পরিচ্ছেদঃ
৪৮১। উসমান (রাঃ) যখন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন, তখন মুগীরা বিন শু’বা তার নিকট উপস্থিত হলেন। তারপর উসমান (রাঃ) কে বললেন, আপনি জনগণের নেতা ও শাসক। এখন আপনার ওপর কী বিপদ আপতিত হয়েছে, তাতো দেখতেই পাচ্ছেন। আমি আপনার নিকট তিনটি কর্ম পন্থার প্রস্তাব দিচ্ছি। এর যে কোন একটি গ্ৰহণ করুনঃ হয় আপনি বেরিয়ে পড়ুন এবং অবরোধকারীদের সাথে যুদ্ধ করুন। আপনার পর্যাপ্ত সংখ্যক বাহিনী ও শক্তি রয়েছে, আপনি ন্যায়ের ওপর এবং ওরা বাতিলের ওপর আছে। অন্যথায়, অবরোধকারীরা যে দরজার ওপর অবস্থান গ্ৰহণ করেছে, সেটি ছাড়া অন্য একটি দরজা নিজের জন্য বানিয়ে নিন, তারপর বের হয়ে নিজের সওয়ারীর ওপর চড়ে বসুন এবং মক্কায় চলে যান। আপনি মক্কায় থাকা অবস্থায় ওরা কখনোই আপনার রক্তপাত করার সুযোগ পাবে না, অন্যথায়, আপনি (মক্কার পরিবর্তে) সিরিয়ায় চলে যান। কেননা অবরোধকারীরা সিরিয়ার অধিবাসী এবং তাদের মধ্যে মুয়াবিয়াও রয়েছেন। (যিনি উসমানের আস্থাভাজন ছিলেন।)
উসমান (রাঃ) বললেনঃ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হবার যে প্রস্তাব দিয়েছ, সেটা অসম্ভব। আমি এমন ব্যক্তি হতে চাইনা, যে সর্ব প্রথম রক্তপাতের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মাতের জন্য খলীফা হবে। আর মক্কায় গেলে তারা আমার রক্তপাত করার সুযোগ পাবে না -একথা সত্য। তবে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, কুরাইশের এক ব্যক্তি মক্কায় সমাহিত হবে, যার ওপর আপতিত হবে সমগ্ৰ বিশ্বের অর্ধেক আযাব। আমি সেই ব্যক্তি হতে চাই না। আর সিরিয়ায় গেলে, আমি জানি, ওরা সিরিয়ারই লোক এবং মুয়াবিয়া তাদের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু আমি আমার হিজরতের স্থান (মদীনা) এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিবেশীত্ব কখনো হাত ছাড়া করবো না।
[মুসনাদে আহমাদ-৪৬১]
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَيَّاشٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، قَالَ: وَأَخْبَرَنِي الْأَوْزَاعِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ: أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عُثْمَانَ وَهُوَ مَحْصُورٌ، فَقَالَ: إِنَّكَ إِمَامُ الْعَامَّةِ، وَقَدْ نَزَلَ بِكَ مَا تَرَى، وَإِنِّي أَعْرِضُ عَلَيْكَ خِصَالًا ثَلاثًا، اخْتَرْ إِحْدَاهُنَّ: إِمَّا أَنْ تَخْرُجَ فَتُقَاتِلَهُمْ، فَإِنَّ مَعَكَ عَدَدًا وَقُوَّةً، وَأَنْتَ عَلَى الْحَقِّ، وَهُمْ عَلَى الْبَاطِلِ، وَإِمَّا أَنْ نَخْرِقَ لَكَ بَابًا سِوَى الْبَابِ الَّذِي هُمْ عَلَيْهِ، فَتَقْعُدَ عَلَى رَوَاحِلِكَ، فَتَلْحَقَ بِمَكَّةَ، فَإِنَّهُمْ لَنْ يَسْتَحِلُّوكَ وَأَنْتَ بِهَا، وَإِمَّا أَنْ تَلْحَقَ بِالشَّامِ، فَإِنَّهُمْ أَهْلُ الشَّامِ، وَفِيهِمْ مُعَاوِيَةُ. فَقَالَ عُثْمَانُ: أَمَّا أَنْ أَخْرُجَ فَأُقَاتِلَ، فَلَنْ أَكُونَ أَوَّلَ مَنْ خَلَفَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي أُمَّتِهِ بِسَفْكِ الدِّمَاءِ، وَأَمَّا أَنْ أَخْرُجَ إِلَى مَكَّةَ فَإِنَّهُمْ لَنْ يَسْتَحِلُّونِي بِهَا، فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " يُلْحِدُ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ بِمَكَّةَ، يَكُونُ عَلَيْهِ نِصْفُ عَذَابِ الْعَالَمِ " فَلَنْ أَكُونَ أَنَا إِيَّاهُ، وَأَمَّا أَنْ أَلْحَقَ بِالشَّامِ فَإِنَّهُمْ أَهْلُ الشَّامِ، وَفِيهِمْ مُعَاوِيَةُ، فَلَنْ أُفَارِقَ دَارَ هِجْرَتِي، وَمُجَاوَرَةَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
إسناده ضعيف لانقطاعه، محمد بن عبد الملك بن مروان قتل سنة 132 هـ، والمغيرة بن شعبة مات سنة 50 هـ فيبعد أن يسمع منه، ثم يعيش بعده 82 سنة، ولذا قال الحافظ في " تعجيل المنفعة " ص 371: وما أظن أن روايته عن المغيرة إلا مرسلة، قال الهيثمي في " المجمع " 3 / 270 بعد أن نسبه لأحمد: ورجاله ثقات إلا أن محمد بن عبد الملك بن مروان لم أجد له سماعاً من المغيرة
وأخرجه ابن شبة في " تاريخ المدينة " 4 / 1213عن هارون بن عمر، عن الوليد بن مسلم، بهذا الإسناد
وأخرجه أيضاً 4 / 1212 من طريق هقل بن زياد، عن الأوزاعي، به
وأخرجه البخاري في " التاريخ الكبير " 1 / 163 فقال: وقال لنا مسدد: حدثنا عيسى بن يونس قال: حدثني الأوزاعي، به. وانظر (461) . (1) قوله: " يُلحد " كذا وقع في الأصول التي بين أيدينا، وفي النسخ المطبوعة من " المسند "، ويترجح لدينا أن الصواب: " يلحق " كما جاءت في المطبوع من مسند عبد الله بن المبارك برقم (246)