পরিচ্ছেদঃ
৬৬। যে ব্যাক্তি নিজেকে চিনেছে, সে তার প্রভুকে চিনতে সক্ষম হয়েছে।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
হাফিয সাখাবী “মাকাসিদুল হাসানা” গ্রন্থে (পৃঃ ১৯৮) বলেনঃ আবু মুযাফফার ইবনুস সামায়ানী বলেনঃ মারফু হিসাবে এটিকে জানা যায় না। ইয়াহইয়া ইবনু মুয়ায আর-রাযীর ভাষ্য হিসাবে বলা হয়ে থাকে। ইমাম নাবাবী বলেছেনঃ এটি সাব্যস্ত হয়নি। সুয়ূতী হাদীসটি “যায়লুল মাওযুআহ” গ্রন্থে (পৃ ২০৩) বর্ণনা করেছেন এবং ইমাম নাবাবীর কথাটি উল্লেখ করে তাকে সমর্থন করেছেন। তিনি তার “আল-কাওলিল আশবাহ” গ্রন্থে (২/৩৫১) বলেছেনঃ হাদীসটি সহীহ নয়। শাইখ আল-কারী তার “মাওযু’আত” গ্রন্থে (পৃ ৮৩) ইবনু তাইমিয়া হতে নকল করে বলেছেনঃ হাদীসটি বানোয়াট। ফিরোযাবাদী বলেনঃ যদিও অধিকাংশ লোক এটিকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস বলে চালাচ্ছেন, তবুও এটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীসের অন্তর্ভুক্ত নয়। এর ভিত্তিই সহীহ নয়। এটি ইসরাইলীদের বর্ণনায় বর্ণিত একটি কথা ।
মুহাদ্দিসগণ এ হাদীসের উপর উল্লেখিত হুকুম লাগালেও পরবর্তী হানাফী ফকীহগণের মধ্য হতে জনৈক ফাকীহ্ এটির ব্যাখ্যায় পুস্তক রচনা করেছেন, অথচ হাদীসটির কোন অস্তিত্বই নেই।
দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে এ ঘটনা প্রমাণ করছে যে, ঐসব ফাকীহগণ-মুহাদ্দিসগণ সুন্নাতের খিদমাতে যে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন তা হতে উপকৃত হওয়ার চেষ্টা করেননি। এ জন্য তাদের গ্রন্থসমূহে দুর্বল এবং জাল হাদীসের সমারোহের আধিক্যতা দেখা যায়।
من عرف نفسه فقد عرف ربه
لا أصل له
-
قال في " المقاصد " للحافظ السخاوي (ص 198) : قال أبو المظفر بن السمعاني
لا يعرف مرفوعا وإنما يحكي عن يحيى بن معاذ الرازي من قوله وكذا قال النووي
إنه ليس بثابت
ونقل السيوطي في " ذيل الموضوعات " (ص 203) كلام النووي هذا وأقره، وقال في " القول الأشبه (2 / 351) من " الحاوي للفتاوى ": هذا الحديث ليس بصحيح
ونقل الشيخ القاري في " موضوعاته " (ص 83) عن ابن تيمية أنه قال: موضوع
وقال العلامة الفيروز أبادي - صاحب القاموس - في " الرد على المعترضين على الشيخ ابن عربي " (ق 37 / 2) : ليس من الأحاديث النبوية، على أن أكثر الناس يجعلونه حديثا عن النبي صلى الله عليه وسلم، ولا يصح أصلا، وإنما يروي في الإسرائيليات: يا إنسان اعرف نفسك تعرف ربك
قلت: هذا حكم أهل الاختصاص على هذا الحديث، ومع ذلك فقد ألف بعض الفقهاء المتأخرين من الحنفية رسالة في شرح هذا الحديث! وهي محفوظة في مكتبة الأوقاف الإسلامية في حلب، وكذلك شرح أحدهم حديث: " كنت كنزا مخفيا ... " في رسالة
خاصة أيضا موجودة في المكتبة المذكورة برقم (135) مع أنه حديث لا أصل له أيضا
كما سيأتي (6023) ، وذلك مما يدل على أن هؤلاء الفقهاء لم يحاولوا - مع
الأسف الشديد - الاستفادة من جهو د المحدثين في خدمة السنة وتنقيتها مما أدخل
فيها، ولذلك كثرت الأحاديث الضعيفة والموضوعة في كتبهم، والله المستعان