১৫৪৪

পরিচ্ছেদঃ ১. প্রথম অনুচ্ছেদ - রোগী দেখা ও রোগের সাওয়াব

১৫৪৪-[২২] আবূ মূসা আল আশ্’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষ রোগে অসুস্থ হলে অথবা সফরে থাকলে তার ’আমলনামায় তাই লেখা হয়, যা সে সুস্থ অবস্থায় বা বাড়ীতে থাকলে লেখা হত। (বুখারী)[1]

بَابُ عِيَادَةِ الْمَرِيْضِ وَثَوَابِ الْمَرَضِ

وَعَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا مَرِضَ الْعَبْدُ أَوْ سَافَرَ كُتِبَ لَهُ بِمِثْلِ مَا كَانَ يعْمل مُقيما صَحِيحا» رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن ابي موسى قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اذا مرض العبد او سافر كتب له بمثل ما كان يعمل مقيما صحيحا» رواه البخاري

ব্যাখ্যা: (إِذَا مَرِضَ الْعَبْدُ) বান্দা যখন রোগে আক্রান্ত হয় রোগ হওয়ার পূর্বে ‘আমল করত আর রোগ তাকে ‘আমল করতে বাধা দিচ্ছে এবং তার নিয়্যাত এমনটি যে বাধাদানকারী না হলে তার ‘আমল সে চালিয়ে যেত।

(أَوْ سَافَرَ) অথবা সফর করে। সফরই তাকে ‘আমল করতে বাধা দিচ্ছে তা না হলে সে ‘আমল চালিয়ে যেত আবূ দাঊদ-এর বর্ণনায় আছে, (إَذَا كَانَ الْعَبْدُ يَعْمَلُ عَمَلًا صَالِحًا فَشَغَلَه عَنْهُ مَرَضٌ أَوْ سَفَرٌ)

‘যখন বান্দা সৎ ‘আমল করতে থাকে অতঃপর তাকে বাধা দেয় রোগ বা সফর।’

আহমাদ-এর বর্ণনা এসেছে,

إَذَا ابْتَلَى اللهُ الْعَبْدَ الْمُسْلِمَ بِبَلَاءٍ فِي جَسَدِه قَالَ اللهُ: أُكْتُبْ لَه صَالِحَ عَمَلِهِ الَّذِىْ كَانَ يَعْمَلُه فَإِنْ شَفَاهُ غَسَلَه وَطَهَّرَه وَإِنْ قَبَضَه غَفَرَ لَه وَرَحْمَه.

আল্লাহ যখন মুসলিম বান্দাকে তার শরীরে রোগ দিয়ে পরীক্ষা করান তখন আল্লাহ (মালাককে) বলেন তার জন্য সৎ ‘আমল লিপিবদ্ধ কর যা সে সৎ ‘আমল করছিল যদি তাকে আরোগ্য লাভ করান তাহলে তাকে শুধু ধৌত ও পাক পবিত্র করাল (গুনাহ হতে) আর যদি আল্লাহ তাকে মৃত্যু ঘটান তহলে তাকে মাফ করে দেন এবং তার প্রতি রহম করেন।

নাসায়ীতে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত, হাদীসে সেখানে বল হয়েছে যার রাত্রিতে নফল সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) রয়েছে কিন্তু ঘুম বা ব্যথা তাকে সালাত আদায়ে বাধা দিয়েছে তারপরেও তার জন্য সালাতের সাওয়াব লেখা হয় আর ঘুমটি হল তার ওপর সদাক্বাহ্ (সাদাকা)।

ইবনু বাত্বাল উল্লিখিত হাদীসগুলোর হুকুম নফল সালাতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ফারযের (ফরযের/ফরজের) ক্ষেত্রে না। আর সফর ও অসুস্থ অবস্থায় ফরয সালাত রহিত হয় না।

আর ইবনু হাজার-এর বক্তব্য হাদীসের হুকুম প্রশস্ত ফরয সালাতের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-৫: জানাযা (كتاب الجنائز)