২৯৯৬

পরিচ্ছেদঃ ১৮৭. ইয়াওমুত তারবিয়া এর আগে খুতবা

২৯৯৬. ইসহাক ইবন ইবরাহীম (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমরাহ্ করে জিয়িররানা নামক স্থানে ফিরে এসে আবু বকর (রাঃ)-কে হজ্জের আমীর নিযুক্ত করে প্রেরণ করেন। আমরাও তাঁর সঙ্গে আসলাম। যখন ’আরজ নামক স্থানে পৌছলেন তখন সকাল হলে তিনি তাকবীর বলার জন্য প্রস্তুত হলেন। এমন সময় তার পেছনে উটের শব্দ শুনতে পেয়ে তিনি তাকবীর না দিয়ে বললেন ইহা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উটনী জাদ’আর শব্দ। হয়তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাশরীফ এনেছেন, আমরা তার সঙ্গে সালাত আদায় করবো, হঠাৎ দেখা গেল এর আরােহী হলেন আলী (রাঃ)। আবু বকর (রাঃ) তাকে বললেনঃ আপনি কি আমীর হিসেবে এসেছেন, না সংবাদ বাহক হিসেবে। তিনি বললেনঃ আমি সংবাদ বাহক হিসেবে এসেছি। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে অব্যাহতি বাণী (সূরা তাওবা বা বারা’আত) সহ প্রেরণ করেছেন। আমি হজ্জের বিশিষ্ট স্থানসমূহে লোকদের তা শুনাব।

আমরা মক্কায় আগমন করলাম। যিলহজ্জের ৮ তারিখের একদিন পূর্বে আবু বকর (রাঃ) লোকের মধ্যে দাঁড়িয়ে খুতবা দিলেন এবং তাদেরকে হজ্জের আহকাম শুনালেন। তিনি তার খুৎবা শেষ করলে আলী (রাঃ) দাঁড়ালেন এবং তিনি লোকের মধ্যে অব্যাহতি বাণী (সূরা বারাআত) পাঠ করে শুনালেন এবং তা শেষ করলে আমরা তাঁর সঙ্গে বের হলাম। যখন আরাফার দিন উপস্থিত হলো, তখন আবু বকর (রাঃ) লোকের মধ্যে দাঁড়িয়ে খুৎবা দিলেন, তাদের কাছে হজ্জের আহকাম বর্ণনা করলেন। যখন তিনি তাঁর বক্তব্য শেষ করলেন, তখন আলী (রাঃ) দাঁড়িয়ে লোকের মধ্যে সূরা বারাআত পাঠ করে শুনালেন। এরপর কুরবানীর দিন আসলে আমরা তাওয়াফে ইফাযা করলাম।

আবু বকর (রাঃ) ফিরে এসে লোকের মধ্যে খুৎবা দিলেন। তাতে তিনি প্রত্যাবর্তন ও কুরবানীর আহকাম এবং হজ্জের আহকাম বৰ্ণনা করলেন। তিনি যখন খুৎবা শেষ করলেন, তখন আলী (রাঃ) দাঁড়িয়ে লোকের মধ্যে বারাআতের ঘােষণা শুনালেন, সূরা বারাআত শুনানাে শেষ করলেন। প্রথম নফরের দিন আসলে আবু বকর (রাঃ) লোকের উদ্দেশ্যে খুতবা দিলেন; কিরূপে নফর বা যাত্রা করতে হবে এবং রমী করতে হবে সে সমস্ত আহকাম তাদেরকে শিক্ষা দিলেন। তিনি খুৎবা শেষ করলে আলী (রাঃ) দাঁড়িয়ে লোকের নিকট সূরা বারাআত পড়ে শুনালেন এবং তা শেষ পর্যন্ত পাঠ করলেন।

আবু আবদুর রহমান (রহঃ) বলেন, ইবন খুশায়ম (রহঃ) হাদীস বর্ণনায় তেমন শক্তিশালী নন। আমি ইবন জুরায়জ (রহঃ) আবূ যুবায়র (রহঃ) থেকে এ সনদে বর্ণনা না করে ইবন জুরায়জ (রহঃ) ইবন খুশায়ম (রহঃ) থেকে, তিনি আবু যুবায়র (রাঃ) এ সনদে রেওয়ায় বর্ণনা করেছি। কেননা প্রথমােক্ত সনদে ইবন জুরায়জ (রহঃ) ও আবু যুবায়র (রহঃ)-এর মধ্যের একজন রাবী বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যাকে উসূলে হাদীসের ভাষায় মুনকাতি’ বলা হয়। আমি এ হাদীসটি ইসহাক ইবন রাহওয়াই ইবন ইবরাহীম (রহঃ) সূত্রে লিপিবদ্ধ করেছি। ইয়াহইয়া ইবন সাঈদ আল-কাত্তান (রহঃ) ইবন খুশায়ম (রহঃ) থেকে হাদীস বর্ণনা বাদ দেননি। আর আবদুর রহমান থেকেও না। তবে আলী ইবন মাদীনী (রহঃ) ইবন খুশায়ম (রহঃ)-কে ’মুনকারুল হাদীস’ বলে মন্তব্য করেছেন। আর আলী ইবন মাদীনী (রহঃ) হাদীস শাস্ত্রের জন্যেই তাঁর সৃষ্টি।

الْخُطْبَةُ قَبْلَ يَوْمِ التَّرْوِيَةِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ قَالَ قَرَأْتُ عَلَى أَبِي قُرَّةَ مُوسَى بْنِ طَارِقٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ خُثَيْمٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ عَنْ جَابِرٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ رَجَعَ مِنْ عُمْرَةِ الْجِعِرَّانَةِ بَعَثَ أَبَا بَكْرٍ عَلَى الْحَجِّ فَأَقْبَلْنَا مَعَهُ حَتَّى إِذَا كَانَ بِالْعَرْجِ ثَوَّبَ بِالصُّبْحِ ثُمَّ اسْتَوَى لِيُكَبِّرَ فَسَمِعَ الرَّغْوَةَ خَلْفَ ظَهْرِهِ فَوَقَفَ عَلَى التَّكْبِيرِ فَقَالَ هَذِهِ رَغْوَةُ نَاقَةِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْجَدْعَاءِ لَقَدْ بَدَا لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْحَجِّ فَلَعَلَّهُ أَنْ يَكُونَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنُصَلِّيَ مَعَهُ فَإِذَا عَلِيٌّ عَلَيْهَا فَقَالَ لَهُ أَبُو بَكْرٍ أَمِيرٌ أَمْ رَسُولٌ قَالَ لَا بَلْ رَسُولٌ أَرْسَلَنِي رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِبَرَاءَةَ أَقْرَؤُهَا عَلَى النَّاسِ فِي مَوَاقِفِ الْحَجِّ فَقَدِمْنَا مَكَّةَ فَلَمَّا كَانَ قَبْلَ التَّرْوِيَةِ بِيَوْمٍ قَامَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ عَنْ مَنَاسِكِهِمْ حَتَّى إِذَا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَرَأَ عَلَى النَّاسِ بَرَاءَةٌ حَتَّى خَتَمَهَا ثُمَّ خَرَجْنَا مَعَهُ حَتَّى إِذَا كَانَ يَوْمُ عَرَفَةَ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ عَنْ مَنَاسِكِهِمْ حَتَّى إِذَا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ فَقَرَأَ عَلَى النَّاسِ بَرَاءَةٌ حَتَّى خَتَمَهَا ثُمَّ كَانَ يَوْمُ النَّحْرِ فَأَفَضْنَا فَلَمَّا رَجَعَ أَبُو بَكْرٍ خَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ عَنْ إِفَاضَتِهِمْ وَعَنْ نَحْرِهِمْ وَعَنْ مَنَاسِكِهِمْ فَلَمَّا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ فَقَرَأَ عَلَى النَّاسِ بَرَاءَةٌ حَتَّى خَتَمَهَا فَلَمَّا كَانَ يَوْمُ النَّفْرِ الْأَوَّلُ قَامَ أَبُو بَكْرٍ فَخَطَبَ النَّاسَ فَحَدَّثَهُمْ كَيْفَ يَنْفِرُونَ وَكَيْفَ يَرْمُونَ فَعَلَّمَهُمْ مَنَاسِكَهُمْ فَلَمَّا فَرَغَ قَامَ عَلِيٌّ فَقَرَأَ بَرَاءَةٌ عَلَى النَّاسِ حَتَّى خَتَمَهَا قَالَ أَبُو عَبْد الرَّحْمَنِ ابْنُ خُثَيْمٍ لَيْسَ بِالْقَوِيِّ فِي الْحَدِيثِ وَإِنَّمَا أَخْرَجْتُ هَذَا لِئَلَّا يُجْعَلَ ابْنُ جُرَيْجٍ عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ وَمَا كَتَبْنَاهُ إِلَّا عَنْ إِسْحَقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ وَيَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ لَمْ يَتْرُكْ حَدِيثَ ابْنِ خُثَيْمٍ وَلَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ إِلَّا أَنَّ عَلِيَّ بْنَ الْمَدِينِيِّ قَالَ ابْنُ خُثَيْمٍ مُنْكَرُ الْحَدِيثِ وَكَأَنَّ عَلِيَّ بْنَ الْمَدِينِيِّ خُلِقَ لِلْحَدِيثِ

اخبرنا اسحق بن ابراهيم قال قرات على ابي قرة موسى بن طارق عن ابن جريج قال حدثني عبد الله بن عثمان بن خثيم عن ابي الزبير عن جابر ان النبي صلى الله عليه وسلم حين رجع من عمرة الجعرانة بعث ابا بكر على الحج فاقبلنا معه حتى اذا كان بالعرج ثوب بالصبح ثم استوى ليكبر فسمع الرغوة خلف ظهره فوقف على التكبير فقال هذه رغوة ناقة رسول الله صلى الله عليه وسلم الجدعاء لقد بدا لرسول الله صلى الله عليه وسلم في الحج فلعله ان يكون رسول الله صلى الله عليه وسلم فنصلي معه فاذا علي عليها فقال له ابو بكر امير ام رسول قال لا بل رسول ارسلني رسول الله صلى الله عليه وسلم ببراءة اقروها على الناس في مواقف الحج فقدمنا مكة فلما كان قبل التروية بيوم قام ابو بكر رضي الله عنه فخطب الناس فحدثهم عن مناسكهم حتى اذا فرغ قام علي رضي الله عنه فقرا على الناس براءة حتى ختمها ثم خرجنا معه حتى اذا كان يوم عرفة قام ابو بكر فخطب الناس فحدثهم عن مناسكهم حتى اذا فرغ قام علي فقرا على الناس براءة حتى ختمها ثم كان يوم النحر فافضنا فلما رجع ابو بكر خطب الناس فحدثهم عن افاضتهم وعن نحرهم وعن مناسكهم فلما فرغ قام علي فقرا على الناس براءة حتى ختمها فلما كان يوم النفر الاول قام ابو بكر فخطب الناس فحدثهم كيف ينفرون وكيف يرمون فعلمهم مناسكهم فلما فرغ قام علي فقرا براءة على الناس حتى ختمها قال ابو عبد الرحمن ابن خثيم ليس بالقوي في الحديث وانما اخرجت هذا لىلا يجعل ابن جريج عن ابي الزبير وما كتبناه الا عن اسحق بن ابراهيم ويحيى بن سعيد القطان لم يترك حديث ابن خثيم ولا عبد الرحمن الا ان علي بن المديني قال ابن خثيم منكر الحديث وكان علي بن المديني خلق للحديث


It was narrated from Jabir that:
when the Prophet came back from the Umrah of Al-Jirranah, he sent Abu Bakr to lead the Hajj. We wnet the him until, when he was in Al-Urj, the Iqamah for Subh was said, and he stood up to say the Takbir while he heard the grunting of a camel behind him, and he did not say the Takbir. He said: "This is the grunting of the camel of the Messenger of Allah has had second thoughts about the Hajj, and may be he is here, and we will pray with him." But it was 'Ali on the camel. Abu Bakr said to him: "(Have you come) as a leader or as messenger?" He said: "No, as a messenger, sent by the Messenger of Allah with a declaration of innocence to recite it to the people in the stations of Hajj. So we came to makkah and one day before the day of At-Tarwiyah Abu Bakr, may Allah be pleased with him, stood up and addressed the people telling them about their rituals. When he finished, Ali, may Allah be pleased with him, stood up and recited the declaration of innocence to the people until he finished it. Then we went out with hm and on the day of Arafat. Abu Bakr stood up and addressed people, telling them about rituals. When he finished, Ali, may Allah be pleased with him, stood up and recited the declaration of innocence to the people until he finished it. Then on the day of Sacrifice, we departed (Ifadah) and when Abu Bakr came back, eh addressed the people, telling them about their departure (Ifadah), sacrifice and rituals. When he finished, Ali, may Allah be pleased with him, stood up and recited the declaration of innocence to the people until he finished it. On the first day of An-Nafr (The 12th of Dhul-Hijjah), Abu Bakr stood up and addressed the people, telling them how to offer their sacrifice and how to stone the Jamrat, and teaching them their rituals. When he had finished, "Ali, may Allah be pleased with him, stood up and recited the declaration of innocence to the people until he finished it. (Daif) Abu Abdur-Rahman (An-Nasai) said: Ibn Khuthaim is not strong in Hadith, and I only narrated this so it would not be considered to be from Ibn Juraij from Abu Az-Zubai. And we did not write it except from Ishaq bin Rahuyah bin Ibrahm. And yahya bin Saeed Al-Qattan did not abandon the narrations of Ibn Khuthaim, or dod Abdur-Rahamn. However, Ali bin Al-Madini said: "Ibn Khuthaim is Munkar in Hadith," and Ali bin Al-Madini is more knowledgeable of Hadith.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আন-নাসায়ী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
২৪/ হজ্জের নিয়ম পদ্ধতি (كتاب مناسك الحج)