পরিচ্ছেদঃ
১০০০। তুমি ভালভাবে উযু কর, অতঃপর দাঁড়াও ও সালাত আদায় কর। তিনি তা সেই ব্যক্তিকে বললেন যে তার স্ত্রীকে চুমু দিয়েছিল।
হাদীছটি দুর্বল।
এটি ইমাম তিরমিযী (৪/১২৮), দারাকুতনী তার "সুনান" (৪৯) গ্রন্থে, হাকিম (১/১৩৫), বাইহাকী (১/১২৫) ও আহমাদ (৫/২৪৪) আব্দুল মালেক ইবনু উমায়ের হতে তিনি আদুর রহমান ইবনু আবী লাইল হতে তিনি মুয়া ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিরমিযী বলেনঃ এ হাদীছটির সনদ মুত্তাসিল নয়। আব্দুর রহমান ইবনু আবী লাইলা মুয়ায ইবনু জাবাল (রাঃ) হতে শুনেননি। মুয়ায মারা গেছেন উমার (রাঃ)-এর খেলাফাত কালে। উমার (রাঃ)-কে যখন হত্যা করা হয় তখন আব্দুর রহমান ইবনু আবী লাইলার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। তিনি মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ এর দ্বারা বাইহাকীও সমস্যা বর্ণনা করেছেন। তিনি হাদীছটির পরেই বলেনঃ তাতে এরসাল হয়েছে। আব্দুর রহমান ইবনু আবী লাইলা মুয়াযকে পাননি।
দারাকুতনী হাদীছটির পরে বলেনঃ এটি সহীহ। হাকিমও তার সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। হাফিয যাহাবী কিছু না বলে চুপ থেকেছেন। সঠিক হচ্ছে এই যে, হাদীছটির সনদে বিচ্ছিন্নতা রয়েছে। যেমনটি দৃঢ়তার সাথে তিরমিযী ও বাইহাকী বলেছেন। তার সনদটি দুর্বল।
হাদীছে বর্ণিত ব্যক্তির ঘটনাটি একদল সাহাবাহ হতে "সহীহায়নে"। "সুনান", “আল-মুসনাদ" ও অন্যান্য গ্রন্থে বিভিন্ন সূত্রে ও একাধিক সনদে এসেছে। সেগুলোর কোনটিতেই উযু ও সালাত আদায় করার নির্দেশের কথা আসেনি। তাই প্রমাণ করছে যে, আলোচ্য হাদীছটি বর্ধিত অংশের দ্বারা মুনকার।
এ হাদীছ দিয়ে মহিলাদেরকে স্পর্শ করার দ্বারা উযু নষ্টের দলীল গ্রহণ করা ঠিক হবে না। (যেমনটি ইবনুল জাওযী "আত-তাহকীক" (১/১১৩) গ্রন্থে করেছেন।) নিম্নোক্ত কারণেঃ
১ । হাদীছটি দুর্বল।
২। যদি হাদীছটির সনদ সহীহ হত, তাহলে তাতে এমন দলীল পাওয়া যাচ্ছে না যে, নারীকে স্পর্শ করার কারণে উযু করার নির্দেশ ছিল। বরং তাতে এমনও বলা হয়নি যে নির্দেশের পূর্বে সে উযু অবস্থায় ছিল যা স্পর্শ করার কারণে ভেঙ্গে গেছে! বরং উযূ করার নির্দেশটি ছিল গুনাহের কারণে যেমনটি অন্য সহীহ হাদীছে এসেছেঃ
ما من مسلم يذنب ذنبا فيتوضأ ويصلي ركعتين إلا غفر له
মুসলিম ব্যক্তি যখনই কোন গুনাহ করে বসে অতঃপর উয়ু করে দু’ রাকাআত সালাত আদায় করে তখনই তাকে ক্ষমা করে দেয়া হয়।
এটি সুনান ও অন্যান্য হাদীছ গ্রন্থ রচনাকারীগণ বর্ণনা করেছেন। একদল হাদীছটিকে সহীহ আখ্যা দিয়েছেন। যেমনটি আমি "তাখরীজুল মুখতারাহ" (নং ৭) গ্রন্থে বর্ণনা করেছি।
৩। উযু করার নির্দেশ স্পর্শ করার কারণেই ছিল। হতে পারে বিশেষ ধরনের স্পর্শের কারণে ছিল। তা হচ্ছে মাযী বেরিয়ে যাওয়া, যা উযূ নষ্ট করে দেয়। অতএব যখন এরূপ সম্ভাবনা রয়েছে, তখন তার দ্বারা দলীল গ্রহণ করা ঠিক হবে না।
সঠিক হচ্ছে এই যে, নারীকে স্পর্শ করলে, তাকে চুমু দিলে উযু ভাঙ্গে না। তা উত্তেজনার সাথে হোক বা উত্তেজনার সাথে না হোক কোন পার্থক্য নেই। এর সমর্থনে কোন সহীহ দলীল সাব্যস্ত না হওয়ার কারণে। বরং সাব্যস্ত হয়েছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কোন স্ত্রীকে চুমু দিতেন অতঃপর সালাত আদায় করতেন। উযু করতেন না।
এটি আবু দাউদ ও অন্য বিদ্বানগণ বর্ণনা করেছেন। তার দশটি সূত্র রয়েছে। যার কোন কোনটি সহীহ যেমনটি আমি "সহীহ আবু দাউদ" (নং ১৭০-১৭৩) গ্রন্থে বর্ণনা করেছি। নারীকে চুমু দেয়া সাধারণত উত্তেজনার সাথেই হয়ে থাকে।
توضأ وضوءا حسنا، ثم قم فصل، قاله لمن قبل امرأة
ضعيف
-
أخرجه الترمذي (4 / 128 - تحفة) والدارقطني في " سننه " (49) والحاكم (1 / 135) والبيهقي (1 / 125) وأحمد (5 / 244) من طرق عن عبد الملك بن عمير عن عبد الرحمن بن أبي ليلى عن معاذ بن جبل: " أنه كان قاعدا عند النبي صلى الله عليه وسلم فجاءه رجل وقال: يا رسول الله ما تقول في رجل أصاب امرأة لا تحل له، فلم يدع شيئا يصيبه الرجل من امرأته إلا وقد أصابه منها، إلا أنه لم يجامعها؟ فقال: توضأ وضوءا حسنا ثم قم فصل، قال: فأنزل الله تعالى هذه الآية " أقم الصلاة طرفي النهار وزلفا من الليل " الآية، فقال: أهي له خاصة أم للمسلمين عامة؟ فقال: بل للمسلمين عامة ". وقال الترمذي: " هذا حديث ليس إسناده بمتصل، عبد الرحمن بن أبي ليلى لم يسمع من معاذ بن جبل، ومعاذ مات في خلافة عمر وقتل عمر وعبد الرحمن بن أبي ليلى غلام صغير ابن ست سنين، وقد روى عن عمر ورآه. وروى شعبة هذا الحديث عن عبد الملك بن عمير عن عبد الرحمن بن أبي ليلى عن النبي صلى الله عليه وسلم مرسلا
قلت: وبهذا أعله البيهقي أيضا فقال عقبه: " وفيه إرسال، عبد الرحمن بن أبي ليلى لم يدرك معاذ بن جبل ". وأما الدارقطني فقال عقبه: " صحيح ". ووافقه الحاكم، وسكت عنه الذهبي. والصواب أن الحديث منقطع كما جزم به الترمذي والبيهقي، فهو ضعيف الإسناد. وقد جاءت هذه القصة عن جماعة من الصحابة في " الصحيحين " و" السنن " و" المسند " وغيرها من طرق وأسانيد متعددة، وليس في شيء منها أمره صلى الله عليه وسلم بالوضوء والصلاة، فدل ذلك على أن الحديث منكر بهذه الزيادة. والله أعلم. وأما قول أبي موسى المديني في " اللطائف " (ق 66 / 2) بعد أن ساق الحديث من طريق أحمد: " هذا حديث مشهور، له طرق ". فكأنه يعني أصل الحديث، فإنه هو الذي له طرق، وأما بهذه الزيادة فهو غريب، ومنقطع كما عرفت، والله أعلم
إذا تبين هذا فلا يحسن الاستدلال بالحديث على أن لمس النساء ينقض الوضوء، كما فعل ابن الجوزي في " التحقيق " (1 / 113) وذلك لأمور: أولا: أن الحديث ضعيف لا تنهض به حجة. ثانيا: أنه لوصح سنده، فليس فيه أن الأمر بالوضوء إنما كان من أجل اللمس، بل ليس فيه أن الرجل كان متوضئا قبل الأمر حتى يقال: انتفض باللمس! بل يحتمل أن الأمر إنما كان من أجل المعصية تحقيقا للحديث الآخر الصحيح بلفظ: ما من مسلم يذنب ذنبا فيتوضأ ويصلي ركعتين إلا غفر له ". أخرجه أصحاب السنن وغيرهم وصححه جمع، كما بينته في " تخريج المختارة " (رقم 7) .
ثالثا: هب أن الأمر إنما كان من أجل اللمس، فيحتمل أنه من أجل لمس خاص، لأن الحالة التي وصفها، هي مظنة خروج المذي الذي هو ناقض للوضوء، لا من أجل مطلق اللمس، ومع الاحتمال يسقط الاستدلال. والحق أن لمس المرأة وكذا تقبيلها لا ينقض الوضوء، سواء كان بشهو ة أو بغير شهو ة، وذلك لعدم قيام دليل صحيح على ذلك، بل ثبت أنه صلى الله عليه وسلم كان يقبل بعض أزواجه ثم يصلي ولا يتوضأ. أخرجه أبو داود وغيره، وله عشرة طرق، بعضها صحيح كما بينته في " صحيح أبي داود " (رقم 170 - 173) وتقبيل المرأة إنما يكون مقرونا بالشهو ة عادة، والله أعلم