পরিচ্ছেদঃ (১৫) সালাতে ওযূ ভেঙ্গে যাওয়া প্রসঙ্গে - ইমামের জন্য বৈধ রয়েছে যে, যখন সালাতে ওযূ ভেঙ্গে যাবে, তখন ওযূ নবায়ন করতে যাওয়ার সময় তিনি ইমামতির দায়িত্ব অন্য কারো উপর ন্যস্ত করবেন
২২৩২. আবূ বাকরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার ফজরের সালাতের তাকবীর দেন, তারপর তিনি তাদের প্রতি ইশারা করেন এবং চলে যান। অতঃপর গোসল করে আসেন, তখন তাঁর মাথা থেকে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি পড়ছিল। তারপর তিনি তাদের নিয়ে সালাত আদায় করেন।”[1]
আবূ হাতিম ইবনু হিব্বান রহিমাহুল্লাহ বলেন, “আবূ বাকরা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর বক্তব্য “তারপর তিনি তাদের নিয়ে সালাত আদায় করেন” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো তিনি নতুন করে তাকবীরে তাহরীমা দিয়ে সালাত শুরু করেছেন; এটা উদ্দেশ্য নয় যে, তিনি ফিরে এসে তারপর আগের সালাত বহাল রেখে তার উপর বাকি সালাত সম্পন্ন করেছেন। কেননা এমনটা ভাবা সম্ভব নয় যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাড়িতে গিয়েছেন গোসল করার জন্য আর লোকজন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফিরে না আসা পর্যন্ত কোন ইমাম ছাড়াই আপন অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
আর যে ব্যক্তি এই হাদীস দ্বারা দলীল দেন যে, আগের সালাত বহাল রেখে তার উপর বাকি সালাত সম্পন্ন করা জায়েয, তার জন্য আবশ্যক হলো এটা বলা যে, আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাড়িতে গিয়ে গোসল করে ফিরে আসা পর্যন্ত এই পরিমাণ সময় যদি মুক্তাদী ইমাম ছাড়াই দাঁড়িয়ে থাকে কোন রকম কিরা‘আত পাঠ ছাড়াই, তবুও তার সালাত বাতিল হবে না! যেহেতু এটা তারা জায়েয বলে না, কাজেই এটাই প্রমাণ হলো যে, আগের সালাত বহাল রেখে তার উপর বাকি সালাত সম্পন্ন করা জায়েয নেই।
আগের সালাত বহাল রেখে তার উপর বাকি সালাত সম্পন্ন করা জায়েয তাদের জন্য আরেক দিক থেকে এটা বলা অবধারিত হবে যে, ইমামের পিছনে কিরা‘আত পাঠ করা ওয়াজিব। কেননা তাদের জন্য দুটো বিষয়ের যে কোন একটি করা জরুরী; হয়তো তারা এটা জায়েয বলবে যে, মুক্তাদীর জন্য ইমাম ও কিরা‘আত পাঠ ছাড়াই বর্ণিত সময় পরিমাণ দাঁড়িয়ে থাকা জায়েয নতুবা ইমামের পিছনে মুক্তাদীদের জন্য কিরা‘আত পাঠ জায়েয বলবে, যদিও তাদের সামনে কোন দন্ডায়মান ইমাম না থাকে!”
15 - بَابُ الْحَدَثِ فِي الصَّلَاةِ (ذِكْرُ الْإِبَاحَةِ لِلْإِمَامِ إِذَا أَحْدَثَ أَنْ يَتْرُكَ تَوْلِيَةَ الْإِمَامَةِ لِغَيْرِهِ عِنْدَ إِرَادَتِهِ الطَّهَارَةَ لِحَدَثِهِ)
2232 - أَخْبَرَنَا أَبُو خَلِيفَةَ قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ قَالَ: حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ زِيَادٍ الْأَعْلَمِ عَنِ الْحَسَنِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَبَّرَ فِي صَلَاةِ الْفَجْرِ يوماً ثُمَّ أَوْمَأَ إِلَيْهِمْ ثُمَّ انْطَلَقَ فَاغْتَسَلَ فَجَاءَ وَرَأْسُهُ يَقْطُرُ فَصَلَّى بهم.
الراوي : أَبُو بَكْرَةَ | المحدث : العلامة ناصر الدين الألباني | المصدر : التعليقات الحسان على صحيح ابن حبان
الصفحة أو الرقم: 2142 | خلاصة حكم المحدث: صحيح - ((صحيح أبي داود)) (227 و 228).
قَالَ أَبُو حَاتِمٍ ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ: قَوْلُ أَبِي بَكْرَةَ: (فَصَلَّى بِهِمْ) أَرَادَ: يَبْدَأُ بِتَكْبِيرٍ محدَثٍ لَا أَنَّهُ رَجَعَ فَبَنَى عَلَى صَلَاتِهِ إِذْ مُحَالٌ أَنْ يَذْهَبَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِيَغْتَسِلَ وَيَبْقَى النَّاسُ كُلُّهُمْ قِيَامًا عَلَى حَالَتِهِمْ مِنْ غَيْرِ إِمَامٍ لَهُمْ إِلَى أَنْ يَرْجِعَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
وَمَنِ احْتَجَّ بِهَذَا الْخَبَرِ فِي إِبَاحَةِ الْبِنَاءِ عَلَى الصَّلَاةِ لَزِمَهُ أَنْ لَا يُفسِدَ وُقُوفَ الْمَأْمُومِ بِلَا إِمَامٍ مِقْدَارَ مَا ذَهَبَ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَاغْتَسَلَ إِلَى أَنْ رَجَعَ مِنْ غَيْرِ قِرَاءَةٍ تَكُونُ مِنْهُمْ وَلَمَّا صَحَّ نفيُهُم جَوَازَ مَا وَصَفْنَا صَحَّ أَنَّ الْبِنَاءَ غَيْرُ جَائِزٍ فِي الصَّلَاةِ وَيَلْزَمُهُمْ ـ مِنْ جِهَةٍ أُخْرَى ـ أَنْ يُوجِبُوا الْقِرَاءَةَ خَلْفَ الْإِمَامِ لِأَنَّهُ لَا بُدَّ مِنْ أَحَدِ الْأَمْرَيْنِ إِمَّا أَنْ يُجِيزُوا وُقُوفَ الْمَأْمُومِينَ فِي صَلَاتِهِمْ ـ بِلَا قِرَاءَةٍ وَلَا إِمَامٍ ـ مُدَّةَ مَا وَصَفْنَا أَوْ لِيُسوِّغُوا لِلْمَأْمُومِينَ الَّذِينَ وَصَفْنَا نَعْتَهُمُ الْقِرَاءَةَ خَلْفَ الْإِمَامِ وَإِنْ لَمْ يَكُنْ قدَّامهم إِمَامٌ قَائِمٌ.
আল্লামা শুআইব আল আরনাঊত রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সমার্থক বর্ণনা থাকার কারণে সহীহ বলেছেন। আল্লামা নাসিরুদ্দিন আলবানী রহিমাহুল্লাহ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। (সহীহ আবূ দাঊদ: ২২৭)