৮৩

পরিচ্ছেদঃ

৮৩। তাসবীহ পাঠ এর যন্ত্র দ্বারা তাসবীহ পাঠক কতই না ভালো ব্যাক্তি। নিশ্চয় সর্বোত্তম বস্তু সেটিই যমীনে যার উপর সিজদা করা হয় এবং যমীন যা উৎপাদন করে।

হাদীসটি জাল।

হাদীসটি দাইলামী “মুসনাদুল ফিরদাউস” গ্রন্থে (৪/৯৮) বর্ণনা করেছেন। এছাড়া সুয়ূতী তার “আল-মিনহা ফিস সিবহা” গ্রন্থে (২/১৪১) এবং তার থেকে শাওকানী “নাইলুল আওতার” গ্রন্থে (২/১৬৬-১৬৭) উল্লেখ করেছেন। অতঃপর তারা উভয়ে (কোন হুকুম না লাগিয়ে) চুপ থেকেছেন!

আমি (আলবানী) বলছিঃ এটির সনদে রয়েছে একগুচ্ছ অন্ধকার যার একটির চেয়ে অন্যটি বড়। তার অধিকাংশ বর্ণনাকারী মাজহুল, এমনকি তাদের কেউ কেউ মিথ্যার দোষে দোষী।

এটির সনদে উম্মুল হাসান বিনতু জাফার ইবনুল হাসান রয়েছেন। কে তার জীবনী রচনা করেছেন পাচ্ছি না। হাশেমী, তিনি হাদীস জাল করতেন।

ইবনু আসাকির “তারীখু দেমাস্ক” গ্রন্থে বলেনঃ ’তিনি হাদীস জাল করতেন।’ অতঃপর তিনি তার একটি হাদীস উল্লেখ করে বলেনঃ এটি তার জালকৃত হাদীস।

অনুরূপ ভাবে খাতীব বাগদাদীও তাকে মিথ্যার দোষে দোষী করেছেন। তিনি (৭/৪০৩) বলেনঃ এ হাশেমীকে ইবনু বোরাই নামে চেনা যায়। তিনি যাহেবুল হাদীস। তাকে হাদীস জাল করার দোষে দোষী করা হয়েছে।

সনদে আরো রয়েছেন আব্দুস সামাদ ইবনু মূসা, তিনি হাশেমী। যাহাবী “আল-মীযান” গ্রন্থে খাতীব বাগদাদীর উদ্ধৃতিতে বলেছেনঃ তাকে মুহাদ্দিসগণ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন।

অতঃপর যাহাবী বলেনঃ يروي مناكير عن جده محمد بن إبراهيم الإمام তিনি তার দাদা মুহাম্মাদ ইবনু ইবরাহীম আল-ইমাম হতে মুনকার হাদীস বর্ণনা করতেন।

আমার নিকট কতিপয় কারণে এ হাদীসের অর্থও বাতিলঃ

১। তসবীহ দ্বানা দ্বারা তাসবীহ পাঠ করা বিদ’আত। কারণ তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ছিল না। এটি আবিষ্কার হয়েছে পরবর্তীতে। কীভাবে তিনি তার সাথীদেরকে এমন একটি কাজ করার জন্য উৎসাহিত করেন যেটিকে তারা চিনতেন না।

এর দলীলঃ ইবনু মাসউদ (রাঃ) এক মহিলাকে তসবীহ দ্বানা দ্বারা তাসবীহ পাঠ করতে দেখে তা কেটে ও ছুড়ে ফেলেছিলেন। অতঃপর আরেক ব্যক্তিকে পাথর দ্বারা তাসবীহ পাঠ করতে দেখে তিনি তাকে তার পা দ্বারা প্রহার করেন। অতঃপর বলেনঃ তোমরা আমাদের চেয়ে অগ্রণী হয়ে গেছ! অত্যাচার করে বিদ’আত-এর উপর আরোহন করেছ এবং জ্ঞানের দিক দিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথীগণকেও ছাড়িয়ে গেছ!

২। এটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দিক নির্দেশনা বিরোধী। কারণ আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) বলেনঃ

رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يعقد التسبيح بيمينه

’আমি রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ডান হাতের মুষ্টি বেধে তাসবীহ পাঠ করতে দেখেছি।’ হাদীসটি আবূ দাউদ, তিরমিযী, ইবনু হিব্বান, হাকিম ও বাইহাকী সহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন।

৩। এছাড়া রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশেরও বিরোধী। তিনি মহিলাদেরকে অংগুলীগুলো মুষ্টি বেধে তাসবীহ ... পাঠের নির্দেশ দেন... । হাদীসটি হাসান। এটি আবু দাউদ ও অন্যরা বর্ণনা করেছেন। এটিকে হাকিম ও যাহাবী সহীহ আখ্যা দিয়েছেন আর নাবাবী ও আসকালানী হাসান আখ্যা দিয়েছেন।

কেউ যদি বলেন যে, কোন কোন হাদীসে পাথর দ্বারা তাসবীহ পাঠের কথা এসেছে এবং রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা সমর্থন করেছেন। আর তাসবীহ দ্বানা ও পাথরের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই, যেমনভাবে শাওকানী বলেছেন।

আমি (আলবানী) বলছিঃ এটি মেনে নেয়া যেত যদি পাথর দিয়ে তাসবীহ পাঠের হাদীসগুলো সহীহ্ হতো। কিন্তু সেগুলো সহীহ্ নয়। এ মর্মে দুটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে। সুয়ূতী হাদীস দু’টাে বর্ণনা করেছেন। একটি সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাঃ) হতে আর দ্বিতীয়টি সাফিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। প্রথমটি আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনু হিব্বান, দাওরাকী, মুখাল্লিস ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেছেনঃ হাদীসটি হাসান। হাকিম বলেছেনঃ সনদ সহীহ। যাহাবী তাতে তাকে সমর্থন করেছেন। কিন্তু তিনি তাতে ভুল করেছেন। কেননা এর সনদে খুযাইমা নামক এক বর্ণনাকারী আছেন তিনি মাজহুল। যাহাবী নিজেই বলেছেনঃ তার পরিচয় জানা যায় না এবং তার থেকে সাঈদ ইবনু আবী হিলাল এককভাবে বর্ণনা করেছেন। এমনটিই বলেছেনঃ হাফিয ইবনু হাজার “আত-তাকরীব" গ্রন্থে انه لا يعرف তার পরিচয় জানা যায় না। এছাড়া সাঈদ ইবনু আবী হিলাল নির্ভরযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও ইমাম আহমাদ বলেনঃ তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল। ইয়াহইয়াও তার মস্তিষ্ক বিকৃতি ঘটেছিল এরূপ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এছাড়া কোন কোন নির্ভরশীল বর্ণনাকারী সনদে খুযাইমাকে উল্লেখ করেননি। ফলে সনদটি মুনকাতি’ (বিচ্ছিন্নতা) ভুক্ত হয়ে যায়।

দ্বিতীয় হাদীস, যেটি সাফিয়্যা (রাঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। সেটি ইমাম তিরমিযী, আবু বাকর আশ-শাফেজ ও হাকিম বর্ণনা করেছেন। হাদীসটিকে তিনি সহীহুল ইসনাদ বলেছেন আর যাহাবী তাকে সমর্থন করেছেন। এটি আশ্চর্যজনক ঘটনা। কারণ তিনি হাশিম ইবনু সাঈদকে “আল-মীযান” গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেন, ইবনু মাঈন বলেনঃ তিনি কিছুই না। ইবনু আদী বলেনঃ তিনি যে পরিমাণ হাদীস বর্ণনা করেছেন তার অনুসরণ করা যায় না। এ জন্য ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি দুর্বল আর সাফিয়ার মাওলা কিনানা তিনি মাজহুলুল হাল, তাকে ইবনু হিব্বান ছাড়া কেউ নির্ভরশীল বলেননি।

এছাড়া এ দু’টি পাথরের হাদীস দুর্বল হওয়ার আরো কারণ হচ্ছে, উল্লেখিত হাদীস দুটির ঘটনা ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে সহীহ বর্ণনায় যুওয়াইরিয়াহ হতে বর্ণিত হয়েছে। যাতে পাথরের কথা উল্লেখ করা হয়নি। এটি ইমাম মুসলিম (৮/৮৩-৮৪), তিরমিযী (৪/২৭৪) (এবং তিনি সহীহ বলেছেন), নাসাঈ “আমলুল ইয়াওয়ম ওয়াল লাইলা" গ্রন্থে (১৬১-১৬৫), ইবনু মাজাহ (১/২৩) ও আহমাদ (৬/৩২৫,৪২৯-৪৩০) বর্ণনা করেছেন।

এ হাদীসটি দু’টি বিষয়ের প্রমাণ বহন করেঃ

১। পূর্বে যে ঘটনার সাথে সাফিয়ার কথা বলা হয়েছে সেটি আসলে সাফিয়া নয় বরং সেটি হচ্ছে যুওয়াইরিয়ার ঘটনা।

২। ঘটনায় পাথরের উল্লেখ মুনকার। মুনকার হওয়াকে শক্তিশালী করছে কিছু লোককে পাথর গণনা করতে দেখে ইবনু মাসউদ (রাঃ) কর্তৃক তা ইনকার করা।

এছাড়া তার মাদরাসা হতে শিক্ষাগ্রহণকারী ইবরাহীম আন-নাখ’ঈ তার মেয়েকে মহিলাদেরকে তসবীর সূতা (তা দ্বারা তাসবীহ পাঠ করার জন্য) পাকিয়ে দিয়ে সহযোগিতা করতে নিষেধ করেছিলেন। এটি ইবনু আবী শায়বাহ “আলমুসান্নাফ” গ্রন্থে (২/৮৯/২) ভাল সনদে বর্ণনা করেছেন।

نعم المذكر السبحة، وإن أفضل ما يسجد عليه الأرض، وما أنبتته الأرض
موضوع

-

أخرجه الديلمي في " مسند الفردوس " (4 / 98 ـ مختصره) قال: أنا عبدوس بن عبد الله أنا أبو عبد الله الحسين بن فنجويه الثقفي، حدثنا علي بن محمد بن نصرويه، حدثنا محمد بن هارون بن عيسى بن منصور الهاشمي حدثني محمد بن علي بن حمزة العلوي حدثني عبد الصمد بن موسى حدثتني زينب بنت سليمان بن علي حدثتني أم الحسن بنت جعفر بن الحسن عن أبيها عن جدها عن علي مرفوعا، ذكره السيوطي في رسالته: " المنحة في السبحة " (2 / 141 ـ من الحاوي) ونقله عنه الشوكاني في " نيل الأو طار " (2 / 166 - 167) وسكتا عليه
قلت: وهذا إسناد ظلمات بعضها فوق بعض، جل رواته مجهولون، بل بعضهم متهم، أم الحسن بنت جعفر بن الحسن، لم أجد من ترجمها، وزينب بنت سليمان بن علي ترجمها الخطيب " في تاريخه (14 / 334) وقال: كانت من فضائل النساء
وعبد الصمد بن موسى، هو الهاشمي ترجمه الخطيب (14 / 41) ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا، ولكن نقل الذهبي في " الميزان " عن الخطيب أنه قال فيه: قد ضعفوه فلعل ذلك في بعض كتبه الأخرى، ثم استدركت فقلت: بل ذلك في حديث آخر سيأتي برقم (2898)
ثم قال الذهبي: يروي مناكير عن جده محمد بن إبراهيم الإمام
قلت: فلعله هو آفة هذا الحديث، ومحمد بن علي بن حمزة العلوي ترجمه الخطيب أيضا (3 / 63) وقال: قال ابن أبي حاتم: سمعت منه وهو صدوق، مات سنة 286 ومحمد بن هارون هو محمد بن هارون بن العباس بن أبي جعفر المنصور، كذلك أورده الخطيب (3 / 356) وقال: كان من أهل الستر والفضل والخطابة، وولي إمامة
مسجد المدينة ببغداد خمسين سنة، وكانت وفاته سنة 308
وأبو عبد الله بن الحسين بن فنجويه الثقفي ثقة مترجم في " سير أعلام النبلاء " (17 / 383) و" شذرات الذهب " (3 / 200)
ومثله عبدوس بن عبد الله له ترجمة في " سير أعلام النبلاء " (19 / 97) و" لسان الميزان " (4 / 95)
ومما سبق يتبين لك أن الإسناد ضعيف لا تقوم به حجة، ثم إن الحديث من حيث معناه باطل عندي لأمور
الأول: أن السبحة بدعة لم تكن في عهد النبي صلى الله عليه وسلم إنما حدثت بعده صلى الله عليه وسلم، فكيف يعقل أن يحض عليه الصلاة والسلام أصحابه على أمر لا يعرفونه؟ ! والدليل على ما ذكرت ما روى ابن وضاح القرطبي في " البدع والنهي عنها " (ص 12) عن الصلت بن بهرام قال: مر ابن مسعود بامرأة معها تسبيح تسبح به فقطعه وألقاه، ثم مر برجل يسبح بحصا، فضربه برجله، ثم قال: لقد سبقتم! ركبتم بدعة ظلما! ولقد غلبتم أصحاب محمد صلى الله عليه وسلم علما! وسنده
إلى الصلت صحيح، وهو ثقة من أتباع التابعين، فالسند منقطع
ثم روى عن أبان بن أبي عياش قال: سألت الحسن عن النظام (خيط ينظم فيه لؤلؤ وخرز ونحوهما) من الخرز والنوى ونحوذلك يسبح به؟ فقال: لم يفعل ذلك أحد من نساء النبي صلى الله عليه وسلم ولا المهاجرات، ولكن سنده ضعيف جدا
الثاني: أنه مخالف لهديه صلى الله عليه وسلم، قال عبد الله بن عمرو: رأيت رسول الله صلى الله عليه وسلم يعقد التسبيح بيمينه، رواه أبو داود (1 / 235) والترمذي (4 / 255) وحسنه، وابن حبان (2334 - موارد) والحاكم (1 /547) والبيهقي (2 / 352) وإسناده صحيح كما قال الذهبي، ثم خرجته في " صحيح أبي داود " (1346)
ثم هو مخالف لأمره صلى الله عليه وسلم حيث قال لبعض النسوة: " عليكن بالتسبيح والتهليل والتقديس، ولا تغفلن فتنسين التوحيد " وفي رواية: " الرحمة واعقدن بالأنامل فإنهن مسؤولات ومستنطقات "، وهو حديث حسن أخرجه أبو داود وغيره، وصححه الحاكم والذهبي، وحسنه النووي والعسقلاني، وله شاهد عن عائشة موقوف انظر " صحيح أبي داود " (1345) ولذلك ضعف الحديث جماعة كما ذكره الشيخ محمد خليل القاوقجى في " شوارق الأنوار الجليلة " (ق 113 / 1)
ثم تبين لي فيما بعد أن السند أشد ضعفا مما ذكرنا، وأن آفته محمد بن هارون بن عيسى بن منصور الهاشمي، فإنه كان يضع الحديث كما يأتي، وقولي أولا هو محمد ابن هارون بن العباس.. إلخ وهم، سببه أنني ذهلت عن الترجمة التي بعد ابن العباس هذا في " تاريخ الخطيب " فقد قال: محمد بن هارون بن عيسى بن إبراهيم بن عيسى بن أبي جعفر المنصور، يكنى: أبا إسحاق، ويعرف بـ " ابن برية ... وفي حديثه مناكير كثيرة، وقال الدارقطني: لا شيء، وقال ابن عساكر في " تاريخ دمشق يضع الحديث، ثم ساق له حديثا، ثم قال: هذا من موضوعاته، وكذلك اتهمه الخطيب، فقال عقب الحديث المشار إليه (7 / 403) : والهاشمي يعرف بابن برية، ذاهب الحديث، يتهم بالوضع، وإنما جزمت بأن هذا هو راوي الحديث، لأن السند فيه أنه محمد بن هارون بن عيسى، وليس فيه أنه محمد بن هارون بن العباس، فهما شخصان: اتفقا في اسمهما واسم أبيهما، واختلفا في اسم جدهما، فالأول اسم جده عيسى، والآخر اسم جده العباس وهذا مستور، والأول متهم كما عرفت، فانحصرت شبهة وضع الحديث فيه، وبرئت ذمة عبد الصمد ابن موسى منه على ضعفه وروايته المناكير، والفضل في تنبهي لهذه الحقيقة يعود إلى مقال لي قديم في الكلام على هذا الحديث، فالحمد لله على توفيقه
هذا معنى ما كنت أوردته في ردي على " التعقب الحثيث " للشيخ الحبشي (ص 14 - 15) ، فإن قيل: قد جاء في بعض الأحاديث التسبيح بالحصى وأنه صلى الله عليه وسلم أقره، فلا فرق حينئذ بينه وبين التسبيح بالسبحة كما قال الشوكاني؟ قلت: هذا قد يسلم لو أن الأحاديث في ذلك صحيحة، وليس كذلك، فغاية ما روي في ذلك حديثان أوردهما السيوطي في رسالته المشار إليها، فلابد من ذكرهما، وبيان علتهما
الأول: عن سعد بن أبي وقاص أنه دخل مع رسول الله صلى الله عليه وسلم على امرأة وبين يديها نوى أو حصى تسبح به، فقال: أخبرك بما هو أيسر عليك من هذا أو أفضل؟ فقال: " سبحان الله عدد ما خلق في السماء.. "، الحديث رواه أبو داود (1 / 235) والترمذي (4 / 277 - 278) وابن حبان (2330 - زوائده) والدورقي في " مسند سعد " (130 / 1) والمخلص في " الفوائد " (9 / 17 / 2) والحاكم (1 / 547 - 548) من طريق عمرو بن الحارث أن سعيد بن أبي هلال حدثه عن خزيمة عن عائشة بنت سعد بن أبي وقاص عن أبيها، وقال الترمذي: حديث حسن، وقال الحاكم: صحيح الإسناد، ووافقه الذهبي فأخطأ، لأن خزيمة هذا مجهول، قال الذهبي نفسه في " الميزان ": خزيمة، لا يعرف، تفرد عنه سعيد بن أبي هلال وكذا قال الحافظ في " التقريب ": إنه لا يعرف، وسعيد بن أبي هلال مع ثقته حكى الساجي عن أحمد أنه اختلط، وكذلك وصفه بالاختلاط يحيى كما في الفصل
لابن حزم (2 / 95) ، ولعله مما يؤيد ذلك روايته لهذا الحديث، فإن بعض الرواة الثقات عنه لم يذكروا في إسناده خزيمة فصار الإسناد منقطعا ولذلك لم يذكر الحافظ المزي عائشة بنت سعد في شيوخ ابن أبي هلال فلا يخلوهذا الإسناد من علة الجهالة أو الانقطاع فأنى للحديث الصحة أو الحسن؟
وجهل ذلك أو تجاهله بعض من ألف في سنية السبحة! من أهل الأهواء من المعاصرين مقلدا في ذلك شيخه عبد الله الغماري الذي تجاهل هذه الحقائق، فأورد هذا الحديث في " كنزه " (103) ليتوصل منه إلى تجويز السبحة لمريديه! ثم إلى تجويز تعليقها على العنق كما يفعل بعض مشايخ الطرق، انظر الرد عليه في مقدمة المجلد الثالث من هذه السلسلة (ص 37) ترى العجب العجاب
الآخر: عن صفية قالت: دخل علي رسول الله صلى الله عليه وسلم وبين يدي أربعة آلاف نواة أسبح بهن، فقال: " يا بنت حيي، ما هذا؟ "، قلت: أسبح بهن، قال: " قد سبحت منذ قمت على رأسك أكثر من هذا "، قلت: علمني يا رسول الله
قال: " قولي: سبحان الله عدد ما خلق الله من شيء.. "، أخرجه الترمذي (4 /274) وأبو بكر الشافعي في " الفوائد " (73 / 255 / 1) ، والحاكم (1 /547) من طريق هاشم بن سعيد عن كنانة مولى صفية عنها، وضعفه الترمذي بقوله
هذا حديث غريب لا نعرفه إلا من هذا الوجه من حديث هاشم بن سعيد الكوفي، وليس إسناده بمعروف، وفي الباب عن ابن عباس، وأما الحاكم فقال: صحيح الإسناد، ووافقه الذهبي وهذا منه عجب، فإن هاشم بن سعيد هذا أورده هو في " الميزان " وقال: قال ابن معين: ليس بشيء، وقال ابن عدي: مقدار ما يرويه لا يتابع عليه، ولهذا قال الحافظ في " التقريب ": ضعيف، وكنانة هذا مجهول الحال لم يوثقه غير ابن حبان
ثم استدركت فقلت: لكن قد روى عن كنانة جمع منهم زهير وحديج ابنا معاوية، ومحمد بن طلحة بن مصرف، وسعدان بن بشير الجهني، وكل هؤلاء الأربعة ثقات، يضم إليهم يزيد بن مغلس الباهلي، وثقه جماعة وضعفه آخرون فسبيل من روى عنه هؤلاء أن يحشر في زمرة من قيل فيه: صدوق، كما حققته أخيرا في بحث مستفيض فريد في " تمام المنة " (ص 204 - 206) ، فلا تغتر ببعض الجهلة كالسقاف وغيره، وعليه فعلة الحديث هاشم فقط
ومما يدل على ضعف هذين الحديثين أن القصة وردت عن ابن عباس بدون ذكر الحصى ولفظه قال: عن جويرية أن النبي صلى الله عليه وسلم خرج من عندها بكرة حين صلى الصبح وهي في مسجدها، ثم رجع بعد أن أضحى وهي جالسة، فقال: ما زلت على الحال التي فارقتك عليها؟ قالت: نعم، قال النبي صلى الله عليه وسلم: " لقد قلت بعدك أربع كلمات ثلاث مرات لووزنت بما قلت منذ اليوم لوزنتهن: سبحان الله وبحمده عدد خلقه، ورضا نفسه، وزنة عرشه ومداد كلماته "، أخرجه مسلم (8 / 83 - 84) والترمذي (4 / 274) وصححه والنسائي في " عمل اليوم والليلة " (161 - 165) وابن ماجه (1 / 23) وأحمد (6 / 325 و429 - 430) ، فدل هذا الحديث الصحيح على أمرين
الأول: أن صاحبة القصة هي جويرية، لا صفية كما في الحديث الثاني؟
الآخر: أن ذكر الحصى في القصة منكر، ويؤيد هذا إنكار عبد الله بن مسعود رضي الله عنه على الذين رآهم يعدون بالحصى، وقد جاء ذلك عنه من طرق سبق أحدها ولوكان ذلك مما أقره صلى الله عليه وسلم لما خفي على ابن مسعود إن شاء الله وقد تلقى هذا الإنكار منه بعض من تخرج من مدرسته ألا وهو إبراهيم بن يزيد النخعي الفقيه الكوفي، فكان ينهى ابنته أن تعين النساء على فتل خيوط التسبيح التي يسبح بها! رواه ابن أبي شيبة في " المصنف " (2 / 89 / 2) بسند جيد
قد يقول قائل: إن العد بالأصابع كما ورد في السنة لا يمكن أن يضبط به العدد إذا كان كثيرا، فالجواب: إنما جاء هذا الإشكال من بدعة أخرى وهي ذكر الله في عدد محصور كثير لم يأت به الشارع الحكيم، فتطلبت هذه البدعة بدعة أخرى وهي السبحة! فإن أكثر ما جاء من العدد في السنة الصحيحة، فيما ثبت لدي إنما هو مئة، وهذا يمكن ضبطه بالأصابع بسهو لة لمن كان ذلك عادته
وأما حديث: من قال في يوم مئتي مرة: " إله إلا الله وحده لا شريك له ... " الحديث، فالمراد: مئة إذا أصبح، ومئة إذا أمسى كما جاء مصرحا به في بعض الروايات الثابتة، وبيان ذلك في " الصحيحة " (2762)
وأما ما رواه ابن أبي شيبة (2 / 391) عن وقاء عن سعيد بن جبير قال: رأى عمر بن الخطاب رجلا يسبح بتسابيح معه، فقال عمر: إنما يجزيه من ذلك أن يقول
سبحان الله.... إلخ، فهو منكر لوجوه، منها الانقطاع بينه وبين سعيد، وضعف وقاء، وهو ابن إياس، وهو لين الحديث
ولولم يكن في السبحة إلا سيئة واحدة وهي أنها قضت على سنة العد بالأصابع أو كادت، مع اتفاقهم على أنها أفضل، لكفى! فإني قلما أرى شيخا يعقد التسبيح بالأنامل! ثم إن الناس قد تفننوا في الابتداع بهذه البدعه، فترى بعض المنتمين لإحدى الطرق يطوق عنقه بالسبحة! وبعضهم يعد بها وهو يحدثك أو يستمع لحديثك
وآخر ما وقعت عيني عليه من ذلك منذ أيام أننى رأيت رجلا على دراجة عادية يسير بها في بعض الطرق المزدحمة بالناس وفي إحدى يديه سبحة! ! يتظاهرون للناس بأنهم لا يغفلون عن ذكر الله طرفة عين! وكثيرا ما تكون هذه البدعة سببا لإضاعة ما هو واجب، فقد اتفق لي مرارا - وكذا لغيري - أنني سلمت على أحدهم فرد علي السلام بالتلويح بها! دون أن يتلفظ بالسلام! ومفاسد هذه البدعة لا تحصى، فما أحسن ما قال الشاعر
وكل خير في اتباع من سلف * * * وكل شر في ابتداع من خلف
ثم وقفت على حديث ثالث عن أبي هريرة مرفوعا بلفظ: " كان يسبح بالحصا "، ولكن إسناده واه جدا، فيه من روى عن مالك أحاديث موضوعة، وسيأتي بيان ذلك برقم (1002) من هذه السلسلة إن شاء الله تعالى

نعم المذكر السبحة، وان افضل ما يسجد عليه الارض، وما انبتته الارض موضوع - اخرجه الديلمي في " مسند الفردوس " (4 / 98 ـ مختصره) قال: انا عبدوس بن عبد الله انا ابو عبد الله الحسين بن فنجويه الثقفي، حدثنا علي بن محمد بن نصرويه، حدثنا محمد بن هارون بن عيسى بن منصور الهاشمي حدثني محمد بن علي بن حمزة العلوي حدثني عبد الصمد بن موسى حدثتني زينب بنت سليمان بن علي حدثتني ام الحسن بنت جعفر بن الحسن عن ابيها عن جدها عن علي مرفوعا، ذكره السيوطي في رسالته: " المنحة في السبحة " (2 / 141 ـ من الحاوي) ونقله عنه الشوكاني في " نيل الاو طار " (2 / 166 - 167) وسكتا عليه قلت: وهذا اسناد ظلمات بعضها فوق بعض، جل رواته مجهولون، بل بعضهم متهم، ام الحسن بنت جعفر بن الحسن، لم اجد من ترجمها، وزينب بنت سليمان بن علي ترجمها الخطيب " في تاريخه (14 / 334) وقال: كانت من فضاىل النساء وعبد الصمد بن موسى، هو الهاشمي ترجمه الخطيب (14 / 41) ولم يذكر فيه جرحا ولا تعديلا، ولكن نقل الذهبي في " الميزان " عن الخطيب انه قال فيه: قد ضعفوه فلعل ذلك في بعض كتبه الاخرى، ثم استدركت فقلت: بل ذلك في حديث اخر سياتي برقم (2898) ثم قال الذهبي: يروي مناكير عن جده محمد بن ابراهيم الامام قلت: فلعله هو افة هذا الحديث، ومحمد بن علي بن حمزة العلوي ترجمه الخطيب ايضا (3 / 63) وقال: قال ابن ابي حاتم: سمعت منه وهو صدوق، مات سنة 286 ومحمد بن هارون هو محمد بن هارون بن العباس بن ابي جعفر المنصور، كذلك اورده الخطيب (3 / 356) وقال: كان من اهل الستر والفضل والخطابة، وولي امامة مسجد المدينة ببغداد خمسين سنة، وكانت وفاته سنة 308 وابو عبد الله بن الحسين بن فنجويه الثقفي ثقة مترجم في " سير اعلام النبلاء " (17 / 383) و" شذرات الذهب " (3 / 200) ومثله عبدوس بن عبد الله له ترجمة في " سير اعلام النبلاء " (19 / 97) و" لسان الميزان " (4 / 95) ومما سبق يتبين لك ان الاسناد ضعيف لا تقوم به حجة، ثم ان الحديث من حيث معناه باطل عندي لامور الاول: ان السبحة بدعة لم تكن في عهد النبي صلى الله عليه وسلم انما حدثت بعده صلى الله عليه وسلم، فكيف يعقل ان يحض عليه الصلاة والسلام اصحابه على امر لا يعرفونه؟ ! والدليل على ما ذكرت ما روى ابن وضاح القرطبي في " البدع والنهي عنها " (ص 12) عن الصلت بن بهرام قال: مر ابن مسعود بامراة معها تسبيح تسبح به فقطعه والقاه، ثم مر برجل يسبح بحصا، فضربه برجله، ثم قال: لقد سبقتم! ركبتم بدعة ظلما! ولقد غلبتم اصحاب محمد صلى الله عليه وسلم علما! وسنده الى الصلت صحيح، وهو ثقة من اتباع التابعين، فالسند منقطع ثم روى عن ابان بن ابي عياش قال: سالت الحسن عن النظام (خيط ينظم فيه لولو وخرز ونحوهما) من الخرز والنوى ونحوذلك يسبح به؟ فقال: لم يفعل ذلك احد من نساء النبي صلى الله عليه وسلم ولا المهاجرات، ولكن سنده ضعيف جدا الثاني: انه مخالف لهديه صلى الله عليه وسلم، قال عبد الله بن عمرو: رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم يعقد التسبيح بيمينه، رواه ابو داود (1 / 235) والترمذي (4 / 255) وحسنه، وابن حبان (2334 - موارد) والحاكم (1 /547) والبيهقي (2 / 352) واسناده صحيح كما قال الذهبي، ثم خرجته في " صحيح ابي داود " (1346) ثم هو مخالف لامره صلى الله عليه وسلم حيث قال لبعض النسوة: " عليكن بالتسبيح والتهليل والتقديس، ولا تغفلن فتنسين التوحيد " وفي رواية: " الرحمة واعقدن بالانامل فانهن مسوولات ومستنطقات "، وهو حديث حسن اخرجه ابو داود وغيره، وصححه الحاكم والذهبي، وحسنه النووي والعسقلاني، وله شاهد عن عاىشة موقوف انظر " صحيح ابي داود " (1345) ولذلك ضعف الحديث جماعة كما ذكره الشيخ محمد خليل القاوقجى في " شوارق الانوار الجليلة " (ق 113 / 1) ثم تبين لي فيما بعد ان السند اشد ضعفا مما ذكرنا، وان افته محمد بن هارون بن عيسى بن منصور الهاشمي، فانه كان يضع الحديث كما ياتي، وقولي اولا هو محمد ابن هارون بن العباس.. الخ وهم، سببه انني ذهلت عن الترجمة التي بعد ابن العباس هذا في " تاريخ الخطيب " فقد قال: محمد بن هارون بن عيسى بن ابراهيم بن عيسى بن ابي جعفر المنصور، يكنى: ابا اسحاق، ويعرف بـ " ابن برية ... وفي حديثه مناكير كثيرة، وقال الدارقطني: لا شيء، وقال ابن عساكر في " تاريخ دمشق يضع الحديث، ثم ساق له حديثا، ثم قال: هذا من موضوعاته، وكذلك اتهمه الخطيب، فقال عقب الحديث المشار اليه (7 / 403) : والهاشمي يعرف بابن برية، ذاهب الحديث، يتهم بالوضع، وانما جزمت بان هذا هو راوي الحديث، لان السند فيه انه محمد بن هارون بن عيسى، وليس فيه انه محمد بن هارون بن العباس، فهما شخصان: اتفقا في اسمهما واسم ابيهما، واختلفا في اسم جدهما، فالاول اسم جده عيسى، والاخر اسم جده العباس وهذا مستور، والاول متهم كما عرفت، فانحصرت شبهة وضع الحديث فيه، وبرىت ذمة عبد الصمد ابن موسى منه على ضعفه وروايته المناكير، والفضل في تنبهي لهذه الحقيقة يعود الى مقال لي قديم في الكلام على هذا الحديث، فالحمد لله على توفيقه هذا معنى ما كنت اوردته في ردي على " التعقب الحثيث " للشيخ الحبشي (ص 14 - 15) ، فان قيل: قد جاء في بعض الاحاديث التسبيح بالحصى وانه صلى الله عليه وسلم اقره، فلا فرق حينىذ بينه وبين التسبيح بالسبحة كما قال الشوكاني؟ قلت: هذا قد يسلم لو ان الاحاديث في ذلك صحيحة، وليس كذلك، فغاية ما روي في ذلك حديثان اوردهما السيوطي في رسالته المشار اليها، فلابد من ذكرهما، وبيان علتهما الاول: عن سعد بن ابي وقاص انه دخل مع رسول الله صلى الله عليه وسلم على امراة وبين يديها نوى او حصى تسبح به، فقال: اخبرك بما هو ايسر عليك من هذا او افضل؟ فقال: " سبحان الله عدد ما خلق في السماء.. "، الحديث رواه ابو داود (1 / 235) والترمذي (4 / 277 - 278) وابن حبان (2330 - زواىده) والدورقي في " مسند سعد " (130 / 1) والمخلص في " الفواىد " (9 / 17 / 2) والحاكم (1 / 547 - 548) من طريق عمرو بن الحارث ان سعيد بن ابي هلال حدثه عن خزيمة عن عاىشة بنت سعد بن ابي وقاص عن ابيها، وقال الترمذي: حديث حسن، وقال الحاكم: صحيح الاسناد، ووافقه الذهبي فاخطا، لان خزيمة هذا مجهول، قال الذهبي نفسه في " الميزان ": خزيمة، لا يعرف، تفرد عنه سعيد بن ابي هلال وكذا قال الحافظ في " التقريب ": انه لا يعرف، وسعيد بن ابي هلال مع ثقته حكى الساجي عن احمد انه اختلط، وكذلك وصفه بالاختلاط يحيى كما في الفصل لابن حزم (2 / 95) ، ولعله مما يويد ذلك روايته لهذا الحديث، فان بعض الرواة الثقات عنه لم يذكروا في اسناده خزيمة فصار الاسناد منقطعا ولذلك لم يذكر الحافظ المزي عاىشة بنت سعد في شيوخ ابن ابي هلال فلا يخلوهذا الاسناد من علة الجهالة او الانقطاع فانى للحديث الصحة او الحسن؟ وجهل ذلك او تجاهله بعض من الف في سنية السبحة! من اهل الاهواء من المعاصرين مقلدا في ذلك شيخه عبد الله الغماري الذي تجاهل هذه الحقاىق، فاورد هذا الحديث في " كنزه " (103) ليتوصل منه الى تجويز السبحة لمريديه! ثم الى تجويز تعليقها على العنق كما يفعل بعض مشايخ الطرق، انظر الرد عليه في مقدمة المجلد الثالث من هذه السلسلة (ص 37) ترى العجب العجاب الاخر: عن صفية قالت: دخل علي رسول الله صلى الله عليه وسلم وبين يدي اربعة الاف نواة اسبح بهن، فقال: " يا بنت حيي، ما هذا؟ "، قلت: اسبح بهن، قال: " قد سبحت منذ قمت على راسك اكثر من هذا "، قلت: علمني يا رسول الله قال: " قولي: سبحان الله عدد ما خلق الله من شيء.. "، اخرجه الترمذي (4 /274) وابو بكر الشافعي في " الفواىد " (73 / 255 / 1) ، والحاكم (1 /547) من طريق هاشم بن سعيد عن كنانة مولى صفية عنها، وضعفه الترمذي بقوله هذا حديث غريب لا نعرفه الا من هذا الوجه من حديث هاشم بن سعيد الكوفي، وليس اسناده بمعروف، وفي الباب عن ابن عباس، واما الحاكم فقال: صحيح الاسناد، ووافقه الذهبي وهذا منه عجب، فان هاشم بن سعيد هذا اورده هو في " الميزان " وقال: قال ابن معين: ليس بشيء، وقال ابن عدي: مقدار ما يرويه لا يتابع عليه، ولهذا قال الحافظ في " التقريب ": ضعيف، وكنانة هذا مجهول الحال لم يوثقه غير ابن حبان ثم استدركت فقلت: لكن قد روى عن كنانة جمع منهم زهير وحديج ابنا معاوية، ومحمد بن طلحة بن مصرف، وسعدان بن بشير الجهني، وكل هولاء الاربعة ثقات، يضم اليهم يزيد بن مغلس الباهلي، وثقه جماعة وضعفه اخرون فسبيل من روى عنه هولاء ان يحشر في زمرة من قيل فيه: صدوق، كما حققته اخيرا في بحث مستفيض فريد في " تمام المنة " (ص 204 - 206) ، فلا تغتر ببعض الجهلة كالسقاف وغيره، وعليه فعلة الحديث هاشم فقط ومما يدل على ضعف هذين الحديثين ان القصة وردت عن ابن عباس بدون ذكر الحصى ولفظه قال: عن جويرية ان النبي صلى الله عليه وسلم خرج من عندها بكرة حين صلى الصبح وهي في مسجدها، ثم رجع بعد ان اضحى وهي جالسة، فقال: ما زلت على الحال التي فارقتك عليها؟ قالت: نعم، قال النبي صلى الله عليه وسلم: " لقد قلت بعدك اربع كلمات ثلاث مرات لووزنت بما قلت منذ اليوم لوزنتهن: سبحان الله وبحمده عدد خلقه، ورضا نفسه، وزنة عرشه ومداد كلماته "، اخرجه مسلم (8 / 83 - 84) والترمذي (4 / 274) وصححه والنساىي في " عمل اليوم والليلة " (161 - 165) وابن ماجه (1 / 23) واحمد (6 / 325 و429 - 430) ، فدل هذا الحديث الصحيح على امرين الاول: ان صاحبة القصة هي جويرية، لا صفية كما في الحديث الثاني؟ الاخر: ان ذكر الحصى في القصة منكر، ويويد هذا انكار عبد الله بن مسعود رضي الله عنه على الذين راهم يعدون بالحصى، وقد جاء ذلك عنه من طرق سبق احدها ولوكان ذلك مما اقره صلى الله عليه وسلم لما خفي على ابن مسعود ان شاء الله وقد تلقى هذا الانكار منه بعض من تخرج من مدرسته الا وهو ابراهيم بن يزيد النخعي الفقيه الكوفي، فكان ينهى ابنته ان تعين النساء على فتل خيوط التسبيح التي يسبح بها! رواه ابن ابي شيبة في " المصنف " (2 / 89 / 2) بسند جيد قد يقول قاىل: ان العد بالاصابع كما ورد في السنة لا يمكن ان يضبط به العدد اذا كان كثيرا، فالجواب: انما جاء هذا الاشكال من بدعة اخرى وهي ذكر الله في عدد محصور كثير لم يات به الشارع الحكيم، فتطلبت هذه البدعة بدعة اخرى وهي السبحة! فان اكثر ما جاء من العدد في السنة الصحيحة، فيما ثبت لدي انما هو مىة، وهذا يمكن ضبطه بالاصابع بسهو لة لمن كان ذلك عادته واما حديث: من قال في يوم مىتي مرة: " اله الا الله وحده لا شريك له ... " الحديث، فالمراد: مىة اذا اصبح، ومىة اذا امسى كما جاء مصرحا به في بعض الروايات الثابتة، وبيان ذلك في " الصحيحة " (2762) واما ما رواه ابن ابي شيبة (2 / 391) عن وقاء عن سعيد بن جبير قال: راى عمر بن الخطاب رجلا يسبح بتسابيح معه، فقال عمر: انما يجزيه من ذلك ان يقول سبحان الله.... الخ، فهو منكر لوجوه، منها الانقطاع بينه وبين سعيد، وضعف وقاء، وهو ابن اياس، وهو لين الحديث ولولم يكن في السبحة الا سيىة واحدة وهي انها قضت على سنة العد بالاصابع او كادت، مع اتفاقهم على انها افضل، لكفى! فاني قلما ارى شيخا يعقد التسبيح بالانامل! ثم ان الناس قد تفننوا في الابتداع بهذه البدعه، فترى بعض المنتمين لاحدى الطرق يطوق عنقه بالسبحة! وبعضهم يعد بها وهو يحدثك او يستمع لحديثك واخر ما وقعت عيني عليه من ذلك منذ ايام اننى رايت رجلا على دراجة عادية يسير بها في بعض الطرق المزدحمة بالناس وفي احدى يديه سبحة! ! يتظاهرون للناس بانهم لا يغفلون عن ذكر الله طرفة عين! وكثيرا ما تكون هذه البدعة سببا لاضاعة ما هو واجب، فقد اتفق لي مرارا - وكذا لغيري - انني سلمت على احدهم فرد علي السلام بالتلويح بها! دون ان يتلفظ بالسلام! ومفاسد هذه البدعة لا تحصى، فما احسن ما قال الشاعر وكل خير في اتباع من سلف * * * وكل شر في ابتداع من خلف ثم وقفت على حديث ثالث عن ابي هريرة مرفوعا بلفظ: " كان يسبح بالحصا "، ولكن اسناده واه جدا، فيه من روى عن مالك احاديث موضوعة، وسياتي بيان ذلك برقم (1002) من هذه السلسلة ان شاء الله تعالى
হাদিসের মানঃ জাল (Fake)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
যঈফ ও জাল হাদিস
১/ বিবিধ