সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) সর্বমোট হাদিসঃ ৩৫৪২ টি

পরিচ্ছেদঃ ১১. দ্রুত (ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে) ইফতার করা

১৭৩৭. উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন রাত্রি ঘনিয়ে আসে এবং দিন পশ্চাদপসরণ করে, আর সূর্য ডুবে যায়, তখন আমি ইফতার করি।”[1]

بَاب فِي تَعْجِيلِ الْإِفْطَارِ

حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا عَبْدَةُ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا أَقْبَلَ اللَّيْلُ وَأَدْبَرَ النَّهَارُ وَغَابَتْ الشَّمْسُ فَقَدْ أَفْطَرْتَ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১২. যা দিয়ে ইফতার করা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)

১৭৩৮. সালমান ইবন আমের রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। নবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যখন তোমাদের কেউ রোযা রাখে, তখন সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে। আর সে যদি খেজুর না পায়, তবে সে যেন পানি দ্বারা ইফতার করে, কেননা পানি পবিত্র।”[1]

بَاب مَا يُسْتَحَبُّ الْإِفْطَارُ عَلَيْهِ

أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا ثَابِتُ بْنُ يَزِيدَ حَدَّثَنَا عَاصِمٌ عَنْ حَفْصَةَ عَنْ الرَّبَابِ الضَّبِّيَّةِ عَنْ عَمِّهَا سَلْمَانَ بْنِ عَامِرٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِذَا أَفْطَرَ أَحَدُكُمْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى تَمْرٍ فَإِنْ لَمْ يَجِدْ فَلْيُفْطِرْ عَلَى مَاءٍ فَإِنَّ الْمَاءَ طَهُورٌ


পরিচ্ছেদঃ ১৩. যে ব্যক্তি কোনো রোযাদারকে ইফতার করায়, তার ফযীলত

১৭৩৯. যায়িদ ইবন খালিদ জুহানী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি কোন রোযাদারকে ইফতার করায়, তার জন্যও তার (রোযাদারের) সমপরিমাণ সাওয়াব হবে। কিন্তু এতে রোযাদার ব্যক্তির সাওয়াবে কোন ঘাটতি হবে না।”[1]

بَاب الْفَضْلِ لِمَنْ فَطَّرَ صَائِمًا

أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا كُتِبَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ إِلَّا أَنَّهُ لَا يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الصَّائِمِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সাওমে বিসাল (পানাহার না করে বিরতিহীনভাবে একটানা রোযা রাখা) নিষেধ

১৭৪০. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমরা (সাওমে) ’বিসাল’ (বিরতিহীন রোযা) থেকে বিরত থাক।”- (বাক্যটি তিনি) দু’বার বললেন। তাঁরা (সাহাবীগণ) তাঁকে বললেন, কিন্তু আপনি তো ’সাওমে বেসাল’ করেন। তিনি বললেন: “আমি তো তোমাদের মতো নই। আমি এভাবে রাত যাপন করি যে, আমার প্রতিপালক আমাকে পানাহার করিয়ে থাকেন।”[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ الْوِصَالِ فِي الصَّوْمِ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَّاكُمْ وَالْوِصَالَ مَرَّتَيْنِ قَالُوا فَإِنَّكَ تُوَاصِلُ قَالَ إِنِّي لَسْتُ مِثْلَكُمْ إِنِّي أَبِيتُ يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقِينِي


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সাওমে বিসাল (পানাহার না করে বিরতিহীনভাবে একটানা রোযা রাখা) নিষেধ

১৭৪১. আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা (সাওমে) বেসাল পালন করবে না।” তাঁকে বলা হলো, আপনি যে তা (সাওমে বেসাল) করেন? তিনি বললেন: “আমি তোমাদের কারো মত নই। আমাকে পানাহার করানো হয়।”[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ الْوِصَالِ فِي الصَّوْمِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا تُوَاصِلُوا قِيلَ إِنَّكَ تَفْعَلُ ذَاكَ قَالَ إِنِّي لَسْتُ كَأَحَدِكُمْ إِنِّي أُطْعَمُ وَأُسْقَى


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সাওমে বিসাল (পানাহার না করে বিরতিহীনভাবে একটানা রোযা রাখা) নিষেধ

১৭৪২. আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু খেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, “তোমরা ’সাওমে বেসাল’ করবে না। তোমাদের কউ যদি ’সাওমে বেসাল’ করতেই চায়, তবে যেন সাহরীর সময় পর্যন্ত করে। তাঁরা বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি তো সাওমে বেসাল (বিরতিহীন রোযা) পালন করেন? তিনি বললেন: আমি এভাবে রাত যাপন করি যে, আমার জন্য একজন আহারদাতা রয়েছেন যিনি আমাকে আহার করান এবং আমাকে পান করান।”[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ الْوِصَالِ فِي الصَّوْمِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَبَّابٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا تُوَاصِلُوا فَأَيُّكُمْ يُرِيدُ أَنْ يُوَاصِلَ فَلْيُوَاصِلْ إِلَى السَّحَرِ قَالُوا إِنَّكَ تُوَاصِلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ إِنِّي أَبِيتُ لِي مُطْعِمٌ يُطْعِمُنِي وَيَسْقِينِي


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪. সাওমে বিসাল (পানাহার না করে বিরতিহীনভাবে একটানা রোযা রাখা) নিষেধ

১৭৪৩. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সাওমে) ’বিসাল’ পালন করতে নিষেধ করেছেন। তখন একজন মুসলিম তাঁকে বললেন, ’কিন্তু আপনি তো ’সাওমে বেসাল’ (বিরতিহীন রোযা) রাখেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “আমি তো তোমাদের মতো নই। আমি এভাবে রাত যাপন করি যে, আমার প্রতিপালক আমাকে পানাহার করিয়ে থাকেন।”কিন্তু তারা যখন বিরত থাকতে অস্বীকার করলেন, তখন তিনি তাদের সাথে একদিন, তারপর আর একদিন বিরতিহীন রোযা রাখলেন। তারপর তারা নতুন চাঁদ দেখতে পেলেন। তখন রাসূলূল্লাহ (সাঃ) বললেন: “যদি তা (চাঁদ) আরো দেরীতে উদিত হতো, তাহলে আমিও তোমাদের (বিরতিহীন রোযা) বাড়িয়ে দিতাম।” যেন তাদেরকে শাসাচ্ছিলেন যখন তারা বিরত থাকতে অস্বীকার করলেন।[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ الْوِصَالِ فِي الصَّوْمِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ صَالِحٍ حَدَّثَنِي اللَّيْثُ حَدَّثَنِي عُقَيْلٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الْوِصَالِ فَقَالَ لَهُ رِجَالٌ مِنْ الْمُسْلِمِينَ فَإِنَّكَ تُوَاصِلُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنِّي لَسْتُ مِثْلَكُمْ إِنِّي أَبِيتُ يُطْعِمُنِي رَبِّي وَيَسْقِينِي فَلَمَّا أَبَوْا أَنْ يَنْتَهُوا عَنْ الْوِصَالِ وَاصَلَ بِهِمْ يَوْمًا ثُمَّ يَوْمًا ثُمَّ رَأَوْا الْهِلَالَ فَقَالَ لَوْ تَأَخَّرَ لَزِدْتُكُمْ كَالْمُنَكِّلِ لَهُمْ حِينَ أَبَوْا أَنْ يَنْتَهُوا


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫. সফরে রোযা রাখা

১৭৪৪. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, হামযাহ ইবনু আমর আল আসলামী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট জানতে চাইলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমি সফরে যেতে চাই। এখন (রোযা রাখার ব্যাপারে) আপনি আমাকে কী আদেশ করেন? তখন তিনি বললেন: “তুমি চাইলে রোযা রাখো, আবার চাইলে রোযা ভঙ্গ কর।”[1]

بَاب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ حَمْزَةَ بْنَ عَمْرٍو الْأَسْلَمِيَّ سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أُرِيدُ السَّفَرَ فَمَا تَأْمُرُنِي قَالَ إِنْ شِئْتَ فَصُمْ وَإِنْ شِئْتَ فَأَفْطِرْ


পরিচ্ছেদঃ ১৫. সফরে রোযা রাখা

১৭৪৫. ইবন ’আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা বিজয়ের বছরে মক্কার পথে যাত্রা করলেন। তিনি সিয়াম পালন করছিলেন এবং লোকেরাও তাঁর সাথে সিয়াম পালন করছিলেন। কাদীদ নামক স্থানে পৌছার পর তিনি সাওম ভঙ্গ করে ফেললে লোকেরা সকলেই সাওম ভঙ্গ করলেন। লোকেরা যে নতুন কাজটি অবলম্বন করতেন, তা তাঁরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল থেকেই গ্রহণ করতেন।[1]

بَاب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ

أَخْبَرَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ الْفَتْحِ فَصَامَ وَصَامَ النَّاسُ حَتَّى بَلَغَ الْكَدِيدَ ثُمَّ أَفْطَرَ فَأَفْطَرَ النَّاسُ فَكَانُوا يَأْخُذُونَ بِالْأَحْدَثِ فَالْأَحْدَثِ مِنْ فِعْلِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ


পরিচ্ছেদঃ ১৫. সফরে রোযা রাখা

১৭৪৬. জাবির ইবন ’আবদুল্লাহ (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক সফরে ছিলেন, হঠাৎ তিনি দেখলেন লোকজনের ভীড় এবং এক ব্যক্তিকে ছায়া দেয়া হয়েছে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন: “এর কী হয়েছে?” লোকেরা বলল, সে রোযাদার। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “সফরে রোযা পালন কোন নেকীর কাজ নয়।”[1]

بَاب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ

أَخْبَرَنَا هَاشِمُ بْنُ الْقَاسِمِ وَأَبُو الْوَلِيدِ قَالَا حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَنْصَارِيِّ قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ الْحَسَنِ يُحَدِّثُ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ ذَكَرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ فِي سَفَرٍ فَرَأَى زِحَامًا وَرَجُلٌ قَدْ ظُلِّلَ عَلَيْهِ فَقَالَ مَا هَذَا قَالُوا هَذَا صَائِمٌ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَيْسَ مِنْ الْبِرِّ الصَّوْمُ فِي السَّفَرِ


পরিচ্ছেদঃ ১৫. সফরে রোযা রাখা

১৭৪৭. কা’ব ইবনু আসিম আল আশ’আরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ““সফরে রোযা পালন কোন নেকীর কাজ নয়।”[1]

بَاب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ

أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ بْنُ عُمَرَ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ عَنْ كَعْبِ بْنِ عَاصِمٍ الْأَشْعَرِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنْ الْبِرِّ الصِّيَامُ فِي السَّفَرِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫. সফরে রোযা রাখা

১৭৪৮. (অপর সনদে) কা’ব ইবনু আসিম আল আশ’আরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “সফরে রোযা পালন কোন নেকীর কাজ নয়।”[1]

بَاب الصَّوْمِ فِي السَّفَرِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَحْمَدَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا الزُّهْرِيُّ عَنْ صَفْوَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ صَفْوَانَ عَنْ أُمِّ الدَّرْدَاءِ عَنْ كَعْبِ بْنِ عَاصِمٍ الْأَشْعَرِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَيْسَ مِنْ الْبِرِّ الصِّيَامُ فِي السَّفَرِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৬. মুসাফিরের জন্য রোযা ভঙ্গ করার অনুমতি রয়েছে

১৭৪৯. আবী উমাইয়া আয যামরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক সফরে আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হলাম এবং তাঁকে সালাম দিলাম। আমি যখন বের হয়ে আসব, এমন সময় তিনি বললেন: “সকালের নাস্তার জন্য একটু অপেক্ষা করো।” আমি বললাম, ইয়া নবীয়াল্লাহ! আমি রোযাদার। তিনি বললেন : এসো, আমি তোমাকে মুসাফির সম্পর্কে জানিয়ে দিচ্ছি। মহান আল্লাহ্ মুসাফিরকে অর্ধেক সালাত এবং রোযা হতে অব্যহতি দিয়েছেন।[1]

بَاب الرُّخْصَةِ لِلْمُسَافِرِ فِي الْإِفْطَارِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْمُغِيرَةِ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ عَنْ يَحْيَى عَنْ أَبِي قِلَابَةَ عَنْ أَبِي الْمُهَاجِرِ عَنْ أَبِي أُمَيَّةَ الضَّمْرِيِّ قَالَ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنْ سَفَرٍ فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمَّا ذَهَبْتُ لِأَخْرُجَ قَالَ انْتَظِرْ الْغَدَاءَ يَا أَبَا أُمَيَّةَ قَالَ فَقُلْتُ إِنِّي صَائِمٌ يَا نَبِيَّ اللَّهِ فَقَالَ تَعَالَ أُخْبِرْكَ عَنْ الْمُسَافِرِ إِنَّ اللَّهَ وَضَعَ عَنْهُ الصِّيَامَ وَنِصْفَ الصَّلَاةِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد إِنْ شَاءَ صَامَ وَإِنْ شَاءَ أَفْطَرَ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. কোনো লোক সফরের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর কত দূর গিয়ে রোযা ভঙ্গ করতে পারবে:

১৭৫০. উবাইদ ইবনু জুবাইর রাহি. বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সাহাবী আবী বাসরাহ আল্-গিফারীর সাথে রামাযান মাসে ’ফুসতাত’ হতে আগমনকারী এক জাহাজে আরোহী ছিলাম। এরপর জাহাজছেড়ে দেয়ার পর তিনি সকালে নাশতা খেতে শুরু করেন। এরপরতিনি বললেন, এসো! আমাদের সাথে খাদ্য গ্রহণ করো। আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করি, আপনি কি আপনার ঘরবাড়ী দেখছেন না? আবী বাসরাহ বলেন, তুমি কি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত ত্যাগ করতে চাও?[1]

بَاب مَتَى يُفْطِرُ الرَّجُلُ إِذَا خَرَجَ مِنْ بَيْتِهِ يُرِيدُ السَّفَرَ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ الْمُقْرِئُ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي أَيُّوبَ حَدَّثَنِي يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَبِيبٍ أَنَّ كُلَيْبَ بْنَ ذُهْلٍ الْحَضْرَمِيَّ أَخْبَرَهُ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَ رَكِبْتُ مَعَ أَبِي بَصْرَةَ الْغِفَارِيِّ سَفِينَةً مِنْ الْفُسْطَاطِ فِي رَمَضَانَ فَدَفَعَ فَقَرَّبَ غَدَاءَهُ ثُمَّ قَالَ اقْتَرِبْ فَقُلْتُ أَلَسْتَ تَرَى الْبُيُوتَ فَقَالَ أَبُو بَصْرَةَ أَرَغِبْتَ عَنْ سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮. যে ব্যক্তি রমযান মাসে ইচ্ছাকৃতভাবে একদিনও রোযা ভঙ্গ করে

১৭৫১. আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি কোনরূপ অনুমোদিত কারণ বা রোগ ব্যতিরেকে রামাযান মাসে একদিনও রোযা ভঙ্গ করে, তবে সে সারা জীবন রোযা রাখলেও তার কাযা আদায় (ক্ষতিপূরণ) হবে না।”[1]

بَاب مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ مُتَعَمِّدًا

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ قَالَ سَمِعْتُ عُمَارَةَ بْنَ عُمَيْرٍ يُحَدِّثُ عَنْ ابْنِ الْمُطَوِّسِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ رُخْصَةٍ وَلَا مَرَضٍ فَلَنْ يَقْضِيَهُ صِيَامُ الدَّهْرِ كُلِّهِ وَلَوْ صَامَ الدَّهْرَ


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮. যে ব্যক্তি রমযান মাসে ইচ্ছাকৃতভাবে একদিনও রোযা ভঙ্গ করে

১৭৫২. (অপর সনদে) আবূ হুরাইরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “কোনরূপ অনুমোদিত কারণ – যার অনুমতি আল্লাহ তাকে দিয়েছেন, সেইরুপ কারণ ব্যতিরেকে যে ব্যক্তি রামাযান মাসে একদিনও রোযা ভঙ্গ করে, তার সারা জীবনের রোযাও এর ক্ষতিপূরণ হবে না।”[1]

بَاب مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ مُتَعَمِّدًا

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنِي حَبِيبُ بْنُ أَبِي ثَابِتٍ قَالَ سَمِعْتُ عُمَارَةَ بْنَ عُمَيْرٍ يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي الْمُطَوِّسِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَنْ أَفْطَرَ يَوْمًا مِنْ رَمَضَانَ مِنْ غَيْرِ رُخْصَةٍ رَخَّصَهُ اللَّهُ لَهُ لَمْ يَقْضِ عَنْهُ صِيَامُ الدَّهْرِ


পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি রমযান মাসে দিনের বেলায় স্ত্রী-সহবাস করে, তার সম্পর্কে

১৭৫৩. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এক ব্যক্তি এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি তো ধ্বংস হয়ে গিয়েছি! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “কিসে তোমাকে ধ্বংস করলো?” সে বলল, আমি রমযান মাসে (রোযাদার অবস্থায়) আমার স্ত্রীর সাথে মিলিত হয়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: তাহলে তুমি একটি ক্রীতদাস আযাদ করো। সে বলল, আমার নিকট তো (কোনো ক্রীতদাস) নেই । তিনি বললেন: “তাহলে তুমি একাধারে দু’মাস সাওম পালন করো।” সে বলল, তা করতেও আমি সক্ষম নই। তিনি বললেন: “তাহলে ষাটজন মিসকীনকে আহার করাও? সে বলল, আমার কাছে (তাও) নেই। তিনি (রাবী) বলেন, এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে একটি ’আরাক’ (ঝুড়ি) পেশ করা হল যাতে খেজুর ছিল। তখন তিনি বললেন: “প্রশ্নকারী কোথায়? এগুলো নিয়ে সাদকা করে দাও।” তখন লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার পরিবারের চাইতেও বেশী অভাবগ্রস্থকে (সাদাকা করব)? আল্লাহর শপথ, মদীনার উভয় ’লাবাত’ অর্থাৎ উভয় প্রান্তের মধ্যে আমাদের চাইতে অধিক অভাবগ্রস্থ কোনো পরিবার নেই। তখন রাসূলাল্লাহসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, “তবে তোমরাই (এগুলো খাও)।” (একথা বলে) তিনি হেসে উঠলেন এমনকি তাঁর দাঁতসমূহ প্রকাশিত হয়ে পড়লো।[1]

بَاب فِي الَّذِي يَقَعُ عَلَى امْرَأَتِهِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ نَهَارًا

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْهَاشِمِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ أَتَى رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَجُلٌ فَقَالَ هَلَكْتُ فَقَالَ وَمَا أَهْلَكَكَ قَالَ وَاقَعْتُ امْرَأَتِي فِي شَهْرِ رَمَضَانَ قَالَ فَأَعْتِقْ رَقَبَةً قَالَ لَيْسَ عِنْدِي قَالَ فَصُمْ شَهْرَيْنِ مُتَتَابِعَيْنِ قَالَ لَا أَسْتَطِيعُ قَالَ فَأَطْعِمْ سِتِّينَ مِسْكِينًا قَالَ لَا أَجِدُ قَالَ فَأُتِيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِعَرَقٍ فِيهِ تَمْرٌ فَقَالَ أَيْنَ السَّائِلُ تَصَدَّقْ بِهَذَا فَقَالَ أَعَلَى أَفْقَرَ مِنْ أَهْلِي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَوَاللَّهِ مَا بَيْنَ لَابَتَيْهَا أَهْلُ بَيْتٍ أَفْقَرَ مِنَّا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَنْتُمْ إِذًا وَضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ أَنْيَابُهُ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি রমযান মাসে দিনের বেলায় স্ত্রী-সহবাস করে, তার সম্পর্কে

১৭৫৪. আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রমযান মাসে রোযা ভঙ্গ করে ফেলে- অতঃপর তিনি পূর্ণ হাদীসটি বর্ণনা করেন।[1]

بَاب فِي الَّذِي يَقَعُ عَلَى امْرَأَتِهِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ نَهَارًا

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَجُلًا أَفْطَرَ فِي رَمَضَانَ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯. যে ব্যক্তি রমযান মাসে দিনের বেলায় স্ত্রী-সহবাস করে, তার সম্পর্কে

১৭৫৫. আব্বাদ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনুয যুবাইর রাহি. ’আয়িশা (রা) কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নিকট এসে কিছু (সাদাকা) চাইল। এরপর লোকটি বলল যে, সে তো জ্বলে-পুড়ে (ধ্বংস হয়ে) গেছে। তখন তিনি জিজ্ঞেস করলেন যে, তার কি হয়েছে? উত্তরে লোকটি বলল যে, সে রমযানে স্ত্রী-সহবাস করে ফেলেছে। এ সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কাছে (খেজুর ভর্তি) একটি ঝুড়ি এল, যাকে ’আরাক (খেজুর পাতার তৈরী ঝুড়ি) বলা হয়। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: “অগ্নিদগ্ধ লোকটি কোথায়?” লোকটি উঠে দাঁড়ালো। তখন তিনি বললেন: “এগুলো সাদকা করে দাও।”[1]

بَاب فِي الَّذِي يَقَعُ عَلَى امْرَأَتِهِ فِي شَهْرِ رَمَضَانَ نَهَارًا

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا يَحْيَى يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ الْأَنْصَارِيَّ أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ أَخْبَرَهُ أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ جَعْفَرِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ سَمِعَ عَبَّادَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ سَمِعَ عَائِشَةَ تَقُولُ إِنَّ رَجُلًا سَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ إِنَّهُ احْتَرَقَ فَسَأَلَهُ مَا لَهُ فَقَالَ أَصَابَ أَهْلَهُ فِي رَمَضَانَ فَأُتِيَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِمِكْتَلٍ يُدْعَى الْعَرَقَ فِيهِ تَمْرٌ فَقَالَ أَيْنَ الْمُحْتَرِقُ فَقَامَ الرَّجُلُ فَقَالَ تَصَدَّقْ بِهَذَا


পরিচ্ছেদঃ ২০. কোনো মহিলার স্বামীর অনুমতি ব্যতীত নফল রোযা রাখা নিষেধ

১৭৫৬. আবী সাঈদ আল খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো এক মহিলাকে বলেছিলেন: “তুমি তার (অর্থাৎ স্বামীর) অনুমতি ব্যতীত রোযা রাখবে না।”[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ صَوْمِ الْمَرْأَةِ تَطَوُّعًا إِلَّا بِإِذْنِ زَوْجِهَا

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ قَالَ لِامْرَأَةٍ لَا تَصُومِي إِلَّا بِإِذْنِهِ


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ ১৭৪১ থেকে ১৭৬০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩৫৪২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ « আগের পাতা 1 2 3 4 · · · 85 86 87 88 89 · · · 175 176 177 178 পরের পাতা »