পরিচ্ছেদঃ
১৭৪৭। তোমরা তুর্কীদের ছেড়ে দাও যে ব্যাপারে তারা তোমাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে। কারণ আমার উম্মাত সর্বপ্রথম সেই বস্তুর অধিকারী হবে যা কুরকুরার বানু কানতূরাকে আল্লাহ্ তা’আলা দান করেন।
হাদীসটি বানোয়াট।
এটিকে ত্ববারানী (৩/৭৬/১) ও খাল্লাল “ফী আসহাবি ইবনু মান্দা” গ্রন্থে (২/১৫২) উসমান ইবনু ইয়াহইয়া কারকাসানী হতে, তিনি আব্দুল মাজীদ ইবনু আব্দুল আযীয ইবনু আবূ রাওয়াদ হতে, তিনি মারওয়ান ইবনু সালেম জাযারী হতে, তিনি আমাশ হতে, তিনি যায়েদ ইবনু ওয়াহাব ও শাকীক ইবনু সালামাহ হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) হতে মারফূ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আর আবু জা’ফার তুসী শী’ঈ “আলআমলী” গ্রন্থে (পৃঃ ৪) মারওয়ান ইবনু সালেম হতে, তিনি আ’মাশ হতে, তিনি আবূ অইল এবং যায়েদ ইবনু ওয়াহাব হতে, তিনি হুযাইফাহ ইবনুল ইয়ামান (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছিঃ দুর্বল হওয়ার দিক থেকে এ সনদটি ধ্বংসপ্রাপ্ত তিন কারণেঃ
(১) বর্ণনাকারী আলজাযারী সম্পর্কে ইমাম বুখারী, মুসলিম ও আবু হাতিম বলেনঃ তিনি মুনকারুল হাদীস । আবু আরুবাহু হাররানী বলেনঃ তিনি হাদীস জালকারী।
(২) বর্ণনাকারী আব্দুল মাজীদ ইবনু আব্দুল আযীয ইবনু আবু রাওয়াদ সম্পর্কে মতভেদ করা হয়েছে। “আত-তাকরীব” গ্রন্থে এসেছে তিনি সত্যবাদী ভুলকারী। তিনি মুরযেয়া ছিলেন। ইবনু হিব্বান তার ব্যাপারে শক্ত অবস্থান গ্রহণ করে বলেনঃ তিনি মাতরুক।
(৩) আরেক বর্ণনাকারী উসমান ইবনু ইয়াহইয়া কারকাসানীর জীবনী পাচ্ছি না।
হাইসামী “আলমাজমা” গ্রন্থে (৭/৩১২) বলেনঃ এটিকে ত্ববারানী "আলমুজামুল কাবীর" এবং “আলআওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদে উসমান ইবনু ইয়াহইয়া কারকাসানী রয়েছেন আমি তাকে চিনি না। আর অন্য বর্ণনাকারীগণ সহীহ বর্ণনাকারী।
কিন্তু তিনি বড় সমস্যার ব্যাপারে অজ্ঞই রয়ে গেছেন। সেটি হচ্ছে আলজাযারী। অথচ তিনি অন্যত্র তার সম্পর্কে ঠিকই বলেছেন। তিনি (৫/৩০৪) বলেছেনঃ এটিকে ত্ববারানী “আলআওসাত” গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন আর এর সনদে মারওয়ান ইবনু সালেম রয়েছেন। তিনি মাতরূক।
মানবী এ দু’টি বর্ণনার পরে বলেছেনঃ সামহূদী বলেনঃ সমালোচনা শুধুমাত্র "আলমু’জামুল কাবীর" গ্রন্থের সনদ নিয়ে। “আলমুজামুল আওসাত” ও “আসসাগীর” গ্রন্থের সনদ দু’টি হাসান পর্যায়ের এবং এ দু’সনদের বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য। ... এ কারণে ইবনুল জাওযী কর্তৃক হাদীসটির ব্যাপারে বানোয়াটের হুকুম লাগানো সঠিক হয়নি এমতাবস্থায় যে, যিয়া এর একটি অংশ উল্লেখ করেছেন।
আমি (আলবানী) বলছি তার এ বক্তব্যের ব্যাপারে কয়েক দিক থেকে বিরূপ মন্তব্য রয়েছেঃ
(১) ইমাম ত্ববারানী "আসসাগীর" গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেননি। আমি এ সম্পর্কে লোকদের মধ্যে বেশী জানি। কারণ এ গ্রন্থ সাহাবীগণের মুসনাদের ভিত্তিতে সাজিয়েছি। অতঃপর আমি তাদের হাদীসগুলোকে অক্ষরের ভিত্তিতে সাজিয়েছি। অতএব “আসসাগীর” গ্রন্থের উদ্ধৃতি দেয়া ধারণা মাত্র।
(২) সামহুদী কর্তৃক হাসান আখ্যা দেয়া গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তার এ কথা হাইসামী যা দৃঢ়তার সাথে উল্লেখ করেছেন তা বিরোধী। কারণ তিনি বলেছেনঃ “আলআওসাত” গ্রন্থেও (৫৬৩৪) বর্ণনাকারী মারওয়ান ইবনু সালেম রয়েছেন আর তিনি মাতরূক। আর তিনি সামহুদীর চেয়ে এ ব্যাপারে বেশী জানেন।
(৩) ইবনুল জাওযী হাদীসটিকে বানোয়াট আখ্যা দিয়ে সঠিকই করেছেন। কারণ মারওয়ান ইবনু সালেম জাল করার দোষে দোষী। অতএব সামহুদী কর্তৃক সমালোচনার কোন যৌক্তিকতা নেই। আর যিয়া যে অংশটুকু উল্লেখ করেছেন সে অংশের উপর আসলেই বানোয়াটের হুকুম লাগানোর কোন সুযোগ নেই। এর কতিপয় শাহেদ থাকার কারণে। যেগুলোর কিছু কিছু হাইসামী উল্লেখ করেছেন। যে চায় সে যেন তা দেখে নেয়।
উল্লেখ্য, মানবীও আলোচ্য হাদীসটির ব্যাপারে “আততাইসীর” গ্রন্থে বলেছেনঃ এটি দুর্বল। মারওয়ান ইবনু সালেম দুর্বল হওয়ার কারণে। তিনি ত্ববারানীর তিন মুজামের উদ্ধৃতি দেয়ার পর এ কথা বলেছেন।
اتركوا الترك ما تركوكم، فإن أول من يسلب أمتي ما خولهم الله عز وجل بنو قنطورا من كركرا
موضوع
-
رواه الطبراني (3 / 76 / 1) والخلال في أصحاب ابن منده (152 / 2) عن عثمان بن يحيى القرقساني: حدثنا عبد المجيد بن عبد العزيز بن أبي رواد حدثنا مروان بن سالم الجزري عن الأعمش عن زيد بن وهب وشقيق بن سلمة عن ابن
مسعود مرفوعا. ورواه أبو جعفر الطوسي الشيعي في " الأمالي " (ص 4) عن مروان بن سالم قال: حدثنا الأعمش عن أبي وائل وزيد بن وهب عن حذيفة بن اليمان به. قلت: وهذا إسناد هالك في الضعف، وفيه ثلاث علل
الأولى: الجزري
قال البخاري ومسلم وأبو حاتم: " منكر الحديث
وقال أبو عروبة الحراني: " يضع الحديث ". الثانية: عبد المجيد بن عبد العزيز بن أبي رواد، مختلف فيه، وفي " التقريب ": " صدوق يخطيء، وكان مرجئا، أفرط ابن حبان فقال: متروك ". الثالثة: عثمان بن يحيى القرقساني، لم أجد له ترجمة. والحديث قال الهيثمي في " المجمع " (7 / 312) . " رواه الطبراني في " الكبير " و" الأوسط "، وفيه عثمان بن يحيى القرقساني، ولم أعرفه، وبقية رجاله رجال الصحيح ". كذا قال: وذهل عن آفته الكبرى: (الجزري) مع أنه تنبه لها في مكان آخر منه، فقال (5 / 304) : " رواه الطبراني في " الأوسط "، وفيه مروان بن سالم، وهو متروك ". وقال المناوي عقب هذين النقلين عنه: " وقال السمهو دي: المقال إنما هو في سند " الكبير، أما " الأوسط " و" الصغير " فإسنادهما حسن، ورجالهما موثقون. انتهى
وبه يعرف أن اقتصار المؤلف على العزولـ " الكبير " غير جيد، وكيفما كان، لم يصب ابن الجوزي حيث حكم بوضعه، وقد جمع الضياء فيه جزءا
قلت: فيه نظر من وجوه: الأول: أن الطبراني لم يخرجه في " الصغير "، وأنا من أعرف الناس به، فقد رتبته على مسانيد الصحابة، ثم رتبت أحاديثهم جميعا على حروف المعجم، فعزوه إليه وهم
الثاني: أن جزمه بأن إسناده حسن، وأن المقال إنما هو في " الكبير "، يخالف جزم الهيثمي بأن في إسناد " الأوسط أيضا مروان بن سالم المتروك، وهو أعرف به من السمهو دي
الثالث: أن ابن الجوزي قد أصاب في حكمه عليه بالوضع، ما دام أن مروان بن سالم قد اتهم بالوضع كما سبق. فلا وجه لتعقبه في ذلك. والضياء إنما جمع الجزء المشار إليه في الطرف الأول من الحديث، بغض النظر عن تمامه، والطرف المذكور، حقا إنه لا مجال للقول بوضعه، لأن له شواهد تمنع من ذلك أورد بعضها الهيثمي، فليراجعه من شاء
ومن ذلك ما رواه ابن لهيعة عن كعب بن علقمة قال: أخبرنا حسان بن كريب الحميري قال: سمعت ابن ذي الكلاع: سمعت معاوية بن أبي سفيان مرفوعا به. أخرجه ابن عبد الحكم في " فتوح مصر " (267) . ثم رأيت ترجمة القرقساني في " ثقات ابن حبان " (9 / 455) وذكر أنه مات سنة (258)
ومن طريقه أخرجه الطبراني في " المعجم الأوسط " أيضا (5764 - بترقيمي) ، فسقط كلام السمهو دي يقينا، وما قلده المناوي فيه، ثم تراجع عن بعضه، فقد رأيته يقول في " التيسير ": " ضعيف لضعف مروان بن سالم ". قال هذا بعد أن عزاه للمعاجم الثلاثة