পরিচ্ছেদঃ
৭৩২। আমার উম্মাতের মধ্য হতে সর্বপ্রথম আমি আমার পরিবারবর্গের জন্য শাফা’আত করব, অতঃপর তাদের নিকটবর্তী, তারপর তাদের নিকটবর্তীদের জন্য। তারপর আনসারদের জন্য, অতঃপর আমার উপর যে ব্যক্তি ঈমান এনেছে এবং আমার অনুসরণ করেছে তার জন্য। তারপর ইয়ামানীদের জন্য অতঃপর সকল আরবদের জন্য। অতঃপর অনারবদের জন্য। আমি যার জন্য সর্বপ্রথম শাফা’আত করব সেই সর্বোত্তম।
হাদীছটি জাল।
এটি তাবারানী (৩/২০৫/২), ইবনু আদী (২/১০০) এবং আল-মুখলেস “আল-ফাওয়ায়েদুল মুন্তাকাহ” (৬/৬৯/১) গ্রন্থে হাফস ইবনু আবী দাউদ হতে তিনি লাইছ হতে তিনি মুজাহিদ হতে ... বর্ণনা করেছেন। এ সূত্রেই আল-খাতীব "আল-মুওয়াযযেহ" (২/২৭) গ্রন্থে দারাকুতনীর সূত্রে তার সনদে হাফস হতে বর্ণনা করেছেন। দারকুতনী বলেনঃ লাইছের হাদীছ হতে এটি গারীব। হাফস ইবনু আবী দাউদ এককভাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি হচ্ছেন হাফস ইবনু সুলায়মান ইবনিল মুগীরাহ। ইবনু আদী বলেনঃ লাইছ হতে একমাত্র হাফসই বর্ণনা করেছেন। তার অধিকংশ হাদীছ নিরাপদ নয়।
ইবনুল জাওযী (৩/২৫০) বলেনঃ লাইছ তাদের নিকট চরম পর্যায়ের দুর্বল। তবে হাফসই এ হাদীছটির ব্যাপারে দূষণীয় ব্যক্তি। ইবনু খাররাশ বলেনঃ তিনি মাতরূক, হাদীছ জালকারী। সুয়ূতী (২/৪৫০) এবং ইবনু ইরাক (৩৯২/১-২) তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
أول من أشفع له من أمتي أهل بيتي، ثم الأقرب فالأقرب، ثم الأنصار، ثم من آمن بي واتبعني، ثم اليمن، ثم سائر العرب، ثم الأعاجم، ومن أشفع له أولا أفضل
موضوع
-
رواه الطبراني (3 / 205 / 2) وابن عدي (100 / 2) والمخلص في " الفوائد المنتقاة " (6 / 69 / 1) عن حفص بن أبي داود عن ليث عن مجاهد عن ابن عمر مرفوعا. ومن هذا الوجه رواه الخطيب في " الموضح " (2 / 27) من طريق الدارقطني بسنده عن حفص وقال الدارقطني: " غريب من حديث ليث عن مجاهد تفرد به حفص بن أبي داود عنه، وهو حفص بن سليمان بن المغيرة أبو عمر المقريء صاحب عاصم بن أبي النجود "، وقال ابن عدي: " لا يرويه عن الليث غير حفص، وعامر حديثه غير محفوظ ". ومن طريق الدارقطني أورده ابن الجوزي في " الموضوعات " وقال (3 / 250) : " قال الدارقطني: تفرد به حفص عن ليث
قلت: أما ليث فغاية في الضعف عندهم. إلا أن المتهم به حفص. قال ابن خراش: متروك يضع الحديث ". ووافقه السيوطي (2 / 450) ، ثم ابن عراق (392 / 1 - 2)