৭৫৯

পরিচ্ছেদঃ ৩২১- গীবতের উদ্দেশ্যে নয়, বরং পরিচয় দানের উদ্দেশ্যে কোন ব্যক্তির এরূপ বলাঃ অমুক কৃষ্ণকায়, খর্বাকৃতি বা দীর্ঘদেহী।

৭৫৯। আবু রুহম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ছিলেন বৃক্ষতলে (হুদাইবিয়ায়) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বাইআতকারী সাহাবীদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন, আমি তাবুকের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে অংশগ্রহণ করি। এক রাতে আমি নৈশ প্রহরায় দাঁড়ালাম। আমি তাঁর নিকটেই পাহারা দিচ্ছিলাম। আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়লাম এবং জেগে থাকতে চেষ্টা করলাম। আমার জন্তুযান তাঁর জন্তুযানের কাছাকাছি এসে পড়লে আমার আশংকা হলো, কখন জানি আমার জন্তুযান আরও কাছাকাছি চলে এলে পাদানিতে রাখা তাঁর পায়ে আমার জন্তুযানের ধাক্কায় ব্যাথা পান। তাই আমি আমার জন্তুযানকে হটাতে থাকলাম। শেষে রাতের কোন এক অংশে আমার চোখে তন্দ্রা এলো এবং আমার জন্তুযান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্তুযানকে ধাক্কা দিলো। তখনো তাঁর পা পদানিতে ছিল এবং তা আমার পায়ের সাথে লেগে গেলো। কিন্তু তবুও আমার ঘুম ভাংলো না।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ’সজাগ হও’ কথায় আমার ঘুম ছুটলো। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ আমার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ সামনে চলো। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে গিফার গোত্রের কে কে যুদ্ধে যোগদান থেকে পেছনে রয়ে গেছে সেই সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে লাগলেন। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করেনঃ ঐ যে গৌর বর্ণ দীর্ঘদেহী যাদের চোয়ালে সামান্য দাড়ি আছে তারা কি করেছে? আমি তাদের পেছনে থেকে যাওয়ার কথা তাঁকে জানালাম। তিনি জিজ্ঞেস করলেনঃ ঐ যে কৃষ্ণবর্ণ খর্বাকৃতির লোকগুলো কি করেছে, শাবকা শাদাখ নামক পানির উৎসে যাদের পশুপাল আছে?

আমি গিফার গোত্রের মধ্যে আমার স্মৃতিচারণ করলাম, কিন্তু সেই গোত্রে তেমন কাউকে স্মরণ করতে পারলাম না। আমার স্মরণ হলো যে, তারা তো আসলাম গোত্রের লোক। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ। তারা তো আসলাম গোত্রের লোক। তিনি বলেনঃ তাদের কোন সুচতুর কর্মঠ লোককে তার জন্তুযানে আরোহণ করিয়ে আল্লাহর রাস্তায় পাঠাতে তাদের কিসে বাধা দিলো? আমার একথা চিন্তা করতে কষ্ট হয় যে, কুরাইশ বংশীয় মুহাজিরগণ, আনসারগণ, গিফার গোত্রের লোক এবং আসলাম গোত্রের কেউ যুদ্ধে অংশগ্রহণ থেকে পিছনে থেকে যাবে। (আহমাদ হাঃ ১৯২৮২)

بَابُ قَوْلِ الرَّجُلِ‏:‏ فُلانٌ جَعْدٌ، أَسْوَدُ، أَوْ طَوِيلٌ، قَصِيرٌ

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللهِ، قَالَ‏:‏ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ قَالَ‏:‏ أَخْبَرَنِي ابْنُ أَخِي أَبِي رُهْمٍ كُلْثُومُ بْنُ الْحُصَيْنِ الْغِفَارِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا رُهْمٍ، وَكَانَ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم الَّذِينَ بَايَعُوهُ تَحْتَ الشَّجَرَةِ، يَقُولُ‏:‏ غَزَوْتُ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم غَزْوَةَ تَبُوكَ، فنُمْتُ لَيْلَةً بِالأَخْضَرِ، فَصِرْتُ قَرِيبًا مِنْهُ، فَأُلْقِيَ عَلَيْنَا النُّعَاسُ، فَطَفِقْتُ أَسْتَيْقِظُ وَقَدْ دَنَتْ رَاحِلَتِي مِنْ رَاحِلَتِهِ، فَيُفْزِعُنِي دُنُوُّهَا خَشْيَةَ أَنْ تُصِيبَ رِجْلَهُ فِي الْغَرْزِ، فَطَفِقْتُ أُؤَخِّرُ رَاحِلَتِي حَتَّى غَلَبَتْنِي عَيْنِي بَعْضَ اللَّيْلِ، فَزَاحَمَتْ رَاحِلَتِي رَاحِلَةَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَرِجْلُهُ فِي الْغَرْزِ، فَأَصَبْتُ رِجْلَهُ، فَلَمْ أَسْتَيْقِظْ إِلاَّ بِقَوْلِهِ‏:‏ حَسِّ، فَقُلْتُ‏:‏ يَا رَسُولَ اللهِ، اسْتَغْفِرْ لِي، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم‏:‏ سِرْ‏.‏ فَطَفِقَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَسْأَلُنِي عَنْ مَنْ تَخَلَّفَ مِنْ بَنِي غِفَارٍ فَأُخْبِرُهُ، فَقَالَ، وَهُوَ يَسْأَلُنِي‏:‏ مَا فَعَلَ النَّفْرُ الْحُمُرُ الطِّوَالُ الثِّطَاطُ‏؟‏ قَالَ‏:‏ فَحَدَّثْتُهُ بِتَخَلُّفِهِمْ، قَالَ‏:‏ فَمَا فَعَلَ السُّودُ الْجِعَادُ الْقِصَارُ الَّذِينَ لَهُمْ نَعَمٌ بِشَبَكَةِ شَرَخٍ‏؟‏ فَتَذَكَّرْتُهُمْ فِي بَنِي غِفَارٍ، فَلَمْ أَذْكُرْهُمْ حَتَّى ذَكَرْتُ أَنَّهُمْ رَهْطٌ مِنْ أَسْلَمَ، فَقُلْتُ‏:‏ يَا رَسُولَ اللهِ، أُولَئِكَ مِنْ أَسْلَمَ، قَالَ‏:‏ فَمَا يَمْنَعُ أَحَدَ أُولَئِكَ، حِينَ يَتَخَلَّفُ، أَنْ يَحْمِلَ عَلَى بَعِيرٍ مِنْ إِبِلِهِ امْرَءًا نَشِيطًا فِي سَبِيلِ اللهِ‏؟‏ فَإِنَّ أَعَزَّ أَهْلِي عَلَيَّ أَنْ يَتَخَلَّفَ عَنِّي الْمُهَاجِرُونَ مِنْ قُرَيْشٍ وَالأَنْصَارُ، وَغِفَارٌ وَأَسْلَمُ‏.‏

حدثنا عبد العزيز بن عبد الله قال حدثنا ابراهيم بن سعد عن صالح بن كيسان عن ابن شهاب قال اخبرني ابن اخي ابي رهم كلثوم بن الحصين الغفاري انه سمع ابا رهم وكان من اصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم الذين بايعوه تحت الشجرة يقول غزوت مع رسول الله صلى الله عليه وسلم غزوة تبوك فنمت ليلة بالاخضر فصرت قريبا منه فالقي علينا النعاس فطفقت استيقظ وقد دنت راحلتي من راحلته فيفزعني دنوها خشية ان تصيب رجله في الغرز فطفقت اوخر راحلتي حتى غلبتني عيني بعض الليل فزاحمت راحلتي راحلة رسول الله صلى الله عليه وسلم ورجله في الغرز فاصبت رجله فلم استيقظ الا بقوله حس فقلت يا رسول الله استغفر لي فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم سر فطفق رسول الله صلى الله عليه وسلم يسالني عن من تخلف من بني غفار فاخبره فقال وهو يسالني ما فعل النفر الحمر الطوال الثطاط قال فحدثته بتخلفهم قال فما فعل السود الجعاد القصار الذين لهم نعم بشبكة شرخ فتذكرتهم في بني غفار فلم اذكرهم حتى ذكرت انهم رهط من اسلم فقلت يا رسول الله اولىك من اسلم قال فما يمنع احد اولىك حين يتخلف ان يحمل على بعير من ابله امرءا نشيطا في سبيل الله فان اعز اهلي علي ان يتخلف عني المهاجرون من قريش والانصار وغفار واسلم


Abu Ruhm, one of the Companions of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, who had offered his allegiance to the Prophet under the Tree [i.e. at Hudaybiyya] was heard to say, "I went on the expedition to Tabuk with the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace. While we were travelling at night at al-Akhdar, I was near to the Prophet. A deep sleepiness overcame us, but I began to wake up when my camel wandered near to the Prophet's camel. I was worried that when it came close, it would his foot in the stirrup. I began to pull my camel back, but at a certain point in the night I feel asleep. Then my camel jostled against the camel of the Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, while his foot was in stirrup, hitting his foot. I did not wake up until he exclaimed, 'Ow!' I said, 'Messenger of Allah, ask for forgiveness for me!' The Messenger of Allah, may Allah bless him and grant him peace, said, 'Never mind.'


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
আল-আদাবুল মুফরাদ
মেহমানদারি