পরিচ্ছেদঃ ৩০. কোন্ মু’মিন উত্তম
২৭৮১. আলী ইবনু যাইদের সনদেও অনুরূপ বর্ণিত আছে।[1]
তাখরীজ: এটি আগের হাদীসটি দেখুন।
باب أَيُّ الْمُؤْمِنِينَ خَيْرٌ
حَدَّثَنَا حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ بِإِسْنَادِهِ مِثْلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৩১. এ উম্মতের শেষ অংশের (যামানার) ফযীলত
২৭৮২. মুহাইরিয (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবী জুমু’আহ- যিনি সাহাবীগণের মধ্যেকার একজন-তাকে বললাম, আপনি আমাদেরকে এমন একটি হাদীস শুনান যা আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন।
তিনি বললেন: আচ্ছা, আমি তোমাদেরকে একটি উত্তম হাদীস শুনাচ্ছি। আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে সকালের খাবার খেলাম, তখন্ আমাদের সাথে আবী উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুও ছিলেন। তখন তিনি বললেন: ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাদের চেয়েও উত্তম কেউ আছে? যেখানে আমরা ইসলাম গ্রহণ করেছি এবং আপনার সাথে থেকে জিহাদ করেছি? তিনি বললেন: হাঁ। তারা হবে সেই সকল লোক, যারা তোমাদের পরে আসবে; তারা আমার প্রতি ঈমান আনবে, অথচ তারা আমাকে দেখেনি।”[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৫৫৯ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, তাবারাণী, কাবীর ৪/২২ নং ৩৫৩৮, ৩৫৩৯, ৩৫৪০; ইবনু আবী আসীম, আহাদ ওয়াল মাছানী ২১৩৫; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ নং ২১১; আহমাদ ৪/১৬০; বুখারী, কাবীর ২/৩১০, ৩১১; হাকিম ৪/৮৫।
باب فِي فَضْلِ آخِرِ هَذِهِ الْأُمَّةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ قَالَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ حَدَّثَنَا أَسِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ خَالِدِ بْنِ دُرَيْكٍ عَنْ ابْنِ مُحَيْرِيزٍ قَالَ قُلْتُ لِأَبِي جُمُعَةَ رَجُلٍ مِنْ الصَّحَابَةِ حَدِّثْنَا حَدِيثًا سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ نَعَمْ أُحَدِّثُكَ حَدِيثًا جَيِّدًا تَغَدَّيْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَمَعَنَا أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ الْجَرَّاحِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَحَدٌ خَيْرٌ مِنَّا أَسْلَمْنَا وَجَاهَدْنَا مَعَكَ قَالَ نَعَمْ قَوْمٌ يَكُونُونَ مِنْ بَعْدِكُمْ يُؤْمِنُونَ بِي وَلَمْ يَرَوْنِي
পরিচ্ছেদঃ ৩২. কুর’আন সংরক্ষণ করো
২৭৮৩. আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, এটা খুবই খারাপ কথা যে, তোমাদের মধ্যে কেউ বলবে, আমি কুরআনের অমুক অমুক আয়াত ভুলে গেছি; বরং তাকে ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। সুতরাং, তোমরা কুরআন মুখস্ত করতে থাক কেননা, জতুষ্পদ জন্তু তার বন্ধন খুলে বের হয়ে যাওয়ার চেয়েও মানুষের অন্তর থেকে কুরআন দ্রুত গতিতে পলায়নপর।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, ফাযাইলুল কুরআন ৫০৩২; মুসলিম, সালাতুল মুসাফিরীন ৭৯০।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫১৩৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৭৬১, ৭৬২, ৭৬৩ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৯১ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, বাইহাকী, শুয়াবুল ঈমান নং ১৯৬৪; আবূল ফাযল আব্দুর রহমান বিন আহমাদ বিন হাসান, ফাযাইলুল কুরআন ৩; সাঈদ বিন মানসূর, নং ১৭০১৬।
باب فِي تَعَاهُدِ الْقُرْآنِ
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مَنْصُورٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بِئْسَمَا لِأَحَدِكُمْ أَنْ يَقُولَ نَسِيتُ آيَةَ كَيْتَ وَكَيْتَ بَلْ هُوَ نُسِّيَ فَاسْتَذْكِرُوا الْقُرْآنَ فَإِنَّهُ أَسْرَعُ تَفَصِّيًا مِنْ صُدُورِ الرِّجَالِ مِنْ النَّعَمِ مِنْ عُقُلِهَا
পরিচ্ছেদঃ ৩৩. একথা বলা কারো জন্য উচিত নয় যে, আমি ইউসূফ ইবনু মাত্তা হতে উত্তম
২৭৮৪. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমাদের কেউ যেন একথা না বলে: ’আমি ইউনূস ইবনু মাত্তা হতে উত্তম।’[1]
তাখরীজ: বুখারী, আম্বিয়া ৩৪১২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি ও এর শাহিদ উল্লেখ করেছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৫২৭৮।
এর এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বুখারী, তাফসীর ৪৬৩১; মুসলিম, ফাযাইল ২৩৭৬, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬২৩৮ তে।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বুখারী, আম্বিয়া ৩৪১৩; মুসলিম, ফাযাইল ২৩৭৭, আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৫৪৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬২৪১।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনু জা’ফর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬৭৯৩ তে।
باب لَا يَنْبَغِي لِأَحَدٍ أَنْ يَقُولَ أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى
أَخْبَرَنَا أَبُو نُعْيَمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا يَقُولَنَّ أَحَدُكُمْ أَنَا خَيْرٌ مِنْ يُونُسَ بْنِ مَتَّى
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. প্রত্যেক মুসলিমের উপর সাদাকাহ (যাকাত) রয়েছে
২৭৮৫. আবূ মূসা আশ’আরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ প্রতিটি মুসলিমের সাদাকা করা আবশ্যক। সাহাবীগণ আরয করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কেউ যদি তা করতে সক্ষম না হয় কিংবা না করে? তিনি (উত্তরে) বললেনঃ সে ব্যক্তি তার নিজ হাতে কাজ করবে এবং নিজেও তা থেকে খাবে, সাদাকাও করবে।” তাঁরা বললেন, ধরুন, যদি এর সে ক্ষমতাও না থাকে? তিনি বললেনঃ “সে কোনো দুঃখক্লিষ্ট অভাবী ব্যক্তিকে সাহায্য করবে।” তাঁরা বললেন, আপনার কি ধারণা, যদি এতটুকুরও সামর্থ্য তার না থাকে? তিনি বললেনঃ “এ অবস্থায় সে যেন সৎ কাজের আদেশ করে।” তাঁরা বললেন, আপনার কি ধারণা, যদি এতটুকুরও সামর্থ্য তার না থাকে? তিনি বললেনঃ “তবে সে যেন অল্যাণকর কাজ হতে বিরত থাকে। এটা তার জন্য সাদাকা বলে গণ্য হবে।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৪/৩৯৫, ৪১১; বুখারী, যাকাত ১৪৪৫; আদাব ৬০২২; আদাবুল মুফরাদ নং ২২৫, ৩০৬; বাইহাকী, যাকাত ৫/১৮৮; ইবনু আবী শাইবা ৯/১০৮ নং ৬৭০০; মুসলিম, যাকাত ১০০৮; নাসাঈ, কুবরা নং ২৩১৮; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ নং ১৬৪৩; তায়ালিসী ১/১৮০ নং ৮৫৭।
باب عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ صَدَقَةٌ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ الْمَدَائِنِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ صَدَقَةٌ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ أَوْ لَمْ يَفْعَلْ قَالَ يَعْتَمِلُ بِيَدَيْهِ فَيَأْكُلُ مِنْهُ وَيَتَصَدَّقُ قَالُوا أَفَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ يَفْعَلْ قَالَ يُعِينُ ذَا الْحَاجَةِ الْمَلْهُوفَ قَالُوا أَفَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ يَفْعَلْ قَالَ يَأْمُرُ بِالْخَيْرِ قَالُوا أَفَرَأَيْتَ إِنْ لَمْ يَفْعَلْ قَالَ يُمْسِكُ عَنْ الشَّرِّ فَإِنَّهَا لَهُ صَدَقَةٌ
পরিচ্ছেদঃ ৩৫. যে ব্যক্তি (লোককে) দেখানোর উদ্দেশ্যে (আমল) করে, আল্লাহও তাকে (লোকদেরকে) দেখিয়ে দেবেন
২৭৮৬. আবী হিন্দ আদদারী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন: “যে ব্যক্তি প্রদর্শনেচ্ছা ও সুনামের উদ্দেশ্যে কোনো স্থানে (সালাত) দণ্ডায়মান হয়, মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিবসে তার সাথেও লোক দেখানো ও শুনানোর আচরণ করবেন।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৫/২৭০; তাবারাণী, কাবীর ২২/৩১৯ নং ৮০৩, ৮০৪; দাওলাবী, আল কুন্নী ১/৬০; বাযযার, কাশফুল আস্তার ২/৪২৮ নং ২০২৬; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ; ফাসাওয়ী, মা’রিফাতু ওয়াত তারীখ ২/৪৪০ যয়ীফ সনদে।
মুনযিরী, তারগীব ওয়াত তারহীব ১/৬৫ তে বলেন, ‘এটি বর্ণনা করেছেন আহমাদ জাইয়্যেদ সনদে ও বাইহাকী, তাবারাণী...।”
باب مَنْ رَاءَى رَاءَى اللَّهُ بِهِ
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا حَيْوَةُ قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو صَخْرٍ أَنَّهُ سَمِعَ مَكْحُولًا يَقُولُ حَدَّثَنِي أَبُو هِنْدٍ الدَّارِيُّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ مَنْ قَامَ مَقَامَ رِيَاءٍ وَسُمْعَةٍ رَاءَى اللَّهُ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَسَمَّعَ
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. মুমিনের দৃষ্টান্ত চারা গাছের মতো
২৭৮৭. কা’ব ইবনু মালিক রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মু’মিন ব্যক্তির উদাহরণ হল শস্যক্ষেতের নরম চারা গাছের মত, যাকে বাতাস এসে ডানে-বামে আন্দোলিত করে: একবার সোজা করে দেয়, আরেকবার শুইয়ে ফেলে- এভাবে একসময় মৃত্যু চলে আসে। আর কাফিরের দৃষ্টান্ত হলো, মুলের উপর দৃঢ়ভাবে স্থাপিত বৃক্ষ, যাকে কিছুতেই নোয়ানো যায় না। শেষে এক ঝটকায় মূলসহ তা উপড়ে যায়।”[1]
আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’الْخَامَةُ’ অর্থ ’দুর্বল’।
তাখরীজ: আহমাদ ৩/৪৫৪, ৬/৩৮৬; বুখারী, আশরিবাহ ৫৬৪৩; মুসলিম, সিফাতুল মুনাফিকীন ২৮১০(৬০); রমহারমুযী, আমছালুল হাদীস পৃ: ১২২ নং ২৭; আবূ নুয়াইম, হিলইয়া ১৩/১৭৩; ইবনু আবী শাইবা ১১/২১ নং ১০৩৯৪।
باب مَثَلُ الْمُؤْمِنِ كَمَثَلِ الزَّرْعِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ كَعْبٍ عَنْ أَبِيهِ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَثَلُ الْمُؤْمِنِ مَثَلُ الْخَامَةِ مِنْ الزَّرْعِ تُفَيِّئُهَا الرِّيَاحُ تُعَدِّلُهَا مَرَّةً وَتُضْجِعُهَا أُخْرَى حَتَّى يَأْتِيَهُ الْمَوْتُ وَمَثَلُ الْكَافِرِ كَمَثَلِ الْأَرْزَةِ الْمُجْذِيَةِ عَلَى أَصْلِهَا لَا يُصِيبُهَا شَيْءٌ حَتَّى يَكُونَ انْجِعَافُهَا مَرَّةً وَاحِدَةً قَالَ أَبُو مُحَمَّد الْخَامَةُ الضَّعِيفُ
পরিচ্ছেদঃ ৩৭. দুনিয়াটা সবুজ-শ্যামল সুমিষ্ট
২৭৮৮. হাকীম ইবনু হিযাম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কিছু চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন, আবার চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন, আবার চাইলাম, তিনি আমাকে দিলেন। অতঃপর আবার চাইলাম, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ “হে হাকীম! এই সম্পদ শ্যামল- সুস্বাদু। যে ব্যক্তি প্রশস্ত অন্তরে (লোভ ব্যতীত) তা গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় হয়। আর যে ব্যক্তি অন্তরের লোভসহ তা গ্রহণ করে তার জন্য তা বরকতময় করা হয় না। যেন সে এমন ব্যক্তির মত, যে খায় কিন্তু তার ক্ষুধা মেটে না। উপরের হাত নিচের হাত হতে উত্তম।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৪৭২; মুসলিম, যাকাত ১০৩৫।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩২২০, ৩৪০২, ৩৪০৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৫৬৩ তে। আরও দেখুন, মুসনাদুল মাউসিলী ১১/৪৮৭, ৪৮৮। এছাড়াও, ইবনুল মুবারক, যুহদ নং ৫০৩; ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ নং ১৭৮।
باب الدُّنْيَا خَضِرَةٌ حُلْوَةٌ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ وَعُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّ حَكِيمَ بْنَ حِزَامٍ قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَأَعْطَانِي ثُمَّ سَأَلْتُهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَا حَكِيمُ إِنَّ هَذَا الْمَالَ خَضِرٌ حُلْوٌ فَمَنْ أَخَذَهُ بِسَخَاوَةِ نَفْسٍ بُورِكَ لَهُ فِيهِ وَمَنْ أَخَذَهُ بِإِشْرَافِ نَفْسٍ لَمْ يُبَارَكْ لَهُ فِيهِ وَكَانَ كَالَّذِي يَأْكُلُ وَلَا يَشْبَعُ وَالْيَدُ الْعُلْيَا خَيْرٌ مِنْ الْيَدِ السُّفْلَى
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. তোমাদের বিতর্ক করাকে আল্লাহ অপছন্দ করেন
২৭৮৯. মুগীরা ইবনু শু’বাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করতেন কন্যাদেরকে জীবন্ত প্রোথিত করা, মাতাপিতার অবাধ্যতা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি থেকে বাধা দান, অনর্থক কথা নিয়ে বাদানুবাদ করা, অধিক প্রশ্ন করা এবং মালের অপচয় করা হতে।[1]
তাখরীজ: বুখারী, যাকাত ১৪৭৭, রিক্বাক্ব ৬৪৭৩, ই’তিসাম বিল কিতাব ওয়াস সুন্নাহ ৭২৯২; মুসলিম, আকযিয়াহ ৫৯৩।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫৫৫৫, ৫৫৫৬, ৫৭১৯।
باب إِنَّ اللَّهَ كَرِهَ لَكُمْ قِيلَ وَقَالَ
حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو الرَّقِّيُّ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ وَرَّادٍ مَوْلَى الْمُغِيرَةِ عَنْ الْمُغِيرَةِ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ وَأْدِ الْبَنَاتِ وَعُقُوقِ الْأُمَّهَاتِ وَعَنْ مَنْعٍ وَهَاتِ وَعَنْ قِيلَ وَقَالَ وَكَثْرَةِ السُّؤَالِ وَإِضَاعَةِ الْمَالِ
পরিচ্ছেদঃ ৩৯. পথভ্রষ্ট নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে
২৭৯০. ছাওবান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আমি আমার উম্মাতের উপর পথভ্রষ্ট-বিভ্রান্ত নেতৃবৃন্দের আশংকাবোধ করি।” [1]
তাখরীজ: এটি গত হয়েছে ২১৫ নং এ।
باب فِي الْأَئِمَّةِ الْمُضِلِّينَ
أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ عَنْ ثَوْبَانَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنَّمَا أَخَافُ عَلَى أُمَّتِي الْأَئِمَّةَ الْمُضِلِّينَ
পরিচ্ছেদঃ ৪০. তোমার ভাইকে সাহায্য করো- সে যালিম হোক কিংবা মাযলুম হোক
২৭৯১. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “মানুষ যেন তার ভাইকে সাহায্য করে- যালিম হোক কিংবা মাযলুম হোক। যদি সে যালিম হয়, তবে সে যেন তাকে (যুলুম করা) হতে বিরত রাখবে, আর এটিই হলো তাকে সাহায্য। আর যদি সে মাযলুম হয়, তবে সে তাকে (যুলুম থেকে বাঁচতে) সহায়তা করবে।” [1]
তাখরীজ: মুসলিম, বিরর ওয়াস সুলহ ২৫৮৪; বাইহাকী, আদাবুল কাযী ১০/১৩৭;
আমরা এর অংশবিশেষের তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৮২৪, ১৯৫৭ তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বুখারী, মুযালিম ২৪৫৩ তে; আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৮৩৭ তে।
এর অপর শাহিদ হাদীস রয়েছে আব্দুল্লাহ ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৫১৬৬ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ১৮৪৭ তে।
باب انْصُرْ أَخَاكَ ظَالِمًا أَوْ مَظْلُومًا
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِيَنْصُرْ الرَّجُلُ أَخَاهُ ظَالِمًا أَوْ مَظْلُومًا فَإِنْ كَانَ ظَالِمًا فَلْيَنْهَهُ فَإِنَّهُ لَهُ نُصْرَةٌ وَإِنْ كَانَ مَظْلُومًا فَلْيَنْصُرْهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪১. দীন হলো কল্যাণ কামনা
২৭৯২. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “দীন হলো নসীহত (কল্যাণ কামনা। তিনি বলেন, তখন আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোন কোন ব্যক্তিদের জন্য? জবাবে তিনি বলেনঃ “আল্লাহর জন্য, তাঁর রাসূলের জন্য, তাঁর কিতাবের জন্য, মুসলিম নেতৃবৃন্দের জন্য এবং সমস্ত মুসলিমের জন্য।” [1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মাজমাউয যাওয়াইদ নং ২৯৩ তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৩৭২ তে।
এর অপর শাহিদ তামীম দারী হতে নং ৭১৬৪ তে। এ দুস্থানে আমাদের টীকা দেখুন।
باب الدِّينُ النَّصِيحَةُ
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَسْلَمَ وَنَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الدِّينُ النَّصِيحَةُ قَالَ قُلْنَا لِمَنْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ لِلَّهِ وَلِرَسُولِهِ وَلِكِتَابِهِ وَلِأَئِمَّةِ الْمُسْلِمِينَ وَعَامَّتِهِمْ
পরিচ্ছেদঃ ৪২. ইসলাম শুরু হয়েছে অপরিচিত হিসেবে
২৭৯৩. আব্দুল্লাহ ইবনু উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ “ইসলাম শুরুতে অপরিচিত ছিল, অচিরেই তা আবার শুরুর মত অপরিচিত হয়ে যাবে।” আমার মনে হয় হাফস এও বলেছেন, "সূতরাং গুরাবাদের (অচেনা, অপরিচিতদের) জন্য সুসংবাদ"। জিজ্ঞেস করা হলো, ’গুরাবা’ কারা? তিনি বলেন: “বিভিন্ন গোত্র হতে বের করে দেওয়া লোকেরা।” [1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৪৯৭৫ তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে মুসলিম, ঈমান ১৪৫ তে, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৬১৯০ তে।
সংযোজনী: এছাড়াও, ইবনু আবী শাইবা, ১৩/২৩৬ নং ১৬২১৩।
باب الْإِسْلَامُ بَدَأَ غَرِيبًا
حَدَّثَنَا زَكَرِيَّا بْنُ عَدِيٍّ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي الْأَحْوَصِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ الْإِسْلَامَ بَدَأَ غَرِيبًا وَسَيَعُودُ غَرِيبًا أَظُنُّ حَفْصًا قَالَ فَطُوبَى لِلْغُرَبَاءِ قِيلَ وَمَنْ الْغُرَبَاءُ قَالَ النُّزَّاعُ مِنْ الْقَبَائِلِ
পরিচ্ছেদঃ ৪৩. আল্লাহর সাক্ষাতকে পছন্দ করা সম্পর্কে
২৭৯৪. ’উবাদাহ ইবনু সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ পছন্দ করে, আল্লাহ্ও তার সাক্ষাৎ পছন্দ করেন। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সাক্ষাৎ অপছন্দ করে, আল্লাহ্ও তার সাক্ষাৎ অপছন্দ করেন।” তখন আয়িশাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা অথবা তাঁর অন্য কোন স্ত্রী বললেন, আমরাও তো মৃত্যুকে অপছন্দ করি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ব্যাপারটা এমন নয়। আসলে, যখন মুমিনের মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন তাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও তার সম্মানিত হবার খোশ খবর শোনানো হয়। তখন তার সামনের খোশ খবরের চেয়ে তার নিকট অধিক পছন্দনীয় কিছুই থাকে না। কাজেই সে তখন আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করাকেই ভালবাসে, আর আল্লাহ্ও তার সাক্ষাৎ ভালবাসেন। আর কাফিরের যখন মৃত্যু উপস্থিত হয়, তখন তাকে আল্লাহর ’আযাব ও গজবের সুসংবাদ দেয়া হয়। তখন তার সামনে যা থাকে তার চেয়ে তার কাছে অধিক অপছন্দনীয় আর কিছুই থাকে না। সুতরাং সে তখন আল্লাহর সাক্ষাৎ অপছন্দ করে, আর আল্লাহ্ও তার সাক্ষাত অপছন্দ করেন।” [1]
তাখরীজ: বুখারী, রিক্বাক্ব ৬৫০৭; মুসলিম, যিকির ওয়াদ দু’আ ২৬৮৩।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩২৩৫, ৩২৩৬ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩০০৯ তে।
باب فِي حُبِّ لِقَاءِ اللَّهِ
أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ أَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَمَنْ كَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ كَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ فَقَالَتْ عَائِشَةُ أَوْ بَعْضُ أَزْوَاجِهِ إِنَّا لَنَكْرَهُ الْمَوْتَ قَالَ لَيْسَ ذَلِكَ وَلَكِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا حَضَرَهُ الْمَوْتُ بُشِّرَ بِرِضْوَانِ اللَّهِ وَكَرَامَتِهِ فَلَيْسَ شَيْءٌ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا أَمَامَهُ فَأَحَبَّ لِقَاءَ اللَّهِ وَأَحَبَّ اللَّهُ لِقَاءَهُ وَإِنَّ الْكَافِرَ إِذَا حَضَرَهُ الْمَوْتُ بُشِّرَ بِعَذَابِ اللَّهِ وَعُقُوبَتِهِ فَلَيْسَ شَيْءٌ أَكْرَهَ إِلَيْهِ مِمَّا أَمَامَهُ فَكَرِهَ لِقَاءَ اللَّهِ وَكَرِهَ اللَّهُ لِقَاءَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৪৪. আল্লাহ উদ্দেশ্যে একজন অপরজনকে ভালবাসা সম্পর্কে
২৭৯৫. আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, ’আমার মহত্ত্বের নিমিত্তে পরস্পর ভালবাসা স্হাপনকারীরা কোথায়? আজ আমি তাদের আমার বিশেষ ছায়ায় ছায়া দান করব। আজ এমন দিন যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া নেই।”[1]
তাখরীজ: মালিক, আশ শি’র ১৩; আহমাদ ২/২৩৭, ৩৭০, ৫৩৫; মুসলিম, বিরর ওয়াল সুলহ ২৫৬৬; বাইহাকী, শাহাদাত ১০/২৩৩।
باب فِي الْمُتَحَابِّينَ فِي اللَّهِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَعْمَرٍ عَنْ أَبِي الْحُبَابِ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَيْنَ الْمُتَحَابُّونَ بِجَلَالِ الْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِي ظِلِّي يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلِّي
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. তোমাদের কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে
২৭৯৬. আবূ হুরাইরাহ বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ “তোমাদের মধ্যে কেউ যেন মৃত্যু কামনা না করে। কেননা, সে ভাল লোক হলে (বয়স দ্বারা) তার নেক ’আমল বৃদ্ধি হতে পারে। আর খারাপ লোক হলে সে তওবা করার সুযোগ পাবে।” [1]
তাখরীজ: বুখারী, আলমারদ্বা ৫৬৭৩; মুসলিম, যিকির ওয়াদ দু’আ ২৬৮২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩০০০, ৩০১৫ তে। সংযোজনী: এছাড়াও, আব্দুর রাযযাক ২০৬৩৪।
باب لَا يَتَمَنَّى أَحَدُكُمْ الْمَوْتَ
حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ أَخْبَرَنِي شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو عُبَيْدٍ مَوْلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا يَتَمَنَّى أَحَدُكُمْ الْمَوْتَ إِمَّا مُحْسِنًا فَلَعَلَّهُ أَنْ يَزْدَادَ إِحْسَانًا وَإِمَّا مُسِيئًا فَلَعَلَّهُ أَنْ يَسْتَعْتِبَ
পরিচ্ছেদঃ ৪৬. নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ আমাকে ও কিয়ামতকে এ দু’টির মতো (নিকটবর্তী) করে পাঠানো হয়েছে
২৭৯৭. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: আমাকে ও কিয়ামতকে এ দু’টির মতো (নিকটবর্তী) করে পাঠানো হয়েছে। একথা বলে তিনি তর্জনী ও মধ্যমা অঙ্গুলির প্রতি ইশারা করলেন।[1]
তাখরীজ: বুখারী, রিক্বাক্ব ৬৫০৪; মুসলিম, ফিতান ২৯৫১।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২৯২৫, ২৯৯৯, ৩১৪৬, ৩২৬৩, ৩২৬৪ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬৬৬০ তে।
এর শাহিদ সহীহ হাদীস রয়েছে জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, আমরা যার পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ২১১১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১০ তে।
باب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ
حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ عَنْ أَنَسٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ بُعِثْتُ أَنَا وَالسَّاعَةُ كَهَاتَيْنِ وَأَشَارَ وَهْبٌ بِالسَّبَّاحَةِ وَالْوُسْطَى
পরিচ্ছেদঃ ৪৭. নাবী (ﷺ) এর বাণীঃ তোমরা সর্বশেষ উম্মত
২৭৯৮. বাহয ইবনে হাকীম থেকে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ “নিশ্চয়ই তোমরা উম্মাতের সংখ্যা সত্তর পূর্ণ করেছো। এদের মধ্যে তোমরাই সর্বশেষ এবং আল্লাহর নিকট সর্বাধিক মর্যাদাবান।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ৫/৩, ৫; আব্দ ইবনু হুমাইদ নং ৪০৯; তিরমিযী, তাফসীর ৩০০৪; ইবনু মাজাহ, যুহদ ৪২৮৭, ৪২৮৮।
باب فِي قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْتُمْ آخِرُ الْأُمَمِ
أَخْبَرَنَا النَّضْرُ بْنُ شُمَيْلٍ حَدَّثَنَا بَهْزُ بْنُ حَكِيمٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ إِنَّكُمْ وَفَّيْتُمْ سَبْعِينَ أُمَّةً أَنْتُمْ آخِرُهَا وَأَكْرَمُهَا عَلَى اللَّهِ
পরিচ্ছেদঃ ৪৮. বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ফযীলত সম্পর্কে
২৭৯৯. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: অমুক কোথায়?” তখন তাদের মধ্যে থেকে এক লোক তার সম্পর্কে বললো, সে এই, সে এই (করে)- এভাবে সে তার নামে কুৎসা রটাতে থাকলো। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: সে কি বদরের যুদ্ধে উপস্থিত ছিল না? তারা বললেন: জি-হাঁ। তিনি বললেন: আল্লাহ্ তা’আলা বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সাহাবীদের এরূপ সুসংবাদ জানিয়ে দিয়েছেন যে, তোমরা তোমাদের খুশীমত আমল কর, আমি তোমাদের মাফ করে দিয়েছি ।”[1]
তাখরীজ: আহমাদ ২/২৯৫-২৯৬; আবু দাউদ, সুন্নাহ ৪৬৫৪;
এর শাহিদ সহীহ হাদীস রয়েছে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যা বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৩৯৪, ৩৯৫, ৩৯৬, ৩৯৭, ৩৯৮ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪৬৯৯, ৭১১৯ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২২২০ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৪৯ তে।
باب فِي فَضْلِ أَهْلِ بَدْرٍ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ عَاصِمٍ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَيْنَ فُلَانٌ فَغَمَزَهُ رَجُلٌ مِنْهُمْ فَقَالَ إِنَّهُ وَإِنَّهُ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَلَيْسَ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا قَالُوا بَلَى قَالَ فَلَعَلَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ
পরিচ্ছেদঃ ৪৯. অমুক অমুক তারকার প্রভাবে আমরা বৃষ্টি দান করা হয়েছে - এরূপ কথা বলা নিষিদ্ধ
২৮০০. আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ্ তা’আলা যদি দশ বছর আমার উম্মাতের থেকে বৃষ্টি বন্ধ রাখেন তারপর তা পাঠান তাহলে আমার উম্মাতের একদল মানুষ কাফির হয়ে যাবে। তার বলবে, মিজদাহ্ নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে।”[1]
আবু মুহাম্মদ বলেন, মিজদাহ’ হলো নক্ষত্রের নাম, যার পেছনের দিকে দু’টি অংশ রয়েছে।
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১৩১২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৬১৩০ ও মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ৬০৬ ও মুসনাদুল হুমাইদী তে।
এর শাহিদ হাদীস রয়েছে খালিদ আল জুহানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে, যা বুখারী ও মুসলিম সম্মিলিতভাবে বর্ণনা করেছেন; আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৮৮, ৬১৩২ ও মুসনাদুল হুমাইদী নং ৮৩২ তে, সেখানে টীকাসহ দেখুন।
باب النَّهْيِ أَنْ يَقُولَ مُطِرْنَا بِنَوْءِ كَذَا وَكَذَا
حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ قَالَ أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ عَنْ عَتَّابِ بْنِ حُنَيْنٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَوْ حَبَسَ اللَّهُ الْقَطْرَ عَنْ أُمَّتِي عَشْرَ سِنِينَ ثُمَّ أُنْزِلَ لَأَصْبَحَتْ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي بِهَا كَافِرِينَ يَقُولُونَ هُوَ بِنَوْءِ مِجْدَحٍ قَالَ الْمِجْدَحُ كَوْكَبٌ