পরিচ্ছেদঃ
২৩৫। ধৈর্য ধারন করার চেয়েও দুনিয়াকে পরিত্যাগ করা অতি তিক্ত এবং আল্লাহর পথে তরবারী ভাংগার চাইতেও কঠিন। এ দুনিয়াকে যে ব্যাক্তই পরিত্যাগ করে তাঁকে দেয়া হয় সেরূপ প্রতিফলন যেরূপ দেয়া হয় শহীদদেরকে। তাঁকে পরিত্যাগ করার অর্থ হচ্ছে খাদ্য কম গ্রহণ করা, তৃপ্ত কম হওয়া এবং মানুষের প্রশংসাকে ঘৃণা করা। কারণ যে ব্যাক্তি মানুষের প্রশংসাকে ভালবাসে সে দুনিয়া ও তার সম্পদকে ভাল বাসলো। আর যাকে সম্পদ আনন্দিত করে সে যেন মানুষের প্রশংসাকে পরিত্যাগ করে।
হাদীসটি জাল।
এটি দাইলামী তার “মুসনাদ” গ্রন্থে (২/৪৪) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি সুয়ূতী "যায়লুল আহাদীসিল মাওযুআহ" গ্রন্থে (পৃঃ ১৯১) দাইলামীর বর্ণনায় উল্লেখ করে বলেছেনঃ জাযারী নামক বর্ণনাকারী সাওরী এবং আওযাঈ হতে মুনকার এবং আজব ধরনের হাদীস বর্ণনা করেছেন। তাকে ইবনু হিব্বান জাল করার দোষে দোষী করেছেন। “লিসানুল মীযান” গ্রন্থে এসেছে; ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি সাওরী হতে অবোধগম্য বিষয় নিয়ে এসেছেন। ফলে যে ব্যক্তি তার হাদীস লিখেছেন এ কাজ যে তারই তিনি তাতে কোন সন্দেহ করেননি (২/৩৫)। তার এ কথাকে ইবনু আররাক “তানযীহুশ শারীয়াহ" গ্রন্থে (১/৩৫৮) সমর্থন করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ তা সত্ত্বেও সুয়ূতী হাদীসটির প্রথম অংশ “জামেউস সাগীর” গ্রন্থে দাইলামীর বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন। তিনি এক্ষেত্রে দুটি কারণে ক্রটি করেছেনঃ
১। জাল করার দোষে দোষী ব্যক্তির বর্ণনা হওয়া সত্ত্বেও সেটিকে উল্লেখ করা।
২। সংক্ষেপে শুধু প্রথম অংশ উল্লেখ করা, যা সন্দেহ জাগায় যে, দাইলামী হয়তো এরূপই (সংক্ষেপে) বর্ণনা করেছেন।
ترك الدنيا أمر من الصبر، وأشد من حطم السيوف فى سبيل الله، ولا يتركها أحد إلا أعطاه مثل ما يعطي الشهداء، وتركها قلة الأكل والشبع، وبغض الثناء من الناس، فإنه من أحب الثناء من الناس أحب الدنيا ونعيمها، ومن سره النعيم فليدع الثناء من الناس
موضوع
-
أخرجه الديلمي في " مسنده " (2 / 44) قال أنبأنا أبي أخبرنا أحمد بن عمرو البزار عن عبد الله بن عبد الرحمن الجزري عن سفيان عن حماد عن إبراهيم عن علقمة عن ابن مسعود مرفوعا
وذكره السيوطي في " ذيل الأحاديث الموضوعة " (ص 191) من رواية الديلمي، وقال السيوطي: قال في " الميزان ": عبد الله بن عبد الرحمن الجزري عن الثوري والأوزاعي بمناكير وعجائب، اتهمه ابن حبان بالوضع، وفي " اللسان " قال ابن حبان: يأتي عن الثوري بالأوابد حتى لا يشك من كتب الحديث إنه عملها (2 / 35) ، وأقره ابن عراق (358 / 1)
قلت: ومع هذا فقد أورد السيوطي طرف الحديث الأول في " الجامع الصغير " من رواية الديلمي هذه! فأساء من وجهين
الأول: إيراده فيه مع أنه من رواية ذاك المتهم بالوضع
الآخر: اقتصاره على القدر المذكور فأو هم أنه كذلك عند الديلمي وليس كذلك
والشارح المناوي لم يتعقبه بشيء يذكر فقال: ورواه عنه البزار أيضا، ومن طريقه عنه أورده الديلمي
قلت: إطلاق العزو للبزار يعني إنه رواه في " مسنده " كما هو المصطلح عليه عند المحدثين وما أظن البزار أخرجه فيه وإلا لذكره الهيثمي في " المجمع " ولم أره فيه، والله أعلم.
ثم استدركت فقلت: ليس البزار في إسناد الديلمي هو أحمد بن عمرو صاحب " المسند " المعروف به، فإنه توفي سنة (292) ووالد الديلمي واسمه شيرويه ابن شهردار مات سنة (509) فبينهما قرنان من الزمان