৩৬৯৩

পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ

৩৬৯৩-[৩৩] আবূ বকরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এ সংবাদ আসলো যে, পারস্যের (ইরানের) অধিবাসীরা কিস্রার কন্যাকে তাদের সম্রাজ্ঞী নিযুক্ত করেছে। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ সে জাতি কক্ষনো সফলকাম হতে পারে না, যারা দেশের শাসনভার কোনো মহিলার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করে। (বুখারী)[1]

اَلْفَصْلُ الْأَوَّلُ

وَعَنْ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ: لَمَّا بَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّ أَهْلَ فَارِسَ قَدْ مَلَّكُوا عَلَيْهِمْ بِنْتَ كِسْرَى قَالَ: «لَنْ يُفْلِحَ قَوْمٌ وَلَّوْا أَمْرَهُمُ امْرَأَةً» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن ابي بكرة قال: لما بلغ رسول الله صلى الله عليه وسلم ان اهل فارس قد ملكوا عليهم بنت كسرى قال: «لن يفلح قوم ولوا امرهم امراة» . رواه البخاري

ব্যাখ্যা: বর্তমানের ইরান তৎকালীন সময়ে পারস্য নামে পরিচিত ছিল। আর পারস্যের বাদশাহদের উপাধি ছিল কিসরা। যেমন রোম বাদশাহদের উপাধি ছিল কায়সার। আর মিসর এর বাদশাহদের উপাধি ছিল ফির্‘আওন।

উল্লেখিত হাদীস থেকে প্রতীয়মান হয়, নারী নেতৃত্ব হারাম যদি কোনো সম্প্রদায়ের নারী আমীর বানায় তাহলে তারা কখনো সফল হবে না।

শারহুস্ সুন্নাহ্ গ্রন্থে এসেছে যে, নারীর জন্য ইমাম কাযী হওয়া বৈধ নয়। কেননা ইমাম ও বিচারপতির জন্য মুসলিমদের সকল বিষয় দেখাশোনা করার বের হওয়ার প্রয়োজন। আর মহিলা সর্বদা পর্দাতে থাকবে। সুতরাং তাদের জন্য এটা বৈধ নয়। কারণ মহিলারা অল্প জ্ঞানের অধিকারী। আর বিচার ফায়সালা করা রাষ্ট্রের একটি পূর্ণাঙ্গ কাজ। এটা মহিলাদের জন্য ঠিক নয় তবে জ্ঞানবান পুরুষের জন্য তা বৈধ। (ফাতহুল বারী ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৪২৫; তুহফাতুল আহওয়াযী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২২৬২)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ বাকরা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৮: প্রশাসন ও বিচারকার্য (كتاب الإمارة والقضاء)