পরিচ্ছেদঃ ৩৯/৩৭. সাপ ও এ জাতীয় জীব হত্যা করা।
১৪৪১. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বারের উপর ভাষণ দানের সময় বলতে শুনেছেন, ’সাপ মেরে ফেল। বিশেষ করে মেরে ফেল ঐ সাপ, যার মাথার উপর দু’টো সাদা রেখা আছে এবং লেজ কাটা সাপ। কারণ এ দু’ প্রকারের সাপ চোখের জ্যোতি নষ্ট করে দেয় ও গর্ভপাত ঘটায়।
’আবদুল্লাহ (রাঃ) বললেন, একদা আমি একটি সাপ মারার জন্য তার পিছু ধাওয়া করছিলাম। এমন সময় আবু লুবাবা (রাঃ) আমাকে ডেকে বললেন, সাপটি মেরো না। তখন আমি বললাম, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাপ মারার জন্য আদেশ দিয়েছেন। তিনি বললেন, এরপরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সাপ ঘরে বাস করে থাকে যাকে ’আওয়ামির’ বলা হয় এমন সাপ মারতে নিষেধ করেছেন।
অন্য বর্ণনায় আছে। আমাকে দেখেছেন আবু লুবাবা অথবা যায়দ ইবনু খাত্তাব (রাঃ)।
باب قتل الحيات وغيرها
حديث ابن عمر وأبي لبابة رَضِيَ اللهُ عَنْهُم، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ عَلَى المِنْبَرِ يَقُولُ: "اقْتُلُوا الحَيَّاتِ، وَاقْتُلُوا ذَا الطُّفْيَتَيْنِ وَالأَبْتَرَ، فَإِنَّهُمَا يَطْمِسَانِ البَصَرَ، وَيَسْتَسْقِطَانِ الحَبَلَ " قَالَ عَبْدُ اللهِ: فَبَيْنَا أَنَا أُطَارِدُ حَيَّةً لِأَقْتُلَهَا، فَنَادَانِي أَبُو لُبَابَةَ: لاَ تَقْتُلْهَا، فَقُلْتُ: إِنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ أَمَرَ بِقَتْلِ الحَيَّاتِ قَالَ: إِنَّهُ نَهَى بَعْدَ ذَلِكَ عَنْ ذَوَاتِ البُيُوتِ، وَهِيَ العَوَامِرُ
وَفي رواية: فَرَآنِي أَبُو لُبَابَةَ بن عبد المنذر، أَوْ زَيْدُ بْنُ الخَطَّابِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৯/৩৭. সাপ ও এ জাতীয় জীব হত্যা করা।
১৪৪২. আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। এক গুহার মধ্যে আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ছিলাম। এমন সময় তাঁর প্রতি অবতীর্ণ হলো সূরাহ ওয়াল মুরসলাহ। আমরা তাঁর মুখ থেকে সেটা গ্রহণ করছিলাম। এ সূরাহর তিলাওয়াতে তখনও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ সিক্ত ছিল, হঠাৎ একটি সাপ বেরিয়ে এল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “তোমরা ওটাকে মেরে ফেল।” ’আব্দুল্লাহ্ (রাঃ) বলেন, আমরা সেদিকে দৌড়ে গেলাম, কিন্তু সাপটি আমাদের আগে চলে গেল। বর্ণনাকারী বলেন, তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ওটা আমাদের অনিষ্ট হতে বেঁচে গেল যেমনি তোমরা এর অনিষ্ট হতে বেঁচে গেলে।
باب قتل الحيات وغيرها
حديث عبد الله بن مسعود قَالَ: بَيْنَا نَحْنُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي غَارٍ، إِذْ نَزَلَتْ عَلَيْهِ: وَالمُرْسَلاَتِ فَتَلَقَّيْنَاهَا مِنْ فِيهِ، وَإِنَّ فَاهُ لَرَطْبٌ بِهَا، إِذْ خَرَجَتْ حَيَّةٌ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " عَلَيْكُمُ اقْتُلُوهَا " قَالَ: فَابْتَدَرْنَاهَا فَسَبَقَتْنَا، قَالَ: فَقَالَ: وُقِيَتْ شَرَّكُمْ كَمَا وُقِيتُمْ شَرَّهَا
পরিচ্ছেদঃ ৩৯/৩৮. গৃহে বসবাসকারী গিরগিটি মেরে ফেলাই শ্রেয়।
১৪৪৩. সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহঃ) হতে বর্ণিত। উম্মু শারীক (রাঃ) তাঁকে খবর দিয়েছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে গিরগিটি বা রক্তচোষা জাতীয় টিকটিকি হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
استحباب قتل الوزغ
حديث أُمِّ شَرِيكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَرَهَا بِقَتْلِ الأَوْزَاغِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৯/৩৮. গৃহে বসবাসকারী গিরগিটি মেরে ফেলাই শ্রেয়।
১৪৪৪. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী ’আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গিরগিটিকে ক্ষতিকর (রক্তচোষা) প্রাণী বলেছেন। কিন্তু একে হত্যা করার আদেশ দিতে আমি তাঁকে শুনিনি।
استحباب قتل الوزغ
حديث عَائِشَةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ؛ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ لِلْوَزَغِ فُوَيْسِقٌ وَلَمْ أَسْمَعْهُ أَمَرَ بِقَتْلِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৯/৩৯. পিঁপড়া মারা নিষেধ।
১৪৪৫. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, কোন একজন নবীকে একটি পিপীলিকা কামড় দেয়। তিনি পিপীলিকার সমগ্র আবাসটি জ্বালিয়ে দেওয়ার আদেশ করেন এবং তা জ্বালিয়ে দেয়া হয়। আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ করেন, তোমাকে একটি পিপীলিকা কামড় দিয়েছে আর তুমি আল্লাহর তাসবীহকারী একটি জাতিকে জ্বালিয়ে দিয়েছ।
النهي عن قتل النمل
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: قَرَصَتْ نَمْلَةٌ نَبِيًّا مِنَ الأَنْبِيَاءِ، فَأَمَرَ بِقَرْيَةِ النَّمْلِ فَأُحْرِقَتْ، فَأَوْحى اللهُ إِلَيْهِ أَنْ قَرَصَتْكَ نَمْلَةٌ أَحْرَقْتَ أُمَّةً مِنَ الأُمَمِ تُسَبِّحُ
পরিচ্ছেদঃ ৩৯/৪০. বিড়াল হত্যা করা নিষিদ্ধ।
১৪৪৬. ’আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারীকে একটি বিড়ালের কারণে আযাব দেয়া হয়েছিল। সে বিড়ারটিকে বেঁধে রেখেছিল। সে অবস্থায় বিড়ালটি মরে যায়। মহিলাটি ঐ কারণে জাহান্নামে গেল। কেননা সে বিড়ালটিকে খানা-পিনা কিছুই করাইনি এবং ছেড়েও দেয়নি যাতে সে যমীনের পোকা-মাকড় খেয়ে বেঁচে থাকত।
تحريم قتل الهرة
حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: عُذِّبَتِ امْرَأَةٌ فِي هِرَّةٍ سَجَنَتْهَا حَتَّى مَاتَتْ، فَدَخَلَتْ فِيهَا النَّارَ، لاَ هِيَ أَطْعَمَتْهَا وَلاَ سَقَتْهَا إِذْ هِيَ حَبَسَتْهَا، وَلاَ هِيَ تَرَكَتْهَا تَأْكلُ مِنْ خَشَاشِ الأَرْضِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৯/৪১. খাওয়া নিষিদ্ধ এমন প্রাণীকে খাদ্য ও পানি খাওয়ানোর বর্ণনা।
১৪৪৭. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, একজন লোক রাস্তা দিয়ে চলতে চলতে তার ভীষণ পিপাসা লাগল। সে কূপে নেমে পানি পান করল। এরপর সে বের হয়ে দেখতে পেল যে, একটা কুকুর হাঁপাচ্ছে এবং পিপাসায় কাতর হয়ে মাটি চাটছে। সে ভাবল, কুকুরটারও আমার মতো পিপাসা লেগেছে। সে কূপের মধ্যে নামল এবং নিজের মোজা ভরে পানি নিয়ে মুখ দিয়ে সেটি ধরে উপরে উঠে এসে কুকুরটিকে পানি পান করাল। আল্লাহ তা’আলা তার আমল কবূল করলেন এবং আল্লাহ তার গোনাহ মাফ করে দেন। সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! চতুষ্পদ জন্তুর উপকার করলেও কি আমাদের সাওয়াব হবে? তিনি বললেন, প্রত্যেক প্রাণীর উপকার করাতেই পুণ্য রয়েছে।
فضل ساقي البهائم المحترمة وإِطعامها
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: بَيْنَا رَجُلٌ يَمْشِي فَاشْتَدَّ عَلَيْهِ الْعَطَشُ، فَنَزَلَ بِئْرًا، فَشَرِبَ مِنْهَا، ثُمَّ خَرَجَ؛ فَإِذَا هُوَ بِكَلْبٍ يَلْهَثُ يَأْكُلُ الثَّرَى مِنَ الْعَطَشِ فَقَالَ: لَقَدْ بَلَغَ هذَا مِثْلُ الَّذِي بَلَغَ بِي فَمَلأَ خُفَّهُ، ثُمَّ أَمْسَكَهُ بِفِيهِ، ثُمَّ رَقِيَ، فَسَقَى الْكَلْبَ فَشَكَرَ اللهُ لَهُ فَغَفَرَ لَهُ قَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ وَإِنَّ لَنَا فِي الْبَهَائِمِ أَجْرًا قَالَ: فِي كلِّ كَبِدٍ رَطْبَةٍ أَجْرٌ
পরিচ্ছেদঃ ৩৯/৪১. খাওয়া নিষিদ্ধ এমন প্রাণীকে খাদ্য ও পানি খাওয়ানোর বর্ণনা।
১৪৪৮. আবু হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে, একবার একটি কুকুর এক কূপের চতুর্দিকে ঘুরছিল এবং অত্যন্ত পিপাসার কারণে সে মৃত্যুর কাছে পৌছেছিল। তখন বনী ইসরাঈলের ব্যভিচারিণীদের একজন কুকুরটির অবস্থা লক্ষ্য করল এবং তার পায়ের মোজা দিয়ে পানি সংগ্রহ করে কুকুরটিকে পান করল। এ কাজের বিনিময়ে আল্লাহ্ তা’আলা তাকে ক্ষমা করে দিলেন।
فضل ساقي البهائم المحترمة وإِطعامها
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بَيْنَمَا كَلْبٌ يُطِيفُ بِرَكِيَّةٍ كَادَ يَقْتُلُهُ الْعَطَشُ، إِذْ رَأَتْهُ بَغِيٌّ مِنْ بَغَايَا بَنِي إِسْرَائِيلَ، فَنَزَعَتْ مُوقَهَا، فَسَقَتْهُ، فَغُفِرَ لَهَا بِهِ
পরিচ্ছেদঃ ৪০/১. যুগকে গালি দেয়া নিষিদ্ধ।
১৪৪৯. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন, আল্লাহ বলেন, আদম সন্তানরা আমাকে কষ্ট দেয়। তারা যমানাকে গালি দেয়; অথচ আমিই যমানা। আমার হাতেই সকল ক্ষমতা; রাত ও দিন আমিই পরিবর্তন করি।
النهي عن سب الدهر
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ يُؤْذِينِي ابْنُ آدَمَ، يَسُبُّ الدَّهْرَ، وَأَنَا الدَّهْرُ، بِيَدِي الأَمْرُ، أُقَلِّبُ اللَّيْلَ وَالنَّهَارَ
পরিচ্ছেদঃ ৪০/২. আঙ্গুরের নাম কারাম বলা মাকরূহ।
১৪৫০. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকরা (আঙ্গুরকে) ’কারম’ বলে, কিন্তু আসলে কারম হলো মুমিনের অন্তর।
كراهة تسمية العنب كرمًا
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: وَيَقُولُونَ الْكَرْمُ إِنَّمَا الْكَرْمُ قَلبُ الْمُؤْمِنِ
পরিচ্ছেদঃ ৪০/৩. গোলাম, দাসী, মাওলা ও সাইয়েদ ইত্যাদি শব্দের সঠিক ব্যবহার।
১৪৫১. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যেন এমন কথা না বলে “তোমার প্রভুকে আহার করাও” “তোমার প্রভুকে অযু করাও” “তোমার প্রভুকে পান করাও” আর যেন (দাস ও বাদীরা) এরূপ বলে, “আমার মনিব", ’আমার অভিভাবক, তোমাদের কেউ যেন এরূপ না বলে আমার দাস, আমার দাসী। বরং বলবে- ’আমার বালক, আমার বালিকা, আমার খাদিম।
حكم إِطلاق لفظة العبد والأمة والمولى والسيد
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ: لاَ يَقُلْ أَحَدُكُمْ أَطْعِمْ رَبَّكَ، وَضِّى رَبَّكَ، اسْقِ رَبَّكَ وَلْيَقُلْ سَيِّدِي، مَوْلاَيَ وَلاَ يَقُلْ أَحَدُكُمْ عَبْدِي، أَمَتِي وَلْيَقُلْ فَتَايَ وَفَتَاتِي وَغُلاَمِي
পরিচ্ছেদঃ ৪০/৪. কোন মানুষের এ কথা বলা মাকরূহ আমার আত্মা বিনষ্ট হয়ে গেছে।
১৪৫২. ’আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! তোমাদের কেউ যেন এ কথা না বলে যে, আমার আত্মা খবীস হয়ে গেছে। তবে এ কথা বলতে পারে যে, আমার আত্ম কলুষিত হয়ে গেছে।
خبثت
حديث عَائِشَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ خَبُثَتْ نَفْسِي، وَلكِنْ لِيَقُلْ لَقِسَتْ نَفْسِي
পরিচ্ছেদঃ ৪০/৪. কোন মানুষের এ কথা বলা মাকরূহ আমার আত্মা বিনষ্ট হয়ে গেছে।
১৪৫৩. সাহল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! তোমাদের কেউ যেন এ কথা না বলে, আমার আত্মা খবীস’ হয়ে গেছে। বরং সে বলবেঃ আমার আত্ম কলুষিত হয়েছে।
خبثت
حديث سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: لاَ يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ خَبُثَتْ نَفْسِي، وَلكِنْ لِيَقُلْ لَقِسَتْ نَفْسِي
পরিচ্ছেদঃ কবিতা
১৪৫৪. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, কবিরা যে সব কথা বলেছেন, তার মধ্যে কবি লবীদ-এর কথাটাই সবচেয়ে অধিক সত্য কথা। (তিনি বলেছেন) শোন আল্লাহ ব্যতীত সব কিছুই বাতিল। তিনি আরও বলেছেন, কবি উমাইয়াহ ইবনু সাল্ত ইসলাম গ্রহণের কাছাকাছি হয়ে গিয়েছিল।
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَصْدَقُ كَلِمَةٍ قَالَهَا الشَّاعِر، كَلِمَةُ لَبِيدٍ أَلاَ كُلُّ شَيْءٍ مَا خَلاَ اللهَ بَاطِلُ وَكَادَ أُمَيَّةُ بْنُ أَبِي الصَّلْتِ أَنْ يُسْلِمَ
পরিচ্ছেদঃ কবিতা
১৪৫৫. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন ব্যক্তির পেট কবিতা দিয়ে ভর্তি হওয়ার চেয়ে এমন পুঁজে ভর্তি হওয়া উত্তম, যা আমাদের পেটকে ধ্বংস করে ফেলে।
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لأَنْ يَمْتَلِىءَ جَوفُ رَجُلٍ قَيْحًا يَرِيهِ، خَيْرٌ مِنْ أَنْ يَمْتَلِىءَ شِعْرًا
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।
১৪৫৬. আবূ কাতাদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের পক্ষ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ মনে হয়, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর অনিষ্ট থেকে পানাহ চায়। কেননা, তা হলে এ তার কোন ক্ষতি করবে না।
حديث أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ: سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يَقُولُ: الرُّؤْيَا مِنَ اللهِ وَالْحُلُمُ مِنَ الشَّيْطَانِ، فَإِذَا رَأَى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُهُ فَلْيَنْفِثْ، حِينَ يَسْتَيْقِظ، ثَلاَثَ مَرَّاتٍ، وَيَتَعَوّذْ مِنْ شَرِّهَا، فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّهُ
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।
১৪৫৭. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কিয়ামত নিকটবর্তী হয়ে যাবে তখন মুমিনের স্বপ্ন খুব কমই অবাস্তবায়িত থাকবে। আর মুমিনের স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ।
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا اقْتَرَبَ الزَّمَان لَمْ تَكَدْ تَكْذِبُ رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ، وَرُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।
১৪৫৮. উবাদাহ ইবনু সামিত (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, মু’মিনের স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ।
حديث عُبَادَة بْنِ الصَّامِتِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।
১৪৫৯. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুমিনের স্বপ্ন নবুয়তের ছেচল্লিশ ভাগের এক ভাগ।
حديث أَنَسٍ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِين جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।
১৪৬০. আবু হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মু’মিনের স্বপ্ন নবুয়তের ছয়চল্লিশ ভাগের এক ভাগ।
حديث أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه، أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: رُؤْيَا الْمُؤْمِنِ جُزْءٌ مِنْ سِتَّةٍ وَأَرْبَعِينَ جُزْءًا مِنَ النُّبُوَّةِ