পরিচ্ছেদঃ
২৬৬। উসাইর বিন জাবির থেকে বর্ণিত। যখন ইয়ামানের একদল লোক এল, উমার (রাঃ) তাদের সফরসঙ্গীদের খোঁজখবর নিলেন। তাদেরকে বললেন, তোমাদের মধ্যে কারনের কেউ আছে কি? এভাবে খোঁজ নিতে নিতে কারনের অধিবাসীদের কাছে এলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কারা? তারা বললো, কারনবাসী। সহসা উমারের লাগাম বা উয়াইসের লাগাম পড়ে গেল। তখন একজন অপরজনকে লাগাম ধরিয়ে দিল। তখন সে উমার (রাঃ) কে চিনলো। উমার (রাঃ) বললেনঃ তোমার নাম কী? সে বললোঃ উয়াইস। উমার (রাঃ) বললেনঃ তোমার মা আছেন? সে বললোঃ আছেন। তিনি বললেনঃ তোমার গায়ে কি কিছু শ্বেত কুষ্ঠ রোগ আছে? সে বললোঃ হ্যাঁ। তবে আমি আল্লাহর কাছে দু’আ করলে আমার নাভির এক দিরহাম পরিমাণ জায়গা ব্যতীত তা থেকে তিনি আমাকে মুক্ত করেছেন। (এক দিরহাম পরিমাণ জায়গায় রেখে দিয়েছেন) যাতে আমি তার কারণে আমার প্রভুকে স্মরণ করি।
উমার (রাঃ) উয়াইসকে বললেনঃ আমার জন্য গুনাহ মাফ চাও। উয়াইস বললোঃ আপনিই আমার গুনাহ মাফ চাওয়ার অধিকতর যোগ্য। আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবী। উমার (রাঃ) বললেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, তাবেয়ীদের মধ্যে সর্বোত্তম হলো উয়াইস নামক এক ব্যক্তি, যার মা আছে, তার শরীরে খানিকটা শ্বেত কুষ্ঠ আছে, সে দু’আ করাতে আল্লাহ তাকে রোগমুক্ত করেছেন, কেবল তার নাভিতে এক দিরহাম পরিমাণ জায়গায় তা অবশিষ্ট আছে।
অতঃপর সে উমার (রাঃ) এর জন্য ক্ষমা চাইল এবং জনতার ভীড়ে ঢুকে গেল। তারপর সে কোথায় অবস্থান করলো তা আর জানা যায়নি। এরপর সে কুফায় এল। আমরা একটা আলোচনা চক্রে বসতাম এবং আল্লাহর যিকর করতাম। সেও আমাদের সঙ্গে বসতো। সে যখন আলোচনা করতো, তখন তার কথা আমাদের মনে এত বদ্ধমূল হতো, যতটা আর কারো কথা বদ্ধমূল হতো না। এভাবে বর্ণনাকারী পুরো ঘটনা বর্ণনা করেছেন।
[মুসলিম]
حَدَّثَنَا عَفَّانُ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ سَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أُسَيْرِ بْنِ جَابِرٍ، قَالَ: لَمَّا أَقْبَلَ أَهْلُ الْيَمَنِ جَعَلَ عُمَرُ يَسْتَقْرِي الرِّفَاقَ، فَيَقُولُ: هَلْ فِيكُمْ أَحَدٌ مِنْ قَرَنٍ؟ حَتَّى أَتَى عَلَى قَرَنٍ، فَقَالَ: مَنْ أَنْتُمْ؟ قَالُوا: قَرَنٌ، فَوَقَعَ زِمَامُ عُمَرَ، أَوْ زِمَامُ أُوَيْسٍ، فَنَاوَلَهُ - أَوْ نَاوَلَ - أَحَدُهُمَا الْآخَرَ، فَعَرَفَهُ، فَقَالَ عُمَرُ: مَا اسْمُكَ؟ قَالَ: أَنَا أُوَيْسٌ. فَقَالَ: هَلْ لَكَ وَالِدَةٌ؟ قَالَ: نَعَمْ. قَالَ: فَهَلْ كَانَ بِكَ مِنَ الْبَيَاضِ شَيْءٌ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَدَعَوْتُ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ، فَأَذْهَبَهُ عَنِّي إِلَّا مَوْضِعَ الدِّرْهَمِ مِنْ سُرَّتِي لِأَذْكُرَ بِهِ رَبِّي، قَالَ لَهُ عُمَرُ: اسْتَغْفِرْ لِي. قَالَ: أَنْتَ أَحَقُّ أَنْ تَسْتَغْفِرَ لِي، أَنْتَ صَاحِبُ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. فَقَالَ عُمَرُ: إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " إِنَّ خَيْرَ التَّابِعِينَ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: أُوَيْسٌ، وَلَهُ وَالِدَةٌ، وَكَانَ بِهِ بَيَاضٌ فَدَعَا اللهَ عَزَّ وَجَلَّ فَأَذْهَبَهُ عَنْهُ إِلَّا مَوْضِعَ الدِّرْهَمِ فِي سُرَّتِهِ ". فَاسْتَغْفَرَ لَهُ، ثُمَّ دَخَلَ فِي غِمَارِ النَّاسِ، فَلَمْ يُدْرَ أَيْنَ وَقَعَ، قَالَ: فَقَدِمَ الْكُوفَةَ، قَالَ: وَكُنَّا نَجْتَمِعُ فِي حَلْقَةٍ، فَنَذْكُرُ اللهَ، وَكَانَ يَجْلِسُ مَعَنَا، فَكَانَ إِذَا ذَكَرَ هُوَ وَقَعَ حَدِيثُهُ مِنْ قُلُوبِنَا مَوْقِعًا لَا يَقَعُ حَدِيثُ غَيْرِهِ ... فَذَكَرَ الْحَدِيثَ
إسناده صحيح على شرط مسلم. سعيد الحريري: هو ابن إياس، وأبو نضرة: هو المنذر بن مالك بن قطعة. وأخرجه مسلم (2542) (224) من طريق عفان، بهذا الإسناد
وأخرجه ابن سعد 6 / 161 - 162، وابن أبي شيبة 12 / 153، ومسلم (2542) ، وأبو نعيم في " الحلية " 2 / 79 من طريق سليمان بن المغيرة، عن الجريري، به
وأخرجه مسلم (2542) (225) ، والبزار (342) ، وأبو نعيم 2 / 80 من طريق زرارة، عن أسير بن جابر، به
والبياض يعني: البرص