পরিচ্ছেদঃ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা
১১০১(২০). আবু সাঈদ মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ আল-মারওয়াযী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার মতে ইবনে মাসউদ (রাঃ)-এর নিম্নোক্ত হাদীস প্রমাণিত নয় : “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রথমবার তাঁর দুই হাত উপরে উত্তোলন করতেন, তারপর আর উত্তোলন করতেন না।” আমার নিকট সেই ব্যক্তির হাদীস প্রমাণিত যাতে আছে : “তিনি যখন রুকূ করতেন এবং যখন রুকূ থেকে তার মাথা উঠাতেন তখনও তার দুই হাত উপরে উত্তোলন করতেন”। ইবনুল মুবারক (রহঃ) বলতেন, উবায়দুল্লাহ আল-উমারী, মালেক, মা’মার, সুফিয়ান, ইউনুস (রহঃ) ও মুহাম্মাদ ইবনে আবু হাফসা (রহঃ) এই হাদীস আয-যুহরী-সালেম-তার পিতা-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
بَابُ ذِكْرِ التَّكْبِيرِ وَرَفْعِ الْيَدَيْنِ عِنْدَ الِافْتِتَاحِ وَالرُّكُوعِ وَالرَّفْعِ مِنْهُ ، وَقَدْرِ ذَلِكَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ مِشْكَانَ الْمَرْوَزِيُّ ، نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَحْمُودٍ ، ثَنَا عَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ، عَنْ وَهْبِ بْنِ زَمْعَةَ ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمُبَارَكِ ، قَالَ : لَمْ يَثْبُتْ عِنْدِي حَدِيثُ ابْنِ مَسْعُودٍ : " أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - رَفَعَ يَدَيْهِ أَوَّلَ مَرَّةٍ ثُمَّ لَمْ يَرْفَعْ " . وَقَدْ ثَبَتَ عِنْدِي حَدِيثُ مَنْ يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا رَكَعَ ، وَإِذَا رَفَعَ . قَالَ ابْنُ الْمُبَارَكِ : ذَكَرَهُ عُبَيْدُ اللَّهِ الْعُمَرِيُّ ، وَمَالِكٌ ، وَمَعْمَرٌ ، وَسُفْيَانُ ، وَيُونُسُ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَفْصَةَ ، عَنِ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ سَالِمٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা
১১০২(২১). ইয়াহইয়া ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে সায়েদ (রহঃ) ... আল-বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছেন যে, তিনি যখন নামায শুরু করতেন, তখন তাঁর দুই হাত তার দুই কাঁধ বরাবর উত্তোলন করতেন। তারপর নামায শেষ করা পর্যন্ত তিনি আর কোথাও হাত উপরে উঠাতেন না
بَابُ ذِكْرِ التَّكْبِيرِ وَرَفْعِ الْيَدَيْنِ عِنْدَ الِافْتِتَاحِ وَالرُّكُوعِ وَالرَّفْعِ مِنْهُ ، وَقَدْرِ ذَلِكَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ صَاعِدٍ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ لُوَيْنٌ ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّا ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي زِيَادٍ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى ، عَنِ الْبَرَاءِ : " أَنَّهُ رَأَى رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حِينَ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى حَاذَى بِهِمَا ، أُذُنَيْهِ ثُمَّ لَمْ يَعُدْ إِلَى شَيْءٍ مِنْ ذَلِكَ حَتَّى فَرَغَ مِنْ صَلَاتِهِ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা
১১০৩(২২). ইবনে সায়েদ (রহঃ) ... আল-বারাআ ইবনে আযেব (রাঃ) থেকে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।
بَابُ ذِكْرِ التَّكْبِيرِ وَرَفْعِ الْيَدَيْنِ عِنْدَ الِافْتِتَاحِ وَالرُّكُوعِ وَالرَّفْعِ مِنْهُ ، وَقَدْرِ ذَلِكَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ
حَدَّثَنَا ابْنُ صَاعِدٍ ، نَا لُوَيْنٌ ، نَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ زَكَرِيَّا ، عَنْ يَزِيدَ - يَعْنِي : ابْنَ أَبِي زِيَادٍ - عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ مِثْلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা
১১০৪(২৩). মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে হারূন (রহঃ) ... আল-বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছেন যে, তিনি যখন নামায শুরু করতেন তখন তাকবীর বলতেন এবং তাঁর হস্তদ্বয় উপরে উত্তোলন করতেন। অধস্তন রাবী বলেন, আদী ইবনে সাবেত (রহঃ) আল-বারাআ (রাঃ)-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে আমার নিকট পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন এবং এটাই যথার্থ। ইয়াযীদ (রহঃ) তার শেষ বয়সে (তা) তালকীন (শিক্ষা) দিতেন। অতঃপর তিনি এর পুনরাবৃত্তি করেননি। তিনি তা তালকীন (শিক্ষা) দেন, তখন (বার্ধক্যের কারণে) তিনি তালগোল পাকিয়ে ফেলেন।
بَابُ ذِكْرِ التَّكْبِيرِ وَرَفْعِ الْيَدَيْنِ عِنْدَ الِافْتِتَاحِ وَالرُّكُوعِ وَالرَّفْعِ مِنْهُ ، وَقَدْرِ ذَلِكَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ هَارُونَ ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ شَاهِينَ ، ثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى ، عَنِ الْبَرَاءِ : " أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حِينَ قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ كَبَّرَ ، وَرَفَعَ يَدَيْهِ
قَالَ وَحَدَّثَنِي أَيْضًا عَدِيُّ بْنُ ثَابِتٍ ، عَنِ الْبَرَاءِ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - بِمِثْلِهِ ، وَهَذَا هُوَ الصَّوَابُ ، وَإِنَّمَا لُقِّنَ يَزِيدُ فِي آخِرِ عُمُرِهِ : " ثُمَّ لَمْ يَعُدْ " فَتَلَقَّنَهُ وَكَانَ قَدِ اخْتَلَطَ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা
১১০৫(২৪). আবু বাকর আল-আদমী আহমাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আল-বারাআ ইবনে আযেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখেছি যে, তিনি যখন নামায শুরু করতেন তখন তাকবীর (তাহরীমা) বলতেন এবং তাঁর দুই হাত উত্তোলন করতেন, এমনকি তা নিজের উভয় কান বরাবর উন্নীত করতেন। অতঃপর (অন্যত্র) তিনি এর পুনরাবৃত্তি করতেন না। আলী ইবনে আসেম (রহঃ) বলেন, আমি কূফায় আগমন করলে আমাকে বলা হলো, ইয়াযীদ (রহঃ) জীবিত আছেন। অতএব আমি তার নিকট গেলাম এবং তিনি আমাকে এই হাদীস শুনালেন। তিনি বললেন, আবদুর রহমান ইবনে আবু লায়লা (রহঃ) আল-বারাআ (রাঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি, তিনি যখন নামায শুরু করতেন তখন তাকবীর (তাহরীমা) বলতেন এবং নিজের হস্তদ্বয় উপরে উত্তোলন করতেন, এমনকি তা তাঁর উভয় কান বরাবর উন্নীত করতেন। আমি তাকে বললাম, আমাকে ইবনে আবু লায়লা অবহিত করেছেন যে, আপনি বলেছেন, “অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তার পুনরাবৃত্তি করতেন না। তিনি বলেন, আমি এই কথাটুকু স্মৃতিতে ধারণ করে রাখতে পারিনি। আমি পুনরায় বললে তিনিও বলেন, আমি তা সংরক্ষণ করতে পারিনি।
بَابُ ذِكْرِ التَّكْبِيرِ وَرَفْعِ الْيَدَيْنِ عِنْدَ الِافْتِتَاحِ وَالرُّكُوعِ وَالرَّفْعِ مِنْهُ ، وَقَدْرِ ذَلِكَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ الْأَدَمِيُّ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْمَاعِيلَ ، نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَيُّوبَ الْمَخْرَمِيُّ ، نَا عَلِيُّ بْنُ عَاصِمٍ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي لَيْلَى ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي زِيَادٍ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ ، قَالَ : " رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حِينَ قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ ، فَكَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى سَاوَى بِهِمَا أُذُنَيْهِ ، ثُمَّ لَمْ يَعُدْ " قَالَ عَلِيٌّ : فَلَمَّا قَدِمْتُ الْكُوفَةَ قِيلَ لِي : إِنَّ يَزِيدَ حَيٌّ ، فَأَتَيْتُهُ فَحَدَّثَنِي بِهَذَا الْحَدِيثِ ، فَقَالَ : حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي لَيْلَى ، عَنِ الْبَرَاءِ ، قَالَ : " رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - حِينَ قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ فَكَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى سَاوَى بِهِمَا أُذُنَيْهِ " فَقُلْتُ لَهُ : أَخْبَرَنِي ابْنُ أَبِي لَيْلَى أَنَّكَ قُلْتَ : ثُمَّ لَمْ يَعُدْ ؟ . قَالَ : لَا أَحْفَظُ هَذَا ، فَعَاوَدْتُهُ ، فَقَالَ : مَا أَحْفَظُهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা
১১০৬(২৫). আবু উসমান সাঈদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ আল-হান্নাত (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে এবং আবু বাকর (রাঃ) ও উমার (রাঃ)-এর সাথে নামায পড়েছি এবং তারা কেবল নামাযের শুরুতেই প্রথম তাকবীরেই (তাহরীমা) তাদের হস্তদ্বয় উত্তোলন করেছেন। ইসহাক (রহঃ) বলেন, আমরা সমস্ত নামাযে তদনুযায়ী আমল করি। এই হাদীস কেবল মুহাম্মাদ ইবনে জাবির (রহঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি হাদীসশাস্ত্রে দুর্বল এবং তিনি হাম্মাদ (রহঃ)-ইবরাহীম (রহঃ) সূত্রে বর্ণনা করেন এবং হাম্মাদ (রহঃ) ব্যতীত অন্যরা ইবরাহীম (রহঃ) থেকে এই হাদীস মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে নিজস্ব কর্মরূপে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত উন্নীত (মারফূ’) করা ব্যতীত, এটাই যথার্থ।
بَابُ ذِكْرِ التَّكْبِيرِ وَرَفْعِ الْيَدَيْنِ عِنْدَ الِافْتِتَاحِ وَالرُّكُوعِ وَالرَّفْعِ مِنْهُ ، وَقَدْرِ ذَلِكَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ
حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَحْمَدَ الْحَنَّاطُ ، وَعَبْدُ الْوَهَّابِ بْنُ عِيسَى بْنِ أَبِي حَيَّةَ ، قَالَا : نَا إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي إِسْرَائِيلَ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ جَابِرٍ ، عَنْ حَمَّادٍ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ عَلْقَمَةَ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ، قَالَ : " صَلَّيْتُ مَعَ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، وَمَعَ أَبِي بَكْرٍ ، وَمَعَ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا - فَلَمْ يَرْفَعُوا أَيْدِيَهُمْ إِلَّا عِنْدَ التَّكْبِيرَةِ الْأُولَى فِي افْتِتَاحِ الصَّلَاةِ " . قَالَ إِسْحَاقُ : بِهِ نَأْخُذُ فِي الصَّلَاةِ كُلِّهَا ، تَفَرَّدَ بِهِ مُحَمَّدُ بْنُ جَابِرٍ - وَكَانَ ضَعِيفًا - عَنْ حَمَّادٍ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ وَغَيْرُ حَمَّادٍ يَرْوِيهِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ مُرْسَلًا ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ مِنْ فِعْلِهِ غَيْرَ مَرْفُوعٍ إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - وَهُوَ الصَّوَابُ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা
১১০৭(২৬). ইবনে সায়েদ (রহঃ) ... ওয়াইল ইবনে হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে নামায পড়েন তা দেখার জন্য আমি তাঁর নিকট এলাম। তিনি কিবলামুখী হলেন এবং তাকবীর (তাহরীমা) বলে নিজ হস্তদ্বয় উপরে উত্তোলন করেন, এমনকি তা তাঁর উভয় কান পর্যন্ত উন্নীত করেন। তিনি রুকূতে যেতেও নিজ হস্তদ্বয় কান বরাবর উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি রুকূ থেকে নিজের মাথা উঠানোর পরও নিজ হস্তদ্বয় কান বরাবর উত্তোলন করেন। অতঃপর তিনি সিজদায় তার হস্তদ্বয় মাথা বরাবর (মেঝেতে) রাখেন।
بَابُ ذِكْرِ التَّكْبِيرِ وَرَفْعِ الْيَدَيْنِ عِنْدَ الِافْتِتَاحِ وَالرُّكُوعِ وَالرَّفْعِ مِنْهُ ، وَقَدْرِ ذَلِكَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ
حَدَّثَنَا ابْنُ صَاعِدٍ ، ثَنَا لُوَيْنٌ مُحَمَّدُ بْنُ سُلَيْمَانَ ، ثَنَا صَالِحُ بْنُ عُمَرَ الْوَاسِطِيُّ ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ ، قَالَ : " أَتَيْتُ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لِأَنْظُرَ كَيْفَ يُصَلِّي ، فَاسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةَ ، فَكَبَّرَ ، فَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى حَاذَتَا أُذُنَيْهِ ، فَلَمَّا رَكَعَ ، رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى جَعَلَهُمَا بِذَلِكَ الْمَنْزِلِ ، فَلَمَّا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ ، رَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى جَعَلَهُمَا بِذَلِكَ الْمَنْزِلِ ، فَلَمَّا سَجَدَ وَضَعَ يَدَيْهِ مِنْ رَأْسِهِ بِذَلِكَ الْمَنْزِلِ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা
১১০৮(২৭). ইবনে সায়েদ (রহঃ) ... ওয়াইল ইবনে হুজর (রাঃ) থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত। তবে তিনি এই রিওয়ায়াতে সিজদার কথা উল্লেখ করেননি।
بَابُ ذِكْرِ التَّكْبِيرِ وَرَفْعِ الْيَدَيْنِ عِنْدَ الِافْتِتَاحِ وَالرُّكُوعِ وَالرَّفْعِ مِنْهُ ، وَقَدْرِ ذَلِكَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ
حَدَّثَنَا ابْنُ صَاعِدٍ ، ثَنَا لُوَيْنٌ ، ثَنَا أَبُو الْأَحْوَصِ ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - نَحْوَهُ ، إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرِ السُّجُودَ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. তাকবীর (তাহরীমা) বলা এবং নামাযের শুরুতে, রুকূতে যেতে ও রুকূ থেকে। উঠতে উভয় হাত (উপরে) উঠানো এবং এর পরিমাণ ও এ সম্পর্কিত হাদীসসমূহের বিভিন্নতা
১১০৯(২৮). আবুল কাসেম আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) ও ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তারা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায শুরু করতেন, যখন রুকূ করতেন এবং যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন, তখন তাঁর হস্তদ্বয় তাঁর উভয় কাঁধ বরাবর উত্তোলন করতেন।
بَابُ ذِكْرِ التَّكْبِيرِ وَرَفْعِ الْيَدَيْنِ عِنْدَ الِافْتِتَاحِ وَالرُّكُوعِ وَالرَّفْعِ مِنْهُ ، وَقَدْرِ ذَلِكَ ، وَاخْتِلَافِ الرِّوَايَاتِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْقَاسِمِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ ، ثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ أَبُو عُتْبَةَ ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ ، عَنِ الْأَعْرَجِ ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَعَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ ، عَنْ نَافِعٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، قَالَ : " كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ رَفَعَ يَدَيْهِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ ، وَإِذَا رَكَعَ وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ
পরিচ্ছেদঃ ২৯. তাকবীর (তাহরীমা) বলার পর (নামায) শুরু করার দোয়া
১১১০(১). আলী ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুবাশশির (রহঃ) ... আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায শুরু করতেন তখন তাকবীর (তাহরীমা) বলতেন, অতঃপর বলতেনঃ
“ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাস সামাওয়াতি ওয়াল-আরদা হানীফাও ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহইয়াইয়া ওয়া মামাতী লিল্লাহি রব্বিল আলামীন। লা শারীকা লাহু ওয়া বিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা আনতাল মালিকু লা ইলাহা ইল্লা আনতা। আনতা রব্বী ওয়া আনা আবদুকা যলামতু নাফসী ওয়া ই’তারাফতু বিযামবী ফাগফিরলী যুনুবী জামীআ। ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয যুনুবা ইল্লা আনতা। লাব্বাইকা ওয়া সা’দাইকা ওয়াল খাইরু কুল্লুহু ফী ইয়াদাইকা। ওয়াশ-শাররু লাইসা ইলাইকা। আনা বিকা ওয়া ইলাইকা তাবারাকতা ওয়া তাআলাইতা আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইকা”।
অর্থঃ “আমার মুখমণ্ডল সেই সত্তার দিকে ফিরালাম যিনি আকাশসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই। নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার কোরবানী, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু বিশ্বপ্রভুর জন্য যার কোন অংশীদার নেই। আমাকে এটিরই নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং আমি প্রথম মুসলিম। হে আল্লাহ! তুমিই মালিক, তুমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই, তুমি আমার প্রতিপালক। আমি নিজের উপর যুলুম করেছি এবং আমি আমার অপরাধ স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমার সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করে দাও। তুমি ব্যতীত অপরাধ ক্ষমাকারী কেউ নেই। আমি তোমার সামনে উপস্থিত। সমস্ত কল্যাণ তোমার হাতে এবং কোন অনিষ্ট তোমার কাছে নেই। আমি তোমার সাহায্য চাই এবং তোমার নিকট ফিরে যাবো। তুমি বরকতময় এবং তুমি মর্যাদাসম্পন্ন। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার নিকট তাওবা করছি”।
তিনি যখন রুকূ করতেন তখন বলতেনঃ “আল্লাহুম্মা লাকা রাকা’তু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আলামতু খাশাআ লাকা সামঈ ওয়া বাসারী ওয়া মুখ্খী ওয়া ইজামী ওয়া আসাবী”। অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি তোমার জন্য রুকূ করেছি, তোমার উপর ঈমান এনেছি এবং তোমার কাছে আত্মসমর্পণ করেছি। তোমার জন্য আমার কান, আমার চোখ, আমার মগজ, আমার হাড়, আমার শিরা-উপশিরা বিনয়াবনত”।
তিনি যখন রুকূ থেকে মাথা উঠাতেন তখন বলতেনঃ “সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ রব্বানা ওয়া লাকাল হামদ মিলআস-সামাওয়াতি ওয়া মিলআল-আরদীনা ওয়ামা বাইনাহুমা ওয়া মিলআ মা শি’তা মিন শায়ইন বাদু”। অর্থঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করে তিনি তা শোনেন। আমাদের প্রতিপালক! আপনার জন্য যাবতীয় প্রশংসা—আকাশসমূহ এবং যমীনসমূহ এবং আকাশ ও যমীনের মধ্যে খালি জায়গাসমূহ পরিমাণ এবং এরপর যা আপনি ইচ্ছা করেন সেই পরিমাণ”।
তিনি সিজদায় বলতেনঃ “আল্লাহুম্মা লাকা সাজাততু ওয়া বিকা আমানতু ওয়া লাকা আসলামতু। সাজাদা ওয়াজহিয়া লিল্লাযী খালাকাহু ওয়া সাওয়ারাহু ফাআহসানা সওয়ারাহু ওয়া শাক্কা সামআহু ওয়া বাসারাহু। তাবারাকাল্লাহু আহসানুল খালিকীন” । অর্থঃ “হে আল্লাহ! আমি আপনার জন্য সিজদা করেছি, আপনার উপর ঈমান এনেছি এবং আপনার নিকট আত্মসমর্পণ করেছি, যিনি আমার মুখমণ্ডল সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে উত্তম আকৃতি দান করেছেন, তাকে শ্রবণশক্তি ও দৃষ্টিশক্তি দান করেছেন, আমার মুখমণ্ডল তাকে সিজদা করছে। আল্লাহ কতো বরকতময় উত্তম স্রষ্টা”!
তিনি নামাযের সালাম ফিরানোর পর বলতেনঃ “আল্লাহুম্মাগাফির লী মা কাদ্দামতু ওয়ামা আখ্খারতু ওয়ামা আসরারতু ওয়ামা আ’লানতু ওয়ামা আসরাফতু ওয়ামা আনতা আ’লামু বিহী মিন্নী। আনতাল মুকাদ্দিমু ওয়া আনতাল মুআখখিরু লা ইলাহা ইল্লা আনতা”। অর্থঃ “হে আল্লাহ! আপনি আমার পূর্বাপর, গোপনে ও প্রকাশ্যে কৃত গুনাহ, আমার বাড়াবাড়ি এবং আপনি আমার যে গুনাহ সম্পর্কে আমার চেয়ে অধিক জ্ঞাত তা ক্ষমা করে দিন। আপনিই প্রথম এবং আপনিই শেষ। আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই"।
بَابُ دُعَاءِ الِاسْتِفْتَاحِ بَعْدَ التَّكْبِيرِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُبَشِّرٍ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ ، نَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ ، أَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ الْمَاجِشُونُ ، ثَنَا الْمَاجِشُونُ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ ، عَنْ عَلِيٍّ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ كَبَّرَ ، ثُمَّ قَالَ : " وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ ، إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ، لَا شَرِيكَ لَهُ ، وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ ، اللَّهُمَّ أَنْتَ الْمَلِكُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ ، أَنْتَ رَبِّي وَأَنَا عَبْدُكَ ، ظَلَمْتُ نَفْسِي ، وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي ، فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا ، إِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ ، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ وَالْخَيْرُ كُلُّهُ فِي يَدَيْكَ ، وَالشَّرُّ لَيْسَ إِلَيْكَ ، أَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ ، تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " . وَإِذَا رَكَعَ ، قَالَ : " اللَّهُمَّ لَكَ رَكَعْتُ ، وَبِكَ آمَنْتُ ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ ، خَشَعَ لَكَ سَمْعِي وَبَصَرِي وَمُخِّي وَعِظَامِي وَعَصَبِي " . وَإِذَا رَفَعَ رَأْسَهُ مِنَ الرُّكُوعِ ، قَالَ : " سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ ، رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ ، مِلْءَ السَّمَوَاتِ ، وَمِلْءَ الْأَرَضِينَ وَمَا بَيْنَهُمَا ، وَمِلْءَ مَا شِئْتَ مِنْ شَيْءٍ بَعْدُ " . فَإِذَا سَجَدَ ، قَالَ : " اللَّهُمَّ لَكَ سَجَدْتُ ، وَبِكَ آمَنْتُ ، وَلَكَ أَسْلَمْتُ ، سَجَدَ وَجْهِي لِلَّذِي خَلَقَهُ وَصَوَّرَهُ ، فَأَحْسَنَ صُوَرَهُ ، وَشَقَّ سَمْعَهُ وَبَصَرَهُ ، تَبَارَكَ اللَّهُ أَحْسَنُ الْخَالِقِينَ " . وَإِذَا سَلَّمَ مِنَ الصَّلَاةِ ، قَالَ : " اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ ، وَمَا أَخَّرْتُ ، وَمَا أَسْرَرْتُ ، وَمَا أَعْلَنْتُ ، وَمَا أَسْرَفْتُ ، وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي ، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ ، وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ
পরিচ্ছেদঃ ২৯. তাকবীর (তাহরীমা) বলার পর (নামায) শুরু করার দোয়া
১১১১(২). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... আলী ইবনে আবু তালিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফরয নামায পড়া আরম্ভ করে বলতেনঃ “ওয়াজজাহতু ওয়াজহিয়া লিল্লাযী ফাতারাস-সামাওয়াতি ওয়াল-আরদা হানীফাম-মুসলিমান ওয়ামা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহয়াইয়া ওয়া মামাতী লিল্লাহি রব্বিল আলামীন। লা শারীকা লাহু ওয়া বিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা মিনাল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু লা ইলাহা ইল্লা আনতা। সুবহানাকা ওয়া বিহামদিকা আনতা রব্বী ওয়া আনা আবদুকা। যলামতু নাফসী ওয়া ইতারাফতু বিযামবী ফাগফিরলী যুনূবী জামীআ । লা ইয়াগফিরু-যুনূবা ইল্লা আনতা। ওয়াহদিনী লি-আহসানিল আখলাকি। লা ইয়াহদীনী লি-আহসানিহা ইল্লা আনতা। ওয়াসরিফ আন্নী সায়্যিআহা লা ইয়াসরিফু আন্নী সায়্যিআহা ইল্লা আনতা। লাব্বাইকা ওয়া সা’দাইকা, ওয়াল-খায়রু বি-ইয়াদাইকা ওয়াল মাহদিয়্যু মান হাদাইতা। ওয়া আনা বিকা ওয়া ইলাইকা, তাবারাকতা ওয়া তা’আলাইতা! আসতাগফিরুকা ওয়া আতুবু ইলাইকা”। রাবী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফরয নামাযের সিজদা করতেন ... অতঃপর রাবী অবশিষ্ট হাদীস বর্ণনা করেন।
بَابُ دُعَاءِ الِاسْتِفْتَاحِ بَعْدَ التَّكْبِيرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا يُوسُفُ بْنُ سَعِيدٍ ، ثَنَا حَجَّاجٌ ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ، أَخْبَرَنِي مُوسَى بْنُ عُقْبَةَ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْفَضْلِ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْأَعْرَجِ ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي رَافِعٍ ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَانَ إِذَا ابْتَدَأَ الصَّلَاةَ الْمَكْتُوبَةَ ، قَالَ : " وَجَّهْتُ وَجْهِيَ لِلَّذِي فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضَ حَنِيفًا مُسْلِمًا ، وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ ، إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ، لَا شَرِيكَ لَهُ ، وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ ، وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ ، اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ ، لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ ، سُبْحَانَكَ وَبِحَمْدِكَ ، أَنْتَ رَبِّي ، وَأَنَا عَبْدُكَ ، ظَلَمْتُ نَفْسِي ، وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي ، فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا ، لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ ، وَاهْدِنِي لِأَحْسَنِ الْأَخْلَاقِ ، لَا يَهْدِي لِأَحْسَنِهَا إِلَّا أَنْتَ ، وَاصْرِفْ عَنِّي سَيِّئَهَا ، لَا يَصْرِفُ عَنِّي سَيِّئَهَا إِلَّا أَنْتَ ، لَبَّيْكَ وَسَعْدَيْكَ ، وَالْخَيْرُ بِيَدَيْكَ ، وَالْمَهْدِيُّ مَنْ هَدَيْتَ ، وَأَنَا بِكَ وَإِلَيْكَ ، تَبَارَكْتَ وَتَعَالَيْتَ ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ " . قَالَ وَكَانَ النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا سَجَدَ فِي الصَّلَاةِ الْمَكْتُوبَةِ ........ ثُمَّ ذَكَرَ بَاقِيَ الْحَدِيثِ
পরিচ্ছেদঃ ২৯. তাকবীর (তাহরীমা) বলার পর (নামায) শুরু করার দোয়া
১১১২(৩). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায পড়া শুরু করতেন তখন বলতেনঃ “ইন্না সালাতী ওয়া নুসুকী ওয়া মাহয়াইয়া ওয়া মামাতী লিল্লাহি রব্বিল আলামীন, লা শারীকা লাহু ওয়াবিযালিকা উমিরতু ওয়া আনা আওয়ালুল মুসলিমীন। আল্লাহুম্মা ইহদিনী লিআহসানিল আখলাকি ওয়া আহসানিল আমলে লা ইয়াহূদী লি-আহসানিহা ইল্লা আনতা। ওয়াকিনী সায়্যিয়াল আখলাকি ওয়াল আমলি লা ইয়াকী সায়্যিআহা ইল্লা আনতা”। অর্থঃ “নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার কোরবানী, আমার জীবন ও আমার মৃত্যু বিশ্বপ্রতিপালক আল্লাহর জন্য, যার কোন অংশীদার নেই। আমাকে এটারই নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং আমি প্রথম মুসলিম। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে উত্তম চরিত্র ও উত্তম কাজের পথনির্দেশ দান করুন। আপনি ব্যতীত অন্য কেউ উত্তম কাজের পথ দিতে পারে না। আপনি আমাকে কদর্য চরিত্র ও কদর্য কাজ থেকে হেফাজত করুন। আপনি ব্যতীত অন্য কেউ কদর্য কাজ ও কদর্য চরিত্র থেকে হেফাজত করতে পারে না”।
শুআইব (রহঃ) বলেন, মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির (রহঃ) প্রমুখ মদীনার ফকীহগণ আমাকে বলেছেন, যদি তুমি এই কথাগুলো বলো তবে আরো বলো, “ওয়া মিনাল মুসলিমীন” (আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত)। মূল পাঠ আবদুল করীম (রহঃ)-এর।
بَابُ دُعَاءِ الِاسْتِفْتَاحِ بَعْدَ التَّكْبِيرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْحَاقَ ، حَدَّثَنَا سَلْمُ بْنُ قَادِمٍ الْبَغْدَادِيُّ ، ثَنَا أَبُو حَيْوَةَ ، ح : وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ زِيَادٍ الْقَطَّانُ ، ثَنَا عَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ الْهَيْثَمِ ، ثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ رَبِّهِ ، ثَنَا شُرَيْحُ بْنُ يَزِيدَ أَبُو حَيْوَةَ ، عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ : أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - كَانَ إِذَا اسْتَفْتَحَ الصَّلَاةَ ، قَالَ : " إِنَّ صَلَاتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ ، لَا شَرِيكَ لَهُ ، وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ ، وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ ، اللَّهُمَّ اهْدِنِي لِأَحْسَنِ الْأَخْلَاقِ وَأَحْسَنِ الْأَعْمَالِ ، لَا يَهْدِي لِأَحْسَنِهَا إِلَّا أَنْتَ ، وَقِنِي سَيِّئَ الْأَخْلَاقِ وَالْأَعْمَالِ ، لَا يَقِي سَيِّئَهَا إِلَّا أَنْتَ " . قَالَ شُعَيْبٌ : قَالَ لِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُنْكَدِرِ وَغَيْرُهُ مِنْ فُقَهَاءِ أَهْلِ الْمَدِينَةِ : إِنْ قُلْتَ أَنْتَ هَذَا الْقَوْلَ ، فَقُلْ : " وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ " وَاللَّفْظُ لِعَبْدِ الْكَرِيمِ
পরিচ্ছেদঃ ২৯. তাকবীর (তাহরীমা) বলার পর (নামায) শুরু করার দোয়া
১১১৩(৪). আবু ইসহাক ইসমাঈল ইবনে ইউনুস ইবনে ইয়াসীন (রহঃ) ... আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে ঘুম থেকে উঠে তাকবীর ধ্বনি করে নামায পড়া আরম্ভ করে তিনবার বলতেনঃ “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা রব্বানা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা”। “আউযু বিল্লাহিস সামিয়ীল আলীম মিনাশ শাইতানির রাজীম মিন হামযিহি ওয়া নাফ্ছিহি ওয়া নাফ্খিহি”। “হে আল্লাহ! আপনি পবিত্র এবং সমস্ত প্রশংসা আপনার। আপনি আমাদের রব, আপনার নাম রবকতময়, আপনার মর্যাদা উচ্চ এবং আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই। আমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞাতা আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি অভিশপ্ত শয়তান থেকে তার প্ররোচনা, ফুঁৎকার ও ছোবল থেকে”। রাবী বলেন, অতঃপর তিনি কিরাআত পড়তেন।
بَابُ دُعَاءِ الِاسْتِفْتَاحِ بَعْدَ التَّكْبِيرِ
حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ يُونُسَ بْنِ يَاسِينَ ، ثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ أَبِي إِسْرَائِيلَ ، ثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ الضُّبَعِيُّ ، ثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَلِيٍّ الرِّفَاعِيُّ ، قَالَ إِسْحَاقُ : وَكَانَ يُشَبَّهُ بِالنَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - عَنْ أَبِي الْمُتَوَكِّلِ ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ ، قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ اسْتَفْتَحَ صَلَاتَهُ ، فَكَبَّرَ ، قَالَ : " سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ ، رَبَّنَا ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ ، وَتَعَالَى جَدُّكَ ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ ، - ثَلَاثًا - أَعُوذُ بِاللَّهِ السَّمِيعِ الْعَلِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ : مِنْ هَمْزِهِ ، وَنَفْثِهِ ، وَنَفْخِهِ " . قَالَ ثُمَّ يَقْرَأُ
পরিচ্ছেদঃ ২৯. তাকবীর (তাহরীমা) বলার পর (নামায) শুরু করার দোয়া
১১১৪(৫). মুহাম্মাদ ইবনে ইয়াহইয়া ইবনে মিদরাস (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামর নামায পড়া শুরু করে বলতেনঃ “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা”। “হে আল্লাহ! তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করছি তোমার প্রশংসা সহকারে, তোমার নাম বরকতপূর্ণ, তোমার মহিমা অতি উচ্চ এবং তুমি ছাড়া আর কোন ইলাহ। নেই”।
আবু দাউদ (রহঃ) বলেন, এই হাদীস তালক ইবনে গান্নাম (রহঃ) ব্যতীত অন্য কেউ আবদুস সালাম (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেননি। হাদিসটি তেমন শক্তিশালী নয়।
بَابُ دُعَاءِ الِاسْتِفْتَاحِ بَعْدَ التَّكْبِيرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى بْنِ مِرْدَاسٍ ، ثَنَا أَبُو دَاوُدَ ، ثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ عِيسَى ، ثَنَا طَلْقُ بْنُ غَنَّامٍ ، ثَنَا عَبْدُ السَّلَامِ بْنُ حَرْبٍ الْمُلَائِيُّ ، عَنْ بُدَيْلِ بْنِ مَيْسَرَةَ ، عَنْ أَبِي الْجَوْزَاءِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا اسْتَفْتَحَ الصَّلَاةَ قَالَ : " سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ ، وَتَعَالَى جَدُّكَ ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ " . قَالَ أَبُو دَاوُدَ : لَمْ يَرْوِهِ عَنْ عَبْدِ السَّلَامِ غَيْرُ طَلْقِ بْنِ غَنَّامٍ ، وَلَيْسَ هَذَا الْحَدِيثُ بِالْقَوِيِّ
পরিচ্ছেদঃ ২৯. তাকবীর (তাহরীমা) বলার পর (নামায) শুরু করার দোয়া
১১১৫(৬). উসমান ইবনে জাফর ইবনে মুহাম্মাদ আল-আহওয়াল (রহঃ) ... উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযের (প্রথম) তাকবীর উচ্চারণ করার পর বলতেনঃ “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা”। তিনি আশ্রয় প্রার্থনা করে বলতেনঃ “আউযু বিল্লাহি মিন হামাযাতিশ শাইতানি ওয়া নাফ্খিহি ওয়া নাফ্ছিহি”। এই শায়খ হাদীসটি তার পিতা- নাফে’ (রহঃ)-ইবনে উমার (রাঃ)-উমার (রাঃ)-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সূত্রে মারফুরূপে বর্ণনা করেছেন। সংরক্ষিত কথা হলো, এটি উমার (রাঃ)-র নিজস্ব উক্তি। একইভাবে এই হাদীস ইবরাহীম (রহঃ) আলকামা ও আল-আসওয়াদ-উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। একইভাবে এই হাদীস ইয়াহইয়া ইবনে আইয়ুব (রহঃ) উমার ইবনে শায়বা-নাফে (রহঃ)-ইবনে উমার (রাঃ)-উমার (রাঃ) সূত্রে তার উক্তিরূপে বর্ণনা করেছেন এবং এটাই যথার্থ।
بَابُ دُعَاءِ الِاسْتِفْتَاحِ بَعْدَ التَّكْبِيرِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ الْأَحْوَلُ ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ نَصْرٍ الْمَرْوَزِيُّ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَبِيبٍ ، حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عُمَرَ بْنِ شَيْبَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ نَافِعٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - قَالَ : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - إِذَا كَبَّرَ لِلصَّلَاةِ ، قَالَ : " سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ ، وَتَعَالَى جَدُّكَ ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ " ، وَإِذَا تَعَوَّذَ قَالَ : " أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنْ هَمْزِ الشَّيْطَانِ ، وَنَفْخِهِ ، وَنَفْثِهِ " . رَفَعَهُ هَذَا الشَّيْخُ عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ نَافِعٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، عَنْ عُمَرَ ، عَنِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - . وَالْمَحْفُوظُ : عَنْ عُمَرَ مِنْ قَوْلِهِ ، كَذَلِكَ رَوَاهُ إِبْرَاهِيمُ عَنْ عَلْقَمَةَ ، وَالْأَسْوَدِ عَنْ عُمَرَ ، وَكَذَلِكَ رَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ ، عَنْ عُمَرَ بْنِ شَيْبَةَ ، عَنْ نَافِعٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، عَنْ عُمَرَ مِنْ قَوْلِهِ ، وَهُوَ الصَّوَابُ
পরিচ্ছেদঃ ২৯. তাকবীর (তাহরীমা) বলার পর (নামায) শুরু করার দোয়া
১১১৬(৭). আবু বাকর আন-নায়সাপুরী (রহঃ) ... উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নামাযের তাকবীর (তাহরীমা) বলার পর বলতেন, “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়াতাবারাকাসমুকা ওয়াতাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা”। এই হাদীস উমার (রাঃ) সূত্রে তার বক্তব্য হিসেবে সহীহ।
بَابُ دُعَاءِ الِاسْتِفْتَاحِ بَعْدَ التَّكْبِيرِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، نَا أَحْمَدُ بْنُ مَنْصُورٍ ، نَا ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ ، نَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ ، حَدَّثَنِي عُمَرُ بْنُ شَيْبَةَ ، عَنْ نَافِعٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، عَنْ عُمَرَ ؛ أَنَّهُ كَانَ إِذَا كَبَّرَ لِلصَّلَاةِ ، قَالَ : " سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ ، وَتَعَالَى جَدُّكَ ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ " . وَهَذَا صَحِيحٌ عَنْ عُمَرَ ، قَوْلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৯. তাকবীর (তাহরীমা) বলার পর (নামায) শুরু করার দোয়া
১১১৭(৮). মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে গাইলান (রহঃ) ... উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি নামায পড়া শুরু করে বলতেন, “সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা”।
بَابُ دُعَاءِ الِاسْتِفْتَاحِ بَعْدَ التَّكْبِيرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ غَيْلَانَ ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الْجُنَيْدِ ، ثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ ، ثَنَا الْأَعْمَشُ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ ، عَنِ الْأَسْوَدِ ، عَنْ عُمَرَ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - أَنَّهُ كَانَ إِذَا افْتَتَحَ الصَّلَاةَ ، قَالَ : " سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ ، وَتَعَالَى جَدُّكَ ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ
পরিচ্ছেদঃ ২৯. তাকবীর (তাহরীমা) বলার পর (নামায) শুরু করার দোয়া
১১১৮(৯). আহমাদ ইবনে আবদুল্লাহ আল-ওয়াকীল (রহঃ) ... আলকামা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) এর নিকট গেলেন। তিনি বলেন, আমি তাকে দেখলাম যে, তিনি নামায পড়া শুরু করে বললেন, "সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়া তাবারাকাসমুকা, ওয়া তাআলা জাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা"।
بَابُ دُعَاءِ الِاسْتِفْتَاحِ بَعْدَ التَّكْبِيرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْوَكِيلُ ، ثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَرَفَةَ ، ثَنَا هُشَيْمٌ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَوْنٍ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ عَلْقَمَةَ ؛ أَنَّهُ انْطَلَقَ إِلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ ، قَالَ : فَرَأَيْتُهُ قَالَ حِينَ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ : " سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ ، وَتَعَالَى جَدُّكَ ، وَلَا إِلَهَ غَيْرُكَ
পরিচ্ছেদঃ ২৯. তাকবীর (তাহরীমা) বলার পর (নামায) শুরু করার দোয়া
১১১৯(১০). আহমাদ (রহঃ) ... আল-আসওয়াদ ইবনে ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ)-কে দেখেছি যে, তিনি নামায পড়া শুরু করতে প্রথমে তাকবীর ধ্বনি উচ্চারণ করলেন, অতঃপর বললেন, সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ।
بَابُ دُعَاءِ الِاسْتِفْتَاحِ بَعْدَ التَّكْبِيرِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ ، ثَنَا الْحَسَنُ ، ثَنَا هُشَيْمٌ ، عَنْ حُصَيْنٍ ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ ، قَالَ رَأَيْتُ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ - رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ - حِينَ افْتَتَحَ الصَّلَاةَ كَبَّرَ ثُمَّ قَالَ : " سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ .... " . مِثْلَهُ
পরিচ্ছেদঃ ২৯. তাকবীর (তাহরীমা) বলার পর (নামায) শুরু করার দোয়া
১১২০(১১). মুহাম্মাদ ইবনে নূহ (রহঃ) ... হুসাইন (রহঃ) থেকে এই সূত্রে বর্ণিত। তাতে আরো আছে, অতঃপর তিনি আশ্রয় প্রার্থনা করেন।
بَابُ دُعَاءِ الِاسْتِفْتَاحِ بَعْدَ التَّكْبِيرِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ نُوحٍ ، ثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ ، ثَنَا ابْنُ فُضَيْلٍ ، عَنْ حُصَيْنٍ : بِهَذَا ، وَزَادَ " ثُمَّ يَتَعَوَّذُ