পরিচ্ছেদঃ
৬৯। গর্দান মাসাহ করা নিরাপত্তা বিধান করে বন্দি হওয়া থেকে।
হাদীসটি জাল।
ইমাম নাবাবী “আল-মাজমূ শারহুল মুহাযযাব” গ্রন্থে বলেনঃ هذا موضوع ليس من كلام النبي صلى الله عليه وسلم "এটি জাল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা নয়।"
সুয়ূতী “যায়লুল আহাদীসিল মাওযুআহ” গ্রন্থে (পৃঃ ২০৩) ইমাম নাবাবীর উক্ত কথা বর্ণনা করে তা সমর্থন করেছেন।
হাফিয ইবনু হাজার “তালখীসুল হাবীর” গ্রন্থে (১/৪৩৩) বলেনঃ এটি আবু মুহাম্মাদ আল-যুওয়াইনী বর্ণনা করে বলেছেনঃ হাদীস শাস্ত্রের ইমামগণ এটির সনদে সম্ভষ্ট হতে পারেননি। গাযালীও “আল-ওয়াসীত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। ইবনুস সালাহ্ তার সমালোচনা করে বলেছেনঃ এ হাদীসটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে জানা যায়নি। এটি সালাফদের কোন ব্যক্তির কথা।
হাফিয আরো বলেনঃ হতে পারে এর দ্বারা বুঝানো হয়েছে সেই হাদীসটিকে যেটি “কিতাবুত তাহুর"-এর মধ্যে আবূ ওবায়েদ মাসউদী সূত্রে বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু এটি মওকুফ। তথাপিও গৃহীত হত যদি সূত্রে মাসউদী না থাকত। কারণ তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। তার হাদীস যদি মারফুও হয় তাহলে গৃহীত হয় না। অতএব মওকুফ হলে কীভাবে গৃহীত হবে?
হাফিয ইবনু হাজার (১/৪৩৪-৪৩৫) বলেনঃ আবু নু’য়াইম “তারিখু আসবাহান” গ্রন্থে ও রূইয়ানী “আল-বাহার” গ্রন্থে পৃথক পৃথক সনদে একই ভাবার্থে আলাদা আলাদা ভাষায় ইবনু উমার (রাঃ)-এর উদ্ধৃতিতে মারফু হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ কিন্তু “আল-বাহারে” বর্ণিত হাদীসটির সনদে ইবনু ফারেস এবং ফুলাইহ ইবনু সুলায়মান রয়েছেন। তারা উভয়েই সমস্যার স্থল। তাতে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। “তারীখু আসবাহান" গ্রন্থে (২/১১৫) উল্লেখিত ইবনু উমার (রাঃ) এর হাদীসটিকে শাইখ আলী আল-কারী “মাওযুআত” গ্রন্থে (পৃঃ ৭৩) দুর্বল সনদে উল্লেখ করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এর কারণ তার সনদে মুহাম্মাদ ইবনু আমর আল-আনসারী রয়েছেন। তিনি হচ্ছেন আবু সাহাল আল-বাসরী। সকলে তার দুর্বল হওয়ার ব্যাপারে একমত। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ তাকে নিতান্তই দুর্বল বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন যে, তিনি হাসান হতে ধ্বংসাত্মক বহু কিছু বর্ণনা করেছেন।
আবু নু’য়াইম-এর শাইখ মুহাম্মাদ ইবনু আহমাদও দুর্বল। যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেনঃ দারাকুতনী তার থেকে বর্ণনা করে তাকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ ধরনের হাদীসকে মুনকার হিসাবে গণ্য করা যেতে পারে। কারণ হাদীসটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত ওযুর পদ্ধতি বর্ণনাকারী সকল সহীহ হাদীস বিরোধী। কেননা সেগুলোর কোনটিতেই গর্দান মাসাহ করার কথা উল্লেখ করা হয়নি। হ্যাঁ একটিতে বলা হয়েছে; যেটি বর্ণিত হয়েছে তালহা ইবনু মুসাররাফ হতে, তিনি তার পিতা হতে, তার দাদা হতে বর্ণনা করেছেন। তাতে গর্দান পর্যন্ত মাসাহ করার কথা বলা হয়েছে। হাদীসটি আবু দাউদ ও অন্যরা বর্ণনা করেছেন। বলা হয়েছে ইবনু ওয়াইনা হাদীসটি অস্বীকার করতেন। সেটিই হক, কারণ এটির সনদে তিনটি সমস্যা একত্রিত হয়েছে। একেকটিই তার দুর্বল হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এ জন্য নাবাবী, ইবনু তাইমিয়্যা, আসকালানী ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ এটিকে দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। এটিকে আমি য’ঈফু সুনানে আবী দাউদ গ্রন্থে ১৫ নং হাদীসে বর্ণনা করেছি।
مسح الرقبة أمان من الغل
موضوع
-
قال النووي في المجموع شرح المهذب: (1 / 465) : هذا موضوع ليس من كلام النبي صلى الله عليه وسلم
ونقله السيوطي في ذيل " الأحاديث الموضوعة " (ص 203) عن النووي وأقره
وقال الحافظ ابن حجر في " تلخيص الحبير " (1 / 433) ما مختصره: أورده أبو محمد الجويني، وقال: لم يرتض أئمة الحديث إسناده، وأورده الغزالي في " الوسيط " وتعقبه ابن الصلاح فقال: هذا الحديث غير معروف عن النبي صلى الله عليه وسلم، وهو من قول بعض السلف، قال الحافظ: يحتمل أن يريد به ما رواه أبو عبيد في كتاب " الطهور " عن عبد الرحمن بن مهدي عن المسعودي عن القاسم بن عبد الرحمن عن موسى بن طلحة قال: " من مسح قفاه مع رأسه وقي الغل يوم القيامة
قلت: فيحتمل أن يقال: هذا وإن كان موقوفا فله حكم الرفع، لأن هذا لا يقال من قبل الرأي، فهو على هذا مرسل
قلت: لكن المسعودي كان قد اختلط فلا حجة في حديثه لوكان مرفوعا، فكيف وهو موقوف؟ ثم قال الحافظ (1 / 434 - 453) : قال أبو نعيم في " تاريخ أصبهان
حدثنا محمد بن أحمد، حدثنا عبد الرحمن بن داود، حدثنا عثمان بن (خرزاذ) حدثنا عمر بن محمد بن الحسن، حدثنا محمد بن عمرو الأنصاري عن أنس بن سيرين عن عمر أنه كان إذا توضأ مسح عنقه ويقول: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: " من توضأ ومسح عنقه لم يغل بالأغلال يوم القيامة "، وفي البحر " للروياني: قرأت جزءا رواه أبو الحسين بن فارس بإسناده عن فليح بن سليمان عن نافع عن ابن عمر أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: " من توضأ ومسح بيديه على عنقه وقي الغل يوم القيامة "، وقال: هذا إن شاء الله حديث صحيح، قلت (هو الحافظ) : بين ابن فارس وفليح مفازة فينظر فيها
قلت: وحديث ابن عمر في " تاريخ أصبهان " (2 / 115) ، وعزاه الشيخ علي القاري في " الموضوعات " (ص 73) لـ" مسند الفردوس " بسند ضعيف
قلت: وعلته محمد بن عمرو الأنصارى هذا، وهو أبو سهل البصري، متفق على تضعيفه، وكان يحيى بن سعيد يضعفه جدا ويقول: روى عن الحسن أو ابد
وشيخ أبي نعيم ضعيف أيضا، وهو محمد بن أحمد بن علي بن المحرم، قال الذهبي في " الميزان ": هو من كبار شيوخ أبي نعيم الحافظ، روى عنه الدارقطني وضعفه وقال البرقاني: لا بأس به، وقال ابن أبي الفوارس: لم يكن عندهم بذاك وهو ضعيف
ثم رأيت ابن عراق قال في " تنزيه الشريعة " (2 / 75) بعد أن ذكر الحديث من رواية أبي نعيم في التاريخ : وفيه أبو بكر المفيد شيخ أبي نعيم، قال الحافظ العراقي: وهو آفته
وسيأتي الكلام على الحديث مع زيادة تحقيق برقم (744) أو نحوه إن شاء الله تعالى
قلت: فمثل هذا الحديث يعد منكرا، ولا سيما أنه مخالف لجميع الأحاديث الواردة في صفة وضوئه صلى الله عليه وسلم، إذ ليس في شيء منها ذكر لمسح الرقبة، اللهم إلا في حديث طلحة بن مصرف عن أبيه عن جده قال: رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يمسح رأسه مرة واحدة حتى بلغ القذال وهو أول القفا
وفي رواية: ومسح رأسه من مقدمه إلى مؤخره حتى أخرج يديه من تحت أذنيه
أخرجه أبو داود وغيره، وذكر عن ابن عيينة أنه كان ينكره، وحق له ذلك فإن له ثلاث علل، كل واحدة منها كافية لتضعيفه، فكيف بها وقد اجتمعت، وهي الضعف، والجهالة، والاختلاف في صحبة والد مصرف، ولهذا ضعفه النووي وابن تيمية والعسقلاني وغيرهم، وقد بينت ذلك في " ضعيف سنن أبي داود " (رقم 15)