৩৮৯৩

পরিচ্ছেদঃ ২. প্রথম অনুচ্ছেদ - সফরের নিয়ম-শৃঙ্খলা

৩৮৯৩-[২] ’আব্দুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ একাকী সফরের বিপদাশঙ্কার ব্যাপারে আমি যা জানি, তা যদি লোকেরা জানতো, তবে কোনো আরোহীই (মুসাফির) রাতে একাকী সফরে বের হত না। (বুখারী)[1]

بَابُ اٰدَابِ السَّفَرِ

وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِي الْوَحْدَةِ مَا أَعْلَمُ مَا سَارَ رَاكِبٌ بِلَيْلٍ وَحْدَهُ» . رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ

وعن عبد الله بن عمر قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لو يعلم الناس ما في الوحدة ما اعلم ما سار راكب بليل وحده رواه البخاري

ব্যাখ্যা: (لَوْ يَعْلَمُ النَّاسُ مَا فِى الْوَحْدَةِ مَا أَعْلَمُ) মানুষ যদি জানতো একাকীত্বের মধ্যে কি ক্ষতি রয়েছে আমি যা জানি তাহলে কোনো আরোহী রাতে একাকী ভ্রমণ করত না।

‘আল্লামা মুযহির বলেনঃ এককীত্বের মধ্যে ধর্মীয় ক্ষতি রয়েছে; কেননা তার সাথে জামা‘আতে সালাত আদায় করার কেউ নেই, আর দুনিয়াবী ক্ষতিও রয়েছে, কারণ প্রয়োজনে তাকে সহযোগিতা করার কেউ নেই।

ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ হাদীসের প্রকাশমান অর্থানুযায়ী বলা উচিত ছিল কেউ একাকী ভ্রমণ করত না। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো আরোহী রাতে একাকী ভ্রমণ করত না। রাতের কথা এজন্য বলা হয়েছে, কেননা রাতে ক্ষতির আশংকা অধিক। আর আরোহী এজন্য বলা হয়েছে, যাতে এ ধারণা করা না হয় যে, আরোহী তো একা নয় কারণ তার সাথে বাহন আছে। এতে এ ইঙ্গিতও রয়েছে যে, আরোহীর একাকী ভ্রমণের মধ্যে যদি ক্ষতির আশঙ্কা থাকে তাহলে পদব্রজে একাকী ভ্রমণ করার মধ্যে ক্ষতির সম্ভাবনা আরো অধিক। (মিরকাতুল মাফাতীহ)

ইবনু হাজার বলেনঃ (مَا أَعْلَمُ) আমি যা জানি এর দ্বারা উদ্দেশ্য যে বিপদের কথা আমি জানি অর্থাৎ- একাকী ভ্রমণ করলে যে ধরনের বিপদ আসতে পারে- এ সম্পর্কে আমি যা জানি তা যদি ‘‘লোকেরা জানতো তাহলে কেউই একাকী ভ্রমণ করতো না’’। (ফাতহুল বারী ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ২৯৯৮)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-১৯: জিহাদ (كتاب الجهاد)