পরিচ্ছেদঃ ১৩) পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করা উহার প্রতি যত্নবান হওয়া এবং উহা ওয়াজেব হওয়ার ব্যাপারে ঈমান রাখার প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ
৩৫৪. (সহীহ্) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ’’পাঁচ ওয়াক্ত নামায এবং এক জুমআ থেকে পরবর্তী জুমআ মধ্যবর্তী পাপ সমূহের জন্যে কাফ্ফারা স্বরূপ, যতক্ষন পর্যন্ত কবীরা গুনাহতে লিপ্ত না হয়।’’[1]
(মুসলিম ২৩৩, তিরমিযী ২১৪ প্রমূখ হাদীছটি বর্ণনা করেছেন)
الترغيب في الصلوات الخمس والمحافظة عليها والإيمان بوجوبها
(صحيح) وَعَنْ أبِيْ هُرَيْرَةَ أيضا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ الصلوات الخمس والْجُمُعَةُ إِلَى الْجُمُعَةِ كَفَّارَةُ لِمَا بَيْنَهن مَا لَمْ تُغْشَ الْكَبَائِرُ رواه مسلم والترمذي وغيرهما
শায়খ আলবানী বলেনঃ এই ব্যাখ্যা পূর্ববর্তী হাদীছের প্রশ্নের উত্তরের বিপরীত। যাতে বলা হয়েছেঃ ‘‘তার শরীরে কি কোন ময়লা থাকতে পারে?’’ এখানে ময়লা বলতে শুধুমাত্র সাগীরা গুনাহ উদ্দেশ্য হবে এরূপ ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। অর্থাৎ সবগুলো সাগীরা গুনাহ্ মুছে যাবে আর সবগুলো কাবীরা গুনাহ্ থেকে যাবে! কেননা এ ধরণের ব্যাখ্যা অন্তর গ্রহণ করে না। তাছাড়া এ ক্ষেত্রে আরো অনেক হাদীছ আছে যাতে উক্ত ব্যাখ্যা কখনই করা যাবে না। যেমনঃ ‘‘যে ব্যক্তি হজ্জ করবে, অতঃপর স্ত্রী সহবাস, অশ্লীলতা ও অন্যায় কাজে লিপ্ত হবে না, সে তার পাপ থেকে এমনভাবে ফিরে আসবে যেমন নিষ্পাপ অবস্থায় তার মাতা তাকে ভূমিষ্ট করেছিল।’’ (মুসলিম)