পরিচ্ছেদঃ ২৩. কো্ন্ সাদাকা সর্বোত্তম?
১৬৯১. আব্দুল্লাহ’র স্ত্রী যাইনাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “হে নারী সমাজ! তোমরা সাদাকা কর যদিও তা তোমাদের অলংকারই হোক না কেন। রাবী বলেন, আবদুল্লাহ দরিদ্র ছিলেন। ফলে আমি এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম –এর নিকট এসে (দেখলাম তাঁর দরজার সামনে দণ্ডায়মান) যয়নাব নাম্নী অপর একজন আনসারী মহিলার সাথে (আমার বিষয়টি) মিলে গেলো এবং আমি যে ব্যাপারে প্রশ্ন করতে এসেছি তিনিও সে ব্যাপারেই প্রশ্ন করছেন। তখন আমি বিলালকে বললাম যে, আপনি আমার পক্ষ হতে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম –এর কাছে গিয়ে এ ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাসাকরুন যে, আমি আমার সাদাকা কোথায় দান করবো- আব্দুল্লাহ’কে নাকি আমার আত্মীয়-স্বজনকে? তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম –এর কাছে জিজ্ঞাসা করলেন। তখন তিনি প্রশ্ন করলেন, “কোন্ যাইনাব?” তিনি (বিলাল) বললেন, আবদুল্লাহ্ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর স্ত্রী যয়নাব। তিনি বললেন, হ্যাঁ; তার জন্য দু’টি (দুই গুণ) সাওয়াব রয়েছে, আত্মীয়তার (সম্পর্ক বজায় রাখার) সাওয়াব এবং দান করার সাওয়াব।”[1]
بَاب أَيُّ الصَّدَقَةِ أَفْضَلُ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ سُلَيْمَانُ أَخْبَرَنِي قَالَ سَمِعْتُ أَبَا وَائِلٍ يُحَدِّثُ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ عَنْ زَيْنَبَ امْرَأَةِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهَا قَالَتْ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ وَلَوْ مِنْ حُلِيِّكُنَّ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ خَفِيفَ ذَاتِ الْيَدِ فَجِئْتُ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْأَلُهُ فَوَافَقَتْ زَيْنَبَ امْرَأَةٌ مِنْ الْأَنْصَارِ تَسْأَلُ عَمَّا أَسْأَلُ عَنْهُ فَقُلْتُ لِبِلَالٍ سَلْ لِي رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيْنَ أَضَعُ صَدَقَتِي عَلَى عَبْدِ اللَّهِ أَوْ فِي قَرَابَتِي فَسَأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَيُّ الزَّيَانِبِ فَقَالَ امْرَأَةُ عَبْدِ اللَّهِ فَقَالَ لَهَا أَجْرَانِ أَجْرُ الْقَرَابَةِ وَأَجْرُ الصَّدَقَةِ
তাখরীজ: আহমাদ ৩/৪০২, ৪৩৪; মুসলিম, যাকাত ১০৩৪; তিরমিযী, যাকাত ৬৩৫; বাইহাকী, যাকাত ৪/১৮০; শুয়াবুল ঈমান নং ৩৪১৮; নাসাঈ, আল কুবরা নং ২৩২৩; বুখারী, যাকাত ১৪২৭।
আর এর শাহিদ হাদীস রয়েছে আবী হুরাইরা হতে বুখারী ও মুসলিমের সম্মিলিতভাবে বর্ণিত, আমরা যার তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মা্ওসিলী নং ৬৫৮৫ তে।