পরিচ্ছেদঃ ১৮৬. সালাত আদায় করা থেকে বাধাপ্রাপ্ত হলে
১৫৬২. আবূ সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন: খন্দকের যুদ্ধের দিন আমাদেরকে (সালাত হতে) বিরত রাখা হয়েছিল এমনকি রাত নেমে এলো, কিন্তু সেটিই আমাদের জন্য যথেষ্ট হয়ে গিয়েছিল। আর তা-ই হলো আল্লাহ তা’আলার এই আয়াতের বক্তব্য: [“যুদ্ধে মু’মিনদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। আল্লাহই হলেন সর্বশক্তিমান, পরাক্রমশালী।” (আহযাব ৩৩:২৫)]
তারপর রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিলাল -কে ইকামত দেওয়ার আদেশ করেন। তখন তিনি যুহরের সালাতের ইকামত দেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ওয়াক্তের মধ্যে সে সালাত যেভাবে উত্তমরূপে আদায় করেন, তেমনিভাবে তিনি যোহরের (কাযা) সালাত আদায় করেন। এরপর তিনি তাকে আদেশ দিলে সে (বিলাল) আসরের সালাতের জন্য ইকামত দেয় এবং তিনি আসরের (কাযা) সালাত আদায় করেন। এরপর তিনি তাকে আদেশ দিলে সে (বিলাল) মাগরিবের সালাতের জন্য ইকামত দেয় এবং তিনি মাগরিবের (কাযা) সালাত আদায় করেন। এরপর তিনি তাকে আদেশ দিলে সে (বিলাল) ঈশার সালাতের জন্য ইকামত দেয় এবং তিনি ঈশার সালাত আদায় করেন। আর এটি ছিল (যুদ্ধের) এ আয়াত নাযিল হওয়ার পূর্বের ঘটনা: [“অতঃপর যদি তোমরা (শত্রুর ভয়ের) আশংকা করো, সে অবস্থায় পদব্রজে বা যানবাহনাদির উপর (সালাত আদায় করে নেবে)...।” সূরা: বাক্বারা ২: ২৩৯][1]
بَاب الْحَبْسِ عَنْ الصَّلَاةِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ حُبِسْنَا يَوْمَ الْخَنْدَقِ حَتَّى ذَهَبَ هَوِيٌّ مِنْ اللَّيْلِ حَتَّى كُفِينَا وَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ تَعَالَى وَكَفَى اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ الْقِتَالَ وَكَانَ اللَّهُ قَوِيًّا عَزِيزًا فَدَعَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِلَالًا فَأَمَرَهُ فَأَقَامَ فَصَلَّى الظُّهْرَ فَأَحْسَنَ كَمَا كَانَ يُصَلِّيهَا فِي وَقْتِهَا ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعَصْرَ فَصَلَّاهَا ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْمَغْرِبَ فَصَلَّاهَا ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ الْعِشَاءَ فَصَلَّاهَا وَذَلِكَ قَبْلَ أَنْ يَنْزِلَ فَإِنْ خِفْتُمْ فَرِجَالًا أَوْ رُكْبَانًا
তাখরীজ: ((নাসাঈ, মাওয়াক্বিত (বাব:৫৫) ও আযান (বাব:২৩); আহমাদ ৩/২৫- দারেমী, ফাওয়ায আহমাদের তাহক্বীক্বকৃত, নং ১৫২৪ এর টীকা হতে- অনুবাদক।))
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ১২৯৬; সহীহ ইবনু হিব্বান নং ২৮৯০; মাওয়ারিদুয যাম’আন নং ২৮৫ তে।