পরিচ্ছেদঃ
৫০। যে ব্যাক্তি তার পিতা-মাতা উভয়ের কবর প্রত্যেক জুম’আর দিবসে যিয়ারত করবে। অতঃপর তাদের উভয়ের নিকট অথবা পিতার কবরের নিকট সূরা ইয়াসিন পাঠ করবে, প্রত্যেক আয়াত অথবা অক্ষরের সংখ্যার বিনিময়ে তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে।
হাদীসটি জাল।
হাদীসটি ইবনু আদী (১/২৮৬), আবূ নু’য়াইম “আখবারু আসবাহান” গ্রন্থে (২/৩৪৪-৩৪৫) ও আব্দুল গনী আল-মাকদেসী “সুনান” গ্রন্থে (২/৯১) ... আমর ইবনু যিয়াদ সূত্রে ...বর্ণনা করেছেন।
কোন মুহাদ্দিস (আমার ধারণা তিনি হচ্ছেন ইবনু মুহিব কিংবা যাহাবী) “সুনানুল মাকদেসী” গ্রন্থের হাশিয়াতে (টীকাতে) লিখেছেন, هذا حديث غير ثابت এ হাদীসটি সাব্যস্ত হয়নি।
ইবনু আদী বলেনঃ হাদীসটি বাতিল। এ সনদে এটির কোন ভিত্তি নেই। আমর ইবনু যিয়াদ (তিনি হচ্ছেন আবুল হাসান আস-সাওবানী)-এর জীবনী বর্ণনা করতে গিয়ে তার অন্যান্য হাদীসের সাথে এ হাদীসটির ব্যাপারে উল্লেখিত মন্তব্যটি করেন। সে সব হাদীসের একটি সম্পর্কে বলেনঃ موضوع জাল (বানোয়াট)।
অতঃপর বলেনঃ আমর ইবনু যিয়াদ-এর এ হাদীসটি ছাড়া আরো হাদীস রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে কিছু আছে নির্ভরযোগ্যদের থেকে চুরি করা এবং কিছু আছে বানোয়াট। তাকে সেগুলো জালকারী হিসাবে দোষী করা হয়েছে। দারাকুতনী বলেনঃ يضع الحديث তিনি হাদীস জাল করতেন।
এ কারণে ইবনুল জাওযী হাদীসটিকে তার “আল-মাওযু আত” গ্রন্থে (৩/ ২৩৯) ইবনু আদীর সূত্রে উল্লেখ করেছেন। তিনি ঠিকই করেছেন। অথচ সুয়ূতী তার সমালোচনা করে “আল-লাআলী” গ্রন্থে (২/৪৪০) বলেছেনঃ হাদীসটির সমর্থনে শাহেদ আছে। অতঃপর তিনি এ হাদীসটিতে পূর্বের হাদীসের সনদটিই উল্লেখ করেছেন। যেটি সম্পর্কে আপনি জেনেছেন যে, সেটিও জাল হাদীস। যদিও বলা হয়েছে সেটি শুধু দুর্বল। তা সত্ত্বেও সেটিকে এ হাদীসের শাহেদ হিসাবে ধরা যেতে পারে না। কারণ এটির সাথে সেটির ভাষার মিল নেই। আর জাল হাদীসের শাহেদ হিসাবে জাল হাদীস উল্লেখ করাতে কোন উপকারীতাও নেই। [শাহেদ অর্থ জানতে দেখুনঃ ৫৬ নং পৃষ্ঠা]
উল্লেখ্য কবরের নিকট কুরআন পাঠ করা মুস্তাহাব এ মর্মে সহীহ সুন্নাহ হতে কোন প্রমাণ মিলে না। বরং সহীহ সুন্নাহ প্রমাণ করে যে, কবর যিয়ারতের সময় মৃত্যু ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে শুধুমাত্র সালাম প্রদান করা এবং আখেরাতকে স্বরণ করাই হচ্ছে শারীয়াত সম্মত। সালাফে সালেহীনের আমল এর উপরেই হয়ে আসছে। অতএব কবরের নিকট কুরআন পাঠ করা ঘৃণিত বিদ’আত। যেমনটি স্পষ্ট ভাবে পূর্ববর্তী একদল ওলামা বলেছেন। যাদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম আবু হানীফা, ইমাম মালিক, ইমাম আহমাদ ও অন্যান্য ইমামগণ, কারণ এ মর্মে কোন হাদীস বর্ণিত হয়নি।
ইবনু উমার (রাঃ) হতে দাফনের সময় সূরা বাকারার প্রথম এবং শেষ অংশ পাঠের যে কথা বলা হয়েছে তা সহীহ সনদে প্রমাণিত হয়নি। যদি ধরেইনি সহীহ তাহলে তা শুধুমাত্র দাফনের সময়ের সাথে সংশ্লিষ্ট [কিন্তু ধরে নিয়ে কি সহিহ বানানো সঠিক]।
অতএব আমাদেরকে সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরতে হবে আর বিদ’আত হতে সতর্ক হয়ে তা হতে বেঁচে চলতে হবে। যদিও লোকেরা বিদ’আতকে ভাল কাজ হিসাবে দেখে। কারণ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সকল বিদ’আতই পথভ্রষ্টতা।
من زار قبر والديه كل جمعة، فقرأ عندهما أو عنده (يس) غفر له بعدد كل آية أو حرف
موضوع
-
رواه ابن عدي (286 / 1) وأبو نعيم في " أخبار أصبهان " (2 / 344 - 345) وعبد الغني المقدسي في " السنن " (91 / 2) من طريق أبي مسعود يزيد بن خالد، حدثنا عمرو بن زياد، حدثنا يحيى بن سليم الطائفي عن هشام بن عروة عن أبيه عن عائشة عن أبي بكر الصديق مرفوعا وكتب بعض المحدثين - وأظنه ابن المحب أو الذهبي - على هامش نسخة " سنن المقدسي ": هذا حديث غير ثابت، وقال ابن عدي
باطل ليس له أصل بهذا الإسناد، ذكره في ترجمة عمرو بن زياد هذا، وهو أبو الحسن الثوباني مع أحاديث أخرى له، قال في أحدها: موضوع، ثم قال
ولعمرو بن زياد غير هذا من الحديث، منها سرقة يسرقها من الثقات، ومنها موضوعات، وكان هو يتهم بوضعها
وقال الدارقطني: يضع الحديث ولهذا أورد الحديث ابن الجوزي في " الموضوعات " (3 / 239) من رواية ابن عدي فأصاب، وتعقبه السيوطي في " اللآليء " (2 /440) بقوله: قلت: له شاهد، ثم ساق سند الحديث الذي قبله! وقد علمت أنه حديث موضوع أيضا! ولوقيل بأنه ضعيف فقط فلا يصلح شاهدا لهذا، لوجهين
الأول: أنه مغاير له في المعنى ولا يلتقي معه إلا في مطلق الزيارة
الآخر: ما ذكره المناوي في شرحه على " الجامع الصغير " فإنه قال بعد أن نقل كلام ابن عدي المتقدم: ومن ثم اتجه حكم ابن الجوزي عليه بالوضع، وتعقبه المصنف بأن له شاهدا (وأشار إلى الحديث المتقدم) وذلك غير صواب لتصريحهم حتى هو بأن الشواهد لا أثر لها في الموضوع بل في الضعيف ونحوه
والحديث يدل على استحباب قراءة القرآن عند القبور، وليس في السنة الصحيحة ما يشهد لذلك، بل هي تدل على أن المشروع عند زيارة القبور إنما هو السلام عليهم وتذكر الآخرة فقط، وعلى ذلك جرى عمل السلف الصالح رضي الله عنهم، فقراءة القرآن عندها بدعة مكروهة كما صرح به جماعة من العلماء المتقدمين، منهم
أبو حنيفة، ومالك، وأحمد في رواية كما في " شرح الإحياء " للزبيدي (2 /285) قال: لأنه لم ترد به سنة، وقال محمد بن الحسن وأحمد في رواية: لا تكره، لما روى عن ابن عمر أنه أو صى أن يقرأ على قبره وقت الدفن بفواتح سورة البقرة وخواتمها
قلت: هذا الأثر عن ابن عمر لا يصح سنده إليه، ولوصح فلا يدل إلا على القراءة عند الدفن لا مطلقا كما هو ظاهر
فعليك أيها المسلم بالسنة، وإياك والبدعة، وإن رآها الناس حسنة، فإن " كل بدعة ضلالة " كما قال صلى الله عليه وسلم