২২৪৮

পরিচ্ছেদঃ ১৭১. লি‘আন।

২২৪৮. মুহাম্মদ ইবন বাশশার ..... ইবন আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা হিলাল বিন উমাইয়া, তার স্ত্রীর সাথে শুরায়ক ইবন সাহমর অবৈধ প্রণয় সম্পর্কে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট অভিযোগ করে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন, তুমি এ সম্পর্কে প্রমাণ পেশ করো, নতুবা তোমার উপর হদ্ কায়েম করা হবে। সে বলে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! যখন আমাদের কেউ স্বচক্ষে তার স্ত্রীকে এরূপ কাজে লিপ্ত দেখে, সেখানেও কী সাক্ষীর প্রয়োজন? নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি সাক্ষী পেশ করো, নতুবা মিথ্যা দোপষারোপের অভিযোগে তোমার উপর হদ্ (শাস্তি) কায়েম করা হবে।

হিলাল (রাঃ) বলেন, যিনি আপনাকে সত্যসহ প্রেরণ করেছেন, তাঁর শপথ করে বলছি, নিশ্চই আমি সত্যবাদী। আর নিশ্চই আল্লাহ্ তা’আলা আমার ব্যাপারে এমন আয়াত নাযিল করবেন, যা আমার পৃষ্ঠকে শাস্তি হতে রক্ষা করবে। তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃ (অর্থ) ’’যারা তাদের স্ত্রীদের উপরে যিনার দোষারোপ করে, এ ব্যাপারে তারা নিজেরা ব্যতীত আর কোন সাক্ষী না থাকে ... হতেمِنَ الصَّادِقِينَ (বা তারাই সত্যবাদী) পর্যন্ত তিলাওয়াত করেন।

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যাবর্তন করেন এবং জনৈক ব্যক্তিকে তাদের ডাকার জন্য নির্দেশ দেন। তারা উভয়ে সেখানে উপস্থিত হলে, হিলাল ইবন উমায়্যা দণ্ডায়মান হন এবং সাক্ষ্য প্রদান করেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ্ই অবগত, নিশ্চয় তোমাদের দু’জনের মধ্যে একজন মিথ্যাবাদী। কাজেই তোমাদের মধ্যে কেউ তাওবাকারী আছ কি? সে যখন পঞ্চমবার সাক্ষ্য প্রদান করে, তখন বলে, তার (নিজের) উপর আল্লাহর গযব (অভিসম্পাত), যদি সে ( তার স্বামী) সত্যবাদীদের অর্ন্তভুক্ত হয়।

আর তখন তারা তাকে (মহিলাকে) পঞ্চমবার সাক্ষ্য প্রদানের পরিণতি হিসাবে সতর্ক করে বলেন, অবশ্যই এটা আল্লাহর গযবকে নির্দিষ্ট করবে। ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, এটা শুনে সে থমকে দাঁড়ায় এবং মুখ ফিরিয়ে নেয়, যাতে আমরা ধারণা করি যে, নিশ্চই সে এহেন অভিশাপের সাক্ষ্য প্রদান হতে বিরত থাকবে। কিন্তু পরক্ষণেই সে বলে, না আমি আমার বংশের কলঙ্ক হব না। সে মহিলা শপথ করে সাক্ষ্য প্রদান করে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা এর দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখবে। যদি সে সুরমারঞ্জিত ভ্রু এবং স্থুলগোছা বিশিষ্ট সন্তান প্রসব করে, তবে তা হবে শুরায়ক ইবন সাহমের ঔরসজাত সন্তান। সে মহিলা তদ্রুপ সন্তান প্রসব করলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যদি এ ব্যাপারে নির্দিষ্টভাবে কুরআনের নির্দেশ না আসত, তবে আমার ও তার (মহিলার) মধ্যকার ফায়সালার ব্যাপারটি সংকটজনক হতো।

باب فِي اللِّعَانِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ، حَدَّثَنِي عِكْرِمَةُ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ هِلاَلَ بْنَ أُمَيَّةَ، قَذَفَ امْرَأَتَهُ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِشَرِيكِ بْنِ سَحْمَاءَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ الْبَيِّنَةَ أَوْ حَدٌّ فِي ظَهْرِكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا رَأَى أَحَدُنَا رَجُلاً عَلَى امْرَأَتِهِ يَلْتَمِسُ الْبَيِّنَةَ فَجَعَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ الْبَيِّنَةَ وَإِلاَّ فَحَدٌّ فِي ظَهْرِكَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ هِلاَلٌ وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ نَبِيًّا إِنِّي لَصَادِقٌ وَلَيُنْزِلَنَّ اللَّهُ فِي أَمْرِي مَا يُبَرِّئُ ظَهْرِي مِنَ الْحَدِّ فَنَزَلَتْ ‏(‏ وَالَّذِينَ يَرْمُونَ أَزْوَاجَهُمْ وَلَمْ يَكُنْ لَهُمْ شُهَدَاءُ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ ‏)‏ فَقَرَأَ حَتَّى بَلَغَ ‏(‏ مِنَ الصَّادِقِينَ ‏)‏ فَانْصَرَفَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَ إِلَيْهِمَا فَجَاءَا فَقَامَ هِلاَلُ بْنُ أُمَيَّةَ فَشَهِدَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏"‏ اللَّهُ يَعْلَمُ أَنَّ أَحَدَكُمَا كَاذِبٌ فَهَلْ مِنْكُمَا مِنْ تَائِبٍ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَامَتْ فَشَهِدَتْ فَلَمَّا كَانَ عِنْدَ الْخَامِسَةِ أَنَّ غَضَبَ اللَّهِ عَلَيْهَا إِنْ كَانَ مِنَ الصَّادِقِينَ وَقَالُوا لَهَا إِنَّهَا مُوجِبَةٌ ‏.‏ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ فَتَلَكَّأَتْ وَنَكَصَتْ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهَا سَتَرْجِعُ فَقَالَتْ لاَ أَفْضَحُ قَوْمِي سَائِرَ الْيَوْمِ ‏.‏ فَمَضَتْ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَبْصِرُوهَا فَإِنْ جَاءَتْ بِهِ أَكْحَلَ الْعَيْنَيْنِ سَابِغَ الأَلْيَتَيْنِ خَدَلَّجَ السَّاقَيْنِ فَهُوَ لِشَرِيكِ بْنِ سَحْمَاءَ ‏"‏ ‏.‏ فَجَاءَتْ بِهِ كَذَلِكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَوْلاَ مَا مَضَى مِنْ كِتَابِ اللَّهِ لَكَانَ لِي وَلَهَا شَأْنٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَهَذَا مِمَّا تَفَرَّدَ بِهِ أَهْلُ الْمَدِينَةِ حَدِيثُ ابْنِ بَشَّارٍ حَدِيثُ هِلاَلٍ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا ابن ابي عدي، اخبرنا هشام بن حسان، حدثني عكرمة، عن ابن عباس، ان هلال بن امية، قذف امراته عند رسول الله صلى الله عليه وسلم بشريك بن سحماء فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ البينة او حد في ظهرك ‏"‏ ‏.‏ قال يا رسول الله اذا راى احدنا رجلا على امراته يلتمس البينة فجعل النبي صلى الله عليه وسلم يقول ‏"‏ البينة والا فحد في ظهرك ‏"‏ ‏.‏ فقال هلال والذي بعثك بالحق نبيا اني لصادق ولينزلن الله في امري ما يبرى ظهري من الحد فنزلت ‏(‏ والذين يرمون ازواجهم ولم يكن لهم شهداء الا انفسهم ‏)‏ فقرا حتى بلغ ‏(‏ من الصادقين ‏)‏ فانصرف النبي صلى الله عليه وسلم فارسل اليهما فجاءا فقام هلال بن امية فشهد والنبي صلى الله عليه وسلم يقول ‏"‏ الله يعلم ان احدكما كاذب فهل منكما من تاىب ‏"‏ ‏.‏ ثم قامت فشهدت فلما كان عند الخامسة ان غضب الله عليها ان كان من الصادقين وقالوا لها انها موجبة ‏.‏ قال ابن عباس فتلكات ونكصت حتى ظننا انها سترجع فقالت لا افضح قومي ساىر اليوم ‏.‏ فمضت فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ ابصروها فان جاءت به اكحل العينين سابغ الاليتين خدلج الساقين فهو لشريك بن سحماء ‏"‏ ‏.‏ فجاءت به كذلك فقال النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لولا ما مضى من كتاب الله لكان لي ولها شان ‏"‏ ‏.‏ قال ابو داود وهذا مما تفرد به اهل المدينة حديث ابن بشار حديث هلال ‏.‏


Ibn ‘Abbas said “Hilal bin Umayyah accused his wife in the presence of Prophet (ﷺ) of having committed adultery with Sharik bin Sahma’”. The Prophet (ﷺ) said “Produce evidence or you must receive punishment on your back.” He said “Apostle of Allaah(ﷺ) when one of us sees a man having intercourse with his wife should he go and seek evidence?” But the Prophet (ﷺ) merely said “You must produce evidence or you must receive punishment on your back.” Hilal then said “By Him Who sent you with the Truth, I am speaking Truly. May Allaah send down something which will free my back from punishment. Then the following Qur’anic verses were revealed “And those who make charges against their spouses but have no witnesses except themselves” reciting till he reached “one of those who speak the truth”. The Prophet (ﷺ) then returned and sent for them and they came (to him). Hilal bin Umayyah stood up and testified and the Prophet (ﷺ) was saying “Allaah knows that one of you is lying. Will one of you repent?” Then the woman got up and testified, but when she was about to do it a fifth time saying that Allaah’s anger be upon her if he was one of those who spoke the truth, they said to her “this is the deciding one”. Ibn ‘Abbas said “She then hesitated and drew back so that we thought the she would withdraw(what she said) “Look and see whether she gives birth to a child with eyes looking as if they have antimony in them, wide buttocks and fat legs, if she did. Sharik bin Sahma’ will be its father. She then gave birth to a child of a similar description. The Prophet (ﷺ) thereupon said “If it were not for what has already been stated in Allaah’s book I would have dealt severely with her.”

Abu Dawud said “This tradition has been transmitted by the people of Medina alone. They narrated the tradition of Hilal on the authority of Ibn Bashshar.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৭/ তালাক (كتاب الطلاق)