পরিচ্ছেদঃ
৭২৭। তোমরা আমাকে সুদানের ব্যাপারে ছেড়ে দাও (কোন প্রশ্ন করো না)। কেননা সে তার পেট এবং গুপ্তাঙ্গের কারণে কালো।
হাদীছটি জাল।
এটি তাবারানী "আল-কাবীর” (৩/১২২/২) গ্রন্থে এবং আল-খাতীব (১৪/১০৮) আব্দুল্লাহ ইবনু রাজা সূত্রে ইয়াহইয়া ইবনু আবী সুলায়মান আল-মাদীনী হতে তিনি আতা ইবনু আবী রাবাহ হতে তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এ সনদটি দুর্বল। আব্দুল্লাহ ইবনু রাজা সম্পর্কে হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ তিনি কিছুটা সন্দেহ প্রবণ ছিলেন। কিন্তু হাদীছটির সমস্যা তিনি নন বরং সমস্যা হচ্ছে তার শাইখ ইয়াহইয়া। তার সম্পর্কে হাফিয বলেনঃ তিনি হাদীছের ক্ষেত্রে দুর্বল ।
ইবনুল জাওযী হাদীছটি “আল-মাওযু’আত” গ্রন্থে উল্লেখ করে উক্ত সমস্যা বর্ণনা করে (২/২৩৩) বলেছেনঃ এটি সহীহ নয়। ইয়াহইয়া সম্পর্কে ইমাম বুখারী বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীছ। ইবনুল জাওযীও তার কথার অনুসরণ করেছেন। এটি জানা কথা যে, ইমাম বুখারী একমাত্র মিথ্যার দোষে দোষী ব্যক্তিকেই মুনকারুল হাদীছ আখ্যা দিয়েছেন।
সুয়ূতী “আল-লাআলী” গ্রন্থে ইবনুল জাওযীর সমালোচনা করে বলেছেনঃ ইয়াহইয়া হতে আবু দাউদ, তিরমিযী এবং নাসাঈ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। আবু হাতিম বলেছেনঃ তার হাদীছ লিখা যাবে, তবে তিনি শক্তিশালী নন। তাকে ইবনু হিব্বান "আছ-ছিকাত" গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। ইবনু হিব্বান কর্তৃক নির্ভরযোগ্য বলা গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষ করে যেখানে অন্যান্য ইমামগণ দুর্বল আখ্যা দিয়েছেন। এ বিষয়ে পূর্বেও বহুবার ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।
মোটকথা এ সনদটি দুর্বল। এর দ্বারা দলীল সাব্যস্ত হয় না। আর হাদীছের ভাষা যে বানোয়াট তাতে আমি কোন সন্দেহ পোষণ করছি না। ইবনুল জাওযী হাদীছটি “আল-মাওযু’আত” গ্রন্থে উল্লেখ করে ঠিকই করেছেন।
ইবনুল কাইয়্যিম আল-জাওযিয়্যাহ বলেনঃ ’হাবশাহ এবং সূদান সম্পর্কে কুৎসা রটনা করে যে সব হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তার সবগুলোই মিথ্যা। শাইখ মুল্লাহ আলী কারী তার "মাওযু’আত" (পৃঃ ১১৯) গ্রন্থে তার বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। ইবনুল কাইয়্যিম "আল-মানার" (৪৮-৪৯) গ্রন্থে জাল হাদীছ চেনার পন্থা হিসাবে সূত্র (থিওরী) উল্লেখ করে বলেছেনঃ জাল হাদীছের ভাষাগুলো হবে এতই কর্কশ ও কদাকার (বিশ্রী) যে, কান তা প্রত্যাখ্যান করবে এবং জ্ঞানসম্পন্ন ব্যক্তি তার অর্থকে কুৎসিত হিসাবে গণ্য করবে।’
অতঃপর তিনি এরূপ কতিপয় হাদীছ উল্লেখ করেছেন। এটি সেগুলোর শেষেরটি।
دعوني من السودان، إنما الأسود لبطنه وفرجه ".
موضوع
-
أخرجه الطبراني في " الكبير " (3 / 122 / 2) والخطيب (14 / 108) من طريق عبد الله بن رجاء: أخبرني يحيى بن سليمان المديني عن عطاء بن أبي رباح عن ابن عباس قال: ذكر السودان عند رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال: فذكره. قلت: وهذا سند ضعيف، عبد الله بن رجاء هو الغداني. قال الحافظ
" يهم قليلا "، فليس هو علة الحديث وإنما شيخه يحيى هذا، قال الحافظ: " لين الحديث ". وبه أعل ابن الجوزي الحديث فأورده في " الموضوعات " وقال: (2 / 233) : " لا يصح، ويحيى قال البخاري: منكر الحديث ". وهو قد تبع البخاري في هذا التجريح، ومن المعلوم أن البخاري لا يقول في الراوي " منكر الحديث " إلا إذا كان متهما عنده. ولهذا فإن تعقب السيوطي في " اللآلي " على ابن الجوزي بأن يحيى هذا روى له أبو داود والترمذي والنسائي، وقال أبو حاتم: يكتب حديثه وليس بالقوي، وذكره ابن حبان في " الثقات " - لا يساوي شيئا
فإن توثيق ابن حبان في مثل هذا المقام مما لا يعتد به العلماء الأعلام، لاسيما مع تضعيف الأئمة الآخرين لهذا الراوي
وجملة القول أن هذا الإسناد ضعيف لا تقوم به حجة، وأما المتن فلا أشك في وضعه، ولنعم ما صنع ابن الجوزي في إيراده إياه في " الموضوعات "، وتعقب السيوطي إياه إنما هو جمود منه على السند دون أن ينعم النظر في المتن وما يحمله من معنى تتنزه الشريعة عنه، إذ كيف يعقل أن تذم هذه الشريعة العادلة أمة السودان بحذافيرها وفيهم الأتقياء الصالحون العفيفون كما في سائر الأمم، وليت شعري ما يكون موقف من كان غير مسلم من السودان إذا بلغه هذا الذم العام لبني جنسه من شريعة الإسلام؟! فلا جرم أن ابن القيم قال كما يأتي بعد حديث
" أحاديث ذم الحبشة والسودان كلها كذب
وأقره الشيخ ملا علي القاري في " موضوعاته " (ص 119) ، بل إن ابن القيم رحمه الله قال في صدد التنبيه على أمور كلية يعرف بها كون الحديث موضوعا، قال (صفحة 48 - 49) : " ومنها ركاكة ألفاظ الحديث وسماجتها بحيث يمجها السمع ويسمج معناها الفطن
ثم ساق أحاديث عدة هذا آخرها. وللحديث طريق آخر عن ابن عباس وهو: (الاتي)