হাসান (Hasan) হাদিস পাওয়া গেছে 5052 টি

পরিচ্ছেদঃ ১. পানি - জীবিত প্রাণী হতে কর্তিক অংশ মৃত প্রাণী বলে গণ্য

১৫। আবূ ওয়াকিদ আল-লায়সী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’জীবিত কোন জন্তুর শরীরের অংশ বিশেষ কেটে নেয়ার পর তা (পশুটি) জীবিত থাকলে সেটা (কাটা অংশ) মৃত গন্য করা হবে। (অথাৎ ঐ অংশটি হারাম।) আবূ দাউদ ও তিরমিযী এটি বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী এটিকে হাসান বলেছেন এবং শব্দ বিন্যাস তারই। (তিরমিযী হাদীসটিকে হাসান বলেছেন)[1]

وَعَنْ أَبِي وَاقِدٍ اللَّيْثِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم: «مَا قُطِعَ مِنَ الْبَهِيمَةِ - وَهِيَ حَيَّةٌ - فَهُوَ مَيِّتٌ. أَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ, وَالتِّرْمِذِيُّ وَحَسَّنَهُ, وَاللَّفْظُ لَهُ

-

حسن. رواه أبو داود (2858)، الترمذي (1480)، من طريق عطاء بن يسار، عن أبي واقد الليثي قال: قدم رسول الله صلى الله عليه وسلم المدينة، والناس يجبون أسنمة الإبل، ويقطعون أليات الغنم، فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكر الحديث


Narrated Abu Waqid Al-Laithi: Narrated Abu Waqid Al-Laithi (rad): Allah’s Messenger (ﷺ) said: “Whatever (portion) is cut off from an animal when it is alive is dead (meat). [Reported by Abu Da’ud and At-Tirmidhi who graded it Hasan (fair) and this version is of Tirmidhi].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ ওয়াকিদ আল-লায়সী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ১ঃ পবিত্রতা (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ৩. নাজাসাত (অপবিত্রতা) দূরীকরণ ও তার বিবরণ - (মহিলাদের) ঋতুস্রাব রক্তের কাপড় পবিত্রকরণের পদ্ধতি

৩১। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, খাওয়ালাহ বিনতে ইয়াসার (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! যদি রক্ত-চিহ্ন দূর না হয়? তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, ’কেবল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলাই যথেষ্ট, রক্তচিহ্ন তোমার কোন ক্ষতি করবে না’।—তিরমিযী দুর্বল সানাদে বর্ণনা করেছেন।[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَتْ خَوْلَةُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ, فَإِنْ لَمْ يَذْهَبْ الدَّمُ? قَالَ: «يَكْفِيكِ الْمَاءُ, وَلَا يَضُرُّكِ أَثَرُهُ». أَخْرَجَهُ التِّرْمِذِيُّ, وَسَنَدُهُ ضَعِيف

-

حسن. رواه أبو داود (365) وغيره. «تنبيه» عزو الحافظ الحديث للترمذي إنما هو من باب الوهم وإن تبعه على ذلك غيره. وأما تضعيفه لسند الحديث فلعلة غير قادحة


Narrated Abu Huraira (rad): Khaula said, “O Messenger of Allah, suppose the (trace of) the blood does not go?” He said, “(Washing it with) water will suffice you and its trace won’t harm you”. [Reported by At Tirmidhi, and its Sanad (chain of narrators) is weak].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ১ঃ পবিত্রতা (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ৪. উযূর বিবরণ - উযূতে বিসমিল্লাহ বলার বিধান

৪৯। আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’(উযূর শুরুতে) যে ব্যক্তি ’বিসমিল্লাহ’ না বলে, তার ওযূ শুদ্ধ হয় না’। ইবনু মাজাহ এটি দুর্বল সানাদে বর্ণনা করেছেন।[1]

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا وُضُوءَ لِمَنْ لَمْ يَذْكُرِ اسْمَ اللَّهِ عَلَيْهِ». أَخْرَجَهُ أَحْمَدُ, وَأَبُو دَاوُدَ, وَابْنُ مَاجَهْ, بِإِسْنَادٍ ضَعِيفٍ

-

حسن بشواهده. رواه أحمد (2/ 418)، وأبو داود (101)، وابن ماجه (399)


Narrated Abu Huraira (rad): Allah’s Messenger (ﷺ) said: “There is no Wudu for one who does not mention Allah’s Name upon it. [Reported by Ahmad, Abu Da’ud and Ibn Majah with a weak chain of narrators].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ১ঃ পবিত্রতা (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ৪. উযূর বিবরণ - উযূতে বিসমিল্লাহ বলার বিধান

৫০। তিরমিযীতে হাদীসটি সাঈদ বিন যায়দ থেকে বর্ণিত হয়েছে।[1]

وَلِلترْمِذِيِّ: عَنْ سَعِيدِ بْنِ زَيْدٍ

-

سنن الترمذي (25)


At-Tirmidhi reported something similar to the above from Sa’id bin Zaid.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাঈদ ইবনু যায়দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ১ঃ পবিত্রতা (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ৫. মোজার উপর মাসাহ - মাসাহ-এর সময়-সীমা। সেটা ছোট নাপাকীর সাথে নির্দিষ্ট

৬১। সাফওয়ান বিন ’আসসাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের আদেশ দিতেন যে, ’আমরা যেন সফরে থাকাবস্থায় তিন দিন তিন রাত জানাবত (ফরয গোসলের কারণ) ব্যতীত মোজা না খুলি; এমনকি প্রস্রাব পায়খানা ও ঘুমের পরও নয়। শব্দগুলো তিরমিযী ও ইবনু খুযাইমাহর। দু’জনেই এটাকে সহীহ বলেছেন।[1]

وَعَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَسَّالٍ - رضي الله عنه - قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - يَأْمُرُنَا إِذَا كُنَّا سَفْرًا أَنْ لَا نَنْزِعَ خِفَافَنَا ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهِنَّ, إِلَّا مِنْ جَنَابَةٍ، وَلَكِنْ مِنْ غَائِطٍ, وَبَوْلٍ, وَنَوْمٍ. أَخْرَجَهُ النَّسَائِيُّ, وَالتِّرْمِذِيُّ وَاللَّفْظُ لَهُ, وَابْنُ خُزَيْمَةَ وَصَحَّحَاهُ

-

حسن. رواه النسائي (1/ 83 - 84)، والترمذي (96)، وابن خزيمة (196)، وقال الترمذي: حسن صحيح


Narrated Safwan bin ‘Assal (rad): When we were on a journey, the Prophet (ﷺ) used to command us to wear our leather socks for three days and three nights, whether we had to answer the call of nature or slept. However, in case of ejaculation or sexual impurity, he commanded us to remove the leather socks. [Reported by An-Nasa’i and At-Tirmidhi, version is of the latter. With them Ibn Khuzaima graded it Sahih (sound)].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাফওয়ান ইবনে আসসাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ১ঃ পবিত্রতা (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ৫. মোজার উপর মাসাহ - মাসাহ করার জন্য পবিত্র অবস্থায় মোজা পরিধান করা শর্ত

৬৫। আবূ বকরাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন; “নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসাফির ব্যক্তিকে তিন দিন তিন রাত আর মুকীম (স্থানীয়) ব্যক্তিকে এক দিন এক রাত মোজার উপর মাসাহ করতে অনুমতি প্ৰদান করেছেন, যদি সে উযূ অবস্থায় মোজা পরিধান করে থাকে।” দারাকুৎনী, আর একে ইবনু খুযাইমাহ সহীহ বলেছেন।[1]

وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ - رضي الله عنه - عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم: «أَنَّهُ رَخَّصَ لِلْمُسَافِرِ ثَلَاثَةَ أَيَّامٍ وَلَيَالِيَهُنَّ, وَلِلْمُقِيمِ يَوْمًا وَلَيْلَةً, إِذَا تَطَهَّرَ فَلَبِسَ خُفَّيْهِ: أَنْ يَمْسَحَ عَلَيْهِمَا. أَخْرَجَهُ الدَّارَقُطْنِيُّ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ

-

حسن. رواه الدارقطني (194)، وابن خزيمة (192)، وهو وإن كان ضعيف السند، إلا أن له شواهد ذكرتها «بالأصل» ومن أجل ذلك حسنة البخاري، كما نقل عنه الترمذي في العلل


Narrated Abu Bakra (rad): The Prophet (ﷺ) gave permission for the traveller to perform Mash (wiping) over his leather socks for three days and nights and for a non-traveller for a day and night, if he had put them on in a state of purity. [Reported by Ad-Daraqutni and graded Sahih (sound) by Ibnn Khuzaima].


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ১ঃ পবিত্রতা (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ৬. উযূ বিনষ্টকারী বিষয় সমূহ - পুরুষাঙ্গ স্পর্শতে উযূ বিনষ্ট হয় না

৭২। ত্বালক বিন ’আলী (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক সাহাবী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, ’আমি আমার লিঙ্গ স্পর্শ করে ফেলেছি অথবা বললেন, ’যদি কেউ সালাতে তা স্পর্শ করে ফেলে, তবে এর কারণে কি তাকে উযূ করতে হবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’না, এটা তো তোমারই (শরীরের) একটি অংশ বিশেষ। আর ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন[1] এবং ইবনুল মাদানী (বুখারীর উস্তাদ) বলেন, বুসরার হাদীস হতে এটি অধিক উত্তম।

وَعَنْ طَلْقِ بْنِ عَلِيٍّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَجُلٌ: مَسَسْتُ ذَكَرِي، أَوْ قَالَ: الرَّجُلُ يَمَسُّ ذَكَرَهُ فِي الصَّلَاةِ, أَعَلَيْهِ وُضُوءٌ? فَقَالَ النَّبِيُّ - صلى الله عليه وسلم - «لَا, إِنَّمَا هُوَ بَضْعَةٌ مِنْكَ». أَخْرَجَهُ الْخَمْسَةُ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ
وَقَالَ ابْنُ الْمَدِينِيِّ: هُوَ أَحْسَنُ مِنْ حَدِيثِ بُسْرَةَ

-

حسن. رواه أبو داود (182 و 183)، والنسائي (101)، والترمذي (85)، وابن ماجه (483)، وأحمد (43)، وابن حبان (207 موارد) ولكن ينبغي معرفة أن هذا الحديث منسوخ، إذ قال ابن حزم في «المحلي» (139) ولنعم ما قال: «هذا الخبر -خبر طلق- صحيح إلا أنهم لا حجة لهم فيه لوجوه: أحدها: أن هذا الخبر موافق لما كان الناس عليه قبل ورود الأمر بالوضوء من مس الفرج، هذا لا شك فيه، فإذا هو كذلك فحكمه منسوخ يقينا حين أمر رسول الله صلى الله عليه وسلم بالوضوء من مس الفرج، ولا يحل ترك ما تيقن أنه ناسخ، والأخذ بما تيقن أنه منسوخ. وثانيها: أن كلامه عليه السلام: «هل هو إلا بضعة منك؟» دليل بين على أنه كان قبل الأمر بالوضوء منه؛ لأنه لو كان بعده لم يقل عليه السلام هذا الكلام، بل كان يبين أن الأمر بذلك قد نسخ، وقوله هذا يدل على أنه لم يكن سلف فيه حكم أصلا، وأنه كسائر الأعضاء


Narrated Talq bin ‘Ali (rad): A man said: “I touched my penis” or he said, “Does a man who touch his penis during the prayer should perform Wudu (ablution)?” The Prophet (ﷺ) replied, “No, it is only a part of your body”. [Reported by Al-Khamsa. Ibn Hibban graded it Sahih (sound). and Ibn Al-Madini said, “It is better than the Hadith of Busra".


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ তালক ইবনে আলী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ১ঃ পবিত্রতা (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ৬. উযূ বিনষ্টকারী বিষয় সমূহ - ঘুম উযূ ভঙ্গের সম্ভাব্য কারণ

৮০। মু’আবিয়াহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’চক্ষু মলদ্বারের বন্ধনস্বরূপ। চক্ষুদ্বয় ঘুমিয়ে পড়লে উক্ত বন্ধন খুলে যায়। (যার কারণে ওযূ নষ্ট হয়ে যায়) -আহমাদ ও ত্বাবারানী। আর ত্বাবারানী অতিরিক্ত শব্দ যোগ করেছেনঃ “যে ঘুমিয়ে পড়ে সে যেন উযূ করে।” এ অতিরিক্ত অংশটুকু আবূ দাউদেও ’আলী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে। ’তবে এতে ’বন্ধন খুলে যায়’ অংশটুকু নেই। উক্ত সানাদ দু’টিই দুর্বল।”[1]

وَعَنْ مُعَاوِيَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «الْعَيْنُ وِكَاءُ السَّهِ, فَإِذَا نَامَتْ الْعَيْنَانِ اسْتَطْلَقَ الْوِكَاءُ». رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَالطَّبَرَانِيُّ وَزَادَ: «وَمَنْ نَامَ فَلْيَتَوَضَّأْ
وَهَذِهِ الزِّيَادَةُ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَبِي دَاوُدَ مِنْ حَدِيثِ عَلِيٍّ دُونَ قَوْلِهِ: «اسْتَطْلَقَ الْوِكَاءُ». وَفِي كِلَا الْإِسْنَادَيْنِ ضَعْفٌ

-

حسن. رواه أحمد (4/ 97)، وأبو داود (203) وفي الأصل زيادة تفصيل


Narrated Mu’awiyah (rad): Allah’s Messenger (saW) said: “The eye (when awake) is the string of the anus (to stop air escaping), and if the two eyes sleep the string is untied”. [Reported by Ahmad and At-Tabarani who added, “Whoever sleeps should perform ablution]” Also reported by Abu Da’ud mentioning the above addition without the words “the string is untied”, but both versions are weak.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আবিয়াহ ইবন আবূ সুফিয়ান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ১ঃ পবিত্রতা (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ৮. গোসল ও যৌন অপবিত্র ব্যক্তির (জুনুবী) হুকুম - জুমু’আর সালাতের জন্য গোসল করার বিধান

১১৫। সামুরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’যে ব্যক্তি জুমআর দিন উযূ করবে সে ভালোই করবে। আর যে ব্যক্তি গোসল দিবে সে আরও উত্তম কাজ করল। তিরমিযী এটিকে হাসান বলেছেন।[1]

وَعَنْ سَمُرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ تَوَضَّأَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ فَبِهَا وَنِعْمَتْ, وَمَنِ اغْتَسَلَ فَالْغُسْلُ أَفْضَلُ». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ, وَحَسَّنَهُ التِّرْمِذِيُّ

-

حسن. رواه أبو داود (354)، والترمذي (497)، والنسائي (3/ 94)، وأحمد (51 و 15 و 22)، وقال الترمذي: «حديث حسن». قلت: وعزو الحافظ الحديث للخمسة وهم منه رحمه الله إذ الحديث ليس عند ابن ماجه، عن سمرة، وإنما عنده عن أنس. انظر «الجمعة وفضلها» لأبي بكر المروزي (31 بتحقيقي) والحافظ نفسه عزاه في «الفتح» لأصحاب السنن الثلاثة


Narrated Sumara (rad): Allah’s Messenger (ﷺ) said: “Whoever performs ablution on Friday has done a good thing and he who takes bath, taking bath is better (for him).” [Reported by Al-Khamsa and At-Tirmidhi graded it Hasan (fair).]


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সামুরাহ ইবনু জুনদুব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ১ঃ পবিত্রতা (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. তায়াম্মুম (মাটির সাহায্যে পবিত্রতা অর্জন) - মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করা শর্ত

১২৮। আহমাদে ’আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে, ’আমার জন্য মাটিকে পবিত্রকারী করা হয়েছে। [1]

وَعَنْ عَلِيٍّ - رضي الله عنه - عِنْدَ أَحْمَدَ: «وَجُعِلَ التُّرَابُ لِي طَهُورًا

-

حسن. رواه أحمد (763) وتمام لفظه: أعطيت ما لم يعط أحد من الأنبياء» فقلنا: يا رسول الله! ما هو؟ قال: نصرت بالرعب، وأعطيت مفاتيح الأرض، وسميت: أحمد، وجعل التراب لي طهورا، وجعلت أمتي خير الأمم


Ahmad transmitted on the authority of `Ali (RAA): "The earth (dust) has been made for me as a means for purification."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আলী ইবনু আবী তালিব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ১ঃ পবিত্রতা (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ১০. হায়িয (ঋতুস্রাব) সংক্রান্ত - যে মহিলার মাসিক নিয়মিত হয় না তার বিধান

১৩৮। আয়িশা (রাঃ) আবূ হুবায়সের কন্যা ফাতিমাহ, ’ইসতিহাযা’ (প্রদর রোগ) নামক রোগে ভুগতেন। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেন, ’অবশ্য হায়িয্যের রক্ত কালো বর্ণের, তা (সহজেই) চেনা যায়। যখন এমন রক্ত দেখতে পাবে তখন সালাত বন্ধ করে দিবে। তারপর যখন অন্য রক্ত দেখা দেয় তখন উযূ করে সালাত আদায় কর’। আবূ দাউদ, নাসায়ী, ইবনু হিব্বান ও হাকিম হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন; আবূ হাতিম এটিকে মুনকার হাদীসের মধ্যে গণ্য করেছেন।[1]

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: إِنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ كَانَتْ تُسْتَحَاضُ, فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «إِنَّ دَمَ الْحَيْضِ دَمٌ أَسْوَدُ يُعْرَفُ, فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَأَمْسِكِي مِنَ الصَّلَاةِ, فَإِذَا كَانَ الْآخَرُ فَتَوَضَّئِي, وَصَلِّي». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَالنَّسَائِيُّ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ, وَالْحَاكِمُ, وَاسْتَنْكَرَهُ أَبُو حَاتِمٍ

-

حسن. رواه أبو داود (286)، والنسائي (185)، وابن حبان (1348)، والحاكم (174) وزادوا خلا ابن حبان: فإنما هو عرق


Narrated `A'ishah (RAA): Fatima bint Abu Hubaish used to have a prolonged flow of blood (Istihadah) and so Allah’s Messenger (Peace be upon him)· told her, "If it is the blood of menstruation it will be dark (almost black) and recognizable (by women). If it is that, then leave the prayer. If it is other than that, then make ablution and pray." [Reported by Abu Da'ud and An-Nasa’i. Ibn Hibban and Al-Hakim graded it Sahih (sound).]


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আয়িশা বিনত আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ১ঃ পবিত্রতা (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ১০. হায়িয (ঋতুস্রাব) সংক্রান্ত - ইস্তিহাযা নারী দু’ সালাত কে একত্রিত করে আদায করতে পারবে

১৪০। হামনাহ বিনতু জাহাশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’আমার ’ইস্তেহাযা’ নামক ব্যাধির জন্য অত্যন্ত কঠিনরূপে রক্তস্রাব হতো। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ বিষয়ে ফতোয়ার জন্য এলাম’। তিনি বললেন, ’এটা শয়তানের আঘাত জনিত কারণেই (হচ্ছে), তুমি ছয় বা সাত দিন হায়িয পালন করবে। তারপর হায়িযের গোসল করে পবিত্র হয়ে প্রতি মাসে চব্বিশ বা তেইশ দিন নিয়মমাফিক সালাত আদায় করবে, সওম পালন করবে ও সালাত আদায় করবে, তোমার জন্য এটাই যথেষ্ট হবে। এভাবে হায়িযা মহিলার মত প্রতি মাসে করতে থাকবে। যদি তোমার পক্ষে সম্ভব হয় তাহলে যুহরকে পিছিয়ে দিয়ে এবং ’আসরকে কিছুটা এগিয়ে নিয়ে গোসল করে দু’ ওয়াক্তের সালাত একসঙ্গে আদায় করবে। অনুরূপভাবে মাগরিবকে পিছিয়ে ও ’ইশাকে এগিয়ে নিয়ে গোসল করে উভয় সালাত আদায় করবে এবং ফজর সালাতের জন্য গোসল করে তা আদায় করবে। [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন] আমার নিকটে এটাই অধিক পছন্দ’। তিরমিযী একে সহীহ বলেছেন আর বুখারী একে হাসান বলেছেন।[1]

وَعَنْ حَمْنَةَ بِنْتِ جَحْشٍ قَالَتْ: كُنْتُ أُسْتَحَاضُ حَيْضَةً كَبِيرَةً شَدِيدَةً, فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - أَسْتَفْتِيهِ, فَقَالَ: «إِنَّمَا هِيَ رَكْضَةٌ مِنَ الشَّيْطَانِ, فَتَحَيَّضِي سِتَّةَ أَيَّامٍ, أَوْ سَبْعَةً, ثُمَّ اغْتَسِلِي, فَإِذَا اسْتَنْقَأْتِ فَصَلِّي أَرْبَعَةً وَعِشْرِينَ, أَوْ ثَلَاثَةً وَعِشْرِينَ, وَصُومِي وَصَلِّي, فَإِنَّ ذَلِكَ يُجْزِئُكَ, وَكَذَلِكَ فَافْعَلِي كَمَا تَحِيضُ النِّسَاءُ, فَإِنْ قَوِيتِ عَلَى أَنْ تُؤَخِّرِي الظُّهْرَ وَتُعَجِّلِي الْعَصْرَ, ثُمَّ تَغْتَسِلِي حِينَ تَطْهُرِينَ وَتُصَلِّينَ الظُّهْرَ وَالْعَصْرِ جَمِيعًا, ثُمَّ تُؤَخِّرِينَ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلِينَ الْعِشَاءِ, ثُمَّ تَغْتَسِلِينَ وَتَجْمَعِينَ بَيْنَ الصَّلَاتَيْنِ, فَافْعَلِي. وَتَغْتَسِلِينَ مَعَ الصُّبْحِ وَتُصَلِّينَ». قَالَ: «وَهُوَ أَعْجَبُ الْأَمْرَيْنِ إِلَيَّ». رَوَاهُ الْخَمْسَةُ إِلَّا النَّسَائِيَّ, وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ, وَحَسَّنَهُ الْبُخَارِيُّ

-

حسن. رواه أبو داود (287)، والترمذي (128)، وابن ماجه (627)، وأحمد (6/ 439)


Narrated Hamnah bint Jahsh: 'I had a very strong prolonged flow of blood. I went to the Prophet (Peace be upon him) to ask him about it. He said, "This is a strike from Satan. So observe your menses for six or seven days, then perform Ghusl until you see that you are clean. Pray for twenty-four or twenty-three nights and days and fast, and that will suffice you. Do so every month just as the other women menstruate (and are purified). But if you are strong enough to delay the Dhuhr prayer and advance the Asr prayer, then make Ghusl when your purified and combine the Dhuhr and the Asr prayers together; then delay the Maghrib prayer and advance the Isha prayer, and perform Ghusl and combine the two prayers, do so. Do so, and then wash at dawn and pray Fajr. This is how you may pray and fast if you have the ability to do so." And he said, "That is the more preferable way to me." [Reported by the five imams except An- Nasa’i, At-Tirmidhi graded it Sahih (sound)]


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ হামনা বিনতে জাহ্‌শ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ১ঃ পবিত্রতা (كتاب الطهارة)

পরিচ্ছেদঃ ৩. সালাতের শর্তসমূহ - সফর অবস্থায় মুসাফিরের পক্ষে নফল সালাত আদায়ের বর্ণনা

২১৪. আবূ দাউদে আনাস (রাঃ)-এর বর্ণনায় রয়েছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সফরের অবস্থায় যখন নফল সালাত আদায়ের ইচ্ছা করতেন তখন তিনি সওয়ারী জন্তুটিকে কিবলামুখী করে নিয়ে আল্লাহু আকবার (তাকবীরে তাহরীমা বেঁধে) বলে সালাত আরম্ভ করতেন, তারপর তাঁর সওয়ারীর মুখ যে কোন দিকে যেতো। এর সানাদটি হাসান।[1]

وَلِأَبِي دَاوُدَ: مِنْ حَدِيثِ أَنَسٍ: كَانَ إِذَا سَافَرَ فَأَرَادَ أَنْ يَتَطَوَّعَ اسْتَقْبَلَ بِنَاقَتِهِ الْقِبْلَةِ, فَكَبَّرَ, ثُمَّ صَلَّى حَيْثُ كَانَ وَجْهُ رِكَابِهِ. وَإِسْنَادُهُ حَسَنٌ

-

حسن. رواه أبو داود (1225) وصححه غير واحد


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ২ঃ সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৪. সালাত আদায়কারী ব্যক্তির সুতরা বা আড় - সুতরাহ গ্রহণের নির্দেশ ও তার প্রশস্ততার কোন সীমারেখা নেই

২৩০. সাবরাহ বিন মা’বাদ আল জুহনী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাত আদায় করার সময় সুতরা করে নেবে যদিও একখানা তীর দিয়ে তা করা হয়। হাকিম।[1]

وَعَنْ سَبْرَةَ بْنِ مَعْبَدٍ الْجُهَنِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لِيَسْتَتِرْ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ وَلَوْ بِسَهْمٍ». أَخْرَجَهُ الْحَاكِمُ

-

حسن. رواه الحاكم (1/ 252)، واللفظ الذي ساقه الحافظ لابن أبي شيبة (1/ 278)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ সাবরাহ বিন মা’বাদ আল জুহনী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ২ঃ সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৬. মসজিদ প্রসঙ্গ - মসজিদে হাদ্দ (শরীয়ত কর্তৃক শাস্তি) প্রতিষ্ঠা করা নিষেধ

২৫৮. হাকিম বিন হিযাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মসজিদে ’হাদ্দ’ কার্যকর করা ও ’কিসাস’ (হত্যার বদলে হত্যা) নেয়া যায় না। -আহমাদ ও আবূ দাউদ, দুর্বল সানাদে।[1]

وَعَنْ حَكِيمِ بْنِ حِزَامٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا تُقَامُ الْحُدُودُ فِي الْمَسَاجِدِ, وَلَا يُسْتَقَادُ فِيهَا». رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَأَبُو دَاوُدَ بِسَنَدٍ ضَعِيفٍ

-

حسن. رواه أحمد (3/ 434)، وأبو داود (4490)، وإذا كان الحافظ ضعَّفه هنا، فقد قال في «التلخيص» (4/ 78): لا بأس بإسناده


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ হাকীম ইবনু হিযাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ২ঃ সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৭. সালাত সম্পাদনের পদ্ধতি - যে মুসল্লী কুরআন ভালভাবে পড়তে জানে না তার বিধান

২৮৫. ’আবদুল্লাহ্ বিন আবূ ’আউফাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, কোন এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল- ’আমি কুরআনের কোন অংশ গ্রহণে (মুখস্থ করতে) সক্ষম নই, তাই আমাকে এমন কিছু শিখিয়ে দেন যা আমার জন্য যথেষ্ট হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি বলবে, ’সুবহানাল্লাহ’, ’আলহামদু লিল্লাহ’ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল ’আলিয়্যিল ’আযীম। (সংক্ষিপ্ত) ইবনু হিব্বান, দারাকুৎনী ও হাকিম। এটিকে সহীহ বলেছেন।[1]

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا- قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - فَقَالَ: إِنِّي لَا أَسْتَطِيعُ أَنْ آخُذَ مِنَ الْقُرْآنِ شَيْئًا, فَعَلِّمْنِي مَا يُجْزِئُنِي [مِنْهُ]. قَالَ: «سُبْحَانَ اللَّهِ, وَالْحَمْدُ لِلَّهِ, وَلَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ، وَاللَّهُ أَكْبَرُ, وَلَا حَوْلٌ وَلَا قُوَّةً إِلَّا بِاللَّهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيمِ ... ». الْحَدِيثَ. رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَأَبُو دَاوُدَ, وَالنَّسَائِيُّ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ, وَالدَّارَقُطْنِيُّ, وَالْحَاكِمُ

-

حسن. رواه (4/ 353و356)، وأبو داود (832)، والنسائي (2/ 143)، وابن حبان (1808)، والدارقطني (1/ 313)، والحاكم (1/ 241) من طريق إبراهيم السكسكي، عن ابن أبي أوفى. وزادوا جميعا إلا النسائي وابن حبان. «قال: يا رسول الله! هذا لله -عز وجل- فما لِيَ؟ قال: قل اللهم ارحمني وارزقني، وعافني، واهدني. فلما قام قال هكذا بيده. فقال رسول الله -صلى الله عليه وسلم-: أما هذا فقد ملأ يده من الخير». قلت: والسكسكي مُتَكَلَّمٌ فيه، ولكنه متابع


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আবূ আওফা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ২ঃ সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ২. আযান (সালাতের জন্য আহ্বান) - আযানের জন্য উযূ করা শরীয়তসম্মত

৩১২. আর ইবনু খুযাইমাহ একে (ইবনু ’উমারের হাদীসকে) সহীহ বলেছেন, এবং বুখারীও এটাকে মুআল্লাক-মাওকুফরূপে বর্ণনা করেছেন।[1]

ابْنِ عُمَرَ - رضي الله عنه - صَحَّحَهُ ابْنُ خُزَيْمَةَ, وَذَكَرَهُ الْبُخَارِيُّ مُعَلَّقًا مَوْقُوفًا

-

حسن. رواه ابن خزيمة (627) ولفظه: عن ابن عمر «أنه كان يضع يديه قبل ركبتيه، وقال: كان رسول الله -صلى الله عليه وسلم- يفعل ذلك». وهذا الحديث أُعِلَّ بما لا يَقْدَحُ، وقد صححه غير ابن خزيمة: الحاكمُ، وشيخنا الألباني حفظه الله. والموقوف علقه البخاري (2/ 290 /فتح)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ২ঃ সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৮. সাহ্‌উ সিজদা ও অন্যান্য সিজদা প্রসঙ্গ - সূরা আল-হজ্জ্ব এর দু’সিজদা এর বিধান

৩৪৩. খালিদ বিন মা’দান থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, সূরা “হাজ্জ”-কে দু’টি সাজদার আয়াত দ্বারা বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে। আবূ দাউদ তাঁর মারাসিল গ্রন্থে।[1]

وَعَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ - رضي الله عنه - قَالَ: فُضِّلَتْ سُورَةُ الْحَجِّ بِسَجْدَتَيْنِ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ فِي الْمَرَاسِيلِ

-

مرسل حسن الإسناد. رواه أبو داود في «المراسيل» (78) من طريق معاوية بن صالح، عن عامر بن جشيب، عن خالد بن معدان؛ أن رسول الله -صلى الله عليه وسلم- قال: فذكره، وقال أبو داود في «المراسيل»: وقد أسند، ولا يصح


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ খালিদ ইবনু মা‘দান (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ২ঃ সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ৯. নফল সালাত-এর বিবরণ - আসর সালাতের পূর্বে চার রাক’আত নফল পড়ার বিধান

৩৫৯. ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- আল্লাহ ঐ ব্যক্তির উপর রহম করুন যে আসরের (ফরয) সালাতের পূর্বে চার রাক’আত (নফল সালাত আদায় করে থাকে-তিরমিযী একে হাসান বলেছেন, ইবনু খুযাইমাহ একে সহীহ বলেছেন।[1]

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا- قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «رَحِمَ اللَّهُ امْرَأً صَلَّى أَرْبَعًا قَبْلَ الْعَصْرِ». رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَحَسَّنَهُ, وَابْنُ خُزَيْمَةَ وَصَحَّحَهُ

-

حسن. رواه أحمد (2/ 117)، وأبو داود (1271)، والترمذي (430)، وابن خزيمة (1193) وقال الترمذي: «هذا حديث غريب حسن». «فائدة»: قال العراقي: «جرت عادة المصنف أن يقدم الوصف بالحُسْن على الغرابة، وقدم هنا «غريب» على «حسن»، والظاهر أنه يقدم الوصف الغالب على الحديث، فإن غلب عليه الحسن قدَّمه، وإن غلب عليه الغرابة قدمها. وهذا الحديث بهذا الوصف لا يُعرف إلا من هذا الوجه، وانتفت وجوه المتابعات والشواهد، فغلب عليه وصف الغرابة


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ২ঃ সালাত (كتاب الصلاة)

পরিচ্ছেদঃ ১০. জামা’আতে সালাত সম্পাদন ও ইমামতি - জামা’আতে লোকসংখ্যা বেশি হওয়ার ফযীলত

৪২৩. উবাই বিন কা’ব (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন-একা একা সালাত আদায়ের চেয়ে অপর এক ব্যক্তির সাথে সালাত আদায় করা উত্তম। আর দু’ জনের সঙ্গে জামা’আত করে সালাত আদায় করা একাকী সালাত আদায়ের চেয়ে উত্তম। তারপর যত অধিক (জামা’আত বড়) হবে ততোধিক মহাপরাক্রমশালী আল্লাহর নিকট তা প্রিয়। —ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন।[1]

وَعَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «صَلَاةُ الرَّجُلِ مَعَ الرَّجُلِ أَزْكَى مِنْ صَلَاتِهِ وَحْدَهُ, وَصَلَاتُهُ مَعَ الرَّجُلَيْنِ أَزْكَى مِنْ صَلَاتِهِ مَعَ الرَّجُلِ, وَمَا كَانَ أَكْثَرَ فَهُوَ أَحَبُّ إِلَى اللَّهِ - عز وجل». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَالنَّسَائِيُّ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ

-

حسن. رواه أبو داود (554)، والنسائي (2/ 104 - 105)، وابن حبان (2056)


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বুলুগুল মারাম
পর্ব - ২ঃ সালাত (كتاب الصلاة)
দেখানো হচ্ছেঃ ৪৯০১ থেকে ৪৯২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৫০৫২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 · · · 243 244 245 246 247 · · · 250 251 252 253 পরের পাতা »