যঈফ (Dai'f) হাদিস পাওয়া গেছে 7306 টি

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - আশা আকাঙ্ক্ষা ও উদ্বেগ প্রসঙ্গ

৫২৮৩-[১৬] যায়দ ইবনুল হুসায়ন (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: আমি ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ)-কে বলতে শুনেছি। একদিন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, দুনিয়াতে “যুহদ” বা পরহেজগারি কাকে বলে? উত্তরে তিনি বলেন, হালাল উপার্জন এবং আকাঙ্ক্ষা ছোট করা। (বায়হাকী’র শুআবুল ঈমান)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ - (بَاب الأمل والحرص)

وَعَنْ زَيْدِ بْنِ الْحُسَيْنِ قَالَ: سَمِعْتُ مَالِكًا وَسُئِلَ أَيُّ شَيْءٍ الزُّهْدُ فِي الدُّنْيَا؟ قَالَ: طِيبُ الْكَسْبِ وَقِصَرُ الْأَمَلِ. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي «شعب الْإِيمَان»

اسنادہ ضعیف ، رواہ البیھقی فی شعب الایمان (10779 ، نسخۃ محققۃ : 10293) * زید بن الحسین مجھول : لم اجد من وثقہ ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : পূর্বের হাদীসের ব্যাখ্যায় (الزُّهْدُ فِي الدُّنْيَا) দুনিয়া বিরাগীকে পরহেজগার অর্থে প্রকাশ করা হয়েছে। পরহেজগারির মেরুদণ্ড হলো হালাল রুযী, যার রুযী হালাল নয় সে কষ্মিনকালেও পরহেজগারিতার উপর দাঁড়াতে পারবে না।
অতএব পবিত্র এবং হালাল উপার্জন বা খাদ্য এবং পানীয় তাকে উপকারী ‘ইলম ও নেক আমলের ওয়ারিস বানিয়ে দিবে। আল্লাহ তা'আলা তার রসূলকে বলেছেন, “তোমরা পবিত্র বস্তু খাও এবং নেক আ'মাল কর।” (সূরা আল মু'মিন ৪০: ৫১)।

অতএব এ হাদীসে হালাল রুযীকে (الزُّهْدُ فِي الدُّنْيَا) এর প্রথম উপাদান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। দ্বিতীয়টি হলো- দুনিয়ার আকাঙ্ক্ষা বা কামনা-বাসনাকে খাটো করা। এটা মানুষকে দ্রুত মৃত্যু এসে যাওয়ার ভয়ে অধিক আমলে উদ্বুদ্ধ করে এবং পরকালের পুরস্কার প্রাপ্তিতে আগ্রহান্বিত করে।
‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, প্রকৃত (الزُّهْدُ فِي الدُّنْيَا) হলো হালাল খাদ্য গ্রহণ, হালাল বস্ত্র পরিধান, স্বল্প রুযীতেই পরিতুষ্ট থাকা এবং দুনিয়ার আশা-আকাঙ্ক্ষাকে খাটো করে রাখা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; আল কাশিফ ১০ম খণ্ড, ৩৩২৬ পৃ.)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনুল হুসায়ন (রহ.)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ইবাদতের জন্য হায়াত ও দৌলতের আকাঙ্ক্ষা করা

৫২৮৯-[৬] শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যে ব্যক্তি নিজের প্রবৃত্তিকে স্বীয় আয়ত্তাধীনে রেখেছেন এবং মৃত্যুর পরের জন্য নেকির পুঁজি সংগ্রহ করেছে, সে ব্যক্তিই প্রকৃত সবল ও বুদ্ধিমান। আর যে ব্যক্তি স্বীয় প্রবৃত্তির অনুসারী হয়ে আল্লাহর প্রতি ক্ষমার আশা পোষণ করে, মূলত সে-ই অক্ষম (নির্বোধ)। (তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَابُ اسْتِحْبَابِ الْمَالِ وَالْعُمُرِ لِلطَّاعَةِ)

وَعَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : «الْكَيِّسُ مَنْ دَانَ نَفْسَهُ وَعَمِلَ لِمَا بَعْدَ الْمَوْتِ. وَالْعَاجِزُ مَنْ أَتْبَعَ نَفْسَهُ هَوَاهَا وَتَمَنَّى عَلَى اللَّهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ

اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2459) و ابن ماجہ (4260) * ابوبکر بن ابی مریم ضعیف مختلط ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (الْكَيِّسُ مَنْ دَانَ نَفْسَهُ) বিচক্ষণ সেই ব্যক্তি যে নিজেকে আল্লাহর আনুগত্যে নিয়োজিত রাখে বা নিজের নফসের হিসাব নিজেই করে থাকে। হাদীসে (الْكَيِّسُ) শব্দের অর্থ হচ্ছে, যে কোন বিষয়ের পরিণতি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখে।

(مَنْ دَانَ نَفْسَهُ) এর অর্থ হচ্ছে যে নিজের নাফসে আল্লাহর বিধানের অনুগত করে রাখে। কেউ কেউ বলেন, যে নিজের নাফসের হিসাব নেয়। অর্থাৎ যে দুনিয়াতে তার কথা, ‘আমল ও অবস্থা হিসাব করে দেখে। যদি তা ভালো হয় তাহলে আল্লাহর প্রশংসা করে আর যদি মন্দ হয় তাহলে আল্লাহর নিকট তাওবাহ্ করে এবং ছুটে যাওয়া ‘আমলগুলো সম্পাদন করার চেষ্টা করে। যেমনটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, (حَاسِبُواأَنْفُسَكُمْ قَبْلَ أَنْ تُحَاسَبُوا) এবং আল্লাহ তা'আলা ইরশাদ করেন,  (…وَ لۡتَنۡظُرۡ نَفۡسٌ مَّا قَدَّمَتۡ لِغَدٍ ...)“...প্রত্যেকেই চিন্তা করে দেখুক, আগামীকালের জন্য সে কী (পুণ্য কাজ) অগ্রিম পাঠিয়েছে...”- (সূরা আল হাশর ৫৯ : ১৮)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।

(وَعَمِلَ لِمَا بَعْدَ الْمَوْتِ) অর্থাৎ মৃত্যু আসার পূর্বেই ভালো কাজগুলো সম্পাদন করে যাতে পরকালে আল্লাহ প্রদত্ত নূর পেতে সক্ষম হয়। অতএব মৃত্যু হচ্ছে দুনিয়ার কাজগুলোর পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যম, তাই পরিণতি ভেবে যে কাজ করে সেই জ্ঞানী।
 (وَالْعَاجِزُ) অক্ষম হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে জ্ঞানকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ এবং কাজের পরিণতি সম্পর্কে অসচেতন বা অবহেলাকারী। মূলত বিচক্ষণ ব্যক্তি হলো শক্তিশালী ঈমানদার আর অক্ষম ব্যক্তি হলো দুর্বল ঈমানের অধিকারী।
(مَنْ أَتْبَعَ نَفْسَهُ هَوَاهَا) যে নিজেকে প্রবৃত্তির অনুসারী বানায় ফলে তাকে প্রবৃত্তির অনুসরণ করা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হয় না এবং হারাম কাজে জড়িত হওয়াকে বাধা দান করে না।
(وَتَمَنَّى عَلَى اللَّهِ) আর আল্লাহর নিকট এই আশা পোষণ করে যে, তিনি যেন তাকে ক্ষমা করে দেন, যদিও সে আল্লাহর আনুগত্য করা থেকে অবহেলা করে ও প্রবৃত্তির দাসত্ব করে, আর সে এ কথা বলে,  (رَبِّي كَرِيمٌ رَحِيمٌ) আমার রব অতি দয়ালু মেহেরবান। অথচ আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা করেছেন, (..مَا غَرَّکَ بِرَبِّکَ الۡکَرِیۡمِ) “...কিসে তোমাকে তোমার মহান প্রতিপালক সম্পর্কে ধোঁকায় ফেলে দিয়েছে?” (সূরা আল ইনফিত্বার ৮২: ৬); আর ঘোষণা করেন, (نَبِّیٴۡ عِبَادِیۡۤ اَنِّیۡۤ اَنَا الۡغَفُوۡرُ الرَّحِیۡمُ ﴿ۙ۴۹﴾ وَ اَنَّ عَذَابِیۡ هُوَ الۡعَذَابُ الۡاَلِیۡمُ ﴿۵۰﴾) “আমার বান্দাদেরকে সংবাদ দাও যে, আমি বড়ই ক্ষমাশীল, বড়ই দয়ালু। আর আমার শাস্তি- তা বড়ই ভয়াবহ শাস্তি”- (সূরাহ্ আল হিজর ১৫ : ৪৯-৫০)। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহওয়াযী ৬/২৪৫৯)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইবাদতের জন্য হায়াত ও দৌলতের আকাঙ্ক্ষা করা

৫২৯১-[৮] সুফইয়ান আস্ সাওরী (রহিমাহুল্লাহ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, অতীতকালে ধন-সম্পদকে অপছন্দ মনে করা হত। কিন্তু আজকাল ধন-সম্পদ হলো মু’মিন ব্যক্তির ঢাল। যদি এ দীনারসমূহ না থাকত এ সমস্ত রাজা-বাদশাহগণ আমাদেরকে হাত মোছার রুমাল বানিয়ে ফেলত (ঘৃণা ও তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখত)। তিনি আরো বলেন : যার হাতে এ ধন-সম্পদের কিছু পরিমাণ আছে, সে যেন অবশ্যই তার সঠিক ব্যবহার করে। কেননা, বর্তমান সময় যদি কেউ অভাবে পতিত হয়, সে ব্যক্তি সর্বপ্রথম স্বীয় দীনের বিনিময়ে দুনিয়া অর্জন করবে। সুফইয়ান আরো বলেছেন : হালালভাবে অর্জিত মালের মধ্যে অপচয়ের অবকাশ নেই। (শারহুস্ সুন্নাহ্)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ اسْتِحْبَابِ الْمَالِ وَالْعُمُرِ لِلطَّاعَةِ)

وَعَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ قَالَ كَانَ الْمَالُ فِيمَا مَضَى يُكْرَهُ فَأَمَّا الْيَوْمَ فَهُوَ تُرْسُ الْمُؤْمِنِ وَقَالَ لَوْلَا هَذِهِ الدَّنَانِيرُ لَتَمَنْدَلَ بِنَا هَؤُلَاءِ الْمُلُوكُ وَقَالَ مَنْ كَانَ فِي يَدِهِ مِنْ هَذِهِ شَيْءٌ فَلْيُصْلِحْهُ فَإِنَّهُ زَمَانٌ إِنِ احْتَاجَ كَانَ أَوَّلَ مَنْ يَبْذُلُ دِينَهُ وَقَالَ: الْحَلَالُ لايحتمل السَّرف. رَوَاهُ فِي شرح السّنة

ضعیف مردود ، رواہ البغوی فی شرح السنۃ (14 / 291 بعد 4098 بدون سند ولم اجدہ مسندًا ۔ وقولہ من اکن المال الی ترس المومن ، رواہ ابو نعیم فی حلیۃ الاولیاء (6 / 381) و سندہ ضعیف جدًا ۔ فیہ داود (رواد) بن الجراح وھو متروک و شطر الثانی رواہ ابو نعیم ایضًا فی الحلیہ (6 / 381) و سندہ ضعیف فیہ جماعۃ لم اجد لھم توثیقًا یعتمد علیہ) ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (تُرْسُ الْمُؤْمِنِ) তথা (সম্পদ) মুমিনের ঢালস্বরূপ। কারণ বৈধ সম্পদের অধিকারী ব্যক্তি হারাম ও সন্দেহযুক্ত সম্পদে পতিত হওয়া থেকে বেঁচে থাকতে পারে। আর অত্যাচারী ও যুলুমের সাহচর্য থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়। অথবা সর্বসাধারণের নিকট নিজেকে সম্পদের বহিঃপ্রকাশ করা থেকে লুকিয়ে রাখতে পারে।
(لَوْلَا هَذِهِ الدَّنَانِيرُ لَتَمَنْدَلَ بِنَا هَؤُلَاءِ الْمُلُوكُ) যদি আমাদের হাতে কোন টাকা-পয়সা না থাকত তাহলে রাজা-বাদশাহরা আমাদেরকে তাদের পকেটের রুমাল বানাত। এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো আমাদেরকে অপদস্থ করত অথবা তাদের মন্দ পরিকল্পনার সত্যায়নকারী হিসেবে ব্যবহার করত। তাই বলা হয়েছে, আল্লাহর নিকট হিসাবের ভয়ে তা পরিত্যাগ করার চেয়ে উত্তম হলো মানুষের নিকট হাত না পাতা। অর্থাৎ আল্লাহর প্রতি মুখাপেক্ষী হওয়া উত্তম, তাকে ছাড়া অন্যের প্রতি মুখাপেক্ষী হওয়া থেকে।
(لْحَلَالُ لايحتمل السَّرف) হালাল সম্পদ কম হওয়ার কারণে বেশি করে খরচ করার অবকাশ নেই। ‘আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, তার দ্বারা দু ধরনের উদ্দেশ্য হতে পারে :

এক : হালাল কম হওয়ার দরুন অপচয় করার সম্ভাবনা রাখে না।
দুই : হালাল জিনিস বেশি করে খরচ করা উচিত নয়। কেননা পরবর্তীতে অন্যের নিকট হাত পাতার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে।
মূলকথা হলো হালাল জিনিস কম হোক বা বেশি হোক প্রয়োজন ব্যতিরেকে অপচয় করা ঠিক নয়। যেমন সুনাম অর্জন বা লোক দেখানো উদ্দেশে বেশি করে খাদ্য দান করা। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সুফিয়ান সাওরী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইবাদতের জন্য হায়াত ও দৌলতের আকাঙ্ক্ষা করা

৫২৯২-[৯] ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: কিয়ামতের দিন একজন ঘোষণাকারী এ ঘোষণা করবেন, ষাট বছর বয়সপ্রাপ্ত লোকেরা কোথায়? এটা বয়সের এমন একটি সীমা, যার ব্যাপারে আল্লাহ তা’আলা (কুরআন মাজীদে) বলেছেন : “আমরা কি তোমাদেরকে এমন বয়স দান করিনি যাতে কোন উপদেশ গ্রহণকারী উপদেশ গ্রহণ করতে পারে? অথচ তোমাদের কাছে ভীতি প্রদর্শনকারী এসেছে “এখন তোমরা শাস্তি আস্বাদন করো, তোমাদের কোন সাহায্যকারী নেই”। (বায়হাক্বী’র শুআবুল ঈমান)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ اسْتِحْبَابِ الْمَالِ وَالْعُمُرِ لِلطَّاعَةِ)

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُنَادِي مُنَادٍ يَوْمَ الْقِيَامَةِ: أَيْنَ أَبْنَاءُ السِتِّينَ؟ وَهُوَ الْعُمُرُ الَّذِي قَالَ اللَّهُ تَعَالَى [أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُمْ مَا يَتَذَكَّرُ فِيهِ مَن تذكَّرَ وجاءكُم النذير] رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان

اسنادہ ضعیف جذا ، رواہ البیھقی فی شعب الایمان (10254 ، نسخۃ محققۃ : 9773) * فیہ ابراھیم بن الفضل المخزومی : متروک و ابوبکر بن ابی دارم : کذاب و لکنہ توبع ، انظر المعجم الکبیر للطبرانی (11 / 177 ۔ 178 ح 11415) ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (أَيْنَ أَبْنَاءُ السِتِّينَ؟) ষাট বছর বয়সের অধিকারী ব্যক্তিরা কোথায়? আর এই বয়স সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন : (… اَوَ لَمۡ نُعَمِّرۡکُمۡ مَّا یَتَذَکَّرُ فِیۡهِ مَنۡ تَذَکَّرَ ….)“...তোমাদেরকে এই পরিমাণ বয়স দান করেছি যাতে  তোমাদের মধ্যে বুদ্ধিমানরা উপদেশ গ্রহণ করতে পারে...।” (সূরাহ্ আল ফা-ত্বির ৩৫ : ৩৭)
(..وَ جَآءَکُمُ النَّذِیۡرُ ..)“...আর তোমাদের কাছে এসেছে সতর্ককারী..."- (সূরাহ্ আল ফা-ত্বির ৩৫ : ৩৭)। এখানে সতর্ককারী বলতে বুঝানো হয়েছে- বার্ধক্যের চুলপাকা অথবা আল কুরআন অথবা রসূল অথবা মৃত্যু অথবা উল্লেখিত সবগুলোই উদ্দেশ্য। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা) ও সবর (ধৈর্যধারণ) প্রসঙ্গে

৫৩০১-[৭] আবূ যার (রাঃ) নাবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন, তিনি (সা.) বলেছেন: কোন বৈধ বস্তুকে হারাম করা এবং ধনসম্পদকে ধ্বংস করার নাম দুনিয়া বর্জন করা নয়, বরং প্রকৃত দুনিয়া বর্জন হলো, আল্লাহ তা’আলার হাতে যা আছে তা অপেক্ষা তোমার হাতে যা আছে তা বেশি নির্ভরযোগ্য মনে না করা এবং যখন তোমার ওপর কোন বিপদ এসে পড়ে তখন সেই বিপদ তোমার ওপর পতিত না হওয়ার পরিবর্তে সাওয়াবের আশায় তা বাকি থাকার প্রতি আগ্রহ বেশি হওয়া। [তিরমিযী ও ইবনু মাজাহ; আর ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, এ হাদীসটি গবীর, বর্ণনাকারী ’আমর ইবনু ওয়াক্বিদ মুনকারুল হাদীস)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب التَّوَكُّل وَالصَّبْر)

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «الزَّهَادَةُ فِي الدُّنْيَا لَيْسَتْ بِتَحْرِيم وَلَا إِضَاعَةِ الْمَالِ وَلَكِنَّ الزَّهَادَةَ فِي الدُّنْيَا أَنْ لَا تَكُونَ بِمَا فِي يَدَيْكَ أَوْثَقَ بِمَا فِي يَد اللَّهِ وَأَنْ تَكُونَ فِي ثَوَابِ الْمُصِيبَةِ إِذَا أَنْتَ أُصِبْتَ بِهَا أَرْغَبَ فِيهَا لَوْ أَنَّهَا أُبْقِيَتْ لَكَ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَعَمْرُو بْنُ وَاقِدٍ الرَّاوِي مُنكر الحَدِيث

اسنادہ ضعیف جذا ، رواہ الترمذی (2340) و ابن ماجہ (4100) * عمرو بن واقد : متروک ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (الزَّهَادَةُ فِي الدُّنْيَا لَيْسَتْ بِتَحْرِيم..) হালালকে হারামে পরিণত করা এবং সম্পদ ধ্বংস করার নাম দুনিয়াবিমুখতা নয়, যেমনটি কতিপয় অজ্ঞ লোকেরা করে থাকে। এই ধারণাবশত হয়েই সে গোশত, মিষ্টি, ফলমূল খাওয়া এবং সুন্দর কাপড় পরিধান করা ও বিবাহ-শাদি ইত্যাদি বৈধ কাজ পরিত্যাগ করে থাকে। অথচ আল্লাহ তা'আলা বলেন, (یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُحَرِّمُوۡا طَیِّبٰتِ مَاۤ اَحَلَّ اللّٰهُ لَکُمۡ وَ لَا تَعۡتَدُوۡا ؕ اِنَّ اللّٰهَ لَا یُحِبُّ الۡمُعۡتَدِیۡنَ ﴿۸۷﴾)
“হে ঈমানদারগণ! পবিত্র বস্তুরাজি যা আল্লাহ তোমাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন সেগুলোকে হারাম করে নিও না আর সীমালঙ্ন করো না, অবশ্যই আল্লাহ সীমালঙ্নকারীদের ভালোবাসেন না।” (সূরাহ্ আল মায়িদাহ্ ৫: ৮৭)
এমনিভাবে রাসূল (সা.) থেকে প্রমাণিত রয়েছে যে, তিনি এ সমস্ত কাজ করেছেন। তার চেয়ে পরিপূর্ণ অবস্থা আর কারো হতে পারে না।
(وَلَا إِضَاعَةِ الْمَالِ) এমনিভাবে দুনিয়াবিমুখতা অর্থ সম্পদ নষ্ট করা নয়। ফলে সম্পদকে নষ্ট করবে এবং যথাস্থানে তা ব্যয় না করে সাগরে ফেলে দিবে অথবা ধনী-দরিদ্র বিচার না করে সকলকে দিয়ে দিবে এবং প্রয়োজনের মুহূর্তে মানুষের নিকট হাত পাতবে।

(وَلَكِنَّ الزَّهَادَةَ فِي الدُّنْيَا أَنْ لَا تَكُونَ بِمَا فِي يَدَيْكَ أَوْثَقَ بِمَا فِي يَد اللَّهِ) বরং সত্যিকার দুনিয়াবিমুখতা হলো তোমার নিকট যে ধন-সম্পদ ও ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে তার চেয়ে আল্লাহর তা'আলার নিকট যা কিছু রয়েছে তার প্রতি অধিক আকাক্ষিত হওয়া। যেমন ইবনু মাজার হাদীসে রয়েছে : আল্লাহর নিকট তার ধনভাণ্ডারে প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য যা কিছু রয়েছে তা তোমার কাছে যা আছে তা থেকে অধিক আকাঙ্ক্ষিত বিষয় হওয়া উচিত। অতএব হাদীসের অর্থ হচ্ছে আল্লাহ তা'আলা তোমার জন্য রিযকের যে ওয়াদা করেছেন তার ওপর ভরসা থাকা উচিত এবং এ ধারণা রাখা যে, তিনি তোমাকে এমনভাবে রিযক দিবেন যা তুমি কল্পনাও করতে পারনি এবং এমনভাবে দান করবেন যা তুমি কখনো উপার্জন করতে সক্ষম হওনি। এটা তোমার নিকট যে ধন-সম্পদ, ব্যবসা-বাণিজ্য, মান সম্মান ইত্যাদি যা কিছু আছে তার থেকে অধিক শক্তিশালী ও স্থায়ী। কেননা তোমার সম্পদ একদিন শেষ হয়ে যাবে, ধ্বংস হয়ে যাবে কিন্তু আল্লাহর নিকট যা আছে তা চিরস্থায়ী। যেমন আল্লাহ তা'আলা বলেন, (مَا عِنۡدَکُمۡ یَنۡفَدُ وَ مَا عِنۡدَ اللّٰهِ بَاقٍ ؕ)
“তোমাদের কাছে যা আছে তা শেষ হয়ে যাবে, আর আল্লাহর কাছে যা আছে তা টিকে থাকবে...” (সূরাহ্ আল নাহল ১৬:৯৬)।
(وَأَنْ تَكُونَ فِي ثَوَابِ الْمُصِيبَةِ إِذَا أَنْتَ أُصِبْتَ بِهَا أَرْغَبَ فِيهَا) আর এমন যেন না হয়, তুমি সাওয়াবের আশায় বিপদে পতিত হওয়াকে অধিক কামনা করবে বিপদ না আশা থেকে। অর্থাৎ এমন মনে করবে না বিপদ আসলেই অধিক সাওয়াব হবে আর বিপদ না আসলে তোমারা সাওয়াব ছুটে যাবে। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৬/২৩৪০, মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা) ও সবর (ধৈর্যধারণ) প্রসঙ্গে

৫৩০৩-[৯] সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: আদম সন্তানের সৌভাগ্য হলো আল্লাহর ফায়সালার উপর খুশি থাকা, আর আদম সন্তানের দুর্ভাগ্য আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা ছেড়ে দেয়া। আর এটাও আদম সন্তানের দুর্ভাগ্য যে, সে আল্লাহর ফায়সালায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে। [আহমাদ ও তিরমিযী; ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) বলেছেন, হাদীসটি গরীব]

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب التَّوَكُّل وَالصَّبْر)

وَعَنْ سَعْدٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِنْ سَعَادَةِ ابْنِ آدَمَ رِضَاهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ تَرْكُهُ اسْتِخَارَةِ اللَّهِ وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ سُخْطُهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ

اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (1 / 168 ح 1444) و الترمذی (2151) * محمد بن ابی حمید : ضعیف ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (مِنْ سَعَادَةِ ابْنِ آدَمَ رِضَاهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ) আদম সন্তানের সৌভাগ্যের নিদর্শন হচ্ছে সে আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা করবে, অতঃপর তিনি তার জন্য যা ফায়সালা করেছেন এবং তার ভাগ্যে নির্ধারণ করেছেন তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকা। এর বিপরীত দুর্ভাগ্য রয়েছে যেমনটি পরবর্তী বাক্যে বলা হয়েছে,
(وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ تَرْكُهُ اسْتِخَارَةِ اللَّهِ وَمِنْ شَقَاوَةِ ابْنِ آدَمَ سُخْطُهُ بِمَا قَضَى اللَّهُ لَهُ)  আদম সন্তানের জন্য দুর্ভাগ্য হচ্ছে আল্লাহর কাছে কল্যাণ কামনা না করা এবং তিনি যা ফায়সালা করেছেন তার জন্য রাগান্বিত হওয়া ও সন্তুষ্ট না থাকা। আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন : আল্লাহর ফায়সালার প্রতি সন্তুষ্ট হচ্ছে রাগকে পরিহার করা। আর এটা সৌভাগ্যের নিদর্শন। তিনি দুটি কারণে এটিকে বান্দার সৌভাগ্যের নিদর্শন ধার্য করেছেন-

[এক] যাতে ইবাদতের জন্য সমস্ত সময়কে ব্যয় করতে পারে। কেননা বান্দা যদি আল্লাহর ফয়সালার প্রতি সন্তুষ্ট না থাকে তাহলে সর্বদা চিন্তিত থাকবে। বিভিন্ন কার্যকলাপে মন ব্যস্ত থাকবে এবং বলবে, কেন এমনটি হলো, এমন হলো না কেন?

[দুই] যাতে তার রাগের কারণে তার ওপর আল্লাহর গযব নাযিল না হয়। বান্দার রাগের বহিঃপ্রকাশ হলো আল্লাহ তা'আলা তার জন্য যা ফায়সালা করেছেন তার বিপরীত উল্লেখ করা। আর যে ব্যাপারে তার কল্যাণ ও অকল্যাণ কোনটাই জানা নেই সে ব্যাপারে তার এমন মন্তব্য করা এটা হলে আরো ভালো হত, উত্তম হত। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৫/২১৫১, মিরকাতুল মাফাতীহ ৫৩০৩)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সা’দ বিন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা) ও সবর (ধৈর্যধারণ) প্রসঙ্গে

৫৩০৬-[১২] আবূ যার (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: কুরআনের এমন একটি আয়াত আমি জানি, যদি লোকেরা তার প্রতি আমল করত, তবে তাই তাদের জন্য যথেষ্ট হত। তা হলো, (..وَ مَنۡ یَّتَّقِ اللّٰهَ یَجۡعَلۡ لَّهٗ مَخۡرَجًا ۙ﴿۲﴾  وَّ یَرۡزُقۡهُ مِنۡ حَیۡثُ لَا یَحۡتَسِبُ ؕ..) “...যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে চলে তিনি তার মুক্তির রাস্তা তৈরি করে দেন এবং তাকে এমন জায়গা হতে রিযক দান করেন, যা সে ধারণাও করতে পারে না...”- (সূরাহ্ আত্ব ত্বলাক ৬৫: ২-৩)। (আহমাদ, ইবনু মাজাহ ও দারিমী)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب التَّوَكُّل وَالصَّبْر)

وَعَنْ أَبِي ذَرٍّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنِّي لَأَعْلَمُ آيَةً لَو أخَذ النَّاسُ بهَا لكفتهم: (من يتق الله يَجْعَل لَهُ مخرجاويرزقه من حيثُ لَا يحتسبُ) رَوَاهُ أَحْمد وَابْن مَاجَه والدارمي

اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (5 / 178 ح 21884) و ابن ماجہ (4220) و الدارمی (2 / 303 ح 2728) * اعلہ البوصیری بالانقطاع لان ابا السلیل لم یدرک ابا ذر رضی اللہ عنہ کما فی التھذیب وغیرہ ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা: (إِنِّي لَأَعْلَمُ آيَةً لَو أخَذ النَّاسُ بهَا لكفتهم) আমি এমন একটি আয়াত জানি যদি প্রত্যেক ব্যক্তি তার প্রতি ‘আমল করত তাহলে তাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে যেত। আর তা হচ্ছে : (..وَ مَنۡ یَّتَّقِ اللّٰهَ یَجۡعَلۡ لَّهٗ مَخۡرَجًا ۙ﴿۲﴾ وَّ یَرۡزُقۡهُ مِنۡ حَیۡثُ لَا یَحۡتَسِبُ..)
- “যে আল্লাহকে ভয় করে চলবে তিনি তাকে সকল প্রকার বিপদাপদ থেকে উদ্ধার করবেন এবং এমন জায়গা থেকে রিযক প্রদান করবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না”- (সূরা আত্ব ত্বলাক ৬৫: ২-৩)। অত্র আয়াতে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, আল্লাহ তা'আলা দুনিয়া ও আখিরাতের যাবতীয় অকল্যাণ থেকে বান্দাকে রক্ষাকারী হিসেবে যথেষ্ট। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ যার আল-গিফারী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা) ও সবর (ধৈর্যধারণ) প্রসঙ্গে

৫৩০৯-[১৫] ’আমর ইবনুল আস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: প্রত্যেক উপত্যকায় মানুষের অন্তরের ঘাঁটি রয়েছে। অতএব যে ব্যক্তি তার অন্তরকে উক্ত প্রত্যেক ঘাটির দিকে ধাবিত করে, আল্লাহ তা’আলা তাকে তার যে কোন ঘাঁটিতে ধ্বংস করতে পরোয়া করেন না। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহর ওপর ভরসা করে তিনি তার ঘাঁটিসমূহের জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। (ইবনু মাজাহ)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب التَّوَكُّل وَالصَّبْر)

وَعَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ قَلْبَ ابْنِ آدَمَ بِكُلِّ وَادٍ شُعْبَةٌ فَمَنْ أَتْبَعَ قَلْبَهُ الشُّعَبَ كُلَّهَا لَمْ يُبَالِ اللَّهُ بِأَيِّ وَادٍ أَهْلَكَهُ وَمَنْ تَوَكَّلَ عَلَى اللَّهِ كَفَاهُ الشّعب» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه

اسنادہ ضعیف ، رواہ ابن ماجہ (4166) * فیہ صالح بن رزین : مجھول وقال الذھبی :’’ حدیثہ منکر ‘‘ و السند ضعفہ البوصیری من اجل صالح ھذا ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (إِنَّ قَلْبَ ابْنِ آدَمَ بِكُلِّ وَادٍ شُعْبَةٌ) আদম সন্তানের অন্তরের এক অংশ প্রত্যেক উপত্যকায় ধাবিত হয়। যেহেতু মানুষের মধ্যে একটি মাত্র অন্তর থাকে আর চিন্তাভাবনার উপত্যকা অনেক, তাই অন্তরের একাংশ ঘোরাফেরা করে সম্পূর্ণ অংশ নয়।
(فَمَنْ أَتْبَعَ قَلْبَهُ الشُّعَبَ كُلَّهَا) অতএব যার অন্তর চিন্তা-ভাবনার সকল শাখার অনুসরণ করে সে যে কোন উপত্যকায় ধ্বংস হলে আল্লাহকে উদ্ধারকারী হিসেবে পাবে না। আর যারা আল্লাহর ওপর সর্বদা ভরসা করে তাদের বিক্ষিপ্ত প্রয়োজনগুলো মেটানোর জন্য আল্লাহই যথেষ্ট হয়ে যান। আর এই অর্থেই নবী (সা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, যারা তাদের সমস্ত চিন্তাভাবনাকে দীনের একক চিন্তায় রূপান্তর করে চলে আল্লাহ তাদের দুনিয়া ও আখিরাতের জন্য যথেষ্ট হয়ে যান। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আমর ইবনুল আস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা) ও সবর (ধৈর্যধারণ) প্রসঙ্গে

৫৩১০-[১৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নাবী (সা.) বলেছেন: তোমাদের মহাপরাক্রমশালী পরোয়ারদিগার বলেন, যদি আমার বান্দাগণ আমার আনুগত্য করত, তাহলে আমি তাদেরকে রাত্রে বৃষ্টি বর্ষণ করতাম এবং দিনের বেলায় সূর্যের কিরণ ছড়িয়ে দিতাম, আর মেঘের গর্জন, বিদ্যুতের শব্দ তাদেরকে শুনাতাম না। (আহমাদ)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب التَّوَكُّل وَالصَّبْر)

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قَالَ رَبُّكُمْ عَزَّ وَجَلَّ: لَوْ أَنَّ عَبِيدِي أَطَاعُونِي لَأَسْقَيْتُهُمُ الْمَطَرَ بِاللَّيْلِ وَأَطْلَعْتُ عَلَيْهِمُ الشَّمْسَ بِالنَّهَارِ وَلَمْ أُسْمِعْهُمْ صَوْتَ الرَّعدِ . رَوَاهُ أَحْمد

اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (2 / 359 ح 8693) [و الحاکم (4 / 256)] * صدقۃ بن موسی الدقیقی السلمی ضعیف ضعفہ المجھور ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (لَوْ أَنَّ عَبِيدِي أَطَاعُونِي) যদি আমার বান্দারা আমার সকল আদেশ নিষেধের আনুগত্য করত তাহলে রাতে আরামে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ওপর আমি বৃষ্টি বর্ষণ করতাম। আর দিনের বেলায় তাদের কর্মক্ষেত্রে কর্মরত অবস্থায় সূর্য উদিত করে দিতাম।
আর তাদেরকে রাতে অথবা দিনে কখনো বজ্রের আওয়াজ শুনাতাম না, যাতে তারা ভয় না পায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - তাওয়াক্কুল (আল্লাহর ওপর ভরসা) ও সবর (ধৈর্যধারণ) প্রসঙ্গে

৫৩১১-[১৭] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন এক ব্যক্তি তার পরিবার-পরিজনের নিকট এসে দেখল তারা ক্ষুধা ও উপবাসে পড়ে আছে, তখন সে (দিশেহারা হয়ে) ময়দানের দিকে বের হয়ে গেল। অতঃপর তার স্ত্রী যখন দেখল তার স্বামী খাদ্যের সন্ধানে বাইরে চলে গেছে। তখন সে আটা পেষার চাক্কির কাছে গেল এবং চাক্কির এক পাট আরেক পাটের উপর রাখল, অতঃপর চুলার কাছে গিয়ে তাতে আগুন জ্বালাল। এরপর দু’আ করল, হে আল্লাহ! তুমি আমাদের রিযক দান কর। এরপর সে চাক্কির নীচের তাগারীটির (বিরাট পাত্র) প্রতি লক্ষ্য করে দেখল তা ভর্তি হয়ে রয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর সে রুটি তৈরি করার জন্য চুলার কাছে গিয়ে দেখে যে, সেখানে পাত্রটি রুটির দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে আছে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর স্বামী ঘরে ফিরে (স্ত্রীকে) জিজ্ঞেস করল, আমার চলে যাওয়ার পর তোমরা কি কারো নিকট হতে কিছু পেয়েছ? স্ত্রী বলল, হ্যাঁ পেয়েছি। আমরা আমাদের রবের নিকট হতে পেয়েছি। অতঃপর সে (লোকটি) চাক্কির নিকট গিয়ে তার পাটটি খুলে রাখল এবং নবী (সা.) -এর নিকট ঘটনাটি বর্ণনা করা হলে তিনি বললেন, যদি সে চাক্কির পাটটি না সরাত, তাহলে কিয়ামত পর্যন্ত তা ঘুরতে থাকত (এবং তা হতে আটা বের হতে থাকত)। (আহমাদ)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب التَّوَكُّل وَالصَّبْر)

وَعَنْهُ قَالَ: دَخَلَ رَجُلٌ عَلَى أَهْلِهِ فَلَمَّا رَأَى مَا بِهِمْ مِنَ الْحَاجَةِ خَرَجَ إِلَى الْبَرِيَّةِ فَلَمَّا رَأَتِ امْرَأَتُهُ قَامَتْ إِلَى الرَّحَى فَوَضَعَتْهَا وَإِلَى التَّنُّورِ فَسَجَرَتْهُ ثُمَّ قَالَتْ: اللَّهُمَّ ارْزُقْنَا فَنَظَرَتْ فَإِذَا الْجَفْنَةُ قَدِ امْتَلَأَتْ. قَالَ: وَذَهَبَتْ إِلَى التَّنُّورِ فَوَجَدَتْهُ مُمْتَلِئًا. قَالَ: فَرَجَعَ الزَّوْجُ قَالَ: أَصَبْتُمْ بَعْدِي شَيْئًا؟ قَالَتِ امْرَأَتُهُ: نَعَمْ مِنْ رَبِّنَا وَقَامَ إِلَى الرَّحَى فَذُكِرَ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «أَمَا إِنَّهُ لَوْ لَمْ يَرْفَعْهَا لَمْ تَزَلْ تَدور إِلَى يَوْم الْقِيَامَة» . رَوَاهُ أَحْمد

اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (2 / 513 ح 10667) [و الطبرانی فی الاوسط (5584)] * ھشام بن حسان مدلس و عنعن عن محمد بن سرین الخ ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (دَخَلَ رَجُلٌ عَلَى أَهْلِهِ) এক ব্যক্তি তার পরিবার-পরিজনের নিকট প্রয়োজনীয় সামগ্রীর খোঁজখবর নেয়ার জন্য গৃহে প্রবেশ করল, যখন সে দেখল সবাই ক্ষুধায় দারিদ্রে জর্জরিত তখন সে জমিনে কাজের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ল। যখন তার স্ত্রী দেখল তার স্বামী লজ্জা-শরম ফেলে দিয়ে বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেছে তখন সে আটা ভাঙানো জাঁতাকল পরিষ্কার করে এক অংশ আরেক অংশের উপর রাখল এবং চুলায় আগুন জ্বালিয়ে গরম করল। এরপর আল্লাহর দরবারে দু'আ করতে শুরু করল; হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রিযক প্রদান করুন, কেননা আমাদের খাদ্য শেষ হয়ে গেছে। আমরা শুধু আপনার কল্যাণেরই আশা করছি।
(فَنَظَرَتْ فَإِذَا الْجَفْنَةُ قَدِ امْتَلَأَتْ) অতঃপর স্ত্রী পেষণ যন্ত্রের দিকে তাকিয়ে দেখল যে, একটি বড় পাত্র আটায় পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর সে চুলার কাছে গিয়ে দেখল তা রুটিতে পরিপূর্ণ হয়ে রয়েছে।

(قَالَ: فَرَجَعَ الزَّوْجُ) বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তার স্বামী বাড়িতে ফিরে এসে জিজ্ঞেস করল, তোমরা কি কিছু খেয়েছ? অথবা খাওয়ার কিছু পেয়েছ? তখন তার স্ত্রী বলল : হ্যা, আমাদের রবের পক্ষ থেকে পেয়েছি। স্বামী আশ্চর্য হয়ে পেষণ যন্ত্রের দিকে গেল এবং তা উঠিয়ে ভালো করে লক্ষ্য করতে লাগল।
(فَذُكِرَ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ) অতঃপর নবী (সা.) -এর নিকট গিয়ে তা বর্ণনা করল। নবী (সা.) সব ঘটনা শুনে বললেন, হায়! যদি সে পেষণ যন্ত্রটি না উঠাত তাহলে তা কিয়ামাত পর্যন্ত ঘুরতে থাকত এবং তা হতে আটা বের হতে থাকত।
এ হাদীস থেকে জানা যায় যে, বান্দা যদি সাধ্যানুযায়ী হালাল কাজে আত্মনিয়োগ করে আল্লাহর দরবারে দুআ করে তাহলে আল্লাহ তার রিকের ব্যবস্থা করে দেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা

৫৩২২-[৯] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, হে আল্লাহর রসূল! আমি একদিন আমার ঘরে সলাত আদায় করছিলাম, এমন সময় হঠাৎ এক লোক আমার নিকট আসলো। সে আমাকে এ (নেক) অবস্থায় দেখেছেন, এটা আমার মনে আনন্দ জাগল। (আমার খুশি হওয়াটা কি রিয়াকারী?) তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহ তোমার প্রতি দয়া করুন, হে আবূ হুরায়রাহ্! তোমার জন্য দ্বিগুণ সাওয়াব রয়েছে, একটি হলো গোপনীয়তা, আর দ্বিতীয়টি হলো ’ইবাদত প্রকাশ হয়ে পড়ার। [ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, এ হাদীসটি গরীব]

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب الرِّيَاء والسمعة)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ بَيْنَا أَنَا فِي بَيْتِي فِي مُصَلَّايَ إِذْ دَخَلَ عَلَيَّ رَجُلٌ فَأَعْجَبَنِي الْحَالُ الَّتِي رَآنِي عَلَيْهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رَحِمَكَ اللَّهُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ لَكَ أَجْرَانِ: أَجْرُ السِّرِّ وَأَجْرُ الْعَلَانِيَةِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيث غَرِيب

اسنادہ ضعیف ، رواہ الترمذی (2384) [و ابن ماجہ (4226)] * حبیب بن ابی ثابت مدلس و عنعن ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (بَيْنَا أَنَا فِي بَيْتِي فِي مُصَلَّايَ) আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) বলেন, একদিন আমি বাড়ীতে আমার সলাতের চাদরে বসে আছি, এমন সময় আমার কাছে এক ব্যক্তি প্রবেশ করে আমাকে দেখে ফেলে। আমাকে এ অবস্থায় দেখার কারণে আমি খুবই খুশি হই। আমার এ কাজটি কি রিয়ার অন্তর্ভুক্ত হবে? এ ব্যাপারে আপনার অভিমত কি?
(فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رَحِمَكَ اللَّهُ يَا أَبَا هُرَيْرَةَ) রাসূলুল্লাহ (সা.) উত্তরে বললেন, হে আবূ হুরায়রাহ্! আল্লাহ তোমার প্রতি অনুগ্রহ করুন। এতে তোমার দ্বিগুণ সাওয়াব অর্জিত হয়েছে। গোপনে একনিষ্ঠতার সাথে আল্লাহর ইবাদত করার কারণে এবং প্রকাশ্যে ‘আমল দ্বারা অন্যরা তোমার অনুসরণ করার কারণে অথবা আনুগত্যমূলক কাজ করে তোমার আনন্দ লাভ করা ও তা মানুষের শিক্ষার জন্য প্রকাশ পাওয়ার কারণে। অথবা যে তার ‘আমল দেখেছে সেও উক্ত ‘আমল করবে এবং তাতে তার সমপরিমাণ সাওয়াব অর্জিত হবে এ কারণে। আর এ অর্থেই রসূল (সা.) বলেছেন,
(مَنْ سَنَّ سُنَّةً حَسَنَةً حَسَنَةً كَانَ لَهٗ مِشْلُ أَجْرِ كُلِّ مَنْ يَعْمَلُ بِهَا) অর্থাৎ- “যে ব্যক্তি কোন উত্তম কাজ চালু করবে তার জন্য উক্ত ভালো কাজের প্রতিদান রয়েছে এবং তাদের সমপরিমাণ প্রতিদান যারা তার প্রতি আমল করবে।” (মুসলিম ৪/২০৫৯, তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৬/২৩৮৪)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা

৫৩২৩-[১০] উক্ত রাবী [আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ)] হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: শেষ যামানায় এমন কিছু সংখ্যক লোকের আগমন ঘটবে যারা দীনের দ্বারা দুনিয়া অর্জন করবে। (দীনদারী প্রকাশ করে মানুষকে ধোকায় ফেলবে) মানুষের দৃষ্টিতে বিনয়ভাব প্রকাশের উদ্দেশ্যে মেষ-দুম্বার চামড়া পরিধান করবে, তাদের মুখের ভাষা হবে চিনি তুলনা মিষ্টি। পক্ষান্তরে তাদের অন্তর হবে বাঘের মতো (হিংস্র)। আল্লাহ তাআলা এ জাতীয় লোকদের ব্যাপারে বলেন, এরা কি আমাকে ধোঁকা দিতে চায়, নাকি আমার ওপরে ধৃষ্টতা পোষণ করছে? (জেনে রাখ!) আমি আমার শপথ করে বলছি, আমি তাদের ওপর তাদের মধ্য থেকে এমন বিপদ পাঠাবো যাতে তাদের বিচক্ষণ বুদ্ধিমান ব্যক্তিগণও দিশেহারা হয়ে পড়বে। (তিরমিযী)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب الرِّيَاء والسمعة)

وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَخْرُجُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ رِجَالٌ يَخْتِلُونَ الدُّنْيَا بِالدِّينِ يَلْبَسُونَ لِلنَّاسِ جُلُودَ الضَّأْنِ مِنَ اللِّينِ أَلْسِنَتُهُمْ أَحْلَى مِنَ السُّكَّرِ وَقُلُوبُهُمْ قُلُوبُ الذِّئَابِ يَقُولُ اللَّهُ: «أَبِي يَغْتَرُّونَ أَمْ عليَّ يجترؤون؟ فَبِي حَلَفْتُ لَأَبْعَثَنَّ عَلَى أُولَئِكَ مِنْهُمْ فِتْنَةً تدع الْحَلِيم فيهم حيران» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ

اسنادہ ضعیف جذا ، رواہ الترمذی (2404) * فیہ یحیی بن عبیداللہ متروک و افحش الحاکم فرماہ بالوضع ، قلت : روایۃ المتروک مثل روایۃ الکذاب ، لا یستشھد بہ ولا یعتبر ابدًا ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (يَخْتِلُونَ الدُّنْيَا بِالدِّينِ) পরকালীন ‘আমালের বিনিময়ে দুনিয়া উপার্জন করবে। অর্থাৎ দুনিয়াবাসীকে পরকালীন ‘আমল দেখিয়ে ধোঁকা দিবে।
(يَلْبَسُونَ لِلنَّاسِ جُلُودَ الضَّأْنِ مِنَ اللِّينِ) তারা মানুষকে দুনিয়াবিমুখ পরকাল সন্ধানী হিসেবে বিশ্বাস করানোর জন্য ভেড়ার চামড়া বা পশমী পোশাক পরিধান করবে। তারা মানুষের সাথে নম্রতা কোমলা প্রদর্শন, মিসকীন ভাব ও সংযমী প্রদর্শন করবে। মূলত এর মাধ্যমে তারা মানুষের কাছে তোষামোদ প্রিয় ও বিনয়ী ভাব দেখিয়ে তাদের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করে মুরিদ বানানো এবং তাদের ‘আক্বীদাকে বিশ্বাস করানোর চেষ্টা করবে।
(أَلْسِنَتُهُمْ أَحْلَى مِنَ السُّكَّرِ) তাদের মুখের ভাষা মধুর চিনির চেয়ে মিষ্টি হবে এবং তাদের অন্তর হবে দুনিয়ার মানসম্মান ও সম্পত্তির প্রতি হিংস্র প্রাণীর চেয়েও ভয়ানক। অর্থাৎ তাদের অন্তর দুনিয়ার গৌরব ও সম্পদের লোভে অতি তিক্ত হবে, আর মুত্তাকীদের সাথে শত্রুতা ও ঘৃণা প্রদর্শন করবে এবং প্রবৃত্তির তাড়নায় পশুসুলভ আচরণ করবে।
(يَقُولُ اللَّهُ: «أَبِي يَغْتَرُّونَ) আল্লাহ তা'আলা বলবেন, আমার সহনশীলতা ও অবকাশের দরুন তারা কি আমার সাথে প্রতারণা করছে? এখানে প্রতারণার অর্থ হলো : আল্লাহকে ভয় না করার দরুন নিজেকে ক্ষতি করা, তাওবাকে উপেক্ষা করা, গুনাহ ও প্রবৃত্তির অনুসরণে লেগে থাকা।
(أَمْ عليَّ يجترؤون؟) নাকি মানুষকে ভালো কাজ প্রদর্শন করে ধোঁকা দিয়ে আমার সাথে দুঃসাহসিকতা দেখাচ্ছে?
(فَبِي حَلَفْتُ) আমার মর্যাদা ও ‘ইযযতের কসম করে বলছি, আমি অবশ্যই উক্ত গুণসম্পন্ন ব্যক্তিদেরকে একে অপরের ওপর ক্ষমতা দিয়ে ফিতনায় ফেলব।
(تدع الْحَلِيم فيهم حيران) বিচক্ষণ ‘আলিমগণ পর্যন্ত দিশেহারায় পড়ে, কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যাবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৬/২৪০৪)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা

৫৩২৪-[১১] ইবনু উমার (রাঃ) নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন: মহান কল্যাণময় আল্লাহ তা’আলা বলেছেন, আমি এমন কতক মাখলুক সৃষ্টি করেছি যাদের মুখের বাণী চিনি অপেক্ষা সুমিষ্টি। আর তাদের হৃদয় সবর (তেতো ফল) অপেক্ষা তিক্ত। আমি আমার শপথ করে বলছি, আমি তাদের ওপর এমন বিপর্যয় অবতীর্ণ করব যে, তাদের জ্ঞানী-গুণী লোকেরাও দিশেহারা হয়ে পড়বে। তারা কি আমাকে ধোঁকা দিতে চাচ্ছে নাকি আমার সাথে ধৃষ্টতা পোষণ করছে? ইমাম তিরমিযী (রহিমাহুল্লাহ) হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তিনি বলেছেন, হাদীসটি গরীব।

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب الرِّيَاء والسمعة)

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ: لَقَدْ خَلَقْتُ خَلْقًا أَلْسِنَتُهُمْ أَحْلَى مِنَ السُّكَّرِ وَقُلُوبُهُمْ أَمَرُّ مِنَ الصَّبْرِ فَبِي حَلَفْتُ لَأُتِيحَنَّهُمْ فِتْنَةً تَدَعُ الْحَلِيمَ فِيهِمْ حَيْرَانَ فَبِي يغترّون أم عليَّ يجترؤونَ؟ رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَقَالَ: هَذَا حديثٌ غَرِيب

اسنادہ ضعیف ۔ رواہ الترمذی (2405) * حمزۃ بن ابی محمد : ضعیف ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (إِنَّ اللَّهَ تَبَارَكَ وَتَعَالَى قَالَ: لَقَدْ خَلَقْتُ خَلْقًا) আল্লাহ তা'আলা বলেন, অবশ্যই আমি এমন একদল মানুষকে সৃষ্টি করেছি যাদের ভাষা চিনির চেয়ে মিষ্টি এবং তাদের অন্তর হকপন্থীদের প্রতি তিক্ত গাছের রসের চেয়ে আরো তিক্ত হবে।
(فَبِي حَلَفْتُ لَأُتِيحَنَّهُمْ فِتْنَةً) আমার ‘ইযযতের কসম করে বলছি তাদের ভিতর এমন ফিতনাহ্ ছড়িয়ে দিব যে, বিচক্ষণ ‘আলিম পর্যন্ত তা নিয়ে পেরেশান থাকবে।
(فَبِي يغترّون أم عليَّ يجترؤونَ؟) তারা কি আমার সাথে প্রতারণা করছে নাকি দুঃসাহসিকতা প্রদর্শন করছে? (মিরকাতুল মাফাতীহ)।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা

৫৩২৬-[১৩] আনাস (রাঃ) নবী (সা.) হতে বর্ণনা করেন। তিনি (সা.) বলেছেন: কোন ব্যক্তি খারাপ হওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট যে, দীনদারী বা ইহকালীন উচ্চ সম্মানের ব্যাপারে তার প্রতি অঙ্গুলি দ্বারা ইঙ্গিত করা হয়। তবে সে এটার আওতায় পড়বে না যাকে আল্লাহ রক্ষা করেছেন। (বায়হাকী’র শুআবূল ঈমান)

اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب الرِّيَاء والسمعة)

وَعَنْ أَنَسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «بِحَسب امريءٍ مِنَ الشَّرِّ أَنْ يُشَارَ إِلَيْهِ بِالْأَصَابِعِ فِي دِينٍ أَوْ دُنْيَا إِلَّا مَنْ عَصَمَهُ اللَّهُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ»

اسنادہ ضعیف ، رواہ البیھقی فی شعب الایمان (6978 ، نسخۃ محققۃ : 6580) * کلثوم بن محمد بن ابی سدرۃ الحلبی ضعیف علی الراجح و عطاء بن ابی مسلم الخراسانی عن ابی ھریرۃ : مرسل ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা: (بِحَسب امريءٍ مِنَ الشَّرِّ أَنْ يُشَارَ إِلَيْهِ بِالْأَصَابِعِ) কোন ব্যক্তি মন্দ হওয়ার এতটুকুই যথেষ্ট যে, পার্থিব অথবা পরকালীন দীনদারী কাজের প্রসিদ্ধির জন্য তার দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করা হয়। কেননা ব্যক্তি যখন কোন একটি স্বভাবের জন্য প্রসিদ্ধি লাভ করে তখন তার মধ্যে আত্মগৌরবের অহঙ্কার, লৌকিকতা, নেক আমলের প্রশংসা ইত্যাদি লুক্কায়িত মন্দ গুণাবলি থেকে খুব কমই নিরাপদে থাকতে পারে।
(إِلَّا مَنْ عَصَمَهُ اللَّهُ) তবে আল্লাহ তা'আলা যাকে তাকওয়ার স্থানে হিফাযাত করেন সেই কেবল উক্ত মন্দ গুণ থেকে বাঁচতে পারে। আর এজন্যই অনেক সুফী মতবাদ অবলম্বী দীনী ‘ইবাদত গোপন করে প্রবৃত্তির হীন মানসিকতা প্রকাশ করার নীতি অবলম্বন করে থাকে। হাসান বসরী (রহিমাহুল্লাহ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল লোকে তো আপনার দিকে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে থাকে। উত্তরে তিনি বলেন, নবী (সা.) হাদীস দ্বারা তাদের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন যারা দীনের ক্ষেত্রে বিদ্আতী এবং দুনিয়ার ক্ষেত্রে পাপাচারী। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা

৫৩২৮-[১৫] ’উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.) -এর মসজিদের দিকে বের হয়ে মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ)-কে নবী (সা.)-এর কবরের নিকট দেখে বললেন, কিসে আপনাকে কাঁদাচ্ছে? তিনি বললেন, আমাকে এমন একটি জিনিস কাঁদাচ্ছে যা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি- ’রিয়া’-এর সামান্য পরিমাণও শিরক। আর যে লোক আল্লাহর বন্ধুদের সাথে শত্রুতার মনোভাব রাখে, সে যেন আল্লাহর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হলো। বস্তুত আল্লাহ তা’আলা পুণ্যবান, আল্লাহভীরু, লোকচক্ষু হতে আত্মগোপনকারীদেরকে পছন্দ করেন। তারা হলো এমন সব ব্যক্তি যারা লোকচক্ষু হতে অনুপস্থিত থাকলে কেউ তাদের খোঁজ নেয় না এবং তাদের সম্মুখে উপস্থিত হলেও কেউ তাদেরকে (মজলিসে) আহ্বান করে না। আর তাদেরকে নিজেদের নিকট বসায় না। (অথচ) তাদের হৃদয় হলো হিদায়াতের মশাল। তারা প্রত্যেক অন্ধকারাচ্ছন্ন জীর্ণশীর্ণ কুটির হতে বের হয়। (ইবনু মাজাহ ও বায়হাক্বী’র শুআবূল ঈমান)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب الرِّيَاء والسمعة)

وَعَن عمر بن الْخطاب أَنَّهُ خَرَجَ يَوْمًا إِلَى مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَجَدَ مُعَاذَ بْنَ جَبَلٍ قَاعِدًا عِنْدَ قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَبْكِي فَقَالَ: مَا يُبْكِيكَ؟ قَالَ: يُبْكِينِي شَيْءٌ سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ وَمَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْأَبْرَارَ الْأَتْقِيَاءَ الْأَخْفِيَاءَ الَّذِينَ إِذَا غَابُوا لَمْ يُتَفَقَّدُوا وَإِنْ حَضَرُوا لَمْ يُدْعَوْا وَلَمْ يُقَرَّبُوا قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي «شُعَبِ الْإِيمَانِ»

اسنادہ ضعیف جذا ، رواہ ابن ماجہ (3989) و البیھقی فی شعب الایمان (6812) ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (مَا يُبْكِيكَ؟) কিসের কারণে তুমি কাঁদছ? রসূলের সাক্ষাতের আশায় নাকি কোন বিপদে পড়ে কাঁদছ? তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এ থেকে শুনা একটি হাদীসের কারণে আমি কাঁদছি যা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি।
(إِنَّ يَسِيرَ الرِّيَاءِ شِرْكٌ) সামান্য পরিমাণ রিয়া হলেই শিরক। আর তা অন্ধকার রাত্রিতে কালো পাথরের উপর কালো পিপিলিকার পদচারণার আওয়াজ থেকেও সূক্ষ্ম। খুব কম শক্তিশালী লোকই তা থেকে দূরে থাকতে পারে। তাহলে দুর্বলের অবস্থা কি হতে পারে? আর এ কারণেই আমি কাঁদছি। অন্য আরেকটি কারণ হলো আল্লাহর ওয়ালীদেরকে কষ্ট দেয়। কেননা তাদের অধিকাংশই অপ্রকাশ্য থাকেন। মানুষ তাদেরকে কথায় ও কাজে কষ্ট দিয়ে থাকে। হাদীসের পরবর্তী অংশ এ কথার প্রমাণ বহন করে।
(مَنْ عَادَى لِلَّهِ وَلِيًّا فَقَدْ بَارَزَ اللَّهَ بِالْمُحَارَبَةِ) যারা কথায় বা কাজে আল্লাহর কোন ওয়ালীকে রাগান্বিত করবে স্বয়ং আল্লাহ তা'আলা তার সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এ থেকে বুঝা যায় যে, এটা গুরুতর অপরাধ।
(إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْأَبْرَارَ الْأَتْقِيَاءَ) নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা নিজে সৎকাজ সম্পাদনকারী ও আল্লাহর সৃষ্টজীবের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশকারী বান্দাদেরকে ভালোবাসেন। যারা সকল প্রকার শিরক ও পাপাচার থেকে বেঁচে থাকে এবং মানুষের সাথে মেলামেশায় দৃষ্টির অগোচরে থাকে। অধিকাংশ মানুষের চোখের আড়ালে বসবাস করে। তারা এতই অপরিচিত যে, তারা সমাজে অনুপস্থিত থাকলে তাদেরকে খোঁজা হয় না। তারা উপস্থিত থাকলেও তাদেরকে খাওয়ার টেবিলে বসার জন্য দা'ওয়াত দেয়া হয় না এবং তাদেরকে কাছেও ডাকা হয় না।
(قُلُوبُهُمْ مَصَابِيحُ الْهُدَى) তাদের অন্তরগুলো হিদায়াতের আলোকবর্তিকা। তারাই হলো হিদায়াতের প্রতীক। তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করা সকলের উচিত।
(يَخْرُجُونَ مِنْ كُلِّ غَبْرَاءَ مُظْلِمَةٍ) তাদের আবির্ভাব প্রত্যেক অন্ধকারাচ্ছন্ন ধূলামলিন বাসস্থানে। অর্থাৎ তাদের বাসস্থানগুলো খুবই নগণ্য হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপকরণের অভাবে ঘরগুলো ধুলামলিন হবে এবং বাতির অভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন হবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, ইবনু মাজাহ ৩/৩৯৮৯)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা

৫৩২৯-[১৬] আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: কোন বান্দা যখন প্রকাশ্যে সালাত আদায় করে তখন উত্তমভাবে আদায় করে এবং যখন নির্জনে সালাত আদায় করে তখনও অনুরূপ উত্তমভাবেই আদায় করে। এমন বান্দা সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেন, সে-ই আমার প্রকৃত বান্দা। (ইবনু মাজাহ)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب الرِّيَاء والسمعة)

وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا صَلَّى فِي الْعَلَانِيَةِ فَأَحْسَنَ وَصَلَّى فِي السِّرِّ فَأَحْسَنَ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى: هَذَا عَبْدِي حَقًّا . رَوَاهُ ابْن مَاجَه

اسنادہ ضعیف ، رواہ ابن ماجہ (4200) * بقیۃ مدلس و عنعن وقال ابو حاتم :’’ ھذا حدیث منکر ، یشبہ ان یکون من حدیث عباد بن کثیر ‘‘ ۔
(ضَعِيفٌ)

ব্যাখ্যা : (إِنَّ الْعَبْدَ إِذَا صَلَّى فِي الْعَلَانِيَةِ فَأَحْسَنَ) বান্দা যখন প্রকাশ্যে সালাত আদায় করার সময় সকল প্রকার শর্ত, ওয়াজিবাত, সুন্নাত ও মুস্তাহাব কাজগুলো উত্তমরূপে আদায় করে, এমনিভাবে সমস্ত ‘ইবাদতেই প্রকাশ্যে সুন্দর করে আদায় করে।
আবার মানুষের দৃষ্টির অগোচরে ‘ইবাদত করলেও সুন্দর করে ইবাদত করে, তখন আল্লাহ তা'আলা বলেন, (هَذَا عَبْدِي حَقًّا) আমার এ বান্দা সত্যিই একনিষ্ঠ। তার সমস্ত কার্যকলাপ নিফাক থেকে মুক্ত। সম্ভবত এ কারণেই রাসূলুল্লাহ (সা.) সুন্নাত ও নফল সালাত বাড়ীতে আদায় করতেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা

৫৩৩০-[১৭] মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেছেন: শেষকালে এমন কতক সম্প্রদায়ের আগমন ঘটবে যারা দৃশ্যত হবে বন্ধু, পক্ষান্তেরে গোপনে হবে শত্রু। তখন জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! তা কিভাবে হবে? তিনি (সা.) বললেন, তাদের কেউ কারো কাছ থেকে স্বার্থের বশীভূত এবং একে অন্যের পক্ষ থেকে ভীত হওয়ার কারণে।

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب الرِّيَاء والسمعة)

وَعَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ أَقْوَامٌ إِخْوَانُ الْعَلَانِيَةِ أَعْدَاءُ السَّرِيرَةِ» . فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ يَكُونُ ذَلِكَ. قَالَ: «ذَلِكَ بِرَغْبَةِ بَعْضِهِمْ إِلَى بَعْضٍ وَرَهْبَةِ بَعْضِهِمْ من بعض»

اسنادہ ضعیف ، رواہ احمد (5 / 235 ح 22405) * فیہ ابوبکر بن ابی مریم الغسانی : ضعیف مختلط ، رواہ عن حبیب بن عبید عن معاذ بہ و حبیب بن عبید الرحبی لم یدرک سیدنا معاذ بن جبل رضی اللہ عنہ فالسند منقطع ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (يَكُونُ فِي آخِرِ الزَّمَانِ أَقْوَامٌ) শেষ যামানায় এমন অনেক দলের আবির্ভাব হবে যারা প্রকাশ্যে ভ্রাতৃত্ব সুলভ আচরণ করবে কিন্তু গোপনে শত্রুতা পোষণ করবে।
(فَقِيلَ: يَا رَسُولَ اللَّهِ وَكَيْفَ يَكُونُ ذَلِكَ) রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে জিজ্ঞেস করা হলো, তার কারণ কি? তিনি (সা.) উত্তরে বললেন, প্রত্যেক দল অপর দলের প্রতি লোভ করার কারণে এবং একদল অপর দলকে ভয় করার কারণে।
মুলত এটা আল্লাহর জন্য কাউকে ভালোবাসা বা আল্লাহর জন্যই ঘৃণা করার উদ্দেশে নয়। বরং তাদের ভ্রান্ত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্যই এমন করবে। কখনো কোন সম্প্রদায়ের প্রতি নিজেদের স্বার্থে ভালোবাসা প্রকাশ করবে আবার কখনো অন্য সম্প্রদায়কে ঘৃণা করবে।
অতএব মানুষের সাথে এমন ভালোবাসা এবং শত্রুতার কোন মূল্য নেই। কেননা এসব নিজেদের প্রসিদ্ধির জন্যই করবে, আল্লাহ ওয়াস্তে নয়। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা

৫৩৩১-[১৮] শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি, যে লোক মানুষকে দেখানোর জন্য সালাত আদায় করে, সে শিরক করল। যে দেখানোর নিয়্যাতে সিয়াম রাখল সে শিরক করল, আর যে দেখানোর জন্য দান করল সেও শিরক করল। আর যে দেখানোর জন্য সদা-দান করল সেও শিরক করল। [উপরিউক্ত হাদীস দু’টি ইমাম আহমাদ (রহিমাহুল্লাহ) বর্ণনা করেছেন]

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب الرِّيَاء والسمعة)

وَعَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يَقُول: «من صَلَّى يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ وَمَنْ صَامَ يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ وَمَنْ تَصَدَّقَ يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ» رَوَاهُمَا أَحْمد

اسنادہ حسن ، رواہ احمد (4 / 126 ح 17270)

ব্যাখ্যা : (من صَلَّى يُرَائِي فَقَدْ أَشْرَكَ) যারা মানুষকে দেখানোর জন্য সালাত আদায় করবে, তারা ছোট শিরকে লিপ্ত হবে। এমনিভাবে যারা মানুষকে দেখানোর জন্য সাওম পালন করবে তারাও শিরক করবে। এখান থেকে জানা যাচ্ছে যে, সিয়ামের ক্ষেত্রেও রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও কেউ এটাকে অস্বীকার করে। কেননা সিয়াম নিয়্যাতের উপর নির্ভর করে। আর এখানে রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে বলা যায় এক্ষেত্রে রিয়া পাওয়া সম্ভব শারীকানা ভিত্তিতে। যেমন- কেউ সওম পালনের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টির পাশাপাশি খ্যাতি অর্জনের ইচ্ছা প্রকাশ করলে বা অন্য উদ্দেশে জড়িত হলে। এমনিভাবে লোক দেখানো উদ্দেশে দান করলে সেও শিরক করবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা

৫৩৩২-[১৯] উক্ত রাবী [শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ)] হতে বর্ণিত। একদিন তিনি কাঁদছিলেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, কিসে আপনাকে কাঁদাচ্ছে? তিনি বললেন, ঐ কথাটি আমাকে কাঁদাচ্ছে যা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে বলতে শুনেছি। এখন তার স্মৃতি আমাকে কাঁদাচ্ছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) -কে আমি বলতে শুনেছি, আমি আমার উম্মতের ওপর প্রচ্ছন্ন শিরক ও গোপন প্রবৃত্তির আশঙ্কা করছি। বর্ণনাকারী বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনার পরে আপনার উম্মাত কি শিরকে জড়াবে? তিনি (সা.) বললেন, হ্যা, জড়াবে। অবশ্য তারা সূর্য, চন্দ্রের উপাসনা করবে না, পাথর এবং মূর্তির পূজা করবে না, কিন্তু নিজেদের ’আমলসমূহ মানুষকে দেখানোর নিয়্যাতে করবে। আর গোপন প্রবৃত্তি হলো- যেমন তাদের কেউ সিয়ামবস্থায় সকাল করল, এরপর তার সম্মুখে প্রবৃত্তির কোন আগ্রহ উপস্থিত হলে সে সিয়াম পরিহার করে দেয়। (আহমাদ ও বায়হাকী’র শুআবূল ঈমান)

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب الرِّيَاء والسمعة)

وَعَنْهُ أَنَّهُ بَكَى فَقِيلَ لَهُ: مَا يُبْكِيكَ؟ قَالَ: شَيْءٌ سَمِعْتُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ فَذَكَرْتُهُ فَأَبْكَانِي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُول: «أَتَخوَّفُ على أمتِي الشِّرْكِ وَالشَّهْوَةِ الْخَفِيَّةِ» قَالَ: قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَتُشْرِكُ أُمَّتُكَ مِنْ بَعْدِكَ؟ قَالَ: «نَعَمْ أَمَا إِنَّهُمْ لَا يَعْبُدُونَ شَمْسًا وَلَا قَمَرًا وَلَا حَجَرًا وَلَا وَثَنًا وَلَكِنْ يُرَاؤُونَ بِأَعْمَالِهِمْ. وَالشَّهْوَةُ الْخَفِيَّةُ أَنْ يُصْبِحَ أَحَدُهُمْ صَائِمًا فَتَعْرِضَ لَهُ شَهْوَةٌ مِنْ شَهَوَاتِهِ فَيَتْرُكَ صَوْمَهُ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي «شعب الْإِيمَان»

ضعیف ، رواہ البیھقی فی شعب الایمان (6830 ، نسخۃ محققۃ : 6411) [و احمد (4 / 123 ۔ 124)] * فیہ عبد الواحد بن زید البصری ضعیف متروک کما فی الجرح و التعدیل (6 / 20)و للحدیث طریق آخر عند ابن ماجہ (4205) و سندہ ضعیف و للحدیث شواھد ضعیفۃ و الاحادیث الصحیحۃ تخالفہ فی عبادۃ الاوثان ۔
(ضَعِيف)

ব্যাখ্যা : (أَتَخوَّفُ على أمتِي الشِّرْكِ) আমি আমার উম্মতের ওপর সবচেয়ে বেশি ভয় করছি লুক্কায়িত বা গোপন শিরকের যেমনটি কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে, (أَخْوَفُ مَاأَخَافُ عَلٰى أُمَّتِي الْإِشْرَاكُ بِاللّٰهِ) আমি আমার উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভয় করছি তারা আল্লাহর সাথে শিরক করবে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

(وَالشَّهْوَةُ الْخَفِيَّةُ) গোপন প্রবৃত্তি। হাদীসের শেষাংশে এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, (أَنْ يُصْبِحَ أَحَدُهُمْ صَائِمًا فَتَعْرِضَ لَهُ شَهْوَةٌ مِنْ شَهَوَاتِهِ فَيَتْرُكَ صَوْمَهُ) অর্থাৎ কোন ব্যক্তি সাওমের নিয়্যাত করবে, অতঃপর তার নিকট খাওয়া, স্ত্রী সহবাস ইত্যাদি কামনা-বাসনা জাগ্রত হলে, ফলে সে সওমকে ভেঙ্গে ফেলবে। আর এর মাধ্যমে সে হারামে লিপ্ত হবে। যেহেতু সে বিনা প্রয়োজনে আল্লাহর আনুগত্য পরিহার করে মনের প্রবৃত্তির অনুসরণ করল। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ, ইবনু মাজাহ শরাহ ৩/৪২০৫)।


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ শাদ্দাদ ইবনু আওস (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)

পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - লোক দেখানো ও শুনানোর ব্যাপারে বর্ণনা

৫৩৩৫-[২২] আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: যদি কোন ব্যক্তি এমন কঠিন পাথরের অভ্যন্তরে বসে ’আমল করে- যার কোন দরজা বা জানালা নেই, এক সময় তার সেই ’আমল মানুষের কাছে প্রকাশ হয়ে পড়বেই, চাই তা (ভালো বা মন্দ) যে কোন ধরনের ’আমলেই হোক বা কেন?

اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَاب الرِّيَاء والسمعة)

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ أَنَّ رَجُلًا عَمِلَ عَمَلًا فِي صَخْرَةٍ لَا بَابَ لَهَا وَلَا كَوَّةَ خَرَجَ عَمَلُهُ إِلَى النَّاسِ كَائِنا مَا كَانَ»

اسنادہ حسن ، رواہ البیھقی فی شعب الایمان (6940 ، نسخۃ محققۃ : 6541) [و احمد (3 / 28) و الحاکم 4 / 314 ح 7877) و ابن حبان (الاحسان : 5649 / 5678) و ابن وھب صرح بالسماع عندہ] و اصلہ عند ابن ماجہ (4167)

ব্যাখ্যা : (لَوْ أَنَّ رَجُلًا عَمِلَ عَمَلًا فِي صَخْرَةٍ) যদি কোন ব্যক্তি একটি কঠিন পাথরের মাঝে অথবা কোন পাহাড়ের গুহায় লুকিয়ে ‘ইবাদত করে সেখানে কোন দরজা নেই জানালাও নেই।
(خَرَجَ عَمَلُهُ إِلَى النَّاسِ كَائِنا مَا كَانَ) উক্ত ‘আমল মানুষের মাঝে প্রকাশ পাবেই। যে ধরনের ‘আমলই হোক না কেন? কোন কোন বর্ণনায় রয়েছে, (من كَانَ) অর্থাৎ ‘আমলকারী তা প্রকাশ করতে চাক বা না চাক তা প্রকাশ হবেই। যেহেতু আল্লাহ তা'আলা বলেন,
(وَ اللّٰهُ مُخۡرِجٌ مَّا کُنۡتُمۡ تَکۡتُمُوۡنَ) “তোমরা যা কর আল্লাহ তা'আলা তার প্রকাশকারী”- (সূরা আল বাক্বারাহ্ ২:৭২)। (ইবনু মাজাহ শরাহ ৪২০৫, মিরক্বাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২৬: মন-গলানো উপদেশমালা (كتاب الرقَاق)
দেখানো হচ্ছেঃ ৬০০১ থেকে ৬০২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭৩০৬ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 · · · 298 299 300 301 302 · · · 363 364 365 366 পরের পাতা »