৪২৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৪. প্রথম অনুচ্ছেদ - নাক্বী‘ ও নবীয সম্পর্কীয় বর্ণনা

৪২৮৮-[৩] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য রাত্রের প্রথম ভাগে নবীয তৈরি করা হত। তিনি তা পরবর্তী দিন সকালে, এর পরের রাত্রে, দ্বিতীয় দিনে ও দ্বিতীয় রাত্রে এবং তৃতীয় দিন ’আসর পর্যন্ত পান করতেন। এরপরও যদি কিছু অবশিষ্ট থাকত, তা চাকর-বকরদেরকে পান করাতেন অথবা ফেলে দেয়ার জন্য নির্দেশ করতেন, তখন তা ফেলে দেয়া হত। (মুসলিম)[1]

بَابُ النَّقِيعِ وَالْأَنْبِذَةِ

وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنْبَذُ لَهُ أَوَّلَ اللَّيْلِ فَيَشْرَبُهُ إِذَا أَصْبَحَ يَوْمَهُ ذَلِكَ وَاللَّيْلَةَ الَّتِي تَجِيءُ وَالْغَدَ وَاللَّيْلَةَ الْأُخْرَى وَالْغَدَ إِلَى الْعَصْرِ فَإِنْ بَقِيَ شَيْءٌ سَقَاهُ الْخَادِمَ أَوْ أَمَرَ بهِ فصُبَّ. رَوَاهُ مُسلم

وعن ابن عباس قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ينبذ له اول الليل فيشربه اذا اصبح يومه ذلك والليلة التي تجيء والغد والليلة الاخرى والغد الى العصر فان بقي شيء سقاه الخادم او امر به فصب رواه مسلم

ব্যাখ্যাঃ হাদীস প্রমাণ করে নবীয বৈধ যতক্ষণ না তার মিষ্টতা পরিবর্তন হয় এবং নেশা পরিগণিত না হয়, এটার উপর সকলের ইজমা।

(سَقَاهُ الْخَادِمَ أَوْ أَمَرَ بِه فَصُبَّ) চাকরদের পান করাতেন অথবা ফেলে দেয়ার নির্দেশ দিতেন। কখনও কখনও পান করাতেন আবার কখনও ফেলে দেয়ার নির্দেশ দিতেন, এটা নবীযের অবস্থায় উপর নির্ভর করে। যদি নবীযে নেশার ছাপ স্পষ্ট না হয় অথবা নেশার ভাব হওয়ার পূর্বেই চাকরদেরকে পান করাতেন আর ফেলে দিতেন না, কারণ অযথা সম্পদ নষ্ট করা হারাম। আর যদি নেশার ছাপ চলে আসে এবং মদে রূপান্তরিত হয় তাহলে খাওয়াতেন না এবং ফেলে দিতে বলতেন, কারণ তা হারাম এবং অপবিত্র হয়ে গেছে।

আর ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীস সকালের নবীয বিকালে আর বিকালের নবীয সকালে পান করা। ইবনু ‘আব্বাস-এর হাদীসের বিপরীত না। কেননা ঋতু বা মওসুমের পরিবর্তনে নবীযের মধ্যে নেশা সৃষ্টি হওয়া বা না হওয়ার ব্যাপারে সময়ের ব্যবধান হয়। যেমন গ্রীষ্মের মওসুমে কোন জিনিস যত তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায় শীতের সময়ে তত তাড়াতাড়ি নষ্ট হয় না। অতএব ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীস গরম বা গ্রীষ্মের সময়ে যাতে এক দিনের ঊর্ধ্বেই নষ্ট হয়ে যায়। আর ইবনু ‘আব্বাস-এর হাদীস অন্য সময়ে যে সময়ে তিনদিনের পূর্বে নষ্ট হয় না। অথবা হতে পারে ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর হাদীস স্বল্প নবীয একদিনে সমাপ্ত হয়। আর ইবনু ‘আব্বাস-এর হাদীস অধিক পরিমাণ নবীয যা একদিনে সমাপ্ত হয় না। (শারহুন নাবাবী ১৩শ খন্ড, হাঃ ২০০৪)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব ২১: খাদ্য (كتاب الأطعمة)