৩৩১৪

পরিচ্ছেদঃ ১৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - লি‘আন

৩৩১৪-[১১] সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস ও আবূ বকরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তাঁরা উভয়ে বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সদিচ্ছায় স্বীয় পিতৃ-পরিচয় ব্যতীত অন্যকে পিতা বলে পরিচয় দেয়, জান্নাত তার জন্য হারাম। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

بَابُ اللِّعَانِ

وَعَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَأَبِي بَكْرَةَ قَالَا: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنِ ادَّعَى إِلَى غَيْرِ أَبِيهِ وَهُوَ يَعْلَمُ أَنَّهُ غَيْرُ أَبِيهِ فَالْجَنَّةُ عَلَيْهِ حرَام»

وعن سعد بن ابي وقاص وابي بكرة قالا قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من ادعى الى غير ابيه وهو يعلم انه غير ابيه فالجنة عليه حرام

ব্যাখ্যা: ‘‘যে ব্যক্তি জেনেশুনে তার পরিচয় নিজ পিতার সাথে না দিয়ে অন্যের সাথে দিবে।’’ অর্থাৎ নিজেকে অন্যের পুত্র বলে দাবী করবে তার জন্য জান্নাত হারাম।

নিজেকে আপন পিতার সাথে সম্পৃক্ত না করে অন্যের দিকে সম্পৃক্ত করা কবীরা গুনাহ। আহলুস্ সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতের ‘আলিমদের মতে কবীরা গুনাহ করলে কেউ কাফির হয় না। কুরআনের বিভিন্ন আয়াত ও হাদীসের আলোকে বিষয়টি অত্যন্ত স্পষ্টভাবে প্রমাণিত। তাই বর্ণিত হাদীসে জান্নাত হারাম হওয়ার বিষয়টি শুধুমাত্র অন্যের দিকে নিজেকে সম্পৃক্ত করার কারণে নয়। বরং কেউ যদি এই গুনাহের কাজকে হালাল মনে করে তবে সে কাফির হয়ে তার জন্য জান্নাত হারাম হয়ে যাবে। কেননা গুনাহকে বৈধ মনে করা কুফরী। অথবা হাদীসের মর্ম এও হতে পারে যে, কিছু দিনের জন্য জান্নাত তার জন্য হারাম থাকবে। এই গুনাহের শাস্তি ভোগ করেই তাকে জান্নাতে যেতে হবে। আবার পাপটি অত্যন্ত মারাত্মক হওয়ার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ধমকীর স্বরে এ কথা বলতে পারেন, যদিও জান্নাত তার জন্য হারাম নয়। (মিরকাতুল মাফাতীহ)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৩: বিবাহ (كتاب النكاح)