পরিচ্ছেদঃ
৪৯০। আবদুর রহমান বিন আওফের সাথে ওয়ালীদ বিন উকবার সাক্ষাৎ হলো। ওয়ালীদ তাকে বললেন, ব্যাপার কী? দেখতে পাচ্ছি, তুমি আমীরুল মুমিনীন উসমান (রাঃ) এর সাথে রূঢ় আচরণ করেছ? আবদুর রহমান বললেন, তাকে জানাও যে, আমি উহুদের দিন পালাইনি, বদরেও অনুপস্থিত থাকিনি এবং উমারের সুন্নাত (রীতি) বর্জন করেনি। এরপর ওয়ালীদ চলে গেলেন এবং উসমান (রাঃ) কে বিষয়টি জানালেন। তখন উসমান বললেন, সে বলেছেঃ আমি উহুদের দিন পালাইনি। তাহলে আমাকে সে কিভাবে এমন গুনাহর জন্য লজ্জা দেয় যা আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন? আল্লাহ তো বলেছেনঃ “তোমাদের মধ্য থেকে যারা উভয় দলের মুখোমুখি হবার দিন পালিয়েছিল, তাদেরকে তো শয়তানই তাদের কিছু গুনাহর কারণে পদস্থলন ঘটিয়েছিল। আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করেছেন। আর সে বলেছে যে, আমি বদরের দিন অনুপস্থিত ছিলাম। সেদিন তো আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মেয়ে রুকাইয়ার সেবা সুশ্রুষা করছিলাম। শেষ পর্যন্ত সে মারা গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার জন্য গনীমাতের অংশ নির্ধারণ করেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যার জন্য গনীমাতের অংশ নির্ধারণ করেন, সে তো (যুদ্ধের ময়দানে) উপস্থিতদের অন্তর্ভুক্ত। আর সে বলেছেঃ “আমি উমারের রীতি বর্জন করিনি” এ ব্যাপারে আমার কথা হলো, এটা করা আমার পক্ষেও সম্ভব নয়। তার পক্ষেও নয়। যাও তার কাছে, তাকে এ কথাগুলো জানিয়ে দাও। [মুসনাদ আহমাদ-৫৫৬]
حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا زَائِدَةُ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ شَقِيقٍ، قَالَ: لَقِيَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ الْوَلِيدَ بْنَ عُقْبَةَ، فَقَالَ لَهُ الْوَلِيدُ: مَا لِي أَرَاكَ قَدْ جَفَوْتَ أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ عُثْمَانَ؟ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ: أَبْلِغْهُ أَنِّي لَمْ أَفِرَّ يَوْمَ عَيْنَيْنِ - قَالَ عَاصِمٌ: يَقُولُ يَوْمَ أُحُدٍ - وَلَمْ أَتَخَلَّفْ يَوْمَ بَدْرٍ، وَلَمْ أَتْرُكْ سُنَّةَ عُمَرَ. قَالَ: فَانْطَلَقَ فَخَبَّرَ ذَلِكَ عُثْمَانَ، قَالَ: فَقَالَ: أَمَّا قَوْلُهُ: إِنِّي لَمْ أَفِرَّ يَوْمَ عَيْنَيْنَ، فَكَيْفَ يُعَيِّرُنِي بِذَنْبٍ وَقَدْ عَفَا اللهُ عَنْهُ، فَقَالَ: (إِنَّ الَّذِينَ تَوَلَّوْا مِنْكُمْ يَوْمَ الْتَقَى الْجَمْعَانِ إِنَّمَا اسْتَزَلَّهُمُ الشَّيْطَانُ بِبَعْضِ مَا كَسَبُوا وَلَقَدْ عَفَا اللَّهُ عَنْهُمْ) [آل عمران: ١٥٥] ، وَأَمَّا قَوْلُهُ: إِنِّي تَخَلَّفْتُ يَوْمَ بَدْرٍ، فَإِنِّي كُنْتُ أُمَرِّضُ رُقَيَّةَ بِنْتَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حَتَّى مَاتَتْ وَقَدْ ضَرَبَ لِي رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَهْمِي، وَمَنْ ضَرَبَ لَهُ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِسَهْمِهِ فَقَدْ شَهِدَ، وَأَمَّا قَوْلُهُ: إِنِّي لَمْ أَتْرُكْ سُنَّةَ عُمَرَ، فَإِنِّي لَا أُطِيقُهَا وَلا هُوَ، فَائْتِهِ فَحَدِّثْهُ بِذَلِكَ
إسناده حسن، رجالُه ثقات رجال الشيخين غيرَ عاصم - وهو ابن أبي النجود - فقد روى له أصحابُ السنن، وحديثُه في " الصحيحين " مقرون، وهو حسنُ الحديث
معاوية بن عمرو: هو ابنُ المهلب الأزدي، وزائدةُ: هو ابنُ قدامة، وشقيق: هو ابن سلمة أبو وائل، والوليد بن عقبة: هو ابن أبي معيط بن أبي عمرو بن أمية القرشي الأموي أخو عثمان لأمه، له صحبة، وعاش إلى خلافة معاوية
وأخرجه الطبراني (135) من طريق معاوية بن عمرو، بهذا الإسناد مختصرا
وأخرجه ابن شبَّة في " تاريخ المدينة " 3 / 1032، والبزار (395) من طريقين عن عاصم، به. وسيأتي برقم (556)
وعينان: قال ياقوت: هضبة جبل أحد بالمدينة، ويقال: جبلان عند أحد، ويقال ليوم أحد: عينين
والمراد بسنة عمر هنا طريقتُه وهديه وسيرته، فقد كان رضي الله عنه أزهدَهم في الدنيا، وأرغبَهم في الآخرة، وأشفقَهم على الرعية، وأكثرَهم تققداً لأحوالهم، يُنْصِفُ مظلومَهم، ويُؤمِّنُ خائِفَهم، ويَلِيْنُ لأهلِ السلامةِ والدينِ والفضلِ، ويَشْتَدُّ على أهلِ الفساد والظلم والتعدي، وقد أتعب مَنْ بعده أن يَلْحَق به، أويَجْرِيَ في مضمارِه، ولهذا قال عثمان رضي الله عنه: فإني لا أطيقها ولا هو