম।

وَعَن عُثمَانَ قَالَ : سَمِعْتُ رَسُول اللهِ ﷺ يَقُولرِبَاطُ يَوْمٍ في سَبيلِ اللهِ خَيْرٌ مِنْ ألْفِ يَوْمٍ فِيمَا سِوَاهُ مِنَ المَنَازِلِرواه الترمذي وقال حديث حَسَنٌ صَحِيْحٌ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ উসমান ইবন আফফান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২০/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ

পরিচ্ছেদঃ জিহাদ ওয়াজেব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

(১৯২১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একজন সাহাবী একটি দুই পাহাড়ের মধ্যবর্তী পথ দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। সে পথে ছিল একটি ছোট মিষ্টি পানির ঝর্ণা। সুতরাং তা তাঁকে মুগ্ধ ’রে তুলল। তিনি বললেন, ’আমি যদি লোকদের থেকে পৃথক হয়ে এই পাহাড়ী পথে বসবাস করতাম, (তাহলে ভাল হত)! তবে এ কাজ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুমতি ব্যতীত কখনই করব না।’ সুতরাং তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ কথা উল্লেখ করলেন। তিনি বললেন, ’’এরূপ করো না। কারণ, আল্লাহর রাস্তায় তোমাদের কোন ব্যক্তির (জিহাদ উপলক্ষ্যে) অবস্থান করা, নিজ ঘরে সত্তর বছর ব্যাপী নামায পড়া অপেক্ষা উত্তম। তোমরা কি চাও না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা ক’রে দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করান? অতএব আল্লাহর রাহে লড়াই কর। (জেনে রেখো,) যে ব্যক্তি আল্লাহর রাহে দু’বার উটনী দোহানোর মধ্যবর্তী সময় পরিমাণ জিহাদ করবে, তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যাবে।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : مَرَّ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ ﷺ بِشِعبٍ فِيهِ عُيَيْنَةٌ مِنْ مَاءٍ عَذْبَة فَأَعْجَبَتْهُ فَقَالَ : لَو اعْتَزَلْتُ النَّاسَ فَأَقَمْتُ فِي هَذَا الشِّعْبِ وَلَنْ أَفْعَلَ حَتَّى أَسْتَأْذِنَ رَسُولَ اللهِ ﷺ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللهِ ﷺ فَقَالَ لاَ تَفعَلْ؛ فَإِنَّ مُقامَ أَحَدِكُمْ في سَبيلِ اللهِ أَفْضَلُ مِنْ صَلاَتِهِ فِي بَيْتِهِ سَبْعِينَ عَاماً، أَلاَ تُحِبُّونَ أَنْ يَغْفِرَ الله لَكُمْ وَيُدْخِلَكُمُ الجَنَّةَ ؟ أُغْزُوا فِي سَبيلِ اللهِ، مَن قَاتَلَ فِي سَبِيلِ اللهِ فُوَاقَ نَاقَةٍ وَجَبَتْ لَهُ الجَنَّةُ رواه الترمذي، وقال حديث حسن


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২০/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ

পরিচ্ছেদঃ জিহাদ ওয়াজেব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

(১৯২৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সেই ব্যক্তি জাহান্নামে প্রবেশ করবে না, যে ব্যক্তি আল্লাহর ভয়ে কাঁদে; যতক্ষণ না দুধ স্তনে ফিরে না গেছে। (অর্থাৎ, দুধ স্তনে ফিরে যাওয়া যেমন অসম্ভব, তেমনি তার জাহান্নামে প্রবেশ করাও অসম্ভব।) আর একই বান্দার উপর আল্লাহর পথের ধূলা ও জাহান্নামের ধুঁয়া একত্র জমা হবে না।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ لاَ يَلِجُ النَّارَ رَجُلٌ بَكَى مِنْ خَشْيةِ اللهِ حَتَّى يَعُودَ اللَّبَنُ فِي الضَّرْعِ وَلاَ يَجْتَمِعُ عَلَى عَبْدٍ غُبَارٌ فِي سَبيلِ اللهِ وَدُخَانُ جَهَنَّمَ رواه الترمذي، وقال حديث حَسَنٌ صَحِيْحٌ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২০/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ

পরিচ্ছেদঃ জিহাদ ওয়াজেব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

(১৯৩২) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, দুই প্রকার চক্ষুকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে না। আল্লাহর ভয়ে যে চক্ষু ক্রন্দন করে। আর যে চক্ষু আল্লাহর পথে প্রহরায় রত থাকে।

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُعَيْنَانِ لاَ تَمسُّهُمَا النَّارُ : عَيْنٌ بَكَتْ مِنْ خَشْيَةِ اللهِ وَعَيْنٌ بَاتَتْ تَحْرُسُ فِي سَبيلِ اللهِرواه الترمذي وقال حديث حسن


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২০/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ

পরিচ্ছেদঃ জিহাদ ওয়াজেব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

(১৯৪১) আবূ উমামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সর্বোত্তম সাদকাহ আল্লাহর রাহে তাঁবুর ছায়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া, (যার দ্বারা মুজাহিদ উপকৃত হয়)। আর আল্লাহর রাস্তায় কোন খাদেম দান করা (যার দ্বারা মুজাহিদ সেবা গ্রহণ করে। কিংবা আল্লাহর পথে (গর্ভধারণের উপযুক্ত হৃষ্টপুষ্ট) উটনী দান করা, (যার দুধ দ্বারা মুজাহিদ উপকৃত হয়)।

وَعَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ أَفْضَلُ الصَّدَقَاتِ ظِلُّ فُسْطَاطٍ فِي سَبِيلِ اللهِ وَمَنِيحَةُ خَادِمٍ فِي سَبِيلِ اللهِ أَوْ طَرُوقَةُ فَحلٍ فِي سَبِيلِ اللهِ رواه الترمذي وقال حديث حَسَنٌ صَحِيْحٌ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ উমামাহ্ বাহিলী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২০/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ

পরিচ্ছেদঃ জিহাদ ওয়াজেব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

(১৯৫৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, শহীদ হত্যার আঘাত ঠিক সেইরূপ অনুভব করে, যেরূপ তোমাদের কেউ চিমটি কাটার বা পিপীলিকার কামড়ের আঘাত অনুভব করে।

وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَا يَجِدُ الشَّهِيدُ مِنْ مَسِّ القَتْلِ إِلاَّ كَمَا يَجِدُ أَحَدُكُمْ مِنْ مَسِّ القَرْصَةِ رواه الترمذي وقال حديث حَسَنٌ صَحِيْحٌ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২০/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ

পরিচ্ছেদঃ জিহাদ ওয়াজেব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

(১৯৬২) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন যুদ্ধ করতেন, তখন এই দু’আ পড়তেন, ’আল্লা-হুম্মা আন্তা আযবুদী অনাস্বীরী, বিকা আহূলু অবিকা আসূবলু অবিকা উক্বা-তিল।’

অর্থাৎ, হে আল্লাহ! তুমিই আমার বাহুবল এবং তুমিই আমার মদদগার। তোমার মদদেই আমি (শত্রুঘ্ন) কৌশল গ্রহণ করি, তোমারই সাহায্যে দুশমনের উপর আক্রমণ করি এবং তোমারই সাহায্যে যুদ্ধ চালাই।

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللهِ ﷺ إِذَا غَزَا قَالَ اللَّهُمَّ أَنْتَ عَضُدِي وَنَصِيرِي بِكَ أَحُولُ وَبِكَ أَصُولُ وَبِكَ أُقَاتِلُ رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حسن


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২০/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ

পরিচ্ছেদঃ জিহাদ ওয়াজেব এবং তাতে সকাল-সন্ধ্যার মাহাত্ম্য

(১৯৭২) আমর ইবনে আবাসাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহর রাস্তায় একটি তীর নিক্ষেপ করে, তার জন্য একটি গোলাম আযাদ করার সমান নেকী হয়।

وَعَن عَمرٍو بنِ عَبَسَة قَالَ : سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُمَنْ رَمَى بِسَهمٍ فِي سَبِيلِ الله فَهُوَ لَهُ عِدْلُ مُحَرَّرَةٍ رواه أَبُو داود والترمذي وقال حديث حَسَنٌ صَحِيْحٌ


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবন আবাসা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
হাদীস সম্ভার
২০/ (আল্লাহর পথে) জিহাদ
দেখানো হচ্ছেঃ ৪৭৮১ থেকে ৪৮০০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫৪১৯ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 · · · 237 238 239 240 241 · · · 268 269 270 271 পরের পাতা »