পরিচ্ছেদঃ
১০০৬। সুহায়েব উত্তম এক বান্দা। সে যদি আল্লাহকে (তার শাস্তিকে) ভয় না করতো তাহলে (ও) সে তার নাফরমানী করতো না। কিন্তু সে আল্লাহকে ভয় করে অতএব নাফরমানী করার তো প্রশ্নই আসে না।
হাদীসটির কোন ভিত্তি নেই।
হাফিয সাখাবী "আল-ফাতাওয়াল হাদীসাহ" (২/১২) গ্রন্থে বলেনঃ বাক্যটি পূর্ববতী ও আরবদের ভাষ্যে উমার (রাঃ) এর হাদীস হতে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। শাইখ বাহাউদ্দীন আস-সুবকী উল্লেখ করেছেন যে এটি কোন কিতাবে রয়েছে এ ব্যাপারে জানতে তিনি সফল হননি। একদল ভাষাবিদ এরূপই বলেছেন। অতঃপর আমি আমার শাইখ হাফিয ইবনু হাজারকে তার লিখায় সফল হতে দেখেছি। তিনি আবু মুহাম্মাদ ইবনু কুতাইবার “মুশকিলুল হাদীস” গ্রন্থের উদ্ধৃতিতে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু ইবনু কুতাইবাহ হাদীসটির কোন সনদ উল্লেখ করেননি। হাফিয ইবনু হাজার বলেনঃ এ হাদীস দ্বারা বুঝানো হয়েছে যে, সুহায়েব লজ্জাবশত আল্লাহর অবাধ্য হননি। তিনি আল্লাহর শাস্তির ভয়ে অবাধ্য হননি এমনটি নয়।
উক্ত হাদীসের অর্থবোধক হিসেবে উমার (রাঃ)-এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তিনি আবু হুযায়ফার দাস সালেম সম্পর্কে বলেছেন। এটি আবু নোয়াইম "আল-হিলইয়াহ" গ্রন্থে আব্দুল্লাহ ইবনুল আরকাম সূত্রে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু সনদটি দুর্বল।
আমি (আলবানী) বলছিঃ বরং এটি বানোয়াট। কারণ তিনি “আল-হিলইয়্যাহ" (১/১৭৭) গ্রন্থে মুয়াল্লাক হিসেবে মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাকের সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
সনদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত, ধারাবাহিকভাবে ক্রটিযুক্তঃ
১। এটি মুয়াল্লাক, মুত্তাসিল নয়।
২। মুহাম্মাদ ইবনু ইসহাক মুদাল্লিস আন আন করে বর্ণনা করেছেন।
৩। বর্ণনাকারী আল-জারাহ ইবনুল মিনহাল মিথ্যার দোষে দোষী। তার কুনিয়াত আবুল আতূফ। ইমাম বুখারী ও মুসলিম বলেছেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস। নাসাঈ ও দারাকুতনী বলেনঃ তিনি মাতরূক। ইবনু হিব্বান বলেনঃ তিনি হাদীসের মধ্যে মিথ্যা বলতেন এবং মদ পান করতেন।
৪। হাবীব ইবনু নাজীহ মাজহুল। আবু হাতিম (১/২/১১০) বলেনঃ তিনি মাজহুল। হাফিয যাহাবীও “আল-মীযান” গ্রন্থে বলেছেনঃ তিনি মাজহুল।
ইবনু হিব্বান তার থিওরী অনুযায়ী তাকে “আস-সিকাত” গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন।
نعم العبد صهيب، لولم يخف الله لم يعصه
لا أصل له
-
قال السخاوي في " الفتاوي الحديثية " (12/2) : قد اشتهر في كلام الأولين وأصحاب المعاني والعربية من حديث عمر بن الخطاب وذكر الشيخ بهاء الدين السبكي أنه لم يظفر به في شيء من الكتب، وكذا قال جمع من أهل اللغة، ثم رأيت بخط شيخنا رحمه الله أنه ظفر به في " مشكل الحديث
لأبي محمد بن قتيبة، لكن لم يذكر له ابن قتيبة إسنادا، وقال: أراد أن صهيبا إنما لم يعص الله حياء لا مخافة عذابه، انتهى
وقد وقعت على معنى ذلك من قول عمر رضي الله عنه، إلا أنه في حق سالم مولى أبي حذيفة، فروى أبو نعيم في " الحلية " من طريق عبد الله بن الأرقم
حضرت عمر عند وفاته مع ابن عباس والمسور بن مخرمة، فقال: رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول: إن سالما شديد الحب لله عز وجل، لوكان لا يخاف ما عصاه، وسنده ضعيف
قلت: بل هو موضوع؛ لأنه في " الحلية " (1/177) معلق من طريق محمد بن إسحاق عن الجراح بن منهال عن حبيب بن نجيح عن عبد الرحمن بن غنم قال
قدمت المدينة في زمان عثمان، فأتيت عبد الله بن الأرقم فقال: حضرت عمر رضي الله عنه عند وفاته مع ابن عباس والمسور بن مخرمة، فقال عمر: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره، فلقيت ابن عباس فذكرت ذلك له، فقال: صدق، انطلق بنا إلى المسور بن مخرمة حتى يحدثك به، فجئنا المسور، فقلت: إن عبد الله بن الأرقم حدثني بهذا الحديث، قال: حسبك لا تسل عنه بعد عبد الله بن الأرقم
قلت: فهذا إسناد هالك، مسلسل بالعلل
الأولى: أنه معلق غير متصل
الثانية: أن محمد بن إسحاق مدلس وقد عنعنه
الثالثة: أن الجراح بن المنهال متهم بالكذب، وكنيته أبو العطوف، قال
البخاري ومسلم: منكر الحديث
وقال النسائي والدارقطني: متروك
وقال ابن حبان: كان يكذب في الحديث، ويشرب الخمر
الرابعة: جهالة حبيب بن نجيح، قال أبو حاتم (1/2/110)
مجهول، ولا يعتبر برواية أبي العطوف عنه، يعني لضعف أبي العطوف
وكذا قال الذهبي في " الميزان ": مجهول
وأما ابن حبان فذكره في " الثقات " على قاعدته في توثيق المجهولين