১২৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৩৬. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - দু‘আ কুনূত

১২৯৪-[৭] আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে কুনূত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ’র পর দু’আ কুনূত পড়তেন। আর এক সূত্রে আছে, তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দু’আ কুনূত পড়তেন কখনো রুকূ’র পূর্বে, আর কখনো রুকূ’র পরে। (ইবনু মাজাহ)[1]

وَسُئِلَ أَن بْنُ مَالِكٍ عَنِ الْقُنُوتِ. فَقَالَ: قَنَتَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْدُ الرُّكُوعِ وَفِي رِوَايَةٍ: قَبْلَ الرُّكُوعِ وَبَعْدَهُ. رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ

وسىل ان بن مالك عن القنوت فقال قنت رسول الله صلى الله عليه وسلم بعد الركوع وفي رواية قبل الركوع وبعده رواه ابن ماجه

ব্যাখ্যা: এক মাস নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুকূ‘র পরে ফরয সালাতে কুনূত পড়েছেন, অথবা ফাজরের (ফজরের) সালাতে পড়েছেন, যখন রি‘ল, যাক্ওয়ান এবং ‘আসিয়্যাহ্ গোত্রগুলোর উপর বদ্দু‘আ করতেন যেমন ‘আসিম (রাঃ)-এর হাদীস অতিবাহিত হয়েছে। তবে এ হাদীসের মূল রয়েছে সহীহুল বুখারী ও সহীহ মুসলিমে সেখানে উল্লেখ রয়েছে যে, তিনি অধিকাংশ সময় রুকূ‘র পরে কুনূত পড়তেন। অপর বর্ণনা রয়েছে যে, আনাস (রাঃ)-কে কুনূতের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বললেন, রুকূ‘র আগে ও পরে কুনূত পড়তাম।

ইবনু মুনযির (রহঃ) বলেন যে, নিশ্চয় কতিপয় সাহাবায়ে কিরাম ফাজ্‌রের (ফজরের) সালাতে রুকূ‘র আগে কুনূত পড়তেন, আবার কতিপয় রুকূ‘র পরে পড়তেন। কিন্তু নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কুনূতে নাযিলাহ্ ব্যতীত ফরয সালাতে কোন কুনূত পড়াটা প্রমাণিত নয় এবং তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কুনূতে নাযিলাহ্ রুকূ‘র পরে ছাড়া পড়তেন না। (আল্লাহ ভাল জানেন)

তাছাড়া হাসান আল বসরী পুরো বছরই কুনূত পড়তেন, যেমন মুহাম্মাদ বিন নাসর খান মারুযী কিতাবুল বিতর নামক গ্রন্থের ৩২ পৃষ্ঠায় তা উল্লেখ করেছেন এবং বিতরের কুনূত পড়াটা শুধু রমাযানের জন্য প্রযোজ্য- এই মর্মে কোন সহীহ কিংবা হাসান হাদীসও বর্ণিত হয়নি।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৪: সালাত (كتاب الصلاة)