পরিচ্ছেদঃ যে ব্যক্তি ধারণা করে যে, এই হাদীসটি হাসান থেকে আম্বাসা এককভাবে বর্ণনা করেছেন, তার কথা অপনোদনে হাদীস
২১৯২. আবূ বাকরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, তিনি মাসজিদে প্রবেশ করেন এমন অবস্থায় যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেসময় রুকূ‘তে ছিলেন।” তিনি বলেন, “তখন আমিও কাতারে পৌঁছার আগেই রুকূ‘ করি। অতঃপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “আল্লাহ তোমার আগ্রহ আরোও বাড়িয়ে দিক। তবে এরকম আর করবে না।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই হাদীসটি সেই ধরণের হাদীসের অন্তর্ভুক্ত, যা আমরা ‘কিতাবুস সুনান’ কিতাবে উল্লেখ করেছি যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোন কোন সময় নির্দিষ্ট কোন কাজে কোন কিছু করতে নিষেধ করেন, অতঃপর কোন ব্যক্তি যদি সেই নিষেধাজ্ঞা জানার পর সে কাজে লিপ্ত হয়, তবে সে ব্যক্তি গোনাহগার হবে, অবশ্য তার কাজটি শুদ্ধ হয়ে যাবে। যেমন: নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজনের বিবাহের প্রস্তাবের উপর আরেকজনের প্রস্তাব দেওয়া নিষেধ করেছেন, অথবা তিনি একজনের পণ্যের দামের উপর দাম করতে নিষেধ করেছেন।
কাজেই কোন ব্যক্তি যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিষেধাজ্ঞা জানার পর তার ভাইয়ের কোন প্রস্তাবের উপর প্রস্তাব দেয়, তবে সে ব্যক্তি পাপী হবে, আর বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
অনুরুপভাবে আবূ বাকরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর উদ্দেশ্যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্তব্য “আল্লাহ তোমার আগ্রহ আরোও বাড়িয়ে দিক। তবে এরকম আর করবে না” কোন ব্যক্তি যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিষেধাজ্ঞা জানার পর এমন কাজ করে, তবে সে ব্যক্তি নিষিদ্ধ কাজ করার কারণে পাপী হবে বটে, কিন্তু তার সালাত শুদ্ধ হয়ে যাবে।
ওয়াবিসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা নিষেধ করেছেন, তা থেকে আবূ বাকরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে তিনি যতটুকু বৈধতা দিয়েছেন, তা স্বতন্ত্র হিসেবে। যেমনভাবে মুযাবানা ক্রয়-বিক্রয় নিষেধ হওয়া সত্তেও, আরায়া ক্রয়-বিক্রয় বৈধ। যদিও এভাবে আদায় করা আবূ বাকরা রাদ্বিয়াল্লাহুর সালাত শুদ্ধ না হতো, তবে নিশ্চয়ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে সালাত পুনরায় আদায় করার নির্দেশ দিতেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বক্তব্য “তবে এরকম আর করবে না” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো সালাতে বিলম্বে করার এমন কাজ আর করবে না; এটা উদ্দেশ্য নয় যে, তুমি তাকবীর বলার পর কাতারে এভাবে দ্বিতীয়বার শামিল হবে না।”
ذِكْرُ الْخَبَرِ الْمُدْحِضِ قَوْلَ مَنْ زَعَمَ أن هَذَا الْخَبَرَ تَفَرَّدَ بِهِ عَنبَسَةُ عَنِ الْحَسَنِ
2192 - أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ قَحْطَبَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْمِقْدَامِ الْعِجْلِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ قَالَ: حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ زِيَادٍ الْأَعْلَمِ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ: أَنَّهُ دَخَلَ الْمَسْجِدَ ـ وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَاكِعٌ ـ قَالَ: فَرَكَعْتُ دُونَ الصَّفِّ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (زادك الله حرصاً ولا تَعُدْ)
الراوي : أَبُو بَكْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2192 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((صحيح أبي داود)) (684 ـ685).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: هَذَا الْخَبَرُ مِنَ الضَّرْبِ الَّذِي ذَكَرْتُ فِي كِتَابِ ((فُصُولُ السُّنَنِ)) أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَدْ يَنْهَى عَنْ شَيْءٍ فِي فِعْلٍ مَعْلُومٍ وَيَكُونُ مُرْتَكِبُ ذَلِكَ الشَّيْءِ الْمَنْهِيِّ عَنْهُ مَأْثُومًا بِفِعْلِهِ ذَلِكَ إِذَا كَانَ عَالِمًا بِنَهْيِ الْمُصْطَفَى صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْهُ وَالْفِعْلُ جَائِزٌ عَلَى مَا فَعَلَهُ كَنَهْيِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ أَنْ يخطُب الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ أَوْ يَسْتَامَ عَلَى سَوْمِ أَخِيهِ فَإِنْ خَطَبَ امْرُؤٌ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ بَعْدَ عِلْمِهِ بِالنَّهْيِ عَنْهُ كَانَ مَأْثُومًا وَالنِّكَاحُ صَحِيحٌ فَكَذَلِكَ قَوْلُهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِأَبِي بَكْرَةَ: (زَادَكَ اللَّهُ حِرْصًا وَلَا تَعُدْ) فَإِنْ عَادَ رَجُلٌ فِي هَذَا الْفِعْلِ الْمَنْهِيِّ عَنْهُ وَكَانَ عَالِمًا بِذَلِكَ النَّهْيِ كَانَ مَأْثُومًا فِي ارْتِكَابِهِ الْمَنْهِيَّ وَصَلَاتُهُ جَائِزَةٌ وَلِأَنَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَبَاحَ هَذَا الْقَدْرَ لِأَبِي بَكْرَةَ مُسْتثْنًى مِنْ جُمْلَةِ مَا نَهَاهُ عَنْهُ فِي خَبَرِ وَابِصَةَ كَالْمُزَابَنَةِ وَالْعَرِيَّةِ وَلَوْ لَمْ تَجُزِ الصَّلَاةُ بِهَذَا الْوَصْفِ لِأَبِي بَكْرَةَ لَأَمَرَهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِإِعَادَةِ الصَّلَاةِ.
وَقَوْلُهُ: ((وَلَا تَعُدْ)) أَرَادَ بِهِ: لَا تَعُدُ فِي إِبْطَاءِ الْمَجِيءِ إِلَى الصَّلَاةِ لَا أَنَّهُ أَرَادَ بِهِ أَنْ لَا تَعُودَ بَعْدَ تَكْبِيرِكَ فِي اللُّحُوقِ بالصف.
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে বুখারী ও মুসলিমের শর্তে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ৬৮৪)